ঢাকা ৫ চৈত্র ১৪৩১, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
English

অপারেশন ডেভিল হান্ট সিলেটে ‘ওয়ান-ইলেভেনের মেয়র’ গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:১৪ এএম
সিলেটে ‘ওয়ান-ইলেভেনের মেয়র’ গ্রেপ্তার
মো. আজম খান

অপারেশন ডেভিল হান্টে সিলেটে ওয়ান ইলেভেন সময়ে সিটি করপোরেশনের (সিসিক) ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পালন করা সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. আজম খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১ টার দিকে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। 

এসএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি খবরের কাগজকে বলেন, 'দেশজুড়ে চলমান অপারেশন ডেভিল হান্টে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজম খান ছাড়াও গত ২৪ ঘন্টায় সিলেটে আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য আজম খান সিটি করপোরেশনের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর। ২০০৭ সালে ওয়ান ইলেভেন সময় তিনি প্রায় এক বছর সিসিকের ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্বে ছিলেন। সিলেটের রাজনৈতিক অঙ্গনে তখন থেকে আজম খান ‘ওয়ান ইলেভেনের মেয়র’ হিসেবে পরিচিত। তৎকালীন সিসিক মেয়র ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রয়াত বদরউদ্দিন আহমদ কামরান কারাবন্দী হলে আজম খানকে ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তিনি সিলেট নগরীর মোগলাবাজার থানা এলাকার পাঠান পাড়া খান বাড়ির বাসিন্দা। 

গত ২৪ ঘন্টার অভিযানে আজম খান ছাড়াও গ্রেপ্তাররা হলেন, নগরীর বারুতখানার বাসিন্দা ছাত্রলীগ কর্মী সাইরুল কবীর সঞ্জয় (২৯), একই এলাকার বাসিন্দা ও বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব পরিষদের ক্রীড়া সম্পাদক সানি কবীর (২৯), দক্ষিণ সুরমার তেতলি এলাকার বাসিন্দা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাছিত মকন মিয়া এবং সিলেট জেলা তাঁতী লীগের পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক দক্ষিণ সুরমার বানেশ্বরপুরের বাসিন্দা মো. ময়নুল ইসলাম (৩৮)। 

এসএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গ্রেপ্তারকতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

জোবাইদা/

স্থানীয় নির্বাচন দিয়ে প্রশাসনের স্বচ্ছতা নিশ্চিতের আহ্বান হাসনাতের

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৮:২৪ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৮:৩০ পিএম
স্থানীয় নির্বাচন দিয়ে প্রশাসনের স্বচ্ছতা নিশ্চিতের আহ্বান হাসনাতের
ছবি: খবরের কাগজ

জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি’র দক্ষিণাঞ্চলের মূখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, আমরা চাই স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মধ্য দিয়ে প্রশাসনের স্বচ্ছতার পরীক্ষা হয়ে যাক। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আহ্বান জানাবো, আপনারা স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজন করুন। প্রয়োজনে ধাপে ধাপে যতগুলো উপজেলা রয়েছে সেগুলো- ৫/৬টি ধাপে নির্বাচন দিয়ে এই প্রশাসনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করুন।

বুধবার (১৯ মার্চ) কুমিল্লার শাসনগাছায় ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ ’২৪ এর শহীদ ও আহতদের স্মরণে গণইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাসনাত আবদুল্লাহ এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, গত যে তিনটি নির্বাচন হয়েছে তাতে জনগণ ভোট দিতে পারে নাই। ভোট দিয়েছে প্রশাসন, নির্বাচন পরিচালনা করেছে প্রশাসন। একটি স্বচ্ছ ও ফ্রি এন্ড ফেয়ার নির্বাচন করার কোনো দক্ষতা আওয়ামী প্রশাসনের নেই। এই প্রশাসন সংস্কার না করা পর্যন্ত, আমরা যতক্ষণ না নিশ্চিত হই এই প্রশাসন একটি ফ্রি এন্ড ফেয়ার নির্বাচন করাতে পারে- আমরা ততক্ষণ আশ্বস্ত হচ্ছি না।

