ঢাকা ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫
English
মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

৭১-এর সংবিধান কবর দেওয়ার কথা বললে কষ্ট লাগে: মির্জা আব্বাস

প্রকাশ: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৫ পিএম
আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৭ পিএম
৭১-এর সংবিধান কবর দেওয়ার কথা বললে কষ্ট লাগে: মির্জা আব্বাস
সাংবাদিকদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির মতবিনিময় সভায় মির্জা আব্বাস। ছবি: খবরের কাগজ

একাত্তরের শহিদের রক্ত দিয়ে লেখা যে সংবিধান, সে সংবিধানকে যখন কবর দেওয়ার কথা বলা হয় তখন কিন্তু আমাদের কষ্ট লাগে, বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে আমার সঙ্গে থাকা অনেক সহকর্মী, বন্ধু-বান্ধব মারা গেছে, প্রায় ৩০ লক্ষ শহিদ হয়েছে। আমরা তোমাদের সিনিয়র, অগ্রজ হিসেবে কষ্ট পাই, এটা কী করছো? এটা করা কি ঠিক হলো? ঐ সংবিধানে যদি খারাপ কিছু থাকে নিশ্চয় সেটা বাতিল যোগ্য। যদি নতুন কোনো সংবিধান লিখতে হয় তাও তো লিখতে হবে, আগের অমুক সালের সংবিধান বাতিল করে এই সংবিধান জারি করা হলো। সুতরাং এই সংবিধানকে সংশোধন করা যাবে। 

রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনের একটি রেস্টুরেন্টে সাংবাদিকদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজুনর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির বাণিজ্য বিয়ষক সম্পাদক সালাউদ্দিন আহমেদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সহ-সমাজ কল্যাণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্যসচিব তানভীর আহমেদ রবিন, যুগ্ম-আহ্বায়ক  সাইদুর রহমান মিন্টু প্রমুখ। 

মির্জা আব্বাস বলেন, সংবিধান কোনো রাফ খাতা নয়, যে ছুঁড়ে ফেলে দিলাম। কবর দিয়ে দেব, মেরে ফেলব, কেটে ফেলব-এই কথাগুলো কিন্তু ফ্যাসিবাদের কথা। জাতি তাকিয়ে আছে তোমাদের (বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতাদের) দিকে, আমরাও তাকিয়ে আছি তোমাদের দিকে। তোমাদের মুখ থেকে এ ধরনের কথা আমরা আশা করি না।

তিনি বলেন, কিছু লোক বাহির থেকে সরকার গঠন করে ফেলেছেন মনে হয় এরকম। তাদের কথাবার্তার ঝাঁঝ, আজকে ছাত্র ভাইদের কথাবার্তার যে ঝাঁঝ একই রকম। আমরা তাহলে ৭১ সালে কী করলাম? আমরা কি যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করে অন্যায় করেছিলাম? আমি জানি, একটা পক্ষ বলবে, হ্যাঁ, ঐদিন পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশকে স্বাধীন করে অন্যায় করেছেন। এই দেশ স্বাধীনের পর বাকশাল কায়েম করল আওয়ামী লীগ, আর শেখ হাসিনা গত ১৫ বছরের দেশটাকে শেষ করে দিয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে মির্জা আব্বাস বলেন, শেখ হাসিনা চলে গেলেও তার প্রেতাত্মারা রয়ে গেছে। সচিবালয়ে এখনো ৮ জন ফ্যাসিবাদের দোসর রয়েছে। তারা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে বসে আছেন। এতো বিরোধীতার পরও দুই-তিন দিন আগে সচিবালয়ে বাকশালের প্রাক্তন সচিবকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সুতরাং বাকশালের প্রেতাত্মা কি সংস্কার হবে? আমরা কি আবার আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে আসার রাস্তা করে দিচ্ছি? জাতির মনে প্রশ্ন জাগে, আমার মনেও প্রশ্ন জাগে।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের এককভাবে কৃতিত্ব দাবি করা ঠিক না মন্তব্য করে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, এই আন্দোলন যখন নিভু নিভু করে তখন কিন্তু প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ও জনগণ সবাই সামনের দিকে এগিয়ে আসে, আমরা এগিয়ে যাই। এই আন্দোলনে বিএনপির ৪৬২ নেতা-কর্মী মারা গেছে। নিশ্চই নেতৃত্বে একজন থাকবে, পিছনে হাজারো লোক থাকবে কিন্তু এককভাবে কেউ কারো দাবি করা ঠিক না। এতে কিন্তু জনমনে বিভেদ-বিদ্বেষ সৃষ্টি হবে। 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি আরও বলেন, আগামী দিনে কেউ যদি বলে আমরা তোমাদের সংবিধান ছুঁড়ে ফেলে দিলাম। সেদিন তোমাদের কেমন লাগবে? তোমাদের মতো আগামী দিনে যদি কেউ চলে সেদিন কী হবে? আমাদের প্রতিবেশী দেশ কখনো বাংলাদেশকে স্থির থাকতে দিতে চায় না। আজকে কেউ কেউ তো চট্টগ্রাম, লালমনিরহাট, দিনাজপুর নিয়ে যায়। বাংলাদেশ নিয়ে বলতেছে হরিলুটের মাল বাংলাদেশ। না, সম্ভব না। এই যে আগুন, আনসার বিদ্রোহ এসমস্ত বিষয়গুলোর পেছনে কেউ না কেউ উস্কানি দিচ্ছে। তারা সচিবালয়েই বসে আছে। তারা আজকে উপদেষ্টাদের সহযোগী হয়ে আছেন। সবাইকে কিন্তু আমরা চিনি। 

