ঢাকা ৯ মাঘ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫

১০ দিনের মধ্যে চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করতে হবে: আতাউর রহমান

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২২ পিএম
আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫১ পিএম
১০ দিনের মধ্যে চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করতে হবে: আতাউর রহমান
সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও দখলবাজমুক্ত হাতিরঝিল থানার দাবিতে মগবাজারে হাতিরঝিল থানা জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল। ছবি: খবরের কাগজ

আগামী ১০ দিনের মধ্যে হাতিরঝিল এলাকার সব সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও দখলবাজি বন্ধ করে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক মু. আতাউর রহমান সরকার। 

তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ বিপ্লবের মুখে আওয়ামী-বাকশালীদের পতন হলেও তাদের প্রেতাত্মারা এখনো মগবাজারে সক্রিয় রয়েছে। তারা লাগামহীন সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, চাঁদাবাজি, দখলবাজি অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু পতিত স্বৈরাচারীদের এসব অপতৎরতা জনগণ কোনোভাবেই চলতে দেবে। অন্যথায় সচেতন জনতা ঘরে বসে তামাশা দেখবে না।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বাদ জুমা রাজধানীর মগবাজারে হাতিরঝিল থানা জামায়াত আয়োজিত ‘সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও দখলবাজমুক্ত হাতিরঝিল থানার দাবিতে এবং আওয়ামী লীগের নানামুখী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে’ এক বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

হাতিরঝিল পূর্ব থানা আমীর অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং হাতিরঝিল পশ্চিম থানা আমীর ইউসুফ আলী মোল্লার পরিচালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী মজলিসে শূরা সদস্য নুরুল ইসলাম আকন্দ, রাশেদুল ইসলাম, জামায়াত নেতা গোলাম মাওলা, আকতার হোসেন, ড.আনোয়ারুল হক, ছাত্রশিবির নেতা ফজলুর রহমান, সাজ্জাদ শিহাব, নাদিম প্রমুখ।

আতাউর রহমান বলেন, অনেক ত্যাগ ও কোরবানীর মাধ্যমে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জন করলেও আওয়ামী লীগের অপরাজনীতির কারণেই আমরা পুরোপুরি স্বাধীনতার সুফল অর্জন করতে পারিনি। তারা ২০০৮ সালে পাতানো ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে দেশ ও জাতির ঘাড়ে জগদ্দল পাথরের মত চেপে বসেছে। তারা গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধ্বংস করে দিয়ে দেশকে ফ্যাসীবাদী ও মাফিয়াতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। 

শুক্রবার বাদ জুমা বিক্ষোভ মিছিলটি মগবাজার টিএন্ডটি মসজিদ থেকে শুরু হয়ে নয়াটোলা হয়ে মগবাজার মোড়ে হয়ে ওয়ারলেস রেইল গেইট হয়ে মধুবাগ মাঠ গিয়ে শেষ হয়।

মাহফুজ/

দমনমূলক রাষ্ট্রকাঠামো বদল করতে হবে: আ স ম রব

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:০৯ পিএম
দমনমূলক রাষ্ট্রকাঠামো বদল করতে হবে: আ স ম রব
ছবি: সংগৃহীত

রাষ্ট্রযন্ত্রের দমনমূলক কাঠামো বদলের জন্য অংশীদারত্বমূলক রাজনৈতিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন।

বুধবার (জানুয়ারি) জেএসডিরি কেন্দ্রীয় কার্যকরি কমিটির ঢাকাস্থ সংগঠকদের এক সভায় আ স ম আবদুর রব এ কথা বলেন। তার উত্তরার বাসভবনে অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য রাখেন দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন।

