ঢাকা ২ ফাল্গুন ১৪৩১, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১

শুধু ঘোষণাপত্র নয়, ১৬ বছরের আন্দোলনের স্বীকৃতি চায় ১২ দলীয় জোট

প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:৩৯ পিএম
আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:৪৬ পিএম
শুধু ঘোষণাপত্র নয়, ১৬ বছরের আন্দোলনের স্বীকৃতি চায় ১২ দলীয় জোট
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ১২ দলীয় জোটের নেতারা। ছবি: খবরের কাগজ

ঘোষণাপত্রে শুধু জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ৩৬ দিনের সময় নয়, বিগত ১৬ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের ত্যাগের স্বীকৃতি দাবি করেছেন ১২ দলীয় জোট। একই সঙ্গে গণঅভ্যুত্থানের 'প্রোক্লামেশন' নয়, গণঅভ্যুত্থান নিয়ে একটা 'ডিক্লারেশন' বা 'ঘোষণা' আসতে পারে বলেও মনে করে জোটটি।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাজধানীর পুরানা পল্টনে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জোটের পক্ষে এসব দাবি তুলে ধরেন ১২ জোটের সমন্বয়ক ও  বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা।

তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি গত ৩১ ডিসেম্বর ঢাকার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র প্রকাশ করতে চেয়েছিল। তখন দেশের রাজনৈতিক অঙ্গণে নানা আলোচনা তৈরি হয়। হঠাৎ ঘোষণাপত্রের বিষয়টি কেন সামনে আনা হলো, এর প্রভাব কী হতে পারে, তা নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন ওঠে। অন্তর্বর্তী সরকারে তখন এ উদ্যোগের সঙ্গে সরকার সম্পৃক্ত নয় বলে জানানো হয়। তবে ৩০ ডিসেম্বর রাতে জরুরি ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব জানিয়েছিলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের একটি ঘোষণাপত্র তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। 

জাতীয় দলের চেয়ারম্যান বলেন, ওই রাতে বৈঠক করে ৩১ ডিসেম্বর শহিদ মিনারে 'মার্চ ফর ইউনিটি' (ঐক্যের জন্য যাত্রা) কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। ওই কর্মসূচি থেকে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়। এ প্রসঙ্গে বলা বাহুল্য যে 'প্রোক্লামেশন' বা ঘোষণাপত্রে সংবিধান স্থগিত করার কথা থাকে। তখন সামরিক ফরমান বা 'প্রোক্লামেশন' (ঘোষণাপত্র) দিয়ে সংবিধান স্থগিত করা হয়। এই ঘোষণাপত্রের অধীন প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক বা রাষ্ট্রপতি সংবিধানের যেকোনো ধারা বা ধারার অংশবিশেষ সংশোধন, পরিবর্তন, পরিমার্জন, সংযোজন-বিয়োজন করতে পারেন। তখন সংবিধান কার্যকর থাকে না।

এহসানুল হুদা বলেন, সাংবিধানিক প্রশ্নে আমাদের স্পষ্ট অবস্থান, ১২ দলীয় জোট সহ বিগত ১৬ বছরে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামে যুক্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন করতে হবে। আমরা মনে করি, জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের 'প্রোক্লেমেশন' নয়, এটা নিয়ে একটা 'ডিক্লারেশন' বা 'ঘোষণা' আসতে পারে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে অন্তর্বর্তী সরকার হয়েছে। এই সরকার সংবিধান অনুযায়ী শপথ নিয়েছে।

১২ দলীয় জোটের এই সমন্বয়ক বলেন, আমরা মনে করি জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে বিগত ১৬ বছর যাবত রাজপথের সব আন্দোলন, গুম- খুন হত্যা নির্যাতন, জেল-জুলুমসহ সব অত্যাচারিত বিষয়গুলো নিয়ে একটা রাজনৈতিক বয়ান জাতির সামনে উপস্থাপন করা যেতে পারে।

