ঢাকা ৫ চৈত্র ১৪৩১, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
English

বন্ধু হলে তিস্তার পানি ও সীমান্তহত্যা বন্ধ করুন, ভারতকে মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:১৯ পিএম
আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৪৪ পিএম
বন্ধু হলে তিস্তার পানি ও সীমান্তহত্যা বন্ধ করুন, ভারতকে মির্জা ফখরুল
সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: খবরের কাগজ

অন্তর্বর্তী সরকারকে ভারতের কাছে তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা চাইতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ভারতের উদ্দেশে তিনি বলেন, ভারতকে বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে হলে দাদাগিরি করা চলবে না। বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে হলে প্রথমে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা দিতে হবে। সীমান্তহত্যা বন্ধ করতে হবে। তাহলে বন্ধুত্ব হতে পারে।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রংপুর ও লালমনিরহাট জেলার তিস্তা রেলওয়ে সেতু সংলগ্ন চর পয়েন্টে তিস্তা রক্ষা ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে এদিন একই সঙ্গে লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, রংপুর ও গাইবান্ধা জেলার ১১ পয়েন্টে সমাবেশ, পদযাত্রা, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা করেছে ‘তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি।’ টানা ৪৮ ঘণ্টার এ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন মির্জা ফখরুল।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ‘তিস্তা নদী রক্ষা কমিটি’র প্রধান সমন্বয়কারী বিএনপির রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু। 

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সমাপনী দিনে সন্ধ্যায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ৫ জেলার ১১ পয়েন্টে বক্তব্য রাখবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার নিজেদের নিরপেক্ষ সরকার বলে। তাই ভারতের কাছে তিস্তার ন্যায্য পানি চাইতে হবে। আমরা ভারতকে বন্ধু হিসেবে দেখতে চাই। তবে ন্যায্য পানির ন্যায্য হিস্যা বুঝিয়ে দিতে হবে। সীমান্তে আমাদের নাগরিককে গুলি করে হত্যা বন্ধ করতে হবে।’ 

উপস্থিত মানুষদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘লড়াই না করে কিছু পাওয়া যায় না। লড়াই করে আমাদের অধিকারগুলো আদায় করব, ন্যায্য পাওনা বুঝে নেব। এখন নতুন লড়াই শুরু হয়েছে। সেটা হলো- বাঁচা মরার লড়াই, স্বাধীনতার লড়াই। জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ১৫ বছরে বাংলাদেশকে বেচে দিছে, কিন্তু তিস্তার একফোঁটা পানি আনতে পারে নাই। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ৫৪টি নদী আছে, প্রতিটি নদীতেই তারা বাঁধ বসিয়ে রেখেছে। একদিকে ভারত আমাদের পানি দেয় না, অন্যদিকে বাংলাদেশের শত্রু হাসিনাকে তারা বসিয়ে রেখেছে। ওখান থেকে বসে তিনি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হুকুম দিচ্ছেন।’ 

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকের যে আন্দোলন শুরু হচ্ছে এটা কি আমরা শেষ পর্যন্ত নিয়ে যাব? মওলানা ভাসানী যেমন তিস্তা রক্ষার আন্দোলন শুরু করেছিলেন, বহুদিন পর আজ আসাদুল হাবিব দুলু ভাই সেই আন্দোলন আবার শুরু করেছেন।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘দ্রুত সংস্কার করে নির্বাচন দিন। জনগণ অনেক বছর ভোট দিতে পারেনি। তাই জনগণ চায় ভোট দিয়ে নিজের প্রতিনিধিকে সংসদে পাঠিয়ে তাদের দিয়ে তাদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন করাতে। ভোট হলে দেশে যে অস্থিতিশীলতা চলছে, তা বন্ধ হবে। জনগণ প্রতিনিধি পাবে তাদের কথা বলার।’ 

জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, “বাংলায় কথা আছে ঠেলার নাম বাবাজি। আজকের এই কর্মসূচি যখন ৬০ দিন আগে ঘোষণা করা হয়েছিল এরপর গত কয়েক দিন আগে ভারত পানি ছাড়া শুরু করেছে। ভারত যদি তিস্তার ন্যায্য হিস্যা না দেয় তাহলে আমরা এককভাবে ‘তিস্তা মহাপরিকল্পনা’ বাস্তবায়ন করব। স্বাধীন জাতি হিসেবে আমাদের অধিকার আছে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেবার। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে তিস্তার এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করব।”

বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘শুকনো মৌসুমে ভারত উজানের পানি আটকে রাখে, আর বর্ষার মৌসুমে ছেড়ে দেয়। যার ফলে আমাদের এখানে বন্যায় সব ভেসে যায়। এটা কি কোনো বন্ধুর পরিচয়? কোনোভাবেই না। অন্তর্বর্তী সরকারকে বলব এখন সময় এসেছে ভারতের চোখে চোখ রেখে কথা বলার। তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা পেতে প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক আদালতে বাংলাদেশের সরকারকে যেতে হবে। মওলানা ভাসানীর মতো প্রয়োজন হলে আবারও আমরা লং মার্চের আয়োজন করব। এবাই তিস্তার লড়াই আমাদের জিততেই হবে, যদি এই জনপদের লোকদের বাঁচাতে চাই।’

সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, ‘রংপুর ছিল রঙ্গে রসে ভরপুর। তাকে আজ বিরানভূমিতে পরিণত করা হয়েছে। ছিন্নমূল মানুষ বাড়িঘর হারিয়ে দেশান্তরী হয়ে কোথায় চলে গেছে আমরা বলতে পারি না।’ 

তিনি বলেন, ‘আমাদের দাবি তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা বুঝে পাওয়া, তিস্তা নিয়ে একটি পরিকল্পনা হয়েছে, সেই পরিকল্পনার মাধ্যমে তিস্তাকে শাসন করা, ড্রেজিং করা, এখানে শিল্পকারখানা তৈরি করা এবং কর্মসংস্থান তৈরি করা। অবিলম্বে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। আগামীকাল আমরা তিস্তার পানিতে নামব, কেননা আমরা দেখিয়ে দিতে চাই তিস্তার পানি এখন হাঁটুর নিচে।’

কর্মসূচি বাস্তবায়নে তিস্তার বুকে মঞ্চ তৈরি, খাবারের ব্যবস্থা ও তাঁবু টানিয়ে রাত্রিযাপনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কর্মসূচিতে শিক্ষার্থী, কৃষক, মৎস্যজীবী, পরিবেশকর্মী, শিক্ষক, চিকিৎসক থেকে শুরু করে বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন। তারা সবাই শুকিয়ে যাওয়া তিস্তাকে রক্ষায় একত্রিত হয়েছেন। 

শফিকুল/সালমান/

পলিটিক্যালি মোটিভেটেড না হয়ে আইনজীবীদের কাজ করতে হবে: জামায়াতের আমির

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ১০:১৩ পিএম
পলিটিক্যালি মোটিভেটেড না হয়ে আইনজীবীদের কাজ করতে হবে: জামায়াতের আমির
বাংলাদেশ ল ইয়ার্স কাউন্সিল আয়োজিত ‘মাহে রমজানের গুরুত্ব ও তাৎপর্য’ আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: খবরের কাগজ

পলিটিক্যালি মোটিভেটেড না হয়ে মানুষের কল্যাণে আইনজীবীদের কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আইনজীবীদের ভূমিকা কোনো অংশে কম নয়। বার ও বেঞ্চের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ন্যায়বিচার নিশ্চিত হতে পারে।’

