
সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক (পিআর) নির্বাচন পদ্ধতি চালু করতে প্রয়োজনে গণভোট করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতের ইসলামী ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনগুলো অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য করে তোলার জন্য নির্বাচন ব্যবস্থায় প্রয়োজনীয় সংস্কার সময়ের বড় দাবি। তাই দেশের প্রচলিত নির্বাচনকে সংঘাতমুক্ত, শান্তিপূর্ণ ও প্রতিনিধিত্বমূলক করার জন্য পিআর পদ্ধতির নির্বাচন চালু করতে হবে।
রবিবার (৫ জানুয়ারি) বিকালে ৪টায় খিলগাঁও (মালিবাগ) কমিউনিটি সেন্টারে রামপুরা দক্ষিণ থানা জামায়াত আয়োজিত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন। থানা আমীর আব্দুল লতিফের সভাপতিত্বে এবং থানা সেক্রেটারি খালেদ সাইফুল্লাহ তারেকের পরিচালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি নাজিম উদ্দীন মোল্লা, প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক মু. আতাউর রহমান সরকার, জামায়াত নেতা আব্দুল মালেক পাটোয়ারী, আব্দুল জলিল ও সাবেক ছাত্রনেতা নিয়াজ মাখদুম শিবলী প্রমূখ।
সেলিম উদ্দিন বলেন, মানুষের মধ্যে ঐক্য ও সম্প্রীতি তৈরি করা রাজনীতিকদের দায়িত্ব। স্বাধীনতার পর দেশে বিভেদের রাজনীতির চর্চা শুরু হয়েছে। একশ্রেণির রাজনীতিক নিজেদের অপরাধ-অপকর্ম, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী, টেন্ডারবাজী, দুর্নীতি ও লুটপাটকে ঢেকে রাখার জন্যই জাতিকে পরিকল্পিতভাবে বিভক্ত করে রেখেছে। মূলত তারাই দেশের প্রচলিত রাজনীতিকে সংঘাতপূর্ণ ও অস্থির করে রেখেছে।
তিনি বলেন, দেশপ্রেমী ছাত্র-জনতা তাদের এই অপরাজনীতি আর চলতে দেবে না। যারা এখনো জনগণকে বোকা ভাবেন তাদের পরিণতি তাদের পরিণতিও আওয়ামী ফ্যাসিবাদের মত হবে।
তিনি বলেন, অবাধ গণতন্ত্র, আইনের শাসন, সাম্য, মানবিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার জন্য দেশ স্বাধীন হলেও রাজনৈতিক ব্যর্থতার কারণেই আমাদের স্বাধীনতা অর্থবহ হয়ে ওঠেনি। বিশেষ করে স্বাধীনতার পর আমাদের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি পায়নি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম থাকলেও গণতন্ত্রের নামে তামাশা হয়েছে। ভোট চুরি, কেন্দ্র দখল, ব্যালট বাক্স ছিনতাই, নৈশভোটের দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে পরিচিত করেছে।
শফিকুল ইসলাম/মাহফুজ