ঢাকা ১৪ চৈত্র ১৪৩১, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫
English
শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫, ১৪ চৈত্র ১৪৩১

বুদ্ধিজীবী দিবসে বাম গণতান্ত্রিক জোটের পদযাত্রা

প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৩ পিএম
আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০২ পিএম
বুদ্ধিজীবী দিবসে বাম গণতান্ত্রিক জোটের পদযাত্রা

আগামী ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী দিবসে শহিদ বুদ্ধিজীবী হত্যার বিচার, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষায় বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে রায়েরবাজার বধ্যভূমি থেকে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার পর্যন্ত পদযাত্রা করবে বাম গণতান্ত্রিক জোট।

বাম গণতান্ত্রিক জোটের সভায় রবিবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় বাসদ (মার্কসবাদী) কার্যালয়ে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। 

বামজোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মাসুদ রানার সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবীর জাহিদ, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য অধ্যাপক আবদুস সাত্তার, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সদস্য শহীদুল ইসলাম সবুজ ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী, সদস্য রুবেল শিকদার।

সভায় নেতরা বলেন, গত চার মাসে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি অসহনীয় পর্যায়ে এসে ঠেকেছে। মূল্যস্ফীতি ৪% বেড়েছে। আওয়ামী লীগ আমলের মতোই শুল্ক হ্রাস করেও পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ঠেকানো যাচ্ছে না। অর্থাৎ মুনাফাখোর ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট আগের মতোই শক্তিশালী। নিত্যপণ্যের মূল্য কমানোর বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে বাকি সব কাজ করতে হবে। এই অভ্যুত্থানে অসংখ্য শ্রমজীবী মানুষ অংশগ্রহণ করেছেন, প্রাণ দিয়েছেন, পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। আওয়ামী লীগ শাসনে তাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গিয়েছিল। সেই শ্রমজীবী-মেহনতি মানুষদের বেঁচে থাকার অধিকার নিশ্চিত করা অভ্যুত্থানের প্রথম কর্তব্য হওয়া উচিত। বাজার ব্যবস্থার সংস্কার করে দরিদ্র-নিম্নবিত্ত জনসাধারণের জন্য দ্রুত রেশনের ব্যবস্থা চালু করা দরকার।

সভায় নেতারা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির অজুহাতে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় দিবসে আলোচনা অনুষ্ঠান, স্মৃতিচারণ, মেলা ও কুচকাওয়াজ না করা ও কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করার যে সিদ্ধান্ত মন্ত্রণালয় নিয়েছে তা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানান।

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা ও সাম্প্রদায়িক উস্কানি রুখে দাঁড়ানোর জন্য দুই দেশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানান নেতারা। পাশাপাশি দুই দেশের মিডিয়ার মিথ্যা প্রচারণার বিরুদ্ধে উভয় দেশের সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

নেতারা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ৪ মাস পেরিয়ে গেলেও সংস্কার ও নির্বাচনের কোনো সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয় নি। বরং নতুন নির্বাচন কমিশনের প্রথম সভার পর ভোটার হালনাগাদ করার জন্য যে সময়ের পরিকল্পনা হাজির করেছে তাতে নির্বাচন করার সময় অনেকখানি পিছিয়ে যাওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। রাজনৈতিক ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে যতটুকু নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারসহ অন্যান্য সংস্কার সম্ভব তা সম্পন্ন করে দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে।

কর্মসূচি

আগামী ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী দিবসে শহিদ বুদ্ধিজীবী হত্যার বিচার, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ২৪ এর গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষায় বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে রায়েরবাজার বধ্যভূমি থেকে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার পর্যন্ত পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। সারাদেশে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে অনুরূপ কর্মসূচি গ্রহণের জন্যও আহ্বান জানানো হচ্ছে।

মাহফুজ/এমএ/

তারেক রহমানের উন্নয়ন পলিসি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পাইলট প্রকল্প

