ঢাকা ৯ চৈত্র ১৪৩১, রোববার, ২৩ মার্চ ২০২৫
English

চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি নিয়ে অসন্তোষ

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৩৫ পিএম
চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি নিয়ে অসন্তোষ
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশ। খবরের কাগজ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটি গত সোমবার মধ্যরাতে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলার তিনটি আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেছে। এরপর থেকে এসব কমিটি নিয়ে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে শিক্ষার্থীদের একাংশের মধ্যে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখায় তাদের একাংশ। তাদের অনেকেই কমিটি বয়কট করে পদত্যাগ করেছেন। 

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে একাংশ। তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সদস্যসচিব আরিফ সোহেলকে চট্টগ্রামে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে। পরে তারা তিন দফা দাবিতে নগরে সড়ক অবরোধ করে। এতে তীব্র যানজটে সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হয় সাধারণ মানুষকে।

গতকাল দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশের সমন্বয়ক আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জুবাইরুল মানিক, সিয়াম ইলাহী ও আব্দুল বাছির নাঈম। এ সময় তারা ঘোষিত কমিটি গতকাল বেলা ৩টার দিকে বাতিল করে নতুন কমিটি গঠন করতে তিন দিন সময় বেঁধে দেন। একই সঙ্গে নানা অপরাধে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেন। তারা অবৈধ কমিটি, ছাত্রলীগের কমিটি, ডট গ্যাংয়ের কমিটি, কিশোর গ্যাংয়ের কমিটি বলে নানা স্লোগান দিতে থাকেন।

সংবাদ সম্মেলনে সমন্বয়ক জুবাইরুল মানিক বলেন, ‘চট্টগ্রামে তিন কমিটিই প্রহসনের কমিটি। এতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশীজনদের মূল্যায়ন করা হয়নি। চাঁদাবাজ, নারী হেনস্তাকারী ও কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের দিয়ে কমিটি করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোরী ছাত্র আন্দোলনে কেন্দ্রীয় সদস্য রাসেল আহমেদ এই কমিটির বিষয়ে অবগত নন। আরেক সমন্বয়ক খান তালাত রাফির ইন্ধনে আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সদস্যসচিব আরিফ সোহেল এই প্রহসনের কমিটি গঠন করেন। কারণ ঘোষিত কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাফি। আমরা এই কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছি। এই কমিটি বাতিল না করা পর্যন্ত হাসনাত আবদুল্লাহ, আরিফ সোহেল ও খান তালাত মাহমুদ রাফিকে বীর চট্টলায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘খান তালাত রাফি চট্টগ্রামের ইতিহাস জানেন না। তিনি চট্টগ্রামকে ধারণ করেন না। এখানের তরুণদের পালস তিনি বোঝেন না। আমাদের অবমূল্যায়ন করা হলে হাসনাত, আরিফ সোহেল, রাফি কাউকেই আমরা ছেড়ে কথা বলব না। আমাদের দরকার নেই তাদের। আমরা চট্টগ্রামে আন্দোলন করেছি নিজ উদ্যোগে। তারা আমাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেননি। যখন ইন্টারনেট বন্ধ ছিল তখন কেউ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। এখন কেন তাদের আমাদের লাগবে।’

আরেক সমন্বয়ক আব্দুল বাছির নাঈম তিন দফা দাবি ঘোষণা করেন। এগুলো হলো বেলা ৩টার মধ্যে কমিটি বাতিল করে তিন দিনের মধ্যে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে অন্তর্ভুক্তিমূলকভাবে কমিটি গঠন করতে হবে, আগামী তিন দিনের মধ্যে কমিটি গঠনের পূর্বে অভিযুক্ত সব ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জনসমক্ষে প্রকাশ করতে হবে এবং অভিযোগ প্রমাণিত হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে হবে ও ব্যক্তির পছন্দে গঠিত এই কমিটিগুলো গঠনের সঙ্গে জড়িত সবার নাম-পরিচয় প্রকাশ করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে হবে।

কিন্তু তারা বেলা ৩টার আগে নগরের লালখান বাজারে সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় জিইসি মোড় থেকে পতেঙ্গার দিকের সড়কে যানজট দেখা দেয়। শত শত যানবাহন সড়কে আটকে যায়। পথচারী, চালকদের সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হয়। অনেকে কাজীর দেউড়ি হয়ে সিআরবি ঘুরে টাইগারপাস দিয়ে গাড়ি নিয়ে বের হন। কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুল করিমসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা সড়ক ছাড়েননি। সমন্বয়ক আব্দুল বাছির নাঈম বিকেল ৪টায় খবরের কাগজকে বলেন, ‘সন্ধ্যা পর্যন্ত আমাদের সড়ক অবরোধ কর্মসূচি চলবে। আমাদের বিষয় নিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটি বৈঠকে বসেছে।’