ঘোষণাপত্র নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র নিয়ে ধুম্রজাল ও অস্পষ্টতা সৃষ্টি হয়েছে। আন্দোলন-সংগ্রামের ফসল এই অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব পালনে নিরপেক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতা হারাচ্ছে। যারা দীর্ঘ ১৬ বছর যাবত ফ্যাসিবাদ শক্তি অপসারণের জন্য মরণপণ আন্দোলন সংগ্রামে ছিলাম তাদের প্রতি উপেক্ষা ও উদাসীনতা প্রদর্শন করা হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ বিগত সরকারের সময় মিথ্যা মামলায় জর্জরিত নেতা-কর্মীরা এখন পর্যন্ত মিথ্যা মামলা থেকে আব্যাহতি পাচ্ছে না।

সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, আজকের সর্বদলীয় বৈঠকের ব্যাপারে ১২ দলীয় জোট কোন বার্তা পায়নি। আন্দোলনের অনেক অংশীজনও আজকের সর্বদলীয় বৈঠকে আমন্ত্রিত হয়নি। যেহেতু বিষয়টি অতি গুরুত্বপূর্ণ আমরা আশা করেছিলাম সরকার আন্দোলনের সব অংশীজনদের সম্মান প্রদর্শন পূর্বক আমন্ত্রণ জানাবেন। এক্ষেত্রে আমার চরম আশাহত হয়েছি। আজকে ফরেন একাডেমিতে বৈঠকের নামে একটা নাটক মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে। এই বৈঠক কার স্বার্থে?

এক প্রশ্নের জবাবে জোট প্রধান ও জাতীয় পার্টি (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, আজও আমাদের ঐক্য অটুট রয়েছে। ফ্যাসিবাদের দোসররা প্রশাসন সহ নানা জায়গায় জটিলতা তৈরি কার পায়তারা করছে। শুধু ঘোষণাপত্র নয়, ১৬ বছরের আন্দোলনের স্বীকৃতি দিতে হবে। তাই অন্তর্বর্তী সরকারকে আরও সতর্ক থাকতে হবে। 

আরেক প্রশ্নের জবাবে জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপি চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ৩৬ দিনের আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতন হয়নি। গত ১৫ বছরের আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় এই গণঅভ্যুত্থান সফল হয়েছে। তাই সরকারকে ঐক্য সুদূর রাখতে হলে আরও সতর্ক থাকতে। ভবিষ্যতে সব অংশীজনদের নিয়ে সরকারকে বৈঠক করার আহ্বান জানান।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন  ১২ দলীয় জোট প্রধান ও জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বিকল্পধারা বাংলাদেশ চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মোহাম্মদ ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, বাংলাদেশ এলডিপি মহাসচিব তমিজউদ্দীন টিটু, যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/নাবিল/

যেনতেন মার্কা নির্বাচন জাতি চায় না: জামায়াত আমির

প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:০৭ পিএম
যেনতেন মার্কা নির্বাচন জাতি চায় না: জামায়াত আমির
শুক্রবার নরসিংদী জেলায় জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সংগঠনটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: বাসস

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, যেনতেন মার্কা নির্বাচন এ জাতি চায় না। নির্বাচন অবশ্যই হতে হবে, তবে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে হবে, যেখানে পেশি শক্তি ও কালো টাকার খেলা থাকবে না।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে নরসিংদীর সাটিরপাড়া কালিকুমার ইন্সটিটিউট মাঠে জেলা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ভোটার তালিকা সংশোধন করা জরুরি। ভুয়া ভোটারদের বাদ দিয়ে নতুন ভোটারদের তালিকাভুক্ত করতে হবে। প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার ওপরও তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

ডা. শফিকুর রহমান প্রশাসনের ভূমিকা উল্লেখ করে বলেন, যেসব কর্মকর্তা অতীতে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন এবং জনগণের ওপর দমন-পীড়ন চালিয়েছেন, তাদের আগামী নির্বাচনে কোনো দায়িত্বে দেখতে চান না। তবে সৎ ও দেশপ্রেমিক কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে জনগণ তাদের পাশে থাকবে।