প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৫, ১০:৫৮ পিএম
তারেক রহমানের উন্নয়ন পলিসি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পাইলট প্রকল্প
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অর্থনৈতিক উন্নয়ন পলিসি নিয়ে ‘গ্রিন গ্রোথ’ নামের একটি পাইলট প্রকল্প চালু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সি সরকার। ‘একটি উদ্যোগ, একটু চেষ্টা, এনে দিবে স্বচ্ছলতা’ জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের (জেডআরএফ) বহুল আলোচিত এই স্লোগানটিকে প্রকল্পটির মূল স্লোগান হিসেবে রাখা হয়েছে। প্রকল্পের গাড়ি, ব্রুশিয়ার, সদস্য ফর্মসহ সব ক্ষেত্রে স্লোগানটি ব্যবহার করা হয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিউজার্সি ইকোনমিক ডিভেলপমেন্ট অথরিটির (এনজেইডিএ) অর্থায়নে এবং বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন অফ সাউথ জার্সির (বিএএসজে) তত্ত্বাবধায়নে নিউজার্সির আটলান্টিক সিটিতে দুই বছরের জন্য পাইলট প্রকল্পটি পরিচালিত হবে।

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সাউথ জার্সির বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকল্প কার্যক্রম তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএএসজে প্রেসিডেন্ট জহিরুল ইসলাম বাবুল, গ্রিন গ্রোথ এর প্রজেক্ট রাইটার ও প্রজেক্ট ইনিশিয়েটর (পিআই) আশিক ইসলাম, বিএএসজে এর সেক্রেটারি জাকিরুল ইসলাম, ট্রাস্টি চেয়ারম্যান মো. রফিক। দর্শক সারিতে উপস্থিত ছিলেন সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। সিটি মেয়রসহ উপস্থিত সাংবাদিকদের বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশনের নিয়মিত ফুড বিতরণ কার্যক্রম দেখানো হয়।

প্রকল্পের কার্যক্রম তুলে ধরে জহিরুল ইসলাম বাবুল বলেন, পিছিয়ে পড়া নারীর অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও আটলান্টিক সিটির খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য। প্রথম বছরে ৩০ জন নারীকে প্রজেক্টের আওতায় বরাদ্দ দেওয়া হবে। যারা তাদের বাড়ির আঙিনা, খোলা জায়গা, বারান্দার টব, বাড়ির পেছনে সুবিধা অনুযায়ী জায়গা বেছে নিয়ে সবজি উৎপাদন করবে। পরবর্তী সময়ে নিজ পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে সিংহভাগ সবজি গ্রিন গ্রোথের মাধ্যমে বাজারে বিক্রি করা হবে। ফসল উৎপাদনে বিনামূল্যে সার্বিক সহযোগিতা ও সব প্রকার সরঞ্জামাদি সরবরাহ এবং বিপননের দায়িত্ব পালন করবে গ্রিন গ্রোথ। উৎপাদকের বাসা থেকে প্রকল্পের গাড়ি ফসল সংগ্রহ করবে। ফসলের বিক্রয়মুল্যের ৬৫% ভাগ পাবে উৎপাদক এবং ৩৫% ভাগ পাবে গ্রিন গ্রোথ। প্রতি বছর সেরা ৩ জন উৎপাদনকারীর জন্য থাকবে বিশেষ আর্থিক পুরস্কার।

ছবি: সংগৃহীত

তিনি বলেন, আমাদের জানামতে, আমেরিকার অনেক স্টেটেই বাংলাদেশিদের সংগঠন রয়েছে, এর মধ্যে বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশনই প্রথম যারা এমন একটি কাজের সঙ্গে নিজেদেরকে যুক্ত করতে পেরেছে। যা এ্যাসোসিয়েশনের সদস্যসহ বাংলাদেশিদের জন্য অত্যান্ত গৌরবের। আমি বিশ্বাস করি, আমরা যদি সুচারুভাবে আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারি তবে পরবর্তি ধাপে আমরা এগিয়ে যেতে পারব। 
 
