
দেশে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করতে নির্বাচন ছাড়া বিকল্প অন্য কোনো পথ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রে উত্তরণের জন্য প্রধান সিঁড়ি হচ্ছে নির্বাচন। কারণ শেখ হাসিনা নির্বাচনকে শুধু বাধাই দেননি, নির্বাচন নিয়েও তামাশা করেছেন। এখন আমরা সেই নির্বাচনকে সরাসরি বিরোধিতা করছি এটা দুঃখজনক।’
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পরিষদের ৯ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে দুদু বলেন, ‘এই সরকার কোনো রাজনৈতিক দলের সরকার নয়, সব রাজনৈতিক দলের সমর্থনের সরকার। তাহলে দলগুলোর মনোভাব বুঝে গণতন্ত্রের পথে যাত্রা করতে হবে। আর গণতন্ত্রের পথে যাত্রা করতে হলে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।’
প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে দেশের যে সংস্কারের প্রশ্ন উঠছে, এই সংস্কার করতে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাসনকালের দিকে তাকান, তাহলে দেখবেন কীভাবে সংস্কার করতে হয়। তারপরও যদি বুঝতে সমস্যা হয়, তাহলে বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবের দিকে তাকান। তাহলে অতি সহজেই সংস্কার করতে পারবেন।’
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, মানুষের যে প্রত্যাশা- জিনিসপত্র দাম কমবে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো হবে, স্বস্তির সঙ্গে বসবাস করতে পারবে। একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণ তার পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে পারবে। কিন্তু কেউ কেউ বলার চেষ্টা করছে শুধু নির্বাচনের জন্য এই পরিবর্তন হয়নি।
আয়োজন সংগঠনের সভাপতি মোক্তার আখন্দের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, সাবেক সংসদ সদস্য মো. শামীম কায়সার লিংকন, কৃষকদল নেতা এসকে সাদী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আরিফা সুলতানা রুমা প্রমুখ।
শফিকুল/সালমান/