ঢাকা ৬ ফাল্গুন ১৪৩১, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৬ ফাল্গুন ১৪৩১

রাজধানীতে শীতার্ত মানুষের পাশে ছাত্রদল

প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:২৪ পিএম
রাজধানীতে শীতার্ত মানুষের পাশে ছাত্রদল
রাজধানীর প্রেস ক্লাবে শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। ছবি: খবরের কাগজ

রাজধানীতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় গভীর রাতে খেটে খাওয়া ও ছিন্নমূল মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মো. সারোয়ার হোসেন। 

শনিবার (২৯ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে প্রেস ক্লাবে বিভিন্ন ফুটপাতে শুয়ে থাকা শীতার্ত মানুষগুলোর মাঝে কম্বল বিতরণ করেন তিনি। কম্বল পেয়ে অসহায় শীতার্ত গরিব মানুষেরা কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

সারোয়ার হোসেন বলেন, ‘ছাত্রদল সব সময় মানবকল্যাণের কাজে নিয়োজিত। অতীতে আপনার দেখছেন দেশের বন্যা, প্রচণ্ড তাপমাত্রায় সাধারণ মানুষের পাশে বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে ছাত্রদল জীবন বাজি রেখে দাঁড়িয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় ফুটপাতে শুয়ে থাকা সাধারণ মানুষের শীতের কষ্ট সামান্য লাগব করার জন্য ছাত্রদলের শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে, ইনশাআল্লাহ।’

এই সময় উপস্থিত ছিলেন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক মাহিন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আয়াত উল্লাহ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ ছাত্রদল নেতা রাসেল, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদল নেতা ইসমাইল হোসেন সরকারসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতারা। 

শফিকুল ইসলাম/সাদিয়া নাহার/

রঙ দেখছে রঙের কৌটা দেখছে না: ফজলুর রহমান

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩১ পিএম
রঙ দেখছে রঙের কৌটা দেখছে না: ফজলুর রহমান
ছবি: খবরের কাগজ

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান বলেছেন, আমরা হাসিনাকে তাড়াইছি প্রথমে প্রধানমন্ত্রী হবে, পার্লামেন্ট সরকার হবে। তারপর স্থানীয় নির্বাচন হবে। এর বাইরে যারা রঙ বেরঙের কথা বলে তারা রঙ দেখছে রঙের কৌটা দেখছে না।

তিনি বলেন, আমরা গত ৩ আগস্ট স্লোগান দিয়েছিলাম "এক দফা এক দাবি, হাসিনা তুই কবে যাবি।" হাসিনা কি স্থানীয় সরকারের উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলো? সেতো কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিল। আমরাতো কেন্দ্রীয় সরকার, পার্লামেন্ট সরকারের পতন চেয়েছিলাম। কেন্দ্রীয় সরকারের পতন চেয়েছিলাম বলেই তো এখন কেন্দ্রীয় সরকারের নির্বাচন হবে।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় জেলা শহরের পুরাতন স্টেডিয়ামে জেলা বিএনপি আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নিত্যপণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা, অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ও দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে এবং রাষ্ট্রের পতিত ফ্যাসিবাদীদের নানা চক্রান্তের অপচেষ্টা মোকাবিলাসহ বিভিন্ন জনদাবিতে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপি এ জনসভার আয়োজন করে।

জামায়াতে ইসলামীকে মুনাফিক আখ্যায়িত করে তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বেশি বাড়াবাড়ি কইরেন না। বিএনপিরে লাল চোখ দেখাবেন না। ১৮ বছর বিএনপির ডানার নিচে লুকিয়ে ছিলেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া শাড়ির আঁচল দিয়ে সন্তানের মতো লুকিয়ে রেখেছিল। এখন যেই না একটু সুযোগ পাইছেন তেমনি স্লোগান দেওয়া শুরু করেছেন, 'নৌকা আর ধানের শীষ, দুই সাপের এক বিষ।' আপনাদের যে আশ্রয় দিয়ে পাললো সামান্য একটু সুযোগ পাইছেন সব দখল কইরা ফেলছেন। এখন বলতেছেন সব ক্ষমতা আমরা নিমু বিএনপি আর আসতে পারবে না।

