ঢাকা ৪ ফাল্গুন ১৪৩১, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৪ ফাল্গুন ১৪৩১

যুক্তরাষ্ট্রে জিয়ার জন্মবার্ষিকী উদযাপন জনগণ নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় : রিপন

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৪০ পিএম
জনগণ নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় : রিপন
ছবি : খবরের কাগজ

জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করে দেশ পরিচালনার জন্য নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন পার্টি সেন্টারে যুক্তরাষ্ট্রে বিএনপির উদ্যোগে, স্বাধীনতার ঘোষক ও শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন এক দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা ভাচ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। 

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডা. মুজিবুর রহমান মজুমদার।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, পৃথিবীর সব দেশে গণআন্দোলনের শেষে জনগণের ভোটাধিকার সরকার প্রতিষ্ঠা লাভ করে। তারই ফলস্বরূপ বাংলাদেশের অবিলম্বে যৌক্তিক সংস্কার শেষে দ্রুততম সময়ে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে। 

ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান গণতন্ত্রে বিশ্বাস করতেন। তাই তিনি বাংলাদেশকে একটি বহু দলীয় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিশ্বের মানচিত্রে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। রাষ্ট্রবিনির্মাণে জিয়াউর রহমান সততা মেধা এবং দক্ষতাকে প্রাধান্য দিয়েছিলেন। তার ১৯ দফা ছিল বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের চাবিকাঠি।
 
স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা এবং ১৯৯১ সালের জনগণের ভোটে প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়ে জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের নিরলস ভাবে কাজ করে গেছেন খালেদা জিয়া। স্বৈরাচারিনী শেখ হাসিনা সাজানো মামলায়, কারাগারে পাঠালেও তিনি কোনো আপোষ করেনি।'
 
রিপন বলেন, 'বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানক আগামী দিনের বাংলাদেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক। বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে ফিরিয়ে আনার জন্য দীর্ঘ ১৫ বছর আন্দোলন সংগ্রাম নেতৃত্ব দিয়েছেন। তারই ফলশ্রুতিতে আজকের বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠা হয়েছে।' 

সভাপতির বক্তব্য ডা. মুজিবুর রহমান মজুমদার বলেন, 'মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশে যারা সরকার গঠনের দায়িত্ব পেয়েছিলেন, তারা বাংলাদেশকে গণতন্ত্রবিহীন এবং জনদুর্ভোগের রাষ্ট্রে পরিণত করেছিলেন। সেই সময়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থাকার জন্য বাকশাল কায়েম করেছিল। ৭৫ এর রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের মাধ্যমে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তিনি সততা, মেধা এবং দক্ষতার মাধ্যমে আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠা করেছিল। পরবর্তীতে দেশী এবং বিদেশি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তাকে হত্যা করে বাংলাদেশের উন্নয়নের গতিকে স্তম্ভ করে দেওয়া হয়েছিল।' 

তিনি বলেন, 'গত ১৫ বছর শেখ হাসিনার কর্তৃক গণতন্ত্র হত্যা, বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করাসহ প্রশাসনকে দলীয়করণ করে ব্যাপক দুর্নীতির মাধ্যমে জনগণকে অতিষ্ঠ করে তুলেছিল। অবশেষে ছাত্র জনতার আন্দোলনের ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। এ সময় অন্তর্বর্তী সরকাকে যৌক্তিক সময়ের মাধ্যমে সংস্কার সম্পন্ন করে দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করার আহ্বান জানান।'

সভার শুরুতেই পবিত্র কুরাআন তিলাওয়াত ও মোনাজাত পরিচালনা করেন  যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতা মাওলানা ওমর ফারুক। মোনাজাতে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও আরাফাত রহমান কোকো আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয় এবং বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক সুস্থতা এবং জুলাই ২৪ এর শহিদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়। 

এ সময় সভায় উপস্তিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মোশারফ হোসেন সবুজ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক (যুগ্ন সম্পাদকের পদমর্যাদা) সাবেক ছাত্রনেতা মাকসুদুল হক চৌধুরীর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতা ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ফোরাম যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন, ছাত্রনেতা জুনায়েদ আল জাফর। আলোচনায় আরও অংশগ্রহণ করেন আবু সুফিয়ান, শাহ আলম, নাছিম আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন, কাজী জামান, মোহাম্মদ বাচ্চু মিয়া, মৃধা মোহাম্মদ জসীম, নুরে আলম, হাবিবুর রহমান হাবিব, মাযহারুল ইসলাম মিরন, আবুল কালাম, আজিজুল বারি তিতাস, প্রফেসর আহসান উল্লাহ মিন্টু, ব্যারিস্টার জিন্নুর রাইন চৌধুরী, সেলিনা আক্তার প্রমুখ।

আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট শহীদুল্লাহ তালুকদার, যুবদল নেতা ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মোহাম্মদ কাশেম, মো. মাসুদ হোসেন, আশরাফুজ্জামান আশরাফ, রাশেদ রহমান, ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন, হুমায়ুন কবির, জসিম উদ্দিন ফিরোজ আলম, সাইফুল ইসলাম সৈকত ভূঁইয়া, আমিনুল ইসলাম, বাবর, আক্তার হোসেন, ডা: রফিকুল ইসলাম, রুহুল আমিন, শাহীন আলম, আব্দুস সোবাহান প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/জোবাইদা/

তিস্তা বাঁচাতে গাইবান্ধায় বিএনপির সমাবেশ

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:২৬ পিএম
তিস্তা বাঁচাতে গাইবান্ধায় বিএনপির সমাবেশ
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দিচ্ছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু। ছবি: খবরের কাগজ

তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় ও মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবিতে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিএনপির বিশাল জনসমাবেশ। 

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল তিনটায় সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তিস্তা সেতু পয়েন্টে ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানকে সামনে রেখে ‘তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন’- এর উদ্যোগে আয়োজিত হয় এই সমাবেশ।

সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু। এই সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সভাপতি মইনুল হাসান সাদিক। এ ছাড়া বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুন্নবী, সহ-সভাপতি মোজাহারুল ইসলাম, সুন্দরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি বাবুল আহমেদসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বুলু বলেছেন, দেশের মানুষ ধানের শীষে ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। তিনি বলেন, ‘আল্লাহ যদি আমাদের ক্ষমতা দেন, তাহলে তারেক রহমান আন্দোলনের পথে নয়, সরাসরি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেবেন। তখন দেশব্যাপী উন্নয়ন কার্যক্রম জোরদার হবে, নতুন করে খাল খনন কর্মসূচি শুরু হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি এ দেশের একটি বৃহৎ রাজনৈতিক শক্তি, যাকে বাতাসের ঝাপটায় ফেলে দেওয়া যাবে না। বিএনপি টিকে থাকবে এবং আগামী দিনে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ফিরে আসবে।’

এদিকে আজ (সোমবার) তিস্তা বাঁচাতে লালমনিরহাট থেকে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ পর্যন্ত টানা ৪৮ ঘণ্টার লাগাতার কর্মসূচি বিএনপি। যা দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর লালমনিরহাটে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন এবং মঙ্গলবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে এই কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করবেন।

রফিক/তাওফিক/ 

নির্বাচন বিলম্ব নয়, সংস্কার চলমান থাকুক: সালাহউদ্দিন

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:৪৭ পিএম
আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:৪৯ পিএম
নির্বাচন বিলম্ব নয়, সংস্কার চলমান থাকুক: সালাহউদ্দিন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। ছবি: খবরের কাগজ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন এ বছরই অনুষ্ঠিত হতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট সংস্কারগুলো তার আগেই সম্পন্ন করতে হবে। তিনি বলেন, ‘সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, তবে সেটিকে অজুহাত বানিয়ে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’ তাই অবিলম্বে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করার আহ্বান জানান তিনি।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কক্সবাজার মুক্তিযোদ্ধা মাঠে অনুষ্ঠিত এক বিশাল সমাবেশে এসব কথা বলেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবিতে কক্সবাজার জেলা বিএনপির উদ্যোগে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

সমাবেশে আওয়ামী লীগকে কঠোর ভাষায় আক্রমণ করে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘দলটি এখন রাজনৈতিকভাবে মৃত।’ শেখ হাসিনাকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘কাপনের কাপড় পরে দিল্লি গিয়ে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন তিনি। আওয়ামী লীগের বিচার দেশের সব গণতান্ত্রিক শক্তি চায়।’

তিনি আরও অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন এবং প্রতিবেশী দেশ থেকে গণতন্ত্রবিরোধী ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি তিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টার জন্যও আওয়ামী লীগকে দায়ী করেন।

নির্বাচন নিয়ে সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সংস্কারের দোহাই দিয়ে নির্বাচন পেছানো চলবে না। এ বছরের ডিসেম্বরেই জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। যারা অনুপাতিক ভোটের কথা বলছেন, তারা বাংলাদেশ সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা রাখেন না।’

স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে আয়োজনের প্রস্তাবনাকেও তিনি প্রত্যাখ্যান করে বলেন, ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে। তাই সবার আগে জাতীয় নির্বাচন হওয়া জরুরি।’

সালাহউদ্দিন আহমেদ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। শেখ হাসিনার দোসরদের হাতেই দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। প্রশাসনে যারা ফ্যাসিবাদের সহযোগী ছিলেন, তাদের বাদ দিতে হবে এবং যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।’

বাজার পরিস্থিতির অবনতির প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, ‘বাজারে পণ্যের সরবরাহ বাড়ান, সিন্ডিকেট ভাঙুন। জনগণ সংস্কার বোঝে না, তারা স্থিতিশীল বাজার চায়। রমজান মাসে কোনোভাবেই যেন পণ্যের দাম না বাড়ে, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজনে ভ্যাট-ট্যাক্স কমিয়ে বাজার স্থিতিশীল রাখা জরুরি।’

কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শামীম আরা স্বপ্নার সঞ্চালনায় আয়োজিত এই সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক লুৎফর রহমান কাজল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন-অর-রশিদ, ব্যারিস্টার মীর হেলালসহ জেলা ও উপজেলার শীর্ষ নেতারা।

মুহিব/তাওফিক/ 

দেশব্যাপী জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল মঙ্গলবার

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:০৭ পিএম
আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:০৭ পিএম
দেশব্যাপী জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল মঙ্গলবার
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মজলুম এটিএম আজহারুল ইসলামের অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে আগামীকাল মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলকরবে দলটি। 

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। 

মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় পল্টন মোড়ে ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের নেতৃত্ব দেবেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান। একই সঙ্গে দেশের সব মহানগর এবং জেলায় এই বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। 

সমাবেশ ও মিছিল সফল করার আহ্বান জানিয়ে  মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম ১৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে কারাগারে আটক আছেন। তাকে বারবার রিমান্ডে নিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে। তিনি বেশ কয়েকবার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে ন্যূনতম চিকিৎসা সেবাটুকুও দেওয়া হয়নি।’ 

তিনি বলেন, ‘দেশবাসী আশা করেছিল, চরম জুলুম-নির্যাতনের শিকার এটিএম আজহারুল ইসলাম স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশে মুক্তি পাবেন। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের ৬ মাস ৯ দিন অতিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও তাকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসনামলের বিচারিক কার্যক্রমগুলো সারা বিশ্বে বিতর্কিত, প্রশ্নবিদ্ধ ও প্রত্যাখ্যাত। স্বৈরাচারের আমলে গ্রেপ্তার এটিএম আজহারুল ইসলামকে কারাগারে আটক রাখা তার প্রতি চরম জুলুম ও অন্যায় ছাড়া আর কিছুই নয়। ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে তাকে এখনো আটক রাখায় জাতি বিস্মিত ও হতবাক।’ 

শফিকুল/সালমান/

 

নতুন রাজনৈতিক দলে নারী নেতৃত্ব দেখতে চাই: সামান্তা শারমিন

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:৫৪ পিএম
আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:৫৫ পিএম
নতুন রাজনৈতিক দলে নারী নেতৃত্ব দেখতে চাই: সামান্তা শারমিন
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন

জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন বলেছেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের ৫৩ বছরের সংগ্রামের ইতিহাস আছে। এই সংগ্রামের প্রতিটি পরতে পরতে নারীদের অবদান রয়েছে। জুলাই আন্দোলনেও নারীদের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। সুতরাং, জুলাই পরবর্তী যে নতুন রাজনৈতিক দল আসবে, সেখানে আমরা নারীদের নেতৃত্ব দেখতে চাই। তাই নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে নারীদের অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।’

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জাদুঘরের সামনে ‘জুলাইয়ের নারীরা’ ব্যানারে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশে অংশ নেন জুলাই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ও শহিদ পরিবারের নারীরা।

সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণ সবচেয়ে কঠিন করেছে শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা ১৬ বছরে যে গুম, খুন, আয়নাঘরের রাজনীতি কায়েম করেছিল তাতে দেশের মানুষ নারী নেতৃত্বে বিশ্বাস করতে সময় নেবে। শেখ হাসিনার এই পাপের ফল আমাদের সবাইকে ভুগতে হচ্ছে। এ জন্য পুনরায় যদি নারীদেরকে রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনতে হয়, সবার আগে প্রয়োজন শেখ হাসিনার বিচার নিশ্চিত করা।’

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘২৪-এর অভ্যুত্থানে বাংলাদেশের সর্বস্তরের সব শ্রেণির মানুষ অংশ নিয়ে ছিলেন। আন্দোলনে নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণের পাশাপাশি আমরা দেখেছি, মায়েরা খাবার রান্না করে খাইয়েছেন, আঁচল দিয়ে আহতদের কপাল বেঁধে দিয়েছেন। জুলাইয়ে বাংলাদেশে যারা বর্বর হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, তাদেরকে যদি বিচারের আওতায় আনা না যায়, তাহলে এদেশের কোনো মানুষেরই নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। সুতরাং, বাংলাদেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।’

সমাবেশ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জাতীয় নাগরিক কমিটির নারী সেল সম্পাদক সাদিয়া ফারজানা দিনা। আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী সদস্য সিনথিয়া জাহান আয়েশা ও জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়া অর্পিতা শ্যামা দাসসহ অন্যরা। 

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা: তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৫৭ পিএম
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা: তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা উচ্চ আদালতের নির্দেশে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক রফিকুল ইসলাম প্রত্যাহারের এ আদেশ দেন।

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের বিষয়ে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুর রশীদ মোল্লা জানান, হাইকোর্টের আদেশ বিচারিক আদালতে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে তারেক রহমানসহ অন্যদের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে পরোয়ানা প্রত্যাহারের আদেশ দেন আদালত।

এর আগে গত বছরের ১ ডিসেম্বর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় সব আসামিকে খালাস দেন বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেন।

সুমন/