ঢাকা ১০ চৈত্র ১৪৩১, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
English

ক্ষমতার মোহে স্বৈরাচার হওয়ার চেষ্টা করলে জনগণ প্রতিরোধ করবে: আমিনুল হক

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:০৭ পিএম
আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৩৭ পিএম
ক্ষমতার মোহে স্বৈরাচার হওয়ার চেষ্টা করলে জনগণ প্রতিরোধ করবে: আমিনুল হক
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

অন্তবর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেন, আওয়ামী স্বৈরাচারের ইন্ধনে অন্তবর্তী সরকারের কিছু ব্যক্তির ভিতরে ক্ষমতার মোহ ধরেছে। ক্ষমতা ধরে রাখতেই তারা নতুন করে যড়যন্ত্র করছে। তবে ক্ষমতার মোহে স্বৈরাচার হওয়ার চেষ্টা করলে জনগণ প্রতিরোধ করবে। 

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মিরপুর ১ নম্বর জি ব্লক ঈদগাহ মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর শাহআলী থানা বিএনপির কর্মীসভা ও রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফার কর্মশালায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

তিনি বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, দীর্ঘ ১৭ বছরে অনেক যুদ্ধ, ত্যাগ-তিতিক্ষার মাধ্যমে বাংলাদেশ নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। দেশ স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে। সেই স্বৈরাচার মুক্ত বাংলাদেশে আমরা আর কাউকে স্বৈরাচার হওয়ার সুযোগ দিব না।’ 

অন্তবর্তী সরকার সংস্কারের নামে নির্বাচন পেছানোর অপচেষ্টা করছে উল্লেখ করে আমিনুল হক বলেন, বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। যে নির্বাচনের মাধ্যমে এদেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে এবং জনগণের নির্বাচিত সরকার জনগণকে সঙ্গে নিয়েই রাষ্ট্রের পরিপূর্ণ সংস্কার করবে। 

একটি মহলের ষড়যন্ত্রে এখনও পর্যন্ত দেশে স্থিতিশীলতা আসেনি মন্তব্য করে বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, দীর্ঘ ৬ মাস হয়ে গেল, এখনও পর্যন্ত ষড়যন্ত্রকারীরা রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বসে ষড়যন্ত্র করে বেড়াচ্ছে। সবার ভিতরে একটা শঙ্কা কাজ করছে। এই বিষয়ে সবাইকে সর্তক থাকতে হবে। 

তিনি আরও বলেন, হাসিনা সরকারের প্লান ছিল ৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতা দখল করে থাকবে কিন্তু তারা পারেনি; এদেশের সাধারণ মানুষ রাজপথে নেমে তাদের পতন ঘটিয়েছে। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির চেয়াপারসন উপদেষ্টা সাবেক সচিব মো. ইসমাইল জবিউল্লাহ বলেন, বিএনপি জনগণের ভোটে ক্ষমতায় গেলে ৩১ দফার রুপরেখা বাস্তবায়ন করবে। এটা জাতির কাছে অঙ্গীকারবদ্ধ। 

৩১ দফা জাতির মুক্তির সনদ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটার ওপরে নির্ভর করেই আগামীর দেশ পরিচালিত হবে। 

