ঢাকা ২ ফাল্গুন ১৪৩১, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১

গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথে হাঁটছে না সরকার: জি এম কাদের

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:১৭ পিএম
আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:১৮ পিএম
গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথে হাঁটছে না সরকার: জি এম কাদের
মতবিনিময় সভায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের

দেশ-বিদেশে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে যে পথে হাঁটতে হবে, সরকার সে পথে হাঁটছে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। তিনি বলেছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি জোরালো হয়ে উঠলেও অন্তর্বর্তী সরকারের সেদিকে লক্ষ নেই। 

বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে নরসিংদী জেলার জাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

জিএম কাদের বলেন, ‘বর্তমান সরকার স্বাভাবিকভাবে দেশ চালাতে পারছে না। সরকার চেষ্টা করছে, তাদের আন্তরিকতার অভাব নেই। কিন্তু তারা সফল হতে পারছে না। তাদের নির্দেশ ও পরিকল্পনা অনেক সময় কার্যকর হচ্ছে না, এটাই বাস্তবতা। এমন বাস্তবতায় দেশে একটি শক্তিশালী সরকার প্রয়োজন। অবাধ সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন যাতে জনগণের ইচ্ছার সঠিক প্রতিফলন হয়, সে ধরনের নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকার ছাড়া এ পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব মনে হচ্ছে না।’

দেশের সংকট সমাধানে রাজনৈতিক ঐক্যপ্রক্রিয়া নিয়েও হতাশা প্রকাশ করেন জি এম কাদের। তিনি বলেন, ‘দেশের ৪০টির বেশি রাজনৈতিক দলের মধ্যে হাতে গোনা কয়েকটি দলের সঙ্গে বর্তমান সরকার ঐক্য করছে। এতে দেশের বেশির ভাগ মানুষের প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলগুলো থেকে যাচ্ছে আলোচনার বাইরে।’ 

অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টির সঙ্গে বৈষম্য শুরু হয়েছে। রাজনীতিতে আমাদের কোণঠাসা করতে চাচ্ছে সরকার। আমাদের স্বাভাবিক রাজনীতিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। আমাদের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা দেওয়া হচ্ছে। খবরের কাগজগুলোতে যেন আমাদের সংবাদ না আসে, সে জন্য অপতৎপরতা চালানো হচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। সে হিসেবে আমরা নব্য ফ্যাসিবাদের শিকার মনে হচ্ছে।’

আশঙ্কা প্রকাশ করে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেশ এখন সঠিকভাবে চলছে না। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণে এমন গ্যারান্টি দিতে পারছে না কেউ। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি হলে রাজনীতিতে অস্থীতিশীল ও বিপজ্জনক অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে।’

দ্রব্যমূল্যের পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাওয়ায় মানুষের মাঝে হাহাকার উঠেছে। সাধারণ মানুষ আয় দিয়ে ব্যয় নির্বাহ করতে পারছে না। অর্ধপেট খাওয়া মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলছে। বিভিন্ন কল-কারখানা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার কারণে দেশে বেকারের সংখ্যা বাড়ছে। এক কথায় দেশে অভুক্ত ও অর্ধভুক্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে প্রতিদিন।’ 

ঢাকা বিভাগীয় অতিরিক্ত মহাসচিব লিয়াকত হোসেন খোকা সভায় সভাপতিত্বে করেন। এতে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মো. মজিবুল হক চুন্নু, জেলা সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক মো. নেওয়াজ আলী ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. শামীম হাসান ও সদস্য আবু সাঈদ স্বপন।

 

সংস্কারে দ্রুত ঐকমত্য তৈরি হবে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:০০ পিএম
আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:১০ পিএম
সংস্কারে দ্রুত ঐকমত্য তৈরি হবে: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

আমরা আশা করব দ্রুত সংস্কারের ঐকমত্য তৈরি হবে, অতি দ্রুত জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

প্রয়োজনীয় সংস্কার নিয়ে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে তিনি আহ্বান জানিয়েছেন যে সংস্কারের যে রিপোর্টগুলো প্রত্যেকটি কমিশন দিল সেগুলোর উপর আলাপ আলোচনা হবে। দলগুলো এটা নিয়ে কমিশনের সঙ্গে কথা বলবে। এবং একটা ঐকমত্য পৌঁছানোর চেষ্টা করা হবে। সেজন্য আজকে প্রাথমিক আলোচনা সেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো তাদের মতামত দিয়েছে।

মেহেদী/

জাতিসংঘের প্রতিবেদন শেখ হাসিনার গণহত্যার দলিল: জামায়াতের আমির

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৪৪ পিএম
জাতিসংঘের প্রতিবেদন শেখ হাসিনার গণহত্যার দলিল: জামায়াতের আমির
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ফাইল ছবি