কোনো দলকেই বিএনপি শত্রু মনে করে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ পালাইছে। আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ নাই। হ্যাঁ জামায়াতে ইসলামী আছে। আমি জামায়াতে ইসলামীকে শত্রু মনে করি না। কিন্তু যদি ওই আইয়ুব খানের মতো, যদি ওই হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদের মতো বাহানা করেন। চক্রান্ত করেন। জটিল পথে কুটিল পথে যদি নির্বাচনকে ধ্বংস করতে চান তাহলে কিন্তু বিএনপি কাউকে ছাড়বে না।

সাধারণ জনগণের উদ্দেশে তিনি বলেন, "আজকে যারা নতুন করে এই দেশটাকে পাকিস্তানের পক্ষে নিয়ে যেতে চায়, তাদেরকে আপনারা চিনেন না। চিনতে পারছেন না আপনারা। তাদের চরিত্রের কোনো পরিবর্তন হয় নাই। আমরা মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ চাই। আমরা জিয়াউর রহমানের বাংলাদেশ চাই। আমরা বহুদলীয় গণতন্ত্রের বাংলাদেশ চাই। আমরা আগামী দিনে মেহনতী মানুষের বাংলাদেশ চাই। সেই বাংলাদেশ চাই বলেই আগামী দিনে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে মানুষের অধিকারের দ্বার গণতন্ত্রের মাধ্যমে খুলতে চাই। সেই গণতন্ত্র বাংলাদেশে আমরা অবশ্যই কায়েম করবো। রাতের আঁধারে যারা চক্রান্ত করতে চান। যাদের বাপ দাদার নাম নাই, চান মলের বিয়াই। শতকরা দুই শতাংশ ভোট পাইবো না, ২০০ শতাংশের গল্প করেন। আমাদের নেত্রী অসুস্থ। উনি সুস্থ হয়ে দেশে আসলে ৫০ শতাংশ সমস্যার সমাধান এমনিতেই হয়ে যাবে।"

তিনি বলেন, হাসিনা কি করলো। হাসিনা উড়ে গেলো দিল্লি। মনে করতেছে দিল্লি থেকে বৈজন্তি মালা ট্যাংক নিয়া আসবো। আগামী ১০ বছরে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগকে দেখা যাবে না আমি বলে গেলাম। শেখ হাসিনার সরকার, আপনি ২০১৪ সনে মানুষকে ভোট দিতে দেন নাই। ১৫৩টা পার্লামেন্ট সিট বিনা ভোটে নির্বাচিত করেছেন। ২০১৮ সনে আমাদের ধোঁকা দিয়ে নির্বাচনে নিছিলেন। নিয়া আপনি দিনের ভোট রাইতে করছেন। নিশি রাইতের এমপি বানাইছেন। ১৮ সনে মানুষকে আপনি বঞ্চিত করছেন। আর ২০২৪ সনের ৭ই জানুয়ারি আমি আর ডামির ভোট করছেন। নৌকা আর ট্রাক। কোনো মার্কাই মার্কা না, সব মার্কা হাসিনার মার্কা। সেই ৩টা নির্বাচনে আজকে যে যুবকের বয়স ৩৬ বছর সে ভোট দিতে পারে নাই। সেই ভোটটা আমরা দিতে চাই।

