ঢাকা ৩০ পৌষ ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫

শহিদদের আত্মত্যাগ জাতি কখনও ভুলবে না: আমিনুল হক

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৩ পিএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৭ পিএম
শহিদদের আত্মত্যাগ জাতি কখনও ভুলবে না: আমিনুল হক
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসে স্মরণ করছি সেই সব শহিদদের, যারা বাংলাদেশকে স্বাধীন করার জন্য নিজেদের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। শহিদদের আত্মত্যাগ জাতি কখনও ভুলবে না।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে মিরপুরে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন জানানোর আগে তিনি এ সব কথা বলেন। 

জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা পাবে উল্লেখ করে আমিনুল হক বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরে এসেও বাংলাদেশে যাতে আর কোন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, গণতন্ত্র রক্ষা ও জনগণের ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য আর কোন ভাইকে আর কাউকেই প্রাণ দিতে না হয়, এর জন্য যেন আর কোন রক্তপাত না হয়। জাতি এটাই প্রত্যাশা করে। 

এর আগে বিএনপির উদ্যোগে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে শ্রদ্ধা নিবেদন কালে বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুস সালাম, বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব, মীর সরাফত আলী সপু, শামীমুর রহমান শামীম, বিএনপি ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক, সদস্যসচিব মোস্তফা জামান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনসহ বিএনপি ও অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

সকাল থেকেই শ্রদ্ধা নিবেদনে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ, আইনজীবীফোরাম, ড্যাব, জাতীয়তাবাদী যুবদল, ছাত্রদল, মহিলাদল, মৎস্যজীবিদল, কৃষকদল, শ্রমিকদল, জাসাস, ঢাকা মহানগর উত্তর দক্ষিণ যুবদলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। 

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদনকালে মহানগর যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, এ বি এম এ রাজ্জাক (দপ্তর), আক্তার হোসেন, আতাউর রহমান চেয়ারম্যান, গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, তুহিরুল ইসলাম তুহিন, এম কফিল উদ্দিন আহমেদ, হাজী মো. ইউসুফ, মাহাবুবুল আলম মন্টু, মহানগর সদস্য আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, আলী আকবর আলী, ডা. এ কে এম কবির আহমেদ রিয়াজ, হুমায়ুন কবির রওশন, শামীম পারভেজ, সাজ্জাদ হোসেন মোল্লা, নুরুল হুদা নূরু, রফিকুল ইসলাম খান, এম এস আহমাদ আলী, ইব্রাহিম খলিল (সহ-দপ্তর), জাহেদ পারভেজ চৌধুরী ও তাসলিমা রিতা প্রমুখ। 

এসময় শ্রদ্ধা নিবেদনে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির মিরপুর থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল বাশার ভূইয়া, শ ম আরিফ উল্লাহর নেতৃত্বে, কাফরুল থানার  বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আকরামুল হক ও যুগ্ম আহ্বায়ক সাব্বির দেওয়ান জনির নেতৃত্বে পল্লবী থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক কামাল হুসাইন খান, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ আলী গাজীর নেতৃত্বে, বিমানবন্দর থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক মহিউদ্দিন তারেক, মন্জুর হোসেন পাটোয়ারী, বশির উদ্দিনের নেতৃত্ব, রূপনগর থানা বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইন্জি. মজিবুল হক,যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আহমেদ রাজু, শেখ হাবিবুর রহমান হাবিব, অলিউল হাসানাত তুহিন, উত্তরা পূর্ব থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম খান, খিলক্ষেত থানা বিএনপির আহ্বায়ক এস এম ফজলুল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক সিএম আনোয়ার হোসেন এর নেতৃত্বে, শাহআলী, বাড্ডা, ভাটারা, রামপুরা, তুরাগ, তেজগাঁও, শেরেবাংলা নগর,আদাবর, বনানী, গুলশান, দক্ষিণখান, উত্তরা পশ্চিম ও দারুসসালাম থানা বিএনপির নেতাকর্মীরা শ্রদ্ধা জানান।

