ঢাকা ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫
English
মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

হাসিনার ফ্যাসিবাদ হওয়ার জন্য আমলাতন্ত্র দায়ী: নুর

প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:১০ পিএম
হাসিনার ফ্যাসিবাদ হওয়ার জন্য আমলাতন্ত্র দায়ী: নুর
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ‘জুলাই বিপ্লব ও নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে জনআকাঙ্ক্ষার রাজনীতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় নুরুল হক নূর। ছবি: খবরের কাগজ

গণঅঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি  নুরুল হক নুর বলেছেন, শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদ হওয়ার জন্য সবচেয়ে বড় দায়ী দেশের আমলাতন্ত্র। হাসিনার সময়ের এসপি-ডিসি বহাল তবিয়তে আছে। আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ দেশ ছেড়েছে। তাদের অনেকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, গ্রেপ্তার হয়েছে। কয়জন এসপি-ডিসি, ইউএনও-ওসি গ্রেপ্তার হয়েছে?

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে ‘জুলাই বিপ্লব ও নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে জনআকাঙ্ক্ষার রাজনীতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। গণঅধিকার পরিষদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

তিনি আরও বলেন, এসপি-ডিসি, ইউএনও-ওসিরা শেখ হাসিনার অপকর্মের সহযোগী ছিলেন। হাসিনার বিচারের পাশাপাশি সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে যারা ফ্যাসিবাদের দোসর ছিলেন- তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। গণহত্যার প্রধান মাস্টারমাইন্ড শেখ হাসিনকে ভারতের সঙ্গে শক্ত দেনদরবারের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে পৃথিবীর বুকে দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যাপারে নুরুল হক নূর বলেন, আমরা ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়ে নতুন সরকার গঠন করেছি। কিন্তু সাড়ে ৪ মাসেও সরকারের কাজ জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়নি। জনগণ বড়রকমের ধাক্কা খেয়েছে, এটা কী সরকার গঠন করেছে? জনগণের প্রত্যাশা ছিল রাজপথের আন্দোলন-সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী লড়াকু বিপ্লবীদের নিয়ে একটা বিপ্লবী সরকার হবে। কিন্তু সেটা হয়নি, হয়েছে বন্ধুবান্ধব পরিচিত সার্কেলের একটি সরকার। তারপরও আমরা স্বাগত জানিয়েছি।

নূর বলেন, সরকার এখন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং প্রশাসনকে ঠিক করতে পারেনি। বাজারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি, এখনও সিন্ডিকেট। হাসিনার পতন হয়েছে, তাহলে এখন কেন পুলিশ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হচ্ছে? কেন বাজারে এখনও সিন্ডিকেট চলে? কারণ উপদেষ্টা পরিষদে যারা আছে- তারা অধিকাংশই অনভিজ্ঞ, রাষ্ট্র পরিচালনায় তাদের ধারণাও কম। রাষ্ট্র একটি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্র পরিচালনায় রাজনীতিবিদদেরকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক কাজী রাজিউর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য আবু হানিফ, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান প্রমুখ।

মো. জুয়েল রহমান/মাহফুজ/

 

বেশির ভাগ দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চায়

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ১০:৩১ এএম
আপডেট: ০৩ জুন ২০২৫, ১০:৩৩ এএম
বেশির ভাগ দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চায়
রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এই বৈঠকে ২৮টি রাজনৈতিক দল ও দুটি জোট অংশ নেয়

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এখনো ঐকমত্য হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে গতকাল সোমবার প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সভাপতিত্বে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বৈঠক কার্যত সর্বদলীয় বৈঠকে পরিণত হয়। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেছেন, ‘ঐকমত্যের সুযোগ যেন আমরা হাতছাড়া না করে ফেলি।’

তবে বৈঠক থেকে বেরিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, নির্বাচন ডিসেম্বরের পরে যাওয়ার একটি কারণও নেই। অন্যদিকে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘জুলাই সনদের আগে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা নয়।’ তবে ডিসেম্বর থেকে এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের। অবশ্য বৈঠকে নেওয়া বেশির ভাগ দলই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়েছে। 

