ঢাকা ৭ চৈত্র ১৪৩১, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫
English
শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১

রঙ দেখছে রঙের কৌটা দেখছে না: ফজলুর রহমান

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩১ পিএম
রঙ দেখছে রঙের কৌটা দেখছে না: ফজলুর রহমান
ছবি: খবরের কাগজ

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান বলেছেন, আমরা হাসিনাকে তাড়াইছি প্রথমে প্রধানমন্ত্রী হবে, পার্লামেন্ট সরকার হবে। তারপর স্থানীয় নির্বাচন হবে। এর বাইরে যারা রঙ বেরঙের কথা বলে তারা রঙ দেখছে রঙের কৌটা দেখছে না।

তিনি বলেন, আমরা গত ৩ আগস্ট স্লোগান দিয়েছিলাম "এক দফা এক দাবি, হাসিনা তুই কবে যাবি।" হাসিনা কি স্থানীয় সরকারের উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলো? সেতো কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিল। আমরাতো কেন্দ্রীয় সরকার, পার্লামেন্ট সরকারের পতন চেয়েছিলাম। কেন্দ্রীয় সরকারের পতন চেয়েছিলাম বলেই তো এখন কেন্দ্রীয় সরকারের নির্বাচন হবে।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় জেলা শহরের পুরাতন স্টেডিয়ামে জেলা বিএনপি আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নিত্যপণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা, অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ও দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে এবং রাষ্ট্রের পতিত ফ্যাসিবাদীদের নানা চক্রান্তের অপচেষ্টা মোকাবিলাসহ বিভিন্ন জনদাবিতে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপি এ জনসভার আয়োজন করে।

জামায়াতে ইসলামীকে মুনাফিক আখ্যায়িত করে তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বেশি বাড়াবাড়ি কইরেন না। বিএনপিরে লাল চোখ দেখাবেন না। ১৮ বছর বিএনপির ডানার নিচে লুকিয়ে ছিলেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া শাড়ির আঁচল দিয়ে সন্তানের মতো লুকিয়ে রেখেছিল। এখন যেই না একটু সুযোগ পাইছেন তেমনি স্লোগান দেওয়া শুরু করেছেন, 'নৌকা আর ধানের শীষ, দুই সাপের এক বিষ।' আপনাদের যে আশ্রয় দিয়ে পাললো সামান্য একটু সুযোগ পাইছেন সব দখল কইরা ফেলছেন। এখন বলতেছেন সব ক্ষমতা আমরা নিমু বিএনপি আর আসতে পারবে না।

কোনো দলকেই বিএনপি শত্রু মনে করে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ পালাইছে। আমাদের প্রতিদ্বন্দ্বী কেউ নাই। হ্যাঁ জামায়াতে ইসলামী আছে। আমি জামায়াতে ইসলামীকে শত্রু মনে করি না। কিন্তু যদি ওই আইয়ুব খানের মতো, যদি ওই হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদের মতো বাহানা করেন। চক্রান্ত করেন। জটিল পথে কুটিল পথে যদি নির্বাচনকে ধ্বংস করতে চান তাহলে কিন্তু বিএনপি কাউকে ছাড়বে না।

সাধারণ জনগণের উদ্দেশে তিনি বলেন, "আজকে যারা নতুন করে এই দেশটাকে পাকিস্তানের পক্ষে নিয়ে যেতে চায়, তাদেরকে আপনারা চিনেন না। চিনতে পারছেন না আপনারা। তাদের চরিত্রের কোনো পরিবর্তন হয় নাই। আমরা মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ চাই। আমরা জিয়াউর রহমানের বাংলাদেশ চাই। আমরা বহুদলীয় গণতন্ত্রের বাংলাদেশ চাই। আমরা আগামী দিনে মেহনতী মানুষের বাংলাদেশ চাই। সেই বাংলাদেশ চাই বলেই আগামী দিনে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে মানুষের অধিকারের দ্বার গণতন্ত্রের মাধ্যমে খুলতে চাই। সেই গণতন্ত্র বাংলাদেশে আমরা অবশ্যই কায়েম করবো। রাতের আঁধারে যারা চক্রান্ত করতে চান। যাদের বাপ দাদার নাম নাই, চান মলের বিয়াই। শতকরা দুই শতাংশ ভোট পাইবো না, ২০০ শতাংশের গল্প করেন। আমাদের নেত্রী অসুস্থ। উনি সুস্থ হয়ে দেশে আসলে ৫০ শতাংশ সমস্যার সমাধান এমনিতেই হয়ে যাবে।"

