ঢাকা ৭ ফাল্গুন ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৭ ফাল্গুন ১৪৩১

জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত সবুজের পরিবারের পাশে তারেক রহমান

প্রকাশ: ০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:২৬ পিএম
আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৪৫ পিএম
জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত সবুজের পরিবারের পাশে তারেক রহমান
তারেক রহমানের পক্ষ থেকে শহিদ ছাত্রদল নেতা সবুজ হাসানের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিতে নিহত ছাত্রদল নেতা সবুজ হাসানের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সবুজ হাসান শেরপুর জেলার শ্রীবরদী থানার খরিয়া কাজীর চর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ছাত্রদলের সহসভাপতি ছিলেন।

শনিবার (৪ জানুয়ারি) বিকালে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে নিহত সবুজ হাসানের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে তার বাড়িতে যান বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম। 

স্থানীয় আওয়ামী লীগের সমর্থকদের গুলিতে নিহত সবুজের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তরের ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পরেন তার বাবা মো. আজহার আলী ও মা সাজেদা খাতুন। এসময় শহিদ পরিবারের কাছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন রফিকুল ইসলাম।

শফিকুল ইসলাম/মাহফুজ

 

আ.লীগ দেশের মানুষকে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে: দুলু

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৩৫ পিএম
আ.লীগ দেশের মানুষকে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে: দুলু
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক উপমন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ দেশের মানুষকে ভোট থেকে বঞ্চিত করেছে। দীর্ঘ ১৫ বছর দেশের সব নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছিল।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে নাটোর শহরের আলাইপুরস্থ জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে নাটোর চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দ সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুলু এসব কথা বলেন।

রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, আওয়ামী লীগের শাসন আমলে পার্লামেন্ট নির্বাচন থেকে শুরু করে দেশে কোনো নির্বাচনই হয়নি। দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। মানুষের ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। শ্রমিক নির্বাচন থেকে শুরু করে দেশের সকল নির্বাচন নষ্ট করেছে। দীর্ঘ ১৫ বছর বিএনপি মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকারের সংগ্রাম চালিয়েছে। আমরা ভোট থেকে বঞ্চিত হয়েছি। অনেক বছর ধরে পার্লামেন্ট নির্বাচনের জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হয়েছে। এ গণতন্ত্রের অধিকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।

বিএনপির দুলু আরও বলেন, আগামী পার্লামেন্ট নির্বাচন নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত চলছে। যে নির্বাচন তিন মাসের মধ্য হওয়ার কথা কিন্তু যারা আজকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় রয়েছে, তারা চেষ্টা করছে নির্বাচন যত দেরিতে করা যায়। নির্বাচিত সকল নেতাদের বলতে চাই, নির্বাচন যেদিন হোক না কেন, আপনারা এখন থেকেই বিএনপির ধানের শীষ প্রতীককে জয়লাভ করানোর জন্য কর্মকাণ্ড শুরু করতে হবে। নাটোর সুগার মিল শ্রমিক নির্বাচন আমাদের উৎসাহ সৃষ্টি করেছে। আমরা বিশ্বাস করি, আপনাদের এ বিজয় আগামী পার্লামেন্ট নির্বাচনে বিএনপিকে অনুপ্রেরণা ও উৎসাহিত করবে। এ বিজয় আগামী পার্লামেন্ট বিজয়কে ত্বরান্বিত করবে।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম আফতাব, নাটোর পৌরসভার সাবেক মেয়র কাজী শাহ আলম, শ্রমিক নেতা হাবিবুর ইসল্ম হেলাল, সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ, সহ-সভাপতি আতাউর রহমান বাবু, সহ-সভাপতি (অফিস)  মাইনুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (কারখানা) মাহামুদুল হাসান নাহিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (অফিস) মো. আনোয়ার হোসেন চৌধুরী প্রমুখ।

