ঢাকা ৫ চৈত্র ১৪৩১, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
English

সংস্কারে দ্রুত ঐকমত্য তৈরি হবে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:০০ পিএম
আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:১৮ পিএম
সংস্কারে দ্রুত ঐকমত্য তৈরি হবে: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

‘আমরা আশা করব দ্রুত সংস্কারের ঐকমত্য তৈরি হবে, অতি দ্রুত জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে’ এটাই আমাদের প্রত্যাশা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

প্রয়োজনীয় সংস্কার নিয়ে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে তিনি আহ্বান জানিয়েছেন যে সংস্কারের যে রিপোর্টগুলো প্রত্যেকটি কমিশন দিল সেগুলোর ওপর আলাপ আলোচনা হবে। দলগুলো এটা নিয়ে কমিশনের সঙ্গে কথা বলবে। এবং একটা ঐকমত্য পৌঁছানোর চেষ্টা করা হবে। সেজন্য আজকে প্রাথমিক আলোচনা সেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো তাদের মতামত দিয়েছে।

শফিকুল ইসলাম/মেহেদী/

নিবন্ধন ফিরে পেল জাগপা

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৩:১৩ পিএম
নিবন্ধন ফিরে পেল জাগপা
জাগপা নিবন্ধন বাতিলের রায় অবৈধ ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট। ছবি: খবরের কাগজ

রাজনৈতিক দল হিসেবে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) নিবন্ধন বাতিলের রায় অবৈধ ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট। এ রায়ের মাধ্যমে প্রায় ৪ বছর ২ মাস পর নির্বাচন কমিশনের (ইসিতে) ৩৬ নম্বর নিবন্ধন ফিরে পেল জাগপা।  

বুধবার (১৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ এবং বিচারপতি ফয়েজ আহমেদের দ্বৈত বেঞ্চ এ রায় দেন। 

জাগপা ১৯৮০ সালের ৬ এপ্রিল শফিউল আলম প্রধানের নেতৃত্বে যাত্রা শুরু করে। 

রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা অনুযায়ী, ২০০৮ সালের ২০ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন থেকে নিবন্ধন পায় জাগপা। এক যুগেরও বেশি সময় পর ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশন জাগপার নিবন্ধন বাতিল করে। সে সময় ইসির এ সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিল। 

নিবন্ধন ফিরে পাওয়ায় জাগপা সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান বলেন, ‘মহান রাব্বুল আলামীনের দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি। আমরা আমাদের রাজনৈতিক অধিকার ফিরে পেয়েছি। দেশ ও জনগণের প্রয়োজনে জাগপার সংগ্রাম চলবে।’ 

জাগপা সহসভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান বলেন, “নিবন্ধন বাতিলের পক্ষে তৎকালীন ইসি কাগজে-কলমে যেই কারণই দেখাক না কেনো, মূল কারণ ছিল জাগপার রাজনীতি, ভারতীয় আধিপত্যবাদ এবং আগ্রাসন বিরোধী অবস্থান। তাই ভারতীয় ‘র’ এর পরিকল্পনায় এবং ভারতের সেবাদাসী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার নির্দেশনায় জাগপার নিবন্ধন বাতিল করা হয়। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা এবং ভারতীয় আগ্রাসনমুক্ত বাংলাদেশে সত্যের জয় হয়েছে। শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহিদদের এবং লড়াকু সৈনিকদের, যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি এবং জাগপা তার রাজনৈতিক অধিকার নিবন্ধন ফিরে পেয়েছে।”

শফিকুল/পপি/

সাতক্ষীরায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল মাটিতে মিশিয়ে উচ্ছ্বাস

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ১১:৫৫ এএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ১২:০২ পিএম
সাতক্ষীরায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল মাটিতে মিশিয়ে উচ্ছ্বাস
সাতক্ষীরায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল মাটিতে মিশিয়ে দিয়ে এভাবেই উল্লাস করে স্টাইল দিচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। ছবি: খবরের কাগজ

সাতক্ষীরার খুলনা রোডে শহিদ আসিফ চত্বরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাত তিনটার পরে ম্যুরালটি মাটির সঙ্গে মিশানোর মাধ্যমে নিশ্চিহ্ন করা হলো সাতক্ষীরায় সর্বশেষ অবশিষ্ট থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই ম্যুরালটি।

এদিকে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরার পৃথক দুটি স্থানের বিলবোর্ডে ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’ লেখা ভেসে ওঠে। প্রথম লেখাটি ভেসে ওঠে সাতক্ষীরা জেলা শহরের খুলনা রোডের মোড়ে গ্রীন লাইফ হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এবং অপর লেখাটি ভেসে ওঠে সাতক্ষীরা সিটি কলেজ মোড় সংলগ্ন একটি ইজিবাইক শো-রুমের বিলবোর্ড। এ ঘটনায় সবশেষে প্রতিবাদের অংশ হিসেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সমন্বয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল।

বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাতক্ষীরার আহ্বায়ক আরাফাত হোসেন বলেন, ‘প্রতিবাদের অংশ হিসেবে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের পিতার ম্যুরাল গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’

নাজমুল জাকির/সুমন/

জয়পুরহাটে বিএনপি নেতার নেতৃত্বে থানায় হামলা, পুলিশসহ আহত ৬

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ১১:৩০ এএম
জয়পুরহাটে বিএনপি নেতার নেতৃত্বে থানায় হামলা, পুলিশসহ আহত ৬
জয়পুরহাটে বিএনপি নেতাকর্মীদের আক্রমণে আহত পুলিশ সদস্য। ইনসেটে বিএনপি নেতাদের থানা ঘেরাও। ছবি: খবরের কাগজ

জয়পুরহাটে চাঁদা দাবিকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতার নেতৃত্বে থানায় হামলা হয়েছে। এ ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্যসহ ছয়জন আহত হয়েছেন। 

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় ক্ষেতলাল থানায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় বিএনপির নেতাকর্মীরা থানা ঘেরাও করেন। পরে সেনাবাহিনী ও অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আহতরা হলেন, ক্ষেতলাল থানার পুলিশ কনস্টেবল কাজী জাফর ও পুলিশ কনস্টেবল সুমন মিয়া, পৌর এলাকার শাখারুঞ্জ গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন, একই গ্রামের আমিরুল ইসলাম, বগুড়ার শাহজাহানপুরের রফিক ও আব্দুল মমিন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ক্ষেতলাল পৌর এলাকার শাখারুঞ্জ গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন নামে এক ব্যক্তি মঙ্গলবার জমি রেজিস্ট্রি করতে উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে আসেন। এসময় স্থানীয় পৌর বিএনপির ৯ নং ওয়ার্ডের সভাপতি কবির চৌধুরীর নেতৃত্বে কয়েকজন তার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। তিনি চাঁদা দিতে না চাইলে তারা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী আশিক পার্থকে বিষয়টি জানায়। এরপর পার্থ সেখানে গিয়ে চাঁদা না দিলে দলিল রেজিস্ট্রি করতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দেন। তাকে বাধা দিতে গেলে তোফাজ্জলসহ তার চার আত্মীয়কে মেরে রক্তাক্ত করেন বিএনপি নেতারকর্মীরা। 

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশ থানা থেকে তোফাজ্জলকে গুরুতর আহত অবস্থায় ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করান।

এদিকে থানায় পুলিশ হেফাজতে থাকা বাকি তিনজনকে ছিনিয়ে নেওয়ার উদ্দেশে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী আশিক পার্থের নেতৃত্বে শতাধিক লোকজন থানায় আক্রমণ করে দায়িত্বরত দুই পুলিশ সদস্যকে আহত করে থানা অবরুদ্ধ করে। তখন পুলিশ সেনাবাহিনীকে বিষয়টি জানালে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে এসে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল থেকে তিনজন ও পরে আরও দুইজনকে আটক করা হয়।

পরে খবর পেয়ে পুলিশ সুপার আব্দুল ওয়াহাবের নেতৃত্বে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত ফোর্স, জেলা গোয়েন্দা শাখা ও কালাই থানা পুলিশের শতাধিক সদস্য থানায় অবস্থান নেন।

এ প্রসঙ্গে ক্ষেতলাল উপজেলা বিএনপির সভাপতি খালেদুল মাসুদ আঞ্জুমান বলেন, ‘দলের কেউ অপরাধ করলে তার বিরুদ্ধে দলীয় ব‍্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ ছাড়া ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান সরকার বলেন, ‘থানায় হামলা করে পুলিশকে মারপিটের ঘটনায় মোট পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। জড়িত বাকিদের আটকের চেষ্টা চলছে।’

সাগর কুমার/নাইমুর/

চট্টগ্রামে ইফতারের মোড়কে চলছে ভোটের প্রচার

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৯:২৪ এএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ১১:২৩ এএম
চট্টগ্রামে ইফতারের মোড়কে চলছে ভোটের প্রচার
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের লোগো

চট্টগ্রামের ১৬টি সংসদীয় আসনে রমজান মাসের ইফতারকে ঘিরে অনেকটা নির্বাচনি আমেজ বইতে শুরু করেছে। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীর সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রতিদিন কোথাও না কোথাও ইফতারের আয়োজন করছেন। পিছিয়ে নেই এলডিপিসহ ছোট দলের বড় নেতারাও। এটা রমজান মাসে সাধারণ মানুষের মধ্যে বাড়তি পাওনা এবং আমেজ যোগ করেছে।