আ স ম রব বলেন, ‘বিদ্যমান রাষ্ট্রযন্ত্রের দমনমূলক কাঠামোটিকে বদল করার জন্য অংশীদারত্বমূলক রাজনৈতিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। রাষ্ট্র ক্ষমতায় বিকশিত সমাজশক্তির, রাজনৈতিক ভূমিকা পালনে সাংবিধানিক অধিকার প্রদান করলে জাতীয় রাজনীতিতে যে-সৃজনশীল শক্তির উত্থান ঘটবে, তাতে ফ্যাসিবাদ আর ক্ষমতায় পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হতে পারবে না।’

নতুন রাষ্ট্রশক্তি গড়ে তুলতে হলে গণতন্ত্রে জনগণের অংশীদারত্বে গুরুত্বারোপ করেন আ স ম রব। তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ করায়ত্ব রাষ্ট্রযন্ত্রটি গণমানুষের সংগ্রামকে প্রতিহত করতে দমনমূলক চরিত্র গ্রহণ করে এবং ক্রমাগতভাবে রাষ্ট্রব্যবস্থা ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রে রূপান্তর হয়। সুতরাং গণতন্ত্রকে হত্যা করার বিপরীতে জনগণের ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব ভিত্তিক এক নতুন ধরনের রাষ্ট্রশক্তি গড়ে তুলতে হবে। অংশীদারত্বের গণতন্ত্রে জনগণের সক্রিয় ও ব্যাপক, প্রত্যক্ষ ও বিপুল অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি হবে। রাষ্ট্রক্ষমতায় সমাজশক্তির অংশীদারত্ব ছাড়া কোনো সংস্কার ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে না।’

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহ-সভাপতি তানিয়া রব, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সিরাজ মিয়া, অ্যাডভোকেট কে এম জাবির, মোহাম্মদ তৌহিদ হোসেন, কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন, অ্যাডভোকেট ফাতেমা হেনা, অ্যাডভোকেট সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বেলাল, মোশাররফ হোসেন, আবদুল্লাহ আল তারেক, এস এম শামসুল আলম নিক্সন, মোশাররফ হোসেন মন্টু,আবদুল মান্নান মুন্সি, বোরহান উদ্দিন চৌধুরী রোমান, সুমন খানসহ অন্যান্য নেতারা।

জয়ন্ত সাহা/এমএ/ 

গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথে হাঁটছে না সরকার: জি এম কাদের

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:১৭ পিএম
আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:১৮ পিএম
গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথে হাঁটছে না সরকার: জি এম কাদের
মতবিনিময় সভায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের

দেশ-বিদেশে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে যে পথে হাঁটতে হবে, সরকার সে পথে হাঁটছে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। তিনি বলেছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি জোরালো হয়ে উঠলেও অন্তর্বর্তী সরকারের সেদিকে লক্ষ নেই। 

বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে নরসিংদী জেলার জাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

জিএম কাদের বলেন, ‘বর্তমান সরকার স্বাভাবিকভাবে দেশ চালাতে পারছে না। সরকার চেষ্টা করছে, তাদের আন্তরিকতার অভাব নেই। কিন্তু তারা সফল হতে পারছে না। তাদের নির্দেশ ও পরিকল্পনা অনেক সময় কার্যকর হচ্ছে না, এটাই বাস্তবতা। এমন বাস্তবতায় দেশে একটি শক্তিশালী সরকার প্রয়োজন। অবাধ সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন যাতে জনগণের ইচ্ছার সঠিক প্রতিফলন হয়, সে ধরনের নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকার ছাড়া এ পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব মনে হচ্ছে না।’

দেশের সংকট সমাধানে রাজনৈতিক ঐক্যপ্রক্রিয়া নিয়েও হতাশা প্রকাশ করেন জি এম কাদের। তিনি বলেন, ‘দেশের ৪০টির বেশি রাজনৈতিক দলের মধ্যে হাতে গোনা কয়েকটি দলের সঙ্গে বর্তমান সরকার ঐক্য করছে। এতে দেশের বেশির ভাগ মানুষের প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলগুলো থেকে যাচ্ছে আলোচনার বাইরে।’ 

অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টির সঙ্গে বৈষম্য শুরু হয়েছে। রাজনীতিতে আমাদের কোণঠাসা করতে চাচ্ছে সরকার। আমাদের স্বাভাবিক রাজনীতিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। আমাদের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা দেওয়া হচ্ছে। খবরের কাগজগুলোতে যেন আমাদের সংবাদ না আসে, সে জন্য অপতৎপরতা চালানো হচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। সে হিসেবে আমরা নব্য ফ্যাসিবাদের শিকার মনে হচ্ছে।’

আশঙ্কা প্রকাশ করে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেশ এখন সঠিকভাবে চলছে না। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণে এমন গ্যারান্টি দিতে পারছে না কেউ। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি হলে রাজনীতিতে অস্থীতিশীল ও বিপজ্জনক অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে।’

দ্রব্যমূল্যের পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাওয়ায় মানুষের মাঝে হাহাকার উঠেছে। সাধারণ মানুষ আয় দিয়ে ব্যয় নির্বাহ করতে পারছে না। অর্ধপেট খাওয়া মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলছে। বিভিন্ন কল-কারখানা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার কারণে দেশে বেকারের সংখ্যা বাড়ছে। এক কথায় দেশে অভুক্ত ও অর্ধভুক্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে প্রতিদিন।’ 

ঢাকা বিভাগীয় অতিরিক্ত মহাসচিব লিয়াকত হোসেন খোকা সভায় সভাপতিত্বে করেন। এতে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মজিবুল হক চুন্নু, জেলা সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক মো. নেওয়াজ আলী ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. শামীম হাসান ও সদস্য আবু সাঈদ স্বপন।

 

আ.লীগ ফিরে এলে সবাইকে ফাঁসিতে ঝোলাবে: রাশেদ

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:১৮ পিএম
আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:৩১ পিএম
আ.লীগ ফিরে এলে সবাইকে ফাঁসিতে ঝোলাবে: রাশেদ
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। ছবি: খবরের কাগজ

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ ১৬ বছরে দেশে লুটপাট, চাঁদাবাজি, গণহত্যা, গুম-খুনের ভয়াল রাজত্ব কায়েম করেছিল। শেখ মুজিব একবার একাত্তর-পরবর্তী দেশে গণহত্যা চালিয়েছিলেন। জাসদসহ বিভিন্ন দলের ৩০ হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছেন। ২৪ সালে এসে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দ্বিতীয়বার গণহত্যা চলেছে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ দেশে দুবার গণহত্যা চালিয়েছে। আমরা আর তৃতীয়বার আওয়ামী লীগকে গণহত্যার সুযোগ দেব না।’

বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে ঝিনাইদহের একটি হোটেলে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহিদ ও আহতদের স্মরণে দোয়া এবং মাদক, দুর্নীতি, দুঃশাসন ও চাঁদাবাজমুক্ত বৈষম্যহীন সম্প্রীতির বাংলাদেশ গঠনে তারুণ্যের ভাবনা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

রাশেদ খান বলেন, ‘দেশে আওয়ামী শাসনের পতন ঘটেছে। দেশে আর তাদের রাজনীতি চলবে না। জুলাই বিপ্লবে সম্পৃক্ত রাজনৈতিক দলগুলো যদি ঐক্য ধরে রাখতে না পারে, তাহলে বিপ্লব ব্যর্থ হবে। বিপ্লব ব্যর্থ হলে আওয়ামী লীগ আবার দেশে ফিরে এসে কাউকে রেহাই দেবে না। তারা সবাইকে ফাঁসিতে ঝোলাবে। তাই নিজেদের মধ্যে একতা ধরে রাখতে হবে।’ 

জেলা যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি রকিবুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ ইকবাল রাজন, পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ব্যাংকার রাসেল আহমেদ, ছাত্র অধিকারের আব্দুল্লাহ আল মামুন, আল সোয়াইব মেরাজ প্রমুখ। 