ক্ষমতার মোহে স্বৈরাচার হওয়ার চেষ্টা করলে জনগণ প্রতিরোধ করবে: আমিনুল হক

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:০৭ পিএম
আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৩৭ পিএম
ক্ষমতার মোহে স্বৈরাচার হওয়ার চেষ্টা করলে জনগণ প্রতিরোধ করবে: আমিনুল হক
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

অন্তবর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেন, আওয়ামী স্বৈরাচারের ইন্ধনে অন্তবর্তী সরকারের কিছু ব্যক্তির ভিতরে ক্ষমতার মোহ ধরেছে। ক্ষমতা ধরে রাখতেই তারা নতুন করে যড়যন্ত্র করছে। তবে ক্ষমতার মোহে স্বৈরাচার হওয়ার চেষ্টা করলে জনগণ প্রতিরোধ করবে। 

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মিরপুর ১ নম্বর জি ব্লক ঈদগাহ মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর শাহআলী থানা বিএনপির কর্মীসভা ও রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফার কর্মশালায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

তিনি বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, দীর্ঘ ১৭ বছরে অনেক যুদ্ধ, ত্যাগ-তিতিক্ষার মাধ্যমে বাংলাদেশ নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। দেশ স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে। সেই স্বৈরাচার মুক্ত বাংলাদেশে আমরা আর কাউকে স্বৈরাচার হওয়ার সুযোগ দিব না।’ 

অন্তবর্তী সরকার সংস্কারের নামে নির্বাচন পেছানোর অপচেষ্টা করছে উল্লেখ করে আমিনুল হক বলেন, বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। যে নির্বাচনের মাধ্যমে এদেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে এবং জনগণের নির্বাচিত সরকার জনগণকে সঙ্গে নিয়েই রাষ্ট্রের পরিপূর্ণ সংস্কার করবে। 

একটি মহলের ষড়যন্ত্রে এখনও পর্যন্ত দেশে স্থিতিশীলতা আসেনি মন্তব্য করে বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, দীর্ঘ ৬ মাস হয়ে গেল, এখনও পর্যন্ত ষড়যন্ত্রকারীরা রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বসে ষড়যন্ত্র করে বেড়াচ্ছে। সবার ভিতরে একটা শঙ্কা কাজ করছে। এই বিষয়ে সবাইকে সর্তক থাকতে হবে। 

তিনি আরও বলেন, হাসিনা সরকারের প্লান ছিল ৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতা দখল করে থাকবে কিন্তু তারা পারেনি; এদেশের সাধারণ মানুষ রাজপথে নেমে তাদের পতন ঘটিয়েছে। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির চেয়াপারসন উপদেষ্টা সাবেক সচিব মো. ইসমাইল জবিউল্লাহ বলেন, বিএনপি জনগণের ভোটে ক্ষমতায় গেলে ৩১ দফার রুপরেখা বাস্তবায়ন করবে। এটা জাতির কাছে অঙ্গীকারবদ্ধ। 

৩১ দফা জাতির মুক্তির সনদ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটার ওপরে নির্ভর করেই আগামীর দেশ পরিচালিত হবে। 

