ঢাকা ২৬ মাঘ ১৪৩১, রোববার, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
রোববার, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৬ মাঘ ১৪৩১

পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে: চরমোনাই পীর

প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:৩৪ পিএম
আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:৩৪ পিএম
পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে: চরমোনাই পীর
ইসলামী যুব আন্দোলনের কনভেনশনে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। ছবি: খবরের কগজ

সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম চরমোনাই পীর।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী যুব আন্দোলনের পঞ্চম জাতীয় যুব কনভেনশনে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, পিআর পদ্ধতিতে আপনাদের ভয় কোথায়? বাঁধা কোথায়? বর্তমান পদ্ধতির নির্বাচনের মাধ্যমে এককভাবে ক্ষমতায় গিয়ে আবারও জুলুমের স্টিমরোলার জনগণের ওপর চাপিয়ে দেবেন, এটা আর হবে না। উচ্চকক্ষ হোক আর নিম্নকক্ষ হোক সব নির্বাচনই পিআর পদ্ধতিতে হতে হবে।

কনভেশনে ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান মুজাহিদকে সভাপতি, ইঞ্জিনিয়ার মারুফ শেখকে সহ-সভাপতি ও মাওলানা মানছুর আহমদ সাকীকে সেক্রেটারি জেনারেল করে নতুন কমিটি ঘোষণা করেন চরমোনাই পীর।

রেজাউল করিম বলেন, গণঅভ্যুত্থানে হাজার হাজার ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে অন্তর্বর্তী সরকার। কিন্তু আপনাদের অনেক কার্যক্রম প্রশ্নবিদ্ধ। আপনাদের দুর্বলতা কোথায়? চাঁদাবাজ ও খুনিদেরকে এদেশের মানুষ ক্ষমতায় দেখতে চায় না। পরিবর্তন করে সুন্দর পরিবেশ তৈরির জন্য সবাইকে কাজ করতে হবে।

রাজনৈতিক দলগুলোকে অবস্থান স্পষ্ট করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যারা হাজার হাজার মায়ের বুক খালি করেছেন তাদেরকে নির্বাচনের জন্য আহ্বান করছেন, কিছু দল তাদেরকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করছেন, ফ্যাসিবাদদের দোসরদের নিয়ে আবার ক্ষমতা দখল করবেন, এটা আর কখনো হবে না। এই ধোঁকাবাজি জনগণ বুঝে গেছে।

চরমোনাই পীর বলেন, ৫৩ বছর দেশ স্বাধীনতায় যারা শাসন করেছে, তারা নতুন করে কোনো আশা দেখাতে পারবে না। এখন পরিবর্তন দরকার, ইসলামকে ক্ষমতায় আনতে হবে। মায়ের কোল খালি করবে, বিদেশে টাকা পাচার করবে, বেগম পাড়া তৈরি করবে- তাদের রাজনীতি দেশের জনগণ আর দেখতে চায় না। তার জন্য যদি আবারও প্রয়োজন হয় আমরা রক্ত দিতে প্রস্তুত আছি।

আগামী নির্বাচনে যুবকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা আহ্বান জানিয়ে ইসলামী আন্দোলনের আমির বলেন, কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যায়ে শক্তি বাড়াতে হবে। এজন্য ইসলামের পক্ষে যুবকদেরকে নিয়ে আসতে মাসে কমপক্ষে ৪ জনকে দাওয়াত দিতে হবে। আগামী দিনে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ইসলামী নীতি আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য কাজ করতে হবে।

কনভেনশনে ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, অতীতের সরকার সব কিছু ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। ফলে সংস্কার করে নির্বাচন দিতে হবে। এককক্ষ বা দ্বি-কক্ষ যাই হোক সব নির্বাচন পিআর পদ্ধতির হতে হবে। অন্যথায় সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না।