গ্রিন গ্রোথ প্রকল্পের নেপথ্যের ইতিহাস তুলে ধরে আশিক ইসলাম বলেন, গোটা বিশ্বে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে, বাড়ছে খাদ্য মুল্য। দিশেহারা নিম্ন আয়ের মানুষ। যুক্তরাষ্ট্রও এর বাইরে নয়। সরকার নানা উদ্যোগের পাশাপাশি তিন ধাপে খাদ্য নিরাপত্তার জন্য  ৪,১৩ এবং ৩০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। নিউজার্সির ২১টি কাউন্টির (অনেকটা বাংলাদেশের জেলার মত) মধ্যে প্রাথমিকভাবে আটলান্টিক কাউন্টির আটলান্টিক সিটিকে বেছে নেওয়া হয়েছে পাইলট প্রকল্পের জন্য। আটলান্টিক সিটি মূলত ক্যাসিনো এবং পর্যটন নির্ভর শহর বিধায় এ অঞ্চলে প্রফেশনাল মানুষের সংখ্যা কম। ৪২ হাজার জনগোষ্ঠীর এই শরের ৩৯% ডাইভার্স কমিউনিটির মানুষ। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশনসহ মোট ৫২টি নন-প্রোফিট প্রতিষ্ঠান তাদের প্রোজেক্ট সরকারের কাছে জমা দেয়। দীর্ঘ প্রক্রিয়ার পর বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ জার্সির প্রকল্পটির অনুমোদন পায়।

২০০৩ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে ‘একটি উদ্যোগ, একটু চেষ্টা, এনে দিবে স্বচ্ছলতা’ স্লোগানের কর্মসূচিতে সারা দেশে কাজ করার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে আশিক ইসলাম বলেন, গ্রিন গ্রোথ প্রজেক্টের মাধ্যমে বাজারে খাদ্য সরবরাহ বাড়বে, ফলে মুল্য হ্রাস পাবে। এ্যাসোসিয়েশনের যে সকল সদস্য এ কার্যক্রমে যুক্ত থাকবেন তারাসহ উৎপাদনকারী সকলেই বাড়তি আয়ের সুযোগ পাবেন। তাই মার্কিন সরকারের কাছে এটি একটি ইউনিক প্রোজেক্ট হিসাবে বিবেচিত হয়েছে। ইতোমধ্যেই সরকারের ৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল গত ১৩ মার্চ বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন ও এর কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন। গ্রিন গ্রোথ কার্যক্রমের অগ্রগতিতে ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তারা।  

অনুষ্ঠানের শুরুতেই, আটলান্টিক সিটি মেয়র মার্টি স্মল সিনিয়র, ফিতা কেটে গ্রিন গ্রোথ প্রকল্পের গাড়ির উদ্ভোধন করেন। প্রকল্প প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি একটি ভিন্নধর্মী প্রকল্প। যা সমাজের তৃণমূল মানুষের কথা চিন্তা করে ডিজাইন করা হলেও সর্বস্তরের মানুষ এর মাধ্যমে উপকৃত হবেন। তিনি গ্রিন গ্রোথের সাফল্য কামনা করেন

উল্লেখ্য, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সরাসরি তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশের তৃণমূল মানুষকে স্বনির্ভর করার উদ্দেশ্যে ২০০৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হয় দেশব্যাপী দারিদ্র বিমোচন ও নারী উন্নয়ন কর্মসূচি। একটি উদ্যোগ, একটু চেষ্টা, এনে দিবে স্বচ্ছলতা, শ্লোগানের এ কর্মসূচির আওতায় গ্রামে গ্রামে হাঁস মুরগী, গরু-ছাগল, মাছের পোনা বিতরণ, বাড়ির আঙিনায় সবজি উৎপাদন, বিনামূল্যে সার, বীজ ও কৃষি উপকরন বিতরণ করা হয়। দেশ ব্যাপী প্রায় ৩ হাজার ৯৮২টি পরিবারকে সবচ্ছলতার আওতায় আনা হয়। এর মধ্যে রাজশাহীতে ৬১৩টি পরিবার, বরিশালে ৮৬৮, কক্সবাজারে ৭২০, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৭০২, ঝিনাইদহে ৪৯৮, জামালপুরে ২৩৮, নোয়াখালি ২১৪, শেরপুরে ১২৯টি পরিবার।