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক টিম প্রধান ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টির সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা ড. মাহ্দী আমিন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি সদস্য সচিব মো. মোস্তফা জামান, মহানগর যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, এবিএমএ রাজ্জাক, আকতার হোসেন, গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, হাজী মো. ইউসুফ, আফাজ উদ্দিন, শাহ আলম, মাহাবুব আলম মন্টু, মহানগর সদস্য হুমায়ুন কবির রওশান, শামীম পারভেজ, হাফিজুর রহমান শুভ্র, আবুল হোসেন আব্দুল, ফারুক হোসাইন ভূইয়া, হাজী নাসির উদ্দীন, নুরুল হুদা ভূঁইয়া নূরু, ইব্রাহিম খলিল, এমএস আহমাদ আলী, স্বেচ্ছাসেবকদল ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ ফরিদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মহসিন সিদ্দিকী রনী, মহিলাদল উত্তর সদস্য সচিব এ্যাড রুনা লায়লা, জাসাস মহানগর সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন আনু, ছাত্রদল ঢাকা মহানগর পশ্চিমের সভাপতি রবীন খান, সাধারণ সম্পাদক আকরাম আহমেদ ছাড়াও শাহআলী থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম উদ্দিন দেওয়ান গিয়াস, যুগ্ম আহ্বায়ক সোলায়মান দেওয়ান, জয়নাল আবেদীন, মিরপুর থানা বিএনপি সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাসেল আহমেদ প্রধান, দারুসসালাম থানা বিএনপির আলমগীর হোসেন ভুট্টো, একেএম নজরুল ইসলাম কোহিনুর, দক্ষিণখান থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক দেওয়ান মো. নাজিম উদ্দীন, খিলক্ষেত থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক মোবারক হোসেন দেওয়ান, সিএম আনোয়ার হোসেন, রুপনগর থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আহমেদ রাজু, উত্তরাপশ্চিম থানা বিএনপির আলমগীর হোসেন শিশির,কাফরুল থানা বিএনপির সদস্য আলমগীর হোসেন, শাহাদাত হোসেন, বিমানবন্দর থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক মহিউদ্দিন তারেক, মঞ্জুর হোসেন পাটোয়ারী, মোহাম্মদপুর থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক মীর মো. কামাল হোসেন, সিনিয়র সদস্য ফরিদ উদ্দিন ফরহাদ, ৩৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি সিনিয়র সহসভাপতি ওসমান গনি সেন্টু, তুরাগ থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক রিপন হাসান খন্দকার, থানা আহ্বায়ক সদস্য আবদুল আলী প্রমূখ।

মাহফুজ/

অন্তর্বর্তী সরকার এক দিকে ঝুঁকে যাচ্ছে: আমির খসরু

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৩৭ পিএম
আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৪২ পিএম
অন্তর্বর্তী সরকার এক দিকে ঝুঁকে যাচ্ছে: আমির খসরু
ছবি: খবরের কাগজ

'অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে জনগণের মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে' মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সরকারের উপদেষ্টাদের কথাবার্তায় মনে হচ্ছে তারা কোন এক দিকে ঝুঁকে যাচ্ছে। এমনটা যদি হয় বাংলাদেশের মানুষের কাছে তাদের আর কোনো গ্রহণযোগ্যতা থাকবে না। আর যদি গ্রহণযোগ্যতা না থাকে তার ফলাফল কী হবে সেটা সবাই জানে।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে নোয়াখালী শহীদ মিনার চত্ত্বরে দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়া থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। আগামীর বাংলাদেশে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত হওয়া ছাড়া কারো কোনো অধিকার নেই এ দেশ পরিচালনা করার। এ দেশ পরিচালনা করতে হলে দেশের মানুষের মন-মেজাজ বুঝতে হবে। নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত হতে হবে। দেশের মানুষের মধ্যে যে আকাঙ্খা সৃষ্টি হয়েছে সেটি আমারা ধারণ করতে সক্ষম হয়েছি। আর বিএনপি এসব বিষয়ে মানুষের কাছে ওয়াদাবদ্ধ। নতুন বাংলাদেশে আমাদের পরিবর্তন আনতে হবে।

আমির খসরু বলেন, শেখ হাসিনা পালিয় যাওয়ার পরে সকলের সম্মতিক্রমে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছে। আমাদেরও সমর্থন ছিলো। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরিয়ে আনতে একটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছিলো। তাদের কাজ হলো নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতা শান্তিপূর্ণভাবে হস্তান্তর করা। এজন্য আমরা এ সরকারকে সবাই সমর্থন দিয়েছি। জনগন ভোট দিয়ে নিজেদের সরকার গঠন করতে চায়। যারা জনগনের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে জনগনের কাছে জবাবদিহি করবে জনগন তাদের ভোট দিয়ে সরকার গঠন করবে। 