অনুষ্ঠানে যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন বলেন, ১৬ বছর আলেম ওলামাদের জুলুমের কারণে অনেককে বিদেশ চলে যেতে বাধ্য হয়েছিল। জুলাই বিপ্লবে আপনাদের যে ত্যাগ ছিল, তা জাতি চিরদিন স্বরণ করবে।

ইসলামী যুব আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ নেছার উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারী জেনারেল মুফতি মানসুর আহমাদ সাকী, প্রকৌশলী মারুফ শেখ ও মাওলানা রহমাতুল্লাহ বিন হাবিবের যৌথ সঞ্চালনায় কনভেনশনে আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, নায়েবে আমীর মাওলানা আবদুল আউয়াল, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/নাবিল/এমএ/

জনগণের ভোটে সরকার গঠন করবে বিএনপি: খন্দকার মোশাররফ

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:২২ এএম
জনগণের ভোটে সরকার গঠন করবে বিএনপি: খন্দকার মোশাররফ
ছবি : সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘দেশের গণতান্ত্রিক দল হলো বিএনপি। জনগণের ভোটে বারবার তারা নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করেছে। আগামী নির্বাচনেও জনগণের ভোটে বিএনপি সরকার গঠন করবে।’

গতকাল শনিবার কুমিল্লার দাউদকান্দিতে উপজেলা বিএনপি আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ও তার দোসররা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। বৈষম্যহীন ও দুর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হলে দ্রুত নির্বাচনের বিকল্প নেই।’ 

তিনি বলেন, ‘পরপর তিনটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। আমাদের ছাত্র-জনতা হাজারও প্রাণের বিনিময়ে স্বাধীনতা এনেছে। স্বৈরাচার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। দেশের মানুষের সামনে দাঁড়ানোর সৎসাহস শেখ হাসিনার ছিল না।’

দাউদকান্দি পৌর বিএনপির আহ্বায়ক নূর মোহাম্মদ সেলিম সরকারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মারুফ হোসেন, কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির নেতা এ কে এম সামছুল হক, আলহাজ আবুল হাসেম, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. শাহ আলম, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্যসচিব রোমান খন্দকারসহ অন্যরা।

হবিগঞ্জে জেলা ছাত্রদলের ১ মাসের কমিটি হতে দেড় বছর পার

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:১৭ এএম
আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:২৩ এএম
হবিগঞ্জে জেলা ছাত্রদলের ১ মাসের কমিটি হতে দেড় বছর পার
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল

২০২৩ সালের ৮ জুন। সাত বছর পর হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের ছয় সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে শাহ রাজিব আহমেদ রিংগনকে সভাপতি ও জিল্লুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।

এ ছাড়া সিনিয়র সহসভাপতি হাফিজুল ইসলাম হাফিজ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আহাদ তুষার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহিবুর রহমান শাওন ও সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মাহবুবের নামও ছিল তালিকায়। 

কমিটি ঘোষণার সময় ছাত্রদলের তৎকালীন কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল এক মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন। কিন্তু দেড় বছর পার হলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করা হয়নি। এতে নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা বলছেন, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল দীর্ঘদিন ধরে দলীয় আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। 

স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সংগঠনটি সবসময় অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। হবিগঞ্জেও ছাত্রদল নানা আন্দোলন-সংগ্রামে সাহসী ভূমিকা পালন করেছে। অনেক নেতা-কর্মী জীবন বাজি রেখে লড়াই করেছেন। তবে সম্প্রতি এসব ত্যাগী নেতাকর্মীর মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কারণ দীর্ঘ দেড় বছরেও হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়নি।

একাধিক ছাত্রদল নেতা বলেন, ‘আমরা স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সামনের সারিতে ছিলাম। জেল খেটেছি, বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়িয়েছি। এখন দলের সুসময় আসতে শুরু করেছে, আর তখনই কিছু সুবিধাবাদী নেতা সামনে এসে নেতৃত্বের চেষ্টা করছে। আমাদের দাবি, অতিদ্রুত পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হোক এবং প্রকৃত ত্যাগীদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হোক।’