জামায়াতের কার্যালয় বন্ধ করে রাখা এবং দলীয় নিবন্ধন বাতিলের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদ আপাতত বিদায় নিয়েছে, কিন্তু আমরা এখনো নিবন্ধন ফিরে পাইনি। এটা বাংলাদেশের জন্য লজ্জাজনক। অন্যায়ের কাছে মাথা নত না করার কারণে আমাদের নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছিল। অবিলম্বে আমাদের প্রতীকসহ নিবন্ধন ফিরিয়ে দিতে হবে।’

তিনি বলেন, দেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে এনে সরকারি কোষাগারে জমা করতে হবে। পাশাপাশি অতীতের শাসনামলে চাঁদাবাজি, নিপীড়ন ও জুলুমের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনে নিহত অনেকের লাশ এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি।’

দ্রুত সময়ের মধ্যে জামায়াতের নিবন্ধন ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে জামায়াতের আমির বলেন, 'জামায়াত বাংলাদেশের সবচেয়ে মজলুম দল। স্বাধীনতার ৫৪ বছরে কোনো অপকর্ম আমাদের স্পর্শ করেনি। কিন্তু যারা ক্ষমতায় এসেছে, তারা দুর্নীতি ও লুটপাট করেছে। জামায়াতের কোনো নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে সে ধরনের অভিযোগ নেই।'

নরসিংদী জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মোছলেহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল মো. আমজাদ হোসেনের সঞ্চালনায় জনসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন  জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আ.ফ.ম আব্দুস সাত্তার, আব্দুল মান্নান, এডভোকেট মশিউল আলম, মাওলানা মমিনুল হক, মাওলানা দেলোয়ার হোসেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর জামায়াতের আমীর মাওলানা আব্দুল জব্বার, মুন্সীগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমীর আ.জ.ম রহুল কুদ্দুস এবং নরসিংদী জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মকবুল হোসেন।

সূত্র: বাসস

সিফাত/

ইসলামী আন্দোলন কারও ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি হবে না : রেজাউল করিম

প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৪৭ পিএম
আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৪৭ পিএম
ইসলামী আন্দোলন কারও ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি হবে না : রেজাউল করিম
ছবি : খবরের কাগজ

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করিম বলেন, 'ইসলামী আন্দোলন কারও ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি হবে না। আমাদের ব্যবহার করে কেউ ক্ষমতার মসনদে বসবে সেই সুযোগ দেওয়া হবে না।' 

বৃহস্পতিবার (১৩ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা পরিষদ হলরুম উপজেলা যুব আন্দোলনের সম্মলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, 'আমরা ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করিনি না, যদি ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করতাম তাহলে অনেক বার সংসদে বসতে পারতাম। কিন্তু তা করিনি। আমাদের ব্যবহার কেউ মসনদে বসে দুর্নীতি, অনিয়ম, গুম খুনের রাজনীতি করবে তা ইসলামী আন্দোলন সমর্থন করে না। ইসলামী আন্দোলন ন্যায় নীতির রাজনীতি করে, ক্ষমতার রাজনীতি করে না। তবে সেই সুযোগ নেইনি। আগামীর বাংলাদেশ হবে ইসলামে বাংলাদেশ। যেখানে কোনো অন্যায় থাকবে না। মানুষ নিরাপদে বসবাস করবে।'

সম্মলনে উপজেলা যুব আন্দোলনের সভাপতি এইচ এম নুরুল আমিনের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন- ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মুহাম্মদ আবু বকর ছিদ্দিক।

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- পটুয়াখালী জেলা যুব আন্দোলনের সভাপতি মোহাম্মাদ আলী হাসান রুহানী, সাধারণ সম্পাদক কাজী মোসাদ্দেক বিল্লাহ রুমী। 

সম্মেলনে  সভাপতি পদে এইচ এম রুহুল, সহসভাপতি পদ  মো. মশিউর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক পদ মো. ফরিদ উদ্দিনের নাম ঘোষণা করেন মুফতি রেজাউল করিম। পরে তিনি নতুন কমিটির নেতৃবৃন্দকে শপথ পাঠ করান।

