ঢাকা ১০ চৈত্র ১৪৩১, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
English

৭ বছর পর বিএনপির বর্ধিত সভা

প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৪৩ পিএম
আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৪৪ পিএম
৭ বছর পর বিএনপির বর্ধিত সভা
খবরের কাগজ গ্রাফিকস

প্রায় সাত বছর পর আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি বর্ধিত সভা করতে যাচ্ছে বিএনপি।

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়েএক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা জানান দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর লো মেরিডিয়ান হোটেলে বিএনপির বর্ধিত সভা ডেকেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এর তিনদিন পরে ৮ ফেব্রুয়ারি তিনি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজা নিয়ে কারাগারে যান।

রিজভী জানান, দলের বর্ধিত সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, উপদেষ্টামণ্ডলী, জেলা, মহানগর, থানা, উপজেলার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সদস্যরা এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতিও সাধারণ সম্পাদকরা অংশ নেবেন।

বর্ধিত সভা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে রুহুল কবির রিজভীকে আহ্বায়ক করে ২৭ সদস্যের বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটির সদস্যরা হলেন- খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন-নবী খান সোহেল, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীরপাভেল, কাজী ছাইয়েদুল আলম বাবুল, মাহবুবের রহমান শামীম, অ্যাডভোকেট সৈয়দ শাহীন শওকত, আসাদুল হাবিব দুলু, আলহাজ্ব জি কে গউছ, অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, শরিফুল আলম, শামা ওবায়েদ,অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, আজিজুল বারী হেলাল, এবিএম মোশাররফ হোসেন, রকিবুল ইসলাম বকুল, মীর সরফত আলী সপু, প্রফেসর ড.মোর্শেদ হাসান খান, ডা. রফিকুল ইসলাম, রফিকুল আলম মজনু, আমিনুল হক।

এর মধ্যে ব্যবস্থাপনা কমিটির আহ্বায়হক হলেন শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, অভ্যর্থনা কমিটির আহ্বায়ক হাবিব উন-নবী খান সোহেল ও সদস্য আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী,আপ্যায়ন কমিটির আহ্বায়ক এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, শৃঙ্খলা কমিটির আহ্বায়ক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মিডিয়া কমিটির আহ্বায়ক মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, চিকিৎসাসেবা কমিটির আহ্বায়ক ডা. রফিকুল ইসলাম।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন-বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন-নবী খান সোহেল, এমরান সালেহ প্রিন্স, আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু ও সাংগঠনিক সম্পাদক সাইয়েদুল আলম বাবুল প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/এমএ/

‘হাসনাত-সারজিসের মন্তব্য আরেকটা ওয়ান ইলেভেনের প্রেক্ষাপট তৈরির নামান্তর’

প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৫, ১০:৩২ পিএম
‘হাসনাত-সারজিসের মন্তব্য আরেকটা ওয়ান ইলেভেনের প্রেক্ষাপট তৈরির নামান্তর’
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। ছবি: খবরের কাগজ

হাসনাত-সারজিস কিংবা নাগরিক পার্টি-সংশ্লিষ্ট ছাত্রদের সাম্প্রতিক মন্তব্য আরেকটা ওয়ান ইলেভেনের প্রেক্ষাপট তৈরির নামান্তর বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।

তিনি বলেছেন, তাদের বয়স ২৩-২৪ বছর, তারা ছাত্র যাই হোক না কেন, তাদের কথার গুরুত্ব আছে। তাদের কথা মানুষ শোনেন। ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব, সোশ্যাল মিডিয়ার মতো ট্রেন্ডে আছেন তারা, ক্লিক করলেই তাদের নিউজ দেখা যায়। বিশেষ করে নতুন রাজনৈতিক দল নাগরিক পার্টির সংশ্লিষ্ট ছাত্র-নেতাদের যে বক্তব্য শুনলাম, সেটা দেশের মধ্যে চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা তৈরি করেছে। কয়েকদিন ধরে সাধারণ মানুষ থেকে প্রশাসন- সর্বত্র একটা অস্থিরতা লক্ষ্য করেছি। 

