ঢাকা ৯ চৈত্র ১৪৩১, রোববার, ২৩ মার্চ ২০২৫
English

খেলাধুলাই পারে একটি জাতিকে এক কাতারে আনতে: আমিনুল হক

প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:১২ পিএম
খেলাধুলাই পারে একটি জাতিকে এক কাতারে আনতে: আমিনুল হক
ছবি: সংগৃহীত

খেলাধুলাই পারে একটি জাতিকে এক কাতারে আনতে মন্তব্য করে বিএনপি কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমিনুল হক বলেছেন, খেলাধূলার বিষয়টি এমন একটি জায়গা- যেখানে দল মত নির্বিশেষে একটি জাতিকে এক কাতারে নিয়ে আসা যায়। 

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর পল্লবীতে মিরপুর ১২ নাম্বার ডি-ব্লক ঈদগা মাঠে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০২৪-২৫ এর ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আমিনুল হক বলেন, একটি সুন্দর সমাজ ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ার পাশাপাশি আমরা চাই বাংলাদেশের মানুষের সামাজিক কার্যক্রমের সঙ্গে খেলাধুলাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিতে। 

এসময় তিনি আরও বলেন, সেই গুরুত্বকে বহন করেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বাংলাদেশের যুব সমাজ ও তরুণ প্রজন্মের কথা চিন্তা করেই খেলাধূলাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। 

বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, তারেক রহমানের নির্দেশেই আমরা ইতোমধ্যে বিভাগীয় পর্যায়ে জিয়া ক্রিকেট টূর্নামেন্ট শেষ করেছি। আরাফাত রহমান কোকো ফুটবল ও ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আয়োজনে জিয়া আন্তঃথানা ফুটবল টুর্নামেন্টসহ যুব সমাজকে মাদকমুক্ত রাখতে একাধিক টুর্নামেন্ট চলমান রেখেছি। এই টুর্নামেন্টগুলোর মাধ্যমেই আমরা বাংলাদেশকে একটি সুস্থ সমাজ ও সুস্থ জাতি হিসিবে গড়ে তুলতে চাই।

তিনি বলেন, বিগত ১৭ বছরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের শাসনামলে তারা যুবসমাজকে খেলাধুলা থেকে দূরে রেখেছিল। সেই সময়ে আওয়ামী স্বৈরাচাররা শুধু একটি জিনিস দেখেছে, কীভাবে জোর করে ক্ষমতায় থাকা যায়।

গত ১৭ বছরে স্বৈরাচার আওয়ামী সরকার যা করেছে বিএনপি তার উল্টোটা করতে চায় উল্লেখ করে আমিনুল হক বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটেও দল মত নির্বিশেষে এদেশের কল্যাণের জন্য এদেশের জনগণের উন্নয়নের জন্য আমরা সকলেই বাংলাদেশি হিসেবে কাজ করব। বাংলাদেশি হিসেবে এ দেশের জনগণের কল্যাণ করব। এদেশের জন্য উন্নয়ন করব। তাহলেই আমরা সকলে একটি জাতিতে পরিনত হতে পারব। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক এবিএমএ রাজ্জাক, গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, মাহাবুব আলম মন্টু, মহানগর বিএনপি সদস্য সাজ্জাদ হোসেন মোল্লা, ইব্রাহিম খলিল, পল্লবী থানা বিএনপি ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক কামাল হুসাইন খান, যুগ্ম আহ্বায়ক মোকছেদুর রহমান আবির,আনিছুর রহমান, ২ নং ওয়ার্ড বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর মামুন, ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি নজরুল ইসলাম নজু, মহিলাদল নেত্রী লাইলী বেগম, লাকী রহমান, সৈয়দা পলি প্রমূখ। 

ফাইনালে পল্লবী থানার ৩ নং ওয়ার্ডের ২০০ রানের জবাবে ২ নং ওয়ার্ড ২০১ রান করে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি জিতে নেয়। 

এরপর তিনি বিকেলে গাজীপুরে আরাফাত রহমান কোকো স্মরণে এক ভলিবল টুর্নামেন্টে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম বেপারী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গাজীপুর জেলা যুবদল যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শোভন আহমেদ। এসময় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, মহানগর সদস্য ইব্রাহিম খলিল, স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মামুন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। 

