ঢাকা ৪ বৈশাখ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২

প্রশাসনের ঢিলেঢালা আচরণে দুষ্কৃতকারীরা আশকারা পাচ্ছে: রিজভী

প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৫, ০২:৫৭ পিএম
আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২৫, ০৩:৪০ পিএম
প্রশাসনের ঢিলেঢালা আচরণে দুষ্কৃতকারীরা আশকারা পাচ্ছে: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী

প্রশাসনের ধীরগতি ও ঢিলেঢালা আচরণের কারণে সমাজে দুষ্কৃতকারীরা নানাভাবে আশকারা পাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। 

শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

রিজভী বলেন, ‘বর্তমান সময়ে নির্যাতিত আছিয়াকে ধর্ষণের পর মৃত্যুর বিষয়টি কোনোভাবেই দেশবাসী মেনে নিতে পারছেন না। বর্তমান শাসনকালে মানুষের প্রত্যাশা ছিল, তৃণমূলে অতিদ্রুত আইনের শাসন বলবৎ হবে। সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে না পারলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি মানুষের আস্থা কমতে থাকবে।’

তিনি বলেন, ‘বিগত ১৬ বছরের দুঃশাসনে আমাদের অতিপরিচিত শান্তি ও সুস্থময় পরিপার্শ্বকে বিকৃত করা হয়েছে। দীর্ঘদিনের বাংলাদেশের সামাজিক সংহতিকে বিনষ্ট করা হয়েছে। দুর্বৃত্তায়নের ব্যাপক প্রসার ঘটিয়ে সমাজকে পচা-গলিত দুর্গন্ধময় করার চেষ্টা করা হয়েছে। অন্যের জমি দখল, লুট, টাকা পাচারের মহা উৎসবের মধ্য দিয়ে নিজের সিংহাসন অটল রাখতে সব ধরনের নোংরামিকে প্রশ্রয় দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা।’

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘তার (শেখ হাসিনা) শাসনের সময়ে হত্যা, গুম, খুন, ধর্ষণ, নারী-শিশু নির্যাতন, বিরোধী দলের রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের ওপর অকথ্য নির্যাতন রাষ্ট্র ও সমাজে এমনই বিস্তার ঘটানো হয়েছিল যে সভ্য-শিষ্ট মানুষের বসবাস করা বিপজ্জনক হয়ে পড়েছিল। সাধারণ মানুষকে লাঞ্ছিত করতে, দুর্দশায় ফেলতে তারা কোনো দ্বিধা করত না। যাবতীয় ভয়, হুমকি ও দুর্বিপাকের মধ্যেও দেশের নাগরিকদের জীবনযাপন করতে হয়েছে।’

রিজভী বলেন, ‘সেই রেশ ধরেই এখনো নারী-শিশু নির্যাতনকারীরা সুযোগের অপেক্ষায় ওত পেতে বসে রয়েছে। সম্প্রতি মাগুরায় আট বছরের শিশু আছিয়াকে ধর্ষণ, কয়েক দিন চিকিৎসারত থেকে বৃহস্পতিবার তার মৃত্যু সারা জাতিকে বিমূঢ় বেদনায় বেদনার্ত করেছে। দীর্ঘ আওয়ামী দুঃশাসনে মানবিকতা, নৈতিকতা, ন্যায্যতা, ন্যায়বিচার অদৃশ্য করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আইনের শাসনের শক্ত কাঠামো তৈরি করা হলেই ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে। প্রশাসন যোগ্য, দক্ষ, ন্যায়পরায়ণ, সৎ ও মানবিক না হলে সমাজে অন্যায়-অবিচার এবং খুন, জখম, নারী ও শিশু নির্যাতনের প্রকোপ জ্যামিতিক হারে বৃদ্ধি পাবে। অবিলম্বে সত্যিকার অর্থে আইনের শাসন বলবৎ করে সমাজে প্রকৃত দুষ্কৃতকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। ধর্ষণে নির্যাতিত শিশু আছিয়ার হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি অতিদ্রুত নিশ্চিত করতে হবে।’ 

