ঢাকা ২৫ মাঘ ১৪৩১, শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৫ মাঘ ১৪৩১

সরকারকে ভ্যাট না বাড়িয়ে খরচ কমানোর পরামর্শ বিএনপির

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:১০ পিএম
আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৩৮ পিএম
সরকারকে ভ্যাট না বাড়িয়ে খরচ কমানোর পরামর্শ বিএনপির
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি : খবরের কাগজ

অন্তর্বর্তী সরকারকে জনগণের উপর ভ্যাট না বাড়িয়ে সরকারের অপ্রয়োজনীয় উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, পরিচালন ব্যয় কমানো ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলোকে দেওয়া ঋণ বাজেট কমানোর দিকে নজর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। 

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের পক্ষে এ আহ্বান জানান মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সরকারের সর্বপ্রথম নজর দেওয়া উচিত খরচ কমানোর দিকে। আমরা মনে করি, সরকার তার উন্নয়ন বাজেট পুনর্বিবেচনা করে অপ্রয়োজনীয় ও আর্থিকভাবে অযৌক্তিক প্রকল্পগুলো বাদ দিলে প্রায় ২০ শতাংশ খরচ কমানো সম্ভব এবং এতে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করতে সহায়ক হবে। 

তাছাড়া, পরিচালন ব্যয়ের ক্ষেত্রে সরকার যদি স্থানীয় সরকারের বাজেট এবং ভর্তুকি খাতে খরচ কমায় এবং সার্বিকভাবে পরিচালন ব্যয় ১০ শতাংশ কমাতে পারে, তাহলে ন্যূনতম ৫০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় সম্ভব। তাছাড়া, সরকার কর্তৃক স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেয়া ঋণের বাজেট কমিয়ে সাময়িকভাবে ব্যয় সাশ্রয় করতে পারে। 

উল্লেখ্য, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ৫০ হাজার ৮৭৫ কোটি টাকা ঋণ বাজেট করা হয়েছিল।

সরকার খরচ কমানোর মাধ্যমে বাজেটের ন্যূনতম এক লাখ কোটি টাকা সাশ্রয় করতে পারে এবং ঘাটতি কমাতে পারে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই পদক্ষেপগুলো দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নের জন্য অত্যন্ত জরুরি। সরকারের খরচ কমানোর এই উদ্যোগগুলি সাধারণ মানুষের ওপর করের বোঝা কমাবে এবং অর্থনৈতিক চাপ লাঘব করবে। ফলে, জনগণ আর্থিকভাবে স্থিতিশীল হবে এবং দেশের সার্বিক অর্থনীতির উন্নয়ন ঘটবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের এমন আকস্মিক সিদ্ধান্তে ব্যবসায়ী মহলসহ আর্থিক খাতসংশ্লিষ্ট নানা মহলে তীব্র অসন্তোষ পরিলক্ষিত হচ্ছে। অর্থনীতিবিদদের মতে, সরকারের এই সিদ্ধান্ত স্পষ্ট প্রমাণ করে যে, সরকারের মুদ্রানীতি, রাজস্বনীতি ও বাজার ব্যবস্থাপনায় সমন্বয়ের চরম ঘাটতি রয়েছে। যদিও এনবিআরের সাম্প্রতিক বিবৃতিতে দাবি করা হয়, বর্ধিত করারোপ খাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নেই, তথাপি দেশের প্রথিতযশা অর্থনীতিবিদরা এনবিআরের এই যুক্তি মানতে নারাজ। তাদের মতে, ওষুধ, এলপিজি, মোবাইল সেবা, রেস্তোরাঁর খাবার, এবং পোশাকের মতো নিত্যব্যবহার্য জিনিসপত্রে করারোপ হলে জনজীবনে ভোগান্তি আরও ত্বরান্বিত হবে এবং মূল্যস্ফীতির উল্লম্ফন ঘটবে।

ভ্যাট ব্যবস্থার সমালোচনা করে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, এমনিতেই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনায় দেশের অর্থনীতির অবস্থা ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে। এই ভঙ্গুর অবস্থায় সহজ রাস্তায় হেঁটে ভ্যাটের হার তথা কর বাড়িয়ে সরকারের খরচ মেটানোর চেষ্টা করলে তা দেশের জনগণের জন্য কোনো ভাবেই কল্যাণকর হবে না। 