নির্বাচনি ফায়দা নিতে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের জন্য কিছু রাজনৈতিক দল কূটনীতিতে যুক্ত হচ্ছে মন্তব্য করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আপনাদেরকে সতর্ক করে দিয়ে যাই, আমরা ছাত্র-নাগরিকরা রাস্তায় তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে যে আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশ থেকে উৎখাত করেছি, আজকে সেই আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের জন্য ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা আপনাদের সতর্ক করে দিতে চাই- এই ছাত্র নাগরিকের হারানোর কিছুই নাই। একখাপে দুই তলোয়ার যেভাবে থাকতে পারে না, ঠিক একই একই ভাবে ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে একই ভাবে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ এবং এনসিপি থাকতে পারবে না। যদি কেউ আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে চায়, ৫ আগষ্ট গণভবন এবং বঙ্গভবনের যে পরিনতি হয়েছে-তাদেরও সে পরিণতি হবে।

জহির শান্ত/সিফাত/

হিন্দুত্ববাদী নীতির সমর্থনে অবস্থান নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র: মুক্তি কাউন্সিল

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৮:০৫ পিএম
হিন্দুত্ববাদী নীতির সমর্থনে অবস্থান নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র: মুক্তি কাউন্সিল

যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ‘ভারতের হিন্দুত্ববাদী নীতির সমর্থনে অবস্থান নিয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল সম্পাদক ফয়জুল হাকিম। বুধবার (১৯ মার্চ) এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেছেন। 

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দমনে পতিত ফ্যাসিস্ট খুনি শেখ হাসিনা সরকার গুলি করে প্রায় ২ হাজার মানুষকে হত্যা এবং প্রায় ২০ হাজার মানুষকে আহত করেছে। এ সম্পর্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ড সম্পূর্ণ নীরব। এতে বোঝার অসুবিধা হয় না যে যুক্তরাষ্ট্রে সরকার দিল্লির চোখে বাংলাদেশকে দেখার নীতি অবলম্বন করেছে।’

বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাপ্রধান তুলসী গ্যাবার্ড ‘কোনো নির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই’ মন্তব্য করেছেন বলেও উল্লেখ করেন ফয়জুল হাকিম। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের বিভ্রান্তিকর অভিযোগ অন্যায় ও অতিরঞ্জিতভাবে উপস্থাপনা করা হয়েছে।’

বিবৃতিতে ফয়জুল হাকিম বলেন, ‘বাংলাদেশের জুলাইয় গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে উগ্র হিন্দুত্ববাদী ভারত সরকার ও দেশটির শাসক শ্রেণির মিডিয়া অব্যাহতভাবে বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্রের তকমা লাগানোর ষড়যন্ত্র করছে। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাপ্রধান তুলসী গ্যাবার্ড সেই অপপ্রচারের পালে বাতাস দিয়েছেন।’

মাহফুজ/

দেশ নিয়ে এখনো গভীর ষড়যন্ত্র চলছে: শামা ওবায়েদ

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৭:৫৩ পিএম
দেশ নিয়ে এখনো গভীর ষড়যন্ত্র চলছে: শামা ওবায়েদ
ছবি: খবরের কাগজ

দেশ নিয়ে এখনো একটি গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। দেশের এই গভীর ষড়যন্ত্র থেকে যদি উত্তরণ করতে হয় তাহলে যতটুকু সংস্কার প্রয়োজন তা সম্পন্ন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু।

তিনি বলেন, সংস্কারের নামে যারা কালক্ষেপণ করতে চায় তারা কেউ দেশের ভালো চায় না। তারা দেশে গণতন্ত্র চায় না, তারা দেশের শত্রু তারা গণতন্ত্রের শত্রু। 

