
হাসিনা ও মোদি চক্রান্ত বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার উস্কানি দিচ্ছে এমন অভিযোগ তুলে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) কাউন্সিলের জাতীয় অধিবেশনে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার হাসিনা-মোদীর চক্রান্তের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী এক বিক্ষোভ কর্মসূচী পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম বলেন, ‘জুলাই-আগস্টের গণহত্যাকারী, মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত পতিত ফ্যাসিস্ট, পলাতক, ফেরারী আসামি শেখ হাসিনা ভারতের আশ্রয়ে থেকে গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে অনলাইনে ভাষণ দিয়ে বাংলাদেশকে উস্কানি দিচ্ছে।’
অধিবেশনে শ্রমিক, কৃষক, জনগণের হাতে ক্ষমতা আনার সংগ্রাম জোরদার করতে সর্বত্র ১৮ দফা কর্মসূচি প্রচারে মুক্তি কাউন্সিলের কমিটি গঠনের আহ্বান জানানো হয়। অধিবেশনে জনগণের ঐক্য বিনষ্ট করার সাম্রাজ্যবাদী ভারতের চক্রান্তের বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
অধিবেশনে বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতি নিয়ে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের অসত্য বয়ানের কঠোর সমালোচনা করে তাদেরকে জবাবদিহির মুখোমুখি করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিকট দাবি জানানো হয়।
অধিবেশনে জুলাই গণহত্যার বিচার তরান্বিত করতে এবং আহতদের উপযুক্ত চিকিৎসার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানানো হয়।
জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল সম্পাদক ফয়জুল হাকিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষক ও গ্রামীণ মজুর ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমান, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এমএলএম) সাধারণ সম্পাদক ডা. আবদুল হাকিম, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আমীর আব্বাস, বাংলাদেশ লেখক শিবিরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুঈনুদ্দীন আহমেদ, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন সভাপতি মিতু সরকার, মুক্তি কাউন্সিল দক্ষিণ অঞ্চল-১ সংগঠক জাহাঙ্গীর ফিরোজ ও হুমায়ুন কবির, মুক্তি কাউন্সিল পূর্ব অঞ্চল ১ সংগঠক সত্যজিৎ আচার্য্য, দক্ষিণ অঞ্চল-২ সংগঠক ডা আবদুস সাত্তার বাবুল, মুক্তি কাউন্সিল কেন্দ্রীয় অঞ্চল সংগঠক শফী রহমান, নাজমুল আলম সোহাগ ও এহতেশাম ইমন।
মাহফুজ