মো. হাসিবুর রহমান/জোবাইদা/

ক্যালিফোর্নিয়া বিএনপির সভাপতি শিপলু ও সম্পাদক ওয়াহিদ পুনর্নির্বাচিত

প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:২৮ পিএম
আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৩৩ পিএম
ক্যালিফোর্নিয়া বিএনপির সভাপতি শিপলু ও সম্পাদক ওয়াহিদ পুনর্নির্বাচিত
সভাপতি বদরুল আলম চৌধুরী শিপলু ও সাধারণ সম্পাদক এম ওয়াহিদ রহমান। ছবি: খবরের কাগজ

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির) শাখায় বদরুল আলম চৌধুরী শিপলু সভাপতি ও এম ওয়াহিদ রহমান সাধারণ সম্পাদক পদে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন।

সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়ার নর্থ হলিউডের চার্চ অব সাইন্টোলজির মিলনায়তনে বিএনপির কর্মিসভা ও দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে এই নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ইউরোপ-আমেরিকা, আফ্রিকা-অস্ট্রেলিয়া মহাদেশে বিএনপির সাংগঠনিক সমন্বয়ক আনোয়ার হোসেন খোকন।

আনোয়ার হোসেন খোকন বেশ কিছুদিন ধরেই ক্যালিফোর্নিয়া বিএনপির কমিটি পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি কাজ করছিলেন। ২০২৩ সালে ক্যালিফোর্নিয়া বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে এ বিষয়ে দুটি ভার্চুয়াল সভা হয়।

গেল বছর ২৮ ডিসেম্বর ভার্চুয়াল সভা শেষে নেতা-কর্মীদের কাছে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৪ জানুয়ারির মধ্যে প্রার্থিতা আবেদন আহ্বান করা হয়।

গত ৫ জানুয়ারি ভার্চুয়াল সভায় আনোয়ার ঘোষণা করেন, ‘শুধুমাত্র বদরুল আলম চৌধুরী শিপলু সভাপতি ও এম ওয়াহিদ রহমান সাধারণ সম্পদক পদে প্রার্থিতা দিয়েছেন।’

এর আগে আনোয়ার হোসেন খোকন ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসে পৌঁছালে ক্যালিফোর্নিয়া বিএনপির বিপুল সংখক নেতাকর্মী লস এঞ্জেলেস ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে তাকে স্বাগত জানান।

পরে তিনি দলীয় কার্যালয়ে ক্যালিফোর্নিয়া বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় ক্যালিফোর্নিয়া বিএনপির পুনর্নির্বাচিত সভাপতি বদরুল আলম চৌধুরী শিপলু জানান, তার প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস রেখে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য বিএনপির সভাপতি হিসেবে অর্পিত দায়িত্ব তিনি বলিষ্ঠভাবে পালন করবেন। 

তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতন দাবিতে বহির্বিশ্বে বিএনপি যেভাবে অবদান রেখেছে তার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে ক্যালিফোর্নিয়া বিএনপি।’

এ ছাড়া বাংলাদেশের মানুষের ভোটাধিকার আদায়ের পাশাপাশি গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার বিষয়ে সবসময় তারা সোচ্চার থাকবেন বলে জানান তিনি।

শফিকুল ইসলাম/নাইমুর/

লন্ডনে ঈদ করতে পারেন খালেদা জিয়া

প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৩৮ এএম
লন্ডনে ঈদ করতে পারেন খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া রোজার ঈদ লন্ডনে উদযাপন করে দেশে ফিরতে পারেন বলে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এম এ মালেক। 

গত বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) লন্ডনের স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় তিনি এ তথ্য জানান। 