মাহফুজ/

আওয়ামী লীগ ১৬ বছরে মামলা দিয়েই অনেক পরিবারকে শেষ করে দিয়েছে: ডা. শাহাদাত

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১২:২১ পিএম
আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১২:৪০ পিএম
আওয়ামী লীগ ১৬ বছরে মামলা দিয়েই অনেক পরিবারকে শেষ করে দিয়েছে: ডা. শাহাদাত
ছবি: খবরের কাগজ

আওয়ামী লীগ ১৬ বছরে মামলা দিয়েই অনেক পরিবারকে শেষ করে দিয়েছে। দেশে এখন অনেক ষড়যন্ত্র চলছে। আওয়ামী লীগকে আবারও পুনর্বাসন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এমন কাজ হতে দেওয়া যাবে না। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

শনিবার (২২ মার্চ) নগরীর ষোলশহরস্থ এলজিইডি মিলনায়তনে অ্যাসোসিয়েশন অব এক্স জেসিডি চুয়েটের উদ্যোগে জুলাই আন্দোলনে চট্টগ্রামে শহিদ পরিবার ও আহতদের সম্মাননা প্রদান ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি জুলাই আন্দোলনে চট্টগ্রামে নিহত ওয়াসিম আকরাম, ফজলে রাব্বি ও তানভীর সিদ্দিকীসহ ৮ জন নিহত ও ৩১ জন আহতের পরিবারকে আর্থিক সম্মাননা দেন।

আওয়ামী লীগ কি করেছে তা শুধু ভুক্তভোগীরা ভালো জানেন জানিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গত ১৬ বছরে কি কাজ করেছে সেটা আমরা যারা ভুক্তভোগী তারা জানি। আমাদের অনেকে জেল খেটেছে। বাচ্চার খরচ চালাতে পারেনি, পরিবারকে সময় দিতে পারেনি। অনেক পরিবার কষ্টে দিনাতিপাত করত। তাদের টাকা থাকত না। কারণ টাকা যে ইনকাম করবে, সেই সময়টা তো তারা পাইনি। পাবেই বা কোথা থেকে, জেল-জুলুম আর সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত আদালতে হাজিরা দিতে দিতেই সময় শেষ। আর কোথা থেকে ব্যবসা বাণিজ্য বা চাকরি করবে।

মামলাকে টার্গেট করে অনেক পরিবারকে ধ্বংস করে দিয়েছে উল্লেখ করে শাহাদাত হোসেন বলেন, 'মামলার কারণে ওই সময় মানুষ খুব অসহায় ছিল। মামলাগুলোকে টার্গেট করে করে সমস্ত ছেলেকে শেষ করে দিয়েছে। তাদের পরিবারকে ধ্বংস করে দিয়েছে। গত ১৬ বছর আন্দোলন-সংগ্রাম করতে করতে পরিবারগুলো শেষে হয়ে গেছে। তাদের জন্য ওই দিনগুলো অনেক কষ্টের ছিল। আওয়ামী লীগ যে কাজ করেছে, তার মধ্যে শুধু মামলার হিসাব করলেই অনেক পরিবারকে তিলে তিলে শেষ করে দিয়েছে।'

অ্যাসোসিয়েশন অব এক্স জেসিডি চুয়েটের সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আতিকুজ্জামান বিল্লাহ ও ইঞ্জিনিয়ার আবদুল্লাহ আল মামুনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার নুরুল করিম, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, পিডিবির সাবেক প্রধান প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল করিম, আইইবির ভাইস প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার এটিএম তানভীরুল ইসলাম তমাল।

উপস্থিত ছিলেন অ্যাসোসিয়েশন অব এক্স জেসিডি চুয়েটের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আফজাল হোসেন সবুজ, আইইবি চট্টগ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব সিরাজউদ্দৌলাহ, চুয়েটের সাবেক ভিপি ইঞ্জিনিয়ার মেজবাহ উদ্দিন, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার উমাশা হুমায়ুন চৌধুরী, এক্স জেসিডি নেতা ইঞ্জিনিয়ার মনছুর আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার মুনতাসীর মামুন মুন্না, ইঞ্জিনিয়ার সজল, ইঞ্জিনিয়ার রনি চৌধুরী প্রমুখ।

