ঢাকা ১০ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
English
বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২

গাজায় গণহত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৫:৩৮ পিএম
আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৬:৪৭ পিএম
গাজায় গণহত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের
জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল

জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম এক বিবৃতিতে গাজায় বর্ণবাদী সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরায়েলের ৪৮ ঘণ্টার বিমান হামলায় ১৮৩ জন শিশুসহ ৯৭০ জন ফিলিস্তিনি হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। 

এই বর্বর হামলার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, গাজা গণহত্যার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসনের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরাইলকে বিশ্ববাসী যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত করবে। 

বিবৃতিতে বলা হয়, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনে নিহতের সংখ্যা গতকাল ১৯ মার্চ ৪৯ হাজার ৫৪৭ জনে এসে দাড়িয়েছে। এর একদিন আগে ছিল ৪৮ হাজার ৫৭৭ জন।

বিবৃতিতে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরাইলের এই গণহত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

মাহফুজ/

আওয়ামী সন্ত্রাসীরা সমাজের বিভিন্ন স্তরে ঘাপটি মেরে আছে: রিজভী

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৫৭ পিএম
আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৫৯ পিএম
আওয়ামী সন্ত্রাসীরা সমাজের বিভিন্ন স্তরে ঘাপটি মেরে আছে: রিজভী
ছবি: খবরের কাগজ

আওয়ামী সন্ত্রাসীরা সমাজের বিভিন্ন স্তরে গোপনে অবস্থান করছে। তাদের হাতে বিপুল পরিমাণ অর্থ রয়েছে, যা দিয়ে তারা পেট্রোল বোমা কিনে ঘর-বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া এবং মানুষ হত্যা করার মতো ভয়ংকর কর্মকাণ্ড চালাতে সক্ষম বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চিত্রশিল্পী মানবেন্দ্র ঘোষের অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া ঘর পরিদর্শন শেষে তিনি এমন মন্তব্য করেন।  

তিনি বলেন, এই অস্ত্র ও অর্থ তারা কোথা থেকে পাচ্ছে, কারা তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে- তা সরকার ও প্রশাসনের জানার কথা। তাদের অনেকেই পার্শ্ববর্তী দেশ বা অন্যান্য দেশে পালিয়ে গেছে। কিন্তু দেশে তারা কোথায় লুকিয়ে আছে, তা খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা সরকারের দায়িত্ব।'

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, এই সন্ত্রাসীদের দমন করতে আপনাদের নতুন কোনো আইন প্রণয়ন করতে হবে কি না, তা জনগণের কাছে পরিষ্কার করুন। যদি সরকার এ বিষয়ে ব্যর্থ হয়, তাহলে তারা জনগণের চোখে একটি ব্যর্থ সরকারে পরিণত হবে।

রিজভী বলেন, 'ফ্যাসিস্ট শক্তি মানবেন্দ্র ঘোষকে কিনতে পারেনি বলেই তাকে টার্গেট করেছে। মানবেন্দ্র ঘোষ ছিলেন পহেলা বৈশাখ উদ্‌যাপনের মতো সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে নিবেদিতপ্রাণ। তার প্রতিভা ও অটল মনোভাব ফ্যাসিস্টদের আতঙ্কিত করেছিল। তাই তারা তার শিল্পকর্ম পুড়িয়ে ছাই করে দিয়েছে।'

রিজভী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, 'অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি এসব দমন করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে জনগণ আবারও রুখে দাঁড়াবে। জনগণ প্রস্তুতি নেবে প্রতিরোধ গড়ার। কারণ সরকারের দায়িত্বই হলো দেশের প্রতিটি নাগরিকের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।'

তিনি আরও বলেন, আজ আট মাস পেরিয়ে গেছে, তারপরও তারা কীভাবে উঁকি দেয়, কীভাবে গ্রামে ঢুকে এতটা ভয়ংকর আক্রমণ চালিয়ে ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিতে পারে? তা আমার মাথায় আসে না।

সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এই বর্বর ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। এই দায় এড়ানোর সুযোগ সরকারের নেই।

রিজভী বলেন, 'আপনারা যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, সেটি কোন আইনের বলে? সাংবিধানিকভাবে এর কোনও ভিত্তি নেই। সমস্ত গণতন্ত্রকামী মানুষ আপনাদেরকে সমর্থন দিয়েছেন বলেই আজ আপনারা এখানে অবস্থান করছেন।'

রুহুল কবির রিজভী বলেন, আপনারা আওয়ামী লীগকে নিয়ে কী করবেন, তা নিয়ে আপনাদের উপদেষ্টারা নানাভাবে মত প্রকাশ করছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ রাজনীতি করবে কি করবে না, সেটা আইন ও আদালতের বিষয় বলছেন। তবে এখন আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ কী হবে, তারা কীভাবে রাজনীতি করবে? সে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা এখন আপনাদের হাতে। কারণ প্রশাসন আজ আপনাদের নিয়ন্ত্রণে। যারা ১৫ বছর যাবত শেখ হাসিনাকে পাহারা দিয়েছে, ব্যাংক লুট করেছে, অন্যের সম্পদ লুট করেছে, টাকা পাচার করেছে তারা আজ এই জনসমুদ্রের ভেতর কোথায় লুকিয়ে আছে অন্তর্বর্তী সরকার যদি খুঁজে বের করতে না পারে তাহলে তো এই সরকারকে মানুষ ব্যর্থ সরকার বলবে।'

বিএনপির এ সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, 'এই সরকার নির্বাচন নিয়ে কী ধরনের তালবাহানা করছে, তা দেশবাসী স্পষ্টভাবে দেখছে। অথচ এ সরকারই গণতন্ত্র সংগ্রামের ফসল। তাদের প্রতিটি ক্ষেত্রে জবাবদিহিতা থাকা উচিত। জনগণের কাছে সরকারকে জবাব দিতে হবে। মানবেন্দ্র ঘোষের বাড়িতে আগুন লাগলো কীভাবে? তিনি তো ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে নিজের চিত্রকর্ম ও শৈল্পিক চেতনার মাধ্যমে প্রতিবাদ করেছেন।'

পরিদর্শন শেষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে মানবেন্দ্র ঘোষের পরিবারকে এক লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।

এ সময় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আফরোজা খানম রিতা সহ কেন্দ্রীয় ও জেলা বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আসাদ/মেহেদী

সোনারগাঁয়ে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০১:১৩ পিএম
সোনারগাঁয়ে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ
ছবি: খবরের কাগজ

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের সাদিপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. শাহজাহান ভূইয়ার বিরুদ্ধে অসহায় পরিবারের কৃষি জমি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে উদ্ভবগঞ্জ এলাকায় একটি সাংবাদিক সংগঠনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা এ অভিযোগ করেন।

সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী ফায়েজা বেগম ও ওসমানউদ্দীন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফায়েজা বেগমের ছেলে আবুল কাশেম শিকদার ও নাতি জাহিদ শিকদার।

লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী ফায়েজ বেগম দাবি, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সাদিপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. শাহাজাহান ভূইয়া তাদের সঙ্গে আতাঁত করে ব্যবসা বাণিজ্যসহ এলাকায় ভূমি দস্যুতা করে গেছেন। বর্তমানে শেখ হাসিনা পালানোর পর বিএনপির পদ ব্যবহার করে এলাকার নিরীহ মানুষের জমি দখল, মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রনসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়াচ্ছেন। তার ১৮ শতাংশ জমিতে ফসলসহ জোরপূর্বক ট্রাক্টর দিয়ে হালচাষ করে দখলে নিয়ে যায়। দীর্ঘ ৪২ বছর এ জমি ক্রয় করে ভোগ দখলে রয়েছেন তারা। হঠাৰ বিএনপি আসার পর ওই জমি নিজের দাবি করে জোরপূর্বক দখলে নিয়ে নেন। এ নিয়ে আদালতে মামলাও রয়েছে।