সকল চক্রান্ত রুখে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে দেশবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, এই দেশে ইলেকশন হবে এবং সেটা পার্লামেন্ট ইলেকশন। ১৮ কোটি মানুষের দেশ। তারা হলো দেশের মালিক। তাঁরা সিদ্ধান্ত নিবে তাদের বাড়ির পাহারাদার কে হবে? চক্রান্ত কইরেন না। চক্রান্ত করা ভালো না। আমি বলি সবসময় হাসিনার সময় ছিলো গভীর অন্ধকার। কিন্তু টর্চলাইট মারলে দেখা যাইতো। এখন হইলো গভীর কুয়াশা। এখন দুইটা লাইট জ্বালাইলেও গাড়ি চলতে চায় না। ইউনুস সাহেব দেশটা কুয়াশা হয়ে গেছে। আপনার কাছ থেকে বাংলাদেশের মানুষ এটা আশা করে না। আপনি বাংলার সুসন্তান। আমি মনে করি ১০টা মন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রী যোগ করলে আপনি তার চেয়েও লম্বা। আপনি শুধু একজন প্রধানমন্ত্রী থাকার জন্য দেশটার সর্বনাশ কইরেন না ইউনুস সাহেব। এই ছেলেপেলের কথায় এখনো চুলদাড়ি উঠছে না। আমি ছেলেদের বাজে কথা বলতে চাই না। কিন্তু যে ছেলেরা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কথা বললে সাথে সাথে বেয়াদবের মতো উত্তর দেয় তাদেরকে বলি 'একসময় আমি হাসিনাকে বলতাম সাধু সাবধান।' যারা এসব করতাছেন তাদেরকে বলছি সাধু সাবধান। এইদিন কিন্তু থাকবে না। দিন কিন্তু আইসা পড়ছে। এই মূহুর্তে ইলেকশন হলে আল্লাহর রহমতে, আল্লাহর দয়ায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে দুই-তৃতীয়াংশের ওপরে মেজরিটি পাবে। এটা কেউ ঠেকাইতে পারবে না। সেই দলটাকে আপনারা বঞ্চিত করতে চান, চক্রান্ত করে। এই চক্রান্ত হতে দেওয়া যাবে না।

জনসভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলম। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ মোঃ ওয়ারেছ আলী মামুন, আবু ওয়াহাব আকন্দ, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য লায়লা বেগম, শেখ মুজিবুর রহমান ইকবাল। সভা সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম।

তাসলিমা/সিফাত/

আগামী একশ বছরেও মানুষ আ.লীগের নাম নিতে লজ্জা পাবে: মামুনুল হক

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:৫৮ পিএম
আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:০২ পিএম
আগামী একশ বছরেও মানুষ আ.লীগের নাম নিতে লজ্জা পাবে: মামুনুল হক
কুমিল্লায় গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসিচব মাওলানা মামুনুল হক। ছবি: খবরের কাগজ

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসিচব মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, শেখ হাসিনার রাজনীতি ছিল প্রতিশোধ ও বিভাজনের রাজনীতি। তিনি তার বাবার হত্যার প্রতিশোধ নিয়েছেন বাংলাদেশের কাছ থেকে। প্রতিশোধ নিয়েছেন বাংলাদেশের মানুষের ওপর। সর্বশেষ প্রতিশোধ নিয়েছেন তার দল আওয়ামী লীগ থেকে। বিবেকবান মানুষ চিন্তা করলে দেখবেন জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের পর শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগকে এমন একটি জায়গায় নিয়ে দাঁড় করিয়েছেন- আগামী একশ বছরেও মানুষ আওয়ামী লীগের নাম নিতে লজ্জা পাবে।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে কুমিল্লা টাউন হল মাঠে খেলাফত মজলিস কুমিল্লা জেলা ও মহানগর শাখার উদ্যোগে আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মামুনুল হক বলেন, মসনদ টিকবে না জেনেই শেখ হাসিনা তার পরিবারের সদস্যদের নিরাপদে সরিয়ে নিয়েছেন। দলের নেতা কর্মীদের কথা চিন্তা করে নাই, তিনি চিন্তা করেছেন শুধু তার পরিবারের কথা। নিজের ছেলে মেয়ে ও পরিবারের লোকজনদের আগেই বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা যুবলীগকে ‘হাতুরি লীগ’ বানিয়েছেন, ছাত্রলীগকে ‘হেলমেট লীগ’ বানিয়েছেন। তিনি তাদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে আমার দেশের দামাল ছেলেদের বুকে গুলি করার নির্দেশ দিয়েছেন। তার দলকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছেন। গুম-খুনের জন্য তার দলের নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। এই কথা শুধু আমাদের নয়, আন্তর্জাতিকভাবে জাতিসংঘের রিপোর্টেও উল্লেখ করা হয়েছে। জুলাই আন্দোলনের খুনের দায়ে শেখ হাসিনা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। তাকে এ দায় নিতে হবে।