জানা গেছে, সোমবার রাতে ৭৫৪ সদস্যবিশিষ্ট তিনটি কমিটি ছয় মাসের জন্য ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটি। এতে চট্টগ্রাম মহানগরের আহ্বায়ক করা হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) রিজাউর রহমানকে। আর আরিফ মঈনুদ্দিনকে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে। এ ছাড়া দক্ষিণ জেলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জোবায়ের হোছেনকে আহ্বায়ক আর জোবায়েরুর আলম মানিককে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে। অন্যদিকে চবির ইয়াছির আরাফাত চৌধুরীকে আহ্বায়ক ও তাজমীর হোসেনকে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে। তিন কমিটিতেই বাকিদের যুগ্ম আহ্বায়ক ও মুখপাত্র, মুখ্য সংগঠক এবং সংগঠক করা হয়েছে। 

এদিকে ঘোষিত কমিটিতে স্থানপ্রাপ্তরা বেলা আড়াইটায় ষোলশহরে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ ও জুলাই গণহত্যার বিচারের দাবিতে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেন।

আওয়ামী লীগ ১৬ বছরে মামলা দিয়েই অনেক পরিবারকে শেষ করে দিয়েছে: ডা. শাহাদাত

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১২:২১ পিএম
আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১২:৪০ পিএম
আওয়ামী লীগ ১৬ বছরে মামলা দিয়েই অনেক পরিবারকে শেষ করে দিয়েছে: ডা. শাহাদাত
ছবি: খবরের কাগজ

আওয়ামী লীগ ১৬ বছরে মামলা দিয়েই অনেক পরিবারকে শেষ করে দিয়েছে। দেশে এখন অনেক ষড়যন্ত্র চলছে। আওয়ামী লীগকে আবারও পুনর্বাসন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এমন কাজ হতে দেওয়া যাবে না। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

শনিবার (২২ মার্চ) নগরীর ষোলশহরস্থ এলজিইডি মিলনায়তনে অ্যাসোসিয়েশন অব এক্স জেসিডি চুয়েটের উদ্যোগে জুলাই আন্দোলনে চট্টগ্রামে শহিদ পরিবার ও আহতদের সম্মাননা প্রদান ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি জুলাই আন্দোলনে চট্টগ্রামে নিহত ওয়াসিম আকরাম, ফজলে রাব্বি ও তানভীর সিদ্দিকীসহ ৮ জন নিহত ও ৩১ জন আহতের পরিবারকে আর্থিক সম্মাননা দেন।

আওয়ামী লীগ কি করেছে তা শুধু ভুক্তভোগীরা ভালো জানেন জানিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গত ১৬ বছরে কি কাজ করেছে সেটা আমরা যারা ভুক্তভোগী তারা জানি। আমাদের অনেকে জেল খেটেছে। বাচ্চার খরচ চালাতে পারেনি, পরিবারকে সময় দিতে পারেনি। অনেক পরিবার কষ্টে দিনাতিপাত করত। তাদের টাকা থাকত না। কারণ টাকা যে ইনকাম করবে, সেই সময়টা তো তারা পাইনি। পাবেই বা কোথা থেকে, জেল-জুলুম আর সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত আদালতে হাজিরা দিতে দিতেই সময় শেষ। আর কোথা থেকে ব্যবসা বাণিজ্য বা চাকরি করবে।

মামলাকে টার্গেট করে অনেক পরিবারকে ধ্বংস করে দিয়েছে উল্লেখ করে শাহাদাত হোসেন বলেন, 'মামলার কারণে ওই সময় মানুষ খুব অসহায় ছিল। মামলাগুলোকে টার্গেট করে করে সমস্ত ছেলেকে শেষ করে দিয়েছে। তাদের পরিবারকে ধ্বংস করে দিয়েছে। গত ১৬ বছর আন্দোলন-সংগ্রাম করতে করতে পরিবারগুলো শেষে হয়ে গেছে। তাদের জন্য ওই দিনগুলো অনেক কষ্টের ছিল। আওয়ামী লীগ যে কাজ করেছে, তার মধ্যে শুধু মামলার হিসাব করলেই অনেক পরিবারকে তিলে তিলে শেষ করে দিয়েছে।'

