ঢাকা ৫ চৈত্র ১৪৩১, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
English

সরকারে বসে রাজনৈতিক দল গঠন মেনে নেওয়া হবে না: ফখরুল

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:২৮ পিএম
আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:৩৮ পিএম
সরকারে বসে রাজনৈতিক দল গঠন মেনে নেওয়া হবে না: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

যেকোনো রাজনৈতিক দলকে আমরা স্বাগত জানাই। এর অর্থ এই নয় যে আপনারা সরকারে বসে, সরকারের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে দল গঠন করবেন। সেটা কখনই মেনে নেওয়া হবে না। অবিলম্বে এ বিষয়গুলোতে ব্যবস্থা নিন। তা না হলে আপনাদের প্রতি জনগণের যে আস্থা আছে, সেই আস্থাও থাকবে না বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।

‘ঢাকা মহানগর ছাত্রদলের সদস্য সংগ্রহ ফরম বিতরণ, সদস্য নবায়ন ও গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে নতুন ধারার ছাত্ররাজনীতি’ শীর্ষক ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব।

অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল বলেন, স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেছেন- ফ্যাসিস্টদের লোকেরা যদি কেউ মাফ চেয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে চায়, তাহলে তারা অংশ নিতে পারবে। এর থেকে এটাই প্রমাণিত হয়েছে তারা নিজেদের স্বার্থে ফ্যাসিস্টদের জায়গা দিতে চায়। তাহলে কি আমরা মনে করবো- তারা সরকারে থেকে তাদের দল গোছানোর জন্য বিভিন্ন কৌশল নিচ্ছে? এমন কৌশল নিলে আমরা তা হতে দেবো না, এদেশের মানুষ তা হতে দেবে না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, খুব পরিষ্কার করেই বলছি- অবশ্যই নতুন রাজনৈতিক দলকে আমরা স্বাগত জানাবো। ছাত্র-সংগঠন উজ্জীবিত করেছেন, আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। যতই দল তৈরি করবেন স্বাগত জানাবো। কিন্তু তার অর্থ এই নয়- আপনারা সরকারে বসে সরকারের সব সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আপনাদের দল গঠন করবেন, সেটা কখনোই মেনে নেওয়া হবে না।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, আপনি অবিলম্বে এই বিষয়গুলোয় ব্যবস্থা নিন। তা নাহলে আপনাদের ওপর জনগণের যে আস্থা সেটি আর থাকবে না।

এমএ/

গাইবান্ধায় বাম গণতান্ত্রিক জোটের বিক্ষোভ

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৩:২৭ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৩:৪০ পিএম
গাইবান্ধায় বাম গণতান্ত্রিক জোটের বিক্ষোভ
গাইবান্ধায় বাম গণতান্ত্রিক জোটের বিক্ষোভ। ছবি: খবরের কাগজ

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ, দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ ও প্রয়োজনীয় সংস্কার করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণার দাবিতে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।

বুধবার (১৯ মার্চ) সকালে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

এ ছাড়া বিক্ষোভ সমাবেশে সারা দেশে মব সন্ত্রাস বন্ধ, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা ও ঈদের আগেই শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেওয়ার দাবি জানানো হয়।

সকালে জেলা শহরের রেল গেইট থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। পরে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় রেলগেট গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে তারা একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশে করে।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাম গণতান্ত্রিক জোট গাইবান্ধা জেলা সমন্বয়ক ও কমিউনিস্ট পার্টির জেলা সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল। বক্তব্য দেন বাসদ মার্কসবাদী জেলা আহ্বায়ক আহসানুল হাবীব সাঈদ, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ জেলা সম্পাদক রেবতী বর্মন, বাসদ জেলা আহ্বায়ক গোলাম রব্বানী, বাসদ মার্কসবাদীর কাজী আবু রাহেন শফিউল্যাহ, নিলুফার ইয়াসমিন শিল্পী,  এ এমদাদুল হক মিলন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্যদিয়ে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হয়েছে। কিন্তু দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রয়েছে। এ ছাড়া সারা দেশে নারী-শিশু ধর্ষণ ও নিপীড়ন উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। ঢাকাসহ সারা দেশে ডাকাতি, ছিনতাই, খুন, মব সন্ত্রাস ও দখলদারিত্ব অব্যাহত রয়েছে যা বেড়ে চলেছে। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে পরিকল্পিত মব সন্ত্রাস করা হচ্ছে।’

এ সময় বক্তারা ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন বোনাস ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণার দাবি জানান।

রফিক খন্দকার/সুমন/

নিবন্ধন ফিরে পেল জাগপা

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৩:১৩ পিএম
নিবন্ধন ফিরে পেল জাগপা
জাগপা নিবন্ধন বাতিলের রায় অবৈধ ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট। ছবি: খবরের কাগজ

