ঢাকা ৭ চৈত্র ১৪৩১, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫
English
শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১

শেখ হাসিনার উস্কানি সহ্য করবে না দেশের মানুষ: জামায়াতের আমির

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:৫৬ পিএম
আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:৫৮ পিএম
শেখ হাসিনার উস্কানি সহ্য করবে না দেশের মানুষ: জামায়াতের আমির
নারায়ণগঞ্জ মহানগর জামায়াতে ইসলামীর জনসভায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: খবরের কাগজ

‘স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকার গত সাড়ে ১৫ পনেরো বছর দেশের মানুষকে জ্বালাতন করে পালিয়ে গিয়ে এখন উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড করে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায়। কিন্তু দেশের মুক্তিপাগল মানুষ এসব সহ্য করবে না। উস্কানির কারণে দেশে যে পরিবেশ সৃষ্টি হবে তার দায় তাদেরকেই নিতে হবে,’- বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের পৌর ওসমানী স্টেডিয়ামে আয়োজিত বিশাল জনসভা তিনি এ মন্তব্য করেন। বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠনে ন্যায় ও ইনসাফপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর জামায়াতে ইসলামী এ জনসভায় আয়োজন করে।

জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের আমির বলেন, স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ দেশের সাংবিধান ও বিচার বিভাগকে ধ্বংস করেছে। তারা দেশের যত টাকা চুরি-ডাকাতি-লুট করে বিদেশে পাচার করেছে তা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ফিরিয়ে এনে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে হবে।

তিনি বলেন, ৫ আগস্ট দেশে গণঅভ্যুত্থানের পরও এখনো যারা চাঁদাবাজী ও অপকর্ম করছে তারা গণঅভ্যুত্থানের শহিদ ও আহতদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছে। কিন্তু দেশের ছাত্র-জনতার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জামায়াতে ইসলাম তাদের পাশে থাকবে। ছাত্র-জনতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত থাকবে বলে উল্লেখ করেন জামায়াতের আমির।

শফিকুর রহমান বলেন, ‘গত ৫৪ বছর এই জাতিকে বিভক্ত করে রাখা হয়েছিল। আর সুকৌশলে এই বিভক্তি সৃষ্টি আওয়ামী লীগ করেছিল। তারা বিভক্তির শুরু করেন পাহাড়িদের নিয়ে। তারা ঘোষণা দিয়ে বলেন, আমরা সবাই বাঙ্গালী। কিন্তু এটা নিয়ে পাহাড়িরা প্রতিবাদ করেন। তখন থেকে এই যে বিভক্তি শুরু হয়েছে তা এখনো চলমান রয়েছে। এখনো ওইখানে শান্তি প্রতিষ্ঠা হয় নাই। তারা এখন বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে নিজেরা সংঘর্ষে জড়াচ্ছেন। এই বিভক্তি যতদিন থাকবে ততদিন এই জাতির মধ্যে একতা সৃষ্টি হবে না। যা দেশের মানুষ গত ৫৩ বছর প্রত্যক্ষ করেছেন। তিনি বলেন, দেশের একজন নাগরিকের সব অধিকার পাওয়ার অধিকার আছে। এটাই মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা। আমাদের এই সমাজ হবে বৈষম্যহীন।’

জামায়াতে ইসলাম সম্প্রীতির বাংলাদেশ চায় জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও শিক্ষাব্যবস্থা উন্নতিকরণসহ আর্দশ দেশ গড়তে দেশের মানুষকে পাশে থাকতে হবে। আগামীতে শাসন ক্ষমতায় যারাই যাবে, তাদেরকে দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

জনসভায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমির মুহাম্মদ আব্দুল জব্বারের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, ঢাকা অঞ্চল দক্ষিণের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলামসহ দলটির কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিভাগীয়সহ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগরের স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে বিভিন্ন এলাকা থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে জনসভায় অংশ নেয় নেতা-কর্মীরা।

বিল্লাল হোসাইন/মাহফুজ

নির্বাচনের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে হবে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৬:৫৫ পিএম
নির্বাচনের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে হবে: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে যতটুকু সংস্কার করা দরকার, ততটুকু সংস্কার করে নির্বাচনের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আবেগেরর মধ্য দিয়ে সমস্যার সমাধান করা যাবে না। আমাদেরকে বাস্তববাদী চিন্তা করে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করতে হবে। পরিবর্তনকে সামনে নিয়ে একটা নতুন বাংলাদেশ, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার জন্যই আমাদের সবাইকে ওই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।