সোমবার (২ জুন) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বিকেল ৪টায় বৈঠক শুরু হয়। সাড়ে ৩ ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে ২৮টি রাজনৈতিক দল ও দুটি জোট অংশ নেয়।

ছয় সংস্কার কমিশনের দেওয়া সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার বৈঠক ছিল এটি। আজ মঙ্গলবার সকালে আবারও বিএনপির সঙ্গে ঐকমত্য কমিশন বৈঠক করবে। এর আগে গত ১৬ জানুয়ারি ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র’ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সর্বদলীয় বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা।

বৈঠক শেষে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘আমরা অবশ্যই মনে করি, ডিসেম্বরে নির্বাচন সম্ভব। এর আগেই জরুরিভিত্তিতে নির্বাচনমুখী যে সংস্কার, সেগুলো চিহ্নিত করে ঐকমত্যের ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা যায়। এমন কোনো সংস্কার নেই, যা এক মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। শুধু সংবিধান ছাড়া অন্যান্য যে সংস্কার আছে, তা নির্বাহী আদেশে বা অধ্যাদেশের মাধ্যমে এক মাসের ভেতরে বাস্তবায়ন করা সম্ভব, যেটা আমরা বুঝিয়ে দিয়েছি।’ 

তিনি বলেন, ‘আমরা সংস্কার কমিশনের মতামতের ভিত্তিতে বিস্তারিত মতামত দিয়েছি। সংস্কার বিষয়ে আমরা তিন দিন সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছি। সংস্কার কমিশন অন্যান্য দলের সঙ্গেও বৈঠক করেছে। আমরা আমাদের মতামত লিখিতভাবেও দিয়েছি এবং আলোচনার মধ্য দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোতে কাছাকাছি আসতে পেরেছি।’ 

বৈঠকে অধিকাংশ দলই ডিসেম্বরের আগে নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানিয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা আশা করি, প্রধান উপদেষ্টা সেটি বিবেচনা করবেন। প্রধান উপদেষ্টা নিরপেক্ষভাবে তার দায়িত্ব পালন করবেন। কারও প্রতি রাগ-বিরাগ, অভিমান প্রদর্শন করবেন না। তবে জাতি তার কাছে নিরপেক্ষতা আশা করে।’

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সংবিধান সংশোধনের যেসব প্রস্তাব বিভিন্ন দল দিয়েছে, আমাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ওনারা যেভাবে আন্তরিকতা দেখিয়েছেন তাতে আগামী এক মাসের মধ্যে একটা ঐকমত্যে আসা সম্ভব বলে মনে করি। কিছু কিছু বিষয়ে অবশ্যই দ্বিমত থাকবে, সব বিষয়ে সবাই একমত হবেন, এমনটা আমরা আশাও করি না। যেসব বিষয়ে আমরা একমতে আসতে পারব, সেটা অবশ্যই পরবর্তী সংসদে পাস হবে। এসব বিষয়ে এখন ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি সনদ স্বাক্ষরিত হলেই হবে। আশা করি, আর বেশি সময় নেবেন না। এই মাসের মধ্যে একটা কম্পাইল করা সম্ভব হবে।’

সালাহউদ্দিন আহমেদ ছাড়াও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বৈঠকে অংশ নেন। 

ডিসেম্বর থেকে এপ্রিলের মাঝে নির্বাচন চায় জামায়াত
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. তাহের বলেছেন, ‘সংস্কারের বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। জুলাইয়ের মাঝে সংস্কার শেষ করতে হবে। বেশির ভাগ বিষয়ে একমত হয়েছি। যেসব বিষয়ে একমত হচ্ছে না তাও আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করা যাবে বলে মনে করি। একেবারে একমত না হলে কী করা যাবে তা নিয়ে আলোচনা করব।’