অ্যাসোসিয়েশন অব এক্স জেসিডি চুয়েটের সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আতিকুজ্জামান বিল্লাহ ও ইঞ্জিনিয়ার আবদুল্লাহ আল মামুনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার নুরুল করিম, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, পিডিবির সাবেক প্রধান প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল করিম, আইইবির ভাইস প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার এটিএম তানভীরুল ইসলাম তমাল।

উপস্থিত ছিলেন অ্যাসোসিয়েশন অব এক্স জেসিডি চুয়েটের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আফজাল হোসেন সবুজ, আইইবি চট্টগ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব সিরাজউদ্দৌলাহ, চুয়েটের সাবেক ভিপি ইঞ্জিনিয়ার মেজবাহ উদ্দিন, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার উমাশা হুমায়ুন চৌধুরী, এক্স জেসিডি নেতা ইঞ্জিনিয়ার মনছুর আহমেদ, ইঞ্জিনিয়ার মুনতাসীর মামুন মুন্না, ইঞ্জিনিয়ার সজল, ইঞ্জিনিয়ার রনি চৌধুরী প্রমুখ।

মেহেদী/

সিলেটে ইফতার মাহফিলে হট্টগোল, এনসিপির দুঃখ প্রকাশ

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১০:৫১ এএম
আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১১:৩৮ এএম
সিলেটে ইফতার মাহফিলে হট্টগোল, এনসিপির দুঃখ প্রকাশ
সিলেটে ইফতার মাহফিলে হট্টগোলের ঘটনায় এনসিপির দুঃখ প্রকাশ। ছবি: খবরের কাগজ
সিলেটে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আয়োজিত ইফতার মাহফিলে হট্টগোল ও সাংবাদিকদের সঙ্গে অপমানজনক আচরণের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে দলটি।
 
শনিবার (২২ মার্চ) রাতে সিলেটের বালুচর এলাকার একটি কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত এনসিপির প্রথম ইফতার মাহফিলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে কিছু দুষ্কৃতকারী হট্টগোল সৃষ্টি করার চেষ্টা করে। এ সময় কিছু সাংবাদিকের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়া ও হেনস্তা করার ঘটনাও ঘটে।
 
এ ঘটনায় এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার নুরুল হুদা জুনেদ এক বিবৃতিতে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘এনসিপি সিলেট জেলা আয়োজিত ইফতার মাহফিলে জেলার গণ্যমান্য রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব,  বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত এনসিপির সমর্থক ও ব্যবসায়ীরা উপস্থিত হয়ে সফল করেছেন। তবে কিছু দুষ্কৃতকারীর কারণে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির ঘটনা ঘটেছে। যার কারণে আমরা দুঃখিত।’
 
এ ছাড়া এনসিপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তে কাউকে চাঁদাবাজি, বিশৃঙ্খলা বা সুযোগসন্ধানী কার্যক্রমের সুযোগ দেওয়া হবে না।
 
এ ঘটনায় ইফতার না করে অনুষ্ঠানের স্থান ত্যাগ করেন সিলেটের প্রতিনিধিত্বশীল প্রেসক্লাবের সদস্যরা। তবে এনসিপির পক্ষ থেকে ইফতার শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠক করে বিষয়টির মীমাংসা করা হয়েছে।
 
এই ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন- এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরউদ্দীন পাটোয়ারী, কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক এহতেশামুল হক, অর্পিতা শ্যামা দেব ও অনিক রায়, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব প্রীতম দাশ। 
 
এ ছাড়াও ইফতার মাহফিলে জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ও শহিদ পরিবারের সদস্য, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
 
তাওফিক/ 

যুবদল-ছাত্রদল সংঘর্ষ খুলশী থানার ওসি প্রত্যাহার

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০৮:৪০ এএম
খুলশী থানার ওসি প্রত্যাহার
চট্টগ্রামে ঈদুল ফিতরের ব্যানার টানানোকে কেন্দ্র করে যুবদল ও ছাত্রদলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় খুলশী থানার ওসি মজিবুর রহমান কাওসারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের জিইসি মোড়ে ঈদুল ফিতরের ব্যানার টানানোকে কেন্দ্র করে যুবদল ও ছাত্রদলের সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান কাওসারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তার জায়গায় কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আফতাব হোসেনকে দায়িত্ব বুঝে নিতে বলা হয়েছে। গত শুক্রবার রাতেই তাকে প্রত্যাহার করা হয়। তবে সকালে ওসি হিসেবে আফতাব হোসেনের দায়িত্ব পাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে। 