বুধবার (১৯ মার্চ) সুপ্রিম কোর্ট বার মিলনায়তনে বাংলাদেশ ল ইয়ার্স কাউন্সিল আয়োজিত ‘মাহে রমজানের গুরুত্ব ও তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। অসহায় বিচারপ্রার্থীদের জন্য বিনামূল্য মামলা পরিচালনা করতে আইনজীবীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আদালত অঙ্গনে আমি বহুবার এসেছি। মুক্ত মানুষ হিসেবে নয়, বন্দি হিসেবে। আজ মুক্ত পরিবেশে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পেরে মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি, আলহামদু লিল্লাহ।’

তিনি বলেন, ‘শুধু আইনজীবীদের নামের পূর্বেই বিজ্ঞ শব্দ ব্যবহার করা হয়। বার ও বেঞ্চ নিয়েই বিচার কার্যক্রম। আইনজীবীরা বিচারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মানুষের মাঝে ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার নির্দেশ দিয়েছেন। মানবজীবনের জন্য দুটি গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক দিক রয়েছে। একটি আদালত, আরেকটি চিকিৎসা। এ দুটি জায়গা ঠিক হয়ে গেলে সমাজে শান্তি ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হবে। কিন্তু আমাদের দেশে এই দুটিই করুণ অবস্থায় রয়েছে। বলতে গেলে ন্যায়বিচার আজ নির্বাসনে। আর স্বাস্থ্য খাতে চলছে চরম অনিয়ম।’ 

জামায়াতের আমির বলেন, ‘আমাদের দেশে ব্রিটিশ লকে মাদার ল বলা হয়। কিন্তু প্রকৃত মাদার ল হচ্ছে কোরআনের আইন। ইসলামের আইনকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য আজ পর্যন্ত কোনো আইন তৈরি হয়নি। অনেক আইন আছে, যা এসেছে কোরআন থেকে। যার কারণে বিদ্যমান অনেক আইন কোরআনের সঙ্গে খুব বেশি সাংঘর্ষিক নয়। কোরআনের আইনের ভিত্তিতে এক মানবিক সমাজ গঠনে সবাইকে আন্তরিক হতে হবে।’

অ্যাডভোকেট জসীম উদ্দিন সরকারের সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিলে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ল ইয়ার্স কাউন্সিলের সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, অ্যাডভোকেট মোয়াযযম হোসাইন হেলাল, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল, অ্যাডভোকেট মশিউল আলম, অ্যাডভোকেট মোহাম্মাদ হেলাল উদ্দিন, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন মিঠু, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সাইফুর রহমান প্রমুখ।

 শফিকুল ইসলাম/মাহফুজ

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না: আমিনুল হক

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৯:২৯ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৯:২৯ পিএম
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না: আমিনুল হক
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে আর কোনো ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না উল্লেখ করে বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। বিদেশি প্রভুদের সহযোগিতায় স্বৈরাচার আওয়ামী দোসরদের কোনো ষড়যন্ত্র বাংলাদেশের মানুষের ক্ষতি করতে পারবে না। 

বুধবার (১৯ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর রুপনগরে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির পক্ষে বিশিষ্ট সমাজ সেবক বিএনপি নেতা হাজী মো. রতন মিয়া'র আয়োজনে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

এসময় আমিনুল হক বলেন, স্বৈরাচার মুক্ত এ স্বাধীন বাংলাদেশে আজকে আমরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছি।

এই স্বস্তির নিঃশ্বাসের ভিতরে কতিপয় ষড়যন্ত্রকারীরা দুষ্কৃতিকারী আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসররা বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র করে বেড়াচ্ছে। এই অন্তবর্তী সরকারকে ব্যর্থ করতে বাংলাদেশের ভিতরে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করছে তারা। 

এসময় তিনি বলেন, গত ১৭ বছর পর আমরা প্রথম বারের মতো উন্মুক্তভাবে কোনো খোলা জায়গায় বসে ইফতারির আয়োজন করতে পারছি। ঐ সময়ে আমরা উন্মুক্তভাবে কোনো জায়গায় বসে একত্র হয়ে সভা মিটিং এমনকি দোয়ার অনুষ্ঠানও করতে পারিনি। স্বৈরাচার সরকার আমাদেরকে করতেও দেয়নি। 

