ঢাকা ৮ চৈত্র ১৪৩১, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
English

নড়াইল সাবেক এমপি মুক্তির বাড়ি ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৫৯ এএম
আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:২৭ এএম
নড়াইল সাবেক এমপি মুক্তির বাড়ি ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ
ছবি : খবরের কাগজ

নড়াইল-১ আসনের সাবেক চারবারের সংসদ সদস্য (এমপি) কবিরুল হক মুক্তির বাগানবাড়ি ও উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিসে আগুন দিয়েছে উত্তেজিত ছাত্র-জনতা।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানায়, বিকেলের দিকে কালিয়া উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা কালিয়া বাজারে একটি প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল দেয়। পরে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে হঠাৎ একদল উত্তেজিত ছাত্র-জনতা উপজেলা আওয়ামী লীগের অফিসে ভাঙচুর করে। পরে আগুন জ্বালিয়ে দেয়।

এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর ডাকবাংলোর পাশে সাবেক সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তির ক্রয় করা একটা বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়ে আগুন দেয়।

কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)  রাশেদুল ইসলাম জানান, আগুন নেভানোর কাজ চলছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

শরিফুল ইসলাস/জোবাইদা/

ফ‍্যাসিবাদীদের বিচার, নিষিদ্ধ ও নির্বাচন নিয়ে সরকারের অবস্থান বিভ্রান্তিকর: এবি পার্টি

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ১০:৪১ পিএম
ফ‍্যাসিবাদীদের বিচার, নিষিদ্ধ ও নির্বাচন নিয়ে সরকারের অবস্থান বিভ্রান্তিকর: এবি পার্টি
এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু । ছবি: সংগৃহীত

আমার বাংলাদেশ-এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, গুম, খুন, গণহত্যা, সন্ত্রাসবাদ ও লুটপাটের অভিযোগে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী ফ‍্যাসিবাদীদের বিচার, নিষিদ্ধ ও নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের অবস্থান শুরু থেকেই বিভ্রান্তিকর। এর বাইরে বড় রাজনৈতিক দলগুলোর কিছু নেতার ভূমিকাও বেশ রহস‍্যজনক। তাদের কেউ কেউ একবার বলছেন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হোক তারা চান না। আবার বলছেন, আওয়ামী লীগের নামে কেউ রাজনীতি করতে পারবেনা। তাদের কারও কারও কাছে এখনই ‘বার বার ফ‍্যাসিবাদ শব্দ শুনতে ভালো লাগেনা’। 

তিনি দূঃখ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আওয়ামী লীগের হাতে থাকা থকথকে রক্তের দাগ এখনও শুকায়নি এবং তাদের একজন সাধারণ কর্মীর কণ্ঠেও ভুল স্বীকার বা ক্ষমা চেয়ে অনুতপ্ত হওয়ার কোনো লক্ষণ নাই। ৬-৭ মাস যেতে না যেতে তাদের হাতে সবচেয়ে বেশী নির্যাতিত দলের নেতাদের এরকম দ্বিধান্বিত অবস্থান খুবই হতাশাজনক। বিলম্ব না করে জাতিসংঘ কর্তৃক খুন, সন্ত্রাসবাদ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগের ব‍্যাপারে একটি ঐকমত‍্যে পৌঁছার জন‍্য মঞ্জু অন্তর্বর্তী সরকারসহ সকলের প্রতি আহ্বান জানান। 

এবি পার্টি সিলেট মহানগর আয়োজিত শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক ও পেশাজীবীদের সম্মানে শুক্রবার (২১ মার্চ) এক ইফতার মাহফিলে তিনি এ বক্তব্য রাখেন। 

দলের মহানগর আহ্বায়ক ও বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে বিকেল ৫টায় নগরীর একটি হোটেলে এই ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সভা সঞ্চালনা করেন এবি পার্টি সিলেট জেলা আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট নাজমুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সরওয়ার উদ্দিন চৌধুরী, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ. সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী, দৈনিক জালালাবাদ এর সম্পাদক মুততাবিস উন নুর, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলজার আহমেদ হেলাল, টেলিভিশন সাংবাদিকদের সংগঠন ইমজা এর সেক্রেটারি সাকিব আহমদ মিঠু, বৈষম‍্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিলেট জেলা আহ্বায়ক আবু সাঈদ, জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা ব‍্যারিস্টার নুরুল হুদা জুনেদ, দুর্নীতি মুক্তকরণ বাংলাদেশ ফোরামের কেন্দ্রীয় মহাসচিব মকছুদ হোসেন, এবি পার্টির মহানগর সদস‍্যসচিব রেজাউল করিম শোয়েব, জেলা সদস‍্যসচিব অ‍্যাডভোকেট হোসাইনুর রহমান লায়েস, যুবনেতা এম তানজিল হোসেন। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মজিবুর রহমান মঞ্জু আরও বলেন, এবারের রমজানে প্রমাণ হয়েছে সরকার যদি প্রশ্রয় না দেয় তাহলে দ্রব‍্যমূল‍্য যারা বাড়ায় তারা জনগণের পকেট কাটতে পারেনা। সরকার আরও আন্তরিক ও সিরিয়াস হলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। 