মেহেদী/

যুবদল-ছাত্রদল সংঘর্ষ খুলশী থানার ওসি প্রত্যাহার

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০৮:৪০ এএম
খুলশী থানার ওসি প্রত্যাহার
চট্টগ্রামে ঈদুল ফিতরের ব্যানার টানানোকে কেন্দ্র করে যুবদল ও ছাত্রদলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় খুলশী থানার ওসি মজিবুর রহমান কাওসারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের জিইসি মোড়ে ঈদুল ফিতরের ব্যানার টানানোকে কেন্দ্র করে যুবদল ও ছাত্রদলের সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান কাওসারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তার জায়গায় কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আফতাব হোসেনকে দায়িত্ব বুঝে নিতে বলা হয়েছে। গত শুক্রবার রাতেই তাকে প্রত্যাহার করা হয়। তবে সকালে ওসি হিসেবে আফতাব হোসেনের দায়িত্ব পাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে। 

জানা যায়, শুক্রবার রাতে নগরীর জিইসি মোড়ে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে ব্যানার টানানো নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়। পরে তারা খুলশী থানার কুসুমবাগ ডেবার পাড় এলাকায় মুখোমুখি হয়। এ সময় দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ চারজন আহত হয়েছেন।

আহতরা হলেন জিহাদুর রহমান জিয়াদ, কামাল হোসেন, আনোয়ার হোসেন মোনা ও রমিজ। তাদের মধ্যে জিয়াদ ও কামাল যুবদলের সদস্য। জিয়াদের শরীরে দুটি গুলি লেগেছে। এ ছাড়াও আনোয়ার হোসেনও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে। আরও দুজন ছুরিকাহত হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, তারা নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হালিম শাহ আলমের সমর্থক।

সিএমপি সূত্র জানিয়েছে, খুলশী থানার ওসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ বলেন, বদলি একটি সাধারণ প্রক্রিয়া। যেকোনো সময় যে কাউকে প্রত্যাহার করা হতে পারে। খুলশী থানার ওসিকে প্রত্যাহার এবং কোতোয়ালি থানা পরিদর্শক (তদন্ত) আফতাব হোসেনকে দায়িত্ব বুঝে নিতে বলা হয়েছে।

কমিশনে এনসিপির প্রস্তাব রবিবার ভোটারের বয়স ১৬, প্রার্থীর ২৩ বছর করার প্রস্তাব

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১২:০৬ এএম
আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১২:০৬ এএম
ভোটারের বয়স ১৬, প্রার্থীর ২৩ বছর করার প্রস্তাব
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দেওয়া নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ন্যূনতম বয়স ২১ বছরের বদলে ২৩ বছর আর ভোটারের বয়স ১৬ বছর করার প্রস্তাব আজ রবিবার (২৩ মার্চ) দিতে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ঈদের পরে হতে পারে এনসিপির সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা।

শনিবার (২২ মার্চ) বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক পার্টির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার এসব কথা জানান।

সারোয়ার তুষার বলেন, ভোট দেওয়ার বয়স ১৬ বছর হতে পারে। কারণ হচ্ছে জুলাই আন্দোলনে প্রায় সারা বিশ্বে একে জেন-জির অভ্যুত্থান বলা হচ্ছে। অভ্যুত্থান-পরবর্তী যে বাংলাদেশ এবং আসন্ন যে নির্বাচন, এই নির্বাচনে তারা মতামত দিতে পারবে না শুধু বয়স ১৮ বছরের নিচে হওয়ার কারণে। একে এনসিপি যৌক্তিক মনে করে না। সংবিধান সংস্কার কমিশন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ন্যূনতম বয়স ২১ বছর প্রস্তাব করেছে। এনসিপি মনে করে, এই বয়সটা প্রার্থী হওয়ার জন্য খুবই কম হয়ে যায়। এটা ২৩ বছর হতে পারে (বর্তমানে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ন্যূনতম বয়স ২৫ বছর)।