বিএনপির এই নেতা এসময়ে আরও বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা বিএনপিকে ভয় পেত। তারা এদেশের জনগণকে ভয় পেত। কারণ তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত ছিল না। তারা ছিল জনবিচ্ছিন্ন। 

‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। বিএনপি একটি সুন্দর মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চায়।’ তারেক রহমানের নেতৃত্বে মানবিক বাংলাদেশ গড়তে এদেশের সকল মানুষের সহযোগিতা কামনা করেন আমিনুল হক। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, মাহাবুব আলম মন্টু, রুপনগর থানা বিএনপি আহ্বায়ক জহিরুল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার মজিবুল হক, আলী আহমেদ রাজু, রুপনগর আবাসিক জনকল্যাণ সমিতির সভাপতি বিএনপি নেতা মো. শাহ আলম মোল্লা, থানা বিএনপির সিনিয়র সদস্য এম আশরাফুল ইসলাম, রুপনগর ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শফিকুল ইসলাম মামুন, সাধারণ সম্পাদক খোকন মাদবর, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মো. সেলিম, সহসভাপতি ফুতুন মিয়া, থানা যুবদল সিনিয়র সহসভাপতি মো. নাঈম, রুপনগর থানা স্বেচ্ছাসেবকদল যুগ্ম আহ্বায়ক সাজেদুল আলম টুটুল, ছাত্রদল রুপনগর থানার সাধারণ সম্পাদক কাওছার মল্লিক প্রমুখ। 

এর আগে দুপুরে রাজধানীর মিরপুর গার্লস এন্ড আইডিয়াল ল্যবরেটরিজ ইনস্টিটিউটের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আমিনুল হক। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পল্লবী থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক স্কুল এডহক কমিটির সভাপতি মোকছেদুর রহমান আবির। কলেজ অধ্যক্ষ জিনাত ফারহানা সভাপতিত্ব করেন।

মাহফুজ/

ধর্মীয় উগ্রবাদ মাথাচাড়া দিলে গণতন্ত্রের কবর রচিত হবে: তারেক রহমান

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৯:২৬ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৯:৩২ পিএম
ধর্মীয় উগ্রবাদ মাথাচাড়া দিলে গণতন্ত্রের কবর রচিত হবে: তারেক রহমান
ছবি: সংগৃহীত

ধর্মীয় উগ্রবাদীদের অপতৎপরতা এবং চরমপন্থা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার পরিচয় দিলে, উগ্রবাদী জনগোষ্ঠী এবং পরাজিত অপশক্তি দেশে পুনরায় গণতন্ত্রের কবর রচনা করবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, এর ফলে গণতান্ত্রিক বিশ্বে ইমেজ সংকটে পড়তে পারে বাংলাদেশ। দেশের অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক চরিত্র সমুন্নত রাখতে চরমপন্থা এবং ধর্মীয় উগ্রবাদী অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে। পাশাপাশি গণহত্যাকারী পলাতক মাফিয়া চক্রকে যে কোনো মূল্যে বিচারের সম্মুখীন করার মাধ্যমে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক বিধি ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে। গণহত্যাকারীদের বিচার করাই হবে বিএনপিসহ গণতন্ত্রের পক্ষে শক্তির আগামী দিনের রাজনৈতিক বন্দোবস্ত হবে।

বুধবার (১৯ মার্চ) রাজধানীর ইস্কাটনে লেডিস ক্লাবে এক ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য ভাচ্যুর্য়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

রাজনৈতিক দলের নেতাদের সম্মানে ইফতার মাহফিল করে বিএনপি। এতে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, জাতীয় নাগরিক পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ, এবি পার্টি, জাতীয় পার্টি (জাফর)সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের র্শীষ নেতারা অংশ নেন। ইফতারকে কেন্দ্র করে ইস্কাটনে রাজনৈতিক দলের নেতাদের মিলন মেলায় পরিণত হয়।  