দেশের বাইরে থেকে আওয়ামী লীগের উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করে তিনি বলেন, দূর্ভাগ‍্যজনকভাবে ভারত সরকার এসব উস্কানিতে অন‍্যতম সহযোগী হিসেবে ভূমিকা পালন করছে। গত তিনটি ভূয়া ও ডামি নির্বাচনে ভারত সরকার ছিল আওয়ামী লীগের প্রধান পৃষ্ঠপোষক। তখন তারা আমাদের জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলেনি বরং বলেছে এটা নাকি আমাদের আভ্যন্তরীণ বিষয়। এখন তারা বলছে বাংলাদেশে এবার তারা একটা ইনক্লুসিভ নির্বাচন চায়। তাদের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূতও বলছে আওয়ামী লীগ অংশ না নিলে নাকি নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবেনা। আকারে ইঙ্গিতে আমাদের সেনাপ্রধানও একই কথা বলছেন।

মঞ্জু আরও বলেন, আওয়ামী লীগ অবশ‍্যই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে, তবে তার আগে তারা যাদেরকে নৃশংসভাবে খুন করেছে, সেই হাজার হাজার সন্তানহারা মায়েদের কোলে তাদের সন্তানদের ফিরিয়ে দিতে হবে। যাদেরকে পৈশাচিক নির্যাতন করে পঙ্গু করে ফেলা হয়েছে তাদের চোখ, হাত, পা ফেরৎ দিতে হবে। আমাদের লুট করা লাখ লাখ কোটি টাকা ফেরৎ আনতে হবে। 

তিনি আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক অধিকার নির্ধারণের জন‍্য প্রয়োজনে গণভোট দেওয়ার জন‍্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। 

ইফতার মাহফিলে গণ‍্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মাঝে উপস্থিত ছিলেন ব‍্যব্যবসায়ী নেতা আব্দুল গফুর বিপ্লব, শ্রমিক নেতা মজিবুর রহমান চৌধুরী, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ কামাল আহমদ আম্বিয়া, শ্রমিক নেতা মেহেদী হাসান সোহেল, এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কৃষি বিষয়ক সহ সম্পাদক মোস্তাফিজার রহমান রঞ্জু, যুক্তরাজ‍্য কমিটির নেতা আব্দুল মুমিত ঝুরু, হবিগঞ্জ জেলা সমন্বয়ক অ‍্যাডভোকেট মোকাম্মেল হোসেন রবিন, সুনামগঞ্জ জেলা সমন্বয়ক জসিম উদ্দিন, মহানগর যুগ্ম আহ্বায়ক প্রভাষক আব্দুর রাজ্জাক, শরিফুজ্জামান চৌধুরী, যুগ্ম সদস্যসচিব আহমদ খলিল তাপাদার, জেলা যুগ্ম সদস্যসচিব জাহাঙ্গীর আলম প্রমূখ।

মাহফুজ/

পলাতক স্বৈরাচারদের পুনর্বাসনের সুযোগ দেওয়া যাবে না: তারেক রহমান

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৮:৫৭ পিএম
পলাতক স্বৈরাচারদের পুনর্বাসনের সুযোগ দেওয়া যাবে না: তারেক রহমান
রাজধানীর ইস্কাটনে লেডিস ক্লাবে ইফতার মাহফিলে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

পলাতক স্বৈরাচারের দোসরদের পুনর্বাসনের সুযোগ দেওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। অন্তর্বর্তী সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, সরকারের এমন কোনো পক্ষেপ নেওয়া উচিত হবে না, যাতে রাষ্ট্র এবং রাজনীতিতে পলাতক স্বৈরাচারের দোসররা পুনর্বাসিত হওয়ার সুযোগ পায়। এমন পরিস্থিতে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়ার অর্থ সারাদেশে ঘাপটি মেরে থাকা পলাতক স্বৈরাচারের দোসরদের রাজনীতিতে পুনর্বাসনের সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া। সুতরাং সবার আগে প্রয়োজন জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান। কারণ নাগরিকরা রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাশালী না হলে কোনো সংস্কারই কিন্তু টেকসই হবে না।