রুহুল কবির জানান, বিএনপির উদ্যোগে দেশব্যাপী (৮২টি সাংগঠনিক জেলা) নারী-শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনাগুলোর তথ্য সংগ্রহ এবং নিপীড়িত নারী-শিশুদের আইনি এবং স্বাস্থ্য সহায়তা সেল গঠন করা হয়েছে।

শফিকুল/পপি/

সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া: নজরুল ইসলাম খান

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২৭ পিএম
আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২৯ পিএম
সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া: নজরুল ইসলাম খান
ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক। ছবি: খবরের কাগজ

সংস্কার একটি চলমান অনিবার্য প্রক্রিয়া বলে উল্লেখ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক রাষ্ট্রদূত নজরুল ইসলাম খান।

তিনি বলেছেন, ‘সংস্কার একটা চলমান অনিবার্য প্রক্রিয়া, হতেই হবে। আমি যখন একা আমার ঘরে থাকি তখন ঘরের যে সেটআপ, যখন বিয়ে করি সেটা বদলে যাবেই। আমাদের যখন সন্তান হবে তখন সেটা আবার বদলে যাবে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেক কিছু বদলায়, বদলাবেই… অনিবার্য চলমান প্রক্রিয়া।’ 

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে দলের পক্ষে সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা সবাই চাই, ভালো চাই। আরও ভালো চাই, আরও ভালো চাই। কিন্তু  খুব ভালো করার জন্য যেন আমরা এতো সময় না নেই যেন মানুষের পরিবর্তনের যে আকাঙ্ক্ষা সেটা স্তিমিত হয়ে যায়। নিশ্চয় আমরা ভালো করতে চাই এবং এই ভালো করার প্রয়াস অব্যাহত থাকবে, সব সময় থাকবে।’

বৈঠকে নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে রয়েছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিহউল্লাহ ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। 

ঐকমত্য কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রিয়াজের সভাপতিত্বে বৈঠকে রয়েছেন কমিশনের সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এমদাদুল হক, ইফতেখারুজ্জামান এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারি মনির হায়দার।
 
নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা কালকেও (বুধবার) প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি, বিএনপির চাইতে বেশি সংস্কার বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক দল করেছে? রাজনৈতিকভাবে বলেন, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা তো বিএনপি করেছেন। বহু দলীয় গণতন্ত্র তো বিএনপি পুণঃপ্রতিষ্ঠা করেছে, সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা তো বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছেন। তত্ত্বাবধায়ক শাসন ব্যবস্থা তো বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছে, প্রশাসনের বিকেন্দ্রীকারণ তো অনেক ক্ষেত্রে করেছে। এমনকি বিএনপি তো গ্রাম সরকার প্রবর্তন করেছে। তাতে আর কত দূর পর্যন্ত আমরা প্রশস্ত করতে চাই। আপনি মুক্ত বাজার অর্থনীতি বিএনপি চালু করেছে, দুর্নীতি দমন কমিশন বিএনপি গঠন করেছে। আজকে অর্খনীতির সরকারের রাজস্ব আয়ের অন্যতম খাত হলো ভ্যাট বিএনপি করেছে। আজকে অর্থনীতির মূল স্তম্ভ পোষাক খাত বিএনপির হাতে হয়েছে, কৃষি উন্নয়ন, প্রবাসী কর্মসংস্থান, পল্লী বিদ্যুতায়ন থেকে শুরু করে সমবায় উন্নয়ন, কুটির শিল্প বিএনপি সংস্কারের বিপক্ষে না, বিএনপি সংস্কারের দল।

তিনি বলেন, তারপরও কেউ কেউ নানা কথা বলেন, তারা যখন সংস্কারের ‘স’ উচ্চারণ করেনাই… তখন তো দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ভিশন ২০৩০ দিয়েছেন। কেউ যখন সংস্কারের কথা ভাবেনি তখন শহীদ জিয়াউর রহমান ১৯ দফা কর্মসূচি দিয়েছেন।আমরা সব রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা করে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছি এবং আমরা এটা বলেছি, এর চেয়ে ভালো প্রস্তাব থাকলে সেটা সাদরে গ্রহন করব। কাজেই যদি ঐকমত্য কমিশনের সনদ নাও হয় বিএনপির জন্য সনদ আছে একটা… সংস্কারের সনদ। কাজেই আমরা সংস্কারের পক্ষে।
 