বুধবার (১৯ মার্চ) সন্ধ্যায় ফরিদপুর শহরের অম্বিকা মেমোরিয়াল হলে বিএনপি'র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দীর্ঘায়ু কামনায় জেলা যুবদল আয়োজিত ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশের ১৭ কোটি মানুষ ভোটের জন্য অপেক্ষা করছে। এখনো আমাদের যুবসমাজ ভোট দিতে পারে নাই। এই যুব সমাজসহ দেশের ১৭ কোটি মানুষ ভোটের অপেক্ষায় বসে আছে। আর এ কারণে অতি দ্রুত ভোটের ব্যবস্থা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার আত্মাহুতি ও রক্ত ঝরার ফলে যে বাংলাদেশ পেয়েছি এই সুযোগ আমরা দ্বিতীয়বার কিন্তু নাও পেতে পারি। এই সুযোগ আমাদের কাজে লাগাতে হবে। আমাদের ইয়াং জেনারেশন, ছাত্রদল, যুবদল, সকল যুবসমাজ ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি নতুন, স্বচ্ছ, দুর্নীতি মুক্ত এবং দায়বদ্ধ যে সরকার বাংলাদেশের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থাকবে এমন সরকার আমরা চাই, এমন সংসদ আমরা চাই। এবং সেই সংসদ, সেই সরকার তখনই আসবে যখন এদেশে একটি নিরপেক্ষ সুষ্ঠু ভোট হবে। সেই ভোটে আমাদের দেশের নাগরিক যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে পারবে।

শামা ওবায়েদ বলেন, শেখ হাসিনা সরকার যে ধ্বংসস্তূপে রেখে গেছে এমন পরিস্থিতি থেকে যদি উত্তরণ হতে হয় তাহলে বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দলের কোন বিকল্প নাই। এখনো আমাদের নারীরা দেশে নিরাপদ নয়। দেশের বিভিন্ন স্থানে নারীরা নির্যাতিত ও নিপীড়িত হচ্ছে। এসব কারণে দেশে আইনের শাসন নেই। চুরি হচ্ছে ডাকাতি হচ্ছে আমাদের অন্তবর্তী সরকার কিছু করতে পারছে না। 

ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠানে জেলা যুবদলের সভাপতি মো. রাজিব হোসেনের সভাপতিত্বে ও  সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সঞ্চালনায় এসময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির আহবায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ইছা, যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল হোসেন খান পলাশ, সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল, ফজলুল হক টুলু, অ্যাডভোকেট আলী আশরাফ নান্নু প্রমুখ।

পরে বিএনপি'র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দীর্ঘায়ু এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ এবং সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করা হয়।
 
সঞ্জিব/সিফাত/

জাতীয় পার্টির ইফতার মাহফিলে হামলা, অনুষ্ঠানস্থলে জি এম কাদের

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৬:০৭ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৮:০২ পিএম
জাতীয় পার্টির ইফতার মাহফিলে হামলা, অনুষ্ঠানস্থলে জি এম কাদের
জাতীয় পার্টির লোগো

জাতীয় পার্টির (জাপা) ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা আয়োজিত ইফতার মাহফিলে আবারও হামলার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর কচুক্ষেতের দ্য বুফে লাউঞ্জ রেস্তোরাঁয় এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই হামলার সময় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। 

জাপার যুগ্ম মহাসচিব ও চেয়ারম্যানে প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার দেলোয়ার জালালী জানান, বুধবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর উত্তরের ইফতার অনুষ্ঠানে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। দ্য বুফে লাউঞ্জ হলে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এবং মহাসচিব উপস্থিত ছিলেন।

জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের বুধবার সন্ধ্যায় খবরের কাগজকে বলেন, ‘আজকে ইফতার পার্টিতে আচমকা একদল এসে আমাদের লোকজনের ওপর হামলা করেছে। এতে আমাদের ৭-৮ জন লোক আহত হয়েছেন। তাদের কাউকে কাউকে হয়ত হাসপাতালে ভর্তি করতে হতে পারে। আমার ও আমাদের দলের মহাসচিবের ওপরও হামলা হতে পারত। দলের নেতাকর্মীরা তাদের প্রতিহত করেছে।’

এর আগে গত ৮ মার্চ রাজধানীর পল্লবী থানাসংলগ্ন দুই নম্বর কমিউনিটি সেন্টারে জাতীয় পার্টির ইফতার মাহফিলে হামলা করেন একদল উচ্ছৃঙ্খল যুবক।

