ঢাকা ৩ মাঘ ১৪৩১, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫

এবি পার্টি ও খেলাফত মজলিসের সম্মেলনের জায়গা নিয়ে জটিলতা

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৬ পিএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:০৪ পিএম
এবি পার্টি ও খেলাফত মজলিসের সম্মেলনের জায়গা নিয়ে জটিলতা
ছবি: সংগৃহীত

আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি ও খেলাফত মজলিস রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একই দিনে জাতীয় সম্মেলন করা নিয়ে বিভ্রান্তি ও জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। দুই দলই মাঠের বরাদ্ধ পাওয়া নিয়ে প্রচারণা শুরু করেছে।

এবি পার্টির নেতারা বলেন, আগামী ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর এবি পার্টির প্রথম জাতীয় কাউন্সিল আয়োজনের জন্য গত ২ ডিসেম্বর গণপূর্ত বিভাগ থেকে চূড়ান্ত বরাদ্ধপত্র দেওয়া হয়।

অপরদিকে খেলাফত মজলিসের নেতারা বলেন, ২৮ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাদের তৃণমূল সম্মেলনের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে মাঠ ব্যবহারের জন্য টাকাও পরিশোধ করা হয়েছে। সম্মেলন করার পোস্টার এবং প্রচারণা শুরু করা হয়েছে।

গণপূর্ত বিভাগের সূত্রমতে, এবি পার্টির বরাদ্ধ অনুমোদন করলেও খেলাফত মজলিসকে তারা কোনো চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়নি। তবুও খেলাফত মজলিস তাদের অনুষ্ঠানের প্রচার শুরু করে, যা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে কেন্দ্র করে জটিলতার সৃষ্টি করেছে। এবি পার্টি, সিপিবি ও খেলাফত মজলিস- এই তিনটি দল একই দিন একই সময়ে সম্মেলনের আবেদন করলে যাচাই বাছাই করে কর্তৃপক্ষ এবি পার্টিকে ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর এবং ৩ জানুয়ারি সিপিবিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ব্যবহারের জন্য চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়।

এ বিষয়ে গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল কালাম আজাদ খবরের কাগজকে বলেন, এবি পার্টিকে ২৮ ডিসেম্বরের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ব্যবহারের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে খেলাফত মজলিস অন্য যেকোনো দিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ব্যবহার করতে পারবে। তাদেরকে দেওয়া অফিসিয়াল চিঠিতে কোনো দিন-তারিখ উল্লেখ করা হয়নি বলেও জানান।

এবি পার্টির প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল বলেন, আমরা তিন স্তরের নিয়ম মেনে মাঠের বরাদ্দ পেয়েছি এবং চূড়ান্ত বরাদ্দ নিশ্চিত হবার পর সরকারের কোষাগারে নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে প্রচার শুরু করেছি। আমাদের কাউন্সিলের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। দেশ-বিদেশের অতিথিদের টিকিট ও আবাসন নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন এই ইস্যুতে যে জটিলতার কথা বলা হচ্ছে তার দায় সম্পূর্ণ গণপূর্ত কর্তৃপক্ষের।

এ বিষয়ে খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন খবরের কাগজকে বলেন, আমরা গত ২৪ অক্টোবর এ বিষয়ে গণপূর্ত বিভাগে আবেদন করেছি। ২ ডিসেম্বর সব প্রক্রিয়া শেষে আমাদেরকে অনুমোদন দেওয়া হয়। মাঠ বরাদ্দের টাকাও পরিশোধ করেছি। এখন শুনছি যে এবি পার্টিকেও অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, এবি পার্টি ও আমরা একই সমমনা দল। আলোচনার ভিত্তিতে সমাধানের চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) এবি পার্টির সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। এই জটিলতা তৈরির পেছনে মুলত গণপূর্ত দায়ী। তাদের কেউ জড়িত আছে কিনা তাও দেখা হবে।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে একই সময়ে দুই রাজনৈতিক দলের অনুমোদন দেওয়ার বিষয়টি খুবই অনভিপ্রেত।