নজরুল বলেন, আমরা একটা জিনিস বলব, সব কিছুর উপরে জনগন। জনগন কার মাধ্যমে সম্মতি জানায় আমরা জানি। আমরা বিশ্বাস করি, এমন যোগ্য মানুষরা এই কমিশনের দায়িত্ব পেয়েছেন, তাদের নেতৃত্বে এই কমিশন কাজ করেছে। তাদের সহযোগিতায় আমরা আাগামী দিনে আমাদের দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব।

গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের সঙ্গে বিএনপিসহ সবগুলো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে কমিশনের চেয়ারম্যান প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস সভাপতিত্ব করেন।

সংস্কার কমিশনগুলোর করা সুপারিশ চূড়ান্ত করতে গত ২০ মার্চ থেকে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করে প্রথম ধাপের জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। প্রথম বৈঠকটি হয়েছে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) সাথে। এই পর্যন্ত তারা ১১ টি রাজনৈতিক দলের সাথে বৈঠক শেষ করেছে। এরপর দ্বিতীয় দফার আলোচনা শুরু হবে। 

শফিকুল

আওয়ামী লীগ নেতা শাহে আলম মুরাদ গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৫৬ পিএম
আওয়ামী লীগ নেতা শাহে আলম মুরাদ গ্রেপ্তার
আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মো. শাহে আলম মুরাদ

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মো. শাহে আলম মুরাদকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর উত্তরা থেকে  তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম শাখার উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার রাজধানীর উত্তরা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ৬টি হত্যা মামলা রয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যাবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

জাহাঙ্গীর/মেহেদী/

সোনারগাঁয়ে বহিষ্কৃত যুবদল নেতার তাণ্ডব!

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২০ পিএম
আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৪২ পিএম
সোনারগাঁয়ে বহিষ্কৃত যুবদল নেতার তাণ্ডব!
বহিষ্কৃত যুবদল নেতা আশরাফ ভূইয়া

ককটেল ফাটিয়ে ব্যবসায়ীর মালামাল লুটের দায়ে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বহিষ্কৃত যুবদল (যুগ্ম-আহ্বায়ক) নেতা আশরাফ ভূইয়ার বিরুদ্ধে এবার আরেক ব্যবসায়ীর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।

গত সোমবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের তাজমহল এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। 

এর পর মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাতে সোনারগাঁ থানায় করা অভিযোগের বরাত দিয়ে ব্যবসায়ী গোলজার হোসেন জানান, জমির সাইনবোর্ড তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় লোহার পাত কিনতে উপজেলার জামপুরের তাজমহল এলাকার পাশেই মাসাবো বাজারে নবীর হোসেনের দোকানে যান। তার সঙ্গে দুই ভাতিজা ও গাড়ির ড্রাইভার ছিলেন। পূর্বশত্রুতার জের ধরে দোকানে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই ৪/৫টি মোটরসাইকেলে যুবদলের বহিষ্কৃত নেতা আশরাফ ভূইয়ার নেতৃত্বে ১৫/২০ জন সন্ত্রাসী দোকানের সামনে তাদের ঘেরাও করে। এ সময় আশরাফ ভূইয়ার সন্ত্রাসী বাহিনীর একাধিক ডাকাতি মামলার আসামি সোয়েব মিয়া তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং হত্যার হুমকি দেন। তারা বাজারে এলাকাবাসীর উপস্থিতি দেখে কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। পরে কাজ শেষ করে যাওয়ার পথে পেরাবো এলাকায় ব্যবসায়ী গোলজার হোসেনের গাড়ির গতিরোধ করে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে হত্যাচেষ্টা করে। কিন্তু ওই ব্যবসায়ী তার গাড়িচালকের বিচক্ষণতায় সেখান থেকে পালিয়ে আসতে সক্ষম হন। 