তিনি বলেন, চব্বিশের আন্দোলনকে কেউ ব্রান্ডিং করার চেষ্টা করবেন না। জাতির মধ্যে বিভেদ-বিভাজন সৃষ্টি করবেন না। সংবিধানের যারা অপব্যবহার করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন। এত কষ্টের অর্জন, হাসিনার পতন সেই কষ্টের অর্জনকে দয়া করে কয়েকজন লোকেরায় ইশারায় কথা বলে, বালখিল্যতা করে জাতিকে বিভক্ত করবেন না, এটা আমার অনুরোধ।

মির্জা আব্বাস বলেন, নির্বাচন দিলে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে, এটা আমরা ভাবি না। বিএনপি অত্যন্ত একটা জনপ্রিয় দল। আমরা ভোটের অধিকার চাই, নির্বাচন চাই। এই ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য ১৭ বছর আন্দোলন করেছি, আমিসহ পরিবারের অনেকের সাজা দেওয়া হয়েছে। এই আন্দোলন কি একেবারে কোনো কাজে আসেনি? কেউ যদি ভাবেন আমরা আসমান থেকে নাযিল হয়েছি, সারাদেশ আমাদের নিয়ন্ত্রণে, এটা কিন্তু খুব ভালো লক্ষণ নয়।

শেখ মুজিবের আমলে চারটি সংবাদপত্র বাদে সবগুলো বন্ধ দেওয়া হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের সংবাদপত্র বরাবরই স্বাধীন ছিল। কিন্তু সাংবাদিকদের স্বাধীনতা নেই, মালিকপক্ষ যা বলে তাদেরকে তাই করতে হয়। তাই আমাদের এমন জায়গায় যেতে হবে যাতে সাংবাদিকরা তার আসল কথা জনগণের সামনে তুলে ধরতে পারে।

সভাপতির বক্তব্য রফিকুল আলম মজনু বলেন, গত ৫ আগস্টের পর বিএনপি বা অঙ্গ সংগঠনের নামে যারা শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন, চাঁদাবাজি করেছেন তাদেরকে দল থেকে অব্যাহতি দিয়েছি। আগামী দিনেও দলের কেউ অপর্কম করতে তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা হবে। ছাত্র-জনতার অনেক রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই বিজয়কে আমরা নষ্ট হতে দেব না।

মাহফুজ

ইশরাক নগর ভবনে আসবেন আজ

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০২:২৫ পিএম
ইশরাক নগর ভবনে আসবেন আজ
ইশরাক হোসেন