তারা আরও বলেন, ‘অনেক নেতা রাতের পর রাত বাড়িতে থাকতে পারেননি, হাওরে রাত কাটিয়েছেন। তাদের খুঁজে বের করে কমিটিতে স্থান দিতে হবে। একই সঙ্গে, যারা হাইব্রিড নেতা, তাদের যেন ছাত্রদল বা বিএনপির কাছাকাছিও আসতে দেওয়া না হয়।’

বিভিন্ন আন্দোলনে সামনের সাড়িতে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া এক নেতা বলেন, ‘দেড় বছর আগে ছয় সদস্যের কমিটি করা হলেও একজন নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। ফলে পাঁচজন দিয়েই কার্যক্রম চলছে। আন্দোলনের সময় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক কারাগারে ছিলেন, ফলে দল অনেকটাই অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছিল। তবুও নেতা-কর্মীরা নিজেদের জায়গা থেকে আন্দোলন চালিয়ে গেছেন।’

হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজ রাসেল বলেন, ‘ছাত্রদল গণতান্ত্রিক সংগঠন। এখানে প্রকৃত ছাত্রদের নেতৃত্বে আনা জরুরি। দীর্ঘদিন আন্দোলন করা অনেক নেতা পদবঞ্চিত রয়েছেন। আমি কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে অনুরোধ করব, দ্রুত পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে জেলা ছাত্রদলকে আরও গতিশীল করা হোক।’

জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান বলেন, ‘এতদিন আমরা আন্দোলন ও জেল-জুলুমের জন্য কমিটি গঠন করতে পারিনি। তবে ৫ আগস্টের আন্দোলনের পর স্বৈরাচার সরকার বিতাড়িত হয়েছে, এখন আমরা দল গোছানোর কাজ করছি। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল কলেজ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে। সেই কাজ শেষ হলেই জেলা কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার কাজ শুরু হবে।’

জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহ রাজিব আহমেদ রিংগন বলেন, ‘বর্তমানে সারা দেশেই পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া স্তব্ধ রয়েছে। তবে আমরা এরই মধ্যে একটি তালিকা তৈরি করেছি। কেন্দ্র থেকে চাওয়া হলেই আমরা সেটি পাঠিয়ে দেব। ৫ আগস্টের আন্দোলনের সময় যারা মাঠে ছিলেন, তাদের সর্বোচ্চ মূল্যায়ন করা হবে। পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে কোনো তদবির চলবে না।’

ক্ষমতায় গেলে আপনাদের মনে রাখব: মঈন খান

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:০৮ পিএম
ক্ষমতায় গেলে আপনাদের মনে রাখব: মঈন খান
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, ‘কোনো অন্যায় চিরকাল টিকে থাকতে পারে না। অন্যায় ও স্বৈরশাসক বাংলাদেশ থেকে দূর হয়েছে। এ দেশে হয়তো রাজনীতিবিদরা সরকার ও মন্ত্রিসভা গঠন করবে, সে সময়ে আমি আপনাদের কথা মনে রাখব।’

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নরসিংদী ড্রিম হলিডে পার্কে আয়োজিত বনভোজন ও পরিচিতি সভায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তিনি এসব কথা বলেন। সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ এ বনভোজন ও পরিচিতি সভার আয়োজন করে। 

মঈন খান আরও বলেন, ‘আল্লাহর রহমতে জনগণের ভোটের মাধ্যমে আমরা যদি নির্বাচিত হই, তবে অবশ্যই আপনাদের পুরস্কৃত করব। আপনাদের এ দেশের মানুষ ও সংবিধান অত্যন্ত গুরুদায়িত্ব দিয়েছেন। ভবিষ্যতে আপনারা সে দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদের ও আমাদের ওপর যে জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতন হয়েছে, তা থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতে দেশের মানুষকে হয়রানিমুক্ত সেবা দিতে হবে।’ 

সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি নূরুল ইসলাম। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, ড্রিম হলিডে পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রবীর কুমার সাহা। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বাস ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি ও বিএনপি নেতা সারোয়ার মৃধা, বাবুল সরকার, আব্দুর রশিদ, ভিপি মনির ও শাহানশাহ শানু। সূত্র-ইউএনবি

 

ক্রীড়াঙ্গনে আওয়ামী দোসরদের পুনর্বাসন বহাল রয়েছে: আমিনুল হক

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:০৩ পিএম
আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:২৪ পিএম
ক্রীড়াঙ্গনে আওয়ামী দোসরদের পুনর্বাসন বহাল রয়েছে: আমিনুল হক
ছবি: সংগৃহীত

ক্রীড়াঙ্গনে এখনো আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনর্বাসনে তারা বহাল তরিয়তে রয়েছে অভিযোগ করে বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল বলেছেন, ক্রীড়া পরিষদ থেকে শুরু করে ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং দেশের বিভিন্ন ক্রিকেট-ফুটবল ফেডারেশনগুলোতে এখনও আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনর্বাসনেের ফলে তারা পরিপূর্ণভাবে বহাল তবিয়তে বসে আছে। 

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানী উত্তরার ফ্রেন্ডস ক্লাব মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আয়োজনে-২৬ টি থানা নিয়ে জিয়া আন্তঃ থানা ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫ এর তুরাগ বনাম বিমানবন্দর থানার উদ্বোধনী খেলা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

তিনি অন্তবর্তী সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্ঠাকে উদ্দেশ করে বলেন, আগে সেই আওয়ামী দোসরদের অপসারণ করে নির্মূল করুন। তারপর বাংলাদেশের মানুষের যে প্রত্যাশা যে চাওয়া আওয়ামী লীগ এর নিষিদ্ধ। সেটা বাংলাদেশের জনগণ ঐক্যমতের ভিক্তিতে সিদ্ধান্ত নিবে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার মালিক বাংলাদেশের জনগণ। কারণ জনগণ হচ্ছে সকল ক্ষমতার উৎস। 

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের ব্যবস্থা নেওয়া এটা আপনার একার বিষয় নয়। সারা বাংলাদেশের মানুষ চায়- আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ। বাংলাদেশে যাতে আর কোনো স্বৈরাচারের জন্ম না হয়। বাংলাদেশে যাতে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়। এটা আপনার একার প্রত্যাশা নয়, এটা সারা বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশা। 

আমিনুল হক বলেন, গত ১৭ বছর ধরে আওয়ামী স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে তো ধ্বংস করেছেই, পাশাপাশি বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে তারা এমনভাবে দলীয়করণ ও রাজনীতিকরণ করেছে যে, রাজনৈতিক প্রভাব ছাড়া কোনো খেলোয়াড়রা খেলার সুযোগ পায়না। কী দুর্ভাগ্য আমাদের! 

সাবেক সাফজয়ী ফুটবলার এই নেতা বলেন, শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যখন রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন, তিনি বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে নতুনভাবে ঢেলে সাজিয়েছিলেন। সেখানে কোনো প্রকার দলীয় ও রাজনীতিকরণ করা হয়নি। শহিদ জিয়াউর রহমানের সময়ে বাংলাদেশের মাটিতে এশিয়ান যুব ফুটবল, এমটিসি ক্রিকেট ক্লাব থেকে শুরু করে বাংলাদেশের আইসিসি টেস্ট স্টেটাস বা আইসিসি ওয়ান ডে ক্রিকেট টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের প্রবর্তন হয়েছিল। 

