ঢাকা ২ ফাল্গুন ১৪৩১, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১

কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহে বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ, আহত ৪৫

প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৩৪ এএম
কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহে বিএনপি-জামায়াত
সংঘর্ষ, আহত ৪৫
কুষ্টিয়ার মিরপুরে বিএনপি ও জামায়াতের সংঘর্ষে আহত কয়েকজন নেতা-কর্মী। ছবি: খবরের কাগজ
স্কুলের কমিটি গঠন নিয়ে কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহে বিএনপি এবং জামায়াত নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৪৫ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে কুষ্টিয়ায় ২৫ জন, ঝিনাইদহে আহত হয়েছেন ২০ জন।
 
রবিবার (১২ জানুয়ারি) কুষ্টিয়ার মিরপুর ও ঝিনাইদহের শৈলকূপায় এ সংঘর্ষ হয়। 
 
কুষ্টিয়ার মিরপুরে স্থানীয় জামায়াত ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। 
 
একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের কমিটি নিয়ে বিরোধের জেরে রবিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার বুড়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল ও মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। 
 
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, স্থানীয় বুড়াপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটি নিয়ে আমলা ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মুকুল আলী ও স্থানীয় বিএনপি নেতা রাশেদ মাহমুদ নাসিরের মধ্যে বিরোধ চলছিল। জামায়াত নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, এই অ্যাডহক কমিটি থেকে নাম প্রত্যাহারের জন্য মুকুল আলীর ওপরে চাপ সৃষ্টি করছিলেন নাসির। এ নিয়ে বিরধের জেরে গত শনিবার রাতে মুকুলকে হুমকি দেন নাসির। এর প্রতিবাদে গতকাল বিকেল ৩টার দিকে বুড়াপাড়া হাইস্কুল মাঠে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে স্থানীয় জামায়াতের নেতা-কর্মীরা। এ সময় নাসিরের নেতৃত্বে তার সমর্থকরা সেখানে লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হন। তাদের মধ্যে ১২ জনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল ও ৬ জনকে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
 
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মিরপুর থানার ওসি মমিনুল ইসলাম জানান, একটি স্কুল ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অনেকে আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 
 
অন্যদিকে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের এডহক কমিটি গঠনে নাম প্রস্তাব করাকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াতের মারামারিতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। গতকাল দুপুরের দিকে শৈলকুপা উপজেলার নাদপাড়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুম খান।
 
স্থানীয়রা জানান, শৈলকুপা উপজেলার নাদপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা নিয়ে গতকাল দুপুরে বিদ্যালয়ে একটি সভা চলছিল। এডহক কমিটির সভাপতি প্রার্থী ছিলেন মতিয়ার রহমান ও সামসুদ্দিন মাস্টার। সভা চলাকালে নাম প্রস্তাব নিয়ে উপজেলা বিএনপি ও জামায়াতের দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের লোকজন বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে অন্তত ২০ জন আহত হন। এ সময় বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ও দোকান ভাঙচুর করা হয়। 
 
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত (ওসি) মো. মাসুম খান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সংস্কারে দ্রুত ঐকমত্য তৈরি হবে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:০০ পিএম
আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:১৮ পিএম
সংস্কারে দ্রুত ঐকমত্য তৈরি হবে: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

‘আমরা আশা করব দ্রুত সংস্কারের ঐকমত্য তৈরি হবে, অতি দ্রুত জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে’ এটাই আমাদের প্রত্যাশা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

প্রয়োজনীয় সংস্কার নিয়ে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে তিনি আহ্বান জানিয়েছেন যে সংস্কারের যে রিপোর্টগুলো প্রত্যেকটি কমিশন দিল সেগুলোর ওপর আলাপ আলোচনা হবে। দলগুলো এটা নিয়ে কমিশনের সঙ্গে কথা বলবে। এবং একটা ঐকমত্য পৌঁছানোর চেষ্টা করা হবে। সেজন্য আজকে প্রাথমিক আলোচনা সেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো তাদের মতামত দিয়েছে।

শফিকুল ইসলাম/মেহেদী/

জাতিসংঘের প্রতিবেদন শেখ হাসিনার গণহত্যার দলিল: জামায়াতের আমির

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৪৪ পিএম
জাতিসংঘের প্রতিবেদন শেখ হাসিনার গণহত্যার দলিল: জামায়াতের আমির
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ফাইল ছবি