আরেক ভুক্তভোগী ওসমানউদ্দীন জানান, তার বাড়িসহ ওই এলাকার আব্দুল করিম মাস্টারের বাড়ি দখল ও ভাঙচুর করে জোরপূর্বক দখল করে বিএনপি নেতা মো. শাহাজাহান ভূঁইয়া। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পায়নি। তাকে দখলদারিত্বে বাঁধা দিলে দোনলা বন্দুক দিয়ে হত্যার ভয় দেখায়। এ ছাড়াও তার নেতা-কর্মী ও সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে তার বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুর করে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে ভূমিদস্যু বিএনপি নেতা শাহাজাহানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন ভুক্তভোগী দুই পরিবার।

মো. শাহজাহান ভূইয়া বলেন, আদালতের রায় পেয়ে আমি জমি দখলে নিয়েছি। আদালত রায়ের মাধ্যমে তাদেরকে জমিতে যাওয়ার জন্য নিষেধ করেছেন। তবে কাউকে হুমকি দেইনি। অন্য অভিযোগকারীদের আমি চিনিনা।

ইমরান/মেহেদী/

অটোরিকশা ছিনতাইয়ের চেষ্টা, যুবদল নেতা আটক

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৫৮ এএম
আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৫৮ এএম
অটোরিকশা ছিনতাইয়ের চেষ্টা, যুবদল নেতা আটক
যুবদল নেতা বাবু মিজি। ছবি: সংগৃহীত

মুন্সীগঞ্জ সদরে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের সময় এক যুবদল নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার (২১ এপ্রিল) রাত ১টার দিকে শহরের মুন্সীরহাটগামী রাস্তার পাঁচঘড়িয়াকান্দি নতুন ব্রিজের ঢালে এ ঘটনা ঘটে। 

আটক বাবু মিজি (৩৬) শহরের টরকি এলাকার মনির মিজির ছেলে ও সদর উপজেলার যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফিরোজ কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

পুলিশ জানায়, সোমবার রাত ১টার দিকে পাঁচঘড়িয়াকান্দি নতুন ব্রিজের ঢালে অভিযুক্ত বাবু মিজিসহ আরও দুজন অটোরিকশা ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশ বাবু মিজিকে আটক করে। কিন্তু তার সঙ্গে থাকা অপর দুজনকে আটক করা যায়নি। তার শরীরে তল্লাশি চালিয়ে চারটি হাতবোমা ও দুটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। পরে বাবু মিজির বিরুদ্ধে ছিনতাই চেষ্টা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মুন্সীগঞ্জ জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মজিবর দেওয়ান বলেন, ‘বাবু মিজি সদর উপজেলার যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। যদি তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়, তা হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেকোনো ধরনের অপরাধের বিষয়ে আমাদের সুস্পষ্ট অবস্থান রয়েছে। মানুষের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করে এমন কোনো কাজ করা যাবে না।’

নিরাপত্তা চাইলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের আহ্বায়ক

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১১:১৩ এএম
নিরাপত্তা চাইলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের আহ্বায়ক
জামালপুরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক মীর ইসহাক হাসান ইখলাস। ছবি: সংগৃহীত

ফেসবুকে লাইভে এসে নিরাপত্তা চেয়েছেন জামালপুরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক মীর ইসহাক হাসান ইখলাস। গত সোমবার রাতে ফেসবুক লাইভে এসে নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা চান তিনি।

লাইভে তিনি মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সকাল থেকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে আমরণ অনশনের ঘোষণা দিলেও পরে অনশন কর্মসূচি স্থগিত করেন।