রাজনৈতিক দল হিসেবে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) নিবন্ধন বাতিলের রায় অবৈধ ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট। এ রায়ের মাধ্যমে প্রায় ৪ বছর ২ মাস পর নির্বাচন কমিশনের (ইসিতে) ৩৬ নম্বর নিবন্ধন ফিরে পেল জাগপা।  

বুধবার (১৯ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ এবং বিচারপতি ফয়েজ আহমেদের দ্বৈত বেঞ্চ এ রায় দেন। 

জাগপা ১৯৮০ সালের ৬ এপ্রিল শফিউল আলম প্রধানের নেতৃত্বে যাত্রা শুরু করে। 

রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা অনুযায়ী, ২০০৮ সালের ২০ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন থেকে নিবন্ধন পায় জাগপা। এক যুগেরও বেশি সময় পর ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশন জাগপার নিবন্ধন বাতিল করে। সে সময় ইসির এ সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিল। 

নিবন্ধন ফিরে পাওয়ায় জাগপা সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান বলেন, ‘মহান রাব্বুল আলামীনের দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি। আমরা আমাদের রাজনৈতিক অধিকার ফিরে পেয়েছি। দেশ ও জনগণের প্রয়োজনে জাগপার সংগ্রাম চলবে।’ 

জাগপা সহসভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান বলেন, “নিবন্ধন বাতিলের পক্ষে তৎকালীন ইসি কাগজে-কলমে যেই কারণই দেখাক না কেনো, মূল কারণ ছিল জাগপার রাজনীতি, ভারতীয় আধিপত্যবাদ এবং আগ্রাসন বিরোধী অবস্থান। তাই ভারতীয় ‘র’ এর পরিকল্পনায় এবং ভারতের সেবাদাসী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার নির্দেশনায় জাগপার নিবন্ধন বাতিল করা হয়। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা এবং ভারতীয় আগ্রাসনমুক্ত বাংলাদেশে সত্যের জয় হয়েছে। শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহিদদের এবং লড়াকু সৈনিকদের, যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি এবং জাগপা তার রাজনৈতিক অধিকার নিবন্ধন ফিরে পেয়েছে।”

শফিকুল/পপি/

রূপগঞ্জে যুবদল-স্বেচ্ছাসেবক দলের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩৫

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০২:৩৬ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০২:৫৭ পিএম
রূপগঞ্জে যুবদল-স্বেচ্ছাসেবক দলের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩৫
যুবদল নেতা হাসিব। ছবি: খবরের কাগজ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসিব নামের এক যুবদল কর্মী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের আরও ৩০ জন আহত হয়েছেন। 

বুধবার (১৯ মার্চ) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্র এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

হাসিব চনপাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এলাকায় মাদক কারবারি, চাঁদাবাজির আধিপত্য বিস্তার নিয়ে যুবদলের শামীম ও সেচ্ছাসেকদলের রব্বানীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে বুধবার সকালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয় পক্ষই গুলি চালায়। এতে গুলিতে হাসিব নিহত এবং উভয় পক্ষের আরও ৩৫ জন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে গুলিবিদ্ধদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় চনপাড়া এলাকাজুড়ে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়।

নিহতের বড় ভাই যুবদল কর্মী বাবু বলেন, ‘গত মঙ্গলবার রাতে মাদক কারবারি রবিনকে এলাকার কয়েকজন আটক করে। এ সময় কায়েতপাড়া ইউনিয়ন সেচ্ছাসেকদলের কর্মী রব্বানী ও তার লোকজন এসে তাকে ছাড়িয়ে নেয়। পরে তারা তাদের লোকজন নিয়ে সকালে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমার ছোট ভাই হাসিব গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। আমার ভাইয়ের হত্যার বিচার চাই।’

এ বিষয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শামীম বলেন, ‘আমি এলাকায় নেই। শুনেছি, রবিন নামের এক মাদক কারবারীকে আটক করা নিয়ে কায়েতপাড়া ইউনিয়ন সেচ্ছাসেকদলের কর্মী রব্বানীর লোকজন আমার যুবদল কর্মী হাসিবকে গুলি করে। সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এ ঘটনায় তার পরিবার আইনি ব্যবস্থা নেবে।’

এ বিষয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা সেচ্ছাসেকদলের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা শুনেছি। রব্বানী আমার সঙ্গে সেচ্ছাসেকদল করে। এ ব্যাপারে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

নারায়ণগঞ্জ সার্কেলের এএসপি মেহেদী হাসান বলেন, ‘চনপাড়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শামীম ও রব্বানী গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা শুনে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকায় আমাদের অভিযান চলছে। দোষী যেই হউক না কেনো কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।’

রুবেল/পপি/

সাতক্ষীরায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল মাটিতে মিশিয়ে উচ্ছ্বাস

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ১১:৫৫ এএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ১২:০২ পিএম
সাতক্ষীরায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল মাটিতে মিশিয়ে উচ্ছ্বাস
সাতক্ষীরায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল মাটিতে মিশিয়ে দিয়ে এভাবেই উল্লাস করে স্টাইল দিচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। ছবি: খবরের কাগজ