শুক্রবার (২১ মার্চ) রাজধানীর লেডিস ক্লাবে পেশাজীবীদের সম্মানে বিএনপি আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, প্রায় ১৫ বছর পরে একটা মুক্ত পরিবেশে, ফ্যাসিবাদ মুক্ত পরিবেশে আমরা এই ইফতার মাহফিলে আয়োজন করতে পেরেছি। একটু ভারাক্রান্ত এ জন্য- আজকে দলের চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাদের মধ্যে উপস্থিত থাকাটা অত্যন্ত প্রত্যাশিতই ছিল। কিন্তু আপনারা জানেন, আমাদের নেত্রী চিকিৎসার জন্য দেশে বাইরে আছেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানও আছেন। তিনি এখনো বিভিন্ন মামলার সমস্যার কারণে বিদেশে নির্বাসিত অবস্থাতেই আছেন। শিগগিরই দেশে ফিরে আসতে পারছেন না। 

তিনি বলেন, এখানে যারা উপস্থিত আছেন, আপনারা সবাই দেশের অত্যন্ত উচ্চ শিক্ষিত এবং জাতির বিবেক। আপনারাই দেশের মত অভিমতকে প্রভাবিত করেন। আমরা আজকে একটা অত্যন্ত কঠিন সময় অতিক্রম করছি। ভয়াবহ একটা ফ্যাসিস্ট সরকারের হাত থেকেই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে তাদেরকে পরাজিত করে, বিতাড়িত করে আজকে একটা অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে এবং একটা নতুন গণতান্ত্রিক পার্লামেন্ট এবং সরকার গঠিত হবে সে প্রত্যাশা বাংলাদেশের জনগণ অপেক্ষায়।

পেশাজীবীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা যারা রাজনীতি করছি, যারা বিভিন্ন পেশাতে আছি, তারা যারা বিভিন্নভাবে সরকার অথবা জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছি, তারা সবাই আমরা এমনভাবে কথা বলব ও কাজ করব যাতে আমাদের এই গণতন্ত্রের উত্তরণের পথকে আরও সুগম করে। আপনারা সবাই জানেন যে, আমাদের রাষ্ট্র ব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে, সেই কারণেই প্রায় দুই বছর আগে আমাদের নেতা তারেক রহমান সংস্কার ও দেশ পরিবর্তনের জন্য ৩১ দফা কর্মসূচি দিয়েছেন।

তিনি বলেন, অন্তর্বতী সরকার সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। আমরা তাদের সঙ্গে সম্পূর্ণ যোগাযোগ রাখছি এবং তাদের যে প্রস্তাব সে প্রস্তাবগুলোকে আমরা পর্যবেক্ষণ করছি এবং আমাদের মতামতগুলো সেইভাবে প্রদান করছি। সবাইকে আবার অনুরোধ করব, আপনার সবাই অত্যন্ত সচেতনতার সঙ্গে সতর্কতার সঙ্গে আপনাদের ভূমিকা পালন করবেন। বিশেষ করে বিএনপির সঙ্গে যারা আমরা জড়িত আছি, তারা যেন আমরা এমন কোনো পদক্ষেপ না নিই, যে পদক্ষেপ আমাদেরকে কোনো ভুল পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।

ইফতার মাহফিলে যোগ দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারপারসন শামসুজ্জামান দুদু, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, উপদেষ্টা ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার প্রমুখ।

পেশাজীবীদের মধ্যে অংশ নেন, যায়যায়দিনের সম্পাদক শফিক রেহমান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও কালের কণ্ঠ সম্পাদক কবি হাসান হাফিজ, অর্থনীতিবিদ মাহবুব উল্লাহ, যুগান্তর সম্পাদক কবি আবদুল হাই শিকদার, সিনিয়র সাংবাদিক এম আজিজ, আবদাল আহমেদ, নূরুদ্দিন আহমেদ, চিত্র নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/মাহফুজ

 

ইসরায়েলকে ব্যবহার করছে আমেরিকা, মন্তব্য বাসদ নেতাদের

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৫:১৯ পিএম
আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৫:২০ পিএম
ইসরায়েলকে ব্যবহার করছে আমেরিকা, মন্তব্য বাসদ নেতাদের
যুদ্ধ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গাজায় ইসরায়েলের হামলার ঘটনায় শুক্রবার বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাসদ। ছবি: খবরের কাগজ

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ নেতারা বলেছেন, মধ্যপ্রচ্যের তেল ও খনিজসম্পদের দখল এবং ওই অঞ্চলে সামরিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য ইসরায়েলকে ব্যবহার করছে সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকা। তাদের ভাষ্যে, এই লক্ষ্যে ফিলিস্তিনে হামলার জন্য ইসরায়েলকে সব ধরনের অস্ত্র সরবরাহ করছে আমেরিকা।

