ঢাকা ৩ চৈত্র ১৪৩১, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
English

নড়াইল জেলা বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর-সম্পাদক মনিরুল পুনর্নির্বাচিত

প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:৩৮ পিএম
আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:১৯ পিএম
নড়াইল জেলা বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর-সম্পাদক মনিরুল পুনর্নির্বাচিত
নড়াইল জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে পুনর্নির্বাচিত হলেন বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম ও মনিরুল ইসলাম। ছবি : খবরের কাগজ

নড়াইল জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি পদে বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম ও সাধারণ সম্পাদক পদে মনিরুল ইসলাম পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন।

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির খুলনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ ইসলাম অমিত, খুলনা বিভাগের বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট গোলাম মোহাম্মদ, সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুল হক, অ্যাডভোকেট আলমগীর মিয়া শেখ ও অ্যাডভোকেট তারিকুজ্জামান লিটু।

নির্বাচনে জাহাঙ্গীর ৪৫৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জুলফিকার আলী মন্ডল পেয়েছেন ২৩৮ ভোট।

সাধারণ সম্পাদক পদে মনিরুল ইসলাম ৪৩৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শাহারিয়ার রিজভী জর্জ পেয়েছেন ২৬৩ ভোট।

সাংগঠনিক সম্পাদক পদে খন্দকার এজাজুল হাসান বাবু ২৯৭ ভোট, অ্যাডভোকেট মাহাবুব মুর্শেদ জাপল ২৭২ ভোট ও টিপু সুলতান ১২৪ ভোট পেয়ে যথাক্রমে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছেন।

রবিবার দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট অনুষ্ঠিত হয়। ৭০৭ জন ভোটারের মধ্যে ৭০১ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

এর আগে সকালে নড়াইল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

শরিফুল/নাইমুর/

৬ মাসেও দৃশ্যমান হয়নি অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো সংস্কার: আমিনুল হক

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ১০:০৭ পিএম
আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৫, ১০:৩৪ পিএম
৬ মাসেও দৃশ্যমান হয়নি অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো সংস্কার: আমিনুল হক
ছবি: সংগৃহীত

৬ মাসেও দৃশ্যমান হয়নি অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো সংস্কার বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আহ্বায়ক আমিনুল হক। 

রবিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর দক্ষিণখান থানার সামনে বালুর মাঠে দক্ষিণখান থানা বিএনপির কর্মীসভা ও রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফার কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এসময় তিনি অন্তবর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা গত ছয় মাসেও বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে যে সংস্কারের কথা বলছেন, এখনও পর্যন্ত কোনো সংস্কার জাতির সামনে দৃশ্যমান নেই। কারণ এখনও বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দোসররা বহাল তবিয়তে বসে আছে। সেই স্বৈরাচারদেরকে রেখে আপনারা কীভাবে সংস্কারের কথা বলেন? আগে স্বৈরাচারের নির্মূল করেন। অপসারণ করেন। এরপর পর্যায়ক্রমে সংস্কার করেন। এমনিতেই বাংলাদেশ স্বৈরাচার মুক্ত হয়ে যাবে। 

এসময় তিনি অন্তবর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ্য করে আরও বলেন, এখন পর্যন্ত আপনারা যারা সংস্কারের নামে নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। আপনাদের মাথায় কী ঘুরছে আমরা জানি না। বুঝতেছি না। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ আপনাদেরকে বুঝতে বেশী দিন সময় দিবে না। কারণ আপনারা যদি ক্ষমতার মোহে সংস্কারের নামে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করেন। বাংলাদেশের জনগণ এটা কখনোই মেনে নিবে না। 

বাংলাদেশের জনগণের প্রত্যাশা এই বছরের ভিতরেই একটা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায় উল্লেখ করে আমিনুল হক অন্তবর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, সেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নেন। বাংলাদেশের জনগণের যে প্রত্যাশা, সেই প্রত্যাশাকে সামনে রেখে আপনারা দ্রুত সময়ের ভিতরে একটা নির্বাচন দেন এবং সেই নির্বাচিত সরকার বাংলাদেশের সকল অবকাঠামো রাষ্ট্রীয় কাঠামো মেরামতের মাধ্যমে পরিপূর্ণ সংস্কার করবে। 

