ঢাকা ৭ ফাল্গুন ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৭ ফাল্গুন ১৪৩১

২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের তাগাদা

প্রকাশ: ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০৪ এএম
আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৬ এএম
২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের তাগাদা
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের তাগাদা দিয়েছে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা ১২-দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ও বাংলাদেশ লেবার পার্টি। তারা বলছে, নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ও তার প্রেস সচিবের বক্তব্য অস্পষ্ট ও পরস্পরবিরোধী। তারা আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি বা মার্চ মাসের মধ্যে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চায়। নির্বাচনি সংস্কারগুলো শেষ করে ২০২৫ সালের ডিসেম্বরে ভোট দেওয়া সম্ভব। দলগুলোর দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেছে বিএনপি।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে প্রথমে ১২-দলীয় জোট, পরে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ও বাংলাদেশ লেবার পার্টির (ইরান) সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি। তিন বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে অংশ নেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, লিয়াজোঁ কমিটির সমন্বয়ক ও স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান ও ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু। বৈঠক বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শুরু হয়ে শেষ হয় রাত সাড়ে ৮টার দিকে। শনিবার দুই জোট ও দল মিলিয়ে অন্তত ২৪ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া আরও অন্তত ২৬টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রম, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিসহ দেশের সামগ্রিক ইস্যুতে মতামত দেয় জোট ও দলগুলো। তবে বিএনপির পক্ষ থেকে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়নি। বৈঠকে বিএনপির নেতারা বলেছেন, যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেওয়া সব দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে স্থায়ী কমিটিতে আলোচনা হবে। এরপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 

বৈঠকে অংশ নেওয়া দল ও জোটের একাধিক নেতা জানান, বৈঠকে মূলত নির্বাচনের রোডম্যাপের ব্যাপারে মতামত চেয়েছে বিএনপি। আমরা বলেছি, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ২০২৫ সালের ডিসেম্বর বা ২০২৬-এর প্রথমার্ধে নির্বাচন করার কথা বলেছেন। কিন্তু সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দেননি। আবার তার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। তাদের এই ধরনের বক্তব্য পরস্পরবিরোধী ও সাংঘর্ষিক। যেহেতু নির্বাচন কমিশন গঠন হয়ে গেছে। ফলে আমরা দ্রুত নির্বাচন চাই। ২০২৫ সালই এই সরকারের নির্বাচন আয়োজন করার জন্য যথেষ্ট সময়।

তারা আরও জানান, ইতোমধ্যে কিংস পার্টির তৎপরতা বেড়েছে। ‘জনশক্তি’ নামে অন্তর্বর্তী সরকারের কেউ কেউ নতুন কিংস পার্টি গঠন করতে চাইছেন। নির্বাচন করতে কালক্ষেপণের পেছনে এটা অনেকটা দায়ী। সরকারের ‘অনুকম্পা’ নিয়ে কোনো রাজনৈতিক দল যেন না হয়। তারা যদি দল করতে চান, তাহলে সরকার থেকে পদত্যাগ করে সরাসরি রাজনৈতিক দল গড়ে তুলুক। 

১২-দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা খবরের কাগজকে বলেন, ‘দেশের রাজনৈতিক ও সামগ্রিক ইস্যুতে বিএনপি আমাদের মতামত নিয়েছে। আমরা প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচন চাই।’ 

১২-দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপি চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম খবরের কাগজকে বলেন, ‘সরকারের কাজের গতি ও দক্ষতা থাকলে ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে দ্রুত সময়ের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করা সম্ভব। নির্বাচন ইস্যুতে বিএনপির সঙ্গে আমরা সম্পূর্ণ একমত। আমরা মনে করি, ২৫ সালের মধ্যে নির্বাচন হওয়া দরকার।’

সূত্র জানায়, নির্বাচনের সুস্পষ্ট রোডম্যাপের দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে পর্দার আড়ালে আলোচনা চালাবে বিএনপি। অন্তর্বর্তী সরকারকে বিতর্কের মুখে ফেলতে চায় না বলেই রাজপথে আন্দোলনে নামার কথা ভাবছে না দলটি। তবে আগামী বছরের শুরুর দিকেই নির্বাচনের বিষয়ে সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা চায় বিএনপি। বৈঠকে অংশ নেওয়া নেতারা বলেছেন, নির্বাচন ইস্যুতে সরকারপ্রধানের ঘোষিত সম্ভাব্য সময়ের ব্যাপারে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে রাজনৈতিক দলগুলো। অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ ও অকার্যকর করে তুলতে পতিত ফ্যাসিবাদী শক্তিতে বহু আয়োজন চলছে। এসব কথা বিবেচনা করেই রাজপথের আপাতত কোনো কর্মসূচিতে যাচ্ছে না বিএনপি।