তিনি বলেন, ‘জুলাইয়ের মধ্যে রিফর্ম হবে। তারপর একটি জুলাই সনদ হবে, তাতে আমরা সব দল নীতিগত একমত- এই চার্টারে আমরা স্বাক্ষর করব।’ 

জামায়াতের এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘নির্বাচনের তারিখ নিয়েও আলোচনা হয়েছে। ড. ইউনূসের ওপর আস্থা আমরা পুনর্ব্যক্ত করেছি। একটা সফল সুন্দর নির্বাচন হোক, তা-ই চেয়েছি। নির্বাচনের তারিখের বিষয়ে তিনটি বক্তব্য এসেছে। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন ডিসেম্বর থেকে জুন। কিছু রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরে চেয়েছেন। আমরা বলেছি মে ও জুন মাসে নির্বাচন করার জন্য উপযুক্ত সময় নয়। সে অনুযায়ী প্রধান উপদেষ্টার কমিটমেন্ট রাখতে গেলে জানুয়ারি থেকে এপ্রিলের মাঝে নির্বাচন হতে পারে। আমরা বলেছি মাঝেখানে একটা তারিখ ঘোষণা করুন। ডিসেম্বর থেকে এপ্রিলের মাঝে একটা তারিখ দিলে জনমনে যে শঙ্কা এবং অস্বস্তি আছে তা ঠিক হয়ে যাবে।’ 

নির্বাচনের আগে জুলাই সনদ: নাহিদ
এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘আগামী ৫ আগস্ট আমাদের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্ণ হবে। এটি আমরা উদযাপন করতে চাই। ৫ আগস্টের আগেই জুলাই মাসে যেন জুলাই সনদ রচিত হয়। জুলাই সনদের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের রূপরেখা এবং শাসন কাঠামো দেখতে চান। জুলাই সনদ হওয়ার আগে যেন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা না করা হয়। এতে সংস্কার প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘যেসব রাজনৈতিক দল দ্রুত নির্বাচন চাচ্ছে আমরা তাদের প্রতি এবং সরকারের প্রতি আহ্বান রেখেছি, ১৬ বছর অপেক্ষা করেছি, ১০ মাস অপেক্ষা করেছি, আরও ২ মাস যেন অপেক্ষা করি। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকি এবং সরকারকে সময় দিই। এ দুই মাসের মধ্যে আমরা জুলাই সনদ রচনা করে ফেলি।’

এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘জুলাই সনদের পরেই সরকার যেন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে দেয়। জুলাই ঘোষণাপত্রের জন্য ৩০ কার্যদিবস ছিল, সেটা অনেক কার্যদিবস হয়ে গেছে। কিন্তু কোনো পদক্ষেপ দেখছি না। আমরা আহ্বান জানিয়েছি, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যেন জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়িত হয়। নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার, নির্বাচন কমিশন আইন সংস্কার এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করা উচিত।’

অন্য দলের নেতারা যা বললেন 
বৈঠক শেষে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী বলেন, ‘নির্বাচন, বিচার ও সংস্কারের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি। আমরা বলেছি, বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চায়। এখন ডিসেম্বর থেকে কোনো কারণে নির্বাচন পেছালে তাহলে বাড়তি সময় কেন লাগবে, তা সরকারকেই ব্যাখ্যা করতে হবে। সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে, তা জনমনে আশঙ্কা তৈরি করছে। নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত ও গণতান্ত্রিক যাত্রা শুরু করতে সবাইকে উদ্যোগ নিতে হবে।’

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব জালালুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা তিনটি প্রস্তাব দিয়েছি। প্রথমত, কোনো সংস্কার গুরুত্বসহকারে করবেন, কত সময় লাগবে তার রোডম্যাপ। দ্বিতীয়ত, নির্বাচনের আগে খুনি শেখ হাসিনাসহ তার দোসরদের বিচার দৃশ্যমান করা। তৃতীয়ত, ডিসেম্বর থেকে জুন, কোন মাসে করবে তা নির্দিষ্ট রোডম্যাপের দাবি জানিয়েছি।’ 

এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, ‘ঐকমত্য কমিশন কী অর্জন করতে চায় তার লিখিত ফ্রেমওয়ার্ক থাকা দরকার। অন্তর্বর্তী সরকার ১০ মাসে কী কী করেছে, তার আমলনামা বা খতিয়ান জনগণের কাছে প্রকাশ করা দরকার। প্রত্যেক উপদেষ্টার আমলনামা দেওয়া দরকার। নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে সবার সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে একটি দিনক্ষণে পৌঁছানো যাবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘আগামী জুনের মধ্যে জুলাই সনদ বা জাতীয় সনদের কাজ শেষ করতে আহ্বান জানিয়েছি। পাশাপাশি বিতর্কিত পদক্ষেপ থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছি।’

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যে জামায়াতের হামিদুর রহমান আযাদ, ১২-দলীয় জোটের মোস্তফা জামাল হায়দার ও শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় গণফ্রন্টের টিপু বিশ্বাস, খেলাফত মজলিসের ড. আহমদ আবদুল কাদের, বাংলাদেশ লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, এনসিপির আখতার হোসেন ও সারোয়ার তুষার, এনডিএমের মোমিনুল আমিন, জেএসডির শহীদ উদ্দীন মাহমুদ স্বপন, সিপিবির সাজেদুল হক রুবেল, ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, ইসলামী আন্দোলনের মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, বাংলাদেশ জাসদের ডা. মুশতাক হোসেন, নাগরিক ঐক্যের সাকিব আনোয়ার, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুম, এলডিপির লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) হাসান সোহরাওয়ার্দী ও ড. নেয়ামুল বশির, গণঅধিকার পরিষদের নুরুল ইসলাম নুর, আমজনতা পার্টির মিয়া মশিউজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

জিয়াউর রহমানের পথ ধরে দেশকে এগিয়ে নেবেন তারেক রহমান: নজরুল ইসলাম আজাদ

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ১০:৫৪ পিএম
আপডেট: ০২ জুন ২০২৫, ১০:৫৪ পিএম
জিয়াউর রহমানের পথ ধরে দেশকে এগিয়ে নেবেন তারেক রহমান: নজরুল ইসলাম আজাদ
ছবি: সংগৃহীত

শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পথ অনুসরণ করে আগামী দিনে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান- বলে মন্তব্য করেছেন দলটির ঢাকা বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ। 

তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণের জন্য সবচেয়ে বড় উপকার করে দিয়ে গেছেন তিনি এবং আমাদের গণতন্ত্রের মাতা বেগম খালেদা জিয়ার সুযোগ্য সন্তান তারেক রহমানকে আমাদের জন্য উপহার দিয়েছেন। প্রশাসন লাগবে কেন? আমরা যারা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের দল করি তারাই নিরাপত্তা দিব। আমাদের নেতা তারেক রহমান এবং আমরা জনগণের সুদিন-দুর্দিনে পাশে ছিলাম। আগামীতেও থাকব, ইনশাআল্লাহ। তবে কারও দ্বারা দলের সুনাম ক্ষুণ্ন হলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

সোমবার (২ জুন) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার পৌরসভা বিএনপির উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

নজরুল ইসলাম আজাদ বলেন, জিয়াউর রহমান সততার প্রতীক। এক্ষেত্রে তার বিকল্প নেই। তারই উত্তরসূরী হিসেবে সততার পথ ধরে দেশ সেবায় এগিয়ে এসেছেন বেগম খালেদা জিয়া। আজকে সেই সততা ধরে রেখেছেন তারেক রহমান। তিনি সৎ মানুষ এবং সততার উদাহরণ। তারেক রহমান বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মূল নায়ক। বিগত ১৭ বছরে তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণেই ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান দেশের স্বাধীনতার ঘোষক। তার ঘোষণা শুনে দেশের মানুষ স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার হলেন জিয়াউর রহমান। আজকে আমরা মাছে-ভাতে বাঙালি, কৃষির অগগ্রতির জন্য খাল খনন কর্মসূচি, তৈরি পোশাক শিল্প বা গার্মেন্টস খাতের সূচনা করেছিলেন জিয়াউর রহমান। আজকে গার্মেন্টস হলো দেশের অন্যতম প্রধান আয়ের উৎস। তার অবদান বলে শেষ হবে না।

