ঢাকা ৬ চৈত্র ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৬ চৈত্র ১৪৩১

হবিগঞ্জে জেলা ছাত্রদলের ১ মাসের কমিটি হতে দেড় বছর পার

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:১৭ এএম
আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:২৩ এএম
হবিগঞ্জে জেলা ছাত্রদলের ১ মাসের কমিটি হতে দেড় বছর পার
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল

২০২৩ সালের ৮ জুন। সাত বছর পর হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের ছয় সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে শাহ রাজিব আহমেদ রিংগনকে সভাপতি ও জিল্লুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।

এ ছাড়া সিনিয়র সহসভাপতি হাফিজুল ইসলাম হাফিজ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আহাদ তুষার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহিবুর রহমান শাওন ও সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মাহবুবের নামও ছিল তালিকায়। 

কমিটি ঘোষণার সময় ছাত্রদলের তৎকালীন কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল এক মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন। কিন্তু দেড় বছর পার হলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করা হয়নি। এতে নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা বলছেন, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল দীর্ঘদিন ধরে দলীয় আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। 

স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সংগঠনটি সবসময় অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। হবিগঞ্জেও ছাত্রদল নানা আন্দোলন-সংগ্রামে সাহসী ভূমিকা পালন করেছে। অনেক নেতা-কর্মী জীবন বাজি রেখে লড়াই করেছেন। তবে সম্প্রতি এসব ত্যাগী নেতাকর্মীর মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কারণ দীর্ঘ দেড় বছরেও হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়নি।

একাধিক ছাত্রদল নেতা বলেন, ‘আমরা স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সামনের সারিতে ছিলাম। জেল খেটেছি, বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়িয়েছি। এখন দলের সুসময় আসতে শুরু করেছে, আর তখনই কিছু সুবিধাবাদী নেতা সামনে এসে নেতৃত্বের চেষ্টা করছে। আমাদের দাবি, অতিদ্রুত পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হোক এবং প্রকৃত ত্যাগীদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হোক।’

তারা আরও বলেন, ‘অনেক নেতা রাতের পর রাত বাড়িতে থাকতে পারেননি, হাওরে রাত কাটিয়েছেন। তাদের খুঁজে বের করে কমিটিতে স্থান দিতে হবে। একই সঙ্গে, যারা হাইব্রিড নেতা, তাদের যেন ছাত্রদল বা বিএনপির কাছাকাছিও আসতে দেওয়া না হয়।’

বিভিন্ন আন্দোলনে সামনের সাড়িতে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া এক নেতা বলেন, ‘দেড় বছর আগে ছয় সদস্যের কমিটি করা হলেও একজন নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। ফলে পাঁচজন দিয়েই কার্যক্রম চলছে। আন্দোলনের সময় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক কারাগারে ছিলেন, ফলে দল অনেকটাই অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছিল। তবুও নেতা-কর্মীরা নিজেদের জায়গা থেকে আন্দোলন চালিয়ে গেছেন।’

হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজ রাসেল বলেন, ‘ছাত্রদল গণতান্ত্রিক সংগঠন। এখানে প্রকৃত ছাত্রদের নেতৃত্বে আনা জরুরি। দীর্ঘদিন আন্দোলন করা অনেক নেতা পদবঞ্চিত রয়েছেন। আমি কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে অনুরোধ করব, দ্রুত পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে জেলা ছাত্রদলকে আরও গতিশীল করা হোক।’

জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান বলেন, ‘এতদিন আমরা আন্দোলন ও জেল-জুলুমের জন্য কমিটি গঠন করতে পারিনি। তবে ৫ আগস্টের আন্দোলনের পর স্বৈরাচার সরকার বিতাড়িত হয়েছে, এখন আমরা দল গোছানোর কাজ করছি। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল কলেজ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে। সেই কাজ শেষ হলেই জেলা কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার কাজ শুরু হবে।’

জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহ রাজিব আহমেদ রিংগন বলেন, ‘বর্তমানে সারা দেশেই পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া স্তব্ধ রয়েছে। তবে আমরা এরই মধ্যে একটি তালিকা তৈরি করেছি। কেন্দ্র থেকে চাওয়া হলেই আমরা সেটি পাঠিয়ে দেব। ৫ আগস্টের আন্দোলনের সময় যারা মাঠে ছিলেন, তাদের সর্বোচ্চ মূল্যায়ন করা হবে। পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে কোনো তদবির চলবে না।’

গাজায় গণহত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৫:৩৮ পিএম
গাজায় গণহত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের
জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল

জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম এক বিবৃতিতে গাজায় বর্ণবাদী সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরায়েলের ৪৮ ঘণ্টার বিমান হামলায় ১৮৩ জন শিশুসহ ৯৭০ জন ফিলিস্তিনি হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। 

এই বর্বর হামলার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, গাজা গণহত্যার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসনের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরাইলকে বিশ্ববাসী যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত করবে। 

