
দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভার জন্য বাংলাদেশ এখনো প্রস্তুত কিনা তা ভাবতে রাজনৈতিক দল এবং সুশীল সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি। দলটি বলছে, উন্নত রাষ্ট্রসমূহেও দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদে গুরুত্বপূর্ণ আইন পাশ করতে দীর্ঘ জটিলতায় পড়তে হয়। ফলে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা না করে এককক্ষ বিশিষ্ট আইনসভায় নারীদের সংরক্ষিত ৫০ আসনের পাশাপাশি আরও ৫০টি আসন রাখা যেতে পারে। এই ৫০ আসন পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ও বিভিন্ন পেশাজীবীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিকালে রাজধানীর বিজয়নগরে দলীয় কার্যালয় ‘নির্বাচন ব্যবস্থা ও সংবিধান সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট নিয়ে এবি পার্টির মূল্যায়ন’ নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের পক্ষে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার সানী আব্দুল হক এসব কথা বলেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার, ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্ণেল অব. দিদারুল আলম, লে. কর্ণেল অব. হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা প্রমুখ।
বাংলাদেশ পুনর্গঠন বা রাষ্ট্র সংস্কারের জনদাবি সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট জনগণের সামনে উপস্থাপিত হওয়ায় সংস্কার কমিশন ও সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে ব্যারিস্টার সানী আব্দুল হক বলেন, অতীতে সরকার গঠিত কমিশন কখনো জনগণের সামনে রিপোর্ট প্রকাশ করেনি।
সংবিধানের মূলনীতিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের আলোকে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারকে যুক্ত করায় কমিশনকে আবারও ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ দেখলেই মনে আসতো জনগণ মানেই প্রজা, যার ফলশ্রুতিতে শাসকরা রাজা বনে যেতেন। তাই আমরা এটা সংশোধন করতে জনগনতন্ত্র করার মত দিয়েছিলাম। এটা সংস্কার কমিশন গ্রহণ করেছে।
পুলিশ, র্যাব ও আনসারের পোশাক পরিবর্তন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, পোশাক কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়। মৌলিক পরিবর্তন আনতে হবে বাহিনীগুলোর আচরণ, সার্ভিস ও দেশের প্রতি কর্তব্যপরায়ণতার মাধ্যমে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, আমরা সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই, গণঅভ্যুত্থান নিজেই একটি স্বতন্ত্র ম্যান্ডেট। জনগণ একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই সরকার গঠন করেছে, যার ফলে এটি জনগণেরই সরকার।
শফিকুল ইসলাম/এমএ/