সমমনা দলের নেতারা বলেন, ‘গত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। এমনকি দীর্ঘ বছর ধরে স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও ভোট দিতে পারেনি। তাই জনগণ ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। এখন রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কালক্ষেপণ হলে জনগণও তা ভালোভাবে নেবে না। এখন প্রধান উপদেষ্টা, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দল ও অন্যান্য অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করবেন বলে আমরা আশা করি।’

জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপি চেয়ারম্যান ডা. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ খবরের কাগজকে বলেন, ‘নির্বাচনের ব্যাপারে আমরা সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চাই। বিশেষ করে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব। জনগণের সরকার দ্রুত প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সংস্কারের নামে কালক্ষেপণ করা যাবে না।’ 

১২-দলীয় জোটের প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, সমসাময়িক রাজনীতি, আগামী নির্বাচন ও পঞ্চদশ সংশোধনীর রায়ের পর গণভোট-ব্যবস্থা আলোচনায় স্থান পায়।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘শেখ হাসিনার পতনের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদের পতন হয়েছে। কিন্তু গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়নি। নির্বাচন নিয়ে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হলেও এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা দীর্ঘদিন একসঙ্গে আন্দোলন করেছি, হাসিনার পতনের এক দফা দাবির বাস্তবায়ন হয়েছে। কিন্তু আমাদের আরেকটি উদ্দেশ্য হচ্ছে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা, সেটি এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। সেই লক্ষ্যেই এই আলোচনাগুলো হচ্ছে। যেহেতু প্রধান উপদেষ্টা ও তার প্রেস সচিবের বক্তব্যে মিল নেই, তাই নির্বাচনের সময় নিয়ে কোনো মন্তব্য করব না।’ 

বিকেল সাড়ে ৪টায় বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন ১২-দলীয় জোটপ্রধান ও জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তাফা জামাল হায়
দারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাগপার সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, জমিয়তে উলামায় ইসলামের মহাসচিব মুফতি গোলাম মুহিউদ্দিন ইকরাম, বিকল্পধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন ব্যাপারী, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজসহ জোটের শীর্ষ ১২ নেতা। 

অন্যদিকে এনপিপি চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদের নেতৃত্বে বৈঠকে অংশ নেন জাগপার আরেক অংশের সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, গণদলের চেয়ারম্যান এ টি এম গোলাম মাওলা চৌধুরী, ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির চেয়ারম্যান আবু তাহের, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান এম এন শাওন সাদেকীসহ জোটের শীর্ষ নেতারা। লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান ও মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি।

আ.লীগ দেশের মানুষকে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে: দুলু

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৩৫ পিএম
আ.লীগ দেশের মানুষকে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে: দুলু
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক উপমন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ দেশের মানুষকে ভোট থেকে বঞ্চিত করেছে। দীর্ঘ ১৫ বছর দেশের সব নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছিল।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে নাটোর শহরের আলাইপুরস্থ জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে নাটোর চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দ সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুলু এসব কথা বলেন।

রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, আওয়ামী লীগের শাসন আমলে পার্লামেন্ট নির্বাচন থেকে শুরু করে দেশে কোনো নির্বাচনই হয়নি। দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। মানুষের ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। শ্রমিক নির্বাচন থেকে শুরু করে দেশের সকল নির্বাচন নষ্ট করেছে। দীর্ঘ ১৫ বছর বিএনপি মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকারের সংগ্রাম চালিয়েছে। আমরা ভোট থেকে বঞ্চিত হয়েছি। অনেক বছর ধরে পার্লামেন্ট নির্বাচনের জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হয়েছে। এ গণতন্ত্রের অধিকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।