তিনি বলেন, হাসিনা কি করলো। হাসিনা উড়ে গেলো দিল্লি। মনে করতেছে দিল্লি থেকে বৈজন্তি মালা ট্যাংক নিয়া আসবো। আগামী ১০ বছরে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগকে দেখা যাবে না আমি বলে গেলাম। শেখ হাসিনার সরকার, আপনি ২০১৪ সনে মানুষকে ভোট দিতে দেন নাই। ১৫৩টা পার্লামেন্ট সিট বিনা ভোটে নির্বাচিত করেছেন। ২০১৮ সনে আমাদের ধোঁকা দিয়ে নির্বাচনে নিছিলেন। নিয়া আপনি দিনের ভোট রাইতে করছেন। নিশি রাইতের এমপি বানাইছেন। ১৮ সনে মানুষকে আপনি বঞ্চিত করছেন। আর ২০২৪ সনের ৭ই জানুয়ারি আমি আর ডামির ভোট করছেন। নৌকা আর ট্রাক। কোনো মার্কাই মার্কা না, সব মার্কা হাসিনার মার্কা। সেই ৩টা নির্বাচনে আজকে যে যুবকের বয়স ৩৬ বছর সে ভোট দিতে পারে নাই। সেই ভোটটা আমরা দিতে চাই।

সকল চক্রান্ত রুখে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে দেশবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, এই দেশে ইলেকশন হবে এবং সেটা পার্লামেন্ট ইলেকশন। ১৮ কোটি মানুষের দেশ। তারা হলো দেশের মালিক। তাঁরা সিদ্ধান্ত নিবে তাদের বাড়ির পাহারাদার কে হবে? চক্রান্ত কইরেন না। চক্রান্ত করা ভালো না। আমি বলি সবসময় হাসিনার সময় ছিলো গভীর অন্ধকার। কিন্তু টর্চলাইট মারলে দেখা যাইতো। এখন হইলো গভীর কুয়াশা। এখন দুইটা লাইট জ্বালাইলেও গাড়ি চলতে চায় না। ইউনুস সাহেব দেশটা কুয়াশা হয়ে গেছে। আপনার কাছ থেকে বাংলাদেশের মানুষ এটা আশা করে না। আপনি বাংলার সুসন্তান। আমি মনে করি ১০টা মন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রী যোগ করলে আপনি তার চেয়েও লম্বা। আপনি শুধু একজন প্রধানমন্ত্রী থাকার জন্য দেশটার সর্বনাশ কইরেন না ইউনুস সাহেব। এই ছেলেপেলের কথায় এখনো চুলদাড়ি উঠছে না। আমি ছেলেদের বাজে কথা বলতে চাই না। কিন্তু যে ছেলেরা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কথা বললে সাথে সাথে বেয়াদবের মতো উত্তর দেয় তাদেরকে বলি 'একসময় আমি হাসিনাকে বলতাম সাধু সাবধান।' যারা এসব করতাছেন তাদেরকে বলছি সাধু সাবধান। এইদিন কিন্তু থাকবে না। দিন কিন্তু আইসা পড়ছে। এই মূহুর্তে ইলেকশন হলে আল্লাহর রহমতে, আল্লাহর দয়ায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে দুই-তৃতীয়াংশের ওপরে মেজরিটি পাবে। এটা কেউ ঠেকাইতে পারবে না। সেই দলটাকে আপনারা বঞ্চিত করতে চান, চক্রান্ত করে। এই চক্রান্ত হতে দেওয়া যাবে না।

জনসভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলম। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ মোঃ ওয়ারেছ আলী মামুন, আবু ওয়াহাব আকন্দ, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য লায়লা বেগম, শেখ মুজিবুর রহমান ইকবাল। সভা সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম।