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর আলো এবং সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপি সদস্য সচিব হারুনুর রশিদ আজাদ।

এতে আরও বক্তব্য রাখেন, বিএনপির  ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্ল্যাহ বুলু, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, দলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ, ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দিন, জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এবিএম জাকারিয়া, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুর রহিম, কাজী মফিজুর রহমান প্রমুখ।

ইকবাল মজনু/সিফাত/

জামায়াত বারবার কোল বদল করে: মোয়াজ্জেম আলাল

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:০১ পিএম
আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫৩ পিএম
জামায়াত বারবার কোল বদল করে: মোয়াজ্জেম আলাল
ছবি: খবরের কাগজ

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল জামায়াতকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘একটি দল আছে লাফ দিয়ে বারবার কোল বদল করে। কত দিন বিএনপির কোলে থাকে। আবার লাফ দিয়ে আওয়ামী লীগের কোলে চড়ে। আবার ১৯৮৬ সালে লাফ দিয়ে জাতীয় পার্টির কোলেও উঠেছিল। বার বার কোল বদল করা দল যারা তারা দয়া করে একটি জায়গায় স্থির হোন। তাহলে মানুষ আপনাদের নিয়ে চিন্তা করবে। বিএনপির সাথে জোটে মন্ত্রী সভায় থেকেছেন আবার নৌকা ও লাঙ্গলের সাথে মিলে বিএনপিকে নামানোর আন্দোলনও করেছেন।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে সিলেটের রেজিস্টারি মাঠে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে  সিলেট জেলা বিএনপির সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি রোধ ও সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসা, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির দ্রুত উন্নয়ন, গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনকালীন রোডম্যাপ ঘোষণা এবং রাষ্ট্রে বিরাজমান ফ্যাসিবাদী শাসনের নানা চক্রান্ত ও অপচেষ্টার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার দাবিতে এই গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এসময় তিনি যারা নতুন দল গঠন করছেন তাদেরকে বলেন, নতুন বন্ধুদেরকে বলব কুড়াল দিয়ে কিন্তু শেভ করা যায় না। শেভ করতে হলে ব্লেড লাগবে, চুল কাটতে হলে কাচি লাগবে। সুতরাং কুড়াল দিয়ে শেভ করা চেষ্টা করবেন না ব্যর্থ হবেন। সত্যটা নষ্ট হয়ে যাবে। 

এসময় তিনি ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সম্পর্কে তিনি বলেন, আপনারা (আওয়ামী লীগ) জাতির কাছে ক্ষমা চান। তওবা করেন, আপা আপা বললে আর হবে না। শেখ হাসিনা এখন আওয়ামী লীগের নেত্রী না। সে তার পরিবারের নেত্রী। তাই পরিবারের সবাইকে নিয়ে দেশ ছেড়েছে। তাদের পরিবারের কেউ এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়নি।
 
আলাল আরও বলেন, এই সরকার সবার সমর্থনে তৈরি হয়েছে। এত সমর্থন থাকার পরেও দ্রব্যমূল্যের দাম কমাতে ব্যর্থ এই সরকার। দাম কমাতে না পারলে যাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিতে হবে। বাণিজ্য উপদেষ্টা চাইলেই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।

সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমেদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির ও তাহসিনা রুশদীর লুনা, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) জিকে গউছ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন মিলন, মিফতাহ সিদ্দীকি, সহ-ক্ষুদ্র ও ঋণ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, কেন্দ্রীয় সদস্য ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, আব্দুল কাহের চৌধুরী শামীম, হাদিয়া চৌধুরী মুন্নী, সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী প্রমুখ।

শাকিলা ববি/সিফাত/

রঙ দেখছে রঙের কৌটা দেখছে না: ফজলুর রহমান

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩১ পিএম
রঙ দেখছে রঙের কৌটা দেখছে না: ফজলুর রহমান
ছবি: খবরের কাগজ