ফেসবুক লাইভে মীর ইসহাক হাসান ইখলাস বলেন, আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট সরকারকে আমরা পতন ঘটিয়েছি। কিন্তু ৫ আগস্টের পর থেকে আসামিরা গভীর রাতে আমার বাড়িতে হামলা করতে আসছেন। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জামালপুর সদর উপজেলার ৪ নম্বর মেস্টা ইউনিয়ন পরিষদের নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচন করা বদরুল হাসান বিদ্যুৎকে দায়ী করে তিনি আরও বলেন, বিদ্যুতের বাবা, চাচা ও তার চাচাতো ভাই যারা আছেন, তারা সবাই আমার বাড়িতে হামলা করতে আসছেন। সমন্বয়কদের লাশ রাখা হবে না, গুম করা হবে, এই জাতীয় হুমকি দিচ্ছেন। 

জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনার নমনীয়তায় আমাদের জীবন আজ কবরের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এ সময় তিনি আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এই আসামিদের আপনি বারবার সুযোগ দিচ্ছেন, আপনি সুযোগ না দিলে, বিচারের আওতায় না নিয়ে আসায়  আমার বাড়িতে হামলা চালানোর সাহস দেখায়। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনার পুলিশ প্রশাসন কী করে? প্রশাসন আমার ও জনগণের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ।’

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে ইসহাক হাসান ইখলাসের মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ধরেননি। তার বড় ভাই ইকবাল হোসেন বলেন, ‘আমাদের বাড়ির পাশের একটি জমিতে মাটি ভরাট করার সময় প্রতিবেশী সদর উপজেলা যুবলীগের ক্রীড়া সম্পাদক বদরুল হাসান বিদ্যুতের বাবা হাতেম আলী ঠিকাদার ও তার চাচা লতিফ ঠিকাদারসহ আরও কয়েকজন আমার বাবা ও ভাইকে মাটি ভরাট করতে বাধা দেন। পরে তারা লোকজন নিয়ে আমার বাবা ও ছোট ভাইকে ধাওয়া করেন। আমার পরিবারের লোকজনকে না পেয়ে বিদ্যুতের লোকজন আমাদের বাড়িতে গিয়ে হামলার চেষ্টা করেন। তারা বিভিন্ন জায়গা থেকে আমাদের বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন।’

এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে জামালপুর সদর উপজেলা যুবলীগের ক্রীড়া সম্পাদক বদরুল হাসান বিদ্যুতের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। 

জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ফয়সল মো. আতিক জানান, ইতোমধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযুক্তদের কাউকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাননি, অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রধানমন্ত্রীর কর্তৃত্ব রেখে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতায়নে রাজি বিএনপি

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৫০ এএম
আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৫৯ এএম
প্রধানমন্ত্রীর কর্তৃত্ব রেখে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতায়নে রাজি বিএনপি
খবরের কাগজ ইনফোগ্রাফিকস

প্রধানমন্ত্রীর কর্তৃত্ব বহাল রেখে রাষ্ট্রপতির ক্ষমতায়নে রাজি বিএনপি। পাশাপাশি ধর্মনিরপেক্ষতা বিলুপ্ত করার সঙ্গে একমত পোষণ করেছে দলটি। এ ছাড়া সংস্কার কমিশনের ৫ শতাধিক সুপারিশের সঙ্গে একমত ও ৭৩টিতে দ্বিমত পোষণ করেছে বিএনপি। 

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় সংস্কার প্রশ্নে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে বিএনপি।

বেলা ১১টায় জাতীয় সংসদের এলডি হলে বিএনপির সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের তৃতীয় দিনের আলোচনা শুরু হয়। ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিনের বক্তব্যের পর শুরু হয় রুদ্ধদ্বার আলোচনা। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পর আলোচনা চলে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত। বৈঠকে সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলো নিয়ে আলোচনা হয়। 

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ৬৯১টি সুপারিশের মধ্যে ৭৩টিতে বিএনপি আপত্তি জানিয়েছে বলে জানিয়েছেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘পাঁচ শতাধিক প্রস্তাবে একমত বিএনপি। বাকি প্রস্তাবে আংশিক একমত হয়েছে। এসব প্রস্তাবে আমাদের সুপারিশ রয়েছে।’ 

