ঢাকা ৪ ফাল্গুন ১৪৩১, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৪ ফাল্গুন ১৪৩১

দীর্ঘ ৩০ বছর পর বরিশালে বৃহত্তর কর্মী সম্মেলন করবে জামায়াত

প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:১৬ এএম
আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:১৭ এএম
দীর্ঘ ৩০ বছর পর বরিশালে বৃহত্তর কর্মী সম্মেলন করবে জামায়াত
ছবি: খবরের কাগজ

দীর্ঘ ৩০ বছর পর বৃহত্তর পরিসরে কর্মী সম্মেলন করবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বরিশাল জেলা ও মহানগর শাখার নেতা-কর্মীরা। 

মঙ্গলবার(২০ জানুয়ারি) নগরীর বান্দ রোডের হেমায়েত উদ্দীন কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে সম্মেলন করবে দলটি। 

এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান।

এর আগে ১৯৯৪ সালের মে মাসে নগরীর বেলস পার্ক ময়দানে (বঙ্গবন্ধু উদ্যানে) সর্ববৃহৎ সমাবেশ করেছিলো জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ। ওই সমাবেশ প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াতের তৎকালীন আমির ইসলামী অধ্যাপক গোলাম আযম। 

সমাবেশ সফল করতে ইতোমধ্যে প্রায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। গত রবিবার নগরীর একটি কনভেনশন সেন্টারে সমাবেশ নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন জামায়াতের নেতারা।

কর্মী সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির গণমাধ্যম ও প্রকাশনা পরিষদের আহ্বায়ক বরিশাল প্রেস ক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম খসরু বলেন, গত ১৭ বছর জামায়াত ইসলাম বাংলাদেশ বরিশালে প্রকাশ্যে কোন সভা সমাবেশ করতে পারেনি। যে কারণে বেশির ভাগ নেতাদের সঙ্গে কর্মীদের তেমন একটা দেখা-সাক্ষাৎ হয়নি, বক্তব্য শুনেনি। তাদের আকাঙ্ক্ষা থেকে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেবেন জামায়াতের আমির ড. শফিকুর রহমান। 
সম্মেলনটি দুইটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। একটি নারী কর্মীদের জন্য আর একটি পুরুষ কর্মীদের জন্য। ইতিমধ্যে সম্মেলনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। আজ সকাল ১০টার মধ্যে মঞ্চ সজ্জার কাজও সম্পন্ন হবে।

তিনি আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে যে কাল বরিশালে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ ভোটার সমাবেশ ঘটানো হবে। ১৯৯৪ সালের পরে এটাই হবে জামায়াতে ইসলামীর স্মরণকালের সর্ববৃহৎ সমাবেশ।সভাস্থলসহ আশপাশ এলাকার শৃঙ্খলার উপর সর্বোচ্চ উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। মেট্রো ট্র্যাফিক পুলিশের নেতৃত্ব যানবাহনের শৃঙ্খলার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি জামায়াত ইসলামীর বরিশাল জেলা ও মহানগর শাখার স্বেচ্ছাসেবকরাও কাজ করবেন।

বরিশাল মহানগর জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন মু. বাবর বলেন, বরিশালের  ইতিহাসে ২১ জানুয়ারি সব থেকে বড় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বিগত দিনে যে কথাগুলো বলতে পারিনি সেগুলো শুনতে আমাদের প্রতিনিধি, কর্মী, সমর্থকসহ নগরবাসী আসবেন। আমরা একটি সুন্দর প্রোগ্রাম করতে চাই। এদিন নগরবাসীর একটু কষ্ট হবে, তবে তাদের কষ্ট লাঘবে আমাদের সর্বোচ্চ উদ্যোগ রয়েছে। তারপরও
ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার আহ্বান জানান জহির উদ্দিন মু. বাবর।