তিনি জানান, রবিবার (আজ) দুপুরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে তারা তাদের প্রস্তাব ও মতামত জমা দেবে। এ ছাড়া ঐকমত্য কমিশন জানিয়েছে, ১৬৬টি সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে ১১১টি আলোচনা ছাড়াই বাস্তবায়ন করা সম্ভব। তবে এনসিপির দাবি, এই ১১১টি সুপারিশ নিয়ে আরও আলোচনা দরকার।

এখন ১৯৭২ সালের সংবিধান গ্রহণযোগ্য নয় উল্লেখ করে সরোয়ার তুষার বলেন, দেশে নতুন সংবিধানের প্রয়োজন। আগামী নির্বাচনে গণপরিষদ নির্বাচন দেওয়া দরকার। সংবিধান সংস্কারের কাজ শেষ করে একটা নির্দিষ্ট সময়ের পরে এই গণপরিষদই আইন সভায় রূপান্তরিত হবে।

এ সময়ে আওয়ামী লীগ আন্দোলনে নামলে কী হবে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সারোয়ার তুষার বলেন, তারা যদি আন্দোলনে নামে, সেটাকে আমরা আন্দোলন বলব না। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য নামবে। সে ক্ষেত্রে পুলিশের বল প্রয়োগের যে অধিকার আছে, সেটা থাকবে।

প্রসঙ্গত, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপ ও বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে আলোচনার জন্য পাঁচ সদস্যের সংস্কারবিষয়ক সমন্বয় কমিটি গঠন করেছে এনসিপি। কমিটিতে সমন্বয়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সারোয়ার তুষারকে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন মনিরা শারমিন, জাবেদ রাসিন, সালেহ উদ্দিন ও আরমান হোসাইন।

আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার কোনো সুযোগ নেই: আমিনুল হক

প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৫, ১০:০৮ পিএম
আপডেট: ২২ মার্চ ২০২৫, ১০:১৩ পিএম
আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার কোনো সুযোগ নেই: আমিনুল হক
তারেক রহমানের পক্ষ থেকে দুস্থ-অসহায় মানুষের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী ও ইফতার বিতরণ করেন আমিনুল হক। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আহ্বায়ক আমিনুল হক। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ এই অবৈধ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী ভয়াবহ রুপ আর দেখতে চায় না। আওয়ামী মানে হচ্ছে একটি শোষণ। আওয়ামী মানে হচ্ছে একটি অভিশাপ। সেই অভিশাপ নিয়ে বাংলাদেশের মানুষ আর কখনো বাঁচতে চায় না। কারণ বাংলাদেশের মানুষ স্বস্তি চায়, শান্তি চায়। ভবিষ্যতে আর কোনো স্বৈরাচার দেখতে চায় না। 

শনিবার (২২ মার্চ) দিনব্যাপি রমজানের ২১তম দিনে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির পল্লবী রামপুরা হাতিরঝিল কাফরুল থানার ১০টি স্পটে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে দুস্থ-অসহায় মানুষের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী ও ইফতার বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগকে যারা পূর্নবাসন করার চেষ্টা করছে তাদেরকে সাবধান হওয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, গত দেড় দশক এই আওয়ামী স্বৈরাচারের হাত রক্তে রাঙ্গানো। এই রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি। তাই রক্তের বিনিময়ে কোন ভাবেই আজকে আওয়ামী লীগকে যারা পূর্নবাসন করার অপচেষ্টা করছেন,তারা দয়া করে সাবধান হয়ে যাবেন। কারণ বাংলাদেশের মাটিতে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার আর কোনো অধিকার বা সুযোগ নাই। 

আমিনুল হক বলেন, গত দেড় দশকে স্বৈরাচার আওয়ামী সরকার বাংলাদেশের মানুষের ওপরে যে পরিমান জুলুম নির্যাতন অত্যাচার ও নিপীড়ন চালিয়েছে। 

