
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল জামায়াতকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘একটি দল আছে লাফ দিয়ে বারবার কোল বদল করে। কত দিন বিএনপির কোলে থাকে। আবার লাফ দিয়ে আওয়ামী লীগের কোলে চড়ে। আবার ১৯৮৬ সালে লাফ দিয়ে জাতীয় পার্টির কোলেও উঠেছিল। বার বার কোল বদল করা দল যারা তারা দয়া করে একটি জায়গায় স্থির হোন। তাহলে মানুষ আপনাদের নিয়ে চিন্তা করবে। বিএনপির সাথে জোটে মন্ত্রী সভায় থেকেছেন আবার নৌকা ও লাঙ্গলের সাথে মিলে বিএনপিকে নামানোর আন্দোলনও করেছেন।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে সিলেটের রেজিস্টারি মাঠে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিলেট জেলা বিএনপির সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি রোধ ও সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসা, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির দ্রুত উন্নয়ন, গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনকালীন রোডম্যাপ ঘোষণা এবং রাষ্ট্রে বিরাজমান ফ্যাসিবাদী শাসনের নানা চক্রান্ত ও অপচেষ্টার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার দাবিতে এই গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এসময় তিনি যারা নতুন দল গঠন করছেন তাদেরকে বলেন, নতুন বন্ধুদেরকে বলব কুড়াল দিয়ে কিন্তু শেভ করা যায় না। শেভ করতে হলে ব্লেড লাগবে, চুল কাটতে হলে কাচি লাগবে। সুতরাং কুড়াল দিয়ে শেভ করা চেষ্টা করবেন না ব্যর্থ হবেন। সত্যটা নষ্ট হয়ে যাবে।
এসময় তিনি ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সম্পর্কে তিনি বলেন, আপনারা (আওয়ামী লীগ) জাতির কাছে ক্ষমা চান। তওবা করেন, আপা আপা বললে আর হবে না। শেখ হাসিনা এখন আওয়ামী লীগের নেত্রী না। সে তার পরিবারের নেত্রী। তাই পরিবারের সবাইকে নিয়ে দেশ ছেড়েছে। তাদের পরিবারের কেউ এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়নি।
আলাল আরও বলেন, এই সরকার সবার সমর্থনে তৈরি হয়েছে। এত সমর্থন থাকার পরেও দ্রব্যমূল্যের দাম কমাতে ব্যর্থ এই সরকার। দাম কমাতে না পারলে যাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিতে হবে। বাণিজ্য উপদেষ্টা চাইলেই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমেদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির ও তাহসিনা রুশদীর লুনা, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) জিকে গউছ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন মিলন, মিফতাহ সিদ্দীকি, সহ-ক্ষুদ্র ও ঋণ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, কেন্দ্রীয় সদস্য ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, আব্দুল কাহের চৌধুরী শামীম, হাদিয়া চৌধুরী মুন্নী, সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী প্রমুখ।
শাকিলা ববি/সিফাত/