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান বলেছেন, আমরা হাসিনাকে তাড়াইছি প্রথমে প্রধানমন্ত্রী হবে, পার্লামেন্ট সরকার হবে। তারপর স্থানীয় নির্বাচন হবে। এর বাইরে যারা রঙ বেরঙের কথা বলে তারা রঙ দেখছে রঙের কৌটা দেখছে না।

তিনি বলেন, আমরা গত ৩ আগস্ট স্লোগান দিয়েছিলাম "এক দফা এক দাবি, হাসিনা তুই কবে যাবি।" হাসিনা কি স্থানীয় সরকারের উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলো? সেতো কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিল। আমরাতো কেন্দ্রীয় সরকার, পার্লামেন্ট সরকারের পতন চেয়েছিলাম। কেন্দ্রীয় সরকারের পতন চেয়েছিলাম বলেই তো এখন কেন্দ্রীয় সরকারের নির্বাচন হবে।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় জেলা শহরের পুরাতন স্টেডিয়ামে জেলা বিএনপি আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নিত্যপণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা, অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ও দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে এবং রাষ্ট্রের পতিত ফ্যাসিবাদীদের নানা চক্রান্তের অপচেষ্টা মোকাবিলাসহ বিভিন্ন জনদাবিতে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপি এ জনসভার আয়োজন করে।

জামায়াতে ইসলামীকে মুনাফিক আখ্যায়িত করে তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বেশি বাড়াবাড়ি কইরেন না। বিএনপিরে লাল চোখ দেখাবেন না। ১৮ বছর বিএনপির ডানার নিচে লুকিয়ে ছিলেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া শাড়ির আঁচল দিয়ে সন্তানের মতো লুকিয়ে রেখেছিল। এখন যেই না একটু সুযোগ পাইছেন তেমনি স্লোগান দেওয়া শুরু করেছেন, 'নৌকা আর ধানের শীষ, দুই সাপের এক বিষ।' আপনাদের যে আশ্রয় দিয়ে পাললো সামান্য একটু সুযোগ পাইছেন সব দখল কইরা ফেলছেন। এখন বলতেছেন সব ক্ষমতা আমরা নিমু বিএনপি আর আসতে পারবে না।

কোনো দলকেই বিএনপি শত্রু মনে করে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ পালাইছে। আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ নাই। হ্যাঁ জামায়াতে ইসলামী আছে। আমি জামায়াতে ইসলামীকে শত্রু মনে করি না। কিন্তু যদি ওই আইয়ুব খানের মতো, যদি ওই হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদের মতো বাহানা করেন। চক্রান্ত করেন। জটিল পথে কুটিল পথে যদি নির্বাচনকে ধ্বংস করতে চান তাহলে কিন্তু বিএনপি কাউকে ছাড়বে না।

সাধারণ জনগণের উদ্দেশে তিনি বলেন, "আজকে যারা নতুন করে এই দেশটাকে পাকিস্তানের পক্ষে নিয়ে যেতে চায়, তাদেরকে আপনারা চিনেন না। চিনতে পারছেন না আপনারা। তাদের চরিত্রের কোনো পরিবর্তন হয় নাই। আমরা মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ চাই। আমরা জিয়াউর রহমানের বাংলাদেশ চাই। আমরা বহুদলীয় গণতন্ত্রের বাংলাদেশ চাই। আমরা আগামী দিনে মেহনতী মানুষের বাংলাদেশ চাই। সেই বাংলাদেশ চাই বলেই আগামী দিনে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে মানুষের অধিকারের দ্বার গণতন্ত্রের মাধ্যমে খুলতে চাই। সেই গণতন্ত্র বাংলাদেশে আমরা অবশ্যই কায়েম করবো। রাতের আঁধারে যারা চক্রান্ত করতে চান। যাদের বাপ দাদার নাম নাই, চান মলের বিয়াই। শতকরা দুই শতাংশ ভোট পাইবো না, ২০০ শতাংশের গল্প করেন। আমাদের নেত্রী অসুস্থ। উনি সুস্থ হয়ে দেশে আসলে ৫০ শতাংশ সমস্যার সমাধান এমনিতেই হয়ে যাবে।"