এম এ মালেক বলেন, আপনারা সবাই তার জন্য দোয়া করবেন। তিনি দেশবাসীর দোয়ায় আল্লাহর রহমতে আগের চেয়ে অনেক ভালো আছেন। কারণ তিনি তার প্রিয় সন্তান তারেক রহমান, পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান, শর্মিলা রহমান, তিন নাতনি ব্যারিস্টার জাইমা রহমান, জাহিয়া রহমান এবং জাফিয়া রহমানের সঙ্গে বাসায় দারুণ সময় কাটাচ্ছেন। তারা সবাই তার পাশে রয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যুক্তরাজ্য বিএনপির টিম তার পাশে আছি। আলহামদুলিল্লাহ তিনি মেন্টালি খুব রিলাক্সড্। আমরা তাকে অনুরোধ করেছি আমাদের সঙ্গে অন্তত এই ঈদটা করে যাওয়ার জন্য। আমরা আশা করি, তিনি যদি আমাদের কথা রাখেন তাহলে ঈদের পরই বাংলাদেশে যাবেন। তিনি আগের চেয়ে অনেক ভালো রয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, হাসিনাই তাকে স্লো পয়জনিং দিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে। আল্লাহর অশেষ মেহেরবাণী। আল্লাহর ক্ষমতা অনেক বেশি। হাসিনার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয়নি। হাসিনা যখন লন্ডনে আসে তখন তিনি ঘোষণা করেছিলেন খালেদা জিয়াকে হত্যার।

খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেশের পরিস্থিতি নিয়ে কোনো কথাবার্তা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে রাজনীতি নিয়ে কথাবার্তা হয়নি। আমরা কোনো কথাবার্তা বলবও না। কারণ রাজনীতিতে তার অনেক সোর্স রয়েছে। তিনি অনেক ব্রিফ পান এবং তার দৃষ্টি বাংলাদেশের প্রতি রয়েছে।’

গত ৮ জানুয়ারি লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি হন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এর আগের দিন কাতারের আমিরের শেখ তামিম বিন হামাদ আল সানির পাঠানো রাজকীয় বিশেষ অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা থেকে লন্ডনের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন তিনি। সেখান থেকে সরাসরি খালেদা জিয়াকে লন্ডন ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। ২৫ জানুয়ারি লন্ডন ক্লিনিক থেকে চিকিৎসকদের ছাড়পত্র পেয়ে ছেলের বাসায় ওঠেন। ৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন থেকে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আরথ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন।

সুস্থ জাতি গঠনে ক্রীড়াঙ্গনের ভিত্তি হোক বাংলাদেশ: আমিনুল হক

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৪৮ পিএম
সুস্থ জাতি গঠনে ক্রীড়াঙ্গনের ভিত্তি হোক বাংলাদেশ: আমিনুল হক
বরিশাল আউটার স্টেডিয়ামে ‘আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট’। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, বিএনপি চায় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় একটি সুস্থ জাতি গঠনে ক্রীড়াঙ্গনের ভিত্তি হোক বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বরিশাল আউটার স্টেডিয়ামে ‘আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৪-২৫’ এর বরিশাল বিভাগীয় খেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম যুব সমাজ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি ক্রীড়াঙ্গনের বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে একটি সুস্থ জাতি গড়ার স্বপ্ন নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর নির্দেশনায় আমরা কাজ করে চলেছি।

টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব আমিনুল হক বলেন,ফুটবল ক্রিকেটসহ ইন্টারন্যাশনাল যে গেমসগুলো রয়েছে, পাশাপাশি আমাদের দেশীয় যে খেলাগুলো রয়েছে-এই খেলাগুলোকে কিন্তু আমরা হারিয়ে ফেলেছি, এই খেলাগুলোকে সারাবছর খেলার লক্ষ্য নিয়েই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি ক্রীড়াঙ্গনের সকল পরিকল্পনা নিয়ে একটি ফাউন্ডেশন তৈরি করতে চায়। যেই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান থাকবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বরিশাল লাল দল সবুজ দলের মধ্যকার অনুষ্ঠিত খেলায় ১-০ গোলে বরিশাল সবুজ দল জয়ী হয়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- টুর্নামেন্ট কমিটির দপ্তর সম্পাদক মো. ইব্রাহিম খলিল, সদস্য সহ-দপ্তর মো. হাসনাইন নাহিয়ান সজীব, সদস্য মো. মোস্তাফিজুর রহমান মামুন, রাশেদ সরকার, লিটন খানসহ টুনার্মেন্ট পরিচালনা কমিটি ও স্থানীয় বিএনপির নেতারা।

এমএ/