ঢাকা ১১ বৈশাখ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২

আ.লীগকে জনগণ ক্ষমা করলে রাজনীতিতে আপত্তি নেই: রিজভী

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৫:১৩ পিএম
আ.লীগকে জনগণ ক্ষমা করলে রাজনীতিতে আপত্তি নেই: রিজভী
ছবি: সংগৃহীত

হত্যা ও লুটপাটে জড়িত নয়, এমন কারও নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে বাধা নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিয়ে কথা হচ্ছে, কিন্তু বিচার নিয়ে কথা হচ্ছে না। দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে হবে। বিচারের পর আওয়ামী লীগকে জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। আর জনগণ ক্ষমা করলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।

শুক্রবার (২১ মার্চ) সকালে রাজধানীর উত্তরার দক্ষিণখানে ফায়দাবাদ মধ্যপাড়া হাজী শুকুর আলী মাদরাসা সংলগ্ন মাঠে দুস্থদের মধ্যে ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

জুলাই আন্দোলনে যারা গণহত্যায় জড়িত তাদের বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের যারা অপরাধী তাদের বিচার নিশ্চিত হওয়ার পর যারা হত্যা-লুটপাটে জড়িত নয়, তাদের যদি জনগণ রাজনীতি করার সুযোগ দেয় আমাদের কিছু বলার নেই।

যারা ছাত্র হত্যা করেনি, যারা অর্থ লোপাট করেনি এমন সৎ ব্যক্তি নেতৃত্বে আসলে আওয়ামী লীগ কেন রাজনীতি করতে পারবে না এমন প্রশ্ন রেখে রিজভী বলেন, যারা অপরাধের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিচার হতেই হবে। আর কোনও ফ্যাসিবাদের উত্থান যেন না হয়, সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বানও জানান রিজভী।

এসময় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের একটি গোষ্ঠী ৫ আগস্টের পর সংস্কারের কথা বলছেন। কিন্তু গত ছয় মাসে দৃশ্যমান কোনো সংস্কারের কিছু দেখা যায়নি। দেশের কোথাও স্থিতিশীলতা নেই। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা থেকে মুক্তি পেলেও স্বৈরাচারমুক্ত হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘এখনো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এর জন্য দরকার একটি সুষ্ঠু নির্বাচন। ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার গঠন করলেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে।’

এসময় আরও উপস্থিতি ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য ও রশিদ গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. মোতালেব হোসেন রতনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এসএম জাহাঙ্গীর, এবিএমএ রাজ্জাক, যুগ্ম আহ্বায়ক ও রশিদ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম কফিল উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/এমএ/

নারীর সঙ্গে আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল, বিএনপি নেতা বহিষ্কার

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪৬ এএম
নারীর সঙ্গে আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল, বিএনপি নেতা বহিষ্কার
সূবর্ণচর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি কাজী আলমগীর

নোয়াখালীর সূবর্ণচরে নারীর সঙ্গে আপত্তিকর ভিডিও ভাইরালের পর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি কাজী আলমগীরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক ও সূবর্ণচর উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এবিএম জাকারিয়া বিষয়টি খবরের কাগজকে নিশ্চিত করেন। 

তিনি বলেন, চারিত্রিক স্খলনের সুস্পষ্ট প্রমাণের ভিত্তিতে কাজী আলমগীরকে সূবর্ণচর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতির পদসহ সব সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এর আগে, বুধবার (২৩ এপ্রিল) সূবর্ণচর উপজেলার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্যাহ বাবুলের সই করা চিঠিতে উপজেলা বিএনপির নেতা কাজী আলমগীরকে বহিষ্কার করা হয়।

চিঠিতে বলা হয়, 'আপনার বিভিন্ন অপকর্ম ও অনৈতিক এবং চারিত্রিক স্খলনজনিত কারণে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এবিএম জাকারিয়া কর্তৃক নির্দেশিত হয়ে আপনাকে দলের প্রাথমিক সদস্য ও সব পদ-পদবি থেকে বহিষ্কার করা হলো।'

জানা গেছে, অজ্ঞাত এক নারীর সঙ্গে আপত্তিকর একটি ভিডিও বিএনপি নেতা কাজী আলমগীরের ফেসবুকের স্টোরিতে প্রকাশ পায়। পরে সেটি ভাইরাল হয়ে বিভিন্ন মোবাইল ফোনে ছড়িয়ে পড়ে। যা উপজেলা বিএনপি নেতাদের দৃষ্টিগোচর হয়।

অভিযুক্ত বিএনপি নেতা কাজী আলমগীর এটিকে ষড়যন্ত্র বলে দাবি করে বলেন, আমি ফেসবুক চালাতে জানি না। ভুলে কোথা থেকে কী হয়েছে তাও বলতে পারব না। দলের একটি গ্রুপ আমার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন থেকে ষড়যন্ত্র করে আসছে। তারাই এ ভিডিও ছড়িয়ে দিয়েছে।