জানা যায়, শুক্রবার রাতে নগরীর জিইসি মোড়ে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে ব্যানার টানানো নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়। পরে তারা খুলশী থানার কুসুমবাগ ডেবার পাড় এলাকায় মুখোমুখি হয়। এ সময় দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ চারজন আহত হয়েছেন।

আহতরা হলেন জিহাদুর রহমান জিয়াদ, কামাল হোসেন, আনোয়ার হোসেন মোনা ও রমিজ। তাদের মধ্যে জিয়াদ ও কামাল যুবদলের সদস্য। জিয়াদের শরীরে দুটি গুলি লেগেছে। এ ছাড়াও আনোয়ার হোসেনও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে। আরও দুজন ছুরিকাহত হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, তারা নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হালিম শাহ আলমের সমর্থক।

সিএমপি সূত্র জানিয়েছে, খুলশী থানার ওসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ বলেন, বদলি একটি সাধারণ প্রক্রিয়া। যেকোনো সময় যে কাউকে প্রত্যাহার করা হতে পারে। খুলশী থানার ওসিকে প্রত্যাহার এবং কোতোয়ালি থানা পরিদর্শক (তদন্ত) আফতাব হোসেনকে দায়িত্ব বুঝে নিতে বলা হয়েছে।

কমিশনে এনসিপির প্রস্তাব রবিবার ভোটারের বয়স ১৬, প্রার্থীর ২৩ বছর করার প্রস্তাব

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১২:০৬ এএম
আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১২:০৬ এএম
ভোটারের বয়স ১৬, প্রার্থীর ২৩ বছর করার প্রস্তাব
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দেওয়া নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ন্যূনতম বয়স ২১ বছরের বদলে ২৩ বছর আর ভোটারের বয়স ১৬ বছর করার প্রস্তাব আজ রবিবার (২৩ মার্চ) দিতে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। ঈদের পরে হতে পারে এনসিপির সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা।

শনিবার (২২ মার্চ) বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক পার্টির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার এসব কথা জানান।

সারোয়ার তুষার বলেন, ভোট দেওয়ার বয়স ১৬ বছর হতে পারে। কারণ হচ্ছে জুলাই আন্দোলনে প্রায় সারা বিশ্বে একে জেন-জির অভ্যুত্থান বলা হচ্ছে। অভ্যুত্থান-পরবর্তী যে বাংলাদেশ এবং আসন্ন যে নির্বাচন, এই নির্বাচনে তারা মতামত দিতে পারবে না শুধু বয়স ১৮ বছরের নিচে হওয়ার কারণে। একে এনসিপি যৌক্তিক মনে করে না। সংবিধান সংস্কার কমিশন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ন্যূনতম বয়স ২১ বছর প্রস্তাব করেছে। এনসিপি মনে করে, এই বয়সটা প্রার্থী হওয়ার জন্য খুবই কম হয়ে যায়। এটা ২৩ বছর হতে পারে (বর্তমানে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ন্যূনতম বয়স ২৫ বছর)।

তিনি জানান, রবিবার (আজ) দুপুরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে তারা তাদের প্রস্তাব ও মতামত জমা দেবে। এ ছাড়া ঐকমত্য কমিশন জানিয়েছে, ১৬৬টি সংস্কার প্রস্তাবের মধ্যে ১১১টি আলোচনা ছাড়াই বাস্তবায়ন করা সম্ভব। তবে এনসিপির দাবি, এই ১১১টি সুপারিশ নিয়ে আরও আলোচনা দরকার।

এখন ১৯৭২ সালের সংবিধান গ্রহণযোগ্য নয় উল্লেখ করে সরোয়ার তুষার বলেন, দেশে নতুন সংবিধানের প্রয়োজন। আগামী নির্বাচনে গণপরিষদ নির্বাচন দেওয়া দরকার। সংবিধান সংস্কারের কাজ শেষ করে একটা নির্দিষ্ট সময়ের পরে এই গণপরিষদই আইন সভায় রূপান্তরিত হবে।

এ সময়ে আওয়ামী লীগ আন্দোলনে নামলে কী হবে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সারোয়ার তুষার বলেন, তারা যদি আন্দোলনে নামে, সেটাকে আমরা আন্দোলন বলব না। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য নামবে। সে ক্ষেত্রে পুলিশের বল প্রয়োগের যে অধিকার আছে, সেটা থাকবে।

