ঢাকা ৩ ফাল্গুন ১৪৩১, রোববার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
রোববার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৩ ফাল্গুন ১৪৩১

বাংলাদেশের সম্প্রীতি নষ্ট করতে ভারতের গণমাধ্যম অপপ্রচার চালাচ্ছে: আমিনুল হক

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০৫ পিএম
আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩১ পিএম
বাংলাদেশের সম্প্রীতি নষ্ট করতে ভারতের গণমাধ্যম অপপ্রচার চালাচ্ছে: আমিনুল হক
রাজধানীর পল্লবীতে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক হক। ছবি: খবরের কাগজ

বাংলাদেশের সম্প্রীতি নষ্ট করতে ভারতের গণমাধ্যম মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক। তিনি বলেন, ভারতীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশকে নিয়ে মিথ্যা ও অপপ্রচার ছড়াচ্ছে, আসলে তাদের উদ্দেশ্য বাংলাদেশের সম্প্রীতি নষ্ট করা। এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সবাইকে সর্তক ও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বিকালে রাজধানীর পল্লবীতে বড় মসজিদের সামনের সড়কে পল্লবী থানা বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে ‘সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, চাঁদাবাজি, মাদক ও পতিত স্বৈরাচারের দেশবিরোধী সব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে’ এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

আমরা একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ উল্লেখ করে আমিনুল হক বলেন, আমাদের এই দেশে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, মুসলমান ভাই-বোনেরা সবাই বাংলাদেশি হিসেবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করব। আমরা একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ব। 

তিনি বলেন, গত ১৭ বছর ধরে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সময়ে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপরে যত মামলা হামলা হয়েছে, সেটা আওয়ামী লীগই করেছিল। বিএনপি কখনোই জড়িত ছিল না। এটা ইতিমধ্যে প্রমানিত হয়েছে। 

সাধারন জনগণ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় মাদককে নির্মূল করা হবে মন্তব্য করে আমিনুল হক বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা হলো বিএনপিতে সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, চাঁদাবাজ ও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখাতে হবে। আমাদের ভবিষ্যৎ ও বর্তমান প্রজন্মকে যদি একটি সুন্দর সমাজ ও একটি সুন্দর বাংলাদেশ উপহার দিতে চাই, তাহলে অবশ্যই মাদককে নির্মূল করতে হবে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের জনপ্রিয়তা বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পড়েছে।

পল্লবী থানা বিএনপি ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক কামাল হুসাইন খানের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম আহ্বায়ক আনিসুর রহমান ও মোকসেদুর রহমান আবিরের সঞ্চালনা সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এবিএমএ রাজ্জাক, গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, মাহাবুবুল আলম মন্টু, মহানগর বিএনপি সদস্য সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/মাহফুজ/এমএ/

১০ বছর পর দেশে ফিরলেন বিএনপি নেতা টিপু

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৩৮ পিএম
আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৩৯ পিএম
১০ বছর পর দেশে ফিরলেন বিএনপি নেতা টিপু
বিএনপির নেতা-কর্মী ও দলীয় সমর্থকরা গাড়িবহর নিয়ে আনোয়ার হোসের টিপুকে বরণ করে। ছবি: সংগৃহীত

হামলা-মামলা ও নিরাপত্তাহীনতার দীর্ঘ এক যুগ পর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারমুক্ত দেশে ফিরছেন ঢাকা কলেজে ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন টিপু।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার পর বিএনপির নেতা-কর্মী ও দলীয় সমর্থকরা গাড়িবহর নিয়ে তাকে বরণ করেন। এসময় বিমানবন্দর টার্মিনালে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান দলটির সিনিয়র নেতাসহ বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী।

আনোয়ার হোসেন টিপু বলেন, আমার আগমনকে কেন্দ্র করে এমন কিছু করবেন না যাতে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয়। দেশে থাকা অবস্থায় ২০০৮ সাল থেকে জনগণের ভোটের অধিকারের দাবিতে রাজপথে আন্দোলন করেছি। আন্দোলন থেকে দূরে রাখতে আওয়ামী প্রশাসন আমার বিরুদ্ধে ২৮ টি মামলা দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গত ১৬ বছরের আমাদের লাখ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে শেখ হাসিনা কাউকে দেশ ছাড়া কাউকে বাড়ি ছাড়া করেছে। অনেকের বিরুদ্ধে মিথ্যা হত্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। সেই ফ্যাসিস্ট সরকার ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত বছর আগস্টে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে। আমরা এখন নিরাপদ ও মুক্ত। 

তিনি আরও বলেন, বিদেশে নির্বাসিত থাকাকালেও শেখ হাসিনার আক্রোশ থেকে আমি রেহাই পাইনি। গত ১০ বছরে একাধিকবার আওয়ামী সন্ত্রাসীরা আমার গ্রামের বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট করে। পাশাপাশি পুলিশ বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারের জন্য ঢাকার বাসায় একাধিক অভিযান পরিচালনা করা হয়। বাসায় আমাকে না পেয়ে লুটপাট ও ভাঙচুর করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এসময় আমার পরিবারের সদস্যদের নানাভাবে নির্যাতন করা হয়।