এছাড়াও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ২৬টি থানা ও ৭১টি ওয়ার্ড নেতাকর্মীরা স্মৃতিসৌধে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান। 

রায়ের বাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধা

রায়ের বাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে বিএনপির পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানান বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম। এসময় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী মো. ইউসুফ ও মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য এম এস আহমাদ আলীসহ স্হানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের এবি পার্টির নব নির্বাচিত নেতাদের শ্রদ্ধা

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৪৯ পিএম
জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের এবি পার্টির নব নির্বাচিত নেতাদের শ্রদ্ধা
জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা জানিয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) নবনির্বাচিত নেতারা। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা জানিয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) নবনির্বাচিত নেতারা। এরপর রায়ের বাজারে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শাহাদাতবরণকারী বীর শহিদদের গণকবরে গিয়ে সেখানে ফাতেহা পাঠ ও দোয়া মোনাজাত করেন তারা। 

দলের সদ্য নির্বাচিত চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু ও সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদের নেতৃত্বে নির্বাচিত জাতীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্যরা নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রথমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এসময় এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু দলের নেতাকর্মীদের দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, মুক্তিযুদ্ধ ও ২৪ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানোর শপথ করান।

উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশে মঞ্জু বলেন, আমার বাংলাদেশ পার্টি ১১ জানুয়ারি কাউন্সিলের মাধ্যমে চেয়ারম্যান, সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্যদের নির্বাচিত করেছে। আমরা নির্বাচিত নেতৃবৃন্দ নেতাকর্মীসহ মুক্তিযুদ্ধে যারা জীবন দিয়েছেন, যাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা একটি স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছি। 

তিনি বলেন, আজকে আমরা শপথ নিয়েছি মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণাপত্রের আলোকে ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে বাংলাদেশকে একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্রে পরিণত করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। তিনি আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) নতুন কমিটির সফলতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চান।

মহান মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শাহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, আমরা সেবা সমস্যা সমাধানের রাজনীতি নিয়ে দেশবাসীর কাছে যাচ্ছি। আশাকারি দেশের মানুষ প্রচলিত ধারার রাজনৈতিক ধারণার বাইরে গিয়ে রাষ্ট্র মেরামতের এই নতুন রাজনীতির পাশে দাঁড়াবেন। তিনি দেশবাসীর কাছে নির্বাচিত নেতারাসহ এবি পার্টির সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের প্রতি দোয়া ও সহোযোগিতা কামনা করেন।

জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে এর পর পরই এবি পার্টির নেতারা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহিদদের গণকবর জিয়ারত করতে রায়ের বাজার যান। সেখানে শহিদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ, দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

এসময় জাতীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্যবৃন্দ, ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণ, যুবপার্টি ও নারী নেত্রীরাসহ এবি পার্টির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এমএ/

আওয়ামী ফ্যাসিবাদের ইন্ধনে থাকাদেরও বিচার হবে: হাসনাত আবদুল্লাহ

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:১৯ পিএম
আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৩৬ পিএম
আওয়ামী ফ্যাসিবাদের ইন্ধনে থাকাদেরও বিচার হবে: হাসনাত আবদুল্লাহ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির পথসভায় বক্তব্য রাখেন হাসনাত আবদুল্লাহ। ছবি: খবরের কাগজ

যারা বলে আওয়ামী লীগ ছাড়া জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না, তারা আওয়ামী ফ্যাসিবাদের ইন্ধনে ছিল, তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের দাবিতে কেন্দ্র ঘোষিত গণসংযোগ কর্মসূচির অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লিফলেট বিতরণ, গণসংযোগ ও পথসভায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের রাজনীতি পুনর্বাসিত হবে কি না, তা এখন প্রাসঙ্গিক আলাপ নয় বরং আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড থেকে শুরু করে কেন্দ্র পর্যন্ত প্রত্যেকটি নেতা-কর্মীকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। তাদের বিচার না হওয়ার পর্যন্ত যারা তাদের পুনর্বাসিত হওয়ার কথা বলবে, যারা বলতে চাইবে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না, আমরা ধরে নেব তারা গত ১৬ বছর ধরে আওয়ামী লীগ দেশে যে জাহিলিয়াতের রাজনীতি কায়েম করেছে সেখানে তাদেরও ইন্ধন ছিল।’