সোমবার (২৪ মার্চ) দুপুরে বরিশাল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে গণঅধিকার পরিষদের বরিশাল মহানগর ও জেলা কমিটির কর্মিসভা শুরুর আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

নুর বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে, আওয়ামী লীগের অপতৎপরতা নতুন করে শুরু হয়েছে।’ 

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের প্রধান এবং পতিত স্বৈরাচার সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের বাইরে দিল্লি থেকে নানা ধরনের উসকানিমূলক ষড়যন্ত্র বক্তব্য দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করা এবং তার নেতা-কর্মীদের উত্তেজিত করে তুলছেন। রাস্তায় নামিয়ে নৈরাজ্য তৈরির অপচেষ্টা করে আসছেন।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার অপতৎপরতার দায় দিল্লি এড়াতে পারে না। ভারত যদি বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করতে চায় তাহলে বাংলাদেশের গণহত্যাকারী শেখ হাসিনা এবং গণহত্যার দোসর আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীদের ফেরত দিতে হবে।’



এ্যাবের উদ্যোগে পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ

প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৫, ১০:২৩ পিএম
এ্যাবের উদ্যোগে পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ
এ্যাবের উদ্যোগে পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ। ছবি: খবরের কাগজ

প্রকৌশলীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের (এ্যাব) সদ্য সাবেক কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির নেতাদের উদ্যোগে দ্বিতীয় দিনের মতো সাধারণ পথচারী ও প্রান্তিক মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করা হয়েছে।

সোমবার (২৪ মার্চ) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই আয়োজন করা হয়।  

ইফতার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এ্যাবের সদ্য সাবেক মাহাসচিব প্রকৌশলী আলমগীর হাছিন আহমেদ, প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন তালুকদার, প্রকৌশলী এটিএম তানভির-উল হাসান তমাল, প্রকৌশলী নিয়াজ উদ্দীন ভূঁইয়া ও প্রকৌশলী রুহুল আলম, প্রকৌশলী মুহাম্মাদ আহসানুল রাসেল ও প্রকৌশলী বশির শাকিল প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/সুমন/

স্বেচ্ছাসেবক দল অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া শাখার পরিচিতি সভা

প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৫, ১০:২২ পিএম
স্বেচ্ছাসেবক দল অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া শাখার পরিচিতি সভা
ছবি: সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়ায় জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল ভিক্টোরিয়া শাখার নবগঠিত কমিটির পরিচিতি সভা এবং তাদের উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (২৩ মার্চ) মেলবোর্নে বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকা ফুটস ক্রেতে স্বেচ্ছাসেবক দল ভিক্টোরিয়া শাখার আহ্বায়ক মো. রহমত উল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব আব্দুল রবের পরিচালনায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি এস এম জিলানী, আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক রাশেদুল হক।

এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইয়াসিন আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান বাংলাদেশ, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক (যুগ্ম সম্পাদক পদমর্যাদা) মো. অমি ফেরদৌস, স্বেচ্ছাসেবক দল অস্ট্রেলিয়া শাখার আহ্বায়ক মো. মশিউর রহমান তুহিন, সদসসচিব জাহিদুর রহমান। 

সালমান/

সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি করার চেষ্টা চলছে: তারেক রহমান

প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৫, ০৯:৪০ পিএম
সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি করার চেষ্টা চলছে: তারেক রহমান
দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: খবরের কাগজ

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে- এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। 

তিনি বলেন, ‘কদিন আগে আমরা দেখেছি সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে, ঠিক একইভাবে সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমি একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে বুঝি, এর পেছনে কোনো না কোনো ষড়যন্ত্র রয়েছে। দেশপ্রেমিক সব মানুষ যদি সচেতন ও সতর্ক থাকি, তাহলে অবশ্যই আমরা এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে সক্ষম হব। আমাদের যেকোনো মূল্যে এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে।’