তাসলিমা/সিফাত/

ইসরায়েলকে ব্যবহার করছে আমেরিকা, মন্তব্য বাসদ নেতাদের

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৫:১৯ পিএম
আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৫:২০ পিএম
ইসরায়েলকে ব্যবহার করছে আমেরিকা, মন্তব্য বাসদ নেতাদের
যুদ্ধ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গাজায় ইসরায়েলের হামলার ঘটনায় শুক্রবার বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাসদ। ছবি: খবরের কাগজ

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ নেতারা বলেছেন, মধ্যপ্রচ্যের তেল ও খনিজসম্পদের দখল এবং ওই অঞ্চলে সামরিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য ইসরায়েলকে ব্যবহার করছে সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকা। তাদের ভাষ্যে, এই লক্ষ্যে ফিলিস্তিনে হামলার জন্য ইসরায়েলকে সব ধরনের অস্ত্র সরবরাহ করছে আমেরিকা।

যুদ্ধ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গাজায় ইসরায়েলের হামলার ঘটনায় শুক্রবার (২১ মার্চ) বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন বাসদ নেতারা। বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দলের সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জান রতন, সদস্য জুলফিকার আলী ও নগর কমিটি সদস্য খালেকুজ্জামান লিপন।

বাসদ নেতারা বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গাজা থেকে সেখানকার বাসিন্দাদের সরে গিয়ে খালি করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে দিতে বলেছে। নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করে ট্রাম্প নতুন করে হামলার নীল নকশা করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় গাজায় নতুন করে হামলা শুরু হয়েছে।

বিশ্ব জনমত উপেক্ষা করে ইসরায়েলের নৃশংস হামলায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে বাসদ নেতারা বলেন, বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজা থেকে মানুষজনকে সরে যেতে বলেছে এবং বলছে ‘গাজায় নৃশংতা কেবল মাত্র শুরু’। হাজার হাজার টন বোমা ফেলে ফিলিস্তিনকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছে। এই হামলার বিরুদ্ধে খোদ ইসরাইয়েল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে কিন্তু ইসরায়েল তাতে তোয়াক্কা করছে না। কারণ তার প্রতি সমর্থন রয়েছে যুদ্ধবাজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের।

তারা বলেন, যুদ্ধবিরতির সময়েও গাজায় ১৫০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। গাজায় যে হামলা চানানো হচ্ছে তা অতীতের যে কোনো যুদ্ধের ভয়াবহতাকে হার মানিয়েছে। এখন সেখানে কোনো ত্রাণ পৌছাতে পারছে না। এ কারণে সেখানকার মানুষ ক্ষুধা দুর্ভিক্ষ ও চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণ করছে।

বাসদ নেতারা গাজায় মানবিক সংকট মোকাবিলায় জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জরুরি পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানান। পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারকে গাজায় ইসরাইলি বোমা হামলা ও গণহত্যা বন্ধের দাবি আন্তর্জাতিক সব ফোরামে তুলে ধরার দাবি জানান। 

জয়ন্ত সাহা/মাহফুজ

আ.লীগকে জনগণ ক্ষমা করলে রাজনীতিতে আপত্তি নেই: রিজভী

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৫:১৩ পিএম
আ.লীগকে জনগণ ক্ষমা করলে রাজনীতিতে আপত্তি নেই: রিজভী
ছবি: সংগৃহীত

হত্যা ও লুটপাটে জড়িত নয়, এমন কারও নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে বাধা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিয়ে কথা হচ্ছে, কিন্তু বিচার নিয়ে কথা হচ্ছে না। দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে। বিচারের পর আওয়ামী লীগকে জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। আর জনগণ ক্ষমা করলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।

শুক্রবার (২১ মার্চ) সকালে রাজধানীর উত্তরার দক্ষিণখানে ফায়দাবাদ মধ্যপাড়া হাজী শুকুর আলী মাদরাসা সংলগ্ন মাঠে দুস্থদের মধ্যে ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

জুলাই আন্দোলনে যারা গণহত্যায় জড়িত তাদের বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের যারা অপরাধী তাদের বিচার নিশ্চিত হওয়ার পর যারা হত্যা-লুটপাটে জড়িত নয়, তাদের যদি জনগণ রাজনীতি করার সুযোগ দেয় আমাদের কিছু বলার নেই।

