ঢাকা ৪ মাঘ ১৪৩১, শনিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫

হিন্দু-মুসলিম একসঙ্গে লড়াই করে দিল্লির দাসত্বকে খান খান করবে: রিজভী

প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:০৮ পিএম
আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:০৯ পিএম
হিন্দু-মুসলিম একসঙ্গে লড়াই করে দিল্লির দাসত্বকে খান খান করবে: রিজভী
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্টের মিছিলে বক্তব্য রাখছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি : খবরের কাগজ

প্রয়োজনে হিন্দু-মুসলমান একইসঙ্গে লড়াই করে দিল্লির দাসত্বকে খান খান করে দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, ‘দেশের জন্য সিরাজ-উদ-দৌলা ও মোহনলাল একসঙ্গে লড়াই করেছেন। প্রয়োজনে হিন্দু-মুসলমান একইসঙ্গে লড়াই করে দিল্লির দাসত্বকে খান খান করে দেব।’

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক সমাবেশ ও পদযাত্রার শুরুর আগে তিনি এসব কথা বলেন।

ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ হাইকমিশনারের অফিসে হামলার প্রতিবাদে এ মিছিল করে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট।

রিজভী বলেন, ‘বিজেপি সরকার গোড়া হিন্দুত্ববাদকে পুজি করে ক্ষমতায় এসেছে। এদের আর কোনো পুজি নেই। সুতরাং ক্ষমতায় থাকতে হলে হিংসা এবং ঘৃণা ছড়াতে হবে। এছাড়া নরেন্দ্র মোদি বাবুর ক্ষমতায় থাকা অনেক মুশকিল হবে। কারণ ভারতের স্বাধীনতায় তাদের উত্তরসূরীদের কোনো অবদান নেই। এটি আমার নিজের ইতিহাস পাঠ নয়, একজন বিখ্যাত লেখক অন্নদাশংকর রায় তিনি তার এক লেখায় একথা বলেছেন।’

তিনি বলেন, ‘আমার কাছে অবাক লাগে, যে ভদ্র মহিলার (কলকাতার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ছিল। অসাম্প্রদায়িক, সেক্যুলার হিসেবে যে রাজনীতিবিদকে চিনতাম তাকেও মনে হলো রাজনীতির জন্য মুখে অসাম্প্রদায়িকতার কথা বলতেন। ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলতেন। কিন্তু তার গভীরে ছিল কট্টর হিন্দুত্ববাদ। যে কোনো আদর্শের কট্টরবাদ মানবতার পরিপন্থী। যে কোনো ধর্ম সম্প্রদায়ের কট্টরবাদ মানবতার বিরুদ্ধে যায়।’

বিএনপির মুখপাত্র বলেন, ‘এই দেশে যারা ইসলামী রাজনীতি করেন তারাও কিন্তু সাম্প্রদায়িক কথা বলেন না। অন্য ধর্মের প্রতি আক্রমণ করে কোনো কথা বলেন না। এটাই আমাদের ঐতিহ্য। আপনারা আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনে ঢুকে আমাদের পতাকা টেনে নামিয়ে ছিড়েছেন, এটা তো প্রচণ্ড আঘাত। করোনার আঘাতের চেয়ে বড় আঘাত দিয়েছেন ভারতের শাসকগোষ্ঠী। এটা আমরা কখনো ভুলে যাব না।’

ভারতের মিডিয়ার সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘আপনারা আপনাদের মিডিয়ায় এক শোভন ভদ্রলোক মিথ্যা অপপ্রচার করে যাচ্ছেন। আমি তাকে ভদ্রলোকই মনে করতাম, দেখতেও সুন্দর কিন্তু মনটা এতো অসুন্দর। গোপালগঞ্জ আগুন লাগিয়ে ৫ জনকে মেরে ফেলেছে ঢালাওভাবে প্রচার করেছেন। গোপালগঞ্জে কাউকে আগুন লাগিয়ে মারা হয়েছে? এত বড় মিথ্যা, অপপ্রচার!’

