ঢাকা ৫ চৈত্র ১৪৩১, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
English

নতুন রাজনৈতিক দলে নারী নেতৃত্ব দেখতে চাই: সামান্তা শারমিন

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:৫৪ পিএম
আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:৫৫ পিএম
নতুন রাজনৈতিক দলে নারী নেতৃত্ব দেখতে চাই: সামান্তা শারমিন
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন

জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন বলেছেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের ৫৩ বছরের সংগ্রামের ইতিহাস আছে। এই সংগ্রামের প্রতিটি পরতে পরতে নারীদের অবদান রয়েছে। জুলাই আন্দোলনেও নারীদের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। সুতরাং, জুলাই পরবর্তী যে নতুন রাজনৈতিক দল আসবে, সেখানে আমরা নারীদের নেতৃত্ব দেখতে চাই। তাই নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে নারীদের অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে।’

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জাদুঘরের সামনে ‘জুলাইয়ের নারীরা’ ব্যানারে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশে অংশ নেন জুলাই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ও শহিদ পরিবারের নারীরা।

সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণ সবচেয়ে কঠিন করেছে শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা ১৬ বছরে যে গুম, খুন, আয়নাঘরের রাজনীতি কায়েম করেছিল তাতে দেশের মানুষ নারী নেতৃত্বে বিশ্বাস করতে সময় নেবে। শেখ হাসিনার এই পাপের ফল আমাদের সবাইকে ভুগতে হচ্ছে। এ জন্য পুনরায় যদি নারীদেরকে রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনতে হয়, সবার আগে প্রয়োজন শেখ হাসিনার বিচার নিশ্চিত করা।’

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘২৪-এর অভ্যুত্থানে বাংলাদেশের সর্বস্তরের সব শ্রেণির মানুষ অংশ নিয়ে ছিলেন। আন্দোলনে নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণের পাশাপাশি আমরা দেখেছি, মায়েরা খাবার রান্না করে খাইয়েছেন, আঁচল দিয়ে আহতদের কপাল বেঁধে দিয়েছেন। জুলাইয়ে বাংলাদেশে যারা বর্বর হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, তাদেরকে যদি বিচারের আওতায় আনা না যায়, তাহলে এদেশের কোনো মানুষেরই নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। সুতরাং, বাংলাদেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।’

সমাবেশ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জাতীয় নাগরিক কমিটির নারী সেল সম্পাদক সাদিয়া ফারজানা দিনা। আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী সদস্য সিনথিয়া জাহান আয়েশা ও জুলাই আন্দোলনে অংশ নেওয়া অর্পিতা শ্যামা দাসসহ অন্যরা। 

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না: আমিনুল হক

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৯:২৯ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৯:২৯ পিএম
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না: আমিনুল হক
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আর কোনো ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না উল্লেখ করে বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। বিদেশি প্রভুদের সহযোগিতায় স্বৈরাচার আওয়ামী দোসরদের কোনো ষড়যন্ত্র বাংলাদেশের মানুষের ক্ষতি করতে পারবে না। 

বুধবার (১৯ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর রুপনগরে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির পক্ষে বিশিষ্ট সমাজ সেবক বিএনপি নেতা হাজী মো. রতন মিয়া'র আয়োজনে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

এসময় আমিনুল হক বলেন, স্বৈরাচার মুক্ত এ স্বাধীন বাংলাদেশে আজকে আমরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছি।

এই স্বস্তির নিঃশ্বাসের ভিতরে কতিপয় ষড়যন্ত্রকারীরা দুষ্কৃতিকারী আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসররা বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র করে বেড়াচ্ছে। এই অন্তবর্তী সরকারকে ব্যর্থ করতে বাংলাদেশের ভিতরে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করছে তারা। 

এসময় তিনি বলেন, গত ১৭ বছর পর আমরা প্রথম বারের মতো উন্মুক্তভাবে কোনো খোলা জায়গায় বসে ইফতারির আয়োজন করতে পারছি। ঐ সময়ে আমরা উন্মুক্তভাবে কোনো জায়গায় বসে একত্র হয়ে সভা মিটিং এমনকি দোয়ার অনুষ্ঠানও করতে পারিনি। স্বৈরাচার সরকার আমাদেরকে করতেও দেয়নি। 