শফিকুল ইসলাম/মাহফুজ/এমএ/

সুস্থ-সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে খেলাধুলা অন্যতম মাধ্যম: আমিনুল হক

প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৫৫ পিএম
আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:১৯ পিএম
সুস্থ-সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে খেলাধুলা অন্যতম মাধ্যম: আমিনুল হক
খিলক্ষেতে ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন বিএনপি নেতা আমিনুল হক। ছবি: খবরের কাগজ

বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, আমরা এমন বাংলাদেশ গড়তে চাই, যে বাংলাদেশের বর্তমান যুবসমাজ ও তরুণ সমাজের চিন্তা চেতনাকে কাজে লাগিয়ে একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে পারি। একটি সুন্দর ধারার রাজনীতির পরিবেশ তৈরি করতে পারি, যেই বাংলাদেশে ভবিষ্যতে আর কোনদিন স্বৈরাচারের জন্ম হবে না। 

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) রাজধানীর খিলক্ষেতে তলনা রুহুল আমিন খান উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আয়োজনে ২৬টি থানা নিয়ে জিয়া আন্তঃথানা ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫ এর খিলক্ষেত থানা বনাম উত্তরখান থানার ম্যাচের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা চাই খেলাধুলার মাধ্যমে বাংলাদেশের যুবসমাজকে বাংলাদেশের তরুণ সমাজকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে খেলার মাঠে আকৃষ্ট করে আমাদের যুবসমাজকে যাতে একটি সঠিক পথে পরিচালিত করতে পারি।

খেলাধুলার মাধ্যমে আমরা একটি মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ব উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, গত ১৭ বছর ধরে আওয়ামী স্বৈরাচার সরকার অনৈতিকভাবে আমাদের যুবসমাজকে যেভাবে মাদকের দিকে ঠেলে দিয়েছিল, সেই মাদক থেকে আমাদের যুবসমাজ ও তরুণ প্রজন্মকে মাঠমুখী করে মাদকমুক্ত করার জন্য আমরা চাই আমাদের প্রত্যেকটি বাবা-মা তার সন্তানকে পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলার জন্য মাঠে পাঠাবেন।

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা রাজনৈতিক অঙ্গনে গত ১৭ বছর ধরে যেভাবে সাহসী ভূমিকা রেখেছেন, যেহেতু বাংলাদেশ আজকে নতুনভাবে স্বাধীন হয়েছে, সেই স্বাধীন বাংলাদেশকে নতুনভাবে পুনর্গঠন ও একটি সুস্থ-সুন্দর সমাজ বিনির্মাণ করার জন্য খেলাধুলা হবে অন্যতম একটি মাধ্যম।

বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, বাংলাদেশ আজকে নতুনভাবে স্বাধীন হয়েছে, স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে- সেই স্বাধীন স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশে আমরা চাই- বাংলাদেশের প্রত্যকটি সেক্টর নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর বলিষ্ঠ পরিকল্পনায় ইতোমধ্যে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের যে ৩১ দফার রূপরেখা দিয়েছেন, সেই রূপরেখার আলোকেই বাংলাদেশকে নতুনভাবে পুনর্গঠন করা যাবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি সদস্য সচিব মোস্তফা জামান, যুগ্ম আহ্বায়ক ও টুর্নামেন্ট কমিটির প্রধান সমন্বয়ক মো. আক্তার হোসেন, মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সমন্বয়ক জাহেদ পারভেজ চৌধুরী ছাড়াও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, এবিএমএ রাজ্জাক, আতাউর রহমান চেয়ারম্যান, গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, তুহিরুল ইসলাম তুহিন, এম কফিল উদ্দিন আহমেদ, আফাজ উদ্দিন, হাজী মো. ইউসুফ, মহানগর উত্তরের সিনিয়র সদস্য আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, নুরুল হুদা ভূঁইয়া নূরু, মোতালেব হোসেন রতন, রফিকুল ইসলাম খান, এম এস আহমাদ আলী, ইব্রাহিম খলিল, তাসলিমা রিতা, ঢাকা মহানগর উত্তর মহিলা দল সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট রুনা লায়লা, ঢাকা মহানগর পশ্চিম ছাত্রদল সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল হোসেন সোহেল, ওলামা দল ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক মো. জাহাঙ্গীর আলম।

এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও দক্ষিণখান থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক হেলাল উদ্দিন তালুকদার, যুগ্ম আহ্বায়ক দেওয়ান মো. নাজিম উদ্দীন, আনোয়ার হোসেন জমিদার, খিলক্ষেত থানা বিএনপির আহ্বায়ক এস এম ফজলুল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক সোহরাব খান স্বপন, মোবারক হোসেন দেওয়ান, সিএম আনোয়ার হোসেন, উত্তরা পশ্চিম থানা বিএনপি নেতা মো. আব্দুস ছালাম, বিমানবন্দর থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন দিলু, যুগ্ম আহ্বায়ক মহিউদ্দিন তারেক, যুগ্ম আহ্বায়ক মঞ্জুর হোসেন পাটোয়ারী, যুগ্ম আহ্বায়ক বশির আহমেদ, যুগ্ম আহবায়ক মাসুদ আহমেদ খান,ক্যান্টেনমেন্ট থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুর রহমান রতন, উত্তরা পূর্ব থানা বিএনপি আহ্বায়ক শাহ আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম খান, উত্তরখান থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম বেপারী, তুরাগ থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক মো. চান মিয়া,পল্লবী থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক মোকছেদুর রহমান আবির, মোহাম্মদপুর থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাকিব সারোয়ার, খিলক্ষেত থানা বিএনপির ৪৩নং ওয়ার্ড সভাপতি দিদার আহমেদ মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন, মোহাম্মদপুর থানা ৩৩নং ওয়ার্ড বিএনপি সিনিয়র সহসভাপতি ওসমান গনী সেন্টু প্রমুখ।

নাবিল/

হেফাজতে ইসলামের আমিরের সঙ্গে সাক্ষাৎ সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের

প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৪৭ পিএম
আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:০৫ পিএম
হেফাজতে ইসলামের আমিরের সঙ্গে সাক্ষাৎ সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের
বাংলাদেশ হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ মুহিবউল্লাহ বাবুনগরীর সঙ্গে সাক্ষাতে সাবেক মন্ত্রী কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ। ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘ ১৩ বছর পর দেশে ফিরে বাংলাদেশ হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ মুহিবউল্লাহ বাবুনগরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন কুমিল্লার পাঁচবারের এমপি ও সাবেক মন্ত্রী কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) তিনি এই সাক্ষাৎ করেন।

দেশে আসার পর বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ নিজের নির্বাচনি আসন কুমিল্লার মুরাদনগরে শোকরানা মাহফিলসহ নানা কর্মসূচিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

এরই মধ্যে আলেম ওলামাদের সঙ্গে ভালবাসার টানে ছুটে যান বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় বিদ্যাপিঠ দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসাসহ বেশ কয়েকটি দেশসেরা কাওমী মাদ্রাসায়।

সফরের শুরুতেই তিনি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি বাবুনগর মাদ্রাসায় যান। এ সময় তাকে অভ্যর্থনা জানান বাবুনগর মাদরাসার আলেম ওলামাগনসহ হেফাজতে ইসলামের নেতারা। এ সময় তিনি হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ মুহিবউল্লাহ বাবুনগরীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। হেফাজতে ইসলামের আমিরের স্বাস্থ্যের খবর নেন সাবেক এই  মন্ত্রী।

হেফাজতে ইসলামের আমিরের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্মৃতিচারণ করেন এবং দীর্ঘ আলাপ শেষে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্য দোয়া চান।

