ঢাকা ১০ চৈত্র ১৪৩১, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
English

এক-এগারোর ইঙ্গিত নতুন করে আসছে: মঈন খান

প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:১৬ পিএম
এক-এগারোর ইঙ্গিত নতুন করে আসছে: মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, মানুষ ২০১৪, ১৮ ও ২৪ সালের নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলে। কিন্তু ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে যে নির্বাচন হলো সেটা নিয়ে কেন প্রশ্ন তোলে না? এক-এগারোর যে পরিকল্পনা ছিল, বিরাজনীতিকরণ; সেই সমস্যা আজকে কিন্তু দেখতে পাচ্ছি। আমাকে ক্ষমা করবেন। তার একটি ইঙ্গিত নতুন করে চলে এসেছে।

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কেমন প্রার্থী চাই’ বিষয়ক জাতীয় সংলাপে তিনি এই আশঙ্কা প্রকাশ করেন। এ সেমিনার আয়োজন করে স্কুল অব লিডারশীপ ইউএসএ নামের একটি প্রতিষ্ঠান।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে মঈন খান বলেন, এখানে আলোচনা করতে এসেছি নির্বাচনে কেমন প্রার্থী চাই। বিরাজনীতিকরণ হলে এসব কিন্তু ভেস্তে যাবে। সরকার যদি নিজেই জবাবদিহিমূলক না থাকে, তাহলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়ে সবকিছু নির্ধারণ করা যায়না। 

বিএনপির চলমান আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় কোটা আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন হয়েছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান দায়িত্ব হলো স্বৈরাচারী পদ্ধতি থেকে আমাদেরকে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে রূপান্তরিত করবে। এজন্যই এই সরকার। এটাই দেশের ১৮ কোটি মানুষের চাওয়া।

মঈন খান বলেন, কেউ বলেন আগে সংস্কার পরে নির্বাচন। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। এটা চলতেই থাকবে। সংস্কার শেষ করে নির্বাচন হতে হবে এটা কোনো যুক্তি হতে পারে না। অত্যাবশ্যকীয় সংস্কার করতে হবে। নির্বাচন শেষে কি সংস্কার বন্ধ হয়ে যাবে? আইনের যদি প্রয়োগ না থাকে তাহলে হাজার হাজার আইন করে কোনো লাভ নেই।

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, পদ-পদবি, এমপি-মন্ত্রী হওয়াই যদি মুখ্য হয়, তাহলে রাজনীতি তো মুখ্য হয় না। আজকে ফুলের মালা দিচ্ছে, কাল ক্ষমতা গেলে আমাকে প্রশ্ন করবে জনগণ। এটাই গণতন্ত্রে হওয়া উচিৎ। ক্ষমতায় আসলে বিত্ত-বৈভব সব তার, এ চিন্তা থেকে প্রার্থীসহ সবাইকে বেরিয়ে আসতে হবে। 

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যদি গণতন্ত্র বিশ্বাস করি তাহলে জনগণের ওপর আমাদের বিশ্বাস রাখতে হবে। তাদের মতামতকে গুরুত্ব দিতে হবে। আমার এলাকার ৪ লাখ ভোটারের মধ্যে একজন সৎ হলে আমি ওই একজনের দিকেই যাব।

সেমিনারে অংশ নিয়ে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, দলবাজি করে কর্মী নিয়ে রাস্তায় হাঁটলে চলবে না, কাঠামোগত পরিবর্তন দরকার। মন জয় করেই নেতা হতে হবে।

তিনি বলেন, ‘সত্যিকারের নারী ক্ষমতায়নের জন্য সরাসরি নির্বাচনে কত শতাংশ নারী প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হবে, তা পরিষ্কার করতে হবে রাজনৈতিক দলগুলোকে।

স্কুল অব লিডারশিপের ভাইস প্রেসিডেন্ট মেজর (অব.) রুহুল আমিন চৌধুরীসভাপতিত্বে এবং নির্বাহী পরিচালক ড. জামিল আহমেদের সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসনের অধ্যাপক এ কে মতিনুর রহমান। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজসহ রাজনীতিবিদ, গবেষক, সুশীল সমাজ, পেশাজীবী বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

শফিকুল ইসলাম/মাহফুজ

এ্যাবের উদ্যোগে পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ

প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৫, ১০:২৩ পিএম
এ্যাবের উদ্যোগে পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ
এ্যাবের উদ্যোগে পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ। ছবি: খবরের কাগজ