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক টিম প্রধান ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টির সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা ড. মাহ্দী আমিন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি সদস্য সচিব মো. মোস্তফা জামান, মহানগর যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, এবিএমএ রাজ্জাক, আকতার হোসেন, গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, হাজী মো. ইউসুফ, আফাজ উদ্দিন, শাহ আলম, মাহাবুব আলম মন্টু, মহানগর সদস্য হুমায়ুন কবির রওশান, শামীম পারভেজ, হাফিজুর রহমান শুভ্র, আবুল হোসেন আব্দুল, ফারুক হোসাইন ভূইয়া, হাজী নাসির উদ্দীন, নুরুল হুদা ভূঁইয়া নূরু, ইব্রাহিম খলিল, এমএস আহমাদ আলী, স্বেচ্ছাসেবকদল ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ ফরিদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মহসিন সিদ্দিকী রনী, মহিলাদল উত্তর সদস্য সচিব এ্যাড রুনা লায়লা, জাসাস মহানগর সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন আনু, ছাত্রদল ঢাকা মহানগর পশ্চিমের সভাপতি রবীন খান, সাধারণ সম্পাদক আকরাম আহমেদ ছাড়াও শাহআলী থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সেলিম উদ্দিন দেওয়ান গিয়াস, যুগ্ম আহ্বায়ক সোলায়মান দেওয়ান, জয়নাল আবেদীন, মিরপুর থানা বিএনপি সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাসেল আহমেদ প্রধান, দারুসসালাম থানা বিএনপির আলমগীর হোসেন ভুট্টো, একেএম নজরুল ইসলাম কোহিনুর, দক্ষিণখান থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক দেওয়ান মো. নাজিম উদ্দীন, খিলক্ষেত থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক মোবারক হোসেন দেওয়ান, সিএম আনোয়ার হোসেন, রুপনগর থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আহমেদ রাজু, উত্তরাপশ্চিম থানা বিএনপির আলমগীর হোসেন শিশির,কাফরুল থানা বিএনপির সদস্য আলমগীর হোসেন, শাহাদাত হোসেন, বিমানবন্দর থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক মহিউদ্দিন তারেক, মঞ্জুর হোসেন পাটোয়ারী, মোহাম্মদপুর থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক মীর মো. কামাল হোসেন, সিনিয়র সদস্য ফরিদ উদ্দিন ফরহাদ, ৩৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি সিনিয়র সহসভাপতি ওসমান গনি সেন্টু, তুরাগ থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক রিপন হাসান খন্দকার, থানা আহ্বায়ক সদস্য আবদুল আলী প্রমূখ।

মাহফুজ/

এ্যাবের উদ্যোগে পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ

প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৫, ১০:২৩ পিএম
এ্যাবের উদ্যোগে পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ
এ্যাবের উদ্যোগে পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ। ছবি: খবরের কাগজ

প্রকৌশলীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের (এ্যাব) সদ্য সাবেক কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির নেতাদের উদ্যোগে দ্বিতীয় দিনের মতো সাধারণ পথচারী ও প্রান্তিক মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করা হয়েছে।

সোমবার (২৪ মার্চ) বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই আয়োজন করা হয়।  

ইফতার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এ্যাবের সদ্য সাবেক মাহাসচিব প্রকৌশলী আলমগীর হাছিন আহমেদ, প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন তালুকদার, প্রকৌশলী এটিএম তানভির-উল হাসান তমাল, প্রকৌশলী নিয়াজ উদ্দীন ভূঁইয়া ও প্রকৌশলী রুহুল আলম, প্রকৌশলী মুহাম্মাদ আহসানুল রাসেল ও প্রকৌশলী বশির শাকিল প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/সুমন/

সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি করার চেষ্টা চলছে: তারেক রহমান

প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৫, ০৯:৪০ পিএম
সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি করার চেষ্টা চলছে: তারেক রহমান
দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: খবরের কাগজ

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে- এ বিষয়ে সবাইকে সচেতন ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। 

তিনি বলেন, ‘কদিন আগে আমরা দেখেছি সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে, ঠিক একইভাবে সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমি একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে বুঝি, এর পেছনে কোনো না কোনো ষড়যন্ত্র রয়েছে। দেশপ্রেমিক সব মানুষ যদি সচেতন ও সতর্ক থাকি, তাহলে অবশ্যই আমরা এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে সক্ষম হব। আমাদের যেকোনো মূল্যে এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে।’

সোমবার (২৪ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর লেডিস ক্লাবে বিএনপি মিডিয়া সেল আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। 

তারেক রহমান আরও বলেন, ‘বিগত স্বৈরাচার সরকার রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আমরা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দিকে তাকিয়ে থাকি। সেই সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’