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে সোমবার (২ জুন)ও নগর ভবন উত্তাল ছিল। 

গত ১৪ মে রাতে নগর ভবনের সব গেটে দেওয়া তালা সোমবারও খোলা হয়নি। সেই থেকে অচল নগর ভবন।

ইশরাক হোসেনের সমর্থকরা বলছেন, সব রায় ইশরাক হোসেনের পক্ষে আসার পরও তাকে না বসানোর জন্য দিনের পর দিন টালবাহানা করা হচ্ছে। নাগরিকদের দুর্ভোগ বাড়ানো হচ্ছে। যতদিন পর্যন্ত ইশরাক হোসেনকে তার দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া না হবে, ততদিন পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।

এদিকে মঙ্গলবার (৩ জুন) বেলা তিনটায় নগর ভবনে আসবেন ইশরাক হোসেন। 

এদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেলে ৫টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন ঢাকাবাসী। নগর ভবনে এসে ইশরাক হোসেন নতুন করে কর্মসূচি ঘোষণা করবেন। জানা গেছে, আগের তুলনায় আরও কঠোর কর্মসূচি আসতে পারে। 

বাংলাদেশ পুনর্গঠনের প্রত্যয় আশানুরূপ প্রতিফলিত হয়নি,জামায়াতে ইসলামী

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ১২:৫১ পিএম
আপডেট: ০৩ জুন ২০২৫, ০১:০৫ পিএম
বাংলাদেশ পুনর্গঠনের প্রত্যয় আশানুরূপ প্রতিফলিত হয়নি,জামায়াতে ইসলামী
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী

জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী প্রথম বাজেটে নতুন বাংলাদেশ গঠনের প্রত্যয় আশানুরূপভাবে প্রতিফলিত হয়নি। আগের বাজেটগুলোর মতই গতানুগতিক বাজেট হয়েছে। 

সোমবার (২ জুন) ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণার পর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম এক বিবৃতিতে এই প্রতিক্রিয়া জানান।

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেটের সঙ্গে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মূল বাজেটের খুব একটা তফাত পরিলক্ষিত হয়নি। এবার বাজেটে ব্যয় না বাড়লেও তেমন কোনো ব্যয় কমেওনি। এতে কোনো নতুনত্বের ছোঁয়াও পরিলক্ষিত হয়নি। 

এটিএম মাছুম বলেন, ‘এই বাজেটে বড় অঙ্কের ব্যয় মেটাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে রাজস্ব আদায়ের যে লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। গত (চলতি) অর্থবছরেও এর কাছাকাছি অর্জন করা সম্ভব হয়নি। যা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ বলে আমরা মনে করছি।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘বাজেটে বিভিন্ন ধরনের পরোক্ষ কর বৃদ্ধির মাধ্যমে রাজস্ব বৃদ্ধির উদ্যোগ দেখা গেলেও প্রত্যক্ষ কর বৃদ্ধির তেমন উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। পরোক্ষ কর বৃদ্ধির কারণে দেশের সাধারণ মানুষকে এর ভার বহন করতে হবে। রাজস্ব আয় বাড়ানোর জন্য ভ্যাট ও আমদানি শুল্ক খাতে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে।’ 

তিনি বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেটে বলা হয়েছে, বাজেট ঘাটতির বড় অংশ একটি আসবে বৈদেশিক উৎস থেকে। বাজেটে বিদেশনির্ভরতা কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।’

স্থানীয় শিল্পের কর অবকাশ ও ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধা সংকুচিত করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতে দেশীয় পণ্যের উৎপাদন খরচ বাড়বে। পাশাপাশি এসি, ফ্রিজ, মোবাইল ফোন এবং এলইডির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোক্তার খরচ বৃদ্ধি পাবে। অপরদিকে সুতার আমদানি শুল্ক বৃদ্ধি করায় আরএমজি সেক্টরে উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। ফলে তৈরি পোশাক শিল্পের রপ্তানির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। 