তিনি বলেন, ‘জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের ২০৮টি সুপারিশের মধ্যে ১৮৭টিতে বিএনপি একমত, আংশিক একমত ৫টিতে, একমত নয় ১১টিতে, মন্তব্যসহ ৫টিতে ভিন্নমত দিয়েছে। নির্বাচন সংস্কার কমিশনের সুপারিশের মধ্যে ২৪৩টি প্রস্তাবের মধ্যে ১৪১টিতে একমত, ২৪টিতে দ্বিমত, ১৪টিতে আংশিক একমত ও ৬৪টিতে মন্তব্যসহ ভিন্নমত রয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ২০টি প্রস্তাবের মধ্যে ১১টিতে একমত, বাকি ৭-৮টি প্রস্তাবে নীতিগতভাবে একমত। শুধু আয়কর ধারা বিষয়ে আমরা আপত্তি দিয়েছি। আর বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের ৮৯টি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবের মধ্যে আমরা ৬২টিতে সুপারিশে একমত, ৯টিতে মন্তব্যসহ আংশিক একমত, ১৮টিতে দ্বিমত পোষণ করেছি। সংবিধান সংস্কার কমিশনের ১৩১টি প্রস্তাবের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে একমত হয়েছি।’ 

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিএনপি বিচার বিভাগের সম্পূর্ণ স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। আমরা স্বাধীন বিচারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চাই। অধস্তন আদালতকে স্থানীয় আদালত বলতে একমত পোষণ করেছি। স্থানীয় আদালতের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা সুপ্রিম কোর্টে আর্টিকেল-১১৬ পরিবর্তন আনার বিষয়ে একমত পোষণ করেছি। ন্যাশনাল জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের প্রস্তাব করেছি আমরা।’ সুপ্রিম কোর্টে একটি সচিবালয় প্রতিষ্ঠার বিষয়ে বিএনপি একমত জানিয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সুপ্রিম কোর্টে বিচারক নিয়োগসংক্রান্ত অধ্যাদেশ হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জের বিষয়টি যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সেসব বাস্তবায়নে বিএনপি অঙ্গীকারবদ্ধ।

স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সরাসরি ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করার পক্ষে বিএনপি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জেলা পরিষদ কাউন্সিল গঠনের ব্যাপারেও আমরা একমত।’ 

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন আগের মতো জুডিশিয়াল অপশন রেখে হবে কি না, নাকি বিকল্প কোনো পদ্ধতিতে হবে- সেই বিষয়ে আমরা প্রস্তাব চেয়েছি বা আমরা চিন্তা করে দেখি নতুন কোনো প্রস্তাব দেওয়া যাবে।’

কমিশনের যেসব প্রস্তাবে দ্বিমত বিএনপির 

সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র বিচারপতিকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের সুপারিশে দ্বিমত জানিয়েছে বিএনপি। দলটি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সবচেয়ে সিনিয়র তিন বিচারপতির মধ্য থেকে একজনকে প্রধান বিচারপতি পদে নিয়োগের পক্ষে মত দিয়েছে। 

তিনি বলেন, ‘নেসেসিটি মেকস ল। আমাদের কাছে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা হচ্ছে সর্বোচ্চ আইন। ডকট্রিন অব নেসেসিটি বিবেচনা রেখেই কিছু অপশন রাখা সুবিধাজনক।’

একজন ব্যক্তি দুবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না- সংবিধান সংস্কার কমিশনের এমন প্রস্তাবে দ্বিমত পোষণ করেছে বিএনপি। তবে একজন সর্বোচ্চ তিনবার প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন- এমন প্রস্তাবটি ইতিবাচক হিসেবে দেখছে দলটি। 

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, এক ব্যক্তির পরপর দুই মেয়াদের পর একবার বিরতি দিয়ে আবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ রাখার কথা তারা বলেছেন। 