বিবৃতিতে বলা হয়, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনে নিহতের সংখ্যা ৪৯ হাজার ৫৪৭ জন থেকে ছাড়িয়ে বর্তমানে ৪৮ হাজার ৫৭৭ জনে এসে দাঁড়িয়েছে। 

বিবৃতিতে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরাইলের এই গণহত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়।  

মাহফুজ/

বিএনপি সংস্কার প্রস্তাবনা দেবে রবিবার

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৩:২৬ পিএম
বিএনপি সংস্কার প্রস্তাবনা দেবে রবিবার
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আগামী রবিবার (২৩ মার্চ) সংস্কার প্রস্তাবনা দেবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি তথ্য জানান।

এর আগে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সকাল ১১টায় এই বৈঠক শুরু হয়ে ১২টায় শেষ হয়।

বৈঠকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ও চেয়ারপারসনের ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজারি কমিটি সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ও চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক বিশেষ সহযোগী উপদেষ্টা কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ।

বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে আমির খসরু বলেন, ‘রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও বৈদেশিক নানা বিষয় নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। সংস্কার কমিশনের যে ঐক্যমত সৃষ্টির চেষ্টা চলছে, তা নিয়েও আলোচনা হয়। এখানে কারও দ্বিমত আছে। আমরা মনে করি, যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, তাদের দ্বিমত থাকার কথা না।’ সূত্র: বাসস

মেহেদী/

ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম ৩ দি‌নের রিমান্ডে

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৩:০৯ পিএম
ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম ৩ দি‌নের রিমান্ডে
কু‌ড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলী‌গের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হো‌সেন নয়ন‌কে আদলতে নেওয়া হচ্ছে। ছবি: খবরের কাগজ

কু‌ড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলী‌গের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হো‌সেন নয়ন‌কে তিন দি‌নের রিমান্ড মঞ্জুর ক‌রে‌ছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) বেলা ১২টায় কুড়িগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হ‌লে ম্যাজিস্ট্রেট মো. মজনু মিয়া এ আদেশ দেন।

ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দা‌ম হো‌সেনের আইনজীবী শাখাওয়াত হো‌সেন ‌বিষয়‌টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দি‌কে রংপুর শহরের জাহাজ‌কোম্পা‌নি মোড় থে‌কে তা‌কে গ্রেপ্তার ক‌রে কু‌ড়িগ্রাম গোয়েন্দা পুলি‌শের এক‌টি দল।

কুড়িগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থী আশিক হত্যাসহ একাধিক মামলার এজাহারভুক্ত আসামি তিনি। গ্রেপ্তারের পর বৃহস্প‌তিবার দুপু‌রে আশিক হত্যা মামলায় ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম হো‌সেন নয়ন‌কে আদাল‌তে তোলা হ‌লে ১০‌দি‌নের রিমান্ড চাওয়া হ‌য়। বিচারক তিন দি‌নের রিমান্ড মঞ্জুর ক‌রেন।

কু‌ড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হা‌বিবুল্লাহ জানান, দুপুর ১২টায় ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম হো‌সেন‌কে আদালতে তোলা হলে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

সুমন/

সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ ৫ বিষয়ে সংস্কার প্রস্তাব জামায়াতের

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০১:৪৬ পিএম
আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৩:২৭ পিএম
সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ ৫ বিষয়ে সংস্কার প্রস্তাব জামায়াতের
সংসদ ভবনের কার্যালয়ে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজের কাছে সংস্কার প্রস্তাব জমা দিচ্ছেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। ছবি: খবরের কাগজ

সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনসহ পাঁচ বিষয়ে সংস্কার প্রস্তাব জমা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। 

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সংসদ ভবনের কার্যালয়ে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজের কাছে সংস্কার প্রস্তাব জমা দেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধি দল। 

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি হামিদুর রহমান আযাদ, কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট ড. মতিউর রহমান আকন্দ। 

অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজের কাছে সংবিধান, নির্বাচন, বিচার বিভাগ; জনপ্রশাসন এবং দুর্নীতি দমন কমিশনসহ পাঁচটি বিষয়ের ওপর প্রস্তাব ও মতামত পেশ করেছে জামায়াত। জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, কমিশনের প্রস্তাবের সঙ্গে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা দ্বিমত পোষণ করেছি; আবার অনেক বিষয়েই একমত হয়েছি। আমরা ব্যাখ্যাসহ আমাদের মতামত তুলে ধরেছি। আমরা সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেছি। আমরা আশা করি, দ্রুত সময়ের মধ্যেই সংস্কার সম্পন্ন করে একটি অর্থবহ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার কাজ শুরু করবেন।

তিনি বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে সংস্কারের ওপর গুরুত্বারোপ করে আসছে। জামায়াতের আমিরসহ নেতারা প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে দ্রুত একটি অর্থবহ নির্বাচন দেওয়ার জন্য বারবার বলে আসছেন। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময়ের ব্যাপারে একটি ধারণা জাতির সামনে পেশ করা হয়েছে। আমরা তার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করিনি।’ 

