ঢাকা ৭ চৈত্র ১৪৩১, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫
English
শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১

কুয়েটে হামলার ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ও শিবিরকে দোষারোপ ছাত্রদলের

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৩৬ পিএম
আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫৬ পিএম
কুয়েটে হামলার ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ও শিবিরকে দোষারোপ ছাত্রদলের
সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ইসলামি ছাত্রশিবিরকে দোষারোপ করল ছাত্রদল। ছবি: খবরের কাগজ

ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ইসলামি ছাত্রশিবিরের ওপর দায় চাপালো বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দোষারোপ করেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতারা। যদিও এমন ঘটনায় দুঃখপ্রকাশও করছে ছাত্রদল। কুয়েটের ঘটনাসহ এখন পর্যন্ত যতগুলো ঘটনা ঘটেছে সবগুলোই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিশৃঙ্খল মব হিসেবে আখ্যা দেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির।

তিনি বলেন, ‘গতকাল (মঙ্গলবার) সেই কাজ শুরু করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিশৃঙ্খল মব। এটির নেতৃত্ব দিয়েছে কুয়েটের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ওমর ফারুক। কেন্দ্রীয়ভাবে সেটি মনিটরিং করেছে হাসনাত আব্দুল্লাহ।’

নাছির উদ্দীন নাছির আরও বলেন, ‘ছাত্রদলের রাজনীতির অংশ হিসেবে কুয়েটে আমরা সদস্য ফরম বিতরণ করেছি। কিন্তু ফরম বিতরণের দুইদিন পরে ছাত্রদলের তিনজন নেতা-কর্মীকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ওমর ফারুকের নেতৃত্বে শিবিরের সন্ত্রাসীরা অমানবিক নির্যাতন করেছে। নির্যাতনের মাত্রা এতই ছিল যে তারা দোকানে আশ্রয় নিলে সেখানে গিয়ে হামলা করেছে। পরে গ্রামবাসীর সঙ্গে কথিত ছাত্রদলের অনাকাঙ্ক্ষিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। এরপর ছাত্রদলের নামে একধরনের মব তৈরি করা হয়েছে।’

কুয়েটে শিবিরের কোনো কমিটি আছে কি-না এবং এ ঘটনায় ব্যাখ্যা দেওয়ার দাবি তোলেন নাছির উদ্দীন নাছির। একই সঙ্গে কোনো ক্যাম্পাসে যদি বিনা কারণে হামলার ঘটনা ঘটে, তাহলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে দায় নিতে হবে- বলে উল্লেখ করেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক।

লিখিত বক্তব্যে ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু আফসান ইয়াহিয়ার নেতৃত্বে একটি সরেজমিন তদন্ত টিম খুলনা গেছেন। তাদের প্রতিবেদন ও পুলিশি বা প্রশাসনিক তদন্ত প্রতিবেদন আসার আগ পর্যন্ত কোনো পক্ষ থেকেই কোনো উপসংহার টানা সম্ভব বা সমীচীন নয়। তবে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের বয়ান, সংবাদমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন, ছবি ও ভিডিও প্রমাণের ভিত্তিতে আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুয়েট শাখার আহ্বায়কের উস্কানিতেই হামলার সূত্রপাত ঘটেছে।’

হামলার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যে-ই জড়িত থাকুক না কেন, সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক তাদের সকলকে বিচারের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ছাত্রদল তার সংগঠনের নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে কোনো অপরাধের অভিযোগ আসলে কিংবা তা প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে কিন্তু তার বিচারের দায়িত্ব রাষ্ট্রকেই নিতে হবে।’

ওই সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস, সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপনসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্রদলের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে আহত হন অর্ধশত শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় উপাচার্য, উপউপাচার্য ও ছাত্রবিষয়ক পরিচালকের পদত্যাগসহ ৫ দফা দাবিতে ক্লাস বর্জন করেন শিক্ষার্থীরা। 

বুধবার সকাল থেকেই তারা কুয়েট মেডিকেল সেন্টারের সামনে অবস্থান নেয়। এরপর বিক্ষোভ মিছিলসহ প্রশাসনিক একাডেমিক ভবনে প্রবেশপথের ফটকে তালা দেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ৯৮তম বিশেষ জরুরি সভায় কুয়েট সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করা হয়।

আরিফ জাওয়াদ/মাহফুজ

 