প্রকৌশলীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের (এ্যাব) সদ্য সাবেক কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির নেতাদের উদ্যোগে দ্বিতীয় দিনের মতো সাধারণ পথচারী ও প্রান্তিক মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করা হয়েছে।

সোমবার (২৪ মার্চ) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই আয়োজন করা হয়।  

ইফতার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এ্যাবের সদ্য সাবেক মাহাসচিব প্রকৌশলী আলমগীর হাছিন আহমেদ, প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন তালুকদার, প্রকৌশলী এটিএম তানভির-উল হাসান তমাল, প্রকৌশলী নিয়াজ উদ্দীন ভূঁইয়া ও প্রকৌশলী রুহুল আলম, প্রকৌশলী মুহাম্মাদ আহসানুল রাসেল ও প্রকৌশলী বশির শাকিল প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/সুমন/

স্বেচ্ছাসেবক দল অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া শাখার পরিচিতি সভা

প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৫, ১০:২২ পিএম
স্বেচ্ছাসেবক দল অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া শাখার পরিচিতি সভা
ছবি: সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়ায় জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল ভিক্টোরিয়া শাখার নবগঠিত কমিটির পরিচিতি সভা এবং তাদের উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (২৩ মার্চ) মেলবোর্নে বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকা ফুটস ক্রেতে স্বেচ্ছাসেবক দল ভিক্টোরিয়া শাখার আহ্বায়ক মো. রহমত উল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব আব্দুল রবের পরিচালনায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি এস এম জিলানী, আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক রাশেদুল হক।

এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইয়াসিন আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান বাংলাদেশ, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক (যুগ্ম সম্পাদক পদমর্যাদা) মো. অমি ফেরদৌস, স্বেচ্ছাসেবক দল অস্ট্রেলিয়া শাখার আহ্বায়ক মো. মশিউর রহমান তুহিন, সদসসচিব জাহিদুর রহমান। 

সালমান/

সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি করার চেষ্টা চলছে: তারেক রহমান

প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৫, ০৯:৪০ পিএম
সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি করার চেষ্টা চলছে: তারেক রহমান
দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: খবরের কাগজ

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে- এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। 

তিনি বলেন, ‘কদিন আগে আমরা দেখেছি সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে, ঠিক একইভাবে সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমি একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে বুঝি, এর পেছনে কোনো না কোনো ষড়যন্ত্র রয়েছে। দেশপ্রেমিক সব মানুষ যদি সচেতন ও সতর্ক থাকি, তাহলে অবশ্যই আমরা এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে সক্ষম হব। আমাদের যেকোনো মূল্যে এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে।’

সোমবার (২৪ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর লেডিস ক্লাবে বিএনপি মিডিয়া সেল আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। 

তারেক রহমান আরও বলেন, ‘বিগত স্বৈরাচার সরকার রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আমরা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দিকে তাকিয়ে থাকি। সেই সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’

সাংবাদিকদের সতর্ক থাকার পাশাপাশি সত্য ঘটনা প্রকাশ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সাংবাদিক সমাজের একজন সদস্য হিসেবে এখানে আপনাদের বিরাট ভূমিকা আছে। বর্তমানে বিভিন্ন বিষয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আপনারা যদি আপনাদের জায়গা থেকে সত্য ঘটনা তুলে ধরেন, তাহলে আমরা এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে সক্ষম হব। ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধারা জীবন উৎসর্গ করেছে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌমত্ব বাংলাদেশের জন্য। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের মানুষের অধিকার সমন্নুত রাখার জন্য সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ তাদের জীবন দিয়েছে। গত ১৬-১৭ বছরে গণতান্ত্রিক উত্তরণের লড়াইয়ে যারা গুম-খুনের শিকার হয়েছেন, তাদের ত্যাগ যেন বৃথা না যায়, তা নিয়ে আসুন আমরা কাজ করি।’ 

তারেক রহমান বলেন, ‘জুলাই-আগস্টে যেসব নাগরিক স্বৈরাচারকে বিদায় করার জন্য, নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন দিয়েছেন, প্রতিটি মানুষের এই জীবন উৎসর্গ যেন সার্থক হয়, তার জন্য সবাইকে এক প্ল্যাটফর্মে এসে দাঁড়াতে হবে। আমাদের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। আমাদের সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখতে হবে।’

বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘কোথাও কেউ একজন কিছু একটা করার চেষ্টা করছে। পতিত স্বৈরাচার সরকারের একটি অংশ এখনো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। আমরা যদি একসঙ্গে কাজ করি তাহলে এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে সক্ষম হব। আমাদের সর্বপ্রথম এবং একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত- এই দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার যেকোনো মূল্যে প্রতিষ্ঠা করা ও দেশের মানুষের অর্থনীতির স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমরা সবাই মিলে একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে পারব।’

বিএনপির পক্ষ থেকে উত্থাপিত সংস্কার প্রস্তাবের কথা তুলে ধরে তারেক রহমান বলেন, ‘সে সময়ে যেভাবে সাংবাদিকরা আমাদের পাশে ছিলেন এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণে বাংলাদেশের পাশে ছিলেন, সেজন্য তাদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা।’ আগামী দিনেও তিনি সাংবাদিকদের বিএনপির পাশে থাকার আহ্বান জানান।

ইফতার মাহফিলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব যেন বিপন্ন হয়, আমরা যেন আবার অরক্ষিত হয়ে পড়ি, আমাদের সেই দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী, যারা দেশের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে জাতির পাশে এসে দাঁড়িয়েছে, তাদের আবার বিতর্কিত করার হীন প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আজকে অত্যন্ত সুনিপুণভাবে একটি নতুন চক্রান্ত শুরু হয়েছে। চক্রান্ত হচ্ছে বাংলাদেশকে আবার অস্থিতিশীল করার, আবার বিপদে নিমজ্জিত করার জন্য। বাংলাদেশের যে প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তাদেরও বিতর্কিত করে ফেলা হচ্ছে। বিশেষ করে সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করে ফেলা হচ্ছে। এর পেছনে বড় কোনো উদ্দেশ্য থাকতে পারে না, এটার উদ্দেশ্য একটাই, ঠিক অতীতে ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে যেভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করা হয়েছে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘দেশে একটি ব্যতিক্রমী অবস্থা বিরাজ করছে। কখনো নতুন রাজনৈতিক দল, কখনো পুরোনো রাজনৈতিক দল, কখনো প্রফেশনাল লোকের কথাবার্তা শুনে যতটুক আশান্বিত হয়েছিলাম, ততটুকু হতাশ হচ্ছি। কেমন জানি একটা পরিস্থিতি বিরাজ করছে, যেটা বিশ্লেষণ করা খুবই কঠিন। শুধু বলব, যেমন আবহাওয়া থাকুক, ৫ আগস্টের আগে যেমন পরিস্থিতি ছিল, ৫ আগস্টের পরের পরিস্থিতি অটুট রাখতে হবে। তা না হলে দেশের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে। দেশের অস্তিত্বকে নষ্ট করার জন্য দেশে-বিদেশে বহু চক্র কাজ করছে।’

ইফতার মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ আলমগীর হোসেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এবং মিডিয়া সেলের সদস্যসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, মিডিয়া সেলের সদস্য ড. মোর্শেদ হাসান খান, আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. মাহাদী আমিন, সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান, চেয়ারপারসনের প্রেস উইং শামসুদ্দিন দিদারসহ অন্যরা। 

আগামীতে মানুষ দল বা মার্কা দেখে ভোট দেবে না: সারজিস

প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৫, ০৯:২২ পিএম
আগামীতে মানুষ দল বা মার্কা দেখে ভোট দেবে না: সারজিস
পথসভায় বক্তব্য রাখেন এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। ছবি: খবরের কাগজ

আগামীর বাংলাদেশে মানুষ দল বা মার্কা দেখে নয়, কাজ দেখে ভোট দেবেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

একই সঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, আগামীর বাংলাদেশে কে কেমন কাজ করেছে, মানুষের কাছে সেটাই প্রাধান্য পাবে। সেই কাজ দেখে ভোট দেবে। জাতীয় নাগরিক পার্টি নিয়ে খুব শিগগির ভোটারদের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে যাবেন বলেও জানান তিনি। 