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্যাহ বাবুল বলেন, ভিডিও ভাইরালের পর জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এবিএম জাকারিয়ার নির্দেশে কাজী আলমগীরকে বহিষ্কারের চিঠি দেওয়া হয়েছে। 


মজনু/মেহেদী/

জামায়াতের ব্যানারে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের নির্বাচন করার আহ্বান আমিরের

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৩০ এএম
জামায়াতের ব্যানারে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের নির্বাচন করার আহ্বান আমিরের
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান

ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ব্যানারে নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের যত ন্যায্য দাবিদাওয়া ছিল, আগে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের নির্বাচনি ইশতেহারে এসব দাবি পূরণের অঙ্গীকার করত। তবে কখনো তারা সেগুলো বাস্তবায়ন করেনি।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে আয়োজিত ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে প্রীতি সমাবেশে তিনি এ আহ্বান জানান।

এতে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল, সাংবাদিক সন্তোষ শর্মা, হিন্দু মহাজোটের গোবিন্দ চন্দ্র প্রমুখ। 

মসজিদ-মন্দিরে যেনকোনো পাহারা দিতে না হয়, তেমন রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তোলাই জামায়াতের লক্ষ্য বলে মন্তব্য করেছেন ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘এই দেশে মসজিদ-মাদ্রাসা যদি পাহারা দিতে না হয়, তাহলে মন্দির পাহারা দিতে হবে কেন? এই সংস্কৃতি আমরা বদলাতে চাই। এমন রাষ্ট্র আমরা গঠন করতে চাই, যেখানে কাউকে মন্দির পাহারা দিতে হবে না।’

সমাজের খারাপ অবস্থা থেকে উঠে দাঁড়াতে সবাইকে সত্য বলার আহ্বান জানিয়ে জামায়াত আমির বলেন, সাহস করে আজ যদি সত্যকে সত্য বলেন, কালোকে কালো বলেন, সাদাকে সাদা বলেন, তাহলে খারাপ সংস্কৃতিগুলো সমাজ থেকে দূর হবে।

সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলকের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১:১৪ এএম
সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলকের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা
সাবেক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ছবি: সংগৃহীত

সরকারি নির্দেশ অমান্য করে থানায় অস্ত্র জমা না দেওয়ায় সাবেক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা করেছে নাটোরের সিংড়া থানা পুলিশ।

বুধবার (২৩ এপ্রিল)পলকের নিজ এলাকা সিংড়া থানার এসআই  আবুল কালাম আজাদ বাদি হয়ে মামলাটি করেছেন। 

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রদান করা  সব আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করে ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অস্ত্রগুলো সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় অন্তর্বর্তী সরকার।

কিন্তু সরকারের বেঁধে দেওয়া সময় পার হলেও পলকের হেফাজতে থাকা  একটি পিস্তল ও একটি শর্টগান থানায় জমা দেওয়া হয়নি। এ কারণে ১৮৭৮ সারের অস্ত্র আইনে মামলাটি করা হয়েছে। 

মামলাটি নথিভুক্ত করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসমাউল হক।

এদিকে, একাধিক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে জেলে রয়েছেন সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক। সূত্র: ইউএনবি

সুমন/

রওশন এরশাদের সুন্দর মহলকে ‘দালাল মহল’ করার দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১০:০৩ এএম
রওশন এরশাদের সুন্দর মহলকে ‘দালাল মহল’ করার দাবিতে মানববন্ধন
ময়মনসিংহে রওশন এরশাদের বাড়ির নাম ‘দালাল মহল’ করার দাবিতে মানববন্ধন। ছবি: খবরের কাগজ

ময়মনসিংহে রওশন এরশাদের বাড়ির নাম ‘দালাল মহল’ করার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে ময়মনসিংহ শহরের ফায়ার সার্ভিস রোডে অবস্থিত ভবনটির সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ফ্যাসিস্টদের সহচর রওশন এরশাদের ‘সুন্দর মহলকে’ বাণিজ্যিক ভবন হিসেবে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। তারা এ ভবনটিকে রেস্টুরেন্টের কাছে ভাড়া দিয়েছে। জাতীয় পার্টির নেতারা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে আওয়ামী লীগ সরকারকে গণহত্যায় পুরোপুরি সমর্থন দিয়েছে। 

এখন তারা নিজেদের বাঁচাতে সুশীলের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। এই সুশীলতার আড়ালে তারা আওয়ামী লীগকেই পুনর্বাসন করতে চায়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ময়মনসিংহ জেলার অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল্লাহ আল নাকিব বলেন, ‘বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে যতগুলো বিনা ভোটে নির্বাচন হয়েছে, সবগুলোতেই রওশন এরশাদ শেখ হাসিনাকে সমর্থন জানিয়েছেন। গণতন্ত্র হত্যাকারীদের অবশ্যই বিচার করতে হবে।’