আমাদের মনে রাখা উচিত যে, এই দেশের জনগণ আওয়ামী দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেতে অকাতরে নিজেদের জীবন বিসর্জন দিয়েছে। আমরা যেন ভুল নীতিমালা গ্রহণের মাধ্যমে তাদেরকে আবার সেই দুঃশাসনের মাঝে ফিরিয়ে না নিয়ে যাই।

তিনি বলেন, আমরা পূর্বেও বলেছি যে এই অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা সর্বাত্মক সমর্থন ও সহযোগিতা করে যাব। তাই সরকারকে অনুরোধ করছি, আপনারা নীতিমালা প্রণয়নে জনগণের কথা সর্বপ্রথম বিবেচনায় নিন। দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক বাস্তবতায় রাজস্ব সংগ্রহের জন্য অন্যান্য উপায় বিবেচনা করার এবং সে অনুযায়ী কাজ করার সুযোগ রয়েছে।

সরকারকে পরোক্ষ কর না বাড়িয়ে প্রত্যক্ষ কর বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, কারণ পরোক্ষ কর সব শ্রেণির মানুষকে প্রায় সমানভাবে প্রভাবিত করে এবং নিম্নবিত্ত মানুষের ওপর বোঝা বাড়ায়। প্রত্যক্ষ কর না বাড়িয়েও সরকারি খরচ কমিয়ে (Cost Cutting), এবং চলতি বাজেটের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা পুনঃবিন্যাস করেও চলমান আর্থিক সমস্যার সমাধান করা যায়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন - বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ইসমাইল জাবিউল্লাহ, চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার, মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।

শফিকুল ইসলাম/অমিয়/

পরীক্ষার হল থেকে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে তুলে নিয়ে মারধর

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৩৩ এএম
আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৪১ এএম
পরীক্ষার হল থেকে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে তুলে নিয়ে মারধর
ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদুর রহমান মাসুমকে মারধরের পর আহত হয়ে তিনি রাস্তায় বসে পড়েন। ছবি: খবরের কাগজ

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান মাসুমকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করেছে ছাত্র-জনতা।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে কুমিল্লা সদরে অবস্থিত ভিক্টোরিয়া কলেজের পাশ থেকে তাকে পুলিশে দেওয়া হয়।  কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

কুমিল্লা আইন কলেজের শিক্ষার্থী মাসুম একটি বিষয়ের পরীক্ষা দিতে ভিক্টোরিয়া কলেজে যাচ্ছিলেন বলে জানা গেছে। কিন্তু পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের আগেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা তাকে ধরে মারধর ও পুলিশের সোপর্দ করে। সেখান থেকে পুলিশ তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। 

গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর মাসুমের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া তিনি একাধিক মামলার আসামি।

কোতোয়ালি থানার ওসি মাহিনুল ইসলাম বলেন, ‘মাসুমকে আগের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় একাধিক মামলা রয়েছে। তাকে শিগগিরই আদালতে পাঠানো হবে।’

এলএলবি পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক সহযোগী অধ্যাপক রতন আলী বলেন, ‘পরীক্ষা শুরু পর কয়েকজন ছাত্র মাসুমকে বাইরে নিয়ে যায়। মাসুম ছাত্রলীগ করতেন কি না, তা জানি না। আমি পরীক্ষার ডিউটিতে ছিলাম।’

নড়াইল সাবেক এমপি মুক্তির বাড়ি ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৫৯ এএম
আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:২৭ এএম
নড়াইল সাবেক এমপি মুক্তির বাড়ি ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ
ছবি : খবরের কাগজ

নড়াইল-১ আসনের সাবেক চারবারের সংসদ সদস্য (এমপি) কবিরুল হক মুক্তির বাগানবাড়ি ও উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিসে আগুন দিয়েছে উত্তেজিত ছাত্র-জনতা।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানায়, বিকেলের দিকে কালিয়া উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা কালিয়া বাজারে একটি প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল দেয়। পরে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে হঠাৎ একদল উত্তেজিত ছাত্র-জনতা উপজেলা আওয়ামী লীগের অফিসে ভাঙচুর করে। পরে আগুন জ্বালিয়ে দেয়।

এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর ডাকবাংলোর পাশে সাবেক সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তির ক্রয় করা একটা বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়ে আগুন দেয়।

কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)  রাশেদুল ইসলাম জানান, আগুন নেভানোর কাজ চলছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