তিনি আরও বলেন, ‘ভারত বলে সেক্যুলার দেশ, ধর্মনিরপেক্ষ দেশ, আজকে তাদের মিডিয়া খেয়ে না খেয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। সুভেন্দু বাবুদের তল্পিবাহক হয়েছে’ বলেও যোগ করেন রুহুল কবির রিজভী।

আমরা আমাদের স্বাধীনতা রক্ষায় অঙ্গীকারাবদ্ধ উল্লেখ করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আমরা ভারতসহ যত বড়, ক্ষুদ্র রাষ্ট্র আছে প্রত্যেকটি দেশের স্বাধীনতার মর্যাদা দিই। কিন্তু ভারতের শাসকগোষ্ঠী যদি মনে করে - সম্প্রসারণ চালিয়ে বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান ও অন্যান্য দেশ আমরা কব্জা করে নেব, এটা কিন্তু আপনারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন।’

সংগঠনের সভাপতি অপুর্না রায় দাসের সভাপতিত্বে, সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার বসুর সঞ্চলনায় আরও বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছাসেবক-বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সহ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদ খান প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/অমিয়/

সরকারকে ভ্যাট না বাড়িয়ে খরচ কমানোর পরামর্শ বিএনপির

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:১০ পিএম
আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৩৮ পিএম
সরকারকে ভ্যাট না বাড়িয়ে খরচ কমানোর পরামর্শ বিএনপির
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি : খবরের কাগজ

অন্তর্বর্তী সরকারকে জনগণের উপর ভ্যাট না বাড়িয়ে সরকারের অপ্রয়োজনীয় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, পরিচালন ব্যয় কমানো ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলোকে দেওয়া ঋণ বাজেট কমানোর দিকে নজর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। 

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের পক্ষে এ আহ্বান জানান মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারের সর্বপ্রথম নজর দেওয়া উচিত খরচ কমানোর দিকে। আমরা মনে করি, সরকার তার উন্নয়ন বাজেট পুনর্বিবেচনা করে অপ্রয়োজনীয় ও আর্থিকভাবে অযৌক্তিক প্রকল্পগুলো বাদ দিলে প্রায় ২০ শতাংশ খরচ কমানো সম্ভব এবং এতে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করতে সহায়ক হবে। 

তাছাড়া, পরিচালন ব্যয়ের ক্ষেত্রে সরকার যদি স্থানীয় সরকারের বাজেট এবং ভর্তুকি খাতে খরচ কমায় এবং সার্বিকভাবে পরিচালন ব্যয় ১০ শতাংশ কমাতে পারে, তাহলে ন্যূনতম ৫০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় সম্ভব। তাছাড়া, সরকার কর্তৃক স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেয়া ঋণের বাজেট কমিয়ে সাময়িকভাবে ব্যয় সাশ্রয় করতে পারে। 

উল্লেখ্য, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ৫০ হাজার ৮৭৫ কোটি টাকা ঋণ বাজেট করা হয়েছিল।

সরকার খরচ কমানোর মাধ্যমে বাজেটের ন্যূনতম এক লাখ কোটি টাকা সাশ্রয় করতে পারে এবং ঘাটতি কমাতে পারে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই পদক্ষেপগুলো দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত জরুরি। সরকারের খরচ কমানোর এই উদ্যোগগুলি সাধারণ মানুষের ওপর করের বোঝা কমাবে এবং অর্থনৈতিক চাপ লাঘব করবে। ফলে, জনগণ আর্থিকভাবে স্থিতিশীল হবে এবং দেশের সার্বিক অর্থনীতির উন্নয়ন ঘটবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের এমন আকস্মিক সিদ্ধান্তে ব্যবসায়ী মহলসহ আর্থিক খাতসংশ্লিষ্ট নানা মহলে তীব্র অসন্তোষ পরিলক্ষিত হচ্ছে। অর্থনীতিবিদদের মতে, সরকারের এই সিদ্ধান্ত স্পষ্ট প্রমাণ করে যে, সরকারের মুদ্রানীতি, রাজস্বনীতি ও বাজার ব্যবস্থাপনায় সমন্বয়ের চরম ঘাটতি রয়েছে। যদিও এনবিআরের সাম্প্রতিক বিবৃতিতে দাবি করা হয়, বর্ধিত করারোপ খাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নেই, তথাপি দেশের প্রথিতযশা অর্থনীতিবিদরা এনবিআরের এই যুক্তি মানতে নারাজ। তাদের মতে, ওষুধ, এলপিজি, মোবাইল সেবা, রেস্তোরাঁর খাবার, এবং পোশাকের মতো নিত্যব্যবহার্য জিনিসপত্রে করারোপ হলে জনজীবনে ভোগান্তি আরও ত্বরান্বিত হবে এবং মূল্যস্ফীতির উল্লম্ফন ঘটবে।