সংগঠনটির মহানগর শাখার জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ওয়ালিদ আহমেদ ওলি বলেন, রওশনের এই ভবনে রেস্তোরাঁ করতে দেওয়া হবে না। আমরা এই ভবনকে সুন্দর মহল হিসেবে দেখতে চাই না। এই ভবনের নাম পরিবর্তন করে দালাল মহল করতে হবে। কারণ, জাতীয় পার্টি সবসময় আওয়ামী লীগের দালালি করেছে।

মানববন্ধনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে তারা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেন।

কামরুজ্জামান মিন্টু/সুমন/

মুসলিম নিধনে একের পর এক আইন বাস্তবায়ন করছে মোদি সরকার: মামুনুল হক

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৩১ পিএম
মুসলিম নিধনে একের পর এক আইন বাস্তবায়ন করছে মোদি সরকার: মামুনুল হক
ভারতের সংসদে সদ্য পাস হওয়া বিতর্কিত ওয়াক্ফ সংশোধনী বিল-২০২৫ বাতিল এবং চলমান মুসলিম নিধন বন্ধের দাবি’তে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নেতারা। ছবি: সংগৃহীত

ভারতে মুসলিম নিধনের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে একের পর এক আইন বাস্তবায়ন করছে মোদি সরকার বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে যেকোনো কর্মসূচি গ্রহণ করুন। দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলুন। বাংলাদেশের মুসলিমরা আপনাদের কর্মসূচিতে অংশ নেবে। বিতর্কিত ওয়াক্ফ সংশোধনী বিল বাতিল ও মুসলিম নিধন বন্ধ না করলে প্রয়োজনে আমরা ভারত অভিমুখে লংমার্চ ঘোষণা করব।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে ‘ভারতের সংসদে সদ্য পাস হওয়া বিতর্কিত ওয়াক্ফ সংশোধনী বিল-২০২৫ বাতিল এবং চলমান মুসলিম নিধন বন্ধের দাবি’তে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। পরে ভারতীয় হাইকমিশন অভিমুখে গণমিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালন করা হয়।

মামুনুল হক বলেন, সারা পৃথিবীতে আজ দু'টি জনপদ সবচেয়ে বেশী সমালোচিত। একটি গাজা ভুখন্ড-যেখানে বর্বর ইসরাইলের গণহত্যা চলছে। আরেকটি হল ত্রিশ কোটি মুসলমানের ভারত। সেখানে মোদী সরকার ভারতকে মুসলিম শূন্য করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ভারত সরকার মুসলিমবিরোধী নীতি অব্যাহত রাখলে উপমহাদেশজুড়ে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই, ভারতের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক এবং কূটনৈতিক সব পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।

অন্তর্বর্তী সরকারের নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সমালোচনা করে মামুনুল হক বলেন, ‘নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনে যারা আছেন, তাদের পরিচয় নিয়ে আমরা সন্দিহান। সরকার ইসলামের বিপক্ষে অবস্থান নিলে এক দিনের জন্যও তারা ক্ষমতায় টিকতে পারবেন না। অবিলম্বে এই কমিশন বাতিল করে গণমানুষের পক্ষে অবস্থান নিন।’

ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে গণমিছিল শান্তিনগর মোড়ে পৌঁছালে পুলিশ বাধা দেয়। সেখান থেকে সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বারিধারাস্থ ভারতীয় দূতাবাসে গিয়ে পাঁচ দফা সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করেন। এতে বলা হয়, ওয়াকফ সংশোধনী বিল অবিলম্বে বাতিল, মুসলমানদের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত, মসজিদ, মাদরাসা ও ইসলামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের নিরাপত্তা বিধানে কার্যকর পদক্ষেপ, মুসলিমবিরোধী বৈষম্যমূলক আইনসমূহ বাতিল এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলোর নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তদন্ত নিশ্চিত করতে হবে।

সমাবেশ আরও বক্তব্য রাখেন মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, নায়েবে আমির মাওলানা শাহীনুর পাশা, মাওলানা মহিউদ্দিন রাব্বানী ও ইউসুফ আশরাফ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, খেলাফত যুব মজলিসের সভাপতি জাহিদুজ্জামান, খেলাফত শ্রমিক মজলিসের সদস্যসচিব আবু সাইদ নোমান, ছাত্র মজলিসের সভাপতি মোহাম্মদ আবদুল আজিজ, খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি আনোয়ার হোসেন রাজি, খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ছানাউল্লাহ আমিনি প্রমুখ।

শফিকুল ইসলাম/মাহফুজ