শফিকুল ইসলাম/মাহফুজ

শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা বকেয়া রাখার ছলচাতুরি বন্ধ করতে হবে: টাফ

প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৫, ০৯:২০ পিএম
আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৫, ০৯:২২ পিএম
শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা বকেয়া রাখার ছলচাতুরি বন্ধ করতে হবে: টাফ
বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন(টাফ) -এর সভাপতি ফয়জুল হাকিম। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন(টাফ) -এর সভাপতি ফয়জুল হাকিম ও সাধারণ সম্পাদক আমীর আব্বাস এক বিবৃতিতে অবিলম্বে অ্যাপারেল প্লাস ইকো লিমিটেড এবং টিএনজেড অ্যাপারেলস লিমিটেডের শ্রমিকদের ন্যায্য দাবিগুলি পূরণ করার জোর দাবি জানিয়ে বলেছেন, শ্রমিকদের মজুরিসহ ন্যায্য পাওনা বকেয়া রাখার ছলচাতুরি বন্ধ করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন (টাফ) এক যৌথ বিবৃতিতে এ তথ্য জানান।

বিবৃতিতে নেতারা বলেন, কোভিড১৯ এর পর থেকে একশ্রণির বর্বর মালিকরা পতিত ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের ছত্রছায়ায় এমন এক লুণ্ঠনের সংস্কৃতি চালু রেখে এসেছে যে এরা যেমন শ্রমিকদের মজুরি বকেয়া রাখছে, তেমনি ব্যাংক ঋণের টাকা, বিদ্যুৎ গ্যাস বিলের টাকা বকেয়া রেখে এসেছে। কোভিড ১৯ এর সময় প্রণোদনা প্যাকেজ বাবদ সরকার ১ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা ফ্যাক্টরি মালিকদের প্রদান করেছিল, এই প্রণোদনার অর্থ শ্রমিকরা পায়নি। এই প্রণোদনার অর্থ কোথায় কীভাবে ব্যয় হলো, এই অর্থের হিসাব অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নিতে হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, উল্লেখিত দুটো ফ্যাক্টরিতে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি ২০২৫ মাসের বকেয়া মজুরি, খোরাকি ভাতা, ছুটির টাকা এবং চলতি মাসের মজুরিসহ ঈদ বোনাস দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের শ্রম মন্ত্রণালাকেই দ্রুত পালন করতে হবে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রতিবছর ঈদ উৎসবের পূর্বে শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি, খোরাকি ভাতা, ছুটির টাকা, ঈদ বোনাস প্রভৃতির জন্য রাস্তায় নামতে হয়। একশ্রেণির বর্বর লুটেরা মালিকরা শ্রমিকদেরকে রাস্তায় নামতে বাধ্য করে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর আশা করা গিয়েছিল এই ক্ষেত্রে পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটবে। বাস্তবতা এই যে, এসব মালিকদের কাছ থেকে বকেয়া মজুরি আদায়ে শ্রমিকদের আন্দোলনে মাঠে নামতে হচ্ছে, দিনের পর দিন শ্রম ভবনের বারান্দায়, রাস্তায় দিন রাত কাটাতে হচ্ছে! দু:খজনক  এই যে, ইতোমধ্যে একজন শ্রমিক স্ট্রোক  করে মৃত্যুবরণ করেছেন। এরকম অমানবিক ঘটনার পরেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হুশ আসছে না!

কারখানাগুলোতে বাধ্যতামূলকভাবে প্রত্যেক শ্রমিককে নিয়োগপত্র প্রদান করা, প্রত্যেক সপ্তাহ শেষে শ্রমিকদের পাওনা মজুরি প্রদান করা, সরকারি ক্ষেত্রের, মতো ফ্যাক্টরিতে সপ্তাহে দুই দিন ছুটি কার্যকর করা, প্রত্যেক ফ্যাক্টরিতে অবাধে ট্রেড ইউনিয়ন করার স্বাধীনতা প্রদান করা, বেতন ও সন্তান জন্মকালীন ব্যয়সহ মাতৃত্বকালীন ছুটি ৬ মাস কার্যকর করা, বাজার দরের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে মজুরি নির্ধারণ করা, সারা দেশে পূর্ণ রেশনিং চালু করা, বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করা, স্বাস্থ্যসম্মত বাসস্থানের ব্যবস্থা করা প্রভৃতি দাবিতে সংগঠিত হওয়ার আহ্বান জানানো হয় বিবৃতিতে।