বরিশাল জেলা আমির অধ্যাপক আব্দুল জব্বার তার বক্তব্যে বলেন, আমরা ১৬-১৭ বছর কথা বলতে পারিনি স্বৈরশাসকদের কারণে। আমাদের মতো সাধারণ মানুষও তাদের মত প্রকাশ করতে পারেনি। এখন সময় এসেছে দেশ গঠন করার, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। জামায়াত ইসলাম দেশে ইনসাফ চায়, ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে চায়। আল্লাহর দেওয়া বিধানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে একটি কল্যাণময় রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাই
আমরা।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল বলেছেন, রাজনৈতিক দল জনগণের জন্য কাজ করে। বাংলাদেশে রাজনৈতিক ধারায় বিভিন্ন ধরনের ব্যত্যয় হয়েছে, হচ্ছে। আমরা এ ধারাকে পাল্টাতে চাই। জামায়াত ইসলাম যে রাজনৈতিক ধারা করছে সে বিষয়ে বক্তব্য আগামী ২১ জানুয়ারির কর্মী সম্মেলনে আমিরে জামায়াতের আমির বক্তব্য রাখবেন।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে শুধু রাজনৈতিক ক্ষমতার পরিবর্তন নয়, জামায়াত ইসলাম একটি চরিত্রের পরিবর্তনের ধারা তৈরি করেছে এবং ৫৩ বছরে জামায়াত ইসলামের এমপি-মন্ত্রী থেকে মেম্বার পর্যন্ত এ ধারায় একদল নিষ্ঠাবান রাজনৈতিক সেবক তৈরি হয়েছে। মানুষকে পরিবর্তন করার জন্য সবাই মিলে যদি আমরা সে ইতিবাচক ধারা দিতে পারি তাহলে বাংলাদেশকে কেউ পিছিয়ে ফেলতে পারবে না।

সবুজ/মেহেদী/

তিস্তার বঞ্চনার বিরুদ্ধে জেগেছে মানুষ, ন্যায্য দাবিতে গণআন্দোলন

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:১২ পিএম
তিস্তার বঞ্চনার বিরুদ্ধে জেগেছে মানুষ, ন্যায্য দাবিতে গণআন্দোলন
তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা ও মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি শুরু। ছবি: খবরের কাগজ

উত্তরের পাঁচ জেলার মানুষের জন্য অভিশাপ হয়ে উঠেছে তিস্তা নদী। কখনো বন্যায় ভাসিয়ে নেয় ঘরবাড়ি, কখনো খরায় পোড়ায় ফসল। বছরের পর বছর ধরে তিস্তা মহাপরিকল্পনার আশ্বাস শুনলেও বাস্তবে কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। এবার তিস্তা পাড়ের মানুষ বঞ্চনার অবসান চায়। তাদের কণ্ঠে একটাই স্লোগান- ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই!’

তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা ও মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে ৪৮ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার বুড়িরহাট তিস্তা নদীর পাড়ে আয়োজিত কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।

এ সময় তিনি বলেন, ‘ভারত ইচ্ছেমতো তিস্তার পানি ব্যবহার করলেও আমাদের বেলায় নেই। বর্তমান সরকার কখনোই ভারতের কাছে ন্যায্য দাবি তুলে ধরতে পারেনি। এবার তিস্তার সমস্যা সমাধান করতেই হবে।’

এ কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, সদস্য সচিব সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ, অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম বেবু, সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুর রহমান রানা এবং স্থানীয় বিএনপি নেতারা। তারা সবাই তিস্তার ভয়াবহ ভাঙন ও পানির সংকট নিরসনে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ডাক দেন।

একই সময়ে জেলার উলিপুর উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের পাকার মাথায় তিস্তা পাড়ে আরেকটি কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। আন্দোলনে আসা মানুষের জন্য রাতে খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়।

বাংলাদেশের লালমনিরহাট হয়ে কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, নীলফামারী ও রংপুর জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তিস্তা নদীর ১১টি পয়েন্টে এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। লালমনিরহাটে এর উদ্বোধন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কর্মসূচির শেষ দিনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে তিস্তা পাড়ের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের বক্তব্য শুনবেন এবং দিকনির্দেশনা দেবেন। 

সিরাজ/তাওফিক/ 

তিস্তা বাঁচাতে গাইবান্ধায় বিএনপির সমাবেশ

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:২৬ পিএম
তিস্তা বাঁচাতে গাইবান্ধায় বিএনপির সমাবেশ
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দিচ্ছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু। ছবি: খবরের কাগজ

তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় ও মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিএনপির বিশাল জনসমাবেশ। 

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল তিনটায় সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তিস্তা সেতু পয়েন্টে ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানকে সামনে রেখে ‘তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন’- এর উদ্যোগে আয়োজিত হয় এই সমাবেশ।

সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু। এই সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সভাপতি মইনুল হাসান সাদিক। এ ছাড়া বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুন্নবী, সহ-সভাপতি মোজাহারুল ইসলাম, সুন্দরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি বাবুল আহমেদসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বুলু বলেছেন, দেশের মানুষ ধানের শীষে ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। তিনি বলেন, ‘আল্লাহ যদি আমাদের ক্ষমতা দেন, তাহলে তারেক রহমান আন্দোলনের পথে নয়, সরাসরি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেবেন। তখন দেশব্যাপী উন্নয়ন কার্যক্রম জোরদার হবে, নতুন করে খাল খনন কর্মসূচি শুরু হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি এ দেশের একটি বৃহৎ রাজনৈতিক শক্তি, যাকে বাতাসের ঝাপটায় ফেলে দেওয়া যাবে না। বিএনপি টিকে থাকবে এবং আগামী দিনে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ফিরে আসবে।’

এদিকে আজ (সোমবার) তিস্তা বাঁচাতে লালমনিরহাট থেকে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ পর্যন্ত টানা ৪৮ ঘণ্টার লাগাতার কর্মসূচি বিএনপি। যা দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর লালমনিরহাটে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন এবং মঙ্গলবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে এই কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করবেন।

রফিক/তাওফিক/ 

নির্বাচন বিলম্ব নয়, সংস্কার চলমান থাকুক: সালাহউদ্দিন

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:৪৭ পিএম
আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:৪৯ পিএম
নির্বাচন বিলম্ব নয়, সংস্কার চলমান থাকুক: সালাহউদ্দিন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। ছবি: খবরের কাগজ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন এ বছরই অনুষ্ঠিত হতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট সংস্কারগুলো তার আগেই সম্পন্ন করতে হবে। তিনি বলেন, ‘সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, তবে সেটিকে অজুহাত বানিয়ে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’ তাই অবিলম্বে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করার আহ্বান জানান তিনি।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কক্সবাজার মুক্তিযোদ্ধা মাঠে অনুষ্ঠিত এক বিশাল সমাবেশে এসব কথা বলেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে কক্সবাজার জেলা বিএনপির উদ্যোগে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

সমাবেশে আওয়ামী লীগকে কঠোর ভাষায় আক্রমণ করে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘দলটি এখন রাজনৈতিকভাবে মৃত।’ শেখ হাসিনাকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘কাপনের কাপড় পরে দিল্লি গিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন তিনি। আওয়ামী লীগের বিচার দেশের সব গণতান্ত্রিক শক্তি চায়।’

তিনি আরও অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন এবং প্রতিবেশী দেশ থেকে গণতন্ত্রবিরোধী ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি তিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টার জন্যও আওয়ামী লীগকে দায়ী করেন।

নির্বাচন নিয়ে সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সংস্কারের দোহাই দিয়ে নির্বাচন পেছানো চলবে না। এ বছরের ডিসেম্বরেই জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। যারা অনুপাতিক ভোটের কথা বলছেন, তারা বাংলাদেশ সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা রাখেন না।’

স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে আয়োজনের প্রস্তাবনাকেও তিনি প্রত্যাখ্যান করে বলেন, ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে। তাই সবার আগে জাতীয় নির্বাচন হওয়া জরুরি।’

সালাহউদ্দিন আহমেদ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। শেখ হাসিনার দোসরদের হাতেই দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। প্রশাসনে যারা ফ্যাসিবাদের সহযোগী ছিলেন, তাদের বাদ দিতে হবে এবং যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।’

বাজার পরিস্থিতির অবনতির প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ‘বাজারে পণ্যের সরবরাহ বাড়ান, সিন্ডিকেট ভাঙুন। জনগণ সংস্কার বোঝে না, তারা স্থিতিশীল বাজার চায়। রমজান মাসে কোনোভাবেই যেন পণ্যের দাম না বাড়ে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজনে ভ্যাট-ট্যাক্স কমিয়ে বাজার স্থিতিশীল রাখা জরুরি।’

কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শামীম আরা স্বপ্নার সঞ্চালনায় আয়োজিত এই সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক লুৎফর রহমান কাজল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন-অর-রশিদ, ব্যারিস্টার মীর হেলালসহ জেলা ও উপজেলার শীর্ষ নেতারা।

