ঢাকা ৩০ পৌষ ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫

দেশকে অশান্ত করতে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে: জামায়াত আমির

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৬ পিএম
দেশকে অশান্ত করতে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে: জামায়াত আমির
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান

বাংলাদেশকে অশান্ত করার জন্য দেশ ও দেশের বাইরে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে একটি মহল বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। 

তিনি বলেন, ‘দেশ যখন ইতিবাচক ধারায় ফিরতে শুরু করেছে, তখন ফ্যাসিস্টরা দেশকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। বিদেশে বসে যারা অন্যের সহায়তায় দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে তাদের মনে রাখা উচিত, দেশের মানুষ কারো চোখ রাঙানিকে পরোয়া করে না। জাতীয় স্বার্থের দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর মগবাজার আল ফালাহ মিলনায়তনে কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার অধিবেশনে তিনি এসব কথা বলেন।

শফিকুর রহমান বলেন, ‘গত ১৫ বছরে জাতির সব মৌলিক অধিকার হরণ করা হয়েছিল। অনেক প্রতিভাবান কর্মকর্তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, ওএসডি করা হয়েছিল। গুম, খুনের ঘটনা ঘটেছে। আওয়ামী লীগের কাছে বিরোধী মতসহ কারও জীবনের কোনো নিরাপত্তা ছিল না।’ 

জামায়াতের আমির বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি জুলুম ও ফ্যাসিজমের শিকার হয়েছে জামায়াতে ইসলামী। জামায়াতের নেতা-কর্মীদের বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। ২০১৩ সালে শাহবাগে আসর বসিয়ে দেশে বিশৃঙ্খলা করেছে পতিত আওয়ামী সরকার। সংসদের সরকারের চেয়ে শাহবাগের সরকারের কথায় পতাকা উঠেছে।’

নির্বাচনের রোডম্যাপ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শফিকুর রহমান বলেন, ‘বিগত সরকার আসন পুনর্বিন্যাসের নামে জুলুম করেছে। সেগুলো আবার নতুন করে করতে হবে। গত ১৫ বছরে দেশের অনেক নাগরিকই ভোট দিতে পারেননি। অনেকেই আবার ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। তাদের ভোটার তালিকায় সংযুক্ত করতে হবে।’ যৌক্তিক সময়ের মধ্যে ভোটার তালিকা করে প্রবাসীদেরও ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবিও জানান তিনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সিনিয়র নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার প্রমুখ। 

সংস্কারের নামে কালক্ষেপণ না করে দ্রুত নির্বাচনের আহ্বান রিজভীর

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:৩০ পিএম
সংস্কারের নামে কালক্ষেপণ না করে দ্রুত নির্বাচনের আহ্বান রিজভীর
রাজশাহীতে যুবদলের শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ছবি: খবরের কাগজ

সংস্কারের নামে কালক্ষেপণ না করে দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাহেবের সরকারকে সমস্ত গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল সমর্থন করেছে। তিনি নিঃসন্দেহে একজন গুণী মানুষ। তাই আপনি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য দ্রুত তারিখ ঘোষণা করুন। আপনি বলুন যে এত সময়ের মধ্যে নির্বাচন হবে। প্রশাসনসহ সবকিছুতে সংস্কার দরকার। কিন্তু এ সংস্কারের নামে কালক্ষেপণ, বাদানুবাদ, তর্ক-বিতর্ক চললে হবে না।’

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে রাজশাহীর শহিদ জিয়া শিশুপার্ক এলাকায় যুবদলের শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, সব ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কার দরকার। কিন্তু সেটা নিয়ে বেশি দেরি করা উচিত হবে না। ১৭ বছর দেশের মানুষ ভোট দেওয়া থেকে বিরত রয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করতে উদগ্রীব দেশের মানুষ। বাংলাদেশকে পাশের দেশের কাছে ইজারা দিয়ে রেখেছিলেন শেখ হাসিনা। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল হাসিনার, বাংলাদেশের সঙ্গে নয়।