বেগম খালেদা জিয়া যখন রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালন করেন সেই সময়ে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি সকলে মিলেই মাঠের যারা ক্রীড়া সংগঠক তাদেরকে নিয়েই দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে সাজানো হয়েছিল।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি সদস্য সচিব মোঃ মোস্তফা জামান, টুর্নামেন্ট কমিটি প্রধান সমন্বয়ক আক্তার হোসেন, মহানগর উত্তর বিএনপি সদস্য সমন্বয়ক মোঃ জাহেদ পারভেজ চৌধুরী ছাড়াও মহানগর বিএনপি যুগ্মআহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, এবিএমএ রাজ্জাক, গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, এম কফিল উদ্দিন আহমেদ, হাজী মোঃ ইউসুফ, মহানগর বিএনপি সদস্য আলী আকবর আলী, সালাম সরকার, মোতালেব হোসেন রতন, নুরুল হুদা ভূঁইয়া নূরু, এম এস আহমাদ আলী, হান্নানুর রহমান ভূঁইয়া, দক্ষিণখান থানা বিএনপির আহবায়ক সাবেক মহানগর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলাল তালুকদার, যুগ্ম আহবায়ক দেওয়ান মোঃ নাজিম উদ্দীন, উত্তরা পশ্চিম থানা বিএনপি নেতা মোঃ আব্দুস ছালাম, আলমগীর হোসেন শিশির, উত্তরাপূর্ব থানা যুগ্ম আহবায়ক আমিনুল হক, এসআই টুটুল, সাবেক থানা সাধারণ সম্পাদক অ্যাড এফ ইসলাম চন্দন, ক্যান্টনমেন্ট থানা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক মোঃ শফিকুর রহমান রতন, খিলক্ষেত থানা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক মোবারক হোসেন দেওয়ান, সিএম আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম আহবায়ক রানা চৌধুরী, তুরাগ থানা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক হারুনুর রশিদ, হাজী জহিরুল, মহিউদ্দিন সোহাগ রাজা, মোঃ চান মিয়া বেপারি, থানা আহবায়ক কমিটি অন্যতম সদস্য আব্দুল আলী, বিমানবন্দর থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন দিলু, মহিউদ্দিন তারেক, মন্জুর হোসেন পাটোয়ারী, মোঃপুর থানা বিএনপি সিনিয়র সদস্য ফরিদ উদ্দিন ফরহাদ প্রমুখ। 

এরআগে সকলে মিরপুরের ১০ নম্বরে ইক্যুমেনিক্যাল খ্রিস্টান ট্রাস্ট ইটিসি কর্তৃক আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আমিনুল হক এরপর সন্ধ্যায় বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় উত্তরখানে দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন তিনি। 

এরআগে সকলে মিরপুরের ১০ নম্বরে ইক্যুমেনিক্যাল খ্রিস্টান ট্রাস্ট ইটিসি কর্তৃক আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আমিনুল হক। এরপর সন্ধ্যায় বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় উত্তরখানে দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন তিনি।

মাহফুজ/

 

বাংলাদেশকে বিপদে ফেলার মতো অবস্থা ভারতের নেই: ব্যারিস্টার ফুয়াদ

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৪৬ পিএম
বাংলাদেশকে বিপদে ফেলার মতো অবস্থা ভারতের নেই: ব্যারিস্টার ফুয়াদ
ছবি: খবরের কাগজ

আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেছেন, ‘ভারত ও বিজেপির রাজনীতি, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীর বাস্তবতা, বাংলাদেশকে বিপদে ফেলার মতো অবস্থায় নেই। 

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) জামালপুরে দলের এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। 

তিনি বলেন, ভারত বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থানকে স্বাগত জানাই। গত ৭৭ বছরের ভারতীয় নীতি, যা আওয়ামী লীগ ও শেখ পরিবারকে তোষণ করার নীতি ছিল ভুল, তা প্রমাণিত হয়েছে। আপনারা বাংলাদেশের সঙ্গে, বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক গড়েন। ভারতের সঙ্গে আমাদের স্থায়ী শত্রুতার কোনো জায়গা নেই। আলোচনার টেবিলে সমাধান করা যাবে না এমন কোনো সমস্যা নেই।