তিনি আরও বলেন, ‘বাজেটে জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা প্রদান, সামাজিক সুরক্ষা বৃদ্ধি এবং আর্থিক সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য যে বরাদ্দ রাখা হয়েছে, তা প্রশংসার দাবি রাখে। তবে তা আরও বরাদ্দের দাবি রাখে। এ ক্ষেত্রে সুচিকিৎসা অগ্রাধিকার পাওয়া প্রয়োজন। মুদ্রাস্ফীতি কমিয়ে ৬.৫% করার কথা বলা হলেও বাজেটে এ লক্ষ্য অর্জনের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ দেওয়া হয়নি। যা কিছুটা অস্পষ্টতা তৈরি করেছে।’

বিদেশে পাচার করা অর্থ ফেরত আনার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘বিদেশে পাচার করা অর্থ এবং অন্যান্য অবৈধ অর্থ উদ্ধার করে ফিরিয়ে আনার স্পষ্ট কোনো পরিকল্পনা বাজেটে লক্ষ্য করা যায়নি। যা জাতিকে হতাশ করবে। এ ছাড়াও কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বৃদ্ধি করা হয়েছে। যা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। এই অপচেষ্টা বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।’

 

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক চলছে

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ১২:৪৪ পিএম
আপডেট: ০৩ জুন ২০২৫, ০১:১১ পিএম
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক চলছে
ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক চলছে

সংস্কার ইস্যুতে ঐকমত্যে পৌঁছাতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দিনের বৈঠক চলছে।

মঙ্গলবার (৩ জুন) বেলা পৌনে ১২টায় রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এই বৈঠক শুরু হয়। সন্ধ্যা ৬টায় এই বৈঠক শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

বৈঠকে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, জাতীয় গণফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক টিপু বিশ্বাস, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমেদ আবদুল কাদের, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এলডিপির চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী, বিএলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ জাসদের মোস্তাক হোসেন, ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকনসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের নেতারা রয়েছেন।

বৈঠকে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ, সংসদীয় স্থায়ী কমিটি, নিম্নকক্ষে নারী আসন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হবে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলী রীয়াজ এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন। 

বৈঠকে কমিশনের সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, বদিউল আলম মজুমদার, আইয়ুর মিয়া, ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য) মনির হায়দার উপস্থিত রয়েছেন।

শফিকুল/পপি/

বেশির ভাগ দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চায়

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ১০:৩১ এএম
আপডেট: ০৩ জুন ২০২৫, ১০:৩৩ এএম
বেশির ভাগ দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চায়
রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এই বৈঠকে ২৮টি রাজনৈতিক দল ও দুটি জোট অংশ নেয়

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এখনো ঐকমত্য হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে গতকাল সোমবার প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সভাপতিত্বে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বৈঠক কার্যত সর্বদলীয় বৈঠকে পরিণত হয়। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বলেছেন, ‘ঐকমত্যের সুযোগ যেন আমরা হাতছাড়া না করে ফেলি।’

তবে বৈঠক থেকে বেরিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, নির্বাচন ডিসেম্বরের পরে যাওয়ার একটি কারণও নেই। অন্যদিকে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘জুলাই সনদের আগে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা নয়।’ তবে ডিসেম্বর থেকে এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের। অবশ্য বৈঠকে নেওয়া বেশির ভাগ দলই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়েছে। 

সোমবার (২ জুন) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বিকেল ৪টায় বৈঠক শুরু হয়। সাড়ে ৩ ঘণ্টাব্যাপী এই বৈঠকে ২৮টি রাজনৈতিক দল ও দুটি জোট অংশ নেয়।

ছয় সংস্কার কমিশনের দেওয়া সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার বৈঠক ছিল এটি। আজ মঙ্গলবার সকালে আবারও বিএনপির সঙ্গে ঐকমত্য কমিশন বৈঠক করবে। এর আগে গত ১৬ জানুয়ারি ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র’ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সর্বদলীয় বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা।