তিনি আরও বলেন, দিনের ভোট রাতে হবে, এটা হচ্ছে শেখ হাসিনার গণতন্ত্র। শেখ হাসিনার গণতন্ত্র হচ্ছে- নির্বাচনের সময় বিরোধীদলের সবাইকে জেলের মধ্যে ঢুকিয়ে রাখা। বিএনপির চেয়ারপার্সনসহ সিনিয়র সব নেতা-কর্মীদের জেলে রেখে তিনি ৭ জানুয়ারির নির্বাচন করেছেন।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা রিজভী বলেন, উনি যে গণতন্ত্র দিয়েছিলেন তার নমুনা আমরা দেখেছি। ভোটকেন্দ্রে চতুষ্পদজন্তু বিচরণ করতে দেখিছি। মানুষ বা ভোটাররা সেখানে যাননি। এগুলো তিনি কেন করেছেন? এ বাংলাদেশটা তার কাছে ছিল টাকার খনি। এখান থেকে টাকা উত্তোলন করবেন। সেটা বিদেশে পাচার করে সুখে শান্তিতে থাকবেন। আর তার যে ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী আওয়ামী লীগের নেতারা সেই টাকা দিয়ে দুবাই, কাতার, কানাডা, মালয়েশিয়া, আমেরিকাসহ বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি কিনবে, সেখানে পরিবার নিয়ে থাকবেন- এটা ছিল শেখ হাসিনার নীতি। তার প্রমাণ আমরা দেখতে পাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা সোনার হরিণ ক্ষমতা ধরে রাখতে কত শিশু বাচ্চাকে হত্যা করেছে। আবু সাঈদের মতো টাটকা তরুণ প্রাণকে হত্যা করেছে। মুগ্ধ যে চিৎকার করে বলেছে ‘পানি লাগবে পানি’,  তাকে হত্যা করেছে। এত শিশু, এত মাসুম বাচ্চাকে হত্যা করে তিনি তার রাজ সিংহাসনে থাকার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। তিনি তার ক্ষমতার রক্ষা করতে শুধু একটি দেশকে সমীহ করতেন। এইজন্য বলেছিলেন ‘আমি ভারতকে যা দিয়েছি, তা কোনো দিন ভুলতে পারবে না।’ উনি কত শক্তিশালী দেশকে গালাগালি করেছেন। ভারত চেয়েছে তাদের স্বার্থ রক্ষায় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকবে। সেটি হয়নি। তবে এখন এ দেশ কীভাবে চলবে তা নির্ধারণ করবে এদেশের জনগণ।’

অনুষ্ঠানে রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ আলী ঈশা, সদস্যসচিব মামুনুর রশিদ, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য গোলাম মোস্তফা মামুন, রাজশাহী মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন, সদস্যসচিব রফিকুল ইসলাম রবি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এনায়েত করিম/মাহফুজ

ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে জামায়াতের আমিরের সাক্ষাৎ

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:১০ পিএম
আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:১০ পিএম
ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে জামায়াতের আমিরের সাক্ষাৎ
জামায়াতের আমীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। ছবি: খবরের কাগজ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় রাজধানীর মগবাজারে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়।

সাক্ষাৎকালে তারা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে অর্থবহ করার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। ভবিষ্যতে উভয়ের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক, উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা আবদুল হালিম, প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন।

শফিকুল ইসলাম/নাবিল/এমএ/

জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের এবি পার্টির নব নির্বাচিত নেতাদের শ্রদ্ধা

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৪৯ পিএম
জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের এবি পার্টির নব নির্বাচিত নেতাদের শ্রদ্ধা
জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা জানিয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) নবনির্বাচিত নেতারা। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা জানিয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) নবনির্বাচিত নেতারা। এরপর রায়ের বাজারে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শাহাদাতবরণকারী বীর শহিদদের গণকবরে গিয়ে সেখানে ফাতেহা পাঠ ও দোয়া মোনাজাত করেন তারা। 

দলের সদ্য নির্বাচিত চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু ও সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদের নেতৃত্বে নির্বাচিত জাতীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্যরা নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রথমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এসময় এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু দলের নেতাকর্মীদের দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, মুক্তিযুদ্ধ ও ২৪ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানোর শপথ করান।

উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশে মঞ্জু বলেন, আমার বাংলাদেশ পার্টি ১১ জানুয়ারি কাউন্সিলের মাধ্যমে চেয়ারম্যান, সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্যদের নির্বাচিত করেছে। আমরা নির্বাচিত নেতৃবৃন্দ নেতাকর্মীসহ মুক্তিযুদ্ধে যারা জীবন দিয়েছেন, যাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা একটি স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছি। 

তিনি বলেন, আজকে আমরা শপথ নিয়েছি মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণাপত্রের আলোকে ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে বাংলাদেশকে একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্রে পরিণত করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। তিনি আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) নতুন কমিটির সফলতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চান।

মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শাহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, আমরা সেবা সমস্যা সমাধানের রাজনীতি নিয়ে দেশবাসীর কাছে যাচ্ছি। আশাকারি দেশের মানুষ প্রচলিত ধারার রাজনৈতিক ধারণার বাইরে গিয়ে রাষ্ট্র মেরামতের এই নতুন রাজনীতির পাশে দাঁড়াবেন। তিনি দেশবাসীর কাছে নির্বাচিত নেতারাসহ এবি পার্টির সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের প্রতি দোয়া ও সহোযোগিতা কামনা করেন।

জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে এর পর পরই এবি পার্টির নেতারা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহিদদের গণকবর জিয়ারত করতে রায়ের বাজার যান। সেখানে শহিদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ, দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

এসময় জাতীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্যবৃন্দ, ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণ, যুবপার্টি ও নারী নেত্রীরাসহ এবি পার্টির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এমএ/

