ঢাকা ১৪ বৈশাখ ১৪৩২, রোববার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
English
রোববার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২

ভারতের গণমাধ্যম বাংলাদেশে উস্কানি ও চক্রান্তে লিপ্ত: ফারুক

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৬:০০ পিএম
ভারতের গণমাধ্যম বাংলাদেশে উস্কানি ও চক্রান্তে লিপ্ত: ফারুক
ছবি: সংগৃহীত

ভারতের গণমাধ্যম বাংলাদেশ নিয়ে শুধু অপপ্রচার করেই ক্ষান্ত হয় না, বরং তারা যেকোনো ধরনের উস্কানি দেওয়া এবং চক্রান্তের কাজে লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক। তিনি বলেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত। একটি ভালো প্রতিবেশি দেশ হিসেবে আমরা সবসময় তাদের কাছ থেকে ভালো আচরণ প্রত্যাশা করি। কিন্তু ভারতীয় গণমাধ্যম সবসময় বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচারে লিপ্ত থাকে। বিষয়টা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।

বুধবার (১৯ মার্চ) সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন কবীর বেপারীসহ নেতাকর্মীদের নিয়ে জিয়ার সমাধিতে এই শ্রদ্ধা জানান ফারুক।

সাবেক চিফ হুইপ বলেন, একটা সংঘবদ্ধ গোষ্ঠী নানা উছিলা দিয়ে দেশের পরিস্থিতি অস্বাভাবিক করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। হঠাৎ হঠাৎ এমন সব বিষয় সামনে আসছে, যা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য বিব্রতকর। এর জন্য দেশের মানুষও লজ্জাকর অবস্থায় পড়ে যায়। এগুলোকে অনেকাংশে পতিত স্বৈরাচারের কাণ্ড-কারখানা বলেই মনে হয়। কদিন সংখ্যালঘু ইস্যু নিয়ে দেশের পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করার চেষ্টা চলছিলো। সেটাকে নিয়েও ভারতের মিডিয়াগুলো আন্তর্জাতিক লেবেলে পানি ঘোলা করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। কিন্তু দেশের মানুষ এবং প্রশাসন সতর্ক থাকায় খুব বেশি ক্ষতি সাধন করতে পারেনি। 

প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের উদ্দেশে ফারুক বলেন, বিএনপি সবসময় আপনাকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আপনার আশপাশের কিছু লোক আপনাকে বিপথে চালিত করার চেষ্টা করছে। আমার বক্তব্য হলো, আপনি দুষ্টু লোকদের কথায় বিভ্রান্ত হবেন না। মনে রাখতে হবে, এসব চক্রান্তের মূল উদ্দেশ্য নির্বাচন বানচাল করা কিংবা একটা অরাজক অবস্থা তৈরি করে আপনাকে বিপদে ফেলা। কারণ, তারা জানে আপনাকে বিপদে ফেলতে পারলে দেশের অবস্থা স্বাভাবিক থাকবে না। তাই বিনয়ের সঙ্গে আপনাকে বলব, পরিস্থিতি ভালো থাকতে থাকতে আপনি দ্রুত জাতীয় নির্বাচন দিন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- এস এম মিজানুর রহমান, সুরঞ্জন ঘোষ, কালাম ফয়েজী, সৈয়দ মোজাম্মেল হোসেন শাহিন,  রেজাউল করিম, আলমগীর হোসেন আলম, মো. নাছির হোসেন বাবু, মহিদুল ইসলাম মামুন, ইসমাইল হোসেন সিরাজী, নবি হোসেন, মো. মজিবর রহমান, মুকুল, মো. কবীর হোসেন প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/এমএ/

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক উভয় কক্ষে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব চায় জামায়াত

প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৫৫ এএম
আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৫১ পিএম
উভয় কক্ষে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব চায় জামায়াত
ছবি: পিআইডি