বিএনপির এই নেতা এসময়ে আরও বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা বিএনপিকে ভয় পেত। তারা এদেশের জনগণকে ভয় পেত। কারণ তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত ছিল না। তারা ছিল জনবিচ্ছিন্ন। 

‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। বিএনপি একটি সুন্দর মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চায়।’ তারেক রহমানের নেতৃত্বে মানবিক বাংলাদেশ গড়তে এদেশের সকল মানুষের সহযোগিতা কামনা করেন আমিনুল হক। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, মাহাবুব আলম মন্টু, রুপনগর থানা বিএনপি আহ্বায়ক জহিরুল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার মজিবুল হক, আলী আহমেদ রাজু, রুপনগর আবাসিক জনকল্যাণ সমিতির সভাপতি বিএনপি নেতা মো. শাহ আলম মোল্লা, থানা বিএনপির সিনিয়র সদস্য এম আশরাফুল ইসলাম, রুপনগর ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শফিকুল ইসলাম মামুন, সাধারণ সম্পাদক খোকন মাদবর, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মো. সেলিম, সহসভাপতি ফুতুন মিয়া, থানা যুবদল সিনিয়র সহসভাপতি মো. নাঈম, রুপনগর থানা স্বেচ্ছাসেবকদল যুগ্ম আহ্বায়ক সাজেদুল আলম টুটুল, ছাত্রদল রুপনগর থানার সাধারণ সম্পাদক কাওছার মল্লিক প্রমুখ। 

এর আগে দুপুরে রাজধানীর মিরপুর গার্লস এন্ড আইডিয়াল ল্যবরেটরিজ ইনস্টিটিউটের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আমিনুল হক। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পল্লবী থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক স্কুল এডহক কমিটির সভাপতি মোকছেদুর রহমান আবির। কলেজ অধ্যক্ষ জিনাত ফারহানা সভাপতিত্ব করেন।

মাহফুজ/

ধর্মীয় উগ্রবাদ মাথাচাড়া দিলে গণতন্ত্রের কবর রচিত হবে: তারেক রহমান

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৯:২৬ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৯:৩২ পিএম
ধর্মীয় উগ্রবাদ মাথাচাড়া দিলে গণতন্ত্রের কবর রচিত হবে: তারেক রহমান
ছবি: সংগৃহীত

ধর্মীয় উগ্রবাদীদের অপতৎপরতা এবং চরমপন্থা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার পরিচয় দিলে, উগ্রবাদী জনগোষ্ঠী এবং পরাজিত অপশক্তি দেশে পুনরায় গণতন্ত্রের কবর রচনা করবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, এর ফলে গণতান্ত্রিক বিশ্বে ইমেজ সংকটে পড়তে পারে বাংলাদেশ। দেশের অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক চরিত্র সমুন্নত রাখতে চরমপন্থা এবং ধর্মীয় উগ্রবাদী অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে। পাশাপাশি গণহত্যাকারী পলাতক মাফিয়া চক্রকে যে কোনো মূল্যে বিচারের সম্মুখীন করার মাধ্যমে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক বিধি ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে। গণহত্যাকারীদের বিচার করাই হবে বিএনপিসহ গণতন্ত্রের পক্ষে শক্তির আগামী দিনের রাজনৈতিক বন্দোবস্ত হবে।

বুধবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর ইস্কাটনে লেডিস ক্লাবে এক ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য ভাচ্যুর্য়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

রাজনৈতিক দলের নেতাদের সম্মানে ইফতার মাহফিল করে বিএনপি। এতে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, জাতীয় নাগরিক পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ, এবি পার্টি, জাতীয় পার্টি (জাফর)সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের র্শীষ নেতারা অংশ নেন। ইফতারকে কেন্দ্র করে ইস্কাটনে রাজনৈতিক দলের নেতাদের মিলন মেলায় পরিণত হয়।  

রাজনীতিবিদদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, আমাদের সবার চিন্তা, ভাবনা হয়তো এক নয়। আমাদের মধ্যে ভিন্ন রাজনৈতিক চিন্তা রয়েছে, ভিন্ন দল-মত-দর্শন রয়েছে। তবে মতে ভিন্নতা থাকা সত্ত্বেও আমরা কিন্তু সবাই একসঙ্গে বসেছি। এটাই আমাদের বাংলাদেশ। এইটি আবহমানকালের ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের এক অনন্য প্রতিফলন। তবে দুঃখজনকভাবে গত দেড় দশকের ফ্যাসিবাদী শাসন শোষণে দেশের শুধুমাত্র শিক্ষা ব্যবস্থা, রাজনীতি, অর্থনীতি এসবকিছুকেই ধ্বংস করে দেয়নি, বরং বাংলাদেশের আবহমানকালের ধর্মীয় সামাজিক সাংস্কৃতিক মূল্যবোধকেও ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। সামাজিক সম্প্রতি ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে নষ্ট করে দিয়েছে।  