যারা ছাত্র হত্যা করেনি, যারা অর্থ লোপাট করেনি এমন সৎ ব্যক্তি নেতৃত্বে আসলে আওয়ামী লীগ কেন রাজনীতি করতে পারবে না এমন প্রশ্ন রেখে রিজভী বলেন, যারা অপরাধের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিচার হতেই হবে। আর কোনও ফ্যাসিবাদের উত্থান যেন না হয়, সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বানও জানান রিজভী।

এসময় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের একটি গোষ্ঠী ৫ আগস্টের পর সংস্কারের কথা বলছেন। কিন্তু গত ছয় মাসে দৃশ্যমান কোনো সংস্কারের কিছু দেখা যায়নি। দেশের কোথাও স্থিতিশীলতা নেই। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা থেকে মুক্তি পেলেও স্বৈরাচারমুক্ত হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘এখনো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এর জন্য দরকার একটি সুষ্ঠু নির্বাচন। ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার গঠন করলেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে।’

এসময় আরও উপস্থিতি ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য ও রশিদ গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. মোতালেব হোসেন রতনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এসএম জাহাঙ্গীর, এবিএমএ রাজ্জাক, যুগ্ম আহ্বায়ক ও রশিদ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম কফিল উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/এমএ/

ইসরায়েলি হামলায় সরকারের প্রতিবাদ দায়সারা: প্রিন্স

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৩:৫৬ পিএম
আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৪:৩৫ পিএম
ইসরায়েলি হামলায় সরকারের প্রতিবাদ দায়সারা: প্রিন্স
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ফিলিস্তিনজুড়ে যে বর্বর হত্যাযজ্ঞ পরিচালনা করছে তার বিরুদ্ধে সিপিবির বিক্ষোভ সমাবেশ। ছবি: খবরের কাগজ

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ফিলিস্তিনজুড়ে যে বর্বর হত্যাযজ্ঞ পরিচালনা করেছে তার প্রতিবাদে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার দায়সারা বিবৃতি দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। 

যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন করে সম্প্রতি ফিলিস্তিনের গাজা, খান ইউনিসসহ বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী নির্বিচারে যে হত্যাকাণ্ড পরিচালনা করছে তার প্রতিবাদে শুক্রবার (২১ মার্চ) সকালে সিপিবি প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

প্রতিবাদ মিছিলটি রাজধানীর পুরানা পল্টনে সিপিবির কেন্দ্রীয় কার্যালয়, মুক্তিভবন থেকে শুরু হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাব হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

সমাবেশে রুহিন হোনে প্রিন্স বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গাজায় এই হামলার মধ্যে দিয়ে ইসরায়েলি বাহিনী আবারও বিশ্ব জনমতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করল। মানবতার বিরুদ্ধে এত বড় অপরাধ দুনিয়ার কোনো বিবেকবান মানুষই বরদাশত করতে পারেন না। কিন্তু জাতিসংঘ অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে এ বিষয়ে উপযুক্ত ভূমিকা পালন করছেন না।’

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত ছিল অত্যন্ত কড়া ভাষায় এই হামলার প্রতিবাদ করা। কিন্তু কার্যত সেটি হয়েছে অত্যন্ত দায়সারা প্রকৃতির।’

এ সময় সিপিবি সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ‘প্যালেস্টাইনের গণহত্যা সাম্রাজ্যবাদের নগ্ন চেহারাকে আবারও উন্মোচিত করেছে। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের সরাসরি মদদে এবং তাদের মধ্যপ্রাচ্যের সেবাদাসদের যোগসাজশে এই শতাব্দীর নৃশংসতম হামলা সংঘটিত হয়েছে। এর জন্য মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ ও তার আরব সহযোগীদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।’ 

সিপিবির সম্পাদক ও আন্তর্জাতিক বিভাগের প্রধান অ্যাডভোকেট হাসান তারিক চৌধুরী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আদালত ইতোমধ্যেই ফিলিস্তিনে ইসরাইলি বাহিনীর নৃশংস হত্যাকাণ্ডকে গণহত্যা বলে রায় দিয়েছেন। ফলে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার এখন বিশ্ব জনতার দাবি। সে দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে।’