বৈঠক শেষে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘আমরা অবশ্যই মনে করি, ডিসেম্বরে নির্বাচন সম্ভব। এর আগেই জরুরিভিত্তিতে নির্বাচনমুখী যে সংস্কার, সেগুলো চিহ্নিত করে ঐকমত্যের ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা যায়। এমন কোনো সংস্কার নেই, যা এক মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। শুধু সংবিধান ছাড়া অন্যান্য যে সংস্কার আছে, তা নির্বাহী আদেশে বা অধ্যাদেশের মাধ্যমে এক মাসের ভেতরে বাস্তবায়ন করা সম্ভব, যেটা আমরা বুঝিয়ে দিয়েছি।’ 

তিনি বলেন, ‘আমরা সংস্কার কমিশনের মতামতের ভিত্তিতে বিস্তারিত মতামত দিয়েছি। সংস্কার বিষয়ে আমরা তিন দিন সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছি। সংস্কার কমিশন অন্যান্য দলের সঙ্গেও বৈঠক করেছে। আমরা আমাদের মতামত লিখিতভাবেও দিয়েছি এবং আলোচনার মধ্য দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোতে কাছাকাছি আসতে পেরেছি।’ 

বৈঠকে অধিকাংশ দলই ডিসেম্বরের আগে নির্বাচনের প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানিয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা আশা করি, প্রধান উপদেষ্টা সেটি বিবেচনা করবেন। প্রধান উপদেষ্টা নিরপেক্ষভাবে তার দায়িত্ব পালন করবেন। কারও প্রতি রাগ-বিরাগ, অভিমান প্রদর্শন করবেন না। তবে জাতি তার কাছে নিরপেক্ষতা আশা করে।’

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সংবিধান সংশোধনের যেসব প্রস্তাব বিভিন্ন দল দিয়েছে, আমাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ওনারা যেভাবে আন্তরিকতা দেখিয়েছেন তাতে আগামী এক মাসের মধ্যে একটা ঐকমত্যে আসা সম্ভব বলে মনে করি। কিছু কিছু বিষয়ে অবশ্যই দ্বিমত থাকবে, সব বিষয়ে সবাই একমত হবেন, এমনটা আমরা আশাও করি না। যেসব বিষয়ে আমরা একমতে আসতে পারব, সেটা অবশ্যই পরবর্তী সংসদে পাস হবে। এসব বিষয়ে এখন ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি সনদ স্বাক্ষরিত হলেই হবে। আশা করি, আর বেশি সময় নেবেন না। এই মাসের মধ্যে একটা কম্পাইল করা সম্ভব হবে।’

সালাহউদ্দিন আহমেদ ছাড়াও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বৈঠকে অংশ নেন। 

ডিসেম্বর থেকে এপ্রিলের মাঝে নির্বাচন চায় জামায়াত
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. তাহের বলেছেন, ‘সংস্কারের বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। জুলাইয়ের মাঝে সংস্কার শেষ করতে হবে। বেশির ভাগ বিষয়ে একমত হয়েছি। যেসব বিষয়ে একমত হচ্ছে না তাও আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করা যাবে বলে মনে করি। একেবারে একমত না হলে কী করা যাবে তা নিয়ে আলোচনা করব।’

তিনি বলেন, ‘জুলাইয়ের মধ্যে রিফর্ম হবে। তারপর একটি জুলাই সনদ হবে, তাতে আমরা সব দল নীতিগত একমত- এই চার্টারে আমরা স্বাক্ষর করব।’ 

জামায়াতের এই সিনিয়র নেতা বলেন, ‘নির্বাচনের তারিখ নিয়েও আলোচনা হয়েছে। ড. ইউনূসের ওপর আস্থা আমরা পুনর্ব্যক্ত করেছি। একটা সফল সুন্দর নির্বাচন হোক, তা-ই চেয়েছি। নির্বাচনের তারিখের বিষয়ে তিনটি বক্তব্য এসেছে। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন ডিসেম্বর থেকে জুন। কিছু রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরে চেয়েছেন। আমরা বলেছি মে ও জুন মাসে নির্বাচন করার জন্য উপযুক্ত সময় নয়। সে অনুযায়ী প্রধান উপদেষ্টার কমিটমেন্ট রাখতে গেলে জানুয়ারি থেকে এপ্রিলের মাঝে নির্বাচন হতে পারে। আমরা বলেছি মাঝেখানে একটা তারিখ ঘোষণা করুন। ডিসেম্বর থেকে এপ্রিলের মাঝে একটা তারিখ দিলে জনমনে যে শঙ্কা এবং অস্বস্তি আছে তা ঠিক হয়ে যাবে।’ 

