ঢাকা ২ ফাল্গুন ১৪৩১, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১

চুয়াডাঙ্গায় ডা. শফিকুর দুঃশাসনমুক্ত বাংলাদেশ না হওয়া পর্যন্ত জামায়াত থামবে না

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৬ এএম
দুঃশাসনমুক্ত বাংলাদেশ না হওয়া পর্যন্ত জামায়াত থামবে না
চুয়াডাঙ্গায় বক্তব্য রাখছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: খবরের কাগজ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে দেশের সবচেয়ে বড় মজলুম দল বলে মন্তব্য করেছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, সাড়ে ১৫ বছর ধরে জামায়াতের নেতাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। হাজারও নেতা-কর্মীকে খুন করা হয়েছে। ক্রসফায়ারের নামেও হত্যা করা হয়েছে। হাট-ঘাট, মসজিদ-মাদ্রাসা, এমনকি মন্দিরেও লুটপাট চালিয়েছে আওয়ামী লীগ ও তার দোসররা।

জামায়াতের আমির বলেন, ‘৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ ও তার দোসররা চাটিবাটি নিয়ে পালিয়ে গেছে। দুর্নীতিবাজ সবাই পালিয়েছে। তাই বৈষম্যহীন, মানবিক, দুর্নীতি, দুঃশাসনমুক্ত বাংলাদেশ কায়েম না করা পর্যন্ত আমরা থামব না। অর্থাৎ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী থামবে না।’

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ৩টায় চুয়াডাঙ্গা টাউন মাঠে জেলা জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের শাসনামলের প্রতি ইঙ্গিত করে জামায়াত আমির বলেন, ‘ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে তারা দেশের জ্ঞানী, শিক্ষিত, মার্জিত ও অভিজ্ঞ মানুষদের হত্যা করেছে। হাজারও মানুষকে নির্যাতন করেছে। তারা শত শত মানুষকে গুম করেছে, খুন করেছে। মানুষের ইজ্জত লুণ্ঠন করেছে। তারা দেশের সম্পদও লুট করেছে। তারা উন্নয়নের বুলি শুনিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘পরপর তিন-তিনটি নির্বাচনে মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। জুলাই-আগস্টে আমাদের সন্তানরা বিপ্লব ঘটিয়ে চব্বিশে স্বাধীনতা এনেছেন। ফলে স্বৈরাচার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। দেশের মানুষের সামনে দাঁড়ানোর মতো সৎসাহস শেখ হাসিনার ছিল না। যে কারণে তিনিসহ তার দোসররা পালিয়ে যেতে বাধ্য হন। যারা আমাদের সন্তানদের ওপর গুলি চালিয়েছে, গণহত্যা চালিয়েছিল জনগণ তাদের এক দফা দিয়ে দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে।’ 

চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, জামায়াতের নির্বাহী পরিষদের অন্যতম সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের পরিচালক মোবারক হোসেন, যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চলের টিম সদস্য খন্দকার আলী মোহসিন, যশোর জেলা শাখার আমির অধ্যাপক গোলাম রসুল, ঝিনাইদহ জেলা জামায়াতের আমির আলী আজম, কুষ্টিয়া জেলা আমির মাওলানা অধ্যাপক আবুল হাশেম, মেহেরপুর জেলা আমির মাওলানা তাজ উদ্দীন খান, চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের সাবেক আমির আনোয়ারুল হক মালিক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার আহ্বায়ক আসলাম অর্ক, জেলা জামায়াতের জয়েন্ট সেক্রেটারি মাসুদ পারভেজ রাসেল প্রমুখ।

জাতিসংঘের প্রতিবেদন শেখ হাসিনার গণহত্যার দলিল: জামায়াতের আমির

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৪৪ পিএম
জাতিসংঘের প্রতিবেদন শেখ হাসিনার গণহত্যার দলিল: জামায়াতের আমির
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ফাইল ছবি

জাতিসংঘের জুলাই-আগস্টের গণহত্যা নিয়ে পর্যবেক্ষক টিমের প্রতিবেদন ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার গণহত্যার দলিল হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য গত বছরের পহেলা জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশে যে অমানবিক ও নির্মম গণহত্যা চালিয়েছে, তারই স্বীকৃতি পাওয়া গেল জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনের তদন্ত প্রতিবেদনের মাধ্যমে। খুনি এবং খুনিদের মাস্টারমাইন্ডদের তথ্য ও পরিচয় এই তদন্ত প্রতিবেদনের মাধ্যমে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরেছে জাতিসংঘ। এই প্রতিবেদনে ‘সত্য’ উদ্ঘাটিত হয়েছে।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যম পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিবৃতিতে জুলাই গণহত্যার তদন্তের জন্য জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনকে আন্তরিক মোবারকবাদ ও অভিনন্দন জানিয়েছেন দলটির আমির।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার নির্দেশেই গত জুলাই-আগস্টে গণহত্যা সংঘঠিত হয়েছে তা জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বিশ্ববাসীর নিকট উন্মোচিত হওয়ায় জাতি স্বস্তিবোধ করছে এবং অপরাধীদের বিচারের ব্যাপারে আশান্বিত হয়েছে। জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনের মাধ্যমে বিশ্ববাসীর নিকট স্পষ্ট হয়েছে যে, খুনি শেখ হাসিনার নির্দেশেই দেশে গণহত্যা সংঘটিত ও মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে।