বিএনপির দুলু আরও বলেন, আগামী পার্লামেন্ট নির্বাচন নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত চলছে। যে নির্বাচন তিন মাসের মধ্য হওয়ার কথা কিন্তু যারা আজকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় রয়েছে, তারা চেষ্টা করছে নির্বাচন যত দেরিতে করা যায়। নির্বাচিত সকল নেতাদের বলতে চাই, নির্বাচন যেদিন হোক না কেন, আপনারা এখন থেকেই বিএনপির ধানের শীষ প্রতীককে জয়লাভ করানোর জন্য কর্মকাণ্ড শুরু করতে হবে। নাটোর সুগার মিল শ্রমিক নির্বাচন আমাদের উৎসাহ সৃষ্টি করেছে। আমরা বিশ্বাস করি, আপনাদের এ বিজয় আগামী পার্লামেন্ট নির্বাচনে বিএনপিকে অনুপ্রেরণা ও উৎসাহিত করবে। এ বিজয় আগামী পার্লামেন্ট বিজয়কে ত্বরান্বিত করবে।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম আফতাব, নাটোর পৌরসভার সাবেক মেয়র কাজী শাহ আলম, শ্রমিক নেতা হাবিবুর ইসল্ম হেলাল, সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ, সহ-সভাপতি আতাউর রহমান বাবু, সহ-সভাপতি (অফিস)  মাইনুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (কারখানা) মাহামুদুল হাসান নাহিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (অফিস) মো. আনোয়ার হোসেন চৌধুরী প্রমুখ।

ক্ষমতার মোহে স্বৈরাচার হওয়ার চেষ্টা করলে জনগণ প্রতিরোধ করবে: আমিনুল হক

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:০৭ পিএম
আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৩৭ পিএম
ক্ষমতার মোহে স্বৈরাচার হওয়ার চেষ্টা করলে জনগণ প্রতিরোধ করবে: আমিনুল হক
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

অন্তবর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেন, আওয়ামী স্বৈরাচারের ইন্ধনে অন্তবর্তী সরকারের কিছু ব্যক্তির ভিতরে ক্ষমতার মোহ ধরেছে। ক্ষমতা ধরে রাখতেই তারা নতুন করে যড়যন্ত্র করছে। তবে ক্ষমতার মোহে স্বৈরাচার হওয়ার চেষ্টা করলে জনগণ প্রতিরোধ করবে। 

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মিরপুর ১ নম্বর জি ব্লক ঈদগাহ মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর শাহআলী থানা বিএনপির কর্মীসভা ও রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফার কর্মশালায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

তিনি বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, দীর্ঘ ১৭ বছরে অনেক যুদ্ধ, ত্যাগ-তিতিক্ষার মাধ্যমে বাংলাদেশ নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। দেশ স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে। সেই স্বৈরাচার মুক্ত বাংলাদেশে আমরা আর কাউকে স্বৈরাচার হওয়ার সুযোগ দিব না।’ 

অন্তবর্তী সরকার সংস্কারের নামে নির্বাচন পেছানোর অপচেষ্টা করছে উল্লেখ করে আমিনুল হক বলেন, বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। যে নির্বাচনের মাধ্যমে এদেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে এবং জনগণের নির্বাচিত সরকার জনগণকে সঙ্গে নিয়েই রাষ্ট্রের পরিপূর্ণ সংস্কার করবে। 

একটি মহলের ষড়যন্ত্রে এখনও পর্যন্ত দেশে স্থিতিশীলতা আসেনি মন্তব্য করে বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, দীর্ঘ ৬ মাস হয়ে গেল, এখনও পর্যন্ত ষড়যন্ত্রকারীরা রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বসে ষড়যন্ত্র করে বেড়াচ্ছে। সবার ভিতরে একটা শঙ্কা কাজ করছে। এই বিষয়ে সবাইকে সর্তক থাকতে হবে। 

তিনি আরও বলেন, হাসিনা সরকারের প্লান ছিল ৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতা দখল করে থাকবে কিন্তু তারা পারেনি; এদেশের সাধারণ মানুষ রাজপথে নেমে তাদের পতন ঘটিয়েছে। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির চেয়াপারসন উপদেষ্টা সাবেক সচিব মো. ইসমাইল জবিউল্লাহ বলেন, বিএনপি জনগণের ভোটে ক্ষমতায় গেলে ৩১ দফার রুপরেখা বাস্তবায়ন করবে। এটা জাতির কাছে অঙ্গীকারবদ্ধ। 