জাতিসংঘের জুলাই-আগস্টের গণহত্যা নিয়ে পর্যবেক্ষক টিমের প্রতিবেদন ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার গণহত্যার দলিল হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য গত বছরের পহেলা জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশে যে অমানবিক ও নির্মম গণহত্যা চালিয়েছে, তারই স্বীকৃতি পাওয়া গেল জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনের তদন্ত প্রতিবেদনের মাধ্যমে। খুনি এবং খুনিদের মাস্টারমাইন্ডদের তথ্য ও পরিচয় এই তদন্ত প্রতিবেদনের মাধ্যমে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরেছে জাতিসংঘ। এই প্রতিবেদনে ‘সত্য’ উদ্ঘাটিত হয়েছে।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যম পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিবৃতিতে জুলাই গণহত্যার তদন্তের জন্য জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনকে আন্তরিক মোবারকবাদ ও অভিনন্দন জানিয়েছেন দলটির আমির।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার নির্দেশেই গত জুলাই-আগস্টে গণহত্যা সংঘঠিত হয়েছে তা জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বিশ্ববাসীর নিকট উন্মোচিত হওয়ায় জাতি স্বস্তিবোধ করছে এবং অপরাধীদের বিচারের ব্যাপারে আশান্বিত হয়েছে। জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনের মাধ্যমে বিশ্ববাসীর নিকট স্পষ্ট হয়েছে যে, খুনি শেখ হাসিনার নির্দেশেই দেশে গণহত্যা সংঘটিত ও মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে।

তিনি বলেন, খুনিদের মাস্টারমাইন্ড ও তার দোসরদের মাধ্যমেই দেশের নাগরিকদের ওপর অকথ্য জুলুম-নির্যাতন, গুম এবং চরম বীভৎ ও লোমহর্ষক গণহত্যা চালানো হয়েছে। লাশ স্তুপ করে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। বাংলাদেশের গণতন্ত্র এবং গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক সকল প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। আয়নাঘর বানিয়ে দেশের মানুষকে গুম ও পাশবিক নির্যাতন করা হয়েছে।

জামায়াতে আমির বলেন, মজলুমের পক্ষে নয় বরঞ্চ মজলুম বিষয়ে জাতিসংঘের এই রিপোর্ট গণহত্যার দলিল হয়ে থাকবে। অন্তর্বর্তী সরকারকে সব গণহত্যাকারী এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার বিচার নিশ্চিত করতে হবে। জনগণ মনে করে, গণহত্যার অপরাধে অপরাধী হিসেবে আওয়ামী লীগের এ দেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। এই জনআঙ্খাক্ষা অনুযায়ী, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবির বিষয়টিও অন্তর্বর্তী সরকারকে বিবেচনায় নেওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি।

শফিকুল ইসলাম/এমএ/

তারেক রহমানের ৩১দফা বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে: ড. হোসাইনী

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৪১ পিএম
তারেক রহমানের ৩১দফা বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে: ড. হোসাইনী
ছবি : খবরের কাগজ

রাষ্ট্র সংস্কারে ৩১ দফা বাস্তবায়নে সবস্তরের জনগণকে নিয়ে কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক ডাকসু সদস্য ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক শ্রমবিষয়ক সম্পাদক ড. রশিদ আহমেদ হোসাইনী।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে লাকসাম উপজেলায় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও  দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে শান্তি র‍্যালি ও লিফলেট বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

হোসাইনী বলেন, হানাহানি ও কোন্দলমুক্ত করে এবং বৈষম্য সৃষ্টি না করে দলের জন্য কাজ করতে হবে। তবেই দল সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে। দল সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন দেবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।

তিনি বলেন, আমি দলে আবিষ্কার, বহিষ্কার কিংবা সংস্কারে কখনো যুক্ত ছিলাম না। আমি শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বিএনপি করি। নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও কখনো দল ছাড়িনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি নেতা এ কে এম আতিকুর রহমান লিটন, ইঞ্জিনিয়ার জাহাঙ্গীর হোসেন (সিপন), যুবদল নেতা সোহেল হোসেন, জসিম উদ্দিন, ছাত্রদল নেতা ইলিয়াস মজুমদার, কামাল হোসেনসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।

অমিয়/

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম দায়িত্ব গণতান্ত্রিক সরকার গঠন: রিজভী

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:৫১ পিএম
আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:৫৪ পিএম
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম দায়িত্ব গণতান্ত্রিক সরকার গঠন: রিজভী
কুমিল্লায় মেঘনা উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। ছবি: খবরের কাগজ

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম দায়িত্ব গণতান্ত্রিক সরকার গঠন করা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) কুমিল্লায় মেঘনা উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘জনগণের কাছে জনগণের ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন ড. ইউনূস সরকারের প্রধান দায়িত্ব। তার জন্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগে দিতে হবে।’

রিজভী বলেন, ‘রাজনৈতিক সরকারের অধীনে যে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে, তা দেখার জন্য আগে সরকার গঠন করতে হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে হবে। স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে করার কারণ কি?’