জি এম কাদের বুধবার (১৯ মার্চ) সন্ধ্যায় খবরের কাগজকে বলেন, ‘আজকের এই হামলার ঘটনায় কারা জড়িত ছিল তাদের আমরা চিনি না। কিন্তু আগে যারা করেছে আজ তারই পুনরাবৃত্তি হয়েছে। বোঝাই যাচ্ছে সরকার এদের উসকানি দিচ্ছে।’ তিনি অভিযোগ করেন, কচুক্ষেতের রেস্তোরাঁয় হামলার সময় কাফরুল থানায় ফোন করা হলেও ‘সাড়া পাননি’। পরে স্থানীয় সেনাক্যাম্পে ফোন করা হলে দ্রুত সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন।

জি এম কাদের বলেন, ‘আমাদের অযথাই এখন ফ্যাসিবাদের দোসর বলে অভিহিত করা হচ্ছে। অথচ শুরু থেকেই আমরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে একমত ছিলাম।’

জয়ন্ত সাহা/মাহফুজ/ 

ভারতের গণমাধ্যম বাংলাদেশে উস্কানি ও চক্রান্তে লিপ্ত: ফারুক

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৬:০০ পিএম
ভারতের গণমাধ্যম বাংলাদেশে উস্কানি ও চক্রান্তে লিপ্ত: ফারুক
ছবি: সংগৃহীত

ভারতের গণমাধ্যম বাংলাদেশ নিয়ে শুধু অপপ্রচার করেই ক্ষান্ত হয় না, বরং তারা যেকোনো ধরনের উস্কানি দেওয়া এবং চক্রান্তের কাজে লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক। তিনি বলেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত। একটি ভালো প্রতিবেশি দেশ হিসেবে আমরা সবসময় তাদের কাছ থেকে ভালো আচরণ প্রত্যাশা করি। কিন্তু ভারতীয় গণমাধ্যম সবসময় বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচারে লিপ্ত থাকে। বিষয়টা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।

বুধবার (১৯ মার্চ) সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন কবীর বেপারীসহ নেতাকর্মীদের নিয়ে জিয়ার সমাধিতে এই শ্রদ্ধা জানান ফারুক।

সাবেক চিফ হুইপ বলেন, একটা সংঘবদ্ধ গোষ্ঠী নানা উছিলা দিয়ে দেশের পরিস্থিতি অস্বাভাবিক করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। হঠাৎ হঠাৎ এমন সব বিষয় সামনে আসছে, যা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য বিব্রতকর। এর জন্য দেশের মানুষও লজ্জাকর অবস্থায় পড়ে যায়। এগুলোকে অনেকাংশে পতিত স্বৈরাচারের কাণ্ড-কারখানা বলেই মনে হয়। কদিন সংখ্যালঘু ইস্যু নিয়ে দেশের পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করার চেষ্টা চলছিলো। সেটাকে নিয়েও ভারতের মিডিয়াগুলো আন্তর্জাতিক লেবেলে পানি ঘোলা করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। কিন্তু দেশের মানুষ এবং প্রশাসন সতর্ক থাকায় খুব বেশি ক্ষতি সাধন করতে পারেনি। 

প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের উদ্দেশে ফারুক বলেন, বিএনপি সবসময় আপনাকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আপনার আশপাশের কিছু লোক আপনাকে বিপথে চালিত করার চেষ্টা করছে। আমার বক্তব্য হলো, আপনি দুষ্টু লোকদের কথায় বিভ্রান্ত হবেন না। মনে রাখতে হবে, এসব চক্রান্তের মূল উদ্দেশ্য নির্বাচন বানচাল করা কিংবা একটা অরাজক অবস্থা তৈরি করে আপনাকে বিপদে ফেলা। কারণ, তারা জানে আপনাকে বিপদে ফেলতে পারলে দেশের অবস্থা স্বাভাবিক থাকবে না। তাই বিনয়ের সঙ্গে আপনাকে বলব, পরিস্থিতি ভালো থাকতে থাকতে আপনি দ্রুত জাতীয় নির্বাচন দিন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- এস এম মিজানুর রহমান, সুরঞ্জন ঘোষ, কালাম ফয়েজী, সৈয়দ মোজাম্মেল হোসেন শাহিন,  রেজাউল করিম, আলমগীর হোসেন আলম, মো. নাছির হোসেন বাবু, মহিদুল ইসলাম মামুন, ইসমাইল হোসেন সিরাজী, নবি হোসেন, মো. মজিবর রহমান, মুকুল, মো. কবীর হোসেন প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/এমএ/