রাশেদ খান অভিযোগ করে বলেন, ‘ঝিনাইদহে দলীয় পরিচয়ে চাঁদাবাজি, দখলদারত্ব, টেন্ডারবাজি ও দুর্নীতি হচ্ছে। এভাবে দখলদারত্ব চলতে থাকলে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বীর শহিদদের আত্মত্যাগ নস্যাৎ হবে। দেশে এখন তারুণ্যনির্ভর পরিবর্তনের রাজনীতি শুরু হয়েছে। ঝিনাইদহে যারা রাজনীতি করেন, তাদের ভুলে গেলে চলবে না, দেশে এখন আর হাসিনার আমলের রাজনীতি নেই। সম্প্রীতি ও ভালোবাসার নজির তৈরি করে মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে। এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি কি জনগণের নেতা হবেন, নাকি জনগণ কর্তৃক গণধিকৃত হবেন।’

কয়েকজন উপদেষ্টার প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, ‘আপনারা কেউ কেউ কিংস পার্টি গঠনের চেষ্টা করছেন। এটা করলে সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিহত করবে দেশের মানুষ। কিংস পার্টিকে দেশের মানুষ গ্রহণ করবে না। তারা সরকারের সুবিধাভোগী।’ 

জাতীয় সরকারের প্রতি গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, ‘দেশ চালাতে জাতীয় সরকার লাগবে। বিপ্লব-পরবর্তী সময়ে জাতীয় সরকার ছাড়া উপায় নেই।’ 

তিনি বলেন, ‘তারেক রহমান যে ৩১ দফা দিয়েছেন সেটা শুধু বিএনপির নয়, আমাদেরও। ৪৫টি দল মিলে এই ৩১ দফা দিয়েছেন। কাজেই জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করে আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হবে।’

 

যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতাদের সভা দেশ খাদের কিনারায়, সুষ্ঠু নির্বাচন প্রয়োজন: আমীর খসরু

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:২৫ পিএম
দেশ খাদের কিনারায়, সুষ্ঠু নির্বাচন প্রয়োজন: আমীর খসরু
ছবি: সংগৃহীত

দেশ আজ খাদের কিনারায়, সুতরাং জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হলে সুষ্ঠু নির্বাচন প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত না থাকায় দেশের এই সংকট। সংস্কার হলো একটা চলমান প্রক্রিয়া। আপনারা বিশেষ কিছু সংস্কার করতে চাইলে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আসুন। শুধু ৫/১০ জন বসে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করা যায় না। সেটা গ্রহণযোগ্য হবে না। অতএব জনগণের কাছে যেতে হবে। জনগণের কাছে জবাবদিহিতা থাকতে হবে। 

বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতাদের উদ্যোগে ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্রায়ন ও উন্নয়নে বহির্বিশ্ব বিএনপির ভুমিকা’ শীর্ষক আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দেশ ও প্রবাসীদের কল্যাণে ভবিষ্যতে নজর দেওয়া হবে মন্তব্য করে আমীর খসরু বলেন, সরকারকে সহযোগিতা করছি যাতে দেশ যত দ্রুত সম্ভব একটি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। এর বিকল্প নেই। এর বাইরে অন্য কোনো রাজনৈতিক প্রক্রিয়া করতে গেলে মানুষের মনে সন্দেহ ও ভিন্ন ধারণা তৈরি হবে। সেটা হবে অগণতান্ত্রিক। আমরা শেখ হাসিনার পতনের আগেই ৩১ দফা এবং ৭ বছর আগে ‘ভিশন-২০৩০’ ঘোষণা করেছি। যা বাস্তবায়নে আমরা জাতির কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