তিনি বলেন, হাসিনা কি করলো। হাসিনা উড়ে গেলো দিল্লি। মনে করতেছে দিল্লি থেকে বৈজন্তি মালা ট্যাংক নিয়া আসবো। আগামী ১০ বছরে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগকে দেখা যাবে না আমি বলে গেলাম। শেখ হাসিনার সরকার, আপনি ২০১৪ সনে মানুষকে ভোট দিতে দেন নাই। ১৫৩টা পার্লামেন্ট সিট বিনা ভোটে নির্বাচিত করেছেন। ২০১৮ সনে আমাদের ধোঁকা দিয়ে নির্বাচনে নিছিলেন। নিয়া আপনি দিনের ভোট রাইতে করছেন। নিশি রাইতের এমপি বানাইছেন। ১৮ সনে মানুষকে আপনি বঞ্চিত করছেন। আর ২০২৪ সনের ৭ই জানুয়ারি আমি আর ডামির ভোট করছেন। নৌকা আর ট্রাক। কোনো মার্কাই মার্কা না, সব মার্কা হাসিনার মার্কা। সেই ৩টা নির্বাচনে আজকে যে যুবকের বয়স ৩৬ বছর সে ভোট দিতে পারে নাই। সেই ভোটটা আমরা দিতে চাই।

সকল চক্রান্ত রুখে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে দেশবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, এই দেশে ইলেকশন হবে এবং সেটা পার্লামেন্ট ইলেকশন। ১৮ কোটি মানুষের দেশ। তারা হলো দেশের মালিক। তাঁরা সিদ্ধান্ত নিবে তাদের বাড়ির পাহারাদার কে হবে? চক্রান্ত কইরেন না। চক্রান্ত করা ভালো না। আমি বলি সবসময় হাসিনার সময় ছিলো গভীর অন্ধকার। কিন্তু টর্চলাইট মারলে দেখা যাইতো। এখন হইলো গভীর কুয়াশা। এখন দুইটা লাইট জ্বালাইলেও গাড়ি চলতে চায় না। ইউনুস সাহেব দেশটা কুয়াশা হয়ে গেছে। আপনার কাছ থেকে বাংলাদেশের মানুষ এটা আশা করে না। আপনি বাংলার সুসন্তান। আমি মনে করি ১০টা মন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রী যোগ করলে আপনি তার চেয়েও লম্বা। আপনি শুধু একজন প্রধানমন্ত্রী থাকার জন্য দেশটার সর্বনাশ কইরেন না ইউনুস সাহেব। এই ছেলেপেলের কথায় এখনো চুলদাড়ি উঠছে না। আমি ছেলেদের বাজে কথা বলতে চাই না। কিন্তু যে ছেলেরা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কথা বললে সাথে সাথে বেয়াদবের মতো উত্তর দেয় তাদেরকে বলি 'একসময় আমি হাসিনাকে বলতাম সাধু সাবধান।' যারা এসব করতাছেন তাদেরকে বলছি সাধু সাবধান। এইদিন কিন্তু থাকবে না। দিন কিন্তু আইসা পড়ছে। এই মূহুর্তে ইলেকশন হলে আল্লাহর রহমতে, আল্লাহর দয়ায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে দুই-তৃতীয়াংশের ওপরে মেজরিটি পাবে। এটা কেউ ঠেকাইতে পারবে না। সেই দলটাকে আপনারা বঞ্চিত করতে চান, চক্রান্ত করে। এই চক্রান্ত হতে দেওয়া যাবে না।

জনসভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলম। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ মোঃ ওয়ারেছ আলী মামুন, আবু ওয়াহাব আকন্দ, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য লায়লা বেগম, শেখ মুজিবুর রহমান ইকবাল। সভা সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম।

তাসলিমা/সিফাত/