যুদ্ধ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গাজায় ইসরায়েলের হামলার ঘটনায় শুক্রবার (২১ মার্চ) বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন বাসদ নেতারা। বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দলের সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জান রতন, সদস্য জুলফিকার আলী ও নগর কমিটি সদস্য খালেকুজ্জামান লিপন।

বাসদ নেতারা বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গাজা থেকে সেখানকার বাসিন্দাদের সরে গিয়ে খালি করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে দিতে বলেছে। নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করে ট্রাম্প নতুন করে হামলার নীল নকশা করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় গাজায় নতুন করে হামলা শুরু হয়েছে।

বিশ্ব জনমত উপেক্ষা করে ইসরায়েলের নৃশংস হামলায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে বাসদ নেতারা বলেন, বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজা থেকে মানুষজনকে সরে যেতে বলেছে এবং বলছে ‘গাজায় নৃশংতা কেবল মাত্র শুরু’। হাজার হাজার টন বোমা ফেলে ফিলিস্তিনকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছে। এই হামলার বিরুদ্ধে খোদ ইসরাইয়েল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে কিন্তু ইসরায়েল তাতে তোয়াক্কা করছে না। কারণ তার প্রতি সমর্থন রয়েছে যুদ্ধবাজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের।

তারা বলেন, যুদ্ধবিরতির সময়েও গাজায় ১৫০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। গাজায় যে হামলা চানানো হচ্ছে তা অতীতের যে কোনো যুদ্ধের ভয়াবহতাকে হার মানিয়েছে। এখন সেখানে কোনো ত্রাণ পৌছাতে পারছে না। এ কারণে সেখানকার মানুষ ক্ষুধা দুর্ভিক্ষ ও চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণ করছে।

বাসদ নেতারা গাজায় মানবিক সংকট মোকাবিলায় জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জরুরি পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানান। পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারকে গাজায় ইসরাইলি বোমা হামলা ও গণহত্যা বন্ধের দাবি আন্তর্জাতিক সব ফোরামে তুলে ধরার দাবি জানান। 

জয়ন্ত সাহা/মাহফুজ

আ.লীগকে জনগণ ক্ষমা করলে রাজনীতিতে আপত্তি নেই: রিজভী

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৫:১৩ পিএম
আ.লীগকে জনগণ ক্ষমা করলে রাজনীতিতে আপত্তি নেই: রিজভী
ছবি: সংগৃহীত

হত্যা ও লুটপাটে জড়িত নয়, এমন কারও নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে বাধা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিয়ে কথা হচ্ছে, কিন্তু বিচার নিয়ে কথা হচ্ছে না। দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে। বিচারের পর আওয়ামী লীগকে জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। আর জনগণ ক্ষমা করলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।

শুক্রবার (২১ মার্চ) সকালে রাজধানীর উত্তরার দক্ষিণখানে ফায়দাবাদ মধ্যপাড়া হাজী শুকুর আলী মাদরাসা সংলগ্ন মাঠে দুস্থদের মধ্যে ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

জুলাই আন্দোলনে যারা গণহত্যায় জড়িত তাদের বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের যারা অপরাধী তাদের বিচার নিশ্চিত হওয়ার পর যারা হত্যা-লুটপাটে জড়িত নয়, তাদের যদি জনগণ রাজনীতি করার সুযোগ দেয় আমাদের কিছু বলার নেই।

যারা ছাত্র হত্যা করেনি, যারা অর্থ লোপাট করেনি এমন সৎ ব্যক্তি নেতৃত্বে আসলে আওয়ামী লীগ কেন রাজনীতি করতে পারবে না এমন প্রশ্ন রেখে রিজভী বলেন, যারা অপরাধের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিচার হতেই হবে। আর কোনও ফ্যাসিবাদের উত্থান যেন না হয়, সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বানও জানান রিজভী।

এসময় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের একটি গোষ্ঠী ৫ আগস্টের পর সংস্কারের কথা বলছেন। কিন্তু গত ছয় মাসে দৃশ্যমান কোনো সংস্কারের কিছু দেখা যায়নি। দেশের কোথাও স্থিতিশীলতা নেই। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা থেকে মুক্তি পেলেও স্বৈরাচারমুক্ত হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘এখনো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এর জন্য দরকার একটি সুষ্ঠু নির্বাচন। ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার গঠন করলেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে।’

এসময় আরও উপস্থিতি ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য ও রশিদ গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. মোতালেব হোসেন রতনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এসএম জাহাঙ্গীর, এবিএমএ রাজ্জাক, যুগ্ম আহ্বায়ক ও রশিদ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম কফিল উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/এমএ/