রাজনীতিবিদদের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, আমাদের সবার চিন্তা, ভাবনা হয়তো এক নয়। আমাদের মধ্যে ভিন্ন রাজনৈতিক চিন্তা রয়েছে, ভিন্ন দল-মত-দর্শন রয়েছে। তবে মতে ভিন্নতা থাকা সত্ত্বেও আমরা কিন্তু সবাই একসঙ্গে বসেছি। এটাই আমাদের বাংলাদেশ। এইটি আবহমানকালের ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক মূল্যবোধের এক অনন্য প্রতিফলন। তবে দুঃখজনকভাবে গত দেড় দশকের ফ্যাসিবাদী শাসন শোষণে দেশের শুধুমাত্র শিক্ষা ব্যবস্থা, রাজনীতি, অর্থনীতি এসবকিছুকেই ধ্বংস করে দেয়নি, বরং বাংলাদেশের আবহমানকালের ধর্মীয় সামাজিক সাংস্কৃতিক মূল্যবোধকেও ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। সামাজিক সম্প্রতি ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে নষ্ট করে দিয়েছে।  

তিনি বলেন, একটি রাষ্ট্র এবং সমাজের জনগোষ্ঠীর মধ্যে ধর্মীয়, সামাজিক সম্প্রীতি ও মূল্যবোধ যদি বিনষ্ট করে দেওয়া যায়, তখনই সমাজ ব্যবস্থা অবক্ষয়গ্রস্থ, ভঙ্গুর, নিষ্ঠু এবং অমানবিক হয়ে ওঠে। ভঙ্গুর রাষ্ট্র এবং সমাজ ব্যবস্থা উগ্রবাদ আর চরম পন্থা বিকাশের এক উর্বর ভূমিতে পরিণত। সাম্প্রতিক সময় হঠাৎ করে অতীতের মতন দেশে পুনরায়, নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। এ বিষয়টি গভীরভাবে ভাবার প্রয়োজন রয়েছে। দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী। নারীদেরকে নিরাপত্তাহীন রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া অসম্ভব। 

আগামী দিনগুলোতে অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রম কিংবা কর্মপরিকল্পনার রূপরেখা জনগণের সামনে আরও স্পষ্ট এবং সুনির্দিষ্ট হলে জনমনে থাকা সব সন্দেহের অবসান হবে বলে মন্তব্য করেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো কোনো উপদেষ্টা, এমনকি দু’একটি রাজনীতিক দলকেও জাতীয় নির্বাচনের ব্যাপারে ইদানিং কিছুটা ভিন্ন সুরে কথা বলতে শোনা যায়। আমরা মনে করি, জনপ্রত্যাশার প্রতি শ্রদ্ধা না দেখিয়ে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তোর নামে গৌণ ইস্যুকে মুখ্য করে, অকারণে সময়ক্ষেপণের চেষ্টা হলে, সেটি জনমনে ভুল বার্তা পৌঁছাবে। অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা এবং সরকারের কার্যক্রমের প্রতি জনগণের আস্থার সংকট সৃষ্টি হবে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠারকরণে যাত্রা পথ বিপদ সংকুল হয়ে উঠতে পারে। অপরদিকে এ ধরনের পরিস্থিতি শেষ পর্যন্ত পলাতক মাফিয়া চক্রের দোসরদের পুররুদ্ধারের পথকে সুগম করবে। 

বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বিএনপিসহ প্রতিটি রাজনৈতিক দল মনে করে, সংস্কার এবং নির্বাচন উভয়টি প্রয়োজন। সুতরাং সংস্কার এবং নির্বাচনকে মুখোমুখি দাঁড় করার কোনোই প্রয়োজন নেই। রাজনৈতিক পরিক্রম প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী এবং টেকসই কার্যকর রাখতে জনগণের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষমতা নিশ্চিত করতে হবে। রাজনৈতিকভাবে ক্ষমতাহীন জনগণ এবার নিজেদের ভোটের অধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে সরকার প্রতিষ্ঠা করে নিজেদের অধিকার বুঝে নিতে প্রস্তুত।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে এবং প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় ইফতার মাহফিলে বক্তব্য দেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট কর্নেল অব. অলি আহমদ, জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, জামায়াতের নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর প্রমুখ। এতে দোয়া পরিচালনা করেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হক।