নির্বাচনের আগে জুলাই সনদ: নাহিদ
এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘আগামী ৫ আগস্ট আমাদের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্ণ হবে। এটি আমরা উদযাপন করতে চাই। ৫ আগস্টের আগেই জুলাই মাসে যেন জুলাই সনদ রচিত হয়। জুলাই সনদের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের রূপরেখা এবং শাসন কাঠামো দেখতে চান। জুলাই সনদ হওয়ার আগে যেন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা না করা হয়। এতে সংস্কার প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘যেসব রাজনৈতিক দল দ্রুত নির্বাচন চাচ্ছে আমরা তাদের প্রতি এবং সরকারের প্রতি আহ্বান রেখেছি, ১৬ বছর অপেক্ষা করেছি, ১০ মাস অপেক্ষা করেছি, আরও ২ মাস যেন অপেক্ষা করি। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকি এবং সরকারকে সময় দিই। এ দুই মাসের মধ্যে আমরা জুলাই সনদ রচনা করে ফেলি।’

এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘জুলাই সনদের পরেই সরকার যেন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে দেয়। জুলাই ঘোষণাপত্রের জন্য ৩০ কার্যদিবস ছিল, সেটা অনেক কার্যদিবস হয়ে গেছে। কিন্তু কোনো পদক্ষেপ দেখছি না। আমরা আহ্বান জানিয়েছি, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যেন জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়িত হয়। নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার, নির্বাচন কমিশন আইন সংস্কার এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করা উচিত।’

অন্য দলের নেতারা যা বললেন 
বৈঠক শেষে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী বলেন, ‘নির্বাচন, বিচার ও সংস্কারের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি। আমরা বলেছি, বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চায়। এখন ডিসেম্বর থেকে কোনো কারণে নির্বাচন পেছালে তাহলে বাড়তি সময় কেন লাগবে, তা সরকারকেই ব্যাখ্যা করতে হবে। সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে, তা জনমনে আশঙ্কা তৈরি করছে। নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত ও গণতান্ত্রিক যাত্রা শুরু করতে সবাইকে উদ্যোগ নিতে হবে।’

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব জালালুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা তিনটি প্রস্তাব দিয়েছি। প্রথমত, কোনো সংস্কার গুরুত্বসহকারে করবেন, কত সময় লাগবে তার রোডম্যাপ। দ্বিতীয়ত, নির্বাচনের আগে খুনি শেখ হাসিনাসহ তার দোসরদের বিচার দৃশ্যমান করা। তৃতীয়ত, ডিসেম্বর থেকে জুন, কোন মাসে করবে তা নির্দিষ্ট রোডম্যাপের দাবি জানিয়েছি।’ 

এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, ‘ঐকমত্য কমিশন কী অর্জন করতে চায় তার লিখিত ফ্রেমওয়ার্ক থাকা দরকার। অন্তর্বর্তী সরকার ১০ মাসে কী কী করেছে, তার আমলনামা বা খতিয়ান জনগণের কাছে প্রকাশ করা দরকার। প্রত্যেক উপদেষ্টার আমলনামা দেওয়া দরকার। নির্বাচনের দিনক্ষণ নিয়ে সবার সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে একটি দিনক্ষণে পৌঁছানো যাবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘আগামী জুনের মধ্যে জুলাই সনদ বা জাতীয় সনদের কাজ শেষ করতে আহ্বান জানিয়েছি। পাশাপাশি বিতর্কিত পদক্ষেপ থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছি।’