তিনি বলেন, একটি রাষ্ট্র এবং সমাজের জনগোষ্ঠীর মধ্যে ধর্মীয়, সামাজিক সম্প্রীতি ও মূল্যবোধ যদি বিনষ্ট করে দেওয়া যায়, তখনই সমাজ ব্যবস্থা অবক্ষয়গ্রস্থ, ভঙ্গুর, নিষ্ঠু এবং অমানবিক হয়ে ওঠে। ভঙ্গুর রাষ্ট্র এবং সমাজ ব্যবস্থা উগ্রবাদ আর চরম পন্থা বিকাশের এক উর্বর ভূমিতে পরিণত। সাম্প্রতিক সময় হঠাৎ করে অতীতের মতন দেশে পুনরায়, নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। এ বিষয়টি গভীরভাবে ভাবার প্রয়োজন রয়েছে। দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী। নারীদেরকে নিরাপত্তাহীন রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া অসম্ভব। 

আগামী দিনগুলোতে অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রম কিংবা কর্মপরিকল্পনার রূপরেখা জনগণের সামনে আরও স্পষ্ট এবং সুনির্দিষ্ট হলে জনমনে থাকা সব সন্দেহের অবসান হবে বলে মন্তব্য করেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো কোনো উপদেষ্টা, এমনকি দু’একটি রাজনীতিক দলকেও জাতীয় নির্বাচনের ব্যাপারে ইদানিং কিছুটা ভিন্ন সুরে কথা বলতে শোনা যায়। আমরা মনে করি, জনপ্রত্যাশার প্রতি শ্রদ্ধা না দেখিয়ে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তোর নামে গৌণ ইস্যুকে মুখ্য করে, অকারণে সময়ক্ষেপণের চেষ্টা হলে, সেটি জনমনে ভুল বার্তা পৌঁছাবে। অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা এবং সরকারের কার্যক্রমের প্রতি জনগণের আস্থার সংকট সৃষ্টি হবে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠারকরণে যাত্রা পথ বিপদ সংকুল হয়ে উঠতে পারে। অপরদিকে এ ধরনের পরিস্থিতি শেষ পর্যন্ত পলাতক মাফিয়া চক্রের দোসরদের পুররুদ্ধারের পথকে সুগম করবে। 

বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বিএনপিসহ প্রতিটি রাজনৈতিক দল মনে করে, সংস্কার এবং নির্বাচন উভয়টি প্রয়োজন। সুতরাং সংস্কার এবং নির্বাচনকে মুখোমুখি দাঁড় করার কোনোই প্রয়োজন নেই। রাজনৈতিক পরিক্রম প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী এবং টেকসই কার্যকর রাখতে জনগণের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষমতা নিশ্চিত করতে হবে। রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাহীন জনগণ এবার নিজেদের ভোটের অধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে সরকার প্রতিষ্ঠা করে নিজেদের অধিকার বুঝে নিতে প্রস্তুত।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে এবং প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় ইফতার মাহফিলে বক্তব্য দেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট কর্নেল অব. অলি আহমদ, জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, জামায়াতের নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর প্রমুখ। এতে দোয়া পরিচালনা করেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হক।

ইফতার মাহফিলে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া, বিজেপি চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, বিপ্লবী ওরার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, জেএসডির সিনিয়র সহ সভাপতি তানিয়া রব, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য সুব্রত চৌধুরী, ইসলামী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান আব্দুর রকিব, বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ড. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক  নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমসহ যুগপৎ আন্দোলনের জোট এবং দলগুলোর নেতারাও ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির নেতাদের মধ্যে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আবদুল আউয়াল মিন্টু, নিতাই রায় চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, ড. আসাদুজ্জামান রিপন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী  শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/এমএ/

নিজেদের পছন্দসই দলকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে সরকার: জি এম কাদের