তিনি বলেন, আন্দোলনের সফলতা দেশের ১৮ কোটি মানুষের সফলতা। যার যার অবস্থান থেকে সবার অবদান আছে। প্রবাসীদের ত্যাগ-অবদান রয়েছে। অনেকেই বলেছেন- প্রবাসীরা নিরাপদ জোনে থেকে আন্দোলন করেছে। কিন্তু তাদের পরিবার ও স্বজনরা বাংলাদেশে কীভাবে নিগৃহীত হয়েছেন আমরা জানি। বাংলাদেশের মতো এতো সহজে প্রবাসে আন্দোলন করা যায় না। স্টেট ডিপার্টমেন্টের সামনে বা বিশ্ব ব্যাংকের সামনে জমায়েত করা এতো সহজ না। তারপরও বিএনপির হাজার হাজার লোক রাজপথে আন্দোলন করেছেন। আমরা তাদের অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানাই। দেশ ও প্রবাসীদের কল্যাণে যা করা দরকার সেদিকে আমরা নজর রাখবো ইনশাআল্লাহ।

তিনি বলেন, প্রবাসীরা কিন্তু বাংলাদেশে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে এবং রেমিট্যান্স বন্ধ করে যুদ্ধ করেছে। তারা দেশ ও জাতির প্রতি কমিটমেন্ট রেখেছে। তার ফলাফল কিন্তু জাতি পেয়েছে। 

শেখ হাসিনার পতনের পেছনে প্রবাসীদের অবদান নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি রেকর্ড করার পরামর্শ দেন আমীর খসরু।

তিনি বলেন, অনেকেই আন্দোলনে অনেক পরে যোগ দিয়েছেন। তারা আমেরিকায় হোয়াইট হাউসের সামনে, ব্রাসেলস, জাপান, লন্ডন এবং অস্ট্রেলিয়ার আন্দোলন দেখেনি। এই আন্দোলনের পেছনে ড্রাইভ দিয়েছেন তারেক রহমান। খালেদা জিয়া ড্রাইভ দিয়েছেন। তিনি নিজে জেল খেটেছেন। পুরো আন্দোলন ড্রাইভ করেছে বিএনপি। এটা রেকর্ড থাকা দরকার। আন্দোলন কিন্তু শেষ হয়নি। আপানাদেরকে মূল্যায়ন করা হবে। 

যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল লতিফ সম্রাটের সভাপতিত্বে ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি গিয়াস আহমেদের পরিচালনায় বক্তব্য দেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজ, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুল লতিফ জনি, মহিউদ্দিন আহমেদ ঝিন্টু, ফ্লোরিডা বিএনপির সভাপতি ও মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক সম্পাদক ইমরানুল হক চাকলাদার, নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির সভাপতি অলিউল্লাহ আতিকুর রহমান, বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান সাইদ, যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান বাবু, কাউন্সিলর সুরাইয়া, অস্ট্রেলিয়া স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মুসলেহ উদ্দিন হাওলাদার আরিফ, কানাডা মহিলা দলের নাজমা হক, কানাডা নর্থ বিএনপির সভাপতি তৌফিক এজাজ প্রমুখ।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি হাসান হাফিজ বলেন, প্রবাসীরা আমাদের চেয়েও দেশপ্রেমিক। আমরা সরকারের কাছে নতুন কিছু দেখতে চাই। কিন্তু সরকার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। লড়াই কিন্তু শেষ হয়নি। অতিদ্রুত নির্বাচন দিতে হবে। সংস্কার হলো চলমান প্রক্রিয়া। সেটি চলতে থাকবে। নির্বাচন না হলে পরাজিত ফ্যাসিবাদ শক্তি সঞ্চয় করবে। সরকারের মন্ত্রীসভায় প্রবাসীদের প্রতিনিধিত্ব রাখতে হবে। দক্ষ লোকদেরকে জায়গা করে দিতে হবে। তাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে দেশ গঠন করা সম্ভব। সামনে আরও প্রবাসী বাড়বে।