উল্লেখ, ২০১৫ সালে শেখ হাসিনার রোষাণলে পড়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন ঢাকা মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন টিপু। সেসময় ষড়যন্ত্রমূলক পুলিশ হত্যাসহ প্রায় ৩০টি মামলা দেওয়ার তার বিরুদ্ধে। দেশ ছাড়ার পরে তৎকালীন সরকার তার পরিবারকে নানাভাবে হয়রানি করে। একাধিকবার গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর ও ঢাকার বাসায় হামলা করে আওয়ামী লীগের লোকজন।

শফিকুল ইসলাম/মাহফুজ

আওয়ামী প্রেতাত্মারা নব্য বিএনপি সেজে অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে: আমিনুল হক

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:২৮ পিএম
আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৩০ পিএম
আওয়ামী প্রেতাত্মারা নব্য বিএনপি সেজে অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে: আমিনুল হক
ছবি: সংগৃহীত

পতিত আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা নব্য বিএনপি সেজে আরাফাত রহমান কোকো কিংবা জিয়াউর রহমানের নামে ব্যানার বানিয়ে নতুন দোকান খোলার চেষ্টা করছে এবং তারা বিভিন্নভাবে অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে- বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক। 

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে ৬টি দল নিয়ে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উদ্বোধক এর বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিনু।

আমিনুল হক বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় ইতোমধ্যে ছোট ছোট টুর্নামেন্ট আয়োজন করে অবৈধ কার্যক্রমের সঙ্গে অনেকেই জড়িয়ে পড়ছে। আওয়ামী স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা সবাই এখন বিএনপি হয়ে গেছে। পতিত আওয়ামী স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা এখন নব্য বিএনপি সেজে আরাফাত রহমান কোকো কিংবা জিয়াউর রহমানের নামে ব্যানার বানিয়ে নতুন দোকান খোলার চেষ্টা করছে। এজন্য আমাদের সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। কোনো অবস্থাতেই এই ধরনের অপকর্মকারীদের কাউকেই প্রশ্রয় এবং সুযোগ দেওয়া যাবে না।

আমিনুল হক আরও বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত পরিপূর্ণভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও স্বৈরাচার মুক্ত হতে পারিনি। কারণ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এবং জাতীয় গণমাধ্যমগুলোতে স্বৈরাচার এর প্রেতাত্মারা এখনো পর্যন্ত বসে আছে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, গত ১৭ বছর ধরে আওয়ামী স্বৈরাচার সরকার দলীয়করণ ও রাজনীতিকরণের মাধ্যমে ক্রীড়াঙ্গনকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। সে ধ্বংসস্তূপের ক্রীড়াঙ্গনকে টেনে তুলে নতুনভাবে জাগরণ তৈরির প্রয়াস হাতে নিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। 

বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, আমরা খেলাধুলার মাধ্যমে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে চাই। আমরা বাংলাদেশের খেলাধুলা তৃণমূল পর্যায় থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত সারা বছরব্যাপী ক্যালেন্ডারের মধ্যে রাখতে ও একটি সুস্থ জাতি গড়ে তুলতে চাই। সেই সুস্থ জাতি গড়ে তোলার জন্য খেলাধুলা অন্যতম একটি মাধ্যম।

জাতীয় ফুটবলের সাবেক এ অধিনায়ক বলেন, আমরা একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার জন্য যে স্বপ্ন দেখছি- সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন তখনই হবে যখন একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে। সেই জনগণের সরকারের কাছে বাংলাদেশের জনগণের জবাবদিহিতা থাকবে। সেই জবাবদিহিতার মাধ্যমে আমরা একটি সুন্দর ও গণতন্ত্রকামী বাংলাদেশ গড়তে পারব।

আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট রাজশাহীর আহ্বায়ক মোজাদ্দে জামানী সুমনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে টুর্নামেন্টের ব্যবস্থাপক ও মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি সদস্য 
সহ-দফতর ইবরাহীম খলিল,বগুড়া জেলা ক্রীড়া সম্পাদক সৈয়দ আমিনুল হক দেওয়ান সজল, ক্রিকেটার মাইসুকুর রহমান রিয়েল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি জাকির হোসেন রিমনসহ প্রতিযোগী ছয়টি দলের খেলোয়াড় ও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

মাহফুজ/

সংস্কারবিহীন নির্বাচন দেশের জনগণ মেনে নিবে না: ইসলামী আন্দোলন

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৫৯ পিএম
সংস্কারবিহীন নির্বাচন দেশের জনগণ মেনে নিবে না: ইসলামী আন্দোলন

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম বলেছেন, সংস্কারবিহীন যেনতেন কোনো নির্বাচন আয়োজন দেশের জনগণ মেনে নিবে না।

তিনি বলেন, ‘সরকারের উচিত দেশের সিংহভাগ রাজনৈতিক দলের মতামতের গুরুত্ব দিয়ে পিআর পদ্ধতির নির্বাচনব্যবস্থা চালু করা। বাংলাদেশের মানুষ যাতে নতুন করে আর কোনো ফ্যাসিবাদের যাতাকলে পিষ্ট না হতে হয় সেদিকে মনোযোগ দেওয়া।'