দীর্ঘ ১৩ বছর পর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে হেফাজতে ইসলামের আমির বলেন- ‘এ দেশের আলেম-ওলামারা কায়কোবাদ সাহেবকে খুব ভালবাসেন। কারণ তিনি সবসময়ই আলেম-ওলামা মাদ্রাসার সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখেন। তার মতো দ্বীনদার পরহেজগার নেতা সব থানায় থাকলে দেশের মানুষ উপকৃত হতো। আল্লাহ, রাসূল, ইসলাম নিয়ে কেউ কটূক্তি করার সাহস পেত না। তিনি কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আল্লাহর কাছে দোয়া করেন।

সেখান থেকে নানুপুর ওবায়দিয়া মাদ্রাসায় যান সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদ। সেখানে নানুপুর মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল পীরে কামেল মাও সালাহউদ্দিন নানুপুরীসহ মাদরাসা ও দরবারের হাজার হাজার ছাত্র শিক্ষক ও তৌহিদী জনতা স্বাগত জানান।

সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদকে নিজেদের অভিভাবক মনে করেন আলেম ওলামা পীর মাশায়েখ ও কুরআনপ্রেমী জনতা। আল্লাহতায়লা কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদকে জাতির খেদমতে আরও অনেক হায়াত দান করুক বলে মন্তব্য করেছেন নানুপুরের বর্তমান পীর মাওলানা সালাহউদ্দিন নানুপুরী।

এরপর সাবেক এই এমপি দেশের ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি মারকায মেখল মাদরাসায় যান। বিশ্বব্যাপী স্বনামধন্য আরবি বিশ্ববিদ্যালয় হাটহাজারী মাদরাসায় গেলে মাদরাসার মহাপরিচালক ও হেফাজতে ইসলামের সিনিয়র নায়েবে আমির আল্লামা খলিল আহমদ ক্বুরাইশী, মাওলানা আনোয়ার শাহ আযহারী, মাওলানা মুনির আহমদ, মাওলানা শফিউল আলম, মাওলানা আবদুস সবুরসহ সমস্ত উস্তাদরা অভ্যর্থনা জানান সাবেক এ মন্ত্রীকে। 

কাওমি অঙ্গনের সবচেয়ে বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হাটহাজারী মাদ্রাসার উস্তাদ তোলাবার ভালবাসায় সিক্ত সাবেক এই মন্ত্রী বলেন- ‘আলেম ওলামারা নবিদের ওয়ারিশ। তাদের সম্মান করলে আল্লাহ খুশি হন। আর তাদের যারা বেইজ্জত করে জুলুম নির্যাতন করে আল্লাহ তাদেরকে বেইজ্জত করেন। আলেম ওলামাদের সম্মান করুন। আল্লাহর বিধানমতে জিবন পরিচালনা করার আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় তিনি শীর্ষ দুই আলেমকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করে আবেগতাড়িত হয়ে বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা সরকারের মিথ্যা মামলার খড়গ ও জীবনের হুমকি নিয়ে ১৩ বছর দেশান্তর থেকে ফেরার পর সর্বপ্রথম আমার মায়ের কবর জিয়ারত করেছি। এরপরই দুই আকাবিরের কবর জিয়ারত ও শীর্ষ আলেমদের সঙ্গে সাক্ষাতে চট্টগ্রাম সফরে এসেছি। আমার জন্য খাস করে দোয়া করবেন, যেন দেশ, জাতি, উম্মাহ ও দ্বীনের কল্যাণে কাজ করে যেতে পারি।

আলেম ওলামাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি সাবেক মন্ত্রী কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ হেফাজতে ইসলামের সাবেক আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফি (র.) আওয়ামী লীগের নির্যাতনের শিকার সাবেক আমির শহিদ আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী (র.) মুফতীয়ে আজম ফয়জুল্লাহ (র.), আল্লামা জমিরউদ্দীন নানুপুরী (র.), আল্লামা সুলতান আহমদ নানুপুরী  আল্লামা হারুন (র.)-এর কবরে জিয়ারত করেন।

বিশেষ করে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আওয়ামী জালিম স্বৈরশাসকের বিচারিক হত্যাকাণ্ডের শিকার শহিদ সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর কবরে জিয়ারত করেন।