একই ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী, দলীয় প্রধান এবং সংসদ নেতা পদে যাতে না থাকেন সেটি নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। তবে এতে বিএনপি দ্বিমত পোষণ করেছে বলে জানান সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সংসদ নেতার পদে থাকা উচিত। আর সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের ওপর ছেড়ে দেওয়া উচিত যে দলের প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী একই ব্যক্তি হবেন কি না। আর প্রধানমন্ত্রী যিনি হবেন, তিনিই সংসদ নেতা হবেন। এটাই ট্র্যাডিশন। তিনি বলেন, কোনো কোনো দেশ সংসদ নেতাকে আলাদা করেছে এমন নজির আছে। কিন্তু এখানে সংসদ নেতার কোনো নির্বাহী ক্ষমতা নেই। এখানে সংসদ নেতা এবং প্রধানমন্ত্রী অনেকটা অবিচ্ছেদ্য অংশ। এটা প্রধানমন্ত্রীর মতো আলাদা পোস্ট নয়। 

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘মন্ত্রিপরিষদ প্রধানমন্ত্রীর কর্তৃত্বে পরিচালিত। কিন্তু ওনারা বলেছেন, কালেকটিভলি প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে মন্ত্রিসভা কর্তৃক পরিচালিত। তাতে এখানে প্রধানমন্ত্রীর কর্তৃত্ব থাকে না। আমরা বলেছি, প্রধানমন্ত্রীর কর্তৃত্ব থাকা উচিত।’

সব কমিশনকে সাংবিধানিক কমিশন করা প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘মানবাধিকার কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, স্থানীয় সরকার কমিশনসহ বেশ কয়েকটা প্রতিষ্ঠানকে সাংবিধানিক কমিশন হিসেবে নিয়ে আসার জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। আমরা বলেছি, প্রত্যেকটা কমিশনকে সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়ে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হলে জটিলতা বাড়বে।’

ন্যাশনাল কনস্টিটিউশন কাউন্সিল (এনসিসি), সংসদের উভয় কক্ষের মেয়াদ, সংসদ সদস্যের বয়স ২১ বছর করা, সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচন পদ্ধতি প্রভৃতি বিষয়ে ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছে বিএনপি। 

যেসব প্রস্তাবে একমত 

স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার করা যাবে না এবং স্থানীয় প্রশাসনে যে চারটি বিভাগের কথা বলা হয়েছে, সেই বিষয়ে বিএনপি সম্পূর্ণ একমত বলে জানিয়েছেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। 

সংস্কার কমিশনের অধিকাংশ সুপারিশের সঙ্গে বিএনপি একমত- এ কথা জানিয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে সংবিধানের অষ্টম, নবম, দশম, দ্বাদশ ও পঞ্চদশ সংশোধনীর পূর্বের অবস্থার কথা বলেছে তারা। ধর্মনিরপেক্ষতা বিলুপ্ত করার সঙ্গে বিএনপি একমত। সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার আনার ক্ষেত্রেও তারা একমত। এগুলো মৌলিক অধিকারে আনার কথা বলেছে বিএনপি।

নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ১৪ জন হবে এই প্রস্তাবে বিএনপি একমত। সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করলে উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য থেকে একজনকে মনোনীত করা হবে, সেই বিষয়ে একমত। 

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে বিএনপি মোটামুটি একমত বলে জানিয়েছেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, এটা আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা দরকার। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে সশস্ত্র বাহিনীর তিন বিভাগসহ পুলিশ ও অন্যান্য বাহিনী সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত আছে। ঢালাওভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ক্ষেত্রে একটি প্রোভেশন রাখলে ইমব্যালেন্স হয়ে যেতে পারে। সে জন্য রাষ্ট্রের বিষয়, সংবিধধানের বিষয়, রাষ্ট্র পরিচালনার বিষয় সেটা গভীরভাবে চিন্তা করে সংবিধানে আনতে হবে। 