৩১ দফা জাতির মুক্তির সনদ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটার ওপরে নির্ভর করেই আগামীর দেশ পরিচালিত হবে। 

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক টিম প্রধান ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টির সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা ড. মাহ্দী আমিন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি সদস্য সচিব মো. মোস্তফা জামান, মহানগর যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, এবিএমএ রাজ্জাক, আকতার হোসেন, গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, হাজী মো. ইউসুফ, আফাজ উদ্দিন, শাহ আলম, মাহাবুব আলম মন্টু, মহানগর সদস্য হুমায়ুন কবির রওশান, শামীম পারভেজ, হাফিজুর রহমান শুভ্র, আবুল হোসেন আব্দুল, ফারুক হোসাইন ভূইয়া, হাজী নাসির উদ্দীন, নুরুল হুদা ভূঁইয়া নূরু, ইব্রাহিম খলিল, এমএস আহমাদ আলী, স্বেচ্ছাসেবকদল ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ ফরিদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মহসিন সিদ্দিকী রনী, মহিলাদল উত্তর সদস্য সচিব এ্যাড রুনা লায়লা, জাসাস মহানগর সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন আনু, ছাত্রদল ঢাকা মহানগর পশ্চিমের সভাপতি রবীন খান, সাধারণ সম্পাদক আকরাম আহমেদ ছাড়াও শাহআলী থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম উদ্দিন দেওয়ান গিয়াস, যুগ্ম আহ্বায়ক সোলায়মান দেওয়ান, জয়নাল আবেদীন, মিরপুর থানা বিএনপি সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাসেল আহমেদ প্রধান, দারুসসালাম থানা বিএনপির আলমগীর হোসেন ভুট্টো, একেএম নজরুল ইসলাম কোহিনুর, দক্ষিণখান থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক দেওয়ান মো. নাজিম উদ্দীন, খিলক্ষেত থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক মোবারক হোসেন দেওয়ান, সিএম আনোয়ার হোসেন, রুপনগর থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আহমেদ রাজু, উত্তরাপশ্চিম থানা বিএনপির আলমগীর হোসেন শিশির,কাফরুল থানা বিএনপির সদস্য আলমগীর হোসেন, শাহাদাত হোসেন, বিমানবন্দর থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক মহিউদ্দিন তারেক, মঞ্জুর হোসেন পাটোয়ারী, মোহাম্মদপুর থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক মীর মো. কামাল হোসেন, সিনিয়র সদস্য ফরিদ উদ্দিন ফরহাদ, ৩৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি সিনিয়র সহসভাপতি ওসমান গনি সেন্টু, তুরাগ থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক রিপন হাসান খন্দকার, থানা আহ্বায়ক সদস্য আবদুল আলী প্রমূখ।

মাহফুজ/

অন্তর্বর্তী সরকার এক দিকে ঝুঁকে যাচ্ছে: আমির খসরু

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৩৭ পিএম
আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৪২ পিএম
অন্তর্বর্তী সরকার এক দিকে ঝুঁকে যাচ্ছে: আমির খসরু
ছবি: খবরের কাগজ

'অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে জনগণের মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে' মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সরকারের উপদেষ্টাদের কথাবার্তায় মনে হচ্ছে তারা কোন এক দিকে ঝুঁকে যাচ্ছে। এমনটা যদি হয় বাংলাদেশের মানুষের কাছে তাদের আর কোনো গ্রহণযোগ্যতা থাকবে না। আর যদি গ্রহণযোগ্যতা না থাকে তার ফলাফল কী হবে সেটা সবাই জানে।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে নোয়াখালী শহীদ মিনার চত্ত্বরে দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়া থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। আগামীর বাংলাদেশে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হওয়া ছাড়া কারো কোনো অধিকার নেই এ দেশ পরিচালনা করার। এ দেশ পরিচালনা করতে হলে দেশের মানুষের মন-মেজাজ বুঝতে হবে। নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত হতে হবে। দেশের মানুষের মধ্যে যে আকাঙ্খা সৃষ্টি হয়েছে সেটি আমারা ধারণ করতে সক্ষম হয়েছি। আর বিএনপি এসব বিষয়ে মানুষের কাছে ওয়াদাবদ্ধ। নতুন বাংলাদেশে আমাদের পরিবর্তন আনতে হবে।