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভায় একমত প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। তবে দলটি নিম্ন ও উচ্চ- উভয়কক্ষে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব চায়। যদিও কমিশনের প্রস্তাবে সংখ্যানুপাতিকে উচ্চকক্ষের কথা বলা হয়েছে। জামায়াত জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠনে একমত হলেও তাতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতিকে রাখার পক্ষে নয়। অন্যদিকে দলটি প্রধানমন্ত্রী পদে সর্বোচ্চ দুইবার থাকার পক্ষে মত দিয়েছে। যদিও ওপরের তিনটি বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে দ্বিমত জানিয়ে রেখেছে বিএনপি।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় সংস্কার প্রশ্নে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। জাতীয় সংসদের এলডি হলে জামায়াতের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা শুরু হয় বেলা ১১টায়। ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ ও জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহেরের বক্তব্যের পর শুরু হয় রুদ্ধদ্বার আলোচনা। মধ্যাহ্নভোজের বিরতি দিয়ে আলোচনা চলে বিকাল সোয়া পাঁচটা পর্যন্ত। এদিন শুধু সংবিধান সংস্কার কমিশনের অধিকাংশ প্রস্তাবের ওপর আলোচনা করে বৈঠক মুলতবি করা হয়। সুবিধাজনক সময়ে মূলতবি বৈঠক শুরু হবে।

ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, আমরা আজকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করতে ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল এখানে এসেছি। দীর্ঘ সময় আলোচনার পরও আমাদের আলোচনা অসমাপ্ত রয়েছে। বিষয়গুলো খুব পটেনশিয়ালি বের হয়ে আসা উচিত, এজন্য আমরা তাড়াহুড়ো করছি না। আজকের আলোচনায় আমরা (জামায়াতে ইসলামী) কিছু কিছু বিষয়ে একমত হতে পেরেছি। কিছু কিছু বিষয়ে আমরা তাদের (ঐকমত্য কমিশন) প্রস্তাব দিয়েছি। সেটা ওনারা বিবেচনার জন্য রেখেছেন। কিছু কিছু বিষয়ে আমাদের আরো আলোচনার প্রয়োজন। সেজন্য সেগুলো আমরা পরের আলোচনার জন্য রেখেছি।

কমিশনের যেসব প্রস্তাবে একমত ও দ্বিমত

কমিশনের দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের প্রস্তাবে জামায়াতে ইসলামী একমত হয়েছে। তবে নির্বাচনে সংখ্যানুপাতিক হারে (পিআর) উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষ গঠনের প্রস্তাব করেছে দলটি।  অথাৎ নির্বাচনে যে দল যত শতাংশ ভোট পাবে, উচ্চকক্ষে তত শতাংশ আসন পাবে। উল্লেখ্য, বিএনপি দ্বিকক্ষের সংসদ গঠনে রাজি হলেও,  সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে রাজি নয়।

জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. তাহের বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই যে সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছি, সেখানে আমরা পিআর সিস্টেমে নির্বাচনের কথা বলেছি। তার মানে সারা দেশে একসঙ্গে নির্বাচন হবে মার্কা বা দলের ভিত্তিতে এবং যে দল যে পরিমাণ ভোট পাবে, সেই পরিমাণে সংসদে আসন নির্ধারিত হবে। আমরা মনে করি, বাংলাদেশের নির্বাচনে যে দুর্নীতি, জবরদখল হচ্ছে এবং ভোটবিহীন নির্বাচনের যে ফলাফল হচ্ছে এটি তখন বন্ধ হয়ে যাবে। টাকার খেলাও বন্ধ হয়ে যাবে। এটা পৃথিবীর ৬০টির বেশি দেশে চর্চা হচ্ছে। গত তিন মেয়াদের নির্বাচন নিয়ে আমাদের যে অভিজ্ঞতা হয়েছে, এর থেকে উত্তরণ ঘটাতে পিআর পদ্ধতি বাংলাদেশের জন্য উত্তম হবে।’

ঐকমত্য কমিশনের জাতীয় সংসদ ও রাষ্ট্রপতির মেয়াদ ৪ বছর করার প্রস্তাবে দ্বিমত পোষণ করেছে জামায়াত। দলটি ৫ বছর রাখার পক্ষে মতামত দিয়েছে । উল্লেখ্য, বিএনপিও চায় সংসদ ও রাষ্ট্রপতির মেয়াদ ৫ বছরই থাকুক।

একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না অর্থাৎ দশ বছরের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না এই বিষয়ে কমিশনের প্রস্তাবের সঙ্গে একমত পোষণ করেছে জামায়াত। তবে বিএনপি এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে। বিএনপি চায়, পরপর দুই বারের পর একবার গ্যাপ দিয়ে আবারও প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন। তারা একজন ব্যক্তির তিন বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পক্ষে।