শরিফুল ইসলাস/জোবাইদা/

সোমবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে বিএনপি

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৩৬ পিএম
সোমবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে বিএনপি

দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করবে বিএনপি। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দলটির স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে বিএনপি বর্তমান পরিস্থিতিতে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরবে।

বৈঠক সূত্র জানায়, আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি দেশে ফিরবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পরদিন সোমবার বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করবে। সেখানে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে নিজেদের উদ্বেগ ও অবস্থান তুলে ধরবে বিএনপি।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বেলা সাড়ে ১১টায় বৈঠকটি শুরু হয়। এর প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর দুপুর ১টার দিকে বৈঠকটি শেষ হয়। বৈঠকে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি যোগ দেন।

বৈঠকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরসহ সারা দেশে ভাঙচুরের ঘটনা, সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন ও সমসাময়িক রাজনীতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। বিএনপি দেশজুড়ে সংঘটিত ভাংচুরের ঘটনাগুলোকে আগামী জাতীয় নির্বাচনকে প্রলম্বিত করার এক ধরনের ফাঁদ হিসেবে মনে করছেন তারা। তাই নেতা-কর্মীদের কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা-হিংসাত্মক কর্মকাণ্ডে জড়িত না হওয়ার জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে বিএনপি।

দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, দেশের চলমান অবস্থা নিয়ে আলোচনা করেছি। বর্তমান অবস্থায় আমরা বৃহস্পতিবার রাতে দলীয় অবস্থান জানিয়েছি।

দেশের চলমান পরিস্থিতির ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। দলটি বলছে, বর্তমানে দেশে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ নানা ধরনের দাবি-দাওয়া নিয়ে যখন-তখন সড়কে ‘মব কালচারের’ মাধ্যমে জনদুর্ভোগের সৃষ্টি করছে। কঠোরভাবে আইনশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করে রাষ্ট্র ও সরকারের ভূমিকা দৃশ্যমান করা এখন সময়ের দাবি। অন্যথায় দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির প্রসার ঘটবে।

শফিকুল ইসলাম/এমএ/

ক্রীড়াঙ্গনে ফ্যাসিবাদের দোসররা বহাল তরিয়তে আছে: আমিনুল হক

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:১২ পিএম
ক্রীড়াঙ্গনে ফ্যাসিবাদের দোসররা বহাল তরিয়তে আছে: আমিনুল হক
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে কিন্তু এখনো পর্যন্ত আমরা পরিপূর্ণ স্বৈরাচার মুক্ত হতে পারিনি মন্তব্য করে বিএনপি কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোতে এখনো পর্যন্ত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী স্বৈরাচার সরকারের দোসররা বহাল তরিয়তে বসে আছে। 

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুর শ্যামলী ক্লাব মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র আয়োজনে-২৬ টি থানা নিয়ে জিয়া আন্তঃ থানা ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫ এর ভাষাণটেক বনাম শেরে বাংলা নগর থানার উদ্বোধনী খেলার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

আমিনুল হক বলেন, বাংলাদেশ যখন স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে, স্বাধীন হয়েছে, সেই স্বৈরাচার মুক্ত ও স্বাধীন বাংলাদেশে ক্রীড়াঙ্গনকেও আমরা পরিপূর্ণভাবে স্বৈরাচার মুক্ত করতে চাই। ক্রীড়াঙ্গন থেকে ষড়যন্ত্রকারীদের সরিয়ে দিয়ে দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে নতুনভাবে ঢেলে সাজাতে চাই। 

তিনি বলেন, গত ১৭ বছরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ সরকার ক্রীড়া সংগঠনের ক্লাব গুলোকে দলীয়করণ করে খেলার মাঠগুলোকে তারা দখলে নিয়ে বিভিন্ন স্থাপনা তৈরির মাধ্যমে মাঠগুলোকে ধ্বংস করে ফেলেছে। 

তিনি আরও বলেন, আমরা চাই ক্রীড়া সংগঠনের ক্লাবগুলো যাতে দলীয়করণ মুক্ত করা হয়। ক্লাবগুলোতে রাজনৈতিক স্বৈরাচারী অনুসারীদের যে প্রভাব এখনো রয়ে গেছে, সেগুলো থেকে ক্লাবগুলোকে মুক্ত করতে হবে। 