খেলাফত মজলিস কুমিল্লা পূর্ব জেলার সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ওয়ালি উল্লাহর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা আফজালুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা তোফাজ্জল হোসাইন মিয়াজী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ফয়সাল আহমাদ, কুমিল্লা মহানগর জামায়াত ইসলামীর সেক্রেটারি কামরুজ্জামান সোহেল।

অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন ফেনী জেলা সভাপতি মাওলানা জসিম উদ্দিন, চাঁদপুর জেলা সভাপতি মাওলানা লেয়াকত হোসাইন, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মাওলানা মামুনুর রশিদ, কুমিল্লা পশ্চিম জেলার সভাপতি মাওলানা, আবু ইউসুফ মুন্সী, কুমিল্লা মহানগর সভাপতি হাফেজ মাওলানা সোলাইমান। গণ সমাবেশ সঞ্চালনা করেন মাও. ইমাম হোসাইন।

জহির শান্ত/মাহফুজ

কায়কোবাদের ব্যাবস্থাপনায় গণঅভ্যুত্থানে আহতদের বিরিয়ানি বিতরণ

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:০১ পিএম
আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:০৫ পিএম
কায়কোবাদের ব্যাবস্থাপনায় গণঅভ্যুত্থানে আহতদের বিরিয়ানি বিতরণ
রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতাল ও চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে আহতদের মাঝে খাদ্য বিতরণ। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদের ব্যাবস্থাপনায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের মাঝে খাদ্য বিতরণ করা হয়। কায়কোবাদের পক্ষ থেকে তার ছোট ভাই কাজী শাহ আরিফিনসহ অন্যান্যরা ২৫০ জন আহতদের মাঝে বিরিয়ানি, পানি, বোরহানি বিতরণ করেন।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতাল ও চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে আহতদের মাঝে এসব খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন।

আহতরা বলেন, অনেকেই আমাদের খোঁজখবর নিয়েছেন। তবে, কায়কোবাদ দাদা একটু ভিন্ন। উনি সবসময় আমাদের খোঁজখবর নেন। আজকে খুব উন্নত মানের খাবার বিরিয়ানি দিয়েছেন। এর আগেও তিনি আমাদের জন্য খেজুর এবং পবিত্র জমজম কুপের পানিসহ বিভিন্নভাবে সহযোগিতা দিয়ে আসছেন। বিষয়টি আমাদের কাছে খুবই ভালো লেগেছে এবং তার জন্য দোয়া রইল সব সময় উনি আমাদের পাশে থাকবেন।

কায়কোবাদের ছোট ভাই শাহ্ কাজি আরিফিন বলেন, আমরা খাবার দেওয়ার কেউ না। দিয়েছেন আল্লাহ। আমরা শুধু উসিলা মাত্র‌। আমরা সবসময় তাদের পাশে আছি। আমরা শুধু খাবার না এছাড়া অনেক সহায়তা  কার্যক্রম আমাদের চলমান রয়েছে যা আমরা প্রকাশ করি না। আমরা সবসময় তাদের পাশে আছি। শুধু এখন না, তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গেলেও আমরা তাদের ভুলে যাবো না।

এছাড়াও তিনি বলেন, আহতদের অনেক অভিযোগ রয়েছে। সরকারের প্রথম কাজ ছিল তাদের দিকে নজর দেওয়া। সরকারকে আহ্বান করবো যেন তাদের দিকটা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখেন। আমি দাদার পক্ষ থেকে এদের কাছে তার ভালোবাসার উপহার পৌঁছে দিয়েছি। আমরা দোয়া করি তারা খুব শীঘ্রই সুস্থ হয়ে পরিবারের কাছে ফিরে যাবেন।