সাংবাদিকদের সতর্ক থাকার পাশাপাশি সত্য ঘটনা প্রকাশ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সাংবাদিক সমাজের একজন সদস্য হিসেবে এখানে আপনাদের বিরাট ভূমিকা আছে। বর্তমানে বিভিন্ন বিষয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আপনারা যদি আপনাদের জায়গা থেকে সত্য ঘটনা তুলে ধরেন, তাহলে আমরা এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে সক্ষম হব। ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধারা জীবন উৎসর্গ করেছে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌমত্ব বাংলাদেশের জন্য। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের মানুষের অধিকার সমন্নুত রাখার জন্য সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ তাদের জীবন দিয়েছে। গত ১৬-১৭ বছরে গণতান্ত্রিক উত্তরণের লড়াইয়ে যারা গুম-খুনের শিকার হয়েছেন, তাদের ত্যাগ যেন বৃথা না যায়, তা নিয়ে আসুন আমরা কাজ করি।’ 

তারেক রহমান বলেন, ‘জুলাই-আগস্টে যেসব নাগরিক স্বৈরাচারকে বিদায় করার জন্য, নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন দিয়েছেন, প্রতিটি মানুষের এই জীবন উৎসর্গ যেন সার্থক হয়, তার জন্য সবাইকে এক প্ল্যাটফর্মে এসে দাঁড়াতে হবে। আমাদের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। আমাদের সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখতে হবে।’

বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘কোথাও কেউ একজন কিছু একটা করার চেষ্টা করছে। পতিত স্বৈরাচার সরকারের একটি অংশ এখনো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। আমরা যদি একসঙ্গে কাজ করি তাহলে এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে সক্ষম হব। আমাদের সর্বপ্রথম এবং একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত- এই দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার যেকোনো মূল্যে প্রতিষ্ঠা করা ও দেশের মানুষের অর্থনীতির স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমরা সবাই মিলে একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে পারব।’

বিএনপির পক্ষ থেকে উত্থাপিত সংস্কার প্রস্তাবের কথা তুলে ধরে তারেক রহমান বলেন, ‘সে সময়ে যেভাবে সাংবাদিকরা আমাদের পাশে ছিলেন এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণে বাংলাদেশের পাশে ছিলেন, সেজন্য তাদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা।’ আগামী দিনেও তিনি সাংবাদিকদের বিএনপির পাশে থাকার আহ্বান জানান।

ইফতার মাহফিলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব যেন বিপন্ন হয়, আমরা যেন আবার অরক্ষিত হয়ে পড়ি, আমাদের সেই দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী, যারা দেশের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে জাতির পাশে এসে দাঁড়িয়েছে, তাদের আবার বিতর্কিত করার হীন প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আজকে অত্যন্ত সুনিপুণভাবে একটি নতুন চক্রান্ত শুরু হয়েছে। চক্রান্ত হচ্ছে বাংলাদেশকে আবার অস্থিতিশীল করার, আবার বিপদে নিমজ্জিত করার জন্য। বাংলাদেশের যে প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তাদেরও বিতর্কিত করে ফেলা হচ্ছে। বিশেষ করে সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করে ফেলা হচ্ছে। এর পেছনে বড় কোনো উদ্দেশ্য থাকতে পারে না, এটার উদ্দেশ্য একটাই, ঠিক অতীতে ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে যেভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করা হয়েছে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘দেশে একটি ব্যতিক্রমী অবস্থা বিরাজ করছে। কখনো নতুন রাজনৈতিক দল, কখনো পুরোনো রাজনৈতিক দল, কখনো প্রফেশনাল লোকের কথাবার্তা শুনে যতটুক আশান্বিত হয়েছিলাম, ততটুকু হতাশ হচ্ছি। কেমন জানি একটা পরিস্থিতি বিরাজ করছে, যেটা বিশ্লেষণ করা খুবই কঠিন। শুধু বলব, যেমন আবহাওয়া থাকুক, ৫ আগস্টের আগে যেমন পরিস্থিতি ছিল, ৫ আগস্টের পরের পরিস্থিতি অটুট রাখতে হবে। তা না হলে দেশের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে। দেশের অস্তিত্বকে নষ্ট করার জন্য দেশে-বিদেশে বহু চক্র কাজ করছে।’

