ঢাকা ৩০ পৌষ ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫

মোমেন খানের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী বৃহস্পতিবার

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৪ পিএম
আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৪১ পিএম
মোমেন খানের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী বৃহস্পতিবার
মরহুম আব্দুল মোমেন খান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মন্ত্রীসভার সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও কেবিনেট সচিব মরহুম আব্দুল মোমেন খানের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর)। 

১৯৮৪ সালের ১২ ডিসেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নরসিংদীর পলাশ ও ঘোড়াশাল উপজেলা এবং পৌর বিএনপির উদ্যোগে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। 

এ উপলক্ষে পলাশ উপজেলার মাল্টিপারপাস হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন মরহুমের ছেলে ও সাবেক মন্ত্রী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।

মরহুম আব্দুল মোমেন খানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বাণী দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

বাণীতে তিনি মরহুমের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন, 'জনগণের নাগরিক অধিকার তথা বাক, ব্যক্তি, চিন্তার স্বাধীনতা নিশ্চিত করার সংগ্রামে আব্দুল মোমেন খানের ভূমিকা ছিল ঐতিহাসিক। তিনি এদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একজন মার্জিত ও প্রাজ্ঞ রাজনীতিবিদ হিসেবে সমাদৃত ছিলেন। বিএনপি ও পূর্বসূরি জাগদলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে আব্দুল মোমেন খান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করতে নিবেদিত প্রাণ ছিলেন।

মন্ত্রী হিসেবেও তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তথা দেশ ও এলাকাবাসীর উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জাতীয়তাবাদী দর্শনকে প্রতিষ্ঠিত করতে তার অবদান দল ও দেশবাসী চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। আমি মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং তার শুভানুধ্যায়ী ও পরিবারবর্গের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।'

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সময় আবদুল মোমেন খান ফজলুল হক হল প্রতিষ্ঠার পর ছাত্র সংসদের প্রথম ‘স্পিকার’ (বর্তমান ভিপি) নির্বাচিত হন। তিনি উপস্থিত বক্তৃতা, বিতর্ক ও অন্যান্য সহশিক্ষা কার্যক্রমে খুবই পারদর্শী ছিলেন, যা তার পরবর্তী পেশা জীবনকেও সমৃদ্ধ করে। একজন সরকারী চাকরিজীবী হিসেবে আবদুল মোমেন খান যথাযোগ্য সুনাম অর্জন করেন এবং লাহোরে সিনিয়র সিভিল সার্ভিস একাডেমিতে প্রশিক্ষণ কোর্সে প্রথম স্থান অধিকার করে তৎকালীন রেক্টর ডি কে পাওয়ার (আই.সি.এস) প্রদত্ত প্রশংসাসূচক ভ্যালেডিকটরিয়ান সম্মান অর্জন করেন।

তিনি বলেন, যোগ্যতার নিরিখে আবদুল মোমেন খান বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ চাকুরীর পদ কেবিনেট সচিবের আসনে আসীন হন। তার বুদ্ধিদীপ্ত চাকুরী জীবনে তিনি খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার, প্রাদেশিক সরকারের গণপূর্ত, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এবং সেচ বিভাগের সচিব, বাংলাদেশ সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সচিবের দায়িত্বও অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে পালন করেন ।

উল্লেখ্য, মোমেন খান ১৯৭৯ সালে দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোটে নরসিংদী-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৪১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করেন এবং ১৯৪২ সালে কলিকাতা গভর্নমেন্ট কমার্শিয়াল কলেজে অনুষদের সদস্য হিসাবে যোগদান করেন। ১৯৫৪ সালে তিনি পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন। মোমেন খান লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এবং পরে বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯৭৮-৭৯ সালে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

শফিকুল ইসলাম/মেহেদী/এমএ/

ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে জামায়াতের আমিরের সাক্ষাৎ

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:১০ পিএম
আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:১০ পিএম
ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে জামায়াতের আমিরের সাক্ষাৎ
জামায়াতের আমীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। ছবি: খবরের কাগজ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় রাজধানীর মগবাজারে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়।

সাক্ষাৎকালে তারা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে অর্থবহ করার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। ভবিষ্যতে উভয়ের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক, উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা আবদুল হালিম, প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন।

শফিকুল ইসলাম/নাবিল/এমএ/

জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের এবি পার্টির নব নির্বাচিত নেতাদের শ্রদ্ধা

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৪৯ পিএম
জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের এবি পার্টির নব নির্বাচিত নেতাদের শ্রদ্ধা
জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা জানিয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) নবনির্বাচিত নেতারা। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা জানিয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) নবনির্বাচিত নেতারা। এরপর রায়ের বাজারে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শাহাদাতবরণকারী বীর শহিদদের গণকবরে গিয়ে সেখানে ফাতেহা পাঠ ও দোয়া মোনাজাত করেন তারা। 

দলের সদ্য নির্বাচিত চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু ও সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদের নেতৃত্বে নির্বাচিত জাতীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্যরা নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রথমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এসময় এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু দলের নেতাকর্মীদের দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, মুক্তিযুদ্ধ ও ২৪ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানোর শপথ করান।

উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশে মঞ্জু বলেন, আমার বাংলাদেশ পার্টি ১১ জানুয়ারি কাউন্সিলের মাধ্যমে চেয়ারম্যান, সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্যদের নির্বাচিত করেছে। আমরা নির্বাচিত নেতৃবৃন্দ নেতাকর্মীসহ মুক্তিযুদ্ধে যারা জীবন দিয়েছেন, যাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা একটি স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছি। 

তিনি বলেন, আজকে আমরা শপথ নিয়েছি মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণাপত্রের আলোকে ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে বাংলাদেশকে একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্রে পরিণত করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। তিনি আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) নতুন কমিটির সফলতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চান।

মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শাহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, আমরা সেবা সমস্যা সমাধানের রাজনীতি নিয়ে দেশবাসীর কাছে যাচ্ছি। আশাকারি দেশের মানুষ প্রচলিত ধারার রাজনৈতিক ধারণার বাইরে গিয়ে রাষ্ট্র মেরামতের এই নতুন রাজনীতির পাশে দাঁড়াবেন। তিনি দেশবাসীর কাছে নির্বাচিত নেতারাসহ এবি পার্টির সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের প্রতি দোয়া ও সহোযোগিতা কামনা করেন।

জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে এর পর পরই এবি পার্টির নেতারা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহিদদের গণকবর জিয়ারত করতে রায়ের বাজার যান। সেখানে শহিদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ, দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

এসময় জাতীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্যবৃন্দ, ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণ, যুবপার্টি ও নারী নেত্রীরাসহ এবি পার্টির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এমএ/

আওয়ামী ফ্যাসিবাদের ইন্ধনে থাকাদেরও বিচার হবে: হাসনাত আবদুল্লাহ

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:১৯ পিএম
আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৩৬ পিএম
আওয়ামী ফ্যাসিবাদের ইন্ধনে থাকাদেরও বিচার হবে: হাসনাত আবদুল্লাহ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির পথসভায় বক্তব্য রাখেন হাসনাত আবদুল্লাহ। ছবি: খবরের কাগজ

যারা বলে আওয়ামী লীগ ছাড়া জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না, তারা আওয়ামী ফ্যাসিবাদের ইন্ধনে ছিল, তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত গণসংযোগ কর্মসূচির অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লিফলেট বিতরণ, গণসংযোগ ও পথসভায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের রাজনীতি পুনর্বাসিত হবে কি না, তা এখন প্রাসঙ্গিক আলাপ নয় বরং আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড থেকে শুরু করে কেন্দ্র পর্যন্ত প্রত্যেকটি নেতা-কর্মীকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। তাদের বিচার না হওয়ার পর্যন্ত যারা তাদের পুনর্বাসিত হওয়ার কথা বলবে, যারা বলতে চাইবে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না, আমরা ধরে নেব তারা গত ১৬ বছর ধরে আওয়ামী লীগ দেশে যে জাহিলিয়াতের রাজনীতি কায়েম করেছে সেখানে তাদেরও ইন্ধন ছিল।’

তিনি বলেন, পরবর্তীতে যারাই ক্ষমতায় আসবে তারা তরুণ প্রজন্মের ভাষা বুঝতে ব্যর্থ হলে আওয়ামী লীগের যে পরিণতি হয়েছে, তাদেরও একই পরিণতি হবে।

৫ আগস্ট বাংলাদেশ থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চূড়ান্ত হয়ে গেছে উল্লেখ করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘একদিকে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবীরা বিপ্লবের লিখিত দালিলিক স্বীকৃতির জন্য অপেক্ষা করছে, অন্যদিকে রাষ্ট্রতন্ত্র ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসিত করার জন্য বিভিন্ন ভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত এখন নতুন করে নেওয়া কিছুই নেই। ৫ই আগস্ট বাংলাদেশ থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চূড়ান্ত হয়ে গেছে।’

এখনো জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রকাশ না হওয়ার কর্মসূচিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে দ্রুত লিখিত ঘোষণাপত্র প্রকাশের আহ্বান জানান হাসনাত আবদুল্লাহ।

এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্থা শারমিন।

তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র যদি এখনই আদায় করা না যায়, তাহলে ইতিহাস থেকে আমাদের মুছে ফেলার যে প্রক্রিয়া তা আবারও দখল করতে আসবে কিন্তু আমরা তা হতে দেব না।

সামান্থা শারমিন বলেন, নারায়ণগঞ্জের শামীম ওসমানের জুলুম-অত্যাচারে মানুষ অতিষ্ঠ ছিল। তাই শামীম ওসমানসহ তার সঙ্গীদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

পথসভা শেষে দুই সংগঠনের নেতারা নগরী চাষাঢ়া থেকে মিশন পাড়া পর্যন্ত স্থানীয় নেতাদের নিয়ে গণসংযোগে অংশ নেন।

পরে সিদ্ধিরগঞ্জ-চিটাগং রোডে সোনারগাঁও উপজেলার কাঁচপুরে পথসভার উদ্দেশ্যে রওনা হন দুটি সংগঠনের নেতারা।