আমির খসরু বলেন, শেখ হাসিনা পালিয় যাওয়ার পরে সকলের সম্মতিক্রমে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছে। আমাদেরও সমর্থন ছিলো। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরিয়ে আনতে একটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছিলো। তাদের কাজ হলো নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতা শান্তিপূর্ণভাবে হস্তান্তর করা। এজন্য আমরা এ সরকারকে সবাই সমর্থন দিয়েছি। জনগন ভোট দিয়ে নিজেদের সরকার গঠন করতে চায়। যারা জনগনের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে জনগনের কাছে জবাবদিহি করবে জনগন তাদের ভোট দিয়ে সরকার গঠন করবে। 

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর আলো এবং সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপি সদস্য সচিব হারুনুর রশিদ আজাদ।

এতে আরও বক্তব্য রাখেন, বিএনপির  ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্ল্যাহ বুলু, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, দলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ, ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দিন, জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এবিএম জাকারিয়া, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুর রহিম, কাজী মফিজুর রহমান প্রমুখ।

ইকবাল মজনু/সিফাত/

কুয়েটে হামলার ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ও শিবিরকে দোষারোপ ছাত্রদলের

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৩৬ পিএম
আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫৬ পিএম
কুয়েটে হামলার ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ও শিবিরকে দোষারোপ ছাত্রদলের
সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ইসলামি ছাত্রশিবিরকে দোষারোপ করল ছাত্রদল। ছবি: খবরের কাগজ

ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ইসলামি ছাত্রশিবিরের ওপর দায় চাপালো বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দোষারোপ করেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতারা। যদিও এমন ঘটনায় দুঃখপ্রকাশও করছে ছাত্রদল। কুয়েটের ঘটনাসহ এখন পর্যন্ত যতগুলো ঘটনা ঘটেছে সবগুলোই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিশৃঙ্খল মব হিসেবে আখ্যা দেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির।

তিনি বলেন, ‘গতকাল (মঙ্গলবার) সেই কাজ শুরু করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিশৃঙ্খল মব। এটির নেতৃত্ব দিয়েছে কুয়েটের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ওমর ফারুক। কেন্দ্রীয়ভাবে সেটি মনিটরিং করেছে হাসনাত আব্দুল্লাহ।’

নাছির উদ্দীন নাছির আরও বলেন, ‘ছাত্রদলের রাজনীতির অংশ হিসেবে কুয়েটে আমরা সদস্য ফরম বিতরণ করেছি। কিন্তু ফরম বিতরণের দুইদিন পরে ছাত্রদলের তিনজন নেতা-কর্মীকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ওমর ফারুকের নেতৃত্বে শিবিরের সন্ত্রাসীরা অমানবিক নির্যাতন করেছে। নির্যাতনের মাত্রা এতই ছিল যে তারা দোকানে আশ্রয় নিলে সেখানে গিয়ে হামলা করেছে। পরে গ্রামবাসীর সঙ্গে কথিত ছাত্রদলের অনাকাঙ্ক্ষিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। এরপর ছাত্রদলের নামে একধরনের মব তৈরি করা হয়েছে।’

কুয়েটে শিবিরের কোনো কমিটি আছে কি-না এবং এ ঘটনায় ব্যাখ্যা দেওয়ার দাবি তোলেন নাছির উদ্দীন নাছির। একই সঙ্গে কোনো ক্যাম্পাসে যদি বিনা কারণে হামলার ঘটনা ঘটে, তাহলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে দায় নিতে হবে- বলে উল্লেখ করেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক।

লিখিত বক্তব্যে ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু আফসান ইয়াহিয়ার নেতৃত্বে একটি সরেজমিন তদন্ত টিম খুলনা গেছেন। তাদের প্রতিবেদন ও পুলিশি বা প্রশাসনিক তদন্ত প্রতিবেদন আসার আগ পর্যন্ত কোনো পক্ষ থেকেই কোনো উপসংহার টানা সম্ভব বা সমীচীন নয়। তবে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের বয়ান, সংবাদমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন, ছবি ও ভিডিও প্রমাণের ভিত্তিতে আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুয়েট শাখার আহ্বায়কের উস্কানিতেই হামলার সূত্রপাত ঘটেছে।’