তিনি বলেন, খুনিদের মাস্টারমাইন্ড ও তার দোসরদের মাধ্যমেই দেশের নাগরিকদের ওপর অকথ্য জুলুম-নির্যাতন, গুম এবং চরম বীভৎ ও লোমহর্ষক গণহত্যা চালানো হয়েছে। লাশ স্তুপ করে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। বাংলাদেশের গণতন্ত্র এবং গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক সকল প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। আয়নাঘর বানিয়ে দেশের মানুষকে গুম ও পাশবিক নির্যাতন করা হয়েছে।

জামায়াতে আমির বলেন, মজলুমের পক্ষে নয় বরঞ্চ মজলুম বিষয়ে জাতিসংঘের এই রিপোর্ট গণহত্যার দলিল হয়ে থাকবে। অন্তর্বর্তী সরকারকে সব গণহত্যাকারী এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার বিচার নিশ্চিত করতে হবে। জনগণ মনে করে, গণহত্যার অপরাধে অপরাধী হিসেবে আওয়ামী লীগের এ দেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। এই জনআঙ্খাক্ষা অনুযায়ী, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবির বিষয়টিও অন্তর্বর্তী সরকারকে বিবেচনায় নেওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি।

শফিকুল ইসলাম/এমএ/

তারেক রহমানের ৩১দফা বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে: ড. হোসাইনী

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৪১ পিএম
তারেক রহমানের ৩১দফা বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে: ড. হোসাইনী
ছবি : খবরের কাগজ

রাষ্ট্র সংস্কারে ৩১ দফা বাস্তবায়নে সবস্তরের জনগণকে নিয়ে কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক ডাকসু সদস্য ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক শ্রমবিষয়ক সম্পাদক ড. রশিদ আহমেদ হোসাইনী।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে লাকসাম উপজেলায় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও  দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে শান্তি র‍্যালি ও লিফলেট বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

হোসাইনী বলেন, হানাহানি ও কোন্দলমুক্ত করে এবং বৈষম্য সৃষ্টি না করে দলের জন্য কাজ করতে হবে। তবেই দল সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে। দল সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন দেবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।

তিনি বলেন, আমি দলে আবিষ্কার, বহিষ্কার কিংবা সংস্কারে কখনো যুক্ত ছিলাম না। আমি শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বিএনপি করি। নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও কখনো দল ছাড়িনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি নেতা এ কে এম আতিকুর রহমান লিটন, ইঞ্জিনিয়ার জাহাঙ্গীর হোসেন (সিপন), যুবদল নেতা সোহেল হোসেন, জসিম উদ্দিন, ছাত্রদল নেতা ইলিয়াস মজুমদার, কামাল হোসেনসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।

অমিয়/

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম দায়িত্ব গণতান্ত্রিক সরকার গঠন: রিজভী

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:৫১ পিএম
আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:৫৪ পিএম
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম দায়িত্ব গণতান্ত্রিক সরকার গঠন: রিজভী
কুমিল্লায় মেঘনা উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। ছবি: খবরের কাগজ

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম দায়িত্ব গণতান্ত্রিক সরকার গঠন করা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) কুমিল্লায় মেঘনা উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘জনগণের কাছে জনগণের ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন ড. ইউনূস সরকারের প্রধান দায়িত্ব। তার জন্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগে দিতে হবে।’

রিজভী বলেন, ‘রাজনৈতিক সরকারের অধীনে যে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে, তা দেখার জন্য আগে সরকার গঠন করতে হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে হবে। স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে করার কারণ কি?’