প্রসঙ্গত, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপ ও বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে আলোচনার জন্য পাঁচ সদস্যের সংস্কারবিষয়ক সমন্বয় কমিটি গঠন করেছে এনসিপি। কমিটিতে সমন্বয়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সারোয়ার তুষারকে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন মনিরা শারমিন, জাবেদ রাসিন, সালেহ উদ্দিন ও আরমান হোসাইন।

আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার কোনো সুযোগ নেই: আমিনুল হক

প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৫, ১০:০৮ পিএম
আপডেট: ২২ মার্চ ২০২৫, ১০:১৩ পিএম
আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার কোনো সুযোগ নেই: আমিনুল হক
তারেক রহমানের পক্ষ থেকে দুস্থ-অসহায় মানুষের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী ও ইফতার বিতরণ করেন আমিনুল হক। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আহ্বায়ক আমিনুল হক। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনগণ এই অবৈধ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী ভয়াবহ রুপ আর দেখতে চায় না। আওয়ামী মানে হচ্ছে একটি শোষণ। আওয়ামী মানে হচ্ছে একটি অভিশাপ। সেই অভিশাপ নিয়ে বাংলাদেশের মানুষ আর কখনো বাঁচতে চায় না। কারণ বাংলাদেশের মানুষ স্বস্তি চায়, শান্তি চায়। ভবিষ্যতে আর কোনো স্বৈরাচার দেখতে চায় না। 

শনিবার (২২ মার্চ) দিনব্যাপি রমজানের ২১তম দিনে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির পল্লবী রামপুরা হাতিরঝিল কাফরুল থানার ১০টি স্পটে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে দুস্থ-অসহায় মানুষের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী ও ইফতার বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগকে যারা পূর্নবাসন করার চেষ্টা করছে তাদেরকে সাবধান হওয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, গত দেড় দশক এই আওয়ামী স্বৈরাচারের হাত রক্তে রাঙ্গানো। এই রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি। তাই রক্তের বিনিময়ে কোন ভাবেই আজকে আওয়ামী লীগকে যারা পূর্নবাসন করার অপচেষ্টা করছেন,তারা দয়া করে সাবধান হয়ে যাবেন। কারণ বাংলাদেশের মাটিতে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার আর কোনো অধিকার বা সুযোগ নাই। 

আমিনুল হক বলেন, গত দেড় দশকে স্বৈরাচার আওয়ামী সরকার বাংলাদেশের মানুষের ওপরে যে পরিমান জুলুম নির্যাতন অত্যাচার ও নিপীড়ন চালিয়েছে। 

বিএনপির প্রত্যাকটি নেতা-কর্মীদের নামে যেভাবে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দিয়েছে। তাদের ওপরে যে পরিমান হামলা চালানো হয়েছে। দলের নেতা-কর্মীদের প্রত্যেকের পরিবারকে যেভাবে হয়রানি করা হয়েছে। স্বৈরাচার সরকারের সময়ে বিএনপির বহু নেতা-কর্মীদের গুম, খুন ও হত্যা করা হয়েছে। দলের বহু নেতাকর্মী এখনও পঙ্গুত্ববরণ করে অসহায় জীবন যাপন করছে। 

এসময় বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসররা ষড়যন্ত্র করে বেড়াচ্ছে। এই বিষয়ে আমাদের সকলকে সতর্ক ও সজাগ থাকতে হবে। কোনোভাবেই আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসরদেরকে সুযোগ দেওয়া যাবে না। তাদেরকে আইনের হাতে তুলে দিতে হবে। প্রয়োজনে দৃঢ় হাতে মোকাবেলা করতে হবে। 

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, মাহাবুব আলম মন্টু, স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ ফরিদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মহসিন সিদ্দিকী রনী, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সদস্য সচিব সাজ্জাদুল মিরাজ, কাফরুল থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক আকরামুল হক, সাব্বির দেওয়ান জনি, রামপুরা থানা বিএনপি আহ্বায়ক হেলাল কবির হেলু, যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউল করিম বড় মিয়া, হাতিরঝিল থানা বিএনপি আহ্বায়ক নাজমুল হক মাসুম, রুপনগর থানা বিএনপি আহ্বায়ক জহিরুল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আহমেদ রাজু প্রমুখ।

মাহফুজ/