শুক্রবার (২১ মার্চ) রাজধানীর ইস্কাটনে লেডিস ক্লাবে ইফতার মাহফিলে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। দেশের বিশিষ্ট নাগরিক ও পেশাজীবীদের সম্মানে এই ইফতারের আয়োজন করে বিএনপি।

সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি করা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক বলে মন্তব্য করে তারেক রহমান বলেন, একটি মহল বর্তমান সংস্কার এবং নির্বাচনকে যেভাবে মুখোমুখি করে ফেলা হয়েছে, এটি নিঃসন্দেহে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক। যারা সংস্কার শেষ করার পর জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করার কথা বলছেন, তাদেরকে বলতে চাই- যেটি শেষ হয়ে যায়, সেটি সংস্কার নয়। কারণ সংস্কার কখনো শেষ হয় না। সংস্কার একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া।

তিনি বলেন, বর্তমান সংবিধানকে ইচ্ছামতো কাঁটাছেড়া করে পতিত পলাতক স্বৈরাচার তাদের দলীয় সংবিধানে পরিণত করে ফেলেছিল। বিএনপি মনে করে, গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে খেতাবি কিংবা পুঁথিগত সংস্কারের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক অধিকার এবং আচরণের ব্যবহারিক প্রয়োগ। জনগণের গণতান্ত্রির চর্চার মধ্যে দিয়েই কেবল সংস্কার প্রক্রিয়া টেকসই, সফল এবং কার্যকর হয়ে উঠতে পারে। দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে গণইস্যুকে মুখ্য ইস্যু বানাতে গিয়ে নিজেদের অজান্তেই ফ্যাসিবাদ বিরোধী জাতীয় ঐক্যের সংশয় ও সন্দেহের জন্ম দেওয়া হচ্ছে।

ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ৫ আগস্ট মাফিয়া সরকারের পতনের পর আমাদের সামনে দীর্ঘ দেড় দশকে অন্ধকার থেকে বেরিয়ে এসে পুনরায় গণতান্ত্রিক, মানবিক বাংলাদেশ গড়ায় এক অপার সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় রাজনীতিবিদ এবং রাজনৈতিক কর্মীর পাশাপাশি বিশিষ্ট নাগরিক সমাজ এবং পেশাজীবীদের দেশ ও জনগণের স্বার্থ রক্ষায় আরও কার্যকর ভূমিকা পালনের সুযোগ তৈরি হয়েছে। রাষ্ট্র এবং রাজনীতির স্বার্থেই পেশাজীবীদের সর্বোচ্চ দক্ষতা অর্জনে আরও বেশি মনোযোগী হওয়া অত্যন্ত জরুরি।

তিনি আরও বলেন, পেশাজীবী মেধা ও অভিজ্ঞতা রাষ্ট্র উন্নয়ন পরিকল্পনায় কাজে লাগানোর সুযোগ অবশ্যই রয়েছে। বর্তমান রাজনৈতিক সাংগঠনিক কাঠামোতে পেশাজীবীদের অনেকের পক্ষেই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে অবদান রাখার সুযোগ হয়তো সীমিত। সেজন্য রাষ্ট্র, সরকার ও রাজনীতির গুনগত পরিবর্তনের লক্ষ্যে বিশিষ্টজন এবং পেশাজীবীদের মেধা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর জন্য বিএনপি সংবিধানে দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করেছে। 

তারেক রহমান বলেন, একটি রাষ্ট্রে রাজনীতিবিদ, সুশীল সমাজ এবং পেশাজীবীরা একে-অপরের পরিপূরক। রাষ্ট্রে সুশীল সমাজ এবং পেশাজীবীদের ভূমিকা দূর্বল থাকলে সুস্থ ও সবল রাজনীতি আশা করা যায় না, একইভাবে দেশের রাজনীতি রুগ্ন হলে সুশীল সমাজ ও পেশীজীবীরা যথাযথ দায়িত্ব কর্তব্য এবং ভূমিকা পালনে সক্ষম হন না। দীর্ঘ দেড় দশকে ফ্যাসিবাদী শাসনকাল এরই সবচেয়ে বড় প্রমাণ। আমরা দেখেছি, পলাতক স্বৈরাচারের শাসনকালে একটি উল্লেখযোগ্য সুশীল ও পেশীজীবীদের অংশ, সেই ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারের সক্রিয় সহযোগি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল। 