বিগত দিনগুলোতে আন্দোলন সংগ্রামে নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘শেখ হাসিনার আমলে গত ১৭ বছর বিএনপি ভয়াবহ নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েছে। শুধু বিএনপিই নয়, এই দেশের মানুষও গণতন্ত্র থেকে বঞ্চিত হয়েছে, কথা বলার স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত হয়েছে, নাগরিক স্বাধীনতা বলতে কিছুই ছিল না।’

তিনি বলেন,  ‘ যদি ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনার পতন না হত, তাহলে আমরা যারা এখানে আছি আমাদের প্রত্যেকের ফাঁসি হত। আমরা ছাত্র-জনতার তাজা প্রাণের বিনিময়ে একটি মুক্ত বাংলাদেশ পেয়েছি।’
 
তিনি আরও বলেন, ‘যে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য ৪ বছরের শিশুকে হত্যা করতে পারে, সে আমাদেরকেও ফাঁসি দিতে পারত। ক্ষমতা বাঁচিয়ে রাখার জন্য কে মরল, কে বাঁচলো হাসিনার কাছে তা কোনো ব্যাপার না। যদি ছাত্র-জনতা ফ্যাসিস্ট হাসিনার পালিত পুলিশের বুলেটের সামনে বুক পেতে না দিত, তাহলে এই দেশে স্বাধীনতার মুখ দেখা হত না। এখন বাংলাদেশের মানুষ কিছুটা স্বস্তিতে জীবন-যাপন করতে পারছে।’
 
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক দল। বিএনপি এ দেশের দেশপ্রেমিক মানুষের দল। আমাদেরকে দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে গণতন্ত্র চর্চা করার অভ্যাস করতে হবে।  আগামীতে তারেক রহমানের নেতৃত্বে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।’ 

মেঘনা উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মো. ওয়াদুদ মুন্সীর সভাপতিত্বে ও মেঘনা উপজেলা যুবদল নেতা মাসুরুদ হক সরকারের সঞ্চালনায় সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী মোস্তাক মিয়া, কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপি আহ্বায়ক আক্তারুজ্জামান সরকার ও সদস্যসচিব এএফএম তারেক মুন্সী প্রমুখ। 

জহির শান্ত/সুমন/

আমিনুল হক বাংলাদেশের রাজনীতির স্টার: রিজভী

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৩৮ পিএম
আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৫৮ পিএম
আমিনুল হক বাংলাদেশের রাজনীতির স্টার: রিজভী
বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হকের আত্মজীবনী ‘একজন আমিনুল হক’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে আমিনুল হক ও বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীসহ অন্যান্য অতিথিরা। ছবি: খবরের কাগজ

আমিনুল হক বাংলাদেশের রাজনীতির একজন স্টার বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। 

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে ‘একজন আমিনুল হক’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক সাফজয়ী ফুটবলার আমিনুল হকের জীবনী নিয়ে বইটি রচিত। আমিনুল হক এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। 

এ সময় অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনে রাজপথে আমিনুলের অসাধারণ নেতৃত্ব ছিল। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে রক্ত দিয়েছেন তিনি। ক্রীড়া থেকে রাজপথ সব জায়গায় আমিনুল হক পরিশ্রমী এবং দক্ষ সংগঠক।’ 

আমিনুল হককে উদ্দেশ্য করে রিজভী বলেন, ‘চলমান আন্দোলন-সংগ্রাম করতে গিয়ে আমিনুল হককে কখনও পিছুপা হতে দেখিনি। রাজপথ থেকে কখনো পালিয়েও যাননি। তার যে নেতৃত্ব, সেই নেতৃত্বকে সে ধরে রাখতে পেরেছেন।’ 

‘একজন আমিনুল হক’ বইটিতে রয়েছে আমিনুল হকের জন্ম ও শৈশব এবং ফুটবলের মাঠ থেকে রাজপথে আমিনুল হকের সাহসী ভূমিকা, ত্যাগ এবং দক্ষ সংগঠকের নানান ঘটনা।

আমিনুল হক এ অনুষ্ঠানে তার বক্তব্যে বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে গত ১৭ বছর নিরলস পরিশ্রম এবং আন্দোলন সংগ্রামে গত জুলাই-আগষ্টের গণআন্দোলনে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন হয়েছিল।’

তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের পতন হলেও দেশ ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছিল। দেশে পরিপূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিএনপির ৩১ দফার রুপরেখার আলোকে নতুনভাবে সাজাতে হবে।’ 

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব জামান মোস্তফা, যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি ও এবিএমএ রাজ্জাক প্রমুখ। 

এ ছাড়া এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- মহানগর বিএনপি সদস্য এল রহমান, শামীম পারভেজ, রেজাউর রহমান ফাহিম ও ডা. একেএম কবির আহমেদ রিয়াজ প্রমুখ।

জাকির হোসেন/সুমন/

নাটোরে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:১০ এএম
আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:১১ এএম
নাটোরে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
নাটোর সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক ডাবলু। ছবি: সংগৃহীত

নাটোর শহরের গাড়িখানা মসজিদে জুমার নামাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন সদর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক ডাবলু। ওই সময় তাকে মারপিট করে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয় জনতা।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এই ঘটনা ঘটে।

এ সময় সবুজ আহমেদ নামে অপর এক যুবলীগ কর্মীকেও আটক করে পুলিশ।

নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ডাবলুর বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে ছাত্রদের ওপর হামলার মামলা রয়েছে। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

কামাল/তাওফিক/