হামলার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যে-ই জড়িত থাকুক না কেন, সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক তাদের সকলকে বিচারের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ছাত্রদল তার সংগঠনের নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে কোনো অপরাধের অভিযোগ আসলে কিংবা তা প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে কিন্তু তার বিচারের দায়িত্ব রাষ্ট্রকেই নিতে হবে।’

ওই সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস, সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপনসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্রদলের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে আহত হন অর্ধশত শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় উপাচার্য, উপউপাচার্য ও ছাত্রবিষয়ক পরিচালকের পদত্যাগসহ ৫ দফা দাবিতে ক্লাস বর্জন করেন শিক্ষার্থীরা। 

বুধবার সকাল থেকেই তারা কুয়েট মেডিকেল সেন্টারের সামনে অবস্থান নেয়। এরপর বিক্ষোভ মিছিলসহ প্রশাসনিক একাডেমিক ভবনে প্রবেশপথের ফটকে তালা দেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ৯৮তম বিশেষ জরুরি সভায় কুয়েট সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করা হয়।

আরিফ জাওয়াদ/মাহফুজ

 

জামায়াত বারবার কোল বদল করে: মোয়াজ্জেম আলাল

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:০১ পিএম
আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫৩ পিএম
জামায়াত বারবার কোল বদল করে: মোয়াজ্জেম আলাল
ছবি: খবরের কাগজ

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল জামায়াতকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘একটি দল আছে লাফ দিয়ে বারবার কোল বদল করে। কত দিন বিএনপির কোলে থাকে। আবার লাফ দিয়ে আওয়ামী লীগের কোলে চড়ে। আবার ১৯৮৬ সালে লাফ দিয়ে জাতীয় পার্টির কোলেও উঠেছিল। বার বার কোল বদল করা দল যারা তারা দয়া করে একটি জায়গায় স্থির হোন। তাহলে মানুষ আপনাদের নিয়ে চিন্তা করবে। বিএনপির সাথে জোটে মন্ত্রী সভায় থেকেছেন আবার নৌকা ও লাঙ্গলের সাথে মিলে বিএনপিকে নামানোর আন্দোলনও করেছেন।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে সিলেটের রেজিস্টারি মাঠে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে  সিলেট জেলা বিএনপির সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি রোধ ও সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসা, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির দ্রুত উন্নয়ন, গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনকালীন রোডম্যাপ ঘোষণা এবং রাষ্ট্রে বিরাজমান ফ্যাসিবাদী শাসনের নানা চক্রান্ত ও অপচেষ্টার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার দাবিতে এই গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এসময় তিনি যারা নতুন দল গঠন করছেন তাদেরকে বলেন, নতুন বন্ধুদেরকে বলব কুড়াল দিয়ে কিন্তু শেভ করা যায় না। শেভ করতে হলে ব্লেড লাগবে, চুল কাটতে হলে কাচি লাগবে। সুতরাং কুড়াল দিয়ে শেভ করা চেষ্টা করবেন না ব্যর্থ হবেন। সত্যটা নষ্ট হয়ে যাবে। 

এসময় তিনি ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সম্পর্কে তিনি বলেন, আপনারা (আওয়ামী লীগ) জাতির কাছে ক্ষমা চান। তওবা করেন, আপা আপা বললে আর হবে না। শেখ হাসিনা এখন আওয়ামী লীগের নেত্রী না। সে তার পরিবারের নেত্রী। তাই পরিবারের সবাইকে নিয়ে দেশ ছেড়েছে। তাদের পরিবারের কেউ এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়নি।
 
আলাল আরও বলেন, এই সরকার সবার সমর্থনে তৈরি হয়েছে। এত সমর্থন থাকার পরেও দ্রব্যমূল্যের দাম কমাতে ব্যর্থ এই সরকার। দাম কমাতে না পারলে যাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিতে হবে। বাণিজ্য উপদেষ্টা চাইলেই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।

সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমেদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির ও তাহসিনা রুশদীর লুনা, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) জিকে গউছ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন মিলন, মিফতাহ সিদ্দীকি, সহ-ক্ষুদ্র ও ঋণ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, কেন্দ্রীয় সদস্য ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, আব্দুল কাহের চৌধুরী শামীম, হাদিয়া চৌধুরী মুন্নী, সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী প্রমুখ।

শাকিলা ববি/সিফাত/