ব্যবসায়ী গোলজার হোসেনের গাড়ির ড্রাইভার কামাল হোসেন বলেন, 'স্যারকে নিয়ে বাজারে গেলে কয়েকজন সন্ত্রাসী বাহিনী গাড়ির চারদিক ঘেরাও করে স্যারের কথা জিজ্ঞাসা করে। স্যার দোকানে গেছে এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে সবাই দৌড়ে দোকানে যায়। গাড়ি থেকেই তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজের শব্দ শুনতে পাই। পরে পেরাবো এলাকায় আবার আমাদের গাড়ির গতিরোধ করে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করে। আমি কৌশলে গাড়ি চালিয়ে পালিয়ে আসতে সক্ষম হই।'

ঘটনাস্থলে থাকা একাধিক দোকানিরা জানান, ব্যবসায়ী গোলজার হোসেন রড কিনতে বাজারে আসে তখন আউয়াল হোসেন নামের এক কাঠ ব্যবসায়ীর দোকানে যান। সেখানে আশরাফ ভূইয়ার লোকজন এসে তাকে গালিগালাজ করে। এ সময় আমরা তাদেরকে এখানে কেনো ঝামেলা করছে জিজ্ঞেস করলে তারা সেখান থেকে চলে যায়। পরে লোকমুখে জানতে পেরেছি যাওয়ার পথে তাদের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে।

অভিযুক্ত বহিষ্কৃত যুবদল নেতা আশরাফ ভূইয়ার মুঠোফোনে জানতে চাইলে ঘটনা অস্বীকার করে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই। আমি ঢাকায় থাকি। তবে প্রশ্নের একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে তিনি বলেন ঘটনা ঘটেছে মাসাবো এলাকায় তাজমহলে আসল কেন? আপনারা সাংবাদিক আপনারা মনে করেন আপনাদের অনেক ক্ষমতা! নিউজ করে কি করবেন পারলে করেন। আমি কি রাস্তায় থাকি যে রাস্তায় আক্রমণ করব।'  

সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজুর রহমান জানান, এ বিষয়ে থানায় ব্যবসায়ীর করা একটি অভিযোগ পেয়েছি। এর আগে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে বলে জানতে পেরেছি। তদন্তসাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

ইমরান/মেহেদী/

রাজনৈতিক দল ‘বাংলাদেশ আ-আম জনতা পার্টি’র আত্মপ্রকাশ

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৭ পিএম
আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১০ পিএম
রাজনৈতিক দল ‘বাংলাদেশ আ-আম জনতা পার্টি’র আত্মপ্রকাশ
ছবি: খবরের কাগজ

ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীনের নেতৃত্বে ‘বাংলাদেশ আ-আম জনতা পার্টি’ নামে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর বনানীতে পাঁচতারকা একটি হোটেলে আয়োজিত জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নতুন এ রাজনৈতিক দলটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

দলটির আহ্বায়ক হয়েছেন রফিকুল আমীন আর সদস্যসচিব হয়েছেন ফাতিমা তাসনিম। 

আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র ধর্মগ্রন্থগুলো থেকে তেলাওয়াত ও পাঠ করা হয়। এর পর পরিবেশিত হয় জাতীয় সঙ্গীত। পরে শুভেচ্ছা বক্তব্যে দলের নাম ও উদ্দেশ্য ঘোষণা করেন মোহাম্মদ রফিকুল আমীন। এ সময় তিনি দলের মূল ৯ লক্ষ্য ঘোষণা করেন।

মেহেদী/

ফখরুল-চুলিকের বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে ‘দীর্ঘ আলোচনা’

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১১:২১ এএম
আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১০ পিএম
ফখরুল-চুলিকের বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে ‘দীর্ঘ আলোচনা’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মার্কিন উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোল অ্যান চুলিক

সফররত মার্কিন উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোল অ্যান চুলিকের সঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বৈঠকে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ‘দীর্ঘ আলোচনা’ হয়েছে। 