জাতিসংঘের জুলাই-আগস্টের গণহত্যা নিয়ে পর্যবেক্ষক টিমের প্রতিবেদন ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার গণহত্যার দলিল হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য গত বছরের পহেলা জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশে যে অমানবিক ও নির্মম গণহত্যা চালিয়েছে, তারই স্বীকৃতি পাওয়া গেল জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনের তদন্ত প্রতিবেদনের মাধ্যমে। খুনি এবং খুনিদের মাস্টারমাইন্ডদের তথ্য ও পরিচয় এই তদন্ত প্রতিবেদনের মাধ্যমে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরেছে জাতিসংঘ। এই প্রতিবেদনে ‘সত্য’ উদ্ঘাটিত হয়েছে।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যম পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিবৃতিতে জুলাই গণহত্যার তদন্তের জন্য জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনকে আন্তরিক মোবারকবাদ ও অভিনন্দন জানিয়েছেন দলটির আমির।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার নির্দেশেই গত জুলাই-আগস্টে গণহত্যা সংঘঠিত হয়েছে তা জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বিশ্ববাসীর নিকট উন্মোচিত হওয়ায় জাতি স্বস্তিবোধ করছে এবং অপরাধীদের বিচারের ব্যাপারে আশান্বিত হয়েছে। জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদনের মাধ্যমে বিশ্ববাসীর নিকট স্পষ্ট হয়েছে যে, খুনি শেখ হাসিনার নির্দেশেই দেশে গণহত্যা সংঘটিত ও মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে।

তিনি বলেন, খুনিদের মাস্টারমাইন্ড ও তার দোসরদের মাধ্যমেই দেশের নাগরিকদের ওপর অকথ্য জুলুম-নির্যাতন, গুম এবং চরম বীভৎ ও লোমহর্ষক গণহত্যা চালানো হয়েছে। লাশ স্তুপ করে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। বাংলাদেশের গণতন্ত্র এবং গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক সকল প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। আয়নাঘর বানিয়ে দেশের মানুষকে গুম ও পাশবিক নির্যাতন করা হয়েছে।

জামায়াতে আমির বলেন, মজলুমের পক্ষে নয় বরঞ্চ মজলুম বিষয়ে জাতিসংঘের এই রিপোর্ট গণহত্যার দলিল হয়ে থাকবে। অন্তর্বর্তী সরকারকে সব গণহত্যাকারী এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার বিচার নিশ্চিত করতে হবে। জনগণ মনে করে, গণহত্যার অপরাধে অপরাধী হিসেবে আওয়ামী লীগের এ দেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। এই জনআঙ্খাক্ষা অনুযায়ী, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবির বিষয়টিও অন্তর্বর্তী সরকারকে বিবেচনায় নেওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি।

শফিকুল ইসলাম/এমএ/

তারেক রহমানের ৩১দফা বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে: ড. হোসাইনী

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৪১ পিএম
তারেক রহমানের ৩১দফা বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে: ড. হোসাইনী
ছবি : খবরের কাগজ

রাষ্ট্র সংস্কারে ৩১ দফা বাস্তবায়নে সবস্তরের জনগণকে নিয়ে কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক ডাকসু সদস্য ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক শ্রমবিষয়ক সম্পাদক ড. রশিদ আহমেদ হোসাইনী।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে লাকসাম উপজেলায় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও  দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে শান্তি র‍্যালি ও লিফলেট বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

হোসাইনী বলেন, হানাহানি ও কোন্দলমুক্ত করে এবং বৈষম্য সৃষ্টি না করে দলের জন্য কাজ করতে হবে। তবেই দল সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে। দল সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন দেবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।

তিনি বলেন, আমি দলে আবিষ্কার, বহিষ্কার কিংবা সংস্কারে কখনো যুক্ত ছিলাম না। আমি শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বিএনপি করি। নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও কখনো দল ছাড়িনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি নেতা এ কে এম আতিকুর রহমান লিটন, ইঞ্জিনিয়ার জাহাঙ্গীর হোসেন (সিপন), যুবদল নেতা সোহেল হোসেন, জসিম উদ্দিন, ছাত্রদল নেতা ইলিয়াস মজুমদার, কামাল হোসেনসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।

অমিয়/

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম দায়িত্ব গণতান্ত্রিক সরকার গঠন: রিজভী

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:৫১ পিএম
আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:৫৪ পিএম
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম দায়িত্ব গণতান্ত্রিক সরকার গঠন: রিজভী
কুমিল্লায় মেঘনা উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। ছবি: খবরের কাগজ

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম দায়িত্ব গণতান্ত্রিক সরকার গঠন করা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) কুমিল্লায় মেঘনা উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘জনগণের কাছে জনগণের ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন ড. ইউনূস সরকারের প্রধান দায়িত্ব। তার জন্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগে দিতে হবে।’

রিজভী বলেন, ‘রাজনৈতিক সরকারের অধীনে যে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে, তা দেখার জন্য আগে সরকার গঠন করতে হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে হবে। স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে করার কারণ কি?’