সোমবার (২৪ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর লেডিস ক্লাবে বিএনপি মিডিয়া সেল আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। 

তারেক রহমান আরও বলেন, ‘বিগত স্বৈরাচার সরকার রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আমরা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দিকে তাকিয়ে থাকি। সেই সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’

সাংবাদিকদের সতর্ক থাকার পাশাপাশি সত্য ঘটনা প্রকাশ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সাংবাদিক সমাজের একজন সদস্য হিসেবে এখানে আপনাদের বিরাট ভূমিকা আছে। বর্তমানে বিভিন্ন বিষয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আপনারা যদি আপনাদের জায়গা থেকে সত্য ঘটনা তুলে ধরেন, তাহলে আমরা এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে সক্ষম হব। ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধারা জীবন উৎসর্গ করেছে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌমত্ব বাংলাদেশের জন্য। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের মানুষের অধিকার সমন্নুত রাখার জন্য সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ তাদের জীবন দিয়েছে। গত ১৬-১৭ বছরে গণতান্ত্রিক উত্তরণের লড়াইয়ে যারা গুম-খুনের শিকার হয়েছেন, তাদের ত্যাগ যেন বৃথা না যায়, তা নিয়ে আসুন আমরা কাজ করি।’ 

তারেক রহমান বলেন, ‘জুলাই-আগস্টে যেসব নাগরিক স্বৈরাচারকে বিদায় করার জন্য, নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন দিয়েছেন, প্রতিটি মানুষের এই জীবন উৎসর্গ যেন সার্থক হয়, তার জন্য সবাইকে এক প্ল্যাটফর্মে এসে দাঁড়াতে হবে। আমাদের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। আমাদের সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখতে হবে।’

বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘কোথাও কেউ একজন কিছু একটা করার চেষ্টা করছে। পতিত স্বৈরাচার সরকারের একটি অংশ এখনো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। আমরা যদি একসঙ্গে কাজ করি তাহলে এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে সক্ষম হব। আমাদের সর্বপ্রথম এবং একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত- এই দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার যেকোনো মূল্যে প্রতিষ্ঠা করা ও দেশের মানুষের অর্থনীতির স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমরা সবাই মিলে একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে পারব।’

বিএনপির পক্ষ থেকে উত্থাপিত সংস্কার প্রস্তাবের কথা তুলে ধরে তারেক রহমান বলেন, ‘সে সময়ে যেভাবে সাংবাদিকরা আমাদের পাশে ছিলেন এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণে বাংলাদেশের পাশে ছিলেন, সেজন্য তাদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা।’ আগামী দিনেও তিনি সাংবাদিকদের বিএনপির পাশে থাকার আহ্বান জানান।

ইফতার মাহফিলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব যেন বিপন্ন হয়, আমরা যেন আবার অরক্ষিত হয়ে পড়ি, আমাদের সেই দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী, যারা দেশের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে জাতির পাশে এসে দাঁড়িয়েছে, তাদের আবার বিতর্কিত করার হীন প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আজকে অত্যন্ত সুনিপুণভাবে একটি নতুন চক্রান্ত শুরু হয়েছে। চক্রান্ত হচ্ছে বাংলাদেশকে আবার অস্থিতিশীল করার, আবার বিপদে নিমজ্জিত করার জন্য। বাংলাদেশের যে প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তাদেরও বিতর্কিত করে ফেলা হচ্ছে। বিশেষ করে সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করে ফেলা হচ্ছে। এর পেছনে বড় কোনো উদ্দেশ্য থাকতে পারে না, এটার উদ্দেশ্য একটাই, ঠিক অতীতে ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে যেভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করা হয়েছে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘দেশে একটি ব্যতিক্রমী অবস্থা বিরাজ করছে। কখনো নতুন রাজনৈতিক দল, কখনো পুরোনো রাজনৈতিক দল, কখনো প্রফেশনাল লোকের কথাবার্তা শুনে যতটুক আশান্বিত হয়েছিলাম, ততটুকু হতাশ হচ্ছি। কেমন জানি একটা পরিস্থিতি বিরাজ করছে, যেটা বিশ্লেষণ করা খুবই কঠিন। শুধু বলব, যেমন আবহাওয়া থাকুক, ৫ আগস্টের আগে যেমন পরিস্থিতি ছিল, ৫ আগস্টের পরের পরিস্থিতি অটুট রাখতে হবে। তা না হলে দেশের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে। দেশের অস্তিত্বকে নষ্ট করার জন্য দেশে-বিদেশে বহু চক্র কাজ করছে।’