গত বুধবার (১৬ এপ্রিল) রাতে বৈঠকের পর দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান। বৈঠকে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের ট্যারিফ আরোপ নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টায় গুলশানে যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি হেড অব মিশনের বাসভবনে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ।

আমীর খসরু বলেন, ‘আলোচনার মধ্যে প্রথমত বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয় আলোচনা হয়েছে। সেখানে অর্থনীতির কথাও ওঠে এসেছে। ট্যারিফ আরোপের বিষয়টা ওঠে এসেছে। ট্যারিফের বিষয়ে বাংলাদেশ কী চিন্তা করছে সেটা আলোচনায় ওঠে এসেছে। আমরা বলেছি, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আমরা সবাই মিলে ট্যারিফ ইস্যুটা কীভাবে অ্যাড্রেস করা যায়, এটা করতে হবে। ট্যারিফের বিষয়টা একটা টলারেবল লিমিটের মধ্যে না আনলে তো আমাদের রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সুতরাং এ বিষয়ে আমাদের আলোচনা হয়েছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী চুলিকের সঙ্গে বৈঠকের আগে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল। ওই বৈঠকে জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, যেখানে আমীর খসরুও উপস্থিত ছিলেন।

নিকোল চুলিকের সঙ্গে মির্জা ফখরুলের বৈঠকেও জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সবাই জানতে চাচ্ছেন নির্বাচন কবে, আমরা কী চিন্তা করছি। এটা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে।’

আমীর খসরু বলেন, ‘বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ফিরে না এলে আমরা বলেছি যে, বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশের ভেতরে বাইরে যে সিদ্ধান্তগুলো স্থগিত আছে, যারা সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না, সেটা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। একটা নির্বাচিত সরকার আসার পরে যে সিদ্ধান্তগুলো সহজে আসবে এবং জনগণের সমর্থনে যে সরকার থাকে তাদের সিদ্ধান্তগুলো নিতে যত সহজ হয়, এটা অন্য ক্ষেত্রে হয় না।’

সাবেক এই বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যারা বিনিয়োগ করবে এটা তো সংক্ষিপ্ত কিছু না, এটা স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি। সে জন্য সবাই অপেক্ষা করছে একটা নির্বাচিত সরকারের দিকে, তাদের নীতি কী হবে, তারা জানতে চেয়েছেন। বিএনপির নীতি কী হবে, অর্থনৈতিক নীতি কী হবে, সেটা আমরা বিস্তারিত তাদের বলেছি।’

আমীর খসরু বলেন, ‘বাংলাদেশে যত সংস্কার হয়েছে অর্থনৈতিক সংস্কার, রাজনৈতিক সংস্কার সব বিএনপির সময় হয়েছে। বহুদলীয় গণতন্ত্র, মুক্ত বাজার অর্থনীতি, বিচার বিভাগের সংস্কার সব বিএনপির সময়ে হয়েছে। অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা যেটা এসেছে তা বিএনপির অর্থনৈতিক সংস্কারের কারণেই এসেছে। আগামী দিনে আমরা বড় অর্থনৈতিক সংস্কারে যাব, সেটাতে তারা আশ্বস্ত হয়েছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা আপনাদেরকে কী বলেছে জানতে চাইলে আমীর খসরু বলেন, ‘ট্যারিফের বিষয়টা নিয়ে আমরা যেরকম শঙ্কার মধ্যে আছি, তারাও আছে। বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার অর্থনৈতিক সম্পর্ক তো কিছুটা ব্যাঘাত ঘটবে। সে জন্য তারা জানতে চেয়েছে, আমরা কী করতে যাচ্ছি। বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা যেটা চিন্তা করেছি সেটা বলেছি। আমরা এটা ওপরে আরও কাজ করছি।’

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোল চুলিক তিন দিনের সফরে গত মঙ্গলবার বাংলাদেশে আসেন। আগামীকাল শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) পর্যন্ত সফরে প্রধান উপদেষ্টা, পররাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।