আড়াইহাজার পৌরসভা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল্লাহ লিটনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ডালিমের পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসিকুল ইসলাম রাজীব, জেলা বিএনপির সদস্য লুৎফর রহমান আব্দুর, আড়াইহাজার থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহমেদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবু প্রমুখ। এসময় ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব মোবারক হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব সাকিব আলমগীর, কৃষক দলের আহ্বায়ক আলমগীর, বিএনপি নেতা কালাম, পপি, মাসুম শিকারী, আড়াইহাজার পৌরসভা ছাত্রদলের সভাপতি সুমন, যুবদলের মাসুদসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।


শফিকুল ইসলাম/

ডিসেম্বরের পরে নির্বাচন যাওয়ার একটি কারণও নেই: সালাহউদ্দিন আহমদ

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ০৮:১৫ পিএম
ডিসেম্বরের পরে নির্বাচন যাওয়ার একটি কারণও নেই: সালাহউদ্দিন আহমদ
সর্বদলীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। ছবি: খবরের কাগজ

জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বরের পরে যাওয়ার একটি কারণও নেই-বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ‘আমরা অবশ্যই মনে করি ডিসেম্বরে নির্বাচন সম্ভব। এর আগেই জরুরি ভিত্তিতে নির্বাচনমুখী যে সংশোধনীগুলো, তা চিহ্নিত করে ঐক্যমতের ভিত্তিতে আমরা যদি বাস্তবায়ন করি। তবে এমন কোনো সংস্কার নেই যা একমাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। শুধুমাত্র সংবিধান ব্যতীত অন্যান্য যে সংস্কার প্রস্তাব আছে তা নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে এক মাসের ভেতরে বাস্তবায়ন করা সম্ভব। যেটা আমরা বুঝিয়ে দিয়েছি। সুতরাং নির্বাচন ডিসেম্বরের পরে যাওয়ার একটি কারণও নেই।’

সোমবার (২ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর বেইলী রোডে অবস্থিত ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সর্বদলীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন। ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে সভাপতিত্ব করে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। বৈঠকে ২৬টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিগণ অংশ নিয়ে তাদের মতামত তুলে ধরেন।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আমরা সংস্কার কমিশনের মতামতের ভিত্তিতে বিস্তারিত মতামত দিয়েছি। সংস্কার বিষয়ে আমরা তিন দিন সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছি। সংস্কার কমিশন অন্যান্য দলের সঙ্গেও বৈঠক করেছে। আমরা আমাদের মতামত লিখিতভাবেও দিয়েছি। আমরা আলোচনা মধ্য দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোতে কাছাকাছি আসতে পেরেছি- এমন মন্তব্য করে তিনি।

তিনি বলেন, যেটা জাতির জন্য বৃহত্তর স্বার্থ সংরক্ষণ করবে আমরা সেটাই গ্রহণ করব। এটা জাতীয় নীতিতে গৃহীত হলে এ জাতির মধ্যে একটা ঐক্য তৈরি হবে। আমরা সেটাই গ্রহণ করব যে প্রস্তাবগুলো সংবিধান ও শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হবে। রাষ্ট্রের সবকিছুর মধ্যে একটা ভারসাম্য সৃষ্টি হবে। এর মধ্যে দিয়ে বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীর যে আকাঙ্ক্ষা তা বাস্তবায়ন করতে পারব। 