তিনি বলেন, পরবর্তীতে যারাই ক্ষমতায় আসবে তারা তরুণ প্রজন্মের ভাষা বুঝতে ব্যর্থ হলে আওয়ামী লীগের যে পরিণতি হয়েছে, তাদেরও একই পরিণতি হবে।

৫ আগস্ট বাংলাদেশ থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চূড়ান্ত হয়ে গেছে উল্লেখ করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘একদিকে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবীরা বিপ্লবের লিখিত দালিলিক স্বীকৃতির জন্য অপেক্ষা করছে, অন্যদিকে রাষ্ট্রতন্ত্র ফ্যাসিবাদকে পুনর্বাসিত করার জন্য বিভিন্ন ভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত এখন নতুন করে নেওয়া কিছুই নেই। ৫ই আগস্ট বাংলাদেশ থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চূড়ান্ত হয়ে গেছে।’

এখনো জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রকাশ না হওয়ার কর্মসূচিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে দ্রুত লিখিত ঘোষণাপত্র প্রকাশের আহ্বান জানান হাসনাত আবদুল্লাহ।

এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্থা শারমিন।

তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র যদি এখনই আদায় করা না যায়, তাহলে ইতিহাস থেকে আমাদের মুছে ফেলার যে প্রক্রিয়া তা আবারও দখল করতে আসবে কিন্তু আমরা তা হতে দেব না।

সামান্থা শারমিন বলেন, নারায়ণগঞ্জের শামীম ওসমানের জুলুম-অত্যাচারে মানুষ অতিষ্ঠ ছিল। তাই শামীম ওসমানসহ তার সঙ্গীদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

পথসভা শেষে দুই সংগঠনের নেতারা নগরী চাষাঢ়া থেকে মিশন পাড়া পর্যন্ত স্থানীয় নেতাদের নিয়ে গণসংযোগে অংশ নেন।

পরে সিদ্ধিরগঞ্জ-চিটাগং রোডে সোনারগাঁও উপজেলার কাঁচপুরে পথসভার উদ্দেশ্যে রওনা হন দুটি সংগঠনের নেতারা।

বিল্লাল/নাবিল/অমিয়/

মিরসরাইয়ে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে যুবদল কর্মী নিহত

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:০৭ পিএম
আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:২৩ পিএম
মিরসরাইয়ে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে যুবদল কর্মী নিহত
প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত যুবদল কর্মী। ছবি: খবরের কাগজ

চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার স্টেডিয়ামে মাসব্যাপী বাণিজ্য মেলায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই গ্রুপের কথা কাটাকাটির জেরে যুবদল কর্মী জাহেদ হোসেন মুন্না (২০) নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আটজন। 

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত মুন্না মিরসরাই পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের গোভনীয়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে। 
 
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যার পর বাণিজ্য মেলায় মিরসরাই পৌর বিএনপির সদস্যসচিব জাহিদ হোসাইনে অনুসারীদের সঙ্গে যুবদলের আহ্বায়ক কামরুল হাসানের অনুসারীদের কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় জাহিদের অনুসারীদের হামলায় কামরুলের কয়েকজন কর্মী আহত হন। এর পর রাত সাড়ে ১০টার দিকে কামরুলের অনুসারীরা জাহিদের বাড়িতে এবং তার অনুসারীদের উপর হামলা চালায়।

এই হামলায় যুবদল কর্মী জাহেদ হোসেন মুন্না গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

জাহিদ হোসেন ও কামরুল হাসান দুইজনই চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক এবং সাবেক মীরসরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিনে অনুসারী।

মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, ‘আমি মুন্না নামে একজন নিহত হওয়ার খবর শুনেছি, তবে এখনও লাশ দেখিনি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।’

সাফিন/তাওফিক/অমিয়/

স্থায়ী কমিটির বৈঠক জুলাইয়ে নির্বাচন চায় বিএনপি

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৫৩ পিএম
আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৪৩ পিএম
জুলাইয়ে নির্বাচন চায় বিএনপি
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

চলতি বছরের জুলাইয়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চায় বিএনপি। এছাড়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করার যে চিন্তা অন্তর্বর্তী সরকার করছে, সেটিও খুব সন্দেহের চোখে দেখছেন দলটি। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) রাতে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। 

নির্ভরযোগ্য সূত্রমতে, বৈঠকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় পণ্যের উপর ট্যাক্স বসানো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে একাধিক সদস্য বলেন, সরকারের ভেতর থেকে একটি অংশ জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা করছে। নির্বাচন নিয়ে তাদের মনোভাবও বোঝা যাচ্ছে না। তাই আগেভাগেই নির্বাচনের ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে মাঠের কর্মসূচিতে নামার ব্যাপারে মত দেন কেউ কেউ।

তারা মনে করছেন জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন করার যে কথা বলা হচ্ছে, তা উদ্দেশ্যপ্রণোদ্দিত ও দুরভিসন্ধি। সংসদ নির্বাচন প্রলম্বিত করার চেষ্টার দুরভিসন্ধি থেকে এটি করা হচ্ছে। অতীতে কোনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার তো করেনি? এর পেছেনও উদ্দেশ কি? শিগগিরই এ বিষয়ে দলের অবস্থান পরিষ্কার করা হতে পারে।

সূত্র আরও জানায়, স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর ভ্যাট–ট্যাক্স এবং গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের বিষয়েও আলোচনা হয়। তখন দুজন সদস্য বলেন, এতে জীবনযাত্রার খরচ বাড়বে। মানুষ এমনিতে কষ্টে আছেন। এই সিদ্ধান্ত তাদের আরও দুর্ভোগে ফেলবে।

বৈঠকে লন্ডনে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়েও আলোচনা হয়। দলের নীতিনির্ধারকদের জানানো হয় খালেদা জিয়া মানসিকভাবে ভালো আছেন। পারিবারিক পরিবেশে আছেন। সোমবার তিনি হাসপাতালের শয্যা থেকে উঠে দাঁড়িয়েছেন, কিছুটা হাঁটার চেষ্টা করেছেন। 

এ সময় খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাওয়া হয়।

সভায় সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ বিষয়ক একটা কমিটি গঠন করা হয়। বিস্তারিত আলোচনা হয়। কমিটির প্রধান হলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, সদস্য  প্রফেসর এ কে এম ওয়াহিদুজ্জামান ও ব্যারিষ্টার কায়সার কামাল। তারা সাইবার সুরক্ষা বিষয়ে আরও তথ্য সংগ্রহ করে একটি প্রতিবেদন পেশ করবে। এছাড়া সভায় দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত উর্দ্ধগতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আহ্বায়ক ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জনাব ইসমাইল জবিউল্লাহ সমন্বয়ে এই বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়। দ্রব্যমূল্যর উধ্বগতি নিয়ে শিগগিরই সংবাদ সম্মেলন করবে বিএনপি।

সোমবার সন্ধ্যা ছয়টা ২৫মিনিটে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়। আড়াই ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠক শেষ হয় রাত ৯টা ৫ মিনিটে। এতে লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপত্বি করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বেগম সেলিমা রহমান, মেজর অব. হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম)।

শফিকুল ইসলাম/মেহেদী

খালেদা জিয়ার পরবর্তী চিকিৎসার পরিকল্পনা শুক্রবারের মধ্যেই

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৩৪ পিএম
আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৫৭ পিএম
খালেদা জিয়ার পরবর্তী চিকিৎসার পরিকল্পনা শুক্রবারের মধ্যেই
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র চেয়ারপারসন ও বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত

বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা এখনও চলছে এবং আগামী শুক্রবারের (১৭ জানুয়ারি) মধ্যে এসব পরীক্ষা- নিরীক্ষা শেষ হতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। 

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) লন্ডনের স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় সেন্ট্রাল লল্ডনের 'দ্য লন্ডন ক্লিনিকে'র সামনে ব্রিফিংকালে তিনি সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, 'বেগম খালেদা জিয়ার মেডিকেল সব রিপোর্ট হাতে পেতে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে। চিকিৎসকরা আগামী শুক্রবারের মধ্যেই তার পরবর্তী চিকিৎসা সম্পর্কে একটি পরিকল্পনা তৈরি করতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে।’ 

ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘চিকিৎসকরা এখন ম্যাডামের চিকিৎসায় অতি দ্রুত যে সব পরিবর্তন আনা দরকার সেগুলো আনছেন। পরবর্তী চিকিৎসা কতটুকু প্রয়োজন সে বিষয়েই এখন আলোচনা হচ্ছে।’ 

তিনি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে দেশবাসী যেমন উদ্বিগ্ন ঠিক তেমনি এখানকার চিকিৎসকরা খুব ভালোভাবে তাঁর টেক কেয়ার করছেন।’ 

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার চলমান চিকিৎসার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক বলেন, ‘ন্যাপ্রলজি কনসালটেন্ট, হেপাটোলজি কনসালটেন্ট ও লিভার ট্রান্সপ্লান্টসহ বিভিন্ন বিষয়ে ডাক্তাররা প্রতিদিনই বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা- নীরিক্ষা করছেন। পরীক্ষার রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে কিছু কিছু পরিবর্তন আনা হচ্ছে।’ 

তিনি বলেন, ‘অতীতে বাংলাদেশে উনার যেসব চিকিৎসা হয়েছে এখানে আসার পর কিছু কিছু চিকিৎসার পরিবর্তন এনেছেন ডাক্তাররা। খালেদা জিয়ার লিভার ডিজিজ এবং হার্টের যে সমস্যা রয়েছে সেগুলোর রিপোর্ট এখনো কমপ্লিট হয়নি।’ 

খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সর্বশেষ পরিস্থিতি তুলে ধরে সাংবাদিকদের ডা. জাহিদ বলেন, ‘খালেদা জিয়া কখনোই নিজের শারীরিক অসুস্থতার কথা মানুষের সামনে আনতে চাননি। তার ওপর অনেক অত্যাচার হয়েছে। কিন্তু সবসময় তিনি মানুষের কথা বলেছেন, নিজের কথা বলেননি। আজও উনি যখন জানতে পেরেছেন, তীব্র শীতের মধ্যে আপনারা (সাংবাদিক) বাইরে দাঁড়িয়ে আছেন, তখন অনিচ্ছা সত্ত্বেও বললেন, যাও। তিনি দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন ও সাংবাদিকসহ সবার প্রতি ধন্যবাদ জানিয়েছেন।’

এ সময় যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম এ মালেক ও সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম এ মালেক খালেদা জিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলাপ করেছেন লন্ডনের স্থানীয় সাংবাদিক শাহেদ শফিকের সঙ্গে।  

সোমবার ব্রিটিশ সময় রাত সাড়ে ১১টায় তিনি শাহেদ শফিককে বলেন, ‘আজ সারা দিন আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান হাসপাতালে ছিলেন। তার সঙ্গে স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান, নাতনী ব্যারিস্টার জায়মা রহমানসহ পরিবারের সবাই হাসপাতালে আছেন। খালেদা জিয়া খুবই হাসি-খুশি আছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সবাই সার্বক্ষণিক খালেদা জিয়ার তদারকি করছি। বাংলাদেশি ডাক্তার এবং বিদেশি ডাক্তারসহ সবাই জানিয়েছেন তিনি ধীরে ধীরে সুস্থ্য হয়ে উঠছেন। আমরা তার জন্যে দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করছি।’ সূত্র: বাসস

সুমন/