
কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সমাবেশে মারধরের শিকার হয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ফারুক হাসান। কারা তাকে মারধর করেছেন, এ বিষয়ে সুস্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। যদিও গণঅধিকার পরিষদ থেকে দাবি করা হয়েছে, এই হামলার পেছনে জড়িত বিপ্লবী পরিষদ। তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিপ্লবী পরিষদ।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) ‘ফ্যাসিবাদ বিলোপ ও নতুন সংবিধানের’ দাবিতে সমাবেশ ডাকে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের ফারুক হাসান।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ফারুক যখন মঞ্চে ওঠেন, তার বক্তৃতার এক পর্যায়ে তিনি বলে বসেন ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের জন্য বিপ্লবী সরকার গঠন করা সম্ভব হয়নি। এ অন্তর্বর্তী সরকার ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর হেডকোয়ার্টার বঙ্গভবন থেকে এসেছে’। এর একপর্যায়ে কিছু ব্যক্তির সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ান তিনি। পরে তার ওপর হামলা করা হয়।
এ সময় কয়েকটি চেয়ার ভাঙচুর করেন বিক্ষুব্ধরা। এরপর ফারুককে ধাওয়া দিয়ে ঢাকা মেডিকেল অভিমুখী সড়ক পর্যন্ত নিয়ে যান এবং সেখানেও তাকে মারতে থাকেন।
এদিকে ফারুক হাসান এক ভিডিও বার্তায় ছাত্রদল এই হামলা করেছে বলে দাবি করেন। পরবর্তী সময়ে সেটি দলের পক্ষ থেকে ভুল তথ্যের কারণে বলা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সদস্য সচিব হাসান মোহাম্মদ আরিফ খবরের কাগজকে বলেন, ‘ফারুক হাসানের সঙ্গে যেই ঘটনা ঘটেছে, এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। তা ছাড়া তিনি আমাদের অতিথি, কেনই তার ওপর হামলা করতে যাব? যারা এ কাজটি করেছেন তাদের আমরা চিনিই না। আমাদের নাগরিক সমাবেশ ছিল ফ্যাসিবাদ বিলোপ ও নতুন সংবিধানের দাবিতে, যারা এর বিরুদ্ধে তারাই এটি ঘটিয়েছেন যেন আমাদের সমাবেশটি ভণ্ডুল হয়ে যায়। আমরা পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতেছি কারা এটি ঘটিয়েছেন।’
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘অনুষ্ঠানে উপস্থিত ১০-১৫ জন ফারুক হাসানের ওপর হামলা করেছে। পুলিশ যদি হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব।’
এদিকে হামলকারী দুজনকে চিহ্নিত করেছে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ। শনিবার রাতে পরিষদের সহকারী সদস্যসচিব গালীব ইহসানের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘হামলাকারীদের পরিচয় জানতে বিপ্লবী পরিষদের অনুসন্ধান শুরু করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত হামলাকারীদের মধ্যে শরীফ ও হিল্লোল নামে দুজনের পরিচয় জানা গেছে। তারা রাজধানীর শ্যামলী থেকে সমাবেশস্থলে আসেন।
এ ছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে সমাবেশে হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।
মেহেদী