বৈঠকে অধিকাংশ দলগুলোই ডিসেম্বরের আগে নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানিয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, আমরা আশা করি প্রধান উপদেষ্টা সেটি বিবেচনা করবেন। প্রধান উপদেষ্টা নিরপেক্ষভাবে তার দায়িত্ব পালন করবেন। কারও প্রতি রাগ-বিরাগ, অভিমান প্রদর্শন করবেন না। তবে জাতি তার কাছে নিরপেক্ষতা আশা করে।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, সংবিধান সংশোধনী যেসব প্রস্তাব বিভিন্ন দল দিয়েছে, আমাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। উনারা যেভাবে আন্তরিকতা দেখেছেন তাতে আগামী এক মাসের মধ্যে একটা ঐক্যমতে আসা সম্ভব বলে মনে করি। কিছু কিছু বিষয়ে অবশ্যই দ্বিমত থাকবে, সব বিষয়ে সবাই একমত হবে, এমনটা আমরা আশাও করি না। যেসব বিষয়ে আমরা একমতে আসতে পারব, সেটা অবশ্যই পরবর্তী সংসদে সংশোধনী হবে। এসব বিষয়ে এখন ঐকমতের ভিত্তিতে একটি সনদ স্বাক্ষরিত হলেই হবে। এটা আমাদের ইলেকশন মেনুফ্যাকচারেও আসবে। এটা অঙ্গীকার হিসেবে থাকবে। 

তিনি আরও বলেন, আমার কাছে মনে হয়েছে ওনারা যথেষ্ট আন্তরিক, তবে ইতোমধ্যে অনেক সময় ক্ষেপণ হয়েছে। আশা করি আর বেশি সময় নেবেন না। এই মাসের মধ্যে একটা কম্পাইল করা সম্ভব হবে। 

 

শফিকুল ইসলাম/মাহফুজ

প্রস্তাবিত বাজেট অর্থহীন: মঈন খান

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ০৮:০২ পিএম
প্রস্তাবিত বাজেট অর্থহীন: মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট একটি অর্থহীন বাজেট বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।

তিনি বলেন, 'একটি বাক্যে বলতে হয়, এটি একটি অর্থহীন বাজেট। প্রথমত স্বভাবতই বাজেটের আকার সরকার কমিয়ে আনতে বাধ্য হয়েছে, কেন না, এই অন্তর্বর্তী সরকারের রাজস্ব সংগ্রহের আসলে কোনো নৈতিক শক্তি নেই।'

সোমবার (২ জুন) তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় গণমাধ্যমকে তিনি এসব কথা বলেন। 

মঈন খান বলেন, 'বাজেটে আরও মজার বিষয় হলো বাজেটের আকার সরকার ‘নমিনালী’ কমিয়ে আনলেও রাজস্ব বাজেট কিন্তু বৃদ্ধি পেয়েছে, যা সরকারের আর্থিক ব্যবস্থাপনার একটি দুর্বলতা প্রকাশ করে। কাজেই এটা স্পষ্ট যে, এ বাজেটে সরকার গুণগত কোনো পরিবর্তন আনতে পারেনি।' 

তিনি বলেন, 'তদুপরি এ দেশের নিম্ন আয়ের মানুষ তথা দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্যেও সরকার এ বাজেটে কোন রকম উল্লেখযোগ্য দিকনির্দেশনা দিতে সক্ষম হয়নি। সার্বিকভাবে এক কথায় বলতে গেলে, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার অনুপস্থিতিতে এই রুটিন বাজেটের কতদূর বাস্তবায়ন হবে তাও সম্পূর্ণ অনিশ্চিত ।'

শফিকুল/মেহেদী/

বাজেটের আকার কমলেও পুরোনো কাঠামো অক্ষুণ্ন: বাংলাদেশ ন্যাপ

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ০৭:৪৬ পিএম
বাজেটের আকার কমলেও পুরোনো কাঠামো অক্ষুণ্ন: বাংলাদেশ ন্যাপ
ছবি: সংগৃহীত

