জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, নির্বাচনটি হতে হবে গণপরিষদ নির্বাচন। রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার প্রয়োজন, সেই সংস্কারের ভিত্তিতে আমরা নির্বাচনে যাব।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সন্ধ্যায় বরিশাল ক্লাবে অনুষ্ঠিত বরিশাল মহানগর জাতীয় নাগরিক পার্টির ইফতার মহফিল ও মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতি ইঙ্গিত করে নাহিদ বলেন, ‘আমরা ন্যূনতম সংস্কারের কথা বলছি। আমাদের মৌলিক ও গুণগত সংস্কার করতে হবে এবং এ সংস্কার বর্তমান সরকারের অধীনে হতে হবে। মানুষ রক্ত দিয়ে বর্তমান সরকারকে এনেছে পরিবর্তনের জন্য, বিচারের জন্য। সেই ওয়াদা বর্তমান সরকার এবং আমাদের রয়েছে। যে সময়সীমা রয়েছে তার মধ্যে সংস্কার এবং দৃশ্যমান বিচারের মাধ্যমে আমরা নির্বাচনের দিকে যেতে পারব।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের ঐক্যের জায়গাটা হচ্ছে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান, শহিদদের আকাঙ্ক্ষা, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব এবং গণতান্ত্রিক বৈষম্যহীন বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা।’
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব ও যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ডা. মাহমুদা আলম মিতুসহ স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতারা।
এর আগে নাহিদ ইসলাম গতকাল দুপুর ১টার দিকে দুমকিতে ধর্ষণের শিকার কলেজছাত্রীকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেখতে যান। সেখানে তিনি ভুক্তভোগী সেই কলেজছাত্রী ও তার পরিবারের খোঁজ-খবর নেন।
পরে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে দেশব্যাপী ধর্ষণের ঘটনাগুলো উদ্বেগ তৈরি করছে বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘দুমকির ঘটনাটি আমাদের জন্য একটি দুঃখজনক ঘটনা। এ ধরনের ঘটনা রোধ করার জন্য কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। সরকার যে আইন পরিবর্তনের চিন্তা-ভাবনা করছে বা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন চাই আমরা।’
তিনি বলেন, ‘শুধু শহিদ পরিবারের কন্যা হিসেবেই না, একজন সাধারণ মেয়ে হিসেবে, সাধারণ নাগরিক হিসেবে, আমরা জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকেও এই মর্মান্তিক ঘটনার দ্রুত বিচার চাচ্ছি।’
এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘’পটুয়াখালীর দুমকিতে জুলাই বিপ্লবে শহিদের মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় দুই আসামির নাম শোনা গেছে। একজনকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অন্য আসামিকে গ্রেপ্তার করতে হবে।
উল্লেখ্য, ঢাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে পুলিশের গুলিতে মেয়েটির বাবা শহিদ হন। গত মঙ্গলবার শহিদ বাবার কবর জিয়ারত শেষে নানাবাড়ি যাওয়ার পথে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে মেয়েটিকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করা হয়।