ভ্যাট ব্যবস্থার সমালোচনা করে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, এমনিতেই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনায় দেশের অর্থনীতির অবস্থা ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে। এই ভঙ্গুর অবস্থায় সহজ রাস্তায় হেঁটে ভ্যাটের হার তথা কর বাড়িয়ে সরকারের খরচ মেটানোর চেষ্টা করলে তা দেশের জনগণের জন্য কোনো ভাবেই কল্যাণকর হবে না। 

আমাদের মনে রাখা উচিত যে, এই দেশের জনগণ আওয়ামী দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেতে অকাতরে নিজেদের জীবন বিসর্জন দিয়েছে। আমরা যেন ভুল নীতিমালা গ্রহণের মাধ্যমে তাদেরকে আবার সেই দুঃশাসনের মাঝে ফিরিয়ে না নিয়ে যাই।

তিনি বলেন, আমরা পূর্বেও বলেছি যে এই অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা সর্বাত্মক সমর্থন ও সহযোগিতা করে যাব। তাই সরকারকে অনুরোধ করছি, আপনারা নীতিমালা প্রণয়নে জনগণের কথা সর্বপ্রথম বিবেচনায় নিন। দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক বাস্তবতায় রাজস্ব সংগ্রহের জন্য অন্যান্য উপায় বিবেচনা করার এবং সে অনুযায়ী কাজ করার সুযোগ রয়েছে।

সরকারকে পরোক্ষ কর না বাড়িয়ে প্রত্যক্ষ কর বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, কারণ পরোক্ষ কর সব শ্রেণির মানুষকে প্রায় সমানভাবে প্রভাবিত করে এবং নিম্নবিত্ত মানুষের ওপর বোঝা বাড়ায়। প্রত্যক্ষ কর না বাড়িয়েও সরকারি খরচ কমিয়ে (Cost Cutting), এবং চলতি বাজেটের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা পুনঃবিন্যাস করেও চলমান আর্থিক সমস্যার সমাধান করা যায়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন - বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ইসমাইল জাবিউল্লাহ, চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার, মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।

শফিকুল ইসলাম/অমিয়/

'আগামীর বাংলাদেশ হবে ন্যায়-ইনসাফের'

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৩৪ এএম
আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৫২ এএম
'আগামীর বাংলাদেশ হবে ন্যায়-ইনসাফের'
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি এ এইচ এম হামিদুর রহমান আজাদ। ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি এ এইচ এম হামিদুর রহমান আজাদ বলেছেন, জামায়াত এ দেশকে কোরআন-সুন্নাহর ভিত্তিতে পরিচালিত করতে চায়। দেশে ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চায়। আগামীর বাংলাদেশ হবে ন্যায়-ইনসাফের বাংলাদেশ, ইনশাআল্লাহ। 

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগরীর চকবাজারস্থ একটি কমিউনিটি সেন্টারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর বার্ষিক পরিকল্পনা ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এ এইচ এম হামিদুর রহমান আজাদ বলেন, জামায়াতে ইসলামী একটি আদর্শিক ও গণমুখী রাজনৈতিক সংগঠন। আমরা একটি বৈষম্যহীন ও ইনসাফপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চাই। যে সমাজে কেউ না খেয়ে থাকবে, আর কেউ অবৈধভাবে সম্পদ গড়ে বিদেশে পাচারের মাধ্যমে অর্থবিত্তের পাহাড় জমাবে- এমন হবে না। ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালাতে হবে। কোরআন-সুন্নাহর আইনের মাধ্যমে শান্তির সমাজ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। 