সাতক্ষীরার খুলনা রোডে শহিদ আসিফ চত্বরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাত তিনটার পরে ম্যুরালটি মাটির সঙ্গে মিশানোর মাধ্যমে নিশ্চিহ্ন করা হলো সাতক্ষীরায় সর্বশেষ অবশিষ্ট থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই ম্যুরালটি।

এদিকে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরার পৃথক দুটি স্থানের বিলবোর্ডে ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’ লেখা ভেসে ওঠে। প্রথম লেখাটি ভেসে ওঠে সাতক্ষীরা জেলা শহরের খুলনা রোডের মোড়ে গ্রীন লাইফ হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এবং অপর লেখাটি ভেসে ওঠে সাতক্ষীরা সিটি কলেজ মোড় সংলগ্ন একটি ইজিবাইক শো-রুমের বিলবোর্ড। এ ঘটনায় সবশেষে প্রতিবাদের অংশ হিসেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সমন্বয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল।

বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাতক্ষীরার আহ্বায়ক আরাফাত হোসেন বলেন, ‘প্রতিবাদের অংশ হিসেবে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের পিতার ম্যুরাল গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’

নাজমুল জাকির/সুমন/

জয়পুরহাটে বিএনপি নেতার নেতৃত্বে থানায় হামলা, পুলিশসহ আহত ৬

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ১১:৩০ এএম
জয়পুরহাটে বিএনপি নেতার নেতৃত্বে থানায় হামলা, পুলিশসহ আহত ৬
জয়পুরহাটে বিএনপি নেতাকর্মীদের আক্রমণে আহত পুলিশ সদস্য। ইনসেটে বিএনপি নেতাদের থানা ঘেরাও। ছবি: খবরের কাগজ

জয়পুরহাটে চাঁদা দাবিকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতার নেতৃত্বে থানায় হামলা হয়েছে। এ ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্যসহ ছয়জন আহত হয়েছেন। 

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় ক্ষেতলাল থানায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় বিএনপির নেতাকর্মীরা থানা ঘেরাও করেন। পরে সেনাবাহিনী ও অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আহতরা হলেন, ক্ষেতলাল থানার পুলিশ কনস্টেবল কাজী জাফর ও পুলিশ কনস্টেবল সুমন মিয়া, পৌর এলাকার শাখারুঞ্জ গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন, একই গ্রামের আমিরুল ইসলাম, বগুড়ার শাহজাহানপুরের রফিক ও আব্দুল মমিন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ক্ষেতলাল পৌর এলাকার শাখারুঞ্জ গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন নামে এক ব্যক্তি মঙ্গলবার জমি রেজিস্ট্রি করতে উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে আসেন। এসময় স্থানীয় পৌর বিএনপির ৯ নং ওয়ার্ডের সভাপতি কবির চৌধুরীর নেতৃত্বে কয়েকজন তার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। তিনি চাঁদা দিতে না চাইলে তারা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী আশিক পার্থকে বিষয়টি জানায়। এরপর পার্থ সেখানে গিয়ে চাঁদা না দিলে দলিল রেজিস্ট্রি করতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দেন। তাকে বাধা দিতে গেলে তোফাজ্জলসহ তার চার আত্মীয়কে মেরে রক্তাক্ত করেন বিএনপি নেতারকর্মীরা। 

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশ থানা থেকে তোফাজ্জলকে গুরুতর আহত অবস্থায় ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করান।

এদিকে থানায় পুলিশ হেফাজতে থাকা বাকি তিনজনকে ছিনিয়ে নেওয়ার উদ্দেশে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী আশিক পার্থের নেতৃত্বে শতাধিক লোকজন থানায় আক্রমণ করে দায়িত্বরত দুই পুলিশ সদস্যকে আহত করে থানা অবরুদ্ধ করে। তখন পুলিশ সেনাবাহিনীকে বিষয়টি জানালে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে এসে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল থেকে তিনজন ও পরে আরও দুইজনকে আটক করা হয়।

পরে খবর পেয়ে পুলিশ সুপার আব্দুল ওয়াহাবের নেতৃত্বে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত ফোর্স, জেলা গোয়েন্দা শাখা ও কালাই থানা পুলিশের শতাধিক সদস্য থানায় অবস্থান নেন।

এ প্রসঙ্গে ক্ষেতলাল উপজেলা বিএনপির সভাপতি খালেদুল মাসুদ আঞ্জুমান বলেন, ‘দলের কেউ অপরাধ করলে তার বিরুদ্ধে দলীয় ব‍্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ ছাড়া ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান সরকার বলেন, ‘থানায় হামলা করে পুলিশকে মারপিটের ঘটনায় মোট পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। জড়িত বাকিদের আটকের চেষ্টা চলছে।’

সাগর কুমার/নাইমুর/