জনগণের সরকারের মাধ্যমেই দেশকে ঢেলে সাজানো সম্ভব: আমিনুল হক

প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৫, ০৮:৫৪ পিএম
জনগণের সরকারের মাধ্যমেই দেশকে ঢেলে সাজানো সম্ভব: আমিনুল হক
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে আর সেই নির্বাচনের মাধ্যমেই দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারই পারবে বাংলাদেশের পরিপূর্ণ সংস্কার করতে। 

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) দিনব্যাপী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে পল্লবী রুপনগর, বাড্ডা ও ভাটারায় বিএনপির উদ্যোগে ঈদ উপহার সামগ্রী ও ইফতার বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

এসময় তিনি বলেন, একমাত্র অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা যাবে। জনগণের সরকারই পারবে বাংলাদেশের পরিপূর্ণভাবে সংস্কার করতে। বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী একটি শান্তিপূর্ণ সমৃদ্ধশালী এবং একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে। জনগণের সরকারের মাধ্যমেই দেশকে নতুনভাবে ঢেলে সাজানো সম্ভব হবে।

আমিনুল হক বলেন, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে এদেশের মানুষ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, জনগণের ভোটের অধিকার মানুষের দাবি পূরণ ও মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করার জন্য রক্ত দিয়েছে জীবন দিয়েছে। সেই রক্ত কখনোই বৃথা যাবে না। 

এসময় তিনি উপস্থিত সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ষড়যন্ত্র কিন্তু চলমান রয়েছে। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি তাহলে বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে কোনো স্বৈরাচার বা স্বৈরাচারের দোসররা কোনো ষড়যন্ত্র করতে পারবে না । 

এসময় তিনি আরও বলেন, বিএনপি এদেশের সাধারণ মানুষের দল। এদেশের সাধারণ মানুষকে নিয়েই বিএনপির পথচলা এবং আগামীতে একটি সুন্দর মানবিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়েই বিএনপি কাজ করে চলেছে। 

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সম্পাদক ড. এম এ কাইয়ুম, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক আতাউর রহমান প্রমুখ।

মাহফুজ/

ঢাকাসহ ৪ শহরে ‘স্বাধীনতা কনসার্ট’

প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৫, ০৮:৪২ পিএম
ঢাকাসহ ৪ শহরে ‘স্বাধীনতা কনসার্ট’
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। ছবি: সংগৃহীত

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের চারটি শহরে আগামী ১১ এপ্রিল ‘স্বাধীনতা কনসার্ট’ হবে।

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) রাজধানীর গুলশানে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ ফাউন্ডেশনের ব্যানারে ঢাকা ও চট্টগ্রাম, খুলনা ও বগুড়া শহরে একযোগে এই কনসার্ট হবে। ১১ এপ্রিল বেলা ৩টা থেকে কনসার্ট শুরু হয়ে চলবে রাত ১১টা পর্যন্ত।

ঢাকার কনসার্টটি হবে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনের মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে। কনসার্টে অংশ নেবেন জেমস, নীলা, পড়শী, জেফার, অনিমেষ রায়, মাহাথিম সাকিব, আলেয়া বেগম, মিফতা জামানসহ জনপ্রিয় শিল্পীরা। এ ছাড়া কনসার্টে থাকছে ফিডব্যাক, শিরোনামহীন, অ্যাফিক ব্যান্ড।

চট্টগ্রামের কনসার্টটি হবে নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে। কনসার্টে অংশ নেবে মাইলস, নাটাই, সাবকন্সিয়াস, বে অব বেঙ্গল ব্যান্ড। এ ছাড়া কনসার্টে অংশ নেবেন ইমরান, কোনাল, শুভ্র, মৌসুমী ও মিথুন বাবু।