অভিন্ন নদীর পানি বন্টন বিষয়ে তিনি বলেন, গঙ্গাতে পর্যাপ্ত পানি আছে যা দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের দুই দিকের নদীকে বাঁচানো যাবে, উভয় দেশের কৃষকের পানির চাহিদা মিটবে। কিন্তু দরকার হচ্ছে আন্তরিকতার সঙ্গে ব্যবস্থাপনা করা। তবে ভারতকে আওয়ামী লীগের ট্রমা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে, আওয়ামী লীগ এখন মৃত। বাস্তবতায় ফিরে আসতে হবে, বাংলাদেশের সঙ্গে, মানুষের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক গড়তে হবে। 

দলের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, বিএনপি নির্বাচন করে যদি ২৫০ এর বেশি আসন নেয় তাহলে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর হবে। বিএনপির ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা খুবই বেশি। কিন্তু বিএনপির সমালোচনা করা, তাকে গঠনমূলক জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। এমন পরিকল্পনা আছে আওয়ামী লীগের বিরোধী সবাই মিলে একসঙ্গে নির্বাচন করা। কিন্তু তখন বিরোধী দল কে থাকবে? সরকারের সমালোচনা কে করবে? এটা দেশের জন্য ভালো হবে না। তাই আমরা বোধ করছি বিএনপি ক্ষমতায় আসবে, তবে বিএনপির বাইরে বড় রাজনৈতিক কাঠামো থাকা দরকার। 

যারা দেশের মানুষের জন্য, দেশের জন্য সরকারের সমালোচনা করবে। এই গণতন্ত্র না থাকলে বাংলাদেশে সংসদ কার্যকর থাকবে না, রাষ্ট্র থাকবে না। তাহলে এখানে আবার একটা বাকশাল কায়েম হবে, সবাই মিলে লুটপাটের রাজতন্ত্র কায়েম হবে। তিনি আরও বলেন, যে আওয়ামী ফ্যাসিবাদকে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে পালাতে বাধ্য করা হয়েছিল, সে আর ফিরবে না। অনলাইনে উস্কানি দিয়ে দুনিয়ার কোনো শক্তির অপচেষ্টাকে সফল হতে দেবে না গণতন্ত্রকামী জনগণ। আওয়ামী লীগের দোসর ও পুনর্বাসনকারীদের প্রতিহত করবে জামালপুরবাসী, যেটা আবারও প্রমাণ করে দিয়েছে দেশের তরুণ-যুবকরা। গত ছয় মাসে সারা দেশে রাজনৈতিক ব্যানারে হাট-ঘাট-মাঠ দখলের যে প্রতিযোগীতা দেখেছি, জনগণ সেটা চলতে দিবে না। যদি কেউ মনে করে যে গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী রাজনীতিতে তরুণদের স্বপ্নকে ব্যর্থ করে দেবে, তা সফল হবে না। আগামী দিনে যারা ক্ষমতায় ফিরবার স্বপ্ন দেখছেন, তাদের পতিত সরকারের কর্মকাণ্ড থেকে শিক্ষা নেওয়া জরুরি। 

 শনিবার বিকেলে শহরের ফৌজদারী মোড়ে জামালপুর এবি পার্টির আয়োজনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে এবি পার্টির জাতীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা এবি পার্টির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ছানোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। 

এছাড়াও এবি যুব পার্টির সদস্য সচিব হাদিউজ্জামান খোকন, এবি পার্টির সহকারী প্রচার সম্পাদক রিপন মাহমুদ, জামালপুর জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার লিপসন মিয়া, জামালপুর পৌর এবি পার্টির আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম, সদস্য সচিব মাহমুদুল হাসান বুলবুল, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আতিকুর রহমান বাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক উসমান গণি, জামালপুর এবি যুব পার্টির আহ্বায়ক শিহাব ইসলাম, সদস্য সচিব আবু সালেহ টিপু সুলতান, সাংগঠনিক সম্পাদক যোবায়ের হোসেনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন। 

আসমাউল আসিফ/মাহফুজ