বাজেটের আকার কমলেও গুণগত খুব বেশি পরিবর্তন নাই। উচ্চ আকাঙ্ক্ষা বা লুটপাটের উন্নয়নে বরাদ্দ হ্রাস করায় জনগণের উপর চাপ কিছুটা হলেও হালকা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া। 

তারা বলেন, ‘বরাবরের মতো এবারের বাজেটও বিগত সরকারগুলোর ধারাবাহিকতাকে পাশ কাটাতে পারেনি। বাজেটের আকার আরও ছোট হলে বাস্তবায়ন করা সহজ হত। প্রকৃতপক্ষে বাজেটের আকার কমলেও পুরোনো কাঠামো অক্ষুণ্ন রয়েছে।’

সোমবার (২ জুন) অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ বাজেটের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তারা এসব কথা বলেন। 

নেতৃদ্বয় বলেন, ‘গত ১৬ বছরে প্রতি অর্থবছরে বাজেটের আকার বৃদ্ধি পেলেও দেশের অর্থনীতি কয়েক বছর ধরেই মন্দা সময় পার করেছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে দিশেহারা সাধারণ জনগণ। ডলার সংকট, রিজার্ভের বড় ক্ষয়সহ বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও কঠিন সঙ্কটে ছিল বাংলাদেশ। ২০০৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত সব বাজেটই ছিল কল্পনার ফানুস মাত্র।’ 

তারা বাজেটে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি না করা, 'চিনি-সয়াবিন তেলের দাম কমানোর প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘এর ফলে মধ্যবিত্ত ও সাধারণ জনগণের ওপর চাপ অনেকটা হ্রাস পাবে। তবে, ফ্রিজ, এসির ওপর ভ্যাট বৃদ্ধি করায় অনেকটাই সমস্যা সৃষ্টি করবে। বাজেটে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের পরিবার এবং আহতদের পুনর্বাসন ও কল্যাণে বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব ও বয়স্ক, বিধবা ভাতা বৃদ্ধি করার প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য। তবে দেশীয় টেক্সটাইল মিলে উৎপাদিত সুতার ভ্যাট বৃদ্ধি হলে মধ্যবিত্তসহ সাধারণ মানুষের গামছা, লুঙ্গিসহ পোশাকের দাম বৃদ্ধি পাবে যা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়।’

তারা বলেন, ‘ঋণনির্ভর এ বিশাল ঘাটতি বাজেটে জনগণের অর্থনৈতিক বৈষম্য খুববেশি কমছে না। প্রায় ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত এ বাজেটে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকার বিশাল অঙ্কের ঘাটতি রয়েছে যা জিডিপির ৩ দশমিক ৬০ শতাংশ। এই ঘাটতি পূরণে দেশি-বিদেশিি ঋণ ও সুদের বোঝা আরও বৃদ্ধি পাবে। পরিচালনা ব্যয় ও সুদ পরিশোধের মত অনুন্নয়ন খাতেই ব্যয় হবে বাজেটের অধিকাংশ অর্থ। তবে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৫.৫০ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতির গড় হার ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ রাখতে পারলে তা হবে বাজেটের বড় চমক।’

তারা আরও বলেন, ‘রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে দেশের অর্থনীতি কয়েক বছর ধরে নানামুখী সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। গত ফ্যাসীবাদী শাসনামলে হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাওয়া, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব, মুদ্রার বিনিময় ও সুদের হার ক্রমাগত বৃদ্ধি, সর্বক্ষেত্রে সুশাসন ও ন্যায়নীতির নির্বাসন এবং সর্বগ্রাসী লুটপাটের কারণে দেশের আর্থিক খাত ধ্বংস হয়ে গেছে। বাজেটে এ বিপর্যস্ত অর্থনীতিকে টেনে তোলার আরও ব্যবস্থা থাকার দরকার ছিল। বিপর্যস্থ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে দেশী বিদেশি বিনিয়োগ, দুর্নীতির সকল পথ বন্ধ করে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও রেমিটেন্স বৃদ্ধিতে জোর দিতে হবে। পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনার কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।’

মেহেদী/