বগুড়ায় এখন পর্যন্ত দুটি ভেন্যুতে কনসার্ট আয়োজনের কথা চলছে। এর মধ্যে একটি আলতাফুন্নেসা খেলার মাঠ, অন্যটি সরকারি আজিজুল হক কলেজ খেলার মাঠ। বগুড়ার কনসার্টে অংশ নেবে আর্টসেল, অ্যাভয়েড রাফা, ভাইকিংস, বাগধারা ব্যান্ড। এ ছাড়া কনসার্টে আরও অংশ নেবেন কনকচাঁপা, অমিয়া ও লুইপা।

খুলনার কনসার্টে অংশ নেবে ওয়ারফেজ, সোনার বাংলা, রাইফেলস, কুঁড়েঘর ৫, ভাগ্যক্ষণ। আরও থাকছেন তাহসান, জয় শাহরিয়ার, লিজা ও পলাশ।

সংবাদ সম্মেলনে শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, তারা বাংলাদেশের গান, বাংলাদেশের কৃষ্টি ও নিজস্ব সংস্কৃতি ধরে রাখার তাগিদে এই আয়োজন করছেন। নতুন প্রজন্মের কাছে বাংলাদেশের নিজস্ব সংস্কৃতি তুলে ধরতে চান। বাংলাদেশের সংস্কৃতির ওপর যে একটি আগ্রাসন, তা তারা বারবার মোকাবিলা করছেন।

শহীদ উদ্দীন চৌধুরী আরও জানান, কোনোভাবেই যেন বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে ভারতীয় ও পাকিস্তানি গান প্রাধান্য না পায়, সেদিকে তারা বিশেষভাবে নজর দেবেন। এ আয়োজনে তারা বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে উৎসাহিত করার জন্য স্থানীয় লোকগান, সংস্কৃতি ও কৃষ্টিগুলো তুলে ধরবেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সবার আগে বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, ফাউন্ডেশনের কোষাধ্যক্ষ সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সদস্য আতিকুর রহমান রুমন, এস এম জিলানী, মোনায়েম মুন্না, এহসান মাহমুদ ও রাকিবুল ইসলাম রাকিব। 

 

বিএনপিতে সংস্কারপন্থিদের স্থান নেই : আজহারুল মান্নান

প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৫, ০৭:৩৯ পিএম
আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৫, ০৭:৪০ পিএম
বিএনপিতে সংস্কারপন্থিদের স্থান নেই : আজহারুল মান্নান
বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিলে বক্তব্য রাখছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান। ছবি: খবরের কাগজ

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান বলেছেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের জনগণ শান্তিতে থাকবে। আমাদের নেতার নির্দেশ আছে বিএনপিতে কোনো তাঁবেদার ও সংস্কারপন্থিদের স্থান হবে না। ত্যাগীদের মূল্যায়ন করতে আমাদের তৃণমূল বিএনপি বদ্ধপরিকর।’

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বিকেলে উপজেলা অডিটোরিয়ামে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মান্নান বলেন, ‘একদল কুচক্রী দলের নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বলে বেড়াচ্ছে বিএনপি চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত। এসব কেউ প্রমাণ করতে পারলে তারেক রহমানের নির্দেশে অভিযুক্তকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।’

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য ও সোনারগাঁ পৌরসভা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান মিয়ার সভাপতিত্বে পৌর বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মোতালেব মিয়ার সঞ্চালনায় এই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, সদস্য সেলিম হক রুমি,নারায়ণগঞ্জ জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক রুমা আক্তার,উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী নজরুল ইসলাম টিটু, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান, প্রচার সম্পাদক সেলিম আহমেদ দিপু,পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সাদিকুর রহমান সেন্টু, জেলা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি মিঠু আহমেদ,উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাউসার আহমেদ, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহিমসহ প্রমুখ।

আলোচনা সভা শেষে তৃণমূল নেতৃবৃন্দদের নিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। 

ইমরান/নাইমুর/