আ.লীগের পুনর্বাসন জনগণ মেনে নেবে না, ফেসবুক পোস্টে জামায়াত আমির

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৮:১৫ পিএম
আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৮:১৬ পিএম
আ.লীগের পুনর্বাসন জনগণ মেনে নেবে না, ফেসবুক পোস্টে জামায়াত আমির
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন জনগণ মেনে নেবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘জনগণ অগ্রাধিকার ভিত্তিতেই গণহত্যার বিচার দেখতে চায়। এর বাইরে অন্য কিছু ভাবার কোনো সুযোগ নেই।’

শুক্রবার (২১ মার্চ) সকালে ফেসবুক পোস্টে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

ডা. শফিকুর রহমান লিখেছেন, ‘দীর্ঘ ফ্যাসিবাদী শাসনের পর ’২৪-এর ৩৬ জুলাই আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের একান্ত মেহেরবাণীতে উপহার হিসেবে পেয়েছি। এ জন্য মহান রবের দরবারে অসংখ্য-অসংখ্য শুকরিয়া। এ সময় দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য পতিত ফ্যাসিবাদীরা দেশের ভেতরে এবং বাইরে নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।’

তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের নির্যাতিত ১৮ কোটি মানুষের দাবি, গণহত্যাকারীদের বিচার, ’২৪-এর শহিদ পরিবারগুলোর পুনর্বাসন, আহত ও পঙ্গু অসংখ্য ছাত্র, তরুণ, যুবক ও মুক্তিকামী মানুষের সুচিকিৎসা, একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে ১৫ বছরের সৃষ্ট জঞ্জালগুলোর মৌলিক সংস্কার সাধন করে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা।’ সূত্র: ইউএনবি 

 

কর্নেল অলির গণমাধ্যম বিষয়ক উপদেষ্টা হলেন রাজ্জাক

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৮:০৭ পিএম
কর্নেল অলির গণমাধ্যম বিষয়ক উপদেষ্টা হলেন রাজ্জাক
সালাহ উদ্দীন রাজ্জাক। ছবি: সংগৃহীত

২০০৯ সাল থেকে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ও সাবেক মন্ত্রী ডক্টর কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রমের প্রেস সেক্রেটারি পদে দায়িত্ব পালনকারী সালাহ উদ্দীন রাজ্জাককে তিনি তার ব্যক্তিগত গণমাধ্যম বিষয়ক উপদেষ্টা পদে নিয়োগ দিয়েছেন।

শুক্রবার (২১ মার্চ) ডক্টর কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম তাকে এ পদের জন্য নিয়োগ দেন।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের জনকল্যাণ সম্পাদক সিনিয়র সাংবাদিক সালাহ উদ্দীন রাজ্জাক ড. কর্নেল অলি আহমদ বীর বিক্রমের গণমাধ্যম বিষয়ক উপদেষ্টার পাশাপাশি এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব পদে দায়িত্ব পালন করবেন।

শফিকুল ইসলাম/মাহফুজ

নির্বাচিত সরকার ছাড়া কোনো সংস্কার কাজে দিবেনা: আমিনুল হক

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৭:৫৪ পিএম
নির্বাচিত সরকার ছাড়া কোনো সংস্কার কাজে দিবেনা: আমিনুল হক
ছবি: সংগৃহীত

অন্তবর্তী সরকার সংস্কারের কথা বললেও গত ছয় মাসে সংস্কারের কোনো দৃশ্যমান কাজ দেখা যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক। তিনি বলেন, প্রশাসন থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় সকল প্রতিষ্ঠানের সব জায়গায় আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসররা বসে আছে। তাই জনগণের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার ছাড়া কোনো সংস্কার কাজে দিবেনা বলেও জানান আমিনুল হক। 

শুক্রবার (২১ মার্চ) দুপুরে উত্তরার ফায়দাবাদে রশিদ গ্রুপের আয়োজনে দুস্থ অসহায় মানুষের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী শাড়ী ও লুঙ্গি বিতরণকালে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় আমিনুল হক অন্তবর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, গত ছয় মাসে আপনারা সংস্কারের কথা বলছেন কিন্তু কোনো দৃশ্যমান সংস্কার আমাদের চোখে এখনো পর্যন্ত পড়ে নি। বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো এখনও পর্যন্ত একটি অস্থিতিশীল অবস্থার ভিতরে রয়েছে। কোথাও কোনো স্থিতিশীলতা নাই। 