সংবিধানের আর্টিকেল-৭০ এর কিছু অ্যামেন্ডমেন্টসহ ঐকমত্য কমিশনের বেশ কয়েকটি প্রস্তাবের সঙ্গে একমত পোষণ করেছে জামায়াত। সংবিধান পরিবর্তন, অর্থবিল বা বাজেট অনুমোদন এবং আস্থা ভোট ছাড়া বাকি যেকোনো বিষয়ে একজন সংসদ সদস্য যেকোনো দলের ও মতের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে পারবেন এমন প্রস্তাব করেছে দলটি। সংবিধানের আর্টিকেল-৭০ জামায়াতের মতোই আস্থা বিল, অর্থবিল, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও সংবিধান সংশোধনী বিল- এই চারটি বিষয় ছাড়া সংসদ সদস্যরা স্বাধীনভাবে ভোট দেওয়ার পূর্ণ ক্ষমতা পাবেন- এমন প্রস্তাব করেছে বিএনপি।

জাতীয় সংবিধান কাউন্সিলের (এনসিসি) গঠনের  প্রস্তাবে নীতিগতভাবে একমত হয়েছে জামায়াতে ইসলামী। তবে প্রস্তাবিত এনসিসিতে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান বিচারপতিকে চায় না দলটি। তবে বিএনপি এনসিসি গঠনের বিপক্ষে। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বিষয়টি নিয়ে আগামী বৈঠকে আরও আলোচনা করতে চায় জামায়াত। সেসময় তারা তাদের প্রস্তাব পরিবর্তন করতে পারে।

জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, যেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে অন্তর্ভুক্ত করে করে এনসিসি গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে সেখানে তারা রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতির কথা বলেছেন। আমরা তাতে না বলেছি। ওনারা দুইজন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ দুইটি জায়গায় আছেন। দেশে জরুরি অবস্থায় অনেক সময় রাষ্ট্রপতির কাছে ধরনা দিতে হয়, অনেক সময় জুডিশিয়াল সিদ্ধান্তের প্রয়োজন হয়। তাই ওনাদের কমিটির ভেতর অন্তর্ভুক্ত না করাই ভালো হবে।এনসিসির কাঠামোগত দিকের সঙ্গে আমরা নীতিগতভাবে একমত হয়েছি। এটা একটা নতুন প্রস্তাব।

সংবিধানের মূলনীতিতে বহুত্ববাদ যুক্ত করার প্রস্তাবে দ্বিমত জানিয়েছে জামায়াত। দলটির নায়েবে আমির বলেন, সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে সংবিধানের মূলনীতিতে বহুত্ববাদ সম্পূর্ণরূপে বাদ দেওয়ার কথা আমরা বলেছি এবং আরেকটা প্রস্তাব করেছি, সেটা হলো- আল্লাহর উপর সম্পূর্ণ আস্থা এবং বিশ্বাস স্থাপন করার জন্য।

আলোচনার উদ্দেশ্য জাতীয় সনদ তৈরি: আলী রীয়াজ

আলোচনার সূচনা বক্তব্যে কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকারের নয়, এটা বাংলাদেশের গণমানুষের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষার ফলাফল। সংস্কারের এই গুরুদায়িত্ব রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যমসহ প্রতিটি দায়িত্বশীল পক্ষকে অর্পণ করেছে। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করতে চাই।

তিনি বলেন, ‘আমরা একটা সাম্যের বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ পেয়েছি। তাই আমাদের আলোচনার উদ্দেশ্য থাকবে, একটি জাতীয় সনদ তৈরি করা। যেখানে কোনো মানুষকে দ্বিতীয়বার বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, খুনের শিকার হতে হবে না।

ইতিবাচক ও বাস্তবসম্মত সংস্কারে সহযোগিতা করবে জামায়াত: ডা. তাহের

ইতিবাচক, বাস্তবসম্মত সংস্কারে জামায়াতে ইসলামী পূর্ণ সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেন, দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণকর সংস্কারে জামায়াত পরিপূর্ণভাবে ঐকমত্য পোষণ করে। জামায়াত দুর্নীতিমুক্ত ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে চায়।

চব্বিশের আন্দোলনে দেশ কতটা স্বাধীন হয়েছে, সেটা সময় বলে দেবে উল্লেখ করে ডা. তাহের বলেন, ৫৪ বছরে দেশের মানুষের ব্যাপক হতাশা তৈরি হয়েছে। নতুন যে সুযোগ তৈরি হয়েছে, তা যেন অতীতের মতো হারিয়ে না যায়। সে জন্য আমাদের অনেক বেশি সাবধান হতে হবে।