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৯:১০ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৯:১৪ পিএম
নিজেদের পছন্দসই দলকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে সরকার: জি এম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিজেদের পক্ষের লোক ও দলকে নানাভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করছেন বলে মন্তব্য করেন জি এম কাদের। তার মতে, নির্বাচন আয়োজন করতে সরকার নিরপেক্ষ অবস্থানে নেই। 

তিনি বলেন, ‘নিজেদের কিছু ফেভারিট মানুষ এবং দলকে তারা (সরকার) বিভিন্নভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করছেন। সরকারে তারা না থাকার পরেও সরকারের সমস্ত সুযোগ সুবিধা নিচ্ছেন এবং তারা এভাবে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। সরকারের নির্বাচন আয়োজনের সক্ষমতা নেই। এখানে নির্বাচনের নামে প্রহসন হবে। সংস্কারের নামে তারা যা করছেন তার প্রধান উদ্দেশ্য হলো বেশি দিন করে ক্ষমতায় থেকে নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধি করা, নিজেদের দলকে শক্তিশালী করা।’ 

বুধবার (১৯ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর কচুক্ষেতে জাতীয় পার্টির ইফতার মাহফিলে হামলার ঘটনার পরে গণমাধ্যমে পাঠানো ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন। 

দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উচিত এখনই ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়া। এতে দেশের মানুষ ‘রক্ষা পাবে’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। 

জি এম কাদের বলেন, ‘এখন পুলিশ অকার্যকর। ওনারা পুলিশকে কার্যকর করার কোনো ব্যবস্থা না করে এখন আবার দেশটাকে আগুনের মুখে ঢেলে দিচ্ছেন। আমরা কেউ এখানে সেইফ না। এখন ওনারা যেহেতু এখন পারছেন না, ওনাদের এখন ছেড়ে দিয়ে যাওয়া উচিত। যদি অন্য কেউ পারে ভালো করে তাহলে দেশের মানুষের একটু রক্ষা পায়।’ 

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে জাপা চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘একমাত্র আল্লাহর ওপর ভরসা করে মানুষ এখানে বেঁচে আছে। এ অবস্থায় আমি মনে করি, সরকারের প্রধান দায়িত্ব ছিল মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। সেখানে যখন ব্যর্থ হচ্ছেন এবং হয়েই যাচ্ছেন। পুলিশকে সম্পূর্ণ অকার্যকর করে যাচ্ছেন। মনোবল শূন্য পুলিশ, ঢালাওভাবে তাদের ফ্যাসিবাদের দোসর আখ্যা দিয়ে নানা মামলা মোকাদ্দমা দিয়ে, ট্রান্সফার করে তাদের মনোবল সম্পূর্ণ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ নিজেরাই বুঝতে পারছে না কোনটা করলে ভালো, কোনটা করলে খারাপ।’

সরকারের নানা সংস্কার কমিটিতে যারা আছেন তাদের রাজনীতি সম্পর্কে ‘কোনোরকম ধারণা’ নেই বলেও মন্তব্য করেন জাপা চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘তারা রাষ্ট্র পরিচালনা কীভাবে হয়, বাংলাদেশের রাজনীতি কীভাবে পরিচালিত হয়, সে বিষয়ে বাস্তব কোনো অভিজ্ঞতা নেই। তারা যেসব প্রপোজাল দেবেন, সেগুলো বাস্তবসম্মত হবে না। এই সরকারের অধীনে রিফর্মস (রাষ্ট্র পুনর্গঠন) সঠিক হবে না। আমরা মনে করি, ওনারা যত তাড়াতাড়ি চলে যায় জাতির জন্য তত মঙ্গল।’ 

উদারপন্থী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ হিসেবে রাজনীতি থেকে নির্বাসনের পায়তারা চলছে বলেও মন্তব্য করেন জি এম কাদের। তার ভাষ্যে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তাদের বাদ দেওয়া সম্ভব না। 

জয়ন্ত সাহা/মাহফুজ

স্থানীয় নির্বাচন দিয়ে প্রশাসনের স্বচ্ছতা নিশ্চিতের আহ্বান হাসনাতের

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৮:২৪ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৮:৩০ পিএম
স্থানীয় নির্বাচন দিয়ে প্রশাসনের স্বচ্ছতা নিশ্চিতের আহ্বান হাসনাতের
ছবি: খবরের কাগজ

জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি’র দক্ষিণাঞ্চলের মূখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, আমরা চাই স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মধ্য দিয়ে প্রশাসনের স্বচ্ছতার পরীক্ষা হয়ে যাক। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আহ্বান জানাবো, আপনারা স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজন করুন। প্রয়োজনে ধাপে ধাপে যতগুলো উপজেলা রয়েছে সেগুলো- ৫/৬টি ধাপে নির্বাচন দিয়ে এই প্রশাসনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করুন।

বুধবার (১৯ মার্চ) কুমিল্লার শাসনগাছায় ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ ’২৪ এর শহীদ ও আহতদের স্মরণে গণইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাসনাত আবদুল্লাহ এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, গত যে তিনটি নির্বাচন হয়েছে তাতে জনগণ ভোট দিতে পারে নাই। ভোট দিয়েছে প্রশাসন, নির্বাচন পরিচালনা করেছে প্রশাসন। একটি স্বচ্ছ ও ফ্রি এন্ড ফেয়ার নির্বাচন করার কোনো দক্ষতা আওয়ামী প্রশাসনের নেই। এই প্রশাসন সংস্কার না করা পর্যন্ত, আমরা যতক্ষণ না নিশ্চিত হই এই প্রশাসন একটি ফ্রি এন্ড ফেয়ার নির্বাচন করাতে পারে- আমরা ততক্ষণ আশ্বস্ত হচ্ছি না।

নির্বাচনি ফায়দা নিতে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের জন্য কিছু রাজনৈতিক দল কূটনীতিতে যুক্ত হচ্ছে মন্তব্য করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আপনাদেরকে সতর্ক করে দিয়ে যাই, আমরা ছাত্র-নাগরিকরা রাস্তায় তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে যে আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশ থেকে উৎখাত করেছি, আজকে সেই আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের জন্য ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা আপনাদের সতর্ক করে দিতে চাই- এই ছাত্র নাগরিকের হারানোর কিছুই নাই। একখাপে দুই তলোয়ার যেভাবে থাকতে পারে না, ঠিক একই একই ভাবে ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে একই ভাবে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ এবং এনসিপি থাকতে পারবে না। যদি কেউ আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে চায়, ৫ আগষ্ট গণভবন এবং বঙ্গভবনের যে পরিনতি হয়েছে-তাদেরও সে পরিণতি হবে।

জহির শান্ত/সিফাত/

হিন্দুত্ববাদী নীতির সমর্থনে অবস্থান নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র: মুক্তি কাউন্সিল

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৮:০৫ পিএম
হিন্দুত্ববাদী নীতির সমর্থনে অবস্থান নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র: মুক্তি কাউন্সিল

যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ‘ভারতের হিন্দুত্ববাদী নীতির সমর্থনে অবস্থান নিয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল সম্পাদক ফয়জুল হাকিম। বুধবার (১৯ মার্চ) এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেছেন। 

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দমনে পতিত ফ্যাসিস্ট খুনি শেখ হাসিনা সরকার গুলি করে প্রায় ২ হাজার মানুষকে হত্যা এবং প্রায় ২০ হাজার মানুষকে আহত করেছে। এ সম্পর্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা প্রধান তুলসী গ্যাবার্ড সম্পূর্ণ নীরব। এতে বোঝার অসুবিধা হয় না যে যুক্তরাষ্ট্রে সরকার দিল্লির চোখে বাংলাদেশকে দেখার নীতি অবলম্বন করেছে।’

বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাপ্রধান তুলসী গ্যাবার্ড ‘কোনো নির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই’ মন্তব্য করেছেন বলেও উল্লেখ করেন ফয়জুল হাকিম। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের বিভ্রান্তিকর অভিযোগ অন্যায় ও অতিরঞ্জিতভাবে উপস্থাপনা করা হয়েছে।’

বিবৃতিতে ফয়জুল হাকিম বলেন, ‘বাংলাদেশের জুলাইয় গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে উগ্র হিন্দুত্ববাদী ভারত সরকার ও দেশটির শাসক শ্রেণির মিডিয়া অব্যাহতভাবে বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্রের তকমা লাগানোর ষড়যন্ত্র করছে। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাপ্রধান তুলসী গ্যাবার্ড সেই অপপ্রচারের পালে বাতাস দিয়েছেন।’

মাহফুজ/