ইসরায়েলি হামলায় সরকারের প্রতিবাদ দায়সারা: প্রিন্স

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৩:৫৬ পিএম
আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৪:৩৫ পিএম
ইসরায়েলি হামলায় সরকারের প্রতিবাদ দায়সারা: প্রিন্স
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ফিলিস্তিনজুড়ে যে বর্বর হত্যাযজ্ঞ পরিচালনা করছে তার বিরুদ্ধে সিপিবির বিক্ষোভ সমাবেশ। ছবি: খবরের কাগজ

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ফিলিস্তিনজুড়ে যে বর্বর হত্যাযজ্ঞ পরিচালনা করেছে তার প্রতিবাদে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার দায়সারা বিবৃতি দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। 

যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন করে সম্প্রতি ফিলিস্তিনের গাজা, খান ইউনিসসহ বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী নির্বিচারে যে হত্যাকাণ্ড পরিচালনা করছে তার প্রতিবাদে শুক্রবার (২১ মার্চ) সকালে সিপিবি প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

প্রতিবাদ মিছিলটি রাজধানীর পুরানা পল্টনে সিপিবির কেন্দ্রীয় কার্যালয়, মুক্তিভবন থেকে শুরু হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাব হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

সমাবেশে রুহিন হোনে প্রিন্স বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গাজায় এই হামলার মধ্যে দিয়ে ইসরায়েলি বাহিনী আবারও বিশ্ব জনমতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করল। মানবতার বিরুদ্ধে এত বড় অপরাধ দুনিয়ার কোনো বিবেকবান মানুষই বরদাশত করতে পারেন না। কিন্তু জাতিসংঘ অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে এ বিষয়ে উপযুক্ত ভূমিকা পালন করছেন না।’

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত ছিল অত্যন্ত কড়া ভাষায় এই হামলার প্রতিবাদ করা। কিন্তু কার্যত সেটি হয়েছে অত্যন্ত দায়সারা প্রকৃতির।’

এ সময় সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ‘প্যালেস্টাইনের গণহত্যা সাম্রাজ্যবাদের নগ্ন চেহারাকে আবারও উন্মোচিত করেছে। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের সরাসরি মদদে এবং তাদের মধ্যপ্রাচ্যের সেবাদাসদের যোগসাজশে এই শতাব্দীর নৃশংসতম হামলা সংঘটিত হয়েছে। এর জন্য মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ও তার আরব সহযোগীদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।’ 

সিপিবির সম্পাদক ও আন্তর্জাতিক বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট হাসান তারিক চৌধুরী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আদালত ইতোমধ্যেই ফিলিস্তিনে ইসরাইলি বাহিনীর নৃশংস হত্যাকাণ্ডকে গণহত্যা বলে রায় দিয়েছেন। ফলে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার এখন বিশ্ব জনতার দাবি। সে দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে।’

জয়ন্ত সাহা/সুমন/

বিএনপির সাবেক মহাসচিব কেএম ওবায়দুরের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ১০:৪২ এএম
আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৫, ০১:৫৩ পিএম
বিএনপির সাবেক মহাসচিব কেএম ওবায়দুরের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
কে এম ওবায়দুর রহমান

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সাবেক মহাসচিব, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, সাবেক মন্ত্রী কেএম ওবায়দুর রহমানের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।

শুক্রবার (২১ মার্চ) এ উপলক্ষে ফরিদপুর জেলা বিএনপি, নগরকান্দা-সালথা উপজেলা বিএনপি, ফরিদপুর জেলা যুবদল, ফরিদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল, কেএম ওবায়দুর রহমান স্মৃতি সংসদ, কেএম ওবায়দুর রহমান স্মৃতি পরিষদ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করছে।

কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল ৯টায় মরহুম জননেতা কেএম ওবায়দুর রহমানের নগরকান্দার লস্করদিয়াস্থ বাসভবনসংলগ্ন তার কবরে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং ফাতেহা পাঠ ও কোরআনখানি। বাদ জোহর নগরকান্দা-সালথার বিভিন্ন মসজিদে মসজিদে দোয়া মাহফিল। বিকাল ৪টায় নগরকান্দা উপজেলার এমএন একাডেমি মাঠে উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে স্মরণসভা, দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। 

২০০৭ সালের ২১ মার্চ তিনি ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। রেখে যান অগণিত রাজনৈতিক অনুসারী এবং সুযোগ্য কন্যা বিএনপির বর্তমানে কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকুকে।

সঞ্জিব দাস/জোবাইদা/