আলোচনায় ডা. তাহের ছাড়াও অংশ নেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, হামিদুর রহমান আজাদ, এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল, প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ, নির্বাহী পরিষদের সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, সুপ্রিম কো‌র্টের আইনজীবী শিশির মনির। অপরদিকে, ঐকমত্য কমিশনের পক্ষে ছিলেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ইফতেখারুজ্জামান, সাবেক বিচারপতি এমদাদুল হক ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য) মনির হায়দার। 

চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে আমাদের ঐতিহাসিক সম্পর্ক: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪২ পিএম
আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪৩ পিএম
চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে আমাদের ঐতিহাসিক সম্পর্ক: মির্জা ফখরুল
সফরত চীনের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে ব্রিফিং করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে বৈঠক শেষে বলেছেন, ‘চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে আমাদের ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। গত ১৫ বছর ধরে কোনো মিটিং হয়নি। আজকের বৈঠকের মাধ্যমে সেই সম্পর্ক আবার নবায়ন হলো। দুই দলের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া আরও গভীর হচ্ছে। ভবিষ্যতে এই সম্পর্ক আরও বিস্তৃত হবে।’

শনিবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় হোটেল ওয়েস্টিনে বাংলাদেশ সফরত চীনের কমিউনিস্ট পার্টির ৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

চীনের কমিউনিস্ট পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটি আন্তর্জাতিক বিভাগের পেং জিউবিন-এর নেতৃত্বে ৮ সদস্য প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপি মহাসচিবের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল। এরা হলেন- ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটি সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার, চেয়ারপারসনের ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজারি কমিটি সদস্য হুমায়ুন কবির, মিডিয়া সেল সদস্য মিসেস মাহমুদা হাবিবা।

অপরদিকে, চীনের প্রতিনিধি দলে ছিলেন- চীনের কমিউনিস্ট পার্টির দক্ষিণ-পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ব্যুরো উপ-পরিচালক চেন জুয়ানবো, দক্ষিণ-পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ব্যুরো চেন ইয়াংপেই, ব্যুরো ফর দক্ষিণ-পূর্ব ও দক্ষিণ এশীয় অ্যাফেয়ার্স ঝাং গুইউ, ঢাকাস্থ চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, দূতাবাসের রাজনৈতিক বিভাগের পরিচালক ঝাং জিং এবং দুতাবাস রাজনৈতিক বিভাগে সংযুক্ত লিউ হংরু।

বৈঠক শেষে ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিএনপির সঙ্গে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির বৈঠক হয়েছে। বিএনপি নির্বাচনি পরিস্থিতি সম্পর্কে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের জানিয়েছে। আমরা কোনো ধরনের পরামর্শ দেইনি।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘চীন কখনোই অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে চায় না। তবে তারা বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা ও নির্বাচনি পরিবেশ সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। আমরা তাদের সেসব বিষয় অবহিত করেছি। চীন সবসময় বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা, সমৃদ্ধি এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশ চায়।’

শফিকুল ইসলাম/এমএ/

দেশের স্বার্থে ড. ইউনূস ও গণঅভ্যুত্থানের রাজনৈতিক পক্ষগুলোর ঐকমত্য জরুরি: মঞ্জু

প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১০:০৪ পিএম
দেশের স্বার্থে ড. ইউনূস ও গণঅভ্যুত্থানের রাজনৈতিক পক্ষগুলোর ঐকমত্য জরুরি: মঞ্জু
ফেনীতে এবি পার্টির নতুন কার্যালয় উদ্বোধন, রাজনৈতিক কর্মশালা, নাগরিক সভা ও গণসংযোগ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু। ছবি: সংগৃহীত

দেশের স্বার্থে ড. ইউনূস সরকার ও বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, এবি পার্টি, গণতন্ত্র মঞ্চ ও বিভিন্ন ইসলামী দলসহ গণঅভ্যুত্থানের সকল রাজনৈতিক পক্ষের ঐকমত্য জরুরি বলে মনে করেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু। ঐকমত‍্যের ভিত্তিতে ফ‍্যাসিবাদের বিচার, রাষ্ট্রীয় সংস্কার, আইন শৃঙ্খলার উন্নতি ও একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে না পারলে জুলাই অভ‍্যুত্থানের স্বপ্ন ব‍্যর্থতায় পর্যবসিত হবে বলে আশঙ্কা ব‍্যক্ত করেন তিনি।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) নিজ জেলা ফেনীতে এবি পার্টির নতুন কার্যালয় উদ্বোধন, রাজনৈতিক কর্মশালা, নাগরিক সভা ও গণসংযোগ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