বিগত দিনগুলোতে আন্দোলন সংগ্রামে নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘শেখ হাসিনার আমলে গত ১৭ বছর বিএনপি ভয়াবহ নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েছে। শুধু বিএনপিই নয়, এই দেশের মানুষও গণতন্ত্র থেকে বঞ্চিত হয়েছে, কথা বলার স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত হয়েছে, নাগরিক স্বাধীনতা বলতে কিছুই ছিল না।’

তিনি বলেন,  ‘ যদি ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনার পতন না হত, তাহলে আমরা যারা এখানে আছি আমাদের প্রত্যেকের ফাঁসি হত। আমরা ছাত্র-জনতার তাজা প্রাণের বিনিময়ে একটি মুক্ত বাংলাদেশ পেয়েছি।’
 
তিনি আরও বলেন, ‘যে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য ৪ বছরের শিশুকে হত্যা করতে পারে, সে আমাদেরকেও ফাঁসি দিতে পারত। ক্ষমতা বাঁচিয়ে রাখার জন্য কে মরল, কে বাঁচলো হাসিনার কাছে তা কোনো ব্যাপার না। যদি ছাত্র-জনতা ফ্যাসিস্ট হাসিনার পালিত পুলিশের বুলেটের সামনে বুক পেতে না দিত, তাহলে এই দেশে স্বাধীনতার মুখ দেখা হত না। এখন বাংলাদেশের মানুষ কিছুটা স্বস্তিতে জীবন-যাপন করতে পারছে।’
 
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক দল। বিএনপি এ দেশের দেশপ্রেমিক মানুষের দল। আমাদেরকে দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে গণতন্ত্র চর্চা করার অভ্যাস করতে হবে।  আগামীতে তারেক রহমানের নেতৃত্বে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।’ 

মেঘনা উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মো. ওয়াদুদ মুন্সীর সভাপতিত্বে ও মেঘনা উপজেলা যুবদল নেতা মাসুরুদ হক সরকারের সঞ্চালনায় সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী মোস্তাক মিয়া, কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপি আহ্বায়ক আক্তারুজ্জামান সরকার ও সদস্যসচিব এএফএম তারেক মুন্সী প্রমুখ। 

জহির শান্ত/সুমন/

আমিনুল হক বাংলাদেশের রাজনীতির স্টার: রিজভী

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৩৮ পিএম
আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৫৮ পিএম
আমিনুল হক বাংলাদেশের রাজনীতির স্টার: রিজভী
বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হকের আত্মজীবনী ‘একজন আমিনুল হক’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে আমিনুল হক ও বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীসহ অন্যান্য অতিথিরা। ছবি: খবরের কাগজ

আমিনুল হক বাংলাদেশের রাজনীতির একজন স্টার বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। 

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে ‘একজন আমিনুল হক’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক সাফজয়ী ফুটবলার আমিনুল হকের জীবনী নিয়ে বইটি রচিত। আমিনুল হক এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। 

এ সময় অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনে রাজপথে আমিনুলের অসাধারণ নেতৃত্ব ছিল। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে রক্ত দিয়েছেন তিনি। ক্রীড়া থেকে রাজপথ সব জায়গায় আমিনুল হক পরিশ্রমী এবং দক্ষ সংগঠক।’ 

আমিনুল হককে উদ্দেশ্য করে রিজভী বলেন, ‘চলমান আন্দোলন-সংগ্রাম করতে গিয়ে আমিনুল হককে কখনও পিছুপা হতে দেখিনি। রাজপথ থেকে কখনো পালিয়েও যাননি। তার যে নেতৃত্ব, সেই নেতৃত্বকে সে ধরে রাখতে পেরেছেন।’ 

‘একজন আমিনুল হক’ বইটিতে রয়েছে আমিনুল হকের জন্ম ও শৈশব এবং ফুটবলের মাঠ থেকে রাজপথে আমিনুল হকের সাহসী ভূমিকা, ত্যাগ এবং দক্ষ সংগঠকের নানান ঘটনা।

আমিনুল হক এ অনুষ্ঠানে তার বক্তব্যে বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে গত ১৭ বছর নিরলস পরিশ্রম এবং আন্দোলন সংগ্রামে গত জুলাই-আগষ্টের গণআন্দোলনে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন হয়েছিল।’

তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের পতন হলেও দেশ ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছিল। দেশে পরিপূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিএনপির ৩১ দফার রুপরেখার আলোকে নতুনভাবে সাজাতে হবে।’ 

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব জামান মোস্তফা, যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি ও এবিএমএ রাজ্জাক প্রমুখ। 

এ ছাড়া এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- মহানগর বিএনপি সদস্য এল রহমান, শামীম পারভেজ, রেজাউর রহমান ফাহিম ও ডা. একেএম কবির আহমেদ রিয়াজ প্রমুখ।

জাকির হোসেন/সুমন/