এর কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৭ বছরের আন্দোলনের সফলতায় গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা স্বৈরাচার শেখ হাসিনা মুক্ত হয়েছি কিন্তু পরিপূর্ণভাবে স্বৈরাচার মুক্ত হতে পারিনি। 

এসময় বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা বাংলাদেশ থেকে তখনই পরিপূর্ণভাবে গণতন্ত্র ও স্বৈরাচার মুক্ত করতে পারব যখন বাংলাদেশে একটা অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে এদেশের সাধারণ মানুষ ভোট দিয়ে তার জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারবে। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাড. রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম কফিল উদ্দিন আহমেদ। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য ও রশিদ গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. মোতালেব হোসেন রতনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, এবিএমএ রাজ্জাক, গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, মহানগর সদস্য আলী আকবর আলী, রফিকুল ইসলাম খান, উত্তরাপূর্ব থানা বিএনপি সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. এফ ইসলাম চন্দন, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক তারেক হাসান, উত্তরখান থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম বেপারি প্রমুখ।

মাহফুজ

নির্বাচনের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে হবে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৬:৫৫ পিএম
আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৭:০৩ পিএম
নির্বাচনের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে হবে: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে যতটুকু সংস্কার করা দরকার, ততটুকু সংস্কার করে নির্বাচনের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আবেগেরর মধ্য দিয়ে সমস্যার সমাধান করা যাবে না। আমাদেরকে বাস্তববাদী চিন্তা করে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করতে হবে। পরিবর্তনকে সামনে নিয়ে একটা নতুন বাংলাদেশ, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার জন্যই আমাদের সবাইকে ওই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।

শুক্রবার (২১ মার্চ) রাজধানীর লেডিস ক্লাবে পেশাজীবীদের সম্মানে বিএনপি আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, প্রায় ১৫ বছর পরে একটা মুক্ত পরিবেশে, ফ্যাসিবাদ মুক্ত পরিবেশে আমরা এই ইফতার মাহফিলে আয়োজন করতে পেরেছি। একটু ভারাক্রান্ত এ জন্য আজকে দলের চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাদের মধ্যে উপস্থিত থাকাটা অত্যন্ত প্রত্যাশিতই ছিল। কিন্তু আপনারা জানেন, আমাদের নেত্রী চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে আছেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানও আছেন। তিনি এখনো বিভিন্ন মামলার সমস্যার কারণে বিদেশে নির্বাসিত অবস্থাতেই আছেন। শিগগিরই দেশে ফিরে আসতে পারছেন না। 

তিনি বলেন, এখানে যারা উপস্থিত আছেন, আপনারা সবাই দেশের অত্যন্ত উচ্চ শিক্ষিত এবং জাতির বিবেক। আপনারাই দেশের মত-অভিমতকে প্রভাবিত করেন। আমরা আজকে একটা অত্যন্ত কঠিন সময় অতিক্রম করছি। ভয়াবহ একটা ফ্যাসিস্ট সরকারের হাত থেকেই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে তাদেরকে পরাজিত করে, বিতাড়িত করে আজকে একটা অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে এবং একটা নতুন গণতান্ত্রিক পার্লামেন্ট এবং সরকার গঠিত হবে সে প্রত্যাশা বাংলাদেশের জনগণ অপেক্ষায়।

পেশাজীবীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা যারা রাজনীতি করছি, যারা বিভিন্ন পেশাতে আছি, তারা যারা বিভিন্নভাবে সরকার অথবা জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছি, তারা সবাই আমরা এমনভাবে কথা বলব ও কাজ করব যাতে আমাদের এই গণতন্ত্রের উত্তরণের পথকে আরও সুগম করে। আপনারা সবাই জানেন যে, আমাদের রাষ্ট্র ব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে, সেই কারণেই প্রায় দুই বছর আগে আমাদের নেতা তারেক রহমান সংস্কার ও দেশ পরিবর্তনের জন্য ৩১ দফা কর্মসূচি দিয়েছেন।