তিনি বলেন, সমাজসেবা ও মানবসেবার মাধ্যমে জামায়াত ইতোমধ্যে দেশের মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে। সমাজ সংস্কারের জন্য গণভিত্তির প্রয়োজন। ব্যাপক ও গণমুখী দাওয়াতি কাজের মাধ্যমে জামায়াত সেই গণভিত্তি রচনা করতে চায়। সদস্যরা নিজেদের মধ্যে যে আদর্শিক চিন্তা লালন করেন, বাস্তব কাজের মাধ্যমে ময়দানে তার প্রতিফলন ঘটাতে হবে।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর চট্টগ্রাম মহানগরী আমির ও সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান। 

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগরী নায়েবে আমির মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগরী সহকারী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা খাইরুল বাশার, মুহাম্মদ উল্লাহ, ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুস ও মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী, মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য ডা. সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা নিশাত গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:২৯ এএম
আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:২৯ এএম
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা নিশাত গ্রেপ্তার
মোস্তফা সরকার নিশাত

ময়মনসিংহে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা মোস্তফা সরকার নিশাতকে (২৭) গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। 

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে নগরীর কলেজ রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার মোস্তফা সরকার নিশাত জামালপুর সদর উপজেলার গান্দাইল গ্রামের মৃত আয়নাল হকের ছেলে। তিনি নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হল শাখার সাধারণ সম্পাদক।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার এড়াতে নগরীর কলেজ রোড এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন নিশাত। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার পালিয়ে থাকার তথ্য জানতে পেরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) মোহাইমেনুর রশিদের নেতৃত্বে গোয়েন্দা পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যার ঘটনায় একটি মামলা রয়েছে।

গতকাল (শুক্রবার) তাকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গায় ডা. শফিকুর দুঃশাসনমুক্ত বাংলাদেশ না হওয়া পর্যন্ত জামায়াত থামবে না

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৬ এএম
দুঃশাসনমুক্ত বাংলাদেশ না হওয়া পর্যন্ত জামায়াত থামবে না
চুয়াডাঙ্গায় বক্তব্য রাখছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: খবরের কাগজ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে দেশের সবচেয়ে বড় মজলুম দল বলে মন্তব্য করেছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, সাড়ে ১৫ বছর ধরে জামায়াতের নেতাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। হাজারও নেতা-কর্মীকে খুন করা হয়েছে। ক্রসফায়ারের নামেও হত্যা করা হয়েছে। হাট-ঘাট, মসজিদ-মাদ্রাসা, এমনকি মন্দিরেও লুটপাট চালিয়েছে আওয়ামী লীগ ও তার দোসররা।

জামায়াতের আমির বলেন, ‘৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ ও তার দোসররা চাটিবাটি নিয়ে পালিয়ে গেছে। দুর্নীতিবাজ সবাই পালিয়েছে। তাই বৈষম্যহীন, মানবিক, দুর্নীতি, দুঃশাসনমুক্ত বাংলাদেশ কায়েম না করা পর্যন্ত আমরা থামব না। অর্থাৎ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী থামবে না।’