ইফতার মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ আলমগীর হোসেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এবং মিডিয়া সেলের সদস্যসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, মিডিয়া সেলের সদস্য ড. মোর্শেদ হাসান খান, আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. মাহাদী আমিন, সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান, চেয়ারপারসনের প্রেস উইং শামসুদ্দিন দিদারসহ অন্যরা। 

আগামীতে মানুষ দল বা মার্কা দেখে ভোট দেবে না: সারজিস

প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৫, ০৯:২২ পিএম
আগামীতে মানুষ দল বা মার্কা দেখে ভোট দেবে না: সারজিস
পথসভায় বক্তব্য রাখেন এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। ছবি: খবরের কাগজ

আগামীর বাংলাদেশে মানুষ দল বা মার্কা দেখে নয়, কাজ দেখে ভোট দেবেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

একই সঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, আগামীর বাংলাদেশে কে কেমন কাজ করেছে, মানুষের কাছে সেটাই প্রাধান্য পাবে। সেই কাজ দেখে ভোট দেবে। জাতীয় নাগরিক পার্টি নিয়ে খুব শিগগির ভোটারদের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে যাবেন বলেও জানান তিনি। 

সোমবার (২৪ মার্চ) দুপুরে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার বিজয় চত্বরে এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সারজিস আলম বলেন, ‘বিগত দিনে সাধারণ মানুষকে নেতারা বিভিন্নভাবে ব্যবহার করেছেন। তারা ভোটের আগের দিন ভোট চাইতে যান। আর ভোট পার হলে একটা পিয়ন পদ আর একটা ভিজিডি কার্ড আর একটা বয়স্ক ভাতার কার্ড, যে কাজেই তার কাছে যান না কেন, তা হওয়ার আগেই তারা টাকার জন্য হাত পেতে বসে থাকেন। নতুন বাংলাদেশে এগুলো আর হতে দেওয়া যাবে না। যারা জনপ্রতিনিধি হিসেবে কাজ না করে সাধারণ মানুষের অর্থ লুটপাট করবেন, তাদের আর এই বাংলাদেশে জনপ্রতিনিধি হিসেবে মেনে নেওয়া যাবে না। একটা জিনিস মনে রাখবেন, পাঁচ বছরে একদিন যদি আপনি তার কাছ থেকে কিছু নেন, তাহলে বাকি ৫ বছরে তিনি আপনার রক্ত চুষে খাবেন।’

একই সঙ্গে দল বা মার্কার ওপর অন্ধ বিশ্বাস স্থাপন না করে সবাইকে কাজের ওপর নজর দিয়ে দল ও প্রতিনিধি নির্বাচনের আহ্বান জানান তিনি। পথসভার মাধ্যমে জাতীয় নাগরিক পার্টির পাশে সবাইকে থাকার আহ্বান জানান তরুণ এই নেতা।

এর আগে তিনি ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর এয়ারপোর্টে নেমে সড়কপথে পঞ্চগড়ে পৌঁছে জেলার ৫ উপজেলার উদ্দেশে পথসভা শুরু করেন। মানুষের বিভিন্ন মতামত নেওয়ার চেষ্টাও করেন তিনি।

সারজিস আলম এনসিপির দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথমবারের মতো নিজ জেলা পঞ্চগড়ে আগমন করায় তাকে সংবর্ধনা জানান ছাত্র-জনতা, সাধারণ মানুষসহ জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতা-কর্মীরা। এ সময় জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা শতাধিক গাড়ি নিয়ে সমর্থকরা সারজিসকে বরণ করেন।গ

হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে নির্বাচনে সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছে ভারত: রাশেদ প্রধান

প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৫, ০৮:৫১ পিএম
আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২৫, ০৮:৫৫ পিএম
হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে নির্বাচনে সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছে ভারত: রাশেদ প্রধান
শ্রমিক জাগপা আয়োজিত শ্রমিক ও মেহনতি মানুষের সম্মানে গণইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) সহসভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান। ছবি: খবরের কাগজ

