
চাঁদপুরের মেঘনায় এমভি আল-বাখেরা জাহাজে সাত খুনে জড়িতদের নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল।
সংগঠনটির নেতারা বলেন, ‘সাত খুনের ঘটনাটি অস্বাভাবিক ও স্পর্শকাতর। তাই গুরুত্ব দিয়ে তদন্তের মাধ্যমে খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে।’
এ হত্যার প্রতিবাদে বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর সদরঘাটে জাহাজ শ্রমিক জমায়েত ও মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শ্রমিক দল ও সম্মিলিত শ্রমিক পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বলেন, শ্রমিক-কর্মচারীদের রক্ত, শ্রম ও ঘামে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রয়েছে। প্রবাসী শ্রমিকরা বিদেশে থেকে বৈদেশিক মুদ্রা যেমন আয় করে আনেন, তেমনি দেশের অভ্যন্তরে মিলকারখানা, ঘরবাড়িসহ সর্বত্র শ্রমিকের পরিশ্রমে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে। দেশকে এগিয়ে নিতে শ্রমিক-কর্মচারীরা নায্য মজুরি না পেয়েও চাকরি রক্ষার জন্য বাধ্য হয়ে কাজ করছেন। উন্নত দেশে শ্রমের মর্যাদা ও শ্রমিকের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করা হলেও বাংলাদেশে শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরি পাচ্ছেন না।
পরিবহন, নৌযান, বন্দর ও গার্মেন্টস শ্রমিকসহ শিল্প সেক্টরে কর্মরত সব শ্রমিক-কর্মচারীর ন্যায্য দাবি পূরণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
মানববন্ধনে নৌযান শ্রমিকসহ বাংলাদেশের সব শ্রমিক-কর্মচারীর কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি দাবি জানান শ্রমিক নেতারা।
নৌযান শ্রমিক দল কর্মচারী ইউনিয়নের (রেজিঃ নং- ১৯৫২) সভাপতি মতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, সহ-সভাপতি আব্দুর রহিম বক্স দুদু, কোষাধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শ্রমিক দলের আহ্বায়ক সুমন ভূঁইয়া, সদস্য সচিব বদরুল আলম সবুজ, মহানগর শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল আওয়াল, শাহ আলম মোল্লা, সিরাজুল ইসলাম, জাকির হোসেন, সিদ্দিকুর রহমান মিন্টু, জসিম উদ্দিন প্রমুখ ।
সদরঘাটে জাহাজ শ্রমিকদের জমায়েতে পরিবহন, ঘাট, হকার্স ও রিকশা শ্রমিকরা সংহতি প্রকাশ করে মানববন্ধনে অংশ নেন।
শফিকুল/পপি/