দীর্ঘ এ সফরে কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদের সফরসঙ্গী ছিলেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সহ-প্রচার সম্পাদক মাও. গাজী মুহাম্মদ ইয়াকুব ওসমানীসহ বিএনপি নেতারা।

সুমন/

অন্তর্বর্তী সরকারের মূল দায়িত্ব গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা: ড. মঈন খান

প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:২৯ পিএম
আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:২১ পিএম
অন্তর্বর্তী সরকারের মূল দায়িত্ব গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা: ড. মঈন খান
বীর মুক্তিযোদ্ধা ইমরানুল হক চাকলাদারকে নিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা। ছবি: খবরের কাগজ

রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের মূল দায়িত্ব গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। 

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জিয়া উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তিনি এসব কথা বলেন। 

তিনি বলেন, বিগত ১৫ বছরে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গুম খুনের মাধ্যমে নির্যাতন করেছে। লক্ষাধিক মিথ্যা মামলায় ৫০ লাখ মানুষকে আসামি করে মানুষের অধিকার হরণ করেছিল। সুতরাং আজকে সবাইকে বুঝতে হবে যে অন্তর্বতী সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশা কী? সরকারকেও সেটি উপলব্ধি করতে হবে। একইসঙ্গে তারা যখন উপলব্ধি করবে যে বাংলাদেশের মানুষ তাদের ওপর আস্থা রেখেছে, তখন গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনাই হবে সরকারের মূল দায়িত্ব। 

এর আগে দীর্ঘ ৯ বছর পর শুক্রবার দুপুরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরেন জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক সম্পাদক ও ফ্লোরিডা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইমরানুল হক চাকলাদার। টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকা বিমানবন্দর অবতরণ করেন। এ সময় মুন্সীগঞ্জ-২ (লৌহজং-টঙ্গীবাড়ী) এলাকার অসংখ্য মানুষ তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন। 

সেখান থেকে সরাসরি তিনি শেরে বাংলা নগরে জিয়া উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সমাধিতে যান। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানের নেতৃত্বে ইমরানুল হক চাকলাদারসহ নেতারা ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করেন। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, গবেষণা সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, মিডিয়া সেলের সদস্য শাম্মী আক্তার, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত প্রমুখ।

ড. মঈন খান বলেন, এখানে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলো, নাকি মেয়রাল ইলেকশন হলো সেটি কোনো কথা নয়। দেশের মানুষের ইচ্ছার প্রতিফলন হিসেবে সরকার ক্ষমতায় এসেছে। ডক্ট্রিন অব নেসেসিটি মোতাবেক বর্তমান সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। আমরা একটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কথা বলছি। সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনমতের প্রতিফলন ঘটতে পারে। যারাই জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবেন তারাই সরকার গঠন করবেন। সেটিই হলো গণতন্ত্র। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি।

তিনি বলেন, বিগত দিনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের জনগণ তাদের মতের প্রতিফলন ঘটাতে পেরেছে। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। এটি চলতে থাকবে। আমরা একটি নির্বাচিত সংসদ গঠন করতে চাই। আওয়ামী লীগের মতো ব্যালট চুরি করে দিনের ভোট রাতে করা দেশের মানুষ তা কখনো স্বীকার করেনি। পরবর্তীতে যারাই ক্ষমতায় আসবে তারাই সংস্কার বা অন্য কাজ করবে। যে কেউ দল গঠন করতে চাইলে করবে। এখানে কোনো বাধা নেই।

তিনি আরও বলেন, ব্যাক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়। সেই মন্ত্রে আমরা উদ্বুদ্ধ। আমরা ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছি। অতীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার যদি নব্বই দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে পারে তাহলে ৬ মাসের মধ্যে কেনো পারবে না? সরকারকে তাদের দায়িত্ব ও কাজ বুঝতে হবে।

জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে তিনি বলেন, আগামীর অগ্রযাত্রা নিয়ে একটি ডকুমেন্টেশন তৈরির দাবি উঠেছে। প্রধান উপদেষ্টার কাছে আমরা মতামত দিয়েছি।

মঈন খান আরও বলেন, ইমরানুল হক চাকলাদার দেশে ফিরেছেন। যিনি এক দশক ধরে ফ্লোরিডা বিএনপির হয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। স্বৈরাচার বিদায়ের ফলে তিনি দেশে ফিরেই বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছেন।

এ সময় ইমরানুল হক চাকলাদার বলেন, বিগত স্বৈরশাসকের আমলে আমি এক দশক দেশে আসতে পারিনি। আজকে এসে আমি আপ্লুত। আমরা নতুন দেশ গড়তে কাজ করবো এটাই প্রত্যাশা। অবিলম্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবে। যাতে জনগণ ভোটাধিকার ফিরে পায়।

এ সময় জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে শহিদ এবং আহতদের জন্য মাগফিরাত কামনা করে নিজের জন্য সবার কাছে দোয়া চান তিনি।

শফিকুল ইসলাম/নাবিল/

পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে: চরমোনাই পীর

প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:৩৪ পিএম
আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:৩৪ পিএম
পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে: চরমোনাই পীর
ইসলামী যুব আন্দোলনের কনভেনশনে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। ছবি: খবরের কগজ

সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম চরমোনাই পীর।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী যুব আন্দোলনের পঞ্চম জাতীয় যুব কনভেনশনে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, পিআর পদ্ধতিতে আপনাদের ভয় কোথায়? বাঁধা কোথায়? বর্তমান পদ্ধতির নির্বাচনের মাধ্যমে এককভাবে ক্ষমতায় গিয়ে আবারও জুলুমের স্টিমরোলার জনগণের ওপর চাপিয়ে দেবেন, এটা আর হবে না। উচ্চকক্ষ হোক আর নিম্নকক্ষ হোক সব নির্বাচনই পিআর পদ্ধতিতে হতে হবে।

কনভেশনে ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান মুজাহিদকে সভাপতি, ইঞ্জিনিয়ার মারুফ শেখকে সহ-সভাপতি ও মাওলানা মানছুর আহমদ সাকীকে সেক্রেটারি জেনারেল করে নতুন কমিটি ঘোষণা করেন চরমোনাই পীর।

রেজাউল করিম বলেন, গণঅভ্যুত্থানে হাজার হাজার ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে অন্তর্বর্তী সরকার। কিন্তু আপনাদের অনেক কার্যক্রম প্রশ্নবিদ্ধ। আপনাদের দুর্বলতা কোথায়? চাঁদাবাজ ও খুনিদেরকে এদেশের মানুষ ক্ষমতায় দেখতে চায় না। পরিবর্তন করে সুন্দর পরিবেশ তৈরির জন্য সবাইকে কাজ করতে হবে।

রাজনৈতিক দলগুলোকে অবস্থান স্পষ্ট করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যারা হাজার হাজার মায়ের বুক খালি করেছেন তাদেরকে নির্বাচনের জন্য আহ্বান করছেন, কিছু দল তাদেরকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করছেন, ফ্যাসিবাদদের দোসরদের নিয়ে আবার ক্ষমতা দখল করবেন, এটা আর কখনো হবে না। এই ধোঁকাবাজি জনগণ বুঝে গেছে।

চরমোনাই পীর বলেন, ৫৩ বছর দেশ স্বাধীনতায় যারা শাসন করেছে, তারা নতুন করে কোনো আশা দেখাতে পারবে না। এখন পরিবর্তন দরকার, ইসলামকে ক্ষমতায় আনতে হবে। মায়ের কোল খালি করবে, বিদেশে টাকা পাচার করবে, বেগম পাড়া তৈরি করবে- তাদের রাজনীতি দেশের জনগণ আর দেখতে চায় না। তার জন্য যদি আবারও প্রয়োজন হয় আমরা রক্ত দিতে প্রস্তুত আছি।