শফিকুল/পপি/

ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হলে দেশ সঠিক পথে থাকবে: আমীর খসরু

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০১:৪২ পিএম
আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৩:০৯ পিএম
ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হলে দেশ সঠিক পথে থাকবে: আমীর খসরু
ছবি: খবরের কাগজ

ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হলে দেশ সঠিক পথে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, 'সবাই ধরেই নিয়েছে ডিসেম্বরের পরে নির্বাচন দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ইতোমধ্যে অনেকে বলছে, ডিসেম্বর অনেক দেরিতে। কিন্তু তার পরও ডিসেম্বর 'কাট অফ টাইম' হিসেবে ধরে নিয়েছে সবাই। সবার ধারণা, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হলে আমরা সঠিক পথে থাকব। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আমরা ১৭ বছর সংগ্রাম করেছি। সেটা ফিরিয়ে দেওয়ার একমাত্র মাধ্যম নির্বাচন।'

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

বেলা ১১টার দিকে এ বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটি ও চেয়ারপারসনের  ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজারি কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ও চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক বিশেষ সহযোগী উপদেষ্টা কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ।

বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে আমীর খসরু বলেন, 'বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক, সামাজিক, বৈদেশিক সম্পর্কের অবস্থান নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। রাজনীতির ক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচন এবং সংস্কার কমিশনগুলোর ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চলছে, এ ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। সংস্কারের যে বিষয়গুলোয় ঐকমত্য হবে, সে বিষয়গুলো এগিয়ে নিয়ে যাব। যে বিষয়গুলোয় ঐকমত্য হবে না সেখানে সাংবিধানীয় হোক, নির্বাচনী হোক বা অন্য যেকোনো বিষয় হোক- সেটা আগামী নির্বাচনে প্রত্যেকটা রাজনৈতিক দলের অধিকার আছে জনগণের কাছে নিয়ে যাওয়ার। তারা জনগণের কাছে উপস্থাপন করবে, জনগণের মতামত নিয়ে এসে সংসদে আলোচনা হবে, তর্ক হবে, বিতর্ক হবে- তার পর সংসদে পাস হবে। বৈঠকে আলোচনাটা এইভাবেই হয়েছে।'

তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে দেশে ও দেশের বাইরে সবাই ভাবছে যে নির্বাচন কবে হবে, কবে দেশে গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরে আসবে। দেশে একটি সরকার আছে কিন্তু এখনো গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরে আসেনি। সেটা না এলে, জনগণ সমর্থিত একটা সরকার ব্যতীত কোনো অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, পুলিশ সাপোর্ট দিয়ে সেটা দাঁড়াতে পারবে না। সেটা আমরা লক্ষ করছি। জনগণের সমর্থিত সরকার, সংসদ- যা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে, সেটা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব করতে পারলে অনেকগুলো সমস্যার সমাধান হবে। অনেকগুলো সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে এগুলো একটা পলিটিকাল উইং ছাড়া সমাধান করা কঠিন। এ জন্য আলোচনায় এ বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।'

ইইউতে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয় জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, 'আগামী দিনের ইইউর সঙ্গে আমাদের কর্মপন্থা কী হবে তা আলোচনা হয়েছে। বর্তমানে নির্বাচন ঘিরে, সংস্কার ঘিরে ইইউ সহযোগিতা করতে রাজি আছে। বিশেষ করে ইলেকট্রো প্রসেস থেকে শুরু করে যে প্রাতিষ্ঠান ভেঙে পড়েছে তা সংস্কার, পরিবর্তন, এগুলো সঠিক জায়গায় ফিরে আনার জন্য তারা এগিয়ে আসতে রাজি আছে।'

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'নির্বাচন আগে-পরের বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ না। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে যে বিষয়গুলো আমরা ঐকমত্য হব, সেই বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। বিভিন্ন পার্টির বিভিন্ন চিন্তা, বিভিন্ন দর্শন রয়েছে। সবাই যদি মনে করে সব বিষয়ে সবাই ঐকমত্য হবে, তা হলে এত রাজনৈতিক দলের দরকার নাই। বাকশাল নিয়ে আসতে পারে। কিন্তু আমরা তো আবার বাকশালেও ফিরে যেতে চাই না। যেখানে ঐকমত্য হবে, সে বিষয়গুলো সমাধান করতে পারব ইমিডিয়েটলি। আর যেখানে ঐকমত্য হবে না সেটা আগামী দিনে নির্বাচনে প্রত্যেকটি দল তাদের মেন্ডেট নিয়ে, মেনুফেস্টো নিয়ে, চিন্তা নিয়ে জনগণের কাছে যাবে এবং জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে যে সংসদ হবে সেখানে বাস্তবায়ন করবে।' 

শফিকুল/মেহেদী/