তিনি বলেন, অন্তর্বতী সরকার সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। আমরা তাদের সঙ্গে সম্পূর্ণ যোগাযোগ রাখছি এবং তাদের যে প্রস্তাব সে প্রস্তাবগুলোকে আমরা পর্যবেক্ষণ করছি এবং আমাদের মতামতগুলো সেইভাবে প্রদান করছি। সবাইকে আবার অনুরোধ করব, আপনার সবাই অত্যন্ত সচেতনতার সঙ্গে সতর্কতার সঙ্গে আপনাদের ভূমিকা পালন করবেন। বিশেষ করে বিএনপির সঙ্গে যারা আমরা জড়িত আছি, তারা যেন আমরা এমন কোনো পদক্ষেপ না নিই, যে পদক্ষেপ আমাদেরকে কোনো ভুল পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।

ইফতার মাহফিলে যোগ দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারপারসন শামসুজ্জামান দুদু, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, উপদেষ্টা ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার প্রমুখ।

পেশাজীবীদের মধ্যে অংশ নেন, যায়যায়দিনের সম্পাদক শফিক রেহমান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও কালের কণ্ঠ সম্পাদক কবি হাসান হাফিজ, অর্থনীতিবিদ মাহবুব উল্লাহ, যুগান্তর সম্পাদক কবি আবদুল হাই শিকদার, সিনিয়র সাংবাদিক এম আজিজ, আবদাল আহমেদ, নূরুদ্দিন আহমেদ, চিত্র নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/মাহফুজ

ইসরায়েলকে ব্যবহার করছে আমেরিকা, মন্তব্য বাসদ নেতাদের

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৫:১৯ পিএম
আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৫:২০ পিএম
ইসরায়েলকে ব্যবহার করছে আমেরিকা, মন্তব্য বাসদ নেতাদের
যুদ্ধ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গাজায় ইসরায়েলের হামলার ঘটনায় শুক্রবার বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাসদ। ছবি: খবরের কাগজ

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ নেতারা বলেছেন, মধ্যপ্রচ্যের তেল ও খনিজসম্পদের দখল এবং ওই অঞ্চলে সামরিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য ইসরায়েলকে ব্যবহার করছে সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকা। তাদের ভাষ্যে, এই লক্ষ্যে ফিলিস্তিনে হামলার জন্য ইসরায়েলকে সব ধরনের অস্ত্র সরবরাহ করছে আমেরিকা।

যুদ্ধ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গাজায় ইসরায়েলের হামলার ঘটনায় শুক্রবার (২১ মার্চ) বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন বাসদ নেতারা। বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দলের সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জান রতন, সদস্য জুলফিকার আলী ও নগর কমিটি সদস্য খালেকুজ্জামান লিপন।

বাসদ নেতারা বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গাজা থেকে সেখানকার বাসিন্দাদের সরে গিয়ে খালি করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে দিতে বলেছে। নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করে ট্রাম্প নতুন করে হামলার নীল নকশা করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় গাজায় নতুন করে হামলা শুরু হয়েছে।

বিশ্ব জনমত উপেক্ষা করে ইসরায়েলের নৃশংস হামলায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে বাসদ নেতারা বলেন, বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজা থেকে মানুষজনকে সরে যেতে বলেছে এবং বলছে ‘গাজায় নৃশংতা কেবল মাত্র শুরু’। হাজার হাজার টন বোমা ফেলে ফিলিস্তিনকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছে। এই হামলার বিরুদ্ধে খোদ ইসরাইয়েল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে কিন্তু ইসরায়েল তাতে তোয়াক্কা করছে না। কারণ তার প্রতি সমর্থন রয়েছে যুদ্ধবাজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের।

তারা বলেন, যুদ্ধবিরতির সময়েও গাজায় ১৫০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। গাজায় যে হামলা চানানো হচ্ছে তা অতীতের যে কোনো যুদ্ধের ভয়াবহতাকে হার মানিয়েছে। এখন সেখানে কোনো ত্রাণ পৌছাতে পারছে না। এ কারণে সেখানকার মানুষ ক্ষুধা দুর্ভিক্ষ ও চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণ করছে।

বাসদ নেতারা গাজায় মানবিক সংকট মোকাবিলায় জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জরুরি পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানান। পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারকে গাজায় ইসরাইলি বোমা হামলা ও গণহত্যা বন্ধের দাবি আন্তর্জাতিক সব ফোরামে তুলে ধরার দাবি জানান। 

জয়ন্ত সাহা/মাহফুজ