এসময় তিনি বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনাসহ তার অবৈধ মন্ত্রী, এমপিরা যারা বিদেশে পালিয়ে গেছে এবং দেশের ভিতরে যারা পালিয়ে বেড়াচ্ছে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে। কারণ বাংলাদেশে কোনো স্বৈরাচারের স্থান হতে পারে না। বাংলাদেশ থেকে আমরা পরিপূর্ণভাবে স্বৈরাচার মুক্ত করব। 

বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, বাংলাদেশে পরিপূর্ণভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করতে দ্রুত একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রয়োজন। সেই সুষ্ঠু নির্বাচনে এদেশের মানুষ নিরপেক্ষভাবে, স্বচ্ছভাবে, সুন্দরভাবে তার ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। জনগণের সরকারই একমাত্র পারবে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে, দেশকে স্বৈরাচার মুক্ত করতে এবং এদেশের জনগণের দাবি আদায় করতে। 

এসময় তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৩১ দফার রুপরেখার মাধ্যমেই একটি আগামীর সুন্দর সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। 

দক্ষিণখান থানা বিএনপির আহ্বায়ক হেলাল তালুকদার এর সভাপতিত্বে থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আমিরুল ইসলাম বাবলুর সঞ্চালনায় কর্মশালায় বক্তব্য দেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি সদস্যসচিব মো. মোস্তফা জামান, মহানগর যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, এবিএমএ রাজ্জাক, গাজী রেজওয়ান উল হোসেন রিয়াজ, হাজী মো. ইউসুফ, আফাজ উদ্দিন, মাহাবুব আলম মন্টু, মহানগর সদস্য আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, আলী আকবর আলী, আব্দুস সালাম সরকার, মোতালেব হোসেন রতন, রফিকুল ইসকাম খান, আশরাফুজাহান জাহান, রেজাউর রহমান ফাহিম, ডা. এ কে এম কবির আহমেদ রিয়াজ, মনিরুল আলম রাহিমী, হাজী নাসির উদ্দিন, নুরুল হুদা ভূঁইয়া নূরু, এম এস আহমাদ আলী, জাহেদ পারভেজ চৌধুরী, হান্নান ভূইয়া, তাসলিমা রিতা, শ্রমিকদল ঢাকা মহানগর উত্তর এর সদস্যসচিব কামরুজ্জামান, জাসাস ঢাকা মহানগর সদস্যসচিব আনোয়ার হোসেন আনু, মহিলাদল ঢাকা মহানগর উত্তর এর সদস্য সচিব এ্যাড রুনা লায়লা, দক্ষিণখান থানা বিএনপি যুগ্মআহ্বায়ক দেওয়ান মো. নাজিম উদ্দীন, আনোয়ার হোসেন জমিদার, মতিউর রহমান মতি, গুলশান থানা বিএনপি যুগ্মআহ্বায়ক আসাদুজ্জামান আসাদ, উত্তরাপূর্ব থানা বিএনপি আহ্বায়ক শাহআলম, যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুল হক, শহিদুল ইসলাম সুমন, নজরুল ইসলাম খান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাড এফ ইসলাম চন্দন, তারেক হাসান, জাহিদ মাস্টার, খিলক্ষেত থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক সিএম আনোয়ার হোসেন, বিমানবন্দর থানা বিএনপির আহ্বায়ক মনির হোসেন ভূইয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক মহিউদ্দিন তারেক, যুগ্ম আহ্বায়ক মন্জুর হোসেন পাটোয়ারী, মো.পুর থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক মীর মো. কামাল হোসেন, তুরাগ থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী জহিরুল ইসলাম, থানা আহ্বায়ক কমিটি সদস্য আব্দুল আলী, উত্তরা পশ্চিম থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন শিশির প্রমুখ।

এরপরে আমিনুল হক উত্তরা ও খিলক্ষেত এলাকার ৫টি স্পটে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেন।