সাবেক জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক ও সাফজয়ী ফুটবলার আমিনুল হক বলেন, আমরা যে স্বপ্ন নিয়ে বাংলাদেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে গত ১৭ বছর আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। যে আন্দোলন সংগ্রামের কারণে আমাদের বহু ভাইদের জীবন দিতে হয়েছে, রক্ত দিতে হয়েছে এবং গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতা ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের উপরে যেভাবে গুলি চালিয়ে তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা সেই রক্তের দাগ ও গত ১৭ বছরের আন্দোলনের দুঃসহ স্মৃতি দেখেছি, কিন্তু এখনও পর্যন্ত আমরা সেটা কেউ ভূলে যাইনি। 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি সদস্য সচিব মো. মোস্তফা জামান, টুর্নামেন্ট কমিটি প্রধান সমন্বয়ক আক্তার হোসেন, মহানগর উত্তর বিএনপি সদস্য সমন্বয়ক জাহেদ পারভেজ চৌধুরী ছাড়াও মহানগর বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, এবিএমএ রাজ্জাক, গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, হাজী মো. ইউসুফ, মো. শাহ আলম, মাহাবুব আলম মন্টু, মহানগর বিএনপি সিনিয়র সদস্য আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার প্রমূখসহ আরও বহু নেতা-কর্মী।

পল্লবীতে তারেক রহমানের পক্ষে দুস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে মেহমানদারি

বাদ জুমা মিরপুর ১০ নম্বরে ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপিও অঙ্গ সংগঠনের আয়োজনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে দুস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে মেহমানদারি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আমিনুল হক। 
স্থানীয় বিএনপি অঙ্গ সংগঠনের নেতারা এসময় উপস্থিত ছিলেন। 

মাহফুজ

 

 

অরাজকতা প্রতিরোধ না করলে গণতান্ত্রিক উত্তরণে ব্যর্থ হবেন: সাইফুল হক

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:১২ পিএম
অরাজকতা প্রতিরোধ না করলে গণতান্ত্রিক উত্তরণে ব্যর্থ হবেন: সাইফুল হক
ছবি: সংগৃহীত

অরাজকতা ও সামাজিক নৈরাজ্য প্রতিরোধ করতে না পারলে অন্তর্বর্তী সরকার গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথেও ব্যর্থ হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।  

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সেগুনবাগিচায় সংহতি মিলনায়তনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা মহানগর প্রতিনিধি সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
 
এ সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে সাইফুল হক বলেন, ‘অরাজকতা ও সামাজিক নৈরাজ্য প্রতিরোধে তারা যদি দৃঢ়তার পরিচয় দিতে না পারেন, তাহলে গণতান্ত্রিক উত্তরণে নেতৃত্ব দিতেও ব্যর্থ হবেন।’ 
গত দুই দিনে ঢাকাসহ দেশব্যাপী যে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা মোকাবিলা করতে না পারলে সরকারের সফলতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। 

সাইফুল হক বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারকে জন-আস্থার মর্যাদা দিতে হবে। সরকার হিসেবে তারা দুর্বল ও অকার্যকর এ রকম ধারণা বাড়তে থাকলে তাদের সফল হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে।’ 

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক বক্তব্য দেশে ‘উস্কানি সৃষ্টির প্রয়াস’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এমন পরিস্থিতিতে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়ে সাইফুল হক বলেন, ‘শেখ হাসিনার  উসকানির ফাঁদে জড়িয়ে পড়লে বহুমুখী ষড়যন্ত্রের শক্তি শক্তিশালী হবে। অন্যদিকে গণ-অভ্যুত্থানের অর্জন হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিও বৃদ্ধি পাবে।’

ছাত্র-জনতাকে নাশকতার পথ পরিহারের আহ্বান জানিয়ে প্রবীণ এই বাম নেতা বলেন, ‘পতিত  আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শক্তির উসকানি ও নাশকতা সৃষ্টির অপতৎপরতা মোকাবিলায় ছাত্র-জনতা ফ্যাসিস্টদের পথ অনুসরণ করতে পারে না। এ ধরনের কর্মকাণ্ড গণ-অভ্যুত্থানের অংশীজন ও জনগণের মধ্যে ঐক্যের পরিবর্তে আরও বিভক্তি ও বিভাজন তৈরি করবে।’

পার্টির ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী,  মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, মো. সালাউদ্দিন মিয়াসহ আরও অনেকে।

জয়ন্ত সাহা/মাহফুজ