ভারতের সেবাদাস শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখার জন্য ভারত বিগত ৩টি জাতীয় নির্বাচনে সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) সহসভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান।

সোমবার (২৪ মার্চ) পুরানা পল্টনে শ্রমিক জাগপা আয়োজিত শ্রমিক ও মেহনতি মানুষের সম্মানে গণইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের জন্য এক্সক্লুসিভ নির্বাচন করে, শেখ হাসিনার পলায়নে ভারত এখন ইনক্লুসিভ নির্বাচন চায়। বিগত ৩টি নির্বাচনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয় নাই, হয়েছিল ভারতের মুখ্যমন্ত্রী। আর তাই শেখ হাসিনার গদি হারিয়ে, বাংলাদেশকে ভারতের করদ রাজ্য বানাতে না পেরে, ভারত এখন ইনক্লুসিভ নির্বাচনের কথা বলে।’

রাশেদ প্রধান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বিগত ১৬ বছর ধরে সোনার বাংলাকে গোরস্তান বানিয়েছে। নিজেদের বিলাসিতার জন্য দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে শ্রমিক, মজুর ও মেহনতি মানুষের নিঃস্ব করে দিয়েছে। এত এক্সক্লুসি-ইনক্লুসিভ বুঝি না, স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিতে চাই, গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের অপরাজনীতির কবর হয়েছে ৫ আগস্ট। এখন আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।’

শ্রমিক জাগপা সভাপতি আসাদুজ্জামান বাবুলের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন জাগপার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, জাগপা ঢাকা মহানগর আহ্বায়ক শ্যামল চন্দ্র সরকার, যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. সিরাজুল ইসলাম, এশিয়া মানবাধিকার সংস্থার যুগ্ম মহাসচিব রাইসুল ইসলাম চন্দন, যুব জাগপার দপ্তর সম্পাদক জনি নন্দী, শ্রমিক জাগপার যুগ্ম আহ্বায়ক আকবর হোসেন ও মাহবুব আলম প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/সুমন/

মগবাজারে রিকশা শ্রমিকদের সঙ্গে জামায়াতের মতবিনিময়

প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৫, ০৮:৩৯ পিএম
মগবাজারে রিকশা শ্রমিকদের সঙ্গে জামায়াতের মতবিনিময়
ছবি: খবরের কাগজ

রাজধানীর হাতিরঝিল থানার ৩৫০ জন রিকশা শ্রমিকের সম্মানে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছে জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রচার-মিডিয়া সম্পাদক ও উন্নয়ন ফোরাম হাতিরঝিলের সভাপতি মুহাম্মদ আতাউর রহমান সরকার। 

সোমবার (২৪ মার্চ) মগবাজারের আল ফালাহ মিলনায়তনে রিকশা শ্রমিকদের নিয়ে এই মতবিনিময় ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। 

রমনা রিকশা ট্রেড ইউনিয়নের সভাপতি মঞ্জুরুল আলমের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি কবির আহমেদের পরিচালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রিকশা শ্রমিক ফেডারেশনের ঢাকা মহানগরী উত্তরের সভাপতি মাহবুব আলম, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহ-সম্পাদক ডা. সুলতান মাহমুদ, হাতিরঝিল পশ্চিম সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ সর্দার, সেক্রেটারি আলমগীর হোসেন প্রমুখ। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আতাউর রহমান সরকার বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী শ্রেণি বৈষম্য পছন্দ করে না। শ্রমজীবী মানুষকে তাদের বন্ধু মনে করে। বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক দলগুলো কাউকে ক্ষমতা থেকে নামাতে ও বসাতে শ্রমজীবী মানুষকে ব্যবহার করলেও জামায়াত এই কাজ কখনো করে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিতে রাষ্ট্রকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। তাদের মৌলিক অধিকার পূরণে হতে হবে আন্তরিক।’

শফিকুল/সালমান/