আগামী নির্বাচনে যুবকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা আহ্বান জানিয়ে ইসলামী আন্দোলনের আমির বলেন, কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যায়ে শক্তি বাড়াতে হবে। এজন্য ইসলামের পক্ষে যুবকদেরকে নিয়ে আসতে মাসে কমপক্ষে ৪ জনকে দাওয়াত দিতে হবে। আগামী দিনে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ইসলামী নীতি আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য কাজ করতে হবে।

কনভেনশনে ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, অতীতের সরকার সব কিছু ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। ফলে সংস্কার করে নির্বাচন দিতে হবে। এককক্ষ বা দ্বি-কক্ষ যাই হোক সব নির্বাচন পিআর পদ্ধতির হতে হবে। অন্যথায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না।

অনুষ্ঠানে যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন বলেন, ১৬ বছর আলেম ওলামাদের জুলুমের কারণে অনেককে বিদেশ চলে যেতে বাধ্য হয়েছিল। জুলাই বিপ্লবে আপনাদের যে ত্যাগ ছিল, তা জাতি চিরদিন স্বরণ করবে।

ইসলামী যুব আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ নেছার উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারী জেনারেল মুফতি মানসুর আহমাদ সাকী, প্রকৌশলী মারুফ শেখ ও মাওলানা রহমাতুল্লাহ বিন হাবিবের যৌথ সঞ্চালনায় কনভেনশনে আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, নায়েবে আমীর মাওলানা আবদুল আউয়াল, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/নাবিল/এমএ/

দেশের সবচেয়ে বড় মজলুম দল জামায়াত: আমির

প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:৫০ পিএম
আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:১১ পিএম
দেশের সবচেয়ে বড় মজলুম দল জামায়াত: আমির
চুয়াডাঙ্গায় জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের আমীর ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: খবরের কাগজ

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মজলুম দল জামায়াত বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় আমির ডা. শফিকুর রহমান। 

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকালে চুয়াডাঙ্গা জেলার টাউন মাঠে জেলা জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বৈষম্যহীন, মানবিক, দুর্নীতি-দুঃশাসন মুক্ত বাংলাদেশ কায়েম না পর্যন্ত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী থামবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'গত সাড়ে ১৫ বছরে জামায়াতের নেতাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসি দেওয়া হয়েছে, হাজারও নেতাকর্মীকে খুন করা হয়েছে, ক্রসফায়ারের নামে হত্যা করা হয়েছে। হাট-ঘাট, মসজিদ-মাদরাসা এমনকি মন্দিরেও লুটপাট চালিয়েছে আওয়ামী লীগ ও তার দোসররা। কিন্তু ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ ও তার দোসররা চাটিবাটি নিয়ে পালিয়ে গেছে। দুর্নীতিবাজ সবাই পালিয়েছে।'

আওয়ামী লীগের শাসনামলের প্রতি ইঙ্গিত করে জামায়াত আমির বলেন, ‘ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে তারা দেশের জ্ঞানী, শিক্ষিত, মার্জিত ও অভিজ্ঞ মানুষদের হত্যা করেছে। হাজারও মানুষকে নির্যাতন করেছে। তারা শত শত মানুষকে গুম-খুন করেছে। মানুষের ইজ্জত লুণ্ঠন করেছে। উন্নয়নের বুলি শুনিয়ে তারা দেশের সম্পদ লুট করেছে।’

দেশের মানুষের সামনে দাঁড়ানোর মতো সৎ সাহস শেখ হাসিনার ছিল না, যে কারণে তিনিসহ তার দোসররা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, ‘পর পর তিন তিনটি নির্বাচনে তারা মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। জুলাই-আগস্টে আমাদের সন্তানেরা বিপ্লব ঘটিয়ে ২৪-এ স্বাধীনতা এনেছেন। ফলে স্বৈরাচার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। যারা আমাদের সন্তানদের ওপর গুলি চালিয়েছে, গণহত্যা চালিয়েছিল জনগণ তাদেরকে এক দফা দিয়ে দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে।'