খাদ্য বিতরণকালে আরও উপস্থিত ছিলেন মুরাদনগর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. সোহেল সামাদ, মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক আব্দুল আজিজ মোল্লা, বাঙ্গুরা সদর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক মোহাম্মদ বাসির মিয়াসড়  অন্যান্য নেতাকর্মীরা।

এমএ/

সরকারে বসে রাজনৈতিক দল গঠন মেনে নেওয়া হবে না: ফখরুল

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:২৮ পিএম
আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:৩৮ পিএম
সরকারে বসে রাজনৈতিক দল গঠন মেনে নেওয়া হবে না: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

যেকোনো রাজনৈতিক দলকে আমরা স্বাগত জানাই। এর অর্থ এই নয় যে আপনারা সরকারে বসে, সরকারের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে দল গঠন করবেন। সেটা কখনই মেনে নেওয়া হবে না। অবিলম্বে এ বিষয়গুলোতে ব্যবস্থা নিন। তা না হলে আপনাদের প্রতি জনগণের যে আস্থা আছে, সেই আস্থাও থাকবে না বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।

‘ঢাকা মহানগর ছাত্রদলের সদস্য সংগ্রহ ফরম বিতরণ, সদস্য নবায়ন ও গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে নতুন ধারার ছাত্ররাজনীতি’ শীর্ষক ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব।

অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল বলেন, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেছেন- ফ্যাসিস্টদের লোকেরা যদি কেউ মাফ চেয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে চায়, তাহলে তারা অংশ নিতে পারবে। এর থেকে এটাই প্রমাণিত হয়েছে তারা নিজেদের স্বার্থে ফ্যাসিস্টদের জায়গা দিতে চায়। তাহলে কি আমরা মনে করবো- তারা সরকারে থেকে তাদের দল গোছানোর জন্য বিভিন্ন কৌশল নিচ্ছে? এমন কৌশল নিলে আমরা তা হতে দেবো না, এদেশের মানুষ তা হতে দেবে না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, খুব পরিষ্কার করেই বলছি- অবশ্যই নতুন রাজনৈতিক দলকে আমরা স্বাগত জানাবো। ছাত্র-সংগঠন উজ্জীবিত করেছেন, আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। যতই দল তৈরি করবেন স্বাগত জানাবো। কিন্তু তার অর্থ এই নয়- আপনারা সরকারে বসে সরকারের সব সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আপনাদের দল গঠন করবেন, সেটা কখনোই মেনে নেওয়া হবে না।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, আপনি অবিলম্বে এই বিষয়গুলোয় ব্যবস্থা নিন। তা নাহলে আপনাদের ওপর জনগণের যে আস্থা সেটি আর থাকবে না।

এমএ/

চট্টগ্রামে আ.লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ৪৩ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:১৮ পিএম
চট্টগ্রামে আ.লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ৪৩ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার আসামিরা। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন এলাকায় গত ২৪ ঘণ্টায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ৪৩ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।  

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।

সিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ইমরান হোসেন জানান, সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টা থেকে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিশেষ ক্ষমতা আইনে ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একাধিক মামলা রয়েছে।

নগর পুলিশ জানিয়েছে, নগরের বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযানে ডবলমুরিং মডেল থানা-পুলিশ চারজন, বাকলিয়া থানা-পুলিশ দুইজন, বন্দর থানা-পুলিশ একজন, পাঁচলাইশ মডেল থানা-পুলিশ সাতজন, কর্ণফুলী থানা-পুলিশ একজন, কোতোয়ালি থানা-পুলিশ পাঁচজন, চকবাজার থানা-পুলিশ একজন, ইপিজেড থানা-পুলিশ একজন, আকবরশাহ্ থানা-পুলিশ পাঁচজন, পতেঙ্গা মডেল থানা-পুলিশ একজন, খুলশী থানা-পুলিশ দুইজন, পাহাড়তলী থানা-পুলিশ একজন, চান্দগাঁও থানা-পুলিশ একজন, হালিশহর থানা-পুলিশ ছয়জন ও বায়েজিদ বোস্তামী থানা-পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

সালমান/