সোমবার (২৪ মার্চ) দুপুরে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার বিজয় চত্বরে এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সারজিস আলম বলেন, ‘বিগত দিনে সাধারণ মানুষকে নেতারা বিভিন্নভাবে ব্যবহার করেছেন। তারা ভোটের আগের দিন ভোট চাইতে যান। আর ভোট পার হলে একটা পিয়ন পদ আর একটা ভিজিডি কার্ড আর একটা বয়স্ক ভাতার কার্ড, যে কাজেই তার কাছে যান না কেন, তা হওয়ার আগেই তারা টাকার জন্য হাত পেতে বসে থাকেন। নতুন বাংলাদেশে এগুলো আর হতে দেওয়া যাবে না। যারা জনপ্রতিনিধি হিসেবে কাজ না করে সাধারণ মানুষের অর্থ লুটপাট করবেন, তাদের আর এই বাংলাদেশে জনপ্রতিনিধি হিসেবে মেনে নেওয়া যাবে না। একটা জিনিস মনে রাখবেন, পাঁচ বছরে একদিন যদি আপনি তার কাছ থেকে কিছু নেন, তাহলে বাকি ৫ বছরে তিনি আপনার রক্ত চুষে খাবেন।’

একই সঙ্গে দল বা মার্কার ওপর অন্ধ বিশ্বাস স্থাপন না করে সবাইকে কাজের ওপর নজর দিয়ে দল ও প্রতিনিধি নির্বাচনের আহ্বান জানান তিনি। পথসভার মাধ্যমে জাতীয় নাগরিক পার্টির পাশে সবাইকে থাকার আহ্বান জানান তরুণ এই নেতা।

এর আগে তিনি ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর এয়ারপোর্টে নেমে সড়কপথে পঞ্চগড়ে পৌঁছে জেলার ৫ উপজেলার উদ্দেশে পথসভা শুরু করেন। মানুষের বিভিন্ন মতামত নেওয়ার চেষ্টাও করেন তিনি।

সারজিস আলম এনসিপির দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথমবারের মতো নিজ জেলা পঞ্চগড়ে আগমন করায় তাকে সংবর্ধনা জানান ছাত্র-জনতা, সাধারণ মানুষসহ জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতা-কর্মীরা। এ সময় জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা শতাধিক গাড়ি নিয়ে সমর্থকরা সারজিসকে বরণ করেন।গ

হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে নির্বাচনে সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছে ভারত: রাশেদ প্রধান

প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৫, ০৮:৫১ পিএম
আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২৫, ০৮:৫৫ পিএম
হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে নির্বাচনে সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছে ভারত: রাশেদ প্রধান
শ্রমিক জাগপা আয়োজিত শ্রমিক ও মেহনতি মানুষের সম্মানে গণইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) সহসভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান। ছবি: খবরের কাগজ

ভারতের সেবাদাস শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখার জন্য ভারত বিগত ৩টি জাতীয় নির্বাচনে সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) সহসভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান।

সোমবার (২৪ মার্চ) পুরানা পল্টনে শ্রমিক জাগপা আয়োজিত শ্রমিক ও মেহনতি মানুষের সম্মানে গণইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের জন্য এক্সক্লুসিভ নির্বাচন করে, শেখ হাসিনার পলায়নে ভারত এখন ইনক্লুসিভ নির্বাচন চায়। বিগত ৩টি নির্বাচনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয় নাই, হয়েছিল ভারতের মুখ্যমন্ত্রী। আর তাই শেখ হাসিনার গদি হারিয়ে, বাংলাদেশকে ভারতের করদ রাজ্য বানাতে না পেরে, ভারত এখন ইনক্লুসিভ নির্বাচনের কথা বলে।’

রাশেদ প্রধান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বিগত ১৬ বছর ধরে সোনার বাংলাকে গোরস্তান বানিয়েছে। নিজেদের বিলাসিতার জন্য দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে শ্রমিক, মজুর ও মেহনতি মানুষের নিঃস্ব করে দিয়েছে। এত এক্সক্লুসি-ইনক্লুসিভ বুঝি না, স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিতে চাই, গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের অপরাজনীতির কবর হয়েছে ৫ আগস্ট। এখন আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।’

শ্রমিক জাগপা সভাপতি আসাদুজ্জামান বাবুলের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন জাগপার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, জাগপা ঢাকা মহানগর আহ্বায়ক শ্যামল চন্দ্র সরকার, যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. সিরাজুল ইসলাম, এশিয়া মানবাধিকার সংস্থার যুগ্ম মহাসচিব রাইসুল ইসলাম চন্দন, যুব জাগপার দপ্তর সম্পাদক জনি নন্দী, শ্রমিক জাগপার যুগ্ম আহ্বায়ক আকবর হোসেন ও মাহবুব আলম প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/সুমন/