তারেক রহমান বলেন, বিশ্বের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক বিধি ব্যবস্থায় শেষ পর্যন্ত রাজনীতিবিদদের হাতেই রাষ্ট্র পরিচালনায় ভার বর্তায়। তবে রাজনীতিবিদদের সফলভাবে রাষ্ট্র পরিচালনায় ক্ষেত্রে দেশের বিশিষ্ট নাগরিক, সুশীল সমাজ এবং পেশাজীবীদের ভূমিকা ও অবদান অনস্বীকার্য। রাষ্ট্র এবং রাজনীতির ভালো-মন্দের অনেক কিছু নির্ভর করে রাজনীতিবিদদের দেশপ্রেম এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় নীতির উপর। এক্ষেত্রে রাষ্ট্র এবং সমাজে বিশিষ্ট নাগরিক ও পেশাজীবীদের ভূমিকা যতবেশি কার্যকর থাকে, রাজনৈতিক সরকারও ততবেশি দায়িত্বশীল এবং শক্তিশালী হয়।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিলে আরও বক্তব্য দেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য  ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এস এম এ ফায়েজ, অর্থনীতিবিদ ও ঢাবি শিক্ষক অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ, যুগান্তর সম্পাদক আবদুল হাই সিকদার, যায়যায়দিন সম্পাদক শফিক রেহমান, লাবিব গ্রুপের চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন আলমগীর, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. সুকোমল বড়ুয়া, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, কালেরকন্ঠ সম্পাদক কবি হাসান হাফিজ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, বিএফইউজে’র সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন প্রমুখ।

এছাড়াও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এই ইফতার মাহফিলে বিশিষ্ট নাগরিক, বিভিন্ন পেশাজীবী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধির এবং বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা অংশ নেন।

শফিকুল ইসলাম/মাহফুজ

আওয়ামী লীগের বিচার দাবিতে টানা কর্মসূচি এনসিপির

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৮:৩৯ পিএম
আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৯:২১ পিএম
আওয়ামী লীগের বিচার দাবিতে টানা কর্মসূচি এনসিপির
বাংলামোটরে দলের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: খবরের কাগজ

জুলাই গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে আওয়ামী লীগের বিচার এবং দলের নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে টানা কর্মসূচি দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

শুক্রবার (২১ মার্চ) রাতে রাজধানীর বাংলামোটরে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের বিচার ও নিবন্ধন বাতিলের দাবিতে সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। এসময় লিখিত বক্তব্য রাখেন দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পরিকল্পনা নেই প্রধান উপদেষ্টার এমন বক্তেব্যর নিন্দা জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ছাত্র-নাগরিক অভ্যুত্থানের সাত মাস অতিবাহিত হলেও গণহত্যাকারী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের খুনিদের বিচারে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি। আওয়ামী লীগ কর্তৃক সংঘটিত পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা হত্যাকাণ্ড, আগ্রাসনবিরোধী আন্দোলনে হত্যাকাণ্ড, গুম-ক্রসফায়ার, ভোট ডাকাতিসহ জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রশ্নে কার্যকর অগ্রগতি দৃশ্যমান হওয়ার আগে রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল পদ থেকে এ ধরনের বক্তব্য অনাকাঙ্ক্ষিত। আত্মপ্রকাশের পর থেকে আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে বলেছি- কৃত অপরাধের বিচার, দায় স্বীকার, অনুশোচনা, পাপমোচন ব্যতীত আওয়ামী লীগের দল হিসেবে ক্রিয়াশীল থাকার পক্ষে যেকোনো ধরনের তৎপরতা ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনের শামিল।

আওয়ামী লীগ এ মুহূর্তে গণতান্ত্রিক ফ্রেমওয়ার্কের বাইরে অবস্থান করছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এনসিপি জুলাই গণহত্যাসহ বিগত ফ্যাসিবাদী রেজিমে সংঘটিত অপরাপর গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের নিশ্চয়তা চায়। বিচার চলাকালীন সময়ে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে এবং এই মাফিয়াগোষ্ঠীর রাজনীতিতে ফেরার যেকোনো প্রচেষ্টাকে এনসিপি প্রতিহত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে।