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত নগর ও থানা কমিটির যৌথসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মাওলানা ইমতিয়াজ আলম বলেন, 'অন্তর্বর্তী সরকারের দ্বিতীয় ইনিংসে দেশের জনগণ জুলাই বিপ্লবের প্রতিফলন দেখতে চায়। কোনো দলের কাছে নতি স্বীকার না করে জনতার আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে সরকার  সামনে এগুবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।'

যৌথসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আলহাজ আলতাফ হোসাইন, আলহাজ আনোয়ার হোসাইন, আলহাজ আবদুল আউয়াল মজুমদার, আলহাজ ফজলুল হক মৃধা, আলহাজ নজরুল ইসলাম খোকন, শেখ আবু তাহের, মাওলানা মুফতি আবদুল আহাদ, মাওলানা নাজিমুদ্দিন প্রমুখ।

সূত্র: বাসস

সিফাত/

সংস্কারে দ্রুত ঐকমত্য তৈরি হবে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:০০ পিএম
আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:১৮ পিএম
সংস্কারে দ্রুত ঐকমত্য তৈরি হবে: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

‘আমরা আশা করব দ্রুত সংস্কারের ঐকমত্য তৈরি হবে, অতি দ্রুত জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে’ এটাই আমাদের প্রত্যাশা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

প্রয়োজনীয় সংস্কার নিয়ে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে তিনি আহ্বান জানিয়েছেন যে সংস্কারের যে রিপোর্টগুলো প্রত্যেকটি কমিশন দিল সেগুলোর ওপর আলাপ আলোচনা হবে। দলগুলো এটা নিয়ে কমিশনের সঙ্গে কথা বলবে। এবং একটা ঐকমত্য পৌঁছানোর চেষ্টা করা হবে। সেজন্য আজকে প্রাথমিক আলোচনা সেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো তাদের মতামত দিয়েছে।

শফিকুল ইসলাম/মেহেদী/

জাতিসংঘের প্রতিবেদন শেখ হাসিনার গণহত্যার দলিল: জামায়াতের আমির

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৪৪ পিএম
জাতিসংঘের প্রতিবেদন শেখ হাসিনার গণহত্যার দলিল: জামায়াতের আমির
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ফাইল ছবি

জাতিসংঘের জুলাই-আগস্টের গণহত্যা নিয়ে পর্যবেক্ষক টিমের প্রতিবেদন ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার গণহত্যার দলিল হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য গত বছরের পহেলা জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশে যে অমানবিক ও নির্মম গণহত্যা চালিয়েছে, তারই স্বীকৃতি পাওয়া গেল জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনের তদন্ত প্রতিবেদনের মাধ্যমে। খুনি এবং খুনিদের মাস্টারমাইন্ডদের তথ্য ও পরিচয় এই তদন্ত প্রতিবেদনের মাধ্যমে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরেছে জাতিসংঘ। এই প্রতিবেদনে ‘সত্য’ উদ্ঘাটিত হয়েছে।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যম পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিবৃতিতে জুলাই গণহত্যার তদন্তের জন্য জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনকে আন্তরিক মোবারকবাদ ও অভিনন্দন জানিয়েছেন দলটির আমির।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার নির্দেশেই গত জুলাই-আগস্টে গণহত্যা সংঘঠিত হয়েছে তা জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বিশ্ববাসীর নিকট উন্মোচিত হওয়ায় জাতি স্বস্তিবোধ করছে এবং অপরাধীদের বিচারের ব্যাপারে আশান্বিত হয়েছে। জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনের মাধ্যমে বিশ্ববাসীর নিকট স্পষ্ট হয়েছে যে, খুনি শেখ হাসিনার নির্দেশেই দেশে গণহত্যা সংঘটিত ও মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে।

তিনি বলেন, খুনিদের মাস্টারমাইন্ড ও তার দোসরদের মাধ্যমেই দেশের নাগরিকদের ওপর অকথ্য জুলুম-নির্যাতন, গুম এবং চরম বীভৎ ও লোমহর্ষক গণহত্যা চালানো হয়েছে। লাশ স্তুপ করে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। বাংলাদেশের গণতন্ত্র এবং গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক সকল প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। আয়নাঘর বানিয়ে দেশের মানুষকে গুম ও পাশবিক নির্যাতন করা হয়েছে।

জামায়াতে আমির বলেন, মজলুমের পক্ষে নয় বরঞ্চ মজলুম বিষয়ে জাতিসংঘের এই রিপোর্ট গণহত্যার দলিল হয়ে থাকবে। অন্তর্বর্তী সরকারকে সব গণহত্যাকারী এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার বিচার নিশ্চিত করতে হবে। জনগণ মনে করে, গণহত্যার অপরাধে অপরাধী হিসেবে আওয়ামী লীগের এ দেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। এই জনআঙ্খাক্ষা অনুযায়ী, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবির বিষয়টিও অন্তর্বর্তী সরকারকে বিবেচনায় নেওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি।

শফিকুল ইসলাম/এমএ/