মাহফুজ/

নির্বাচন দেরি হলে ফ্যাসিস্টরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ১০:০১ পিএম
নির্বাচন দেরি হলে ফ্যাসিস্টরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে: মির্জা ফখরুল
ইফতার মাহফিলে বক্তব্য রাখেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘নির্বাচন দেরি হলে ফ্যাসিস্ট শক্তি ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে।’

রবিবার (১৬ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিকদের ইফতার মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) যৌথভাবে এ ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দেওয়া উচিত। নির্বাচিত সরকারের হাতে দায়িত্ব দিয়ে দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষা করা উচিত। কারণ, আমরা অতীত অভিজ্ঞতায় দেখছি, নির্বাচন যত দেরিতে হয় তত বাংলাদেশের পক্ষের শক্তিকে পরাজিত করার জন্য ফ্যাসিস্ট শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করে। যারা উগ্র, জঙ্গি তারাও এই সুযোগগুলো নেওয়ার চেষ্টা করে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো অত্যন্ত আন্তরিকভাবে চাচ্ছি, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. ইউনূস অল্প সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো করে দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের দিকে যাবেন। আমরা মনে করি, যত দ্রুত নির্বাচন হবে, তত দ্রুত জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা সংসদে গিয়ে একদিকে দেশ পরিচালনা করবে, অন্যদিকে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় যে সংস্কারগুলো আছে সেগুলো করবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা একটা ভয়াবহ দানবীয় পরিবেশ থেকে বেরিয়ে এসেছি। আজকে আমাদের একটু ধৈর্য ধারণ করতে হবে। পত্রিকার পাতা খুললেই আমরা আজ বিচলিত হয়ে যাই। হত্যা, খুন, ধর্ষণ এমন একটি জায়গায় চলে যাচ্ছে যে জায়গাটা আমাদের পীড়িত করছে। অন্যদিকে আমাদের তরুণ প্রজন্ম বিশেষ করে ছাত্ররা অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে। আবার দেখছি, যেসব প্রতিষ্ঠান আছে, তার কর্মীরা দাবি দাওয়া নিয়ে রাস্তায় বের হয়ে আসছে। আমাদের সবারই এই ব্যাপারে ধৈর্য ধরার ব্যাপার আছে।’

বিএনপি সংস্কারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে এটুকু বলতে পারি যে, আমরা সংস্কারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা ৩১ দফা দাবি অনেক আগেই দিয়েছি, যখন এই সংস্কারের কথা কেউ বলেনি। সেই সংস্কারগুলোর সঙ্গে আজকের যে প্রস্তাব উঠে আসছে সেখানে খুব বেশি পার্থক্য দেখছি না।

ইফতার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহিন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম। এতে বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, যুগান্তর সম্পাদক কবি আব্দুল হাই শিকদার, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলামসহ অন্যরা। এ ছাড়াও ইফতার অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, দেশ রূপান্তরের সম্পাদক কামাল উদ্দিন সবুজ, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খানসহ অন্যরা।

 

ভোটাধিকারের জন্য যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে: শামা ওবায়েদ

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৯:২২ পিএম
ভোটাধিকারের জন্য যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে: শামা ওবায়েদ
ছবি: খবরের কাগজ

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু বলেছেন, ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে। এজন্য আমাদের সকলকে সজাগ থাকতে হবে। সকল রকম ষড়যন্ত্রের উর্ধ্বে থেকে দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে হবে। সকল নেতাকর্মীর পাশে থাকতে হবে।

তিনি বলেন, তারেক রহমানের একটিমাত্র বার্তা সেটি হলো সব সময় জনগণের পাশে থাকতে হবে। আমরা এখনো ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছি, আমরা যে ভোটের জন্য লড়াই করেছি সেই ভোট এখনো আমরা দিতে পারি নাই।  

রবিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় ফরিদপুর শহরের অম্বিকা মেমোরিয়াল হলে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল আয়োজিত ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