ইফতার মাহফিলে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া, বিজেপি চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, বিপ্লবী ওরার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, জেএসডির সিনিয়র সহ সভাপতি তানিয়া রব, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য সুব্রত চৌধুরী, ইসলামী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান আব্দুর রকিব, বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ড. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক  নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমসহ যুগপৎ আন্দোলনের জোট এবং দলগুলোর নেতারাও ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির নেতাদের মধ্যে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আবদুল আউয়াল মিন্টু, নিতাই রায় চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, ড. আসাদুজ্জামান রিপন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী  শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/এমএ/

নিজেদের পছন্দসই দলকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে সরকার: জি এম কাদের

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৯:১০ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৯:১৪ পিএম
নিজেদের পছন্দসই দলকে পৃষ্ঠপোষকতা করছে সরকার: জি এম কাদের
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিজেদের পক্ষের লোক ও দলকে নানাভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করছেন বলে মন্তব্য করেন জি এম কাদের। তার মতে, নির্বাচন আয়োজন করতে সরকার নিরপেক্ষ অবস্থানে নেই। 

তিনি বলেন, ‘নিজেদের কিছু ফেভারিট মানুষ এবং দলকে তারা (সরকার) বিভিন্নভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করছেন। সরকারে তারা না থাকার পরেও সরকারের সমস্ত সুযোগ সুবিধা নিচ্ছেন এবং তারা এভাবে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। সরকারের নির্বাচন আয়োজনের সক্ষমতা নেই। এখানে নির্বাচনের নামে প্রহসন হবে। সংস্কারের নামে তারা যা করছেন তার প্রধান উদ্দেশ্য হলো বেশি দিন করে ক্ষমতায় থেকে নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধি করা, নিজেদের দলকে শক্তিশালী করা।’ 

বুধবার (১৯ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর কচুক্ষেতে জাতীয় পার্টির ইফতার মাহফিলে হামলার ঘটনার পরে গণমাধ্যমে পাঠানো ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন। 

দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উচিত এখনই ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়া। এতে দেশের মানুষ ‘রক্ষা পাবে’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। 

জি এম কাদের বলেন, ‘এখন পুলিশ অকার্যকর। ওনারা পুলিশকে কার্যকর করার কোনো ব্যবস্থা না করে এখন আবার দেশটাকে আগুনের মুখে ঢেলে দিচ্ছেন। আমরা কেউ এখানে সেইফ না। এখন ওনারা যেহেতু এখন পারছেন না, ওনাদের এখন ছেড়ে দিয়ে যাওয়া উচিত। যদি অন্য কেউ পারে ভালো করে তাহলে দেশের মানুষের একটু রক্ষা পায়।’ 

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে জাপা চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘একমাত্র আল্লাহর ওপর ভরসা করে মানুষ এখানে বেঁচে আছে। এ অবস্থায় আমি মনে করি, সরকারের প্রধান দায়িত্ব ছিল মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। সেখানে যখন ব্যর্থ হচ্ছেন এবং হয়েই যাচ্ছেন। পুলিশকে সম্পূর্ণ অকার্যকর করে যাচ্ছেন। মনোবল শূন্য পুলিশ, ঢালাওভাবে তাদের ফ্যাসিবাদের দোসর আখ্যা দিয়ে নানা মামলা মোকাদ্দমা দিয়ে, ট্রান্সফার করে তাদের মনোবল সম্পূর্ণ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ নিজেরাই বুঝতে পারছে না কোনটা করলে ভালো, কোনটা করলে খারাপ।’