জয়ন্ত সাহা/সুমন/

বিএনপির সাবেক মহাসচিব কেএম ওবায়দুরের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ১০:৪২ এএম
আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৫, ০১:৫৩ পিএম
বিএনপির সাবেক মহাসচিব কেএম ওবায়দুরের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
কে এম ওবায়দুর রহমান

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সাবেক মহাসচিব, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, সাবেক মন্ত্রী কেএম ওবায়দুর রহমানের ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।

শুক্রবার (২১ মার্চ) এ উপলক্ষে ফরিদপুর জেলা বিএনপি, নগরকান্দা-সালথা উপজেলা বিএনপি, ফরিদপুর জেলা যুবদল, ফরিদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল, কেএম ওবায়দুর রহমান স্মৃতি সংসদ, কেএম ওবায়দুর রহমান স্মৃতি পরিষদ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করছে।

কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল ৯টায় মরহুম জননেতা কেএম ওবায়দুর রহমানের নগরকান্দার লস্করদিয়াস্থ বাসভবনসংলগ্ন তার কবরে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং ফাতেহা পাঠ ও কোরআনখানি। বাদ জোহর নগরকান্দা-সালথার বিভিন্ন মসজিদে মসজিদে দোয়া মাহফিল। বিকাল ৪টায় নগরকান্দা উপজেলার এমএন একাডেমি মাঠে উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে স্মরণসভা, দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। 

২০০৭ সালের ২১ মার্চ তিনি ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। রেখে যান অগণিত রাজনৈতিক অনুসারী এবং সুযোগ্য কন্যা বিএনপির বর্তমানে কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকুকে।

সঞ্জিব দাস/জোবাইদা/

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদ ১২ দলীয় জোটের

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ১০:২৩ এএম
আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৫, ১২:৪৪ পিএম
গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদ ১২ দলীয় জোটের
রাজধানীর খিলগাঁওয়ে ১২ দলীয় জোটের বৈঠক। ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজাবাসীর ওপর ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা, ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ১২ দলীয় জোট।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে জোটের অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় এ নিন্দা জানানো হয়।

সভায় নেতারা বলেন, ‘যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনের গাজার বাসিন্দারা যখন গভীর ঘুমে, যখন কেউ কেউ পবিত্র রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণ করছে, ঠিক সেই সময় যুদ্ধবিরতি ভেঙে গাজা উপত্যকাজুড়ে ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর বিমান হামলায় অন্তত ৯৮০ জন নিরীহ ফিলিস্তিনি নিহত ও অসংখ্য আহত হয়েছেন। এই ভয়াবহ গণহত্যা ও হত্যাযজ্ঞের তীব্র নিন্দা, ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানাই।’

তারা বলেন, ‘গাজায় ইসরায়েলের এই হামলাগুলো বিশ্বে অস্থিতিশীলতা বয়ে আনতে পারে। নেতানিয়াহুর সরকার আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের মাধ্যমে মানবতাকে বৃদ্ধাঙুলি দেখিয়েছে। এ হামলা প্রমাণ করে, সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরায়েল আবারও গাজার নিরপরাধ মানুষের ওপর নির্মম হত্যাযজ্ঞ শুরু করেছে। যারা আগে থেকেই সহায়-সম্বল ও স্বজন হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছিলেন। আজ আবারও বোমাবর্ষণ করে ইসরায়েল তাদের দুঃখ-দুর্দশাকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে গেছে।’

সভায় ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধে বিশ্ব সম্প্রদায়কে আরও কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি ১২ দলীয় জোট নেতারা বাংলাদেশ সরকারকে এই বর্বর হামলার বিরুদ্ধে স্পষ্ট ও দৃঢ় অবস্থান গ্রহণের এবং মুক্তিকামী ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি ঐক্য ও সংহতি প্রকাশ করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জোটপ্রধান ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার জোটের মুখপাত্র বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বিকল্পধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, লেবার পার্টি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামি ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল রাকিব, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেমসহ জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম মেম্বার নওয়াব আলী আব্বাস খান, কাজী নাহিদ, যুগ্ম মহাসচিব নজরুল ইসলাম ও ঢাকা মহানগর সভাপতি ফারুক উমর।

পপি/