সাধারণ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অন্যান্য বছরের মতো চট্টগ্রামের বড় শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীরা ঢাক-ঢোল পিটিয়ে সাহরি ও ইফতার সামগ্রী বিতরণ করছেন না। কেউ কেউ নিজের মতো করে অসহায় মানুষের মধ্যে পণ্য ও জাকাতের টাকা পৌঁছে দিচ্ছেন। আবার অনেকেই ৫ আগস্টের পর দেশে নেই। তবে তাদের অভাব কিছুটা পূরণ করছেন রাজনীতিক এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। চট্টগ্রামের প্রতিটি আসনে বিএনপির একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থী থাকায় নিজেদের মধ্যেই ইফতার আয়োজনের প্রতিযোগিতা বেড়েছে। এ কারণে গরিব-অসহায় মানুষরা বাড়তি সুবিধা পাচ্ছেন। শহরের প্রতিটি কমিউনিটি সেন্টার, হল, রেস্টুরেন্ট, মফস্বলের স্কুল মাঠ, কমিউনিটি সেন্টার, এলাকার মসজিদ প্রাঙ্গণ, সব জায়গায় প্রতিদিন ইফতারের আয়োজন চলছে। আবার কোথাও গরিব অসহায়দের মধ্যে সাহরি ও ইফতারের সরঞ্জাম বিতরণ করা হচ্ছে। এসব অনুষ্ঠানে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা কে কাকে সংসদে দেখতে চায়, তাও প্রকাশ করে ফেলছেন। যখন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, তখন যেন তার নেতাকে ভোট দেয় সেই আহ্বানও জানিয়ে রাখছেন তারা।

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সহ-সম্পাদক নুর উদ্দিন নুরু খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমরা যারা বিএনপির রাজনীতি করি, আমাদের জনগণ থেকে বার বার দূরে সরানোর চেষ্টা করেছে। রমজান মাসে সাহরি ও ইফতারি সামগ্রী কিংবা অন্য কোনো দুর্যোগে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মানবিক কাজেও বাধা দিয়েছে। এখন ফ্যাসিবাদের বিদায় হয়েছে। আমাদের নেতা তারেক রহমানের নির্দেশে আমাদের নেতা-কর্মীরা সাধারণ মানুষের জন্য মনপ্রাণ ঢেলে কাজ করে যাচ্ছেন। এর মাধ্যমে সাধারণ রমজানের ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে বাড়তি আনন্দ যোগ হয়েছে।’

এদিকে তৃণমূল পর্যায়ের এসব আয়োজনের মাধ্যমে সম্ভাব্য প্রার্থীরা গ্রান্ডওয়ার্ক করে নিচ্ছেন। এলাকাভিত্তিক নির্বাচনি কর্মী জোগাড়ের কাজটিও তারা সেরে ফেলছেন। এসব কর্মীর মাধ্যমেই সাহরি ও ইফতার সামগ্রী বিতরণের টোকেন পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে দুঃস্থদের ঘরে। প্রার্থীরাও ছোট আয়োজনের মাধ্যমে ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন। অনেক প্রার্থী নিজে থেকে নির্বাচনের কথা না বললেও তাদের কর্মী-শুভাকাঙ্ক্ষীরা বলছেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বহদ্দারহাট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে গরিব-অসহায়দের মধ্যে ইফতারিসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান। তিনি মঞ্চে ওঠার পর থেকে যতজন সেখানে বক্তব্য রেখেছেন, তাদের সবাই তাকে চট্টগ্রাম-৮ আসনে এমপি হিসেবে দেখতে চান বলে উল্লেখ করেছেন।

জানতে চাইলে হাটহাজারী আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন খবরের কাগজকে বলেন, ‘দলীয় নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা এবার বড় ইফতার মাহফিলের আয়োজন না করে ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়ে করছি। যেখানে আমাদের নেতা-কর্মীদের চেয়ে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি বেশি। রাতে সাহরি সামগ্রী দিই। এসব আয়োজনে থাকে না কোনো মঞ্চ। আমরা তাদের সঙ্গে মাটিতে বসেই ইফতার করি। তাদের সঙ্গে কথা বলি। তাদের আকাঙ্ক্ষার কথা শুনি। তারা চান, তাদের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি অতিদ্রুত সংসদে যাক। তারা ভোট দিতে চান। সেদিক দিয়ে বলতে গেলে ইফতার মাহফিলে কিছুটা নির্বাচনি আবহ তৈরি হচ্ছে, এটা বলা যায়।’

চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে জামায়াতে ইসলামী অনানুষ্ঠানিকভাবে তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে অনেক আগে। এ কারণে তাদের প্রার্থীরা সরাসরি ভোট চাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। সম্প্রতি চট্টগ্রাম ১০ আসনের শুলকবহর এলাকায় একটি ফুটবল টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আসেন শুলকবহর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও মহানগর জামায়াতে ইসলামীর সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি জানান, এই ওয়ার্ডে তিনি আর কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচন করবেন না। দলের অপর একজন নেতাকে তিনি কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন। এমপি নির্বাচিত হতে পারলে এলাকাবাসীর জন্য আরও বড় পরিসরে কাজ করার সুযোগ পাবেন উল্লেখ করে কিছু প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।

জানতে চাইলে অধ্যক্ষ হেলালী খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন সাধারণ মানুষের কাছে যেতে পারিনি। রমজান মাস উপলক্ষে সাহরি ও ইফতারিসামগ্রী নিয়ে আমরা তাদের কাছে হাজির হচ্ছি। তারাও আমাদের কাছে পেয়ে অনেক খুশি। তারা আমাদেরই ভোট দিতে চান। আমাদেরই নির্বাচিত করতে চান।’

এদিকে গত ১৬ মার্চ চট্টগ্রাম উত্তর দক্ষিণ ও মহানগর লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) উদ্যোগে নগরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। ওই আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন দলটির চেয়ারম্যান ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম। তিনি তার বক্তব্যে নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার নির্দেশনা দেওয়ার পাশাপাশি রাজনীতিবিদ এবং বর্তমান প্রশাসনেরও সমালোচনা করেন।

‘মাজারের পোড়া ছবি দেখিয়ে ভারতের মিডিয়া বাংলাদেশকে হেয় করছে’

প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ১০:৪২ পিএম
‘মাজারের পোড়া ছবি দেখিয়ে ভারতের মিডিয়া বাংলাদেশকে হেয় করছে’
আলোচনা সভা ও ইফতার অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। ছবি: খবরের কাগজ

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, “আগুনে পোড়া মাজারের ছবি দেখিয়ে ভারতের মিডিয়ার একাংশ বিশ্বে বাংলাদেশকে হেয় করছে। তারা বলছে, বাংলাদেশে এখন আর কোনো ভিন্নমতের জায়গা নেই। এটি একটি জঙ্গির দেশ হয়ে যাচ্ছে। ভারতীয় মিডিয়ার এই প্রচারণায় শক্তি যোগাচ্ছে, ‘মব’ আক্রমণ কিংবা কোনো নারীকে হেনস্তা করার ঘটনা। তা হলে ‘মব’ আক্রমণ ও ধর্ষণে ষড়যন্ত্র আছে কি না, সেইগুলো খুঁজুন। আবার ষড়যন্ত্রের কথা বলে সবকিছু জায়েজ করে দিয়েন না।”

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় বরিশাল নগরীর সদর রোড়ের কীর্তনখোলা মিলনায়তনে ‘সংবিধান সংস্কার পরিষদের নির্বাচন ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা’ বিষয়ক আলোচনা সভা ও ইফতার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গণসংহতি আন্দোলন বরিশাল জেলা শাখা এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গণসংহতি আন্দোলনের বরিশাল জেলা সমন্বয়কারী দেওয়ান আবদুর রশিদ নীলু। আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ডসহ স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।

জোনায়েদ সাকি আরও বলেন, ‘নানাভাবে মানুষের নিরাপত্তা হুমকি যে তৈরি হচ্ছে, তার মধ্যে ষড়যন্ত্র আছে কি না, সেগুলো খুঁজুন। তবে যারা এর বিরোধিতা করছে, ধর্ষণের বিচার চাইছে, মানুষের নিরাপত্তার দাবিতে রাস্তায় নামছে, সেখানে ষড়যন্ত্র খোঁজার কিছু নাই। কিন্তু পুলিশকে দেখছি ধর্ষণবিরোধী মিছিলের কারণে ছাত্রদের বিরুদ্ধে মামলা দিচ্ছে। অথচ মব আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারছে না।’

জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘নারীর ওপর যখন নিপীড়ন হয়, কোনো মাজারে হামলা হয় কিংবা কোনো ব্যক্তির ওপর মব আক্রমণ হয়, তখন মানুষ উত্তেজিত তো হবেই। এটা কি অভ্যুত্থানের চেতনা, অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা? অভ্যুত্থান বলেছে, প্রত্যেকের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হবে। প্রত্যেক ধর্ম গোষ্ঠীর ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হবে।’