ইফতার মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ আলমগীর হোসেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এবং মিডিয়া সেলের সদস্যসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, মিডিয়া সেলের সদস্য ড. মোর্শেদ হাসান খান, আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. মাহাদী আমিন, সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান, চেয়ারপারসনের প্রেস উইং শামসুদ্দিন দিদারসহ অন্যরা। 

আগামীতে মানুষ দল বা মার্কা দেখে ভোট দেবে না: সারজিস

প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৫, ০৯:২২ পিএম
আগামীতে মানুষ দল বা মার্কা দেখে ভোট দেবে না: সারজিস
পথসভায় বক্তব্য রাখেন এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। ছবি: খবরের কাগজ

আগামীর বাংলাদেশে মানুষ দল বা মার্কা দেখে নয়, কাজ দেখে ভোট দেবেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

একই সঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, আগামীর বাংলাদেশে কে কেমন কাজ করেছে, মানুষের কাছে সেটাই প্রাধান্য পাবে। সেই কাজ দেখে ভোট দেবে। জাতীয় নাগরিক পার্টি নিয়ে খুব শিগগির ভোটারদের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে যাবেন বলেও জানান তিনি। 

সোমবার (২৪ মার্চ) দুপুরে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার বিজয় চত্বরে এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সারজিস আলম বলেন, ‘বিগত দিনে সাধারণ মানুষকে নেতারা বিভিন্নভাবে ব্যবহার করেছেন। তারা ভোটের আগের দিন ভোট চাইতে যান। আর ভোট পার হলে একটা পিয়ন পদ আর একটা ভিজিডি কার্ড আর একটা বয়স্ক ভাতার কার্ড, যে কাজেই তার কাছে যান না কেন, তা হওয়ার আগেই তারা টাকার জন্য হাত পেতে বসে থাকেন। নতুন বাংলাদেশে এগুলো আর হতে দেওয়া যাবে না। যারা জনপ্রতিনিধি হিসেবে কাজ না করে সাধারণ মানুষের অর্থ লুটপাট করবেন, তাদের আর এই বাংলাদেশে জনপ্রতিনিধি হিসেবে মেনে নেওয়া যাবে না। একটা জিনিস মনে রাখবেন, পাঁচ বছরে একদিন যদি আপনি তার কাছ থেকে কিছু নেন, তাহলে বাকি ৫ বছরে তিনি আপনার রক্ত চুষে খাবেন।’

একই সঙ্গে দল বা মার্কার ওপর অন্ধ বিশ্বাস স্থাপন না করে সবাইকে কাজের ওপর নজর দিয়ে দল ও প্রতিনিধি নির্বাচনের আহ্বান জানান তিনি। পথসভার মাধ্যমে জাতীয় নাগরিক পার্টির পাশে সবাইকে থাকার আহ্বান জানান তরুণ এই নেতা।

এর আগে তিনি ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর এয়ারপোর্টে নেমে সড়কপথে পঞ্চগড়ে পৌঁছে জেলার ৫ উপজেলার উদ্দেশে পথসভা শুরু করেন। মানুষের বিভিন্ন মতামত নেওয়ার চেষ্টাও করেন তিনি।

সারজিস আলম এনসিপির দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথমবারের মতো নিজ জেলা পঞ্চগড়ে আগমন করায় তাকে সংবর্ধনা জানান ছাত্র-জনতা, সাধারণ মানুষসহ জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতা-কর্মীরা। এ সময় জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা শতাধিক গাড়ি নিয়ে সমর্থকরা সারজিসকে বরণ করেন।গ