গিয়াস আহমেদ বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামো ধ্বংস করেছে আওয়ামী লীগ। তারা স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি। অন্যদিকে বিএনপি হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি। বিগত দিনে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের দাবিতে সারাবিশ্বে ২ কোটি প্রবাসী একসঙ্গে আন্দোলন করেছে। সেজন্য প্রবাসেও আমাদেরকে নানাভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। তবে আমাদের আন্দোলন কিন্তু থেমে যায়নি। আমরা সিনেটর, স্টেট ডিপার্টমেন্ট, কনস্যুলেটে স্মারকলিপি ও চিঠি দিয়েছি।

তিনি বলেন, আমাদের আন্দোলনের পেছনের অক্সিজেন ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। যিনি বিএনপি এবং সারাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে ঐক্য গড়ে তুলেছিলেন। সংস্কার তো মুখে বললে হবে না। কারণ যারা সংস্কারের কথা বলে তারা তো দুর্নীতি অনিয়মের মধ্যেই বড় হয়। সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সংস্কার করতে হলে প্রবাসীদের অংশগ্রহণ দরকার। সর্বোপরি বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়ন করা গেলে পরিবর্তন সম্ভব। 

আবদুল লতিফ জনি বলেন, গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। দীর্ঘ এই সময়ে প্রবাসে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরাও জীবনবাজি রেখেছেন। তারা কেউ নিজেরা কারও পরিবারের সদস্য দুর্ভোগে পড়েছেন। জেল খেটেছেন, ব্যাবসায়ী হিসেবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এখনও আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসলে সকলের পরিশ্রম সার্থক ও সফল হবে। এসময় খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া কামনা করেন জনি।

সভাপতির বক্তব্যে আব্দুল লতিফ সম্রাট বলেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে কোনো আপোস নেই। তাদের তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত সকলকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে। জুলাই আন্দোলন কারও একার পক্ষে হয়নি। এটা সবার সম্মিলিত চেষ্টার ফসল। 

তিনি বলেন, পুরো বিশ্বে প্রায় দুই কোটি প্রবাসী রয়েছেন। যা মোট জনসংখ্যার দশ শতাংশ। আমরা মন্ত্রীসভায় সেই দশ শতাংশের প্রতিনিধিত্ব চাই। পাশাপাশি শুধু বিমানবন্দরে প্রবাসী লাউঞ্জ না করে সারা দেশে উপজেলায় একটি স্থায়ী ব্যবস্থা রাখতে হবে যাতে হয়রানি না করে।

শফিকুল ইসলাম/এমএ/

যুক্তরাষ্ট্রে জিয়ার জন্মবার্ষিকী উদযাপন জনগণ নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় : রিপন

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৪০ পিএম
জনগণ নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় : রিপন
ছবি : খবরের কাগজ

জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করে দেশ পরিচালনার জন্য নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন পার্টি সেন্টারে যুক্তরাষ্ট্রে বিএনপির উদ্যোগে, স্বাধীনতার ঘোষক ও শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন এক দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা ভাচ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। 

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডা. মুজিবুর রহমান মজুমদার।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, পৃথিবীর সব দেশে গণআন্দোলনের শেষে জনগণের ভোটাধিকার সরকার প্রতিষ্ঠা লাভ করে। তারই ফলস্বরূপ বাংলাদেশের অবিলম্বে যৌক্তিক সংস্কার শেষে দ্রুততম সময়ে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। 

ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান গণতন্ত্রে বিশ্বাস করতেন। তাই তিনি বাংলাদেশকে একটি বহু দলীয় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিশ্বের মানচিত্রে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। রাষ্ট্রবিনির্মাণে জিয়াউর রহমান সততা মেধা এবং দক্ষতাকে প্রাধান্য দিয়েছিলেন। তার ১৯ দফা ছিল বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের চাবিকাঠি।
 
