
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ নেতারা বলেছেন, মধ্যপ্রচ্যের তেল ও খনিজসম্পদের দখল এবং ওই অঞ্চলে সামরিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য ইসরায়েলকে ব্যবহার করছে সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকা। তাদের ভাষ্যে, এই লক্ষ্যে ফিলিস্তিনে হামলার জন্য ইসরায়েলকে সব ধরনের অস্ত্র সরবরাহ করছে আমেরিকা।
যুদ্ধ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গাজায় ইসরায়েলের হামলার ঘটনায় শুক্রবার (২১ মার্চ) বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন বাসদ নেতারা। বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দলের সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জান রতন, সদস্য জুলফিকার আলী ও নগর কমিটি সদস্য খালেকুজ্জামান লিপন।
বাসদ নেতারা বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গাজা থেকে সেখানকার বাসিন্দাদের সরে গিয়ে খালি করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে দিতে বলেছে। নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করে ট্রাম্প নতুন করে হামলার নীল নকশা করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় গাজায় নতুন করে হামলা শুরু হয়েছে।
বিশ্ব জনমত উপেক্ষা করে ইসরায়েলের নৃশংস হামলায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে বাসদ নেতারা বলেন, বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজা থেকে মানুষজনকে সরে যেতে বলেছে এবং বলছে ‘গাজায় নৃশংতা কেবল মাত্র শুরু’। হাজার হাজার টন বোমা ফেলে ফিলিস্তিনকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছে। এই হামলার বিরুদ্ধে খোদ ইসরাইয়েল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে কিন্তু ইসরায়েল তাতে তোয়াক্কা করছে না। কারণ তার প্রতি সমর্থন রয়েছে যুদ্ধবাজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের।
তারা বলেন, যুদ্ধবিরতির সময়েও গাজায় ১৫০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। গাজায় যে হামলা চানানো হচ্ছে তা অতীতের যে কোনো যুদ্ধের ভয়াবহতাকে হার মানিয়েছে। এখন সেখানে কোনো ত্রাণ পৌছাতে পারছে না। এ কারণে সেখানকার মানুষ ক্ষুধা দুর্ভিক্ষ ও চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণ করছে।
বাসদ নেতারা গাজায় মানবিক সংকট মোকাবিলায় জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জরুরি পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানান। পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারকে গাজায় ইসরাইলি বোমা হামলা ও গণহত্যা বন্ধের দাবি আন্তর্জাতিক সব ফোরামে তুলে ধরার দাবি জানান।
জয়ন্ত সাহা/মাহফুজ