নাহিদ বলেন, দল হিসাবে আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বাংলাদেশে গণহত্যা চালিয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী রেজিম বাংলাদেশ থেকে উৎখাত হয়েছে। আওয়ামী মতাদর্শ, দল এবং মার্কার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণ ৩৬শে জুলাইয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে। ফলে দল ও মতাদর্শ হিসাবে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে রাজনীতি করার সকল অধিকার হারিয়েছে। গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আওয়ামী লীগের বিচার চলাকালীন সময়ে আওয়ামী লীগ এবং ফ্যাসিবাদের সকল সহযোগী ব্যক্তি ও সংগঠনের রাজনৈতিক কার্যক্রমকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমাদের কনসার্নের জায়গাটা আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের বিচার, নিবন্ধন, রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। রাজনৈতিক মহলই সেই সিদ্ধান্ত নেবে।

এনসিপির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবুদল্লাহ বলেন, আওয়ামী লীগ যে একটা গণহত্যা চালিয়েছে সেটা তারা স্বীকার করেনি। দল হিসেবে তার বিচার হতে হবে। তারপরে কোনো আলোচনা হইলে হতে পারে। ৫ আগস্টের পরে আওয়ামী লীগের নাম, দল, মার্কা অপ্রাসঙ্গিক। আমরা সাধারণ মানুষের কাছে কমিটেড। অন্য কারো কাছে না।

কবির/এমএ/

আ.লীগের পুনর্বাসন জনগণ মেনে নেবে না, ফেসবুক পোস্টে জামায়াত আমির

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৮:১৫ পিএম
আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৮:১৬ পিএম
আ.লীগের পুনর্বাসন জনগণ মেনে নেবে না, ফেসবুক পোস্টে জামায়াত আমির
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন জনগণ মেনে নেবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘জনগণ অগ্রাধিকার ভিত্তিতেই গণহত্যার বিচার দেখতে চায়। এর বাইরে অন্য কিছু ভাবার কোনো সুযোগ নেই।’

শুক্রবার (২১ মার্চ) সকালে ফেসবুক পোস্টে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

ডা. শফিকুর রহমান লিখেছেন, ‘দীর্ঘ ফ্যাসিবাদী শাসনের পর ’২৪-এর ৩৬ জুলাই আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের একান্ত মেহেরবাণীতে উপহার হিসেবে পেয়েছি। এ জন্য মহান রবের দরবারে অসংখ্য-অসংখ্য শুকরিয়া। এ সময় দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য পতিত ফ্যাসিবাদীরা দেশের ভেতরে এবং বাইরে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।’

তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের নির্যাতিত ১৮ কোটি মানুষের দাবি, গণহত্যাকারীদের বিচার, ’২৪-এর শহিদ পরিবারগুলোর পুনর্বাসন, আহত ও পঙ্গু অসংখ্য ছাত্র, তরুণ, যুবক ও মুক্তিকামী মানুষের সুচিকিৎসা, একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে ১৫ বছরের সৃষ্ট জঞ্জালগুলোর মৌলিক সংস্কার সাধন করে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা।’ সূত্র: ইউএনবি 

 

কর্নেল অলির গণমাধ্যম বিষয়ক উপদেষ্টা হলেন রাজ্জাক

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৮:০৭ পিএম
কর্নেল অলির গণমাধ্যম বিষয়ক উপদেষ্টা হলেন রাজ্জাক
সালাহ উদ্দীন রাজ্জাক। ছবি: সংগৃহীত

২০০৯ সাল থেকে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ও সাবেক মন্ত্রী ডক্টর কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রমের প্রেস সেক্রেটারি পদে দায়িত্ব পালনকারী সালাহ উদ্দীন রাজ্জাককে তিনি তার ব্যক্তিগত গণমাধ্যম বিষয়ক উপদেষ্টা পদে নিয়োগ দিয়েছেন।

শুক্রবার (২১ মার্চ) ডক্টর কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম তাকে এ পদের জন্য নিয়োগ দেন।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের জনকল্যাণ সম্পাদক সিনিয়র সাংবাদিক সালাহ উদ্দীন রাজ্জাক ড. কর্নেল অলি আহমদ বীর বিক্রমের গণমাধ্যম বিষয়ক উপদেষ্টার পাশাপাশি এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব পদে দায়িত্ব পালন করবেন।

শফিকুল ইসলাম/মাহফুজ