স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা এবং ১৯৯১ সালের জনগণের ভোটে প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়ে জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের নিরলস ভাবে কাজ করে গেছেন খালেদা জিয়া। স্বৈরাচারিনী শেখ হাসিনা সাজানো মামলায়, কারাগারে পাঠালেও তিনি কোনো আপোষ করেনি।'
 
রিপন বলেন, 'বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানক আগামী দিনের বাংলাদেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক। বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে ফিরিয়ে আনার জন্য দীর্ঘ ১৫ বছর আন্দোলন সংগ্রাম নেতৃত্ব দিয়েছেন। তারই ফলশ্রুতিতে আজকের বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে।' 

সভাপতির বক্তব্য ডা. মুজিবুর রহমান মজুমদার বলেন, 'মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশে যারা সরকার গঠনের দায়িত্ব পেয়েছিলেন, তারা বাংলাদেশকে গণতন্ত্রবিহীন এবং জনদুর্ভোগের রাষ্ট্রে পরিণত করেছিলেন। সেই সময়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থাকার জন্য বাকশাল কায়েম করেছিল। ৭৫ এর রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের মাধ্যমে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তিনি সততা, মেধা এবং দক্ষতার মাধ্যমে আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠা করেছিল। পরবর্তীতে দেশী এবং বিদেশি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তাকে হত্যা করে বাংলাদেশের উন্নয়নের গতিকে স্তম্ভ করে দেওয়া হয়েছিল।' 

তিনি বলেন, 'গত ১৫ বছর শেখ হাসিনার কর্তৃক গণতন্ত্র হত্যা, বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করাসহ প্রশাসনকে দলীয়করণ করে ব্যাপক দুর্নীতির মাধ্যমে জনগণকে অতিষ্ঠ করে তুলেছিল। অবশেষে ছাত্র জনতার আন্দোলনের ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। এ সময় অন্তর্বর্তী সরকাকে যৌক্তিক সময়ের মাধ্যমে সংস্কার সম্পন্ন করে দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করার আহ্বান জানান।'

সভার শুরুতেই পবিত্র কুরাআন তিলাওয়াত ও মোনাজাত পরিচালনা করেন  যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতা মাওলানা ওমর ফারুক। মোনাজাতে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও আরাফাত রহমান কোকো আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয় এবং বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক সুস্থতা এবং জুলাই ২৪ এর শহিদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়। 

এ সময় সভায় উপস্তিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মোশারফ হোসেন সবুজ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক (যুগ্ন সম্পাদকের পদমর্যাদা) সাবেক ছাত্রনেতা মাকসুদুল হক চৌধুরীর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতা ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ফোরাম যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন, ছাত্রনেতা জুনায়েদ আল জাফর। আলোচনায় আরও অংশগ্রহণ করেন আবু সুফিয়ান, শাহ আলম, নাছিম আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন, কাজী জামান, মোহাম্মদ বাচ্চু মিয়া, মৃধা মোহাম্মদ জসীম, নুরে আলম, হাবিবুর রহমান হাবিব, মাযহারুল ইসলাম মিরন, আবুল কালাম, আজিজুল বারি তিতাস, প্রফেসর আহসান উল্লাহ মিন্টু, ব্যারিস্টার জিন্নুর রাইন চৌধুরী, সেলিনা আক্তার প্রমুখ।

আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট শহীদুল্লাহ তালুকদার, যুবদল নেতা ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মোহাম্মদ কাশেম, মো. মাসুদ হোসেন, আশরাফুজ্জামান আশরাফ, রাশেদ রহমান, ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন, হুমায়ুন কবির, জসিম উদ্দিন ফিরোজ আলম, সাইফুল ইসলাম সৈকত ভূঁইয়া, আমিনুল ইসলাম, বাবর, আক্তার হোসেন, ডা: রফিকুল ইসলাম, রুহুল আমিন, শাহীন আলম, আব্দুস সোবাহান প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/জোবাইদা/