সরকারের নানা সংস্কার কমিটিতে যারা আছেন তাদের রাজনীতি সম্পর্কে ‘কোনোরকম ধারণা’ নেই বলেও মন্তব্য করেন জাপা চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘তারা রাষ্ট্র পরিচালনা কীভাবে হয়, বাংলাদেশের রাজনীতি কীভাবে পরিচালিত হয়, সে বিষয়ে বাস্তব কোনো অভিজ্ঞতা নেই। তারা যেসব প্রপোজাল দেবেন, সেগুলো বাস্তবসম্মত হবে না। এই সরকারের অধীনে রিফর্মস (রাষ্ট্র পুনর্গঠন) সঠিক হবে না। আমরা মনে করি, ওনারা যত তাড়াতাড়ি চলে যায় জাতির জন্য তত মঙ্গল।’ 

উদারপন্থী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ হিসেবে রাজনীতি থেকে নির্বাসনের পায়তারা চলছে বলেও মন্তব্য করেন জি এম কাদের। তার ভাষ্যে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তাদের বাদ দেওয়া সম্ভব না। 

জয়ন্ত সাহা/মাহফুজ

স্থানীয় নির্বাচন দিয়ে প্রশাসনের স্বচ্ছতা নিশ্চিতের আহ্বান হাসনাতের

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৮:২৪ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৮:৩০ পিএম
স্থানীয় নির্বাচন দিয়ে প্রশাসনের স্বচ্ছতা নিশ্চিতের আহ্বান হাসনাতের
ছবি: খবরের কাগজ

জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি’র দক্ষিণাঞ্চলের মূখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, আমরা চাই স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মধ্য দিয়ে প্রশাসনের স্বচ্ছতার পরীক্ষা হয়ে যাক। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আহ্বান জানাবো, আপনারা স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজন করুন। প্রয়োজনে ধাপে ধাপে যতগুলো উপজেলা রয়েছে সেগুলো- ৫/৬টি ধাপে নির্বাচন দিয়ে এই প্রশাসনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করুন।

বুধবার (১৯ মার্চ) কুমিল্লার শাসনগাছায় ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ ’২৪ এর শহীদ ও আহতদের স্মরণে গণইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাসনাত আবদুল্লাহ এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, গত যে তিনটি নির্বাচন হয়েছে তাতে জনগণ ভোট দিতে পারে নাই। ভোট দিয়েছে প্রশাসন, নির্বাচন পরিচালনা করেছে প্রশাসন। একটি স্বচ্ছ ও ফ্রি এন্ড ফেয়ার নির্বাচন করার কোনো দক্ষতা আওয়ামী প্রশাসনের নেই। এই প্রশাসন সংস্কার না করা পর্যন্ত, আমরা যতক্ষণ না নিশ্চিত হই এই প্রশাসন একটি ফ্রি এন্ড ফেয়ার নির্বাচন করাতে পারে- আমরা ততক্ষণ আশ্বস্ত হচ্ছি না।

নির্বাচনি ফায়দা নিতে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের জন্য কিছু রাজনৈতিক দল কূটনীতিতে যুক্ত হচ্ছে মন্তব্য করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আপনাদেরকে সতর্ক করে দিয়ে যাই, আমরা ছাত্র-নাগরিকরা রাস্তায় তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে যে আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশ থেকে উৎখাত করেছি, আজকে সেই আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের জন্য ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা আপনাদের সতর্ক করে দিতে চাই- এই ছাত্র নাগরিকের হারানোর কিছুই নাই। একখাপে দুই তলোয়ার যেভাবে থাকতে পারে না, ঠিক একই একই ভাবে ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে একই ভাবে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ এবং এনসিপি থাকতে পারবে না। যদি কেউ আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে চায়, ৫ আগষ্ট গণভবন এবং বঙ্গভবনের যে পরিনতি হয়েছে-তাদেরও সে পরিণতি হবে।

জহির শান্ত/সিফাত/