আওয়ামী ফ্যাসিবাদের ইন্ধনে থাকাদেরও বিচার হবে: হাসনাত আবদুল্লাহ

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:১৯ পিএম
আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৩৬ পিএম
আওয়ামী ফ্যাসিবাদের ইন্ধনে থাকাদেরও বিচার হবে: হাসনাত আবদুল্লাহ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির পথসভায় বক্তব্য রাখেন হাসনাত আবদুল্লাহ। ছবি: খবরের কাগজ

যারা বলে আওয়ামী লীগ ছাড়া জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না, তারা আওয়ামী ফ্যাসিবাদের ইন্ধনে ছিল, তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত গণসংযোগ কর্মসূচির অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লিফলেট বিতরণ, গণসংযোগ ও পথসভায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের রাজনীতি পুনর্বাসিত হবে কি না, তা এখন প্রাসঙ্গিক আলাপ নয় বরং আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড থেকে শুরু করে কেন্দ্র পর্যন্ত প্রত্যেকটি নেতা-কর্মীকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। তাদের বিচার না হওয়ার পর্যন্ত যারা তাদের পুনর্বাসিত হওয়ার কথা বলবে, যারা বলতে চাইবে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না, আমরা ধরে নেব তারা গত ১৬ বছর ধরে আওয়ামী লীগ দেশে যে জাহিলিয়াতের রাজনীতি কায়েম করেছে সেখানে তাদেরও ইন্ধন ছিল।’

তিনি বলেন, পরবর্তীতে যারাই ক্ষমতায় আসবে তারা তরুণ প্রজন্মের ভাষা বুঝতে ব্যর্থ হলে আওয়ামী লীগের যে পরিণতি হয়েছে, তাদেরও একই পরিণতি হবে।

৫ আগস্ট বাংলাদেশ থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চূড়ান্ত হয়ে গেছে উল্লেখ করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘একদিকে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবীরা বিপ্লবের লিখিত দালিলিক স্বীকৃতির জন্য অপেক্ষা করছে, অন্যদিকে রাষ্ট্রতন্ত্র ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসিত করার জন্য বিভিন্ন ভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত এখন নতুন করে নেওয়া কিছুই নেই। ৫ই আগস্ট বাংলাদেশ থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চূড়ান্ত হয়ে গেছে।’

এখনো জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রকাশ না হওয়ার কর্মসূচিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে দ্রুত লিখিত ঘোষণাপত্র প্রকাশের আহ্বান জানান হাসনাত আবদুল্লাহ।

এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্থা শারমিন।

তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র যদি এখনই আদায় করা না যায়, তাহলে ইতিহাস থেকে আমাদের মুছে ফেলার যে প্রক্রিয়া তা আবারও দখল করতে আসবে কিন্তু আমরা তা হতে দেব না।

সামান্থা শারমিন বলেন, নারায়ণগঞ্জের শামীম ওসমানের জুলুম-অত্যাচারে মানুষ অতিষ্ঠ ছিল। তাই শামীম ওসমানসহ তার সঙ্গীদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

পথসভা শেষে দুই সংগঠনের নেতারা নগরী চাষাঢ়া থেকে মিশন পাড়া পর্যন্ত স্থানীয় নেতাদের নিয়ে গণসংযোগে অংশ নেন।

পরে সিদ্ধিরগঞ্জ-চিটাগং রোডে সোনারগাঁও উপজেলার কাঁচপুরে পথসভার উদ্দেশ্যে রওনা হন দুটি সংগঠনের নেতারা।

বিল্লাল/নাবিল/অমিয়/

মিরসরাইয়ে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে যুবদল কর্মী নিহত

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:০৭ পিএম
আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:২৩ পিএম
মিরসরাইয়ে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে যুবদল কর্মী নিহত
প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত যুবদল কর্মী। ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার স্টেডিয়ামে মাসব্যাপী বাণিজ্য মেলায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রুপের কথা কাটাকাটির জেরে যুবদল কর্মী জাহেদ হোসেন মুন্না (২০) নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আটজন। 

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত মুন্না মিরসরাই পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের গোভনীয়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে। 
 
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যার পর বাণিজ্য মেলায় মিরসরাই পৌর বিএনপির সদস্যসচিব জাহিদ হোসাইনে অনুসারীদের সঙ্গে যুবদলের আহ্বায়ক কামরুল হাসানের অনুসারীদের কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় জাহিদের অনুসারীদের হামলায় কামরুলের কয়েকজন কর্মী আহত হন। এর পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে কামরুলের অনুসারীরা জাহিদের বাড়িতে এবং তার অনুসারীদের উপর হামলা চালায়।

এই হামলায় যুবদল কর্মী জাহেদ হোসেন মুন্না গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

জাহিদ হোসেন ও কামরুল হাসান দুইজনই চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক এবং সাবেক মীরসরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিনে অনুসারী।

মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, ‘আমি মুন্না নামে একজন নিহত হওয়ার খবর শুনেছি, তবে এখনও লাশ দেখিনি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।’

সাফিন/তাওফিক/অমিয়/