বিএনপির প্রত্যাকটি নেতা-কর্মীদের নামে যেভাবে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দিয়েছে। তাদের ওপরে যে পরিমান হামলা চালানো হয়েছে। দলের নেতা-কর্মীদের প্রত্যেকের পরিবারকে যেভাবে হয়রানি করা হয়েছে। স্বৈরাচার সরকারের সময়ে বিএনপির বহু নেতা-কর্মীদের গুম, খুন ও হত্যা করা হয়েছে। দলের বহু নেতাকর্মী এখনও পঙ্গুত্ববরণ করে অসহায় জীবন যাপন করছে। 

এসময় বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসররা ষড়যন্ত্র করে বেড়াচ্ছে। এই বিষয়ে আমাদের সকলকে সতর্ক ও সজাগ থাকতে হবে। কোনোভাবেই আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসরদেরকে সুযোগ দেওয়া যাবে না। তাদেরকে আইনের হাতে তুলে দিতে হবে। প্রয়োজনে দৃঢ় হাতে মোকাবেলা করতে হবে। 

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, মাহাবুব আলম মন্টু, স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ ফরিদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মহসিন সিদ্দিকী রনী, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সদস্য সচিব সাজ্জাদুল মিরাজ, কাফরুল থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক আকরামুল হক, সাব্বির দেওয়ান জনি, রামপুরা থানা বিএনপি আহ্বায়ক হেলাল কবির হেলু, যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউল করিম বড় মিয়া, হাতিরঝিল থানা বিএনপি আহ্বায়ক নাজমুল হক মাসুম, রুপনগর থানা বিএনপি আহ্বায়ক জহিরুল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আহমেদ রাজু প্রমুখ।

মাহফুজ/

রাজনীতিতে ভিন্নমত থাকলেও ফ্যাসিবাদ পুনর্বাসন প্রশ্নে আপস নয়: তারেক রহমান

প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৫, ০৮:১৯ পিএম
আপডেট: ২২ মার্চ ২০২৫, ০৮:১৯ পিএম
রাজনীতিতে ভিন্নমত থাকলেও ফ্যাসিবাদ পুনর্বাসন প্রশ্নে আপস নয়: তারেক রহমান
রাজধানীর মালিবাগে ১২ দলীয় জোটের ইফতার মাহফিলে ভার্চ্যুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

রাজনীতিতে মতভিন্নতা থাকলেও ফ্যাসিবাদ পুর্নবাসন প্রশ্নে কোনো আপস নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ভিন্নমত থাকতে পারে, তবে সমস্যা সৃষ্টি হলে আলোচনায় বসব। যেকোন মূল্যে ঐক্য ধরে রাখতে হবে, যাতে করে পতিত স্বৈরাচার শক্তি আমাদের কাঁধে চেপে বসতে না পারে।

শনিবার (২২ মার্চ) রাজধানীর মালিবাগে ১২ দলীয় জোটের ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির ভার্চ্যুয়াল বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, আদর্শ ভিন্ন হলে আমরা দেশ ও দেশের মানুষের জন্য এক। যে ঐক্য নিয়ে স্বৈরাচারকে বিদায় করেছি, আসুন যেকোন মূল্যে আমরা ঐক্য ধরে রাখি। ঐক্য ধরে রেখে জনগণের প্রত্যাশিত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করব।

তিনি বলেন, বর্তমানে সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে। গণতন্ত্র হচ্ছে নির্ভয়ে নির্বাচন করা। অথচ এটিকে সংস্কারের মুখোমুখি করা হচ্ছে। অনেকে বলেছেন, ‘সংস্কারের আগে নির্বাচন হবে না’। সংস্কার তো শেষ হয় না। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, দুই বছর আগে স্বৈরাচারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে আমরা রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের জন্য ৩১ দফা দিয়েছি। বিএনপির মূল লক্ষ্য দেশ ও দেশের জনগণ কাজ করা।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে ও জাতীয় দলের চেয়ারম্যান এহসানুল হুদার সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, এবি পার্টির মজিবুর রহমান মঞ্জু, বিএলডিপি চেয়ারম্যান শাহাদত হোসেন সেলিম, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম স্বপন।

এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভকেট মাহবুব উদ্দিন খোকন, এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাগপার সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিঙ্কন, বিএনপির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রিয়াজুদ্দিন নসু, নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/এমএ/