বিল্লাল/নাবিল/অমিয়/

মিরসরাইয়ে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে যুবদল কর্মী নিহত

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:০৭ পিএম
আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:২৩ পিএম
মিরসরাইয়ে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে যুবদল কর্মী নিহত
প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত যুবদল কর্মী। ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার স্টেডিয়ামে মাসব্যাপী বাণিজ্য মেলায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রুপের কথা কাটাকাটির জেরে যুবদল কর্মী জাহেদ হোসেন মুন্না (২০) নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আটজন। 

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত মুন্না মিরসরাই পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের গোভনীয়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে। 
 
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যার পর বাণিজ্য মেলায় মিরসরাই পৌর বিএনপির সদস্যসচিব জাহিদ হোসাইনে অনুসারীদের সঙ্গে যুবদলের আহ্বায়ক কামরুল হাসানের অনুসারীদের কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় জাহিদের অনুসারীদের হামলায় কামরুলের কয়েকজন কর্মী আহত হন। এর পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে কামরুলের অনুসারীরা জাহিদের বাড়িতে এবং তার অনুসারীদের উপর হামলা চালায়।

এই হামলায় যুবদল কর্মী জাহেদ হোসেন মুন্না গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

জাহিদ হোসেন ও কামরুল হাসান দুইজনই চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক এবং সাবেক মীরসরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিনে অনুসারী।

মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, ‘আমি মুন্না নামে একজন নিহত হওয়ার খবর শুনেছি, তবে এখনও লাশ দেখিনি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।’

সাফিন/তাওফিক/অমিয়/

স্থায়ী কমিটির বৈঠক জুলাইয়ে নির্বাচন চায় বিএনপি

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৫৩ পিএম
আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৪৩ পিএম
জুলাইয়ে নির্বাচন চায় বিএনপি
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

চলতি বছরের জুলাইয়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চায় বিএনপি। এছাড়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করার যে চিন্তা অন্তর্বর্তী সরকার করছে, সেটিও খুব সন্দেহের চোখে দেখছেন দলটি। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। 

নির্ভরযোগ্য সূত্রমতে, বৈঠকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় পণ্যের উপর ট্যাক্স বসানো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে একাধিক সদস্য বলেন, সরকারের ভেতর থেকে একটি অংশ জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে। নির্বাচন নিয়ে তাদের মনোভাবও বোঝা যাচ্ছে না। তাই আগেভাগেই নির্বাচনের ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে মাঠের কর্মসূচিতে নামার ব্যাপারে মত দেন কেউ কেউ।

তারা মনে করছেন জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন করার যে কথা বলা হচ্ছে, তা উদ্দেশ্যপ্রণোদ্দিত ও দুরভিসন্ধি। সংসদ নির্বাচন প্রলম্বিত করার চেষ্টার দুরভিসন্ধি থেকে এটি করা হচ্ছে। অতীতে কোনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার তো করেনি? এর পেছেনও উদ্দেশ কি? শিগগিরই এ বিষয়ে দলের অবস্থান পরিষ্কার করা হতে পারে।

সূত্র আরও জানায়, স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর ভ্যাট–ট্যাক্স এবং গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের বিষয়েও আলোচনা হয়। তখন দুজন সদস্য বলেন, এতে জীবনযাত্রার খরচ বাড়বে। মানুষ এমনিতে কষ্টে আছেন। এই সিদ্ধান্ত তাদের আরও দুর্ভোগে ফেলবে।

বৈঠকে লন্ডনে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়েও আলোচনা হয়। দলের নীতিনির্ধারকদের জানানো হয় খালেদা জিয়া মানসিকভাবে ভালো আছেন। পারিবারিক পরিবেশে আছেন। সোমবার তিনি হাসপাতালের শয্যা থেকে উঠে দাঁড়িয়েছেন, কিছুটা হাঁটার চেষ্টা করেছেন। 

এ সময় খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাওয়া হয়।

সভায় সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ বিষয়ক একটা কমিটি গঠন করা হয়। বিস্তারিত আলোচনা হয়। কমিটির প্রধান হলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, সদস্য  প্রফেসর এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান ও ব্যারিষ্টার কায়সার কামাল। তারা সাইবার সুরক্ষা বিষয়ে আরও তথ্য সংগ্রহ করে একটি প্রতিবেদন পেশ করবে। এছাড়া সভায় দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত উর্দ্ধগতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আহ্বায়ক ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জনাব ইসমাইল জবিউল্লাহ সমন্বয়ে এই বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়। দ্রব্যমূল্যর উধ্বগতি নিয়ে শিগগিরই সংবাদ সম্মেলন করবে বিএনপি।

সোমবার সন্ধ্যা ছয়টা ২৫মিনিটে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়। আড়াই ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠক শেষ হয় রাত ৯টা ৫ মিনিটে। এতে লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপত্বি করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বেগম সেলিমা রহমান, মেজর অব. হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম)।

শফিকুল ইসলাম/মেহেদী