অন্তবর্তী সরকারের কাছে দাবি রেখে তিনি বলেন হাসিনা মুক্ত, ফ্যাসিবাদ মুক্ত এই বাংলাদেশে আর কোন নারী নির্যাতন আমরা দেখতে চাই না। আর কোন অত্যাচার হোক সেটা আমরা দেখতে চাই না। আর কোন ডাকাতি আর কোন গুম, খুন আমরা দেখতে চাই না।

তিনি আরও বলেন, যারা গত ১৫ বছরে কোন আন্দোলন সংগ্রামে ছিল না তাদের উপর ভর করে আওয়ামী লীগ আবার বাংলাদেশে ফিরে আসতে চাচ্ছে। 

উক্ত ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠানে এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির আহবায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ইছা, যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল হোসেন খান পলাশ, ফজলুল হক টুলু, আজম খান, গ্যাবের সাবেক সভাপতি ডা. শামীম হোসেন, জেলা যুবদলের সভাপতি মোঃ রাজিব হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ। 

পরে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দীর্ঘায়ু এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ এবং সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করা হয়।

সঞ্জিব/সিফাত/

রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দিলে গুম-খুনের বিচার হবে: তারেক রহমান

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৮:৪৪ পিএম
আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৯:১০ পিএম
রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দিলে গুম-খুনের বিচার হবে: তারেক রহমান
ছবি: খবরের কাগজ

আগামীতে জনগণ রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব দিলে বিগত ১৬ বছরের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন গুম-খুন এবং জুলাই বিপ্লবে নির্যাতন ও হত্যার বিচার অবশ্যই করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে পারি, বিএনপিকে যদি জনগণ আগামী দিনে দেশ পরিচালনার সুযোগ দেয় তাহলে রাজনৈতিক কর্মসূচির পাশাপাশি অবশ্যই আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে গুম-খুন ও নির্যাতনের বিচার করা। বিগত ১৬ বছর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে যারা গুম-খুনের শিকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন, অনেকে নির্যাতিত হয়েছেন এবং জুলাই বিপ্লবে যাদেরকে বিভিন্ন হত্যা করা হয়েছে, প্রতিটি হত্যা ও নির্যাতনের বিচার অবশ্যই আমরা করবো, ইনশাল্লাহ।

রবিবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর গুলশানে লেকশোর হোটেলে ‘গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধার আন্দোলন গুম ও শহিদ পরিবারদের নিয়ে’ ইফতার মাহফিলে ভাচ্যুর্য়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। আয়োজন করে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’।

শহিদ পরিবার সদস্য ও নির্যাতিত ব্যক্তিদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, আপনার দয়া করে হতাশ হবেন না, আশা রাখবেন। আমরা এতটুকু যখন আসতে পেরেছি, সামনের পথটুকু পাড়ি দিতে পারব। আমরা যদি সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকি, সবাই যদি অন্যায় বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকি অবশ্যই আমরা এই অন্যায়ের বিচার করতে সক্ষম হবো। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, দেশের গণতন্ত্রের পক্ষে সব রাজনৈতিক দল এই বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করবে না। গণতন্ত্র, গণতন্ত্র রক্ষা, মানুষের বাকস্বাধীনতা এবং নির্যাতিত ব্যক্তিদের ন্যায়বিচার করা- এই বিষয়গুলোর প্রতি গণতন্ত্রের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রত্যাশা, আগামী দিনে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণ সিদ্ধান্ত দেবেন কারা সরকার গঠন করবে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস, আগামী দিনে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব যারা পাবেন, যে রাজনৈতিক দল পাক না কেন তাদের কর্মসূচির মধ্যে থাকবে দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য যারা শহিদ হয়েছেন, যে পরিবারগুলো নির্যাতনের শিকার হয়েছে, তাদেরকে অবশ্যই এই অন্যায়ের বিচার করতে হবে। যেকোনো মূল্য তাদেরকে সুষ্ঠু বিচার করতে হবে।

ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আগামী দিনে আমরা যদি অন্যায়ের সঠিক ও সুষ্ঠু বিচার না করতে পারি হয়তোবা দেশের আবারও অন্যায় সংগঠিত হতে পারে। ক্ষতিগ্রস্থদের ন্যায়বিচার দেওয়ার মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে প্রতিষ্ঠিত করা জরুরি- যে অন্যায়কারী সে অন্যায়কারী, যে ন্যায়ের বিরুদ্ধে যাবে তাকে দেশের আইন অনুযায়ী শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে।

বক্তব্যের শুরুতে গুম-খুন ও নির্যাতনের শিকার পরিবারের সদস্যদের শুভেচ্ছা এবং শহিদ ও আহতদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান তারেক রহমান। তিনি বলেন, তাদের আত্মত্যাগের কারণেই আজকে মুক্ত বাংলাদেশ। জনগণ মুক্তভাবে শ্বাস নিতে পারছেন। সংক্ষেপে বললে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা যেটি বিগত স্বৈরাচার সরকার ছিনিয়ে নিয়েছিল। বাংলাদেশ জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তারা যে আঙ্খাকা-প্রত্যাশা নিয়ে দেশ ও জনগণের জন্য যুদ্ধ করেছেন, আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন তাদের সেই প্রত্যাশা যেন আমরা পূরণ করতে পারি, পরিবার সদস্যদের কাছে সেই দোয়া চেয়েছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

তিনি আরও বলেন, যারা গুমের শিকার তাদের পরিবারের সঙ্গে আমি একাত্ম পোষণ করছি। যারা গুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন আমি ও আমার প্রয়াত ভাই আপনাদেরই অংশ।

আয়নাঘরের প্রসঙ্গ টেনে তারেক রহমান বলেন, কিছুদিন আগে হুমাম কাদের চৌধুরী দেখা করতে এসেছিল। তিনি বলেছিলেন, ভাইয়া আপনাকে যে ঘরে রাখা হয়েছিল আমাকেও সেই একই ঘরে রাখা হয়েছিল। এখানে অনেকেই আছি যারা আয়নাঘর থেকে ঘুরে এসেছি, অনেকে নির্যাতনের শিকার হয়েছি, আবার অনেক পরিবার তাদের স্বজনদের এখনো ফেরত পায়নি।

ইফতার মাহফিলে আরও উপস্থিতি ছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, কোষাধ্যক্ষ রশিদুজ্জামান মিল্লাত, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, সদস্যসচিব তানভীর আহমেদ রবিন, আমরা বিএনপির পরিবার-এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুম্মন, স্যসচিব মো. মোকছেদুল মোমিন, উপদেষ্টা প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুল, প্রকৌশলী মো. মোস্তফা-ই জামান সেলিম, সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/এমএ/

আছিয়ার পরিবারের দায়িত্ব নিল জামায়াত

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৪:০৪ পিএম
আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৫:১২ পিএম
আছিয়ার পরিবারের দায়িত্ব নিল জামায়াত
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশু আছিয়ার পরিবারের দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

রবিবার (১৬ মার্চ) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ কথা জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান।

ফেসবুক পোস্টে জামায়াতের আমির লেখেন, ‘মাগুরার শিশু আছিয়ার পরিবার নিতান্তই একটি অসহায় পরিবার। তার পিতা একজন মানসিক রোগী। এ পরিবারে অন্য কোনো পুরুষ সদস্য নেই। মানবিক কারণে এই পরিবারের দায়িত্ব মহান আল্লাহর উপর ভরসা করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ইনশাআল্লাহ নিচ্ছে। ’

তিনি আরও লেখেন, ‘ইতোমধ্যে বিষয়টি মজলুম এই পরিবারের সদস্যদের অবহিত করা হয়েছে। সবার কাছে দোয়ার আবেদন, আল্লাহ তাআলা যেন সঠিকভাবে এ দায়িত্ব পালনে আমাদের তাওফিক দান করেন। আমিন।'

এর আগে শনিবার (১৫ মার্চ) মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া গ্রামে আছিয়ার বাড়িতে যান জামায়াত আমির।  তার সঙ্গে ছিলেন জেলা জামায়াতের আমির এম এ বাকেরসহ দলের নেতা-কর্মীরা।

শফিকুল/মেহেদী/