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, রাষ্ট্রপতির অভিশংসন প্রক্রিয়ায় পার্লামেন্টের উভয় কক্ষের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের ভোটের বিষয়ে বিএনপি একমত পোষণ করেছে। ন্যায়পাল নিয়োগের বিষয়েও একমত হয়েছে বিএনপি। 

দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট ও ডেপুটি স্পিকার বিরোধী দল থেকে নেওয়ার বিষয়ে বিএনপি একমত বলে জানিয়েছেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ‘ওনারা এটার নাম রেখেছেন উচ্চ কক্ষের জন্য সিনেট, নিম্ন কক্ষের নাম জাতীয় সংসদ। এটাতে আমরা একমত। নিম্ন কক্ষের ৪০০ আসনের মধ্যে ১০০ আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে এটা নিয়ে আমরা একমত, তবে সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে আমাদের মধ্যে ভিন্নমত আছে।’

সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধির কথা আমরা বলেছি। যেখানে রাষ্ট্রপতির হাতে কী কী ক্ষমতা অর্পণ করা যায়। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা না করে রাষ্ট্রপতি কী কী করতে পারবেন সেটা বিস্তারিত থাকবে। কোনো স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে এমপিরা থাকতে পারবেন না এমন প্রস্তাবে একমত বিএনপি।’ 

বিএনপি সংবিধান সংশোধনীর সব ক্ষেত্রে গণভোটের দরকার নেই বলে সুপারিশ করেছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, নির্দিষ্ট আর্টিকেল নিয়ে গণভোটের ব্যবস্থা করতে চাইলে সেটা পরবর্তী সংসদে আলোচনা করে করা যেতে পারে। 

রাষ্ট্র, প্রজাতন্ত্র ও সংবিধানের বিষয় নিয়ে তাড়াহুড়া করার কোনো সুযোগ নেই বলে জানান সালাহউদ্দিন। তিনি বলেন, ঐকমত্যের ভিত্তিতে এই কমিশনে যেসব সিদ্ধান্ত হবে, তা জাতীয় জীবনে মহান ভূমিকা রাখবে। তাই সময় বেশি নিলেও বিএনপি বিস্তারিত আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।

নতুন প্রস্তাব এসেছে, আলোচনার পর সিদ্ধান্ত 

সংলাপের সূচনা বক্তব্যে ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় নতুন নতুন প্রস্তাব এসেছে। সেগুলো নিয়ে সংশ্লিষ্ট কমিশনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।’ 

প্রথম পর্যায়ের আলোচনায় বিএনপির সঙ্গে কিছু বিষয়ে একমত হওয়া গেছে জানিয়ে আলী রীয়াজ বলেন, ‘সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে বেশ কিছু বিষয়ে ঐক্যমত্য হয়েছে, বেশ কিছু বিষয়ে মতভিন্নতাও আছে। মতভিন্নতার ক্ষেত্রে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে অনেকগুলো ক্ষেত্রে তারা নীতিনির্ধারকদের কাছে যাবেন, আলোচনা করবেন এবং পরবর্তী সময়ে জানাবেন। আশা করছি তা জানতে পারব শিগগিরই।’

আলোচনার বিষয়বস্তু কমিশনপ্রধান ও প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে জানানো হয় উল্লেখ করে আলী রীয়াজ বলেন, ‘প্রতিটি বিষয় তাকে অবহিত করা হয়। প্রধান উপদেষ্টা দিকনির্দেশনাও দিচ্ছেন।’

আলোচনায় অংশ নেন স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মো. ইসমাইল জবিউল্লাহ, নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল এবং আবু মো. মনিরুজ্জামান খান। ঐকমত্য কমিশনের পক্ষে ছিলেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ইফতেখারুজ্জামান ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য) মনির হায়দার। এর আগে গত বৃহস্পতিবার ও রবিবার ঐকমত্য কমিশন বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় বসেছিল।