
অপারেশন ডেভিল হান্টে সিলেটে ওয়ান ইলেভেন সময়ে সিটি করপোরেশনের (সিসিক) ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পালন করা সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. আজম খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১ টার দিকে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
এসএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি খবরের কাগজকে বলেন, 'দেশজুড়ে চলমান অপারেশন ডেভিল হান্টে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজম খান ছাড়াও গত ২৪ ঘন্টায় সিলেটে আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য আজম খান সিটি করপোরেশনের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর। ২০০৭ সালে ওয়ান ইলেভেন সময় তিনি প্রায় এক বছর সিসিকের ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্বে ছিলেন। সিলেটের রাজনৈতিক অঙ্গনে তখন থেকে আজম খান ‘ওয়ান ইলেভেনের মেয়র’ হিসেবে পরিচিত। তৎকালীন সিসিক মেয়র ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রয়াত বদরউদ্দিন আহমদ কামরান কারাবন্দী হলে আজম খানকে ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তিনি সিলেট নগরীর মোগলাবাজার থানা এলাকার পাঠান পাড়া খান বাড়ির বাসিন্দা।
গত ২৪ ঘন্টার অভিযানে আজম খান ছাড়াও গ্রেপ্তাররা হলেন, নগরীর বারুতখানার বাসিন্দা ছাত্রলীগ কর্মী সাইরুল কবীর সঞ্জয় (২৯), একই এলাকার বাসিন্দা ও বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব পরিষদের ক্রীড়া সম্পাদক সানি কবীর (২৯), দক্ষিণ সুরমার তেতলি এলাকার বাসিন্দা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাছিত মকন মিয়া এবং সিলেট জেলা তাঁতী লীগের পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক দক্ষিণ সুরমার বানেশ্বরপুরের বাসিন্দা মো. ময়নুল ইসলাম (৩৮)।
এসএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গ্রেপ্তারকতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
জোবাইদা/