মুহিব/তাওফিক/ 

দেশব্যাপী জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল মঙ্গলবার

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:০৭ পিএম
আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:০৭ পিএম
দেশব্যাপী জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল মঙ্গলবার
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মজলুম এটিএম আজহারুল ইসলামের অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে আগামীকাল মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলকরবে দলটি। 

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। 

মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় পল্টন মোড়ে ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের নেতৃত্ব দেবেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। একই সঙ্গে দেশের সব মহানগর এবং জেলায় এই বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। 

সমাবেশ ও মিছিল সফল করার আহ্বান জানিয়ে  মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম ১৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে কারাগারে আটক আছেন। তাকে বারবার রিমান্ডে নিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে। তিনি বেশ কয়েকবার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে ন্যূনতম চিকিৎসা সেবাটুকুও দেওয়া হয়নি।’ 

তিনি বলেন, ‘দেশবাসী আশা করেছিল, চরম জুলুম-নির্যাতনের শিকার এটিএম আজহারুল ইসলাম স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশে মুক্তি পাবেন। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের ৬ মাস ৯ দিন অতিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও তাকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসনামলের বিচারিক কার্যক্রমগুলো সারা বিশ্বে বিতর্কিত, প্রশ্নবিদ্ধ ও প্রত্যাখ্যাত। স্বৈরাচারের আমলে গ্রেপ্তার এটিএম আজহারুল ইসলামকে কারাগারে আটক রাখা তার প্রতি চরম জুলুম ও অন্যায় ছাড়া আর কিছুই নয়। ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে তাকে এখনো আটক রাখায় জাতি বিস্মিত ও হতবাক।’ 

শফিকুল/সালমান/

 

নতুন রাজনৈতিক দলে নারী নেতৃত্ব দেখতে চাই: সামান্তা শারমিন

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:৫৪ পিএম
আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:৫৫ পিএম
নতুন রাজনৈতিক দলে নারী নেতৃত্ব দেখতে চাই: সামান্তা শারমিন
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন

জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন বলেছেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের ৫৩ বছরের সংগ্রামের ইতিহাস আছে। এই সংগ্রামের প্রতিটি পরতে পরতে নারীদের অবদান রয়েছে। জুলাই আন্দোলনেও নারীদের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। সুতরাং, জুলাই পরবর্তী যে নতুন রাজনৈতিক দল আসবে, সেখানে আমরা নারীদের নেতৃত্ব দেখতে চাই। তাই নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে নারীদের অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।’

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জাদুঘরের সামনে ‘জুলাইয়ের নারীরা’ ব্যানারে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশে অংশ নেন জুলাই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ও শহিদ পরিবারের নারীরা।

সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণ সবচেয়ে কঠিন করেছে শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা ১৬ বছরে যে গুম, খুন, আয়নাঘরের রাজনীতি কায়েম করেছিল তাতে দেশের মানুষ নারী নেতৃত্বে বিশ্বাস করতে সময় নেবে। শেখ হাসিনার এই পাপের ফল আমাদের সবাইকে ভুগতে হচ্ছে। এ জন্য পুনরায় যদি নারীদেরকে রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনতে হয়, সবার আগে প্রয়োজন শেখ হাসিনার বিচার নিশ্চিত করা।’

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘২৪-এর অভ্যুত্থানে বাংলাদেশের সর্বস্তরের সব শ্রেণির মানুষ অংশ নিয়ে ছিলেন। আন্দোলনে নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণের পাশাপাশি আমরা দেখেছি, মায়েরা খাবার রান্না করে খাইয়েছেন, আঁচল দিয়ে আহতদের কপাল বেঁধে দিয়েছেন। জুলাইয়ে বাংলাদেশে যারা বর্বর হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, তাদেরকে যদি বিচারের আওতায় আনা না যায়, তাহলে এদেশের কোনো মানুষেরই নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। সুতরাং, বাংলাদেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।’

সমাবেশ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জাতীয় নাগরিক কমিটির নারী সেল সম্পাদক সাদিয়া ফারজানা দিনা। আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী সদস্য সিনথিয়া জাহান আয়েশা ও জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়া অর্পিতা শ্যামা দাসসহ অন্যরা।