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ৩টায় চুয়াডাঙ্গা টাউন মাঠে জেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের শাসনামলের প্রতি ইঙ্গিত করে জামায়াত আমির বলেন, ‘ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে তারা দেশের জ্ঞানী, শিক্ষিত, মার্জিত ও অভিজ্ঞ মানুষদের হত্যা করেছে। হাজারও মানুষকে নির্যাতন করেছে। তারা শত শত মানুষকে গুম করেছে, খুন করেছে। মানুষের ইজ্জত লুণ্ঠন করেছে। তারা দেশের সম্পদও লুট করেছে। তারা উন্নয়নের বুলি শুনিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘পরপর তিন-তিনটি নির্বাচনে মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। জুলাই-আগস্টে আমাদের সন্তানরা বিপ্লব ঘটিয়ে চব্বিশে স্বাধীনতা এনেছেন। ফলে স্বৈরাচার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। দেশের মানুষের সামনে দাঁড়ানোর মতো সৎসাহস শেখ হাসিনার ছিল না। যে কারণে তিনিসহ তার দোসররা পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। যারা আমাদের সন্তানদের ওপর গুলি চালিয়েছে, গণহত্যা চালিয়েছিল জনগণ তাদের এক দফা দিয়ে দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে।’ 

চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, জামায়াতের নির্বাহী পরিষদের অন্যতম সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের পরিচালক মোবারক হোসেন, যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের টিম সদস্য খন্দকার আলী মোহসিন, যশোর জেলা শাখার আমির অধ্যাপক গোলাম রসুল, ঝিনাইদহ জেলা জামায়াতের আমির আলী আজম, কুষ্টিয়া জেলা আমির মাওলানা অধ্যাপক আবুল হাশেম, মেহেরপুর জেলা আমির মাওলানা তাজ উদ্দীন খান, চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের সাবেক আমির আনোয়ারুল হক মালিক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার আহ্বায়ক আসলাম অর্ক, জেলা জামায়াতের জয়েন্ট সেক্রেটারি মাসুদ পারভেজ রাসেল প্রমুখ।

নির্বাচন নিয়ে মঈন খান অতীতে ৯০ দিনে হলে এখন ৬ মাসে  হবে না কেন?

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:১২ এএম
অতীতে ৯০ দিনে হলে এখন ৬ মাসে  হবে না কেন?
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘অতীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার যদি ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে পারে, তাহলে এখন ৬ মাসের মধ্যে কেন পারবে না? সরকারকে তাদের দায়িত্ব ও কাজ বুঝতে হবে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের মূল দায়িত্ব গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা। আমরা ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছি।’

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর জিয়া উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তিনি এসব কথা বলেন।

দীর্ঘ ৯ বছর পর গতকাল দুপুরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরেন জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক সম্পাদক ও ফ্লোরিডা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইমরানুল হক চাকলাদার। এ সময় মুন্সীগঞ্জ-২ (লৌহজং-টঙ্গীবাড়ি) এলাকার অসংখ্য মানুষ তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন।

সেখান থেকে সরাসরি তিনি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে যান। আবদুল মঈন খানের নেতৃত্বে ইমরানুল হক চাকলাদারসহ নেতারা ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করেন।

ড. মঈন খান বলেন, ‘বিগত ১৫ বছরে ফ্যাসিস্ট সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গুম-খুনের মাধ্যমে নির্যাতন করেছে। লক্ষাধিক মিথ্যা মামলায় ৫০ লাখ মানুষকে আসামি করে অধিকার হরণ করেছিল। সুতরাং আজকে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশা কী, সেটি উপলব্ধি করতে হবে বর্তমান সরকারকে। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনাই হবে এই সরকারের মূল দায়িত্ব। 

তিনি বলেন, ‘এখানে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলো, নাকি মেয়র নির্বাচন হলো সেটি কোনো কথা নয়। ডকট্রিন অব নেসেসিটি মোতাবেক বর্তমান সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। আমরা একটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন চাই। সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনে যারাই জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবেন তারাই সরকার গঠন করবেন। সেটিই হলো গণতন্ত্র। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি।’

মঈন খান আরও বলেন, ‘বিগত দিনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের জনগণ তাদের মতের প্রতিফলন ঘটাতে পেরেছে। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। এটি চলতে থাকবে। পরবর্তী সময় যারাই ক্ষমতায় আসবেন তারাই সংস্কার এগিয়ে নেবেন।’

বিএনপির সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, গবেষণা সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, মিডিয়া সেলের সদস্য শাম্মী আক্তার, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত এ সময় উপস্থিত ছিলেন।