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যে জামায়াতের হামিদুর রহমান আযাদ, ১২-দলীয় জোটের মোস্তফা জামাল হায়দার ও শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় গণফ্রন্টের টিপু বিশ্বাস, খেলাফত মজলিসের ড. আহমদ আবদুল কাদের, বাংলাদেশ লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, এনসিপির আখতার হোসেন ও সারোয়ার তুষার, এনডিএমের মোমিনুল আমিন, জেএসডির শহীদ উদ্দীন মাহমুদ স্বপন, সিপিবির সাজেদুল হক রুবেল, ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, ইসলামী আন্দোলনের মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, বাংলাদেশ জাসদের ডা. মুশতাক হোসেন, নাগরিক ঐক্যের সাকিব আনোয়ার, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুম, এলডিপির লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) হাসান সোহরাওয়ার্দী ও ড. নেয়ামুল বশির, গণঅধিকার পরিষদের নুরুল ইসলাম নুর, আমজনতা পার্টির মিয়া মশিউজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

জিয়াউর রহমানের পথ ধরে দেশকে এগিয়ে নেবেন তারেক রহমান: নজরুল ইসলাম আজাদ

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ১০:৫৪ পিএম
আপডেট: ০২ জুন ২০২৫, ১০:৫৪ পিএম
জিয়াউর রহমানের পথ ধরে দেশকে এগিয়ে নেবেন তারেক রহমান: নজরুল ইসলাম আজাদ
ছবি: সংগৃহীত

শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পথ অনুসরণ করে আগামী দিনে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান- বলে মন্তব্য করেছেন দলটির ঢাকা বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ। 

তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণের জন্য সবচেয়ে বড় উপকার করে দিয়ে গেছেন তিনি এবং আমাদের গণতন্ত্রের মাতা বেগম খালেদা জিয়ার সুযোগ্য সন্তান তারেক রহমানকে আমাদের জন্য উপহার দিয়েছেন। প্রশাসন লাগবে কেন? আমরা যারা খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের দল করি তারাই নিরাপত্তা দিব। আমাদের নেতা তারেক রহমান এবং আমরা জনগণের সুদিন-দুর্দিনে পাশে ছিলাম। আগামীতেও থাকব, ইনশাআল্লাহ। তবে কারও দ্বারা দলের সুনাম ক্ষুণ্ন হলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

সোমবার (২ জুন) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার পৌরসভা বিএনপির উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

নজরুল ইসলাম আজাদ বলেন, জিয়াউর রহমান সততার প্রতীক। এক্ষেত্রে তার বিকল্প নেই। তারই উত্তরসূরী হিসেবে সততার পথ ধরে দেশ সেবায় এগিয়ে এসেছেন বেগম খালেদা জিয়া। আজকে সেই সততা ধরে রেখেছেন তারেক রহমান। তিনি সৎ মানুষ এবং সততার উদাহরণ। তারেক রহমান বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মূল নায়ক। বিগত ১৭ বছরে তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণেই ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান দেশের স্বাধীনতার ঘোষক। তার ঘোষণা শুনে দেশের মানুষ স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার হলেন জিয়াউর রহমান। আজকে আমরা মাছে-ভাতে বাঙালি, কৃষির অগগ্রতির জন্য খাল খনন কর্মসূচি, তৈরি পোশাক শিল্প বা গার্মেন্টস খাতের সূচনা করেছিলেন জিয়াউর রহমান। আজকে গার্মেন্টস হলো দেশের অন্যতম প্রধান আয়ের উৎস। তার অবদান বলে শেষ হবে না।

আড়াইহাজার পৌরসভা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল্লাহ লিটনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ডালিমের পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসিকুল ইসলাম রাজীব, জেলা বিএনপির সদস্য লুৎফর রহমান আব্দুর, আড়াইহাজার থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহমেদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবু প্রমুখ। এসময় ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব মোবারক হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব সাকিব আলমগীর, কৃষক দলের আহ্বায়ক আলমগীর, বিএনপি নেতা কালাম, পপি, মাসুম শিকারী, আড়াইহাজার পৌরসভা ছাত্রদলের সভাপতি সুমন, যুবদলের মাসুদসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।


শফিকুল ইসলাম/