বিগত দিনগুলোতে আন্দোলন সংগ্রামে নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘শেখ হাসিনার আমলে গত ১৭ বছর বিএনপি ভয়াবহ নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েছে। শুধু বিএনপিই নয়, এই দেশের মানুষও গণতন্ত্র থেকে বঞ্চিত হয়েছে, কথা বলার স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত হয়েছে, নাগরিক স্বাধীনতা বলতে কিছুই ছিল না।’

তিনি বলেন,  ‘ যদি ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনার পতন না হত, তাহলে আমরা যারা এখানে আছি আমাদের প্রত্যেকের ফাঁসি হত। আমরা ছাত্র-জনতার তাজা প্রাণের বিনিময়ে একটি মুক্ত বাংলাদেশ পেয়েছি।’
 
তিনি আরও বলেন, ‘যে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য ৪ বছরের শিশুকে হত্যা করতে পারে, সে আমাদেরকেও ফাঁসি দিতে পারত। ক্ষমতা বাঁচিয়ে রাখার জন্য কে মরল, কে বাঁচলো হাসিনার কাছে তা কোনো ব্যাপার না। যদি ছাত্র-জনতা ফ্যাসিস্ট হাসিনার পালিত পুলিশের বুলেটের সামনে বুক পেতে না দিত, তাহলে এই দেশে স্বাধীনতার মুখ দেখা হত না। এখন বাংলাদেশের মানুষ কিছুটা স্বস্তিতে জীবন-যাপন করতে পারছে।’
 
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক দল। বিএনপি এ দেশের দেশপ্রেমিক মানুষের দল। আমাদেরকে দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে গণতন্ত্র চর্চা করার অভ্যাস করতে হবে।  আগামীতে তারেক রহমানের নেতৃত্বে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।’ 

মেঘনা উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মো. ওয়াদুদ মুন্সীর সভাপতিত্বে ও মেঘনা উপজেলা যুবদল নেতা মাসুরুদ হক সরকারের সঞ্চালনায় সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী মোস্তাক মিয়া, কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপি আহ্বায়ক আক্তারুজ্জামান সরকার ও সদস্যসচিব এএফএম তারেক মুন্সী প্রমুখ। 

জহির শান্ত/সুমন/

আমিনুল হক বাংলাদেশের রাজনীতির স্টার: রিজভী

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৩৮ পিএম
আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৫৮ পিএম
আমিনুল হক বাংলাদেশের রাজনীতির স্টার: রিজভী
বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল হকের আত্মজীবনী ‘একজন আমিনুল হক’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে আমিনুল হক ও বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীসহ অন্যান্য অতিথিরা। ছবি: খবরের কাগজ

আমিনুল হক বাংলাদেশের রাজনীতির একজন স্টার বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। 

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে ‘একজন আমিনুল হক’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক সাফজয়ী ফুটবলার আমিনুল হকের জীবনী নিয়ে বইটি রচিত। আমিনুল হক এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। 

এ সময় অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনে রাজপথে আমিনুলের অসাধারণ নেতৃত্ব ছিল। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে রক্ত দিয়েছেন তিনি। ক্রীড়া থেকে রাজপথ সব জায়গায় আমিনুল হক পরিশ্রমী এবং দক্ষ সংগঠক।’ 

আমিনুল হককে উদ্দেশ্য করে রিজভী বলেন, ‘চলমান আন্দোলন-সংগ্রাম করতে গিয়ে আমিনুল হককে কখনও পিছুপা হতে দেখিনি। রাজপথ থেকে কখনো পালিয়েও যাননি। তার যে নেতৃত্ব, সেই নেতৃত্বকে সে ধরে রাখতে পেরেছেন।’ 

‘একজন আমিনুল হক’ বইটিতে রয়েছে আমিনুল হকের জন্ম ও শৈশব এবং ফুটবলের মাঠ থেকে রাজপথে আমিনুল হকের সাহসী ভূমিকা, ত্যাগ এবং দক্ষ সংগঠকের নানান ঘটনা।

আমিনুল হক এ অনুষ্ঠানে তার বক্তব্যে বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে গত ১৭ বছর নিরলস পরিশ্রম এবং আন্দোলন সংগ্রামে গত জুলাই-আগষ্টের গণআন্দোলনে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন হয়েছিল।’

তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের পতন হলেও দেশ ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছিল। দেশে পরিপূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিএনপির ৩১ দফার রুপরেখার আলোকে নতুনভাবে সাজাতে হবে।’ 

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব জামান মোস্তফা, যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি ও এবিএমএ রাজ্জাক প্রমুখ। 

এ ছাড়া এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- মহানগর বিএনপি সদস্য এল রহমান, শামীম পারভেজ, রেজাউর রহমান ফাহিম ও ডা. একেএম কবির আহমেদ রিয়াজ প্রমুখ।

জাকির হোসেন/সুমন/