শনিবার সকালে ফেনী সদর উপজেলার শর্শদি ইউনিয়নে স্থানীয় নেতাদের নিয়ে গণসংযোগ করেন তিনি, এসময় একটি উঠান বৈঠকেও বক্তব্য রাখেন এ নেতা। বিকেল ৩টায় ফেনী শহরের মিজান রোডে দলের নতুন কার্যালয় উদ্বোধন এবং দলের নেতা কর্মীদের এক রাজনৈতিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মজিবুর রহমান মঞ্জু ছাড়াও দলের ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম এবং সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক প্রকৌশলী শাহ আলম বাদল উপস্থিত ছিলেন।

সন্ধ্যা ৭টায় শহরের একটি রয়েল সেলমন রেষ্টুরেন্টে গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী প্রত‍্যাশা, প্রেক্ষাপট ও সংস্কারের তরঙ্গে বদলে যেতে উন্মুখ ‘ফেনী’ শীর্ষক এক নাগরিক সভা ও মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। ফেনী জেলা এবি পার্টির সদস্যসচিব প্রভাষক ফজলুল হকের সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা আহ্বায়ক মাস্টার আহসান উল্লাহ।

নাগরিক সভায় মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, জুলাই অভ‍্যুত্থানের মাধ‍্যমে প্রমাণিত হয়েছে যারা জনগণের অধিকার কেড়ে নেয় জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলে তারা একসময় পালিয়ে যেতে বাধ‍্য হয়। আজ ফেনীসহ দেশের প্রায় সকল জেলার বড় বড় আওয়ামী লীগ নেতারা সবাই আত্মগোপনে চলে গেছেন। পাড়ায় মহল্লায় আওয়ামী লীগের যেসব নেতারা আছেন তাদের মাথা হেট হয়ে আছে, অথচ কিছুদিন আগেও তাদের দাপটে মানুষ কথা বলতে পারেনি। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বার বার ভুল করে এবং ক্ষমা চায়, কিন্তু সুযোগ পেলেই তারা আবার বাকশাল ও ফ‍্যাসিবাদ কায়েম করে। ফেনীতে বিএনপি-জামায়াত, হেফাজত ও এবি পার্টিসহ বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীদের ওপর নির্মম নির্যাতনের ইতিহাস তুলে ধরে তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে যে কোন সময় পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। আমরা বিশৃঙ্খলা চাই না, আমরা চাই ন‍্যায়সঙ্গত বিচার ও খুনি লুটেরাদের শাস্তি। সংস্কার ও নির্বাচন প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর বিভেদকে খুবই দুঃখজনক উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের স্বার্থে ড. ইউনূস সরকার ও বিএনপি-জামায়াত-এনসিপি-এবি পার্টি-গণতন্ত্র মঞ্চ ও বিভিন্ন ইসলামী দলসহ গণঅভ্যুত্থানের সকল রাজনৈতিক পক্ষের ঐকমত্য জরুরি। 
ফেনীতে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ ও চীনের অর্থায়নে আধুনিক হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার জোর দাবি জানান তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দল মত নির্বিশেষে এটা ফেনীর জনগণের প্রাণের দাবি। এর জন‍্য ফেনীর সকল মানুষ একদিন একযোগে প্রতীকী অনশন পালনের কর্মসূচি রাখার প্রস্তাব দেন তিনি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে দলের ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্ণেল মো. দিদারুল আলম, পিএসসি (অব.) বলেন, আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কারণে ফেনী যেমনি আলোচিত, তেমনি ফেনীর জনগণকে এ কারণে গত ১৫ বছর বহু বঞ্চনার শিকার হতে হয়েছে। এবার সকল বঞ্চনার জবাব দিতে হবে এই রাষ্ট্রকে। ফেনীর জন মানুষের উচিত হবে ঐক‍্যবদ্ধ হয়ে এ দাবি তোলা যে, উন্নয়নে ফেনী যেন সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার পায়। তিনি মজিবুর রহমান মঞ্জুর নেতৃত্বে ফেনীর উন্নয়নে নতুন মাত্রা যোগ করার জন্য সকলকে আন্তরিকভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

বিশেষ অতিথি প্রকৌশলী শাহ আলম বাদল বলেন, এবি পার্টিকে ফেনীতে নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। আমাদেরকে ইফতার মাহফিলসহ কোন সভা-সমাবেশ করতে দেওয়া হয়নি। আমরা ধৈর্য্য ধারণ করেছি। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার রাজনীতি নিয়ে অনড় মনোবলে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলাম। ফলে আজকে বাধাদানকারীরাই নিষিদ্ধ হয়ে গেছে। আগামীতে ফেনীর প্রত্যেক ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে দলের শক্ত সাংগঠনিক ভিত্তি গড়ে তোলা হবে মর্মে তিনি ঘোষনা দেন। মতবিনিময় সভায় ফেনী-২ আসনের ১২টি ইউনিয়নের নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিগণ অংশ নেন। তারা নিজ নিজ এলাকার সমস‍্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে নানা মতামত তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। এসময় ফেনীর বিভিন্ন উপজেলা থেকে ৩০ জনেরও অধিক লোক এবিপার্টির চেয়ারম্যানের হাতে ফুল দিয়ে দলে যোগদান করেন। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টি ফেনী জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক আফলাতুল বাকী ফেনী, যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহের হোসেন বাহার, যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন আনসারি, নজরুল ইসলাম কামরুল, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদাত সাজু, কোষাধক্ষ্য শাহ আলম শাহীন সুলতানী, প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক হাবীব উল্যাহ মিয়াজী, সমাজসেবা সম্পাদক এবি সিদ্দিক, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ও ফেনী পৌর সদস্য সচিব অধ্যাপক রিজওয়ানুল খায়ের, সহ দপ্তর সম্পাদক নাজরানা হাফিজ অমলান, নারী বিষয়ক সম্পাদক জাহানারা আক্তার মনি, সহ নারী বিষয়ক সম্পাদক শানু, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলা আব্দুল হাফিজ খন্দকার, সদস্য প্রভাষক মোজাম্মেল হোসেন, কাজী জাহাঙ্গীর আলম, ফখরুল ইসলাম মুরাদ, ফেনী সদর উপজেলা সদস্য সচিব আবু সাইদ, যুগ্ম সদস্য সচিব হাফেজ কামরুল, সোনাগাজী উপজেলা শাখার আহ্বায়ক রহমত উল্লাহ মিজান, সদস্য সচিব ওয়াসিউর রহমান খসরু ছাগলনাইয়া উপজেলা শাখার সমন্বয়ক নাফিজ ইমতিয়াজ শিমুল, সহ সমন্বয়ক শরীফুল ইসলাম লিংকন, এবি যুব পার্টির আহ্বায়ক শফিউল্লা পারভেজ, সদস্য সচিব এসএম ইব্রাহিম সোহাগ প্রমুখ, এ ছাড়াও নাগরিক সভা ও মতবিনিময়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি, খেলাফত মজলিশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ, ইসলামী আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদ, হেফাজতে ইসলাম, যুব আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক কমিটি, জনতার অধিকার, ইমাম সমিতির নেতারাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ফেনীর বিশিষ্টজন উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞপ্তি/এমএ/

চীনের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:০১ পিএম
চীনের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সফরত চীনের কমিউনিস্ট পার্টির ৮ সদস্যর একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় হোটেল ওয়েস্টিনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, চীনের কমিউনিস্ট পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটি আন্তর্জাতিক বিভাগের পেং জিউবিন-এর নেতৃত্বে ৮ সদস্য প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপি মহাসচিবের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল।

বিএনপির প্রতিনিধি দলে ছিলেন- দলটির স্থায়ী কমিটি সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ, আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার, চেয়ারপারসনের ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যাডভাইজারি কমিটি সদস্য হুমায়ুন কবির, মিডিয়া সেল সদস্য মিসেস মাহমুদা হাবিবা।

অপরদিকে, চীনের প্রতিনিধি দলে ছিলেন চীনের কমিউনিস্ট পার্টির দক্ষিণ-পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ব্যুরো উপ-পরিচালক চেন জুয়ানবো, দক্ষিণ-পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ব্যুরো চেন ইয়াংপেই, ব্যুরো ফর দক্ষিণ-পূর্ব ও দক্ষিণ এশীয় অ্যাফেয়ার্স ঝাং গুইউ, ঢাকাস্থ চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন,  দূতাবাসের রাজনৈতিক বিভাগের পরিচালক ঝাং জিং এবং দুতাবাস রাজনৈতিক বিভাগে সংযুক্ত লিউ হংরু।

শফিকুল ইসলাম/এমএ/

আগামী নির্বাচন অনেক কঠিন হবে: আমিনুল হক

প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:১৪ পিএম
আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:০৮ পিএম
আগামী নির্বাচন অনেক কঠিন হবে: আমিনুল হক
বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক। ছবি: খবরের কাগজ

আগামীতে যে নির্বাচন হবে সেই নির্বাচন কিন্তু অনেক কঠিন একটি নির্বাচন হবে সেই লক্ষ্য নিয়ে দলের নেতা-কর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনের ভাসানী ভবন মিলনায়তনে 'মহান মে দিবস' উপলক্ষ্যে বিএনপির সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির এক প্রস্তুতি সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। 

এ সময় তিনি বলেন, 'আগামী নির্বাচন অতীতের যেকোনো নির্বাচনের চেয়ে কঠিন ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। কারণ সেই কঠিন  নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচনে আমাদের দেশের তরুণ প্রজন্মের একটি বৃহৎ অংশ ভোটার রয়েছেন। আমাদেরকে সেই তরুণ প্রজন্মের চিন্তা চেতনাকে নিয়ে কাজ করতে হবে।'

তরুণ ভোটাররা কি চায় এমন প্রশ্ন তুলে আমিনুল হক বলেন,  'তরুণ ভোটারদের চিন্তা ভাবনাকে বাস্তবে প্রতিফলনের মাধ্যমে আমাদের সবাইকে তরুণ ভোটারদের কাছে যেতে হবে।  নিজেদেরকে সেভাবে প্রস্তুত করতে হবে।' 

আমিনুল হক বলেন, বিএনপির ৩১ দফা রুপরেখায় শিক্ষা স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, সেই ৩১ দফা রুপরেখায় শিক্ষিত বেকারদের ভাতা দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। আওয়ামী স্বৈরাচার কর্তৃক বিকৃত ইতিহাস সংশোধন করা এবং স্বাস্থ্যকে সার্বজনীন করার কথা বলা হয়েছে। ৩১ দফার এই বার্তা আমাদেরকে জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।' 

দলের নেতাকর্মীদের প্রতি সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, 'কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা করা যাবে না। দলের বৃহৎ স্বার্থে নেতা-কর্মীদের ক্ষুদ্র স্বার্থ ত্যাগ করতে হবে, নেতাকর্মীদের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব ভুল বুঝাবুঝি থাকলে সেটাকেও ভুলে যেতে হবে। নিজেদের মধ্যে কোন কাদা ছোড়াছুড়ি করা যাবে না। 

দলের কোন নেতা-কর্মী চাঁদাবাজি ও দখলদারিতে লিপ্ত হলে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, 'বিএনপি এদেশের সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে রাজনীতি করে। জনগণের ক্ষতি হোক এমন কোন কাজকে বিএনপি সমর্থন করে না। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলের কোনো নেতা-কর্মী চাঁদাবাজি দখলদারি বা লুটতরাজে জড়িত থাকলে তাৎক্ষণিকভাবে তার প্রতি আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি তাকে দল থেকে বহিষ্কার করার নির্দেশনা দিয়েছেন।' 

আমিনুল হক আরও বলেন, দলের নেতা-কর্মীদের ছোট্ট একটি ভুলের কারণে গত ১৭ বছরের ত্যাগ স্বীকারের মাধ্যমে আপনাদের রাজনীতির ক্যারিয়ার ধ্বংস হয়ে যাবে। তাই সতর্ক থাকুন।'  

সভায় উপস্থিত ছিলেন, মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তফা জামান,  যুগ্মআহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন,  ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, এবিএমএ রাজ্জাক, আক্তার হোসেন, আতাউর রহমান, গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, এম কফিল উদ্দিন আহমেদ, হাজী মো. ইউসুফ, তহিরুল ইসলাম তুহিন, আফাজ উদ্দিন, শাহ আলম, মাহাবুবুল আলম মন্টু প্রমুখ।

এর পরে তিনি রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে ছাত্র যুব শক্তির আয়োজনে ঈদ ও বৈশাখি পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। পরে তিনি পল্লবীর ইস্টার্ন হাউজিং এ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আয়োজনে গণশুনানী